নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আজ সকালে দেখি আমেরিকার ওকলাহোমা প্রবাসী আমার ভাগ্নে তার বাসার নিকটস্থ Bartlesville Amtrak station এ সাজিয়ে রাখা steam engine locomotive এর কয়েকটা ছবি পোস্ট করে শৈশবে তার নানাবাড়ী যাওয়ার স্মৃতিচারণ করেছে। লোকোমোটিভ ইঞ্জিন এর ছবিগুলো দেখে আমিও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম। তবে শৈশব-কৈশোরে আমার দেখা ইঞ্জিনগুলো এরকম Silverish Black ছিল না, ছিল একেবারে ভুশভুশা কালো। ছোটবেলায় নানাবাড়ী-দাদাবাড়ী যাবার সময় আমদের ট্রেনে করেই যেতে হতো। কয়লার শক্তি-চালিত এসব ইঞ্জিন চলার সময় ভোঁশ ভোঁশ করে কালো ধোঁয়ার হলকা বাতাসে ছড়িয়ে দিত। আব্বা আম্মার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে মুখ বের করে দেখতাম, বিশেষ করে ট্রেনের গতি প্রকৃ্তি অনুভব করে যখন বুঝতে পারতাম যে ট্রেনটা বাঁক নিচ্ছে। মাঝে মাঝে বাতাসে ভেসে আসা কয়লার গুঁড়ো চোখে ঢুকে যেত, সাথে সাথে বকুনিও খেতাম। ১৯৬২-৬৪ সালে আমরা কমলাপুরে থাকতাম। এখন যেখানে রেলের পার্সেল অফিস, আমাদের বাসাটা প্রায় সেখানেই ছিল। তখন কেবল নতুন স্টেশনের নির্মাণ কাজ এবং নতুন রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। নতুন বসানো লাইন একটু একটু করে এগোচ্ছিল আর সেগুলো দিয়ে মালবাহী ক্যারেজ এবং ক্যারিয়ারে করে আলকাতরা মাখা সেগুন কাঠের স্লিপার এবং টুকরো পাথরের চালান এনে স্তুপ করা হচ্ছিল। আমরা সেসব স্তুপের আড়াল নিয়ে লুকোচুরি খেলতাম। সেই আলকাতরার গন্ধটা আমার খুব ভাল লাগতো, এখনো নাকে লেগে আছে। আলকাতরার সাথে ডিজেল, তার্পিন তেল কিংবা অন্য কোন কেমিক্যাল হয়তো মেশানো থাকতো, যার কারণে গন্ধটা খুব তীব্র হতো।
১৯৬৫ সালের দিকে বন্ধুপ্রতিম দেশ আমেরিকা কর্তৃক দানকৃত হলুদ রঙের ডিজেল চালিত ইঞ্জিন প্রথম ঢাকায় এলো। বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ আমেরিকার পতাকা আকৃ্তির একটি ছাপের উপরে হ্যান্ডশেক করা দুটো হাতের ছবি ইঞ্জিনের গায়ে উৎকীর্ণ ছিল। প্রথম প্রথম কমলাপুর থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত শুধু দিনের বেলায় ট্রেনগুলো চলতো। তারপর শুরু হয় লম্বা যাত্রার ট্রেনগুলোর চলাচল। খুব সম্ভবতঃ ১৯৭০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কমলাপুর রেল স্টেশনটি ঢাকা স্টেশন নামে পূর্ণাঙ্গরূপে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চালু করা হয়। তখন থেকে ঢাকা থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত আমাদের ট্রেনটিকে ঝড়ের বেগে টেনে নিয়ে যেত এই হলুদ রঙের ডিজেল ইঞ্জিন। তারপর স্টীমারে করে যমুনা নদী পার হয়ে তিস্তামুখঘাট থেকে অন্য একটি ট্রেনে উঠতাম, যা টেনে নিয়ে যেত ভুশভুশা কালো রঙের সেই কয়লার ইঞ্জিন। ওটার গতিবেগ ডিজেল ইঞ্জিনের চেয়ে সামান্য একটু কম থাকতো। আমি কান পেতে থাকতাম, চলতে চলতে কখন ইঞ্জিনের হর্ন/হুইসল শুনতে পাবো। দুটো ইঞ্জিনের ডাকে দু’ধরণের আওয়াজ হতো। ডিজেল ইঞ্জিনের হর্ন বাজতো অনেকটা ভোঁ ভোঁ করে, সেটার মধ্যে একটা পুরুষালি বিকটতা ছিল এবং সেটা তুলনামূলকভাবে স্বল্পক্ষণ ধরে বাজতো। কিন্তু আমার ভাল লাগতো কালো কয়লার ইঞ্জিনের হুইসল শুনতে। সেই ট্রেনটা দীর্ঘক্ষণ ধরে কূ...................... কূ আওয়াজ তুলে ছুটে চলতো, বিশেষ করে কোন বাঁক নেয়ার সময় কিংবা কোন সিগনাল পোস্ট নিকটবর্তী হলে। সেই হুইসলের আওয়াজে নারীর কমনীয়তা ছিল, অনেকটা উত্তরবঙ্গের নারীদের কন্ঠে শোনা ভাওয়াইয়া গানের মত আকুলতা ছিল।
নানাবাড়ী-দাদাবাড়ী যাওয়াই হতো কনকনে শীতের মৌসুমে, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার পর ডিসেম্বর মাসে। উভয় বাড়ী থেকে চলমান ট্রেনের আওয়াজ শোনা যেত। দাদাবাড়ী থেকে বিন্যাগাড়ীর বিলের অপর পারে গাছগাছালির মাঝ দিয়ে খেলনার মত ট্রেনটিকে দেখাও যেতো। প্রায়ই হুইসলের শব্দ শুনে সব খেলা ফেলে বিলের পাড়ে ছুটে যেতাম গান গেয়ে যাওয়া ট্রেনটিকে দেখতে। আবার খেলতে খেলতে এও মাঝে মাঝে চোখে পড়তো যে ট্রেনটি কোন আওয়াজ না করেই সতর্ক আরশোলার মত পায়ে পায়ে স্টেশনের দিকে এগোচ্ছে। নানাবাড়ীর ট্রেনের লাইনটি দাদাবাড়ী থেকে তুলনামূলকভাবে বাসা থেকে একটু দূরে ছিল। ট্রেনটিকে আমরা দেখতে পেতাম না, কিন্তু আওয়াজ শুনতে পেতাম। বিশেষ করে মাইল দশেক দূরে তিস্তা সেতুর উপর যখন ট্রেনটা উঠতো, তখন বেশ জোরেশোরেই ট্রেনের ঝমঝমাঝম শব্দ কানে ভেসে আসতো। আমার বড়নানা (নানার বড়ভাই) ঠিক একদম ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবার সাথে সাথে দীর্ঘ সুরা ক্বিরাত পাঠ করে নামায পড়তেন। ওনার বাড়ী ছিল আমার নানাবাড়ীর পাশাপাশি, একেবারে লাগোয়া। আমি প্রায়ই আধো ঘুমে ওনার সুরা ক্বিরাত পাঠ শুনতাম। এভাবে শুনতে শুনতেই কয়েকটি সুরা’র কিয়দংশ আমার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। নামাজের পর বড়নানা সুর করে নানারকমের হামদ, না’ত ও গজল গাইতেন। ওনার কন্ঠ সুমধুর ছিল। ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি ওনার এসব গান শুনতে শুনতে আবার ঘুমিয়ে পড়তাম। তবে ঠিক একই সময়ে প্রতিদিন কূ......ঝিক ঝিক করে একটি ট্রেন লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতো। নানার গান এবং ট্রেনের গান, এতদুভয়ের সংমিশ্রণে এক বিচিত্র সুরের আবেশে আমি হারিয়ে যেতাম।
এই ট্রেন নিয়ে শৈশব থেকে লালিত আমার একটি শখ আজও অপূর্ণ রয়ে গেছে। জানি, সেটা জীবনে আদৌ আর কখনো পূরণ হবার নয়। সেটা হচ্ছে, ট্রেনের ইঞ্জিনের ভেতরে বসে ঢাকা-চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা- ময়মনসিংহ লাইনে, কিংবা অন্য কোথাও, কিছুটা পথ পাড়ি দেয়া। যতদূর জানি, ডিজেল ইঞ্জিনগুলোর ভেতরে শুধু দুইজন চালক ছাড়া তৃতীয় কোন ব্যক্তির বসার কিংবা দাঁড়িয়ে থাকার মতও কোন জায়গা নেই। এই শখ মেটানোর কেবল একটাই উপায় ছিল, যদি কোনদিন রেলের চালক হতে পারতাম। শখ পূরণের এ সুযোগটা জীবনে অন্য আরও অনেক শখের মতই হেলায় হারিয়েছি।
ঢাকা
১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য- পড়ে খুব খুশী হ'লাম।
চলন্ত ট্রেন এবং উড়ন্ত প্লেন দেখা আমার আশৈশব একটি শখ।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা---
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিময় পোষ্ট, প্রথম রেলগাড়ি দেখা এবং প্রথমবার চড়ার অনুভুতির তুলনা হয় না। ভাল থাকুন স্যার।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
শুভকামনা---
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: লোকোমোটিভ আমাদের দেশে আছে। সেখানে রেল মেরামত করা হয়।
ভালো লিখেছেন। আসলে আমেরিকা আমার প্রিয় দেশ। সেই দেশের সব কিছুই আমার ভালো লাগে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
কালীদাস বলেছেন:
দেখিনি কখনও, রেল ভবনের সামনে মনে হয় একটা রেখেছে ডেকোরেশনের জন্য!
শেয়ারের জন্য থ্যাংকস
আর আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের পর টঙ্গি থেকে ঢাকায় ফেরার সময় একটা ট্রাই নিতে পারেন
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: যতদূর মনে পড়ে, ১৯৭৭-৭৮ সাল পর্যন্ত যমুনার ওপাড়ে কালো রেল ইঞ্জিনগুলো সক্রিয় ছিল। রক্ষনাবেক্ষণ বেড়ে যাওয়তে তারপর আস্তে আস্তে ওসব কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। তৎকালীন কমিউনিস্ট দেশ হাঙ্গেরী ও রোমানিয়া থেকে সস্তায় অপেক্ষাকৃত ছোট সাইজের ডিজেল ইঞ্জিন আমদানী করে বাংলাদেশ রেলওয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলতে থাকে। রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে কেবল ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের অন্যত্র লাইনগুলোও বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। দুর্বল লাইনের জন্য দুর্বল ইঞ্জিন বেশ মানিয়ে যায়। এসব ইঞ্জিন এখনও চলছে।
আইডিয়াটা ভাল দিয়েছেন। তবে আমার শখটা ভেতরে বসে গান শুনতে শুনতে যাওয়ার, বাইরে বসে নয়। ভেতরে দু'জন বসার জন্যেই ইঞ্জিনগুলো কাস্টম মেইড বলে শুনেছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা স্মৃতি!...
গাছপালাগুলো কেন পিছনে দৌড়ে পালায়- হিসাব মেলানো কি চেষ্টা!
রেলের পাতে কান পেতে গুঢ়গুঢ় শব্দ শোনা!!! দূর থেকে ইঞি্জন দেখলেই সরে যাবার তাড়া!
আবার কৌতুহল- কি টেনশন! কি টানাপোড়েন! আহ!
আবার একটু দূরন্ত হবার পর রেলব্রীজ থেকে লাফীয়ে পড়া! সাথে দুষ্টুমি!
ব্রীজে দাড়িয়ে আছি। ট্রেন আসেছ। হুইসেল বাজাচ্ছে! আমরা দুষ্টদের লাইন অনঢ় দাড়িয়ে...
ব্রীজে ইঞ্জিনে মূখ লাগানোর মুহুর্তে টপাটপ লাফিয়ে পড়া!!! ড্রাইভারের চিল্লানি- আমাদের খুশির চিৎকারে ঢাকা পড়ে যেত!
আরেকটু গোফ গজানো বয়েসে উদাস হয়ে রেল লাইন ধরে হাটা...
আর দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল
রেল লাইন বহে সমান্তরাল --
কখন আসবে জংশন হবে লাইনে লাইনে মিলন হা হা হা
দারুন স্মৃতি কথা প্রিয় সিনিয়র
+++++++
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: রেলের পাতে কান পেতে গুঢ়গুঢ় শব্দ শোনা!! - এটাও আমরা করতাম।
আপনার বাকী কাজগুলো দুর্ধর্ষ সাহসিকতার এবং শেষের কথাগুলো রোমান্টিকতার পরিচয় দেয়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যাবরকাটা ভালো লাগলো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০১
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: স্মৃতিগুলো অনেক কিছুই টেনে আনে।
ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট মধুর সেই স্মৃতিগুলো এবং এর পরের পোস্টটাতেও দুটো মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। একটু সময় করে দেখে নেবেন।
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৯
আটলান্টিক বলেছেন: আহাহা এখন হচ্ছে জাপানিজ বুলেট ট্রেনের যুগ
সুন্দর লিখেছেন।যদিও লোকোমোটিভ ট্রেন কখনো দেখি নাই আপনার পোষ্ট পড়ে প্রীত হলাম।
অফটপিক:গাজী সালাহউদ্দীন আইয়ুবির ক্রুসেড সিরিজ পড়েছেন?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: না, ক্রুসেড সিরিজটা আমি পড়ি নাই।
আমেরিকা ভ্রমণের সময় আমি টেনিসী'র জেলিকো শহরে এবং অন্য আরো কয়েকটি জায়গায় অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে তাদের ব্যবহৃত স্টীম লোকোমোটিভের রেপ্লিকা মডেলও অত্যন্ত সুসংরক্ষিত অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। সেগুলো দেখে আজকের প্রজন্ম তখনকার যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে পারে। তখনকার দিনের বড় বড় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের নামের তালিকা আজও সেখানে সুসংরক্ষিত। কিন্তু আমাদের দেশে মাত্র পঞ্চাশ বছর আগেও আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা কেমন ছিল, সে সম্বন্ধে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা আমার খুবই প্রিয় ভাইয়া। একটু টেক প্রবলেমের কারনে লেখাটা সিলেক্ট করতে পারছি না।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটু টেক প্রবলেমের কারনে লেখাটা সিলেক্ট করতে পারছি না। - কোন ব্যাপার নয় এটা।
আপনি আমার এ লেখাটা পড়েছেন, আমার লেখা আপনার খুবই প্রিয় বলে জানিয়েছেন, এতেই আমি মহাখুশী!
১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
সামিয়া বলেছেন: অভিজ্ঞতা পড়তে পড়তে মনে হল অন্য ভুবনের স্টোরি পড়ছি অথবা গল্প উপন্যাস। আপনার ছেলেবেলা ছিল ছবির মতন সুন্দর। আমার এক পরিচিত আছেন ট্রেন চালক, সে ট্রেন চালায় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ছবি তোলে, তাকে বলবো নাকি আপনার ইচ্ছে পুরন করা সম্ভব কিনা???
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ছেলেবেলা ছিল ছবির মতন সুন্দর - আসলেই তাই!
বৈধভাবে আমার সে ইচ্ছে পূরণ করা সম্ভব নয়, কারণ ইঞ্জিনের ভেতরে অননুমোদিত ব্যক্তির প্রবেশ নিষেধ। আর গাড়ী চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিনের ভেতরে অননুমোদিত ব্যক্তির বসে থাকাটা তো অপরাধ। তবুও, আপনার এ সদিচ্ছাটুকুর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শামচুল হক বলেছেন: খায়রুল ভাইয়ের স্মৃতিচারণ পড়ে আমার শৈশবের তিস্তামুখ ঘাটের কথা মনে পড়ে গেল।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
সোহানী বলেছেন: আপনার পরিচিত কেউ কি রেলের ইন্জিনিয়ার হিসেবে জব করে? যদি এরকম কাইকে পেয়ে যান তাহলে আপনার স্বপ্ন পূরন কোন সমস্যা নয়। কারন রেলের ইন্জিনিয়াররা প্রায় ইন্জিন চেক বা ঠিক করা জন্য ছোট একটা ইন্জিনের ট্রেন নিয়ে চলে যায়। সেটা নাকি অসাধারন জার্নি। আমার এক ফ্রেন্ড ইন্জিনিয়ার ছিল, সে একবার অফার দিয়েছিল এরকম জার্নির। যদিও যাইনি কিন্তু ওর মুখে শুনে লোভ হয়েছিল যাবার...........
স্মৃতি চারন সবসময়ই মধুর। আমি ট্রেন জার্নি অসম্ভব পছন্দ করি তাই সুযোগ পেলেই ট্রেন অপশানই বেছে নেই।
ভালো থাকেন সবসময়ই।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কারন রেলের ইন্জিনিয়াররা প্রায় ইন্জিন চেক বা ঠিক করা জন্য ছোট একটা ইন্জিনের ট্রেন নিয়ে চলে যায়। সেটা নাকি অসাধারন জার্নি - আপনি বোধহয় ইঞ্জিন ট্রলীর কথা বলেছেন।অনেক সময় রেলের বড় অফিসারদের ওটাতে করে যাতায়াত করতে দেখেছি। কিন্তু আমার শখ মূল ইঞ্জিন কেবিনে বসে কোন এক বর্ষণমূখর দিনে কিংবা রাতে সামনের দিকে ছুটে চলা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব ভাল লাগল স্মৃতি জাগানিয়া স্টীম লোকোমটিভ ট্রেন বৃন্তান্ত । খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সে সময়কার কয়লার ইঞ্জিনে
টানা ট্রেনের ভ্রমন কাহিনী । এর ভোস ভোস আর কুই কুই শব্দ তুলে চলার কাহিনী এখনো মনে পরে । ঢাকা হতে উত্তর বঙ্গে যাওয়ার জন্য কয়লার জ্বালানীতে স্টীম লোকোমটিভে ভ্রমন বেশ আনন্দ দায়ক ছিল । তবে সমস্যা ছিল জানালা দিয়ে কাল ধোয়ার সাথে মাঝে মাঝে কয়লার কালি চোখে মুখে লেগে যেত, তবে তেমন খারাপ লাগতনা, ট্রেন হতে নেমে হাত মুখ ধুয়ে নিলেই হতো । ঢাকা হতে ছেড়ে ঘন্টা তিনেক চলার পরে কাওরাইদ রেল স্টেশনে পৌঁছার পর সেখানে ইঞ্জিন পানি খেতে ও নতুন করে কয়লা ভরতে সময় নিত প্রায় আধা ঘন্টা । কাওরাইদ রেল ষ্টেশনে একটা ইয়া বড় ১০০০০ গ্যালনের ওয়াটার ট্যাংক ছিল । ট্যাংকে পানি আসত কাছের সুতিয়া নদী হতে পাইপে করে । আমরা ট্রেন হতে নেমে এই পানি ও কয়লা ভরার দৃশ্য দেখতাম আনন্দ ভরে । কমলাপুর ও ময়মনসিংহ রেল ন্টেশনে ইঞ্জিনের দিক পরিবর্তনের জন্য নীচের মত একটি চক্রাকার ব্যবস্থা ছিল ।
দুরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতাম দুই জন মানুষে ঠেলে ঠেলে ইঞ্জিনের দিক কেমনে ঘুরায় । মনে হত তাদের সাথে হাত লাগাই কিন্তু বেশী কাছে যেতে দিতনা , তখন মনটা খারাপ হয়ে যেত । এই সব অতীত স্মৃতিগুলি এখন স্বপ্নের মত লাগে । কয়লার স্টীম ইঞ্জিন চালিত ট্রেনের কথামালা সুন্দরভাবে তুলে এনে স্মৃতির দরজায় দাঁড় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা আর দুষ্প্রাপ্য একটি ছবি দিয়ে আমার এ লেখাটিকে আপনি সমৃদ্ধ করে গেলেন, এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ডঃ এম এ আলী।
মধ্যরাতে যখন সূতিয়া নদীর উপর রেলসেতুতে ট্রেনটি উঠতো, তখন কখনোই আমি ট্রেনের জানালা খুলে নীচে তাকিয়ে কূপির টিমটিমে আলোয় জেলেদের নৌকো দেখতে ভুলতাম না।
১৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
হাসান রাজু বলেছেন: ট্রেন আর নানা বাড়ি । এটা আমারও একটা নস্টালজিক স্মৃতি । অসাধারণ স্মৃতিচারণ, দারুন বর্ণনা । ভাল লাগা জানবেন ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, এমন একটা প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এখানে রেখে যাওয়ার জন্য। আপনিও আপনার নস্টালজিক স্মৃতিগুলো মেলে ধরেন, আমরা উপভোগ করি!
১৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।
রেললাইন ধরে হেটে যেতে আমার খুবই ভাল লাগে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: রেললাইন ধরে হেটে যেতে আমার খুবই ভাল লাগে - লেখাটা পড়ে আপনার নিজস্ব ভাললাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত।
১৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নানা বাড়ির স্মৃতি আর রেল ভ্রমন আমার জন্যও এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা।
আপনার সুন্দর লিখা পড়ে দুটি বিষয়েই অনেক কথা মনে পড়ছে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার আনন্দময় অভিজ্ঞতাগুলোও আমাদেরকে জানান। নিশ্চয়ই সেগুলো সুখপাঠ্য হবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সুন্দর করে স্মৃতিগুলো তুলে ধরলেন! একরাশ মুগ্ধতা! অনেক ধন্যবাদ!
এদেশে রেল চলাচলের প্রাথমিক দিককার ঐতিহাসিক কিছু কথাও উঠে এসেছে সাবলিলভাবে, যা বর্তমান প্রজন্মের অনেকেরই হয়তো অজানা।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এদেশে রেল চলাচলের প্রাথমিক দিককার ঐতিহাসিক কিছু কথাও উঠে এসেছে সাবলিলভাবে, যা বর্তমান প্রজন্মের অনেকেরই হয়তো অজানা -হ্যাঁ, অনেক মন্তব্য থেকেই এরকম একটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
আপনার প্রশংসা পেয়ে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: অসাধারণ স্মৃতিচারন।
অাপনার শৈশব স্মৃতি মধুর ছিল, পাঠে বুঝা যাচ্ছে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অাপনার শৈশব স্মৃতি মধুর ছিল, পাঠে বুঝা যাচ্ছে - আসলেই তাই, শৈশবের স্মৃতিগুলো বড়ই মধুর!
প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শৈশবের স্মৃতিকাতরতা এবং রেল ইঞ্জিন সম্পর্কে অনেক তথ্য চলে এসেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
একটা সময় আসে, মানুষ যখন স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। শৈশবের স্মৃতি, যৌবনের স্মৃতি, এলাকার স্মৃতি, কল্পনার স্মৃতি, প্রেমের স্মৃতি, সাফল্যের স্মৃতি, ব্যর্থতার স্মৃতি, আরো কত কি!
স্মৃতিগুলোই যেন জীবনের সোনালী ফসল!
২০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার ট্রেন যাত্রার অভিজ্ঞতা বেশ কম ;
কি চমৎকার কু ঝিক ঝিক ট্রেন ভ্রমনের মতই আবেশিত লেখা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কি চমৎকার কু ঝিক ঝিক ট্রেন ভ্রমনের মতই আবেশিত লেখা - অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সুমন কর বলেছেন: আমি তো এ পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম........ কই গেল???
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার একটা 'লাইক' যথাসময়ে পেয়েছিলাম। ওটা পাবার পর থেকে একটা মন্তব্যেরও আশায় বসে ছিলাম। কিন্তু সেটা তখন আসেনি, এসেছে তারও অনেকটা পরে। ২৬ নং মন্তব্যটা পড়ে বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝলাম।
দু'টি মন্তব্য এবং প্লাস- এসব কিছুর জন্যই অশেষ ধন্যবাদ।
২২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
রেলগাড়ী ঝমাঝম
পা পিছলে আলুর দম ..।
রেলগাড়ী নিয়ে আপনার মতো স্মৃতিকাতরতায় ভোগা কোন গল্প নেই আমার । আমি খাল-বিল-নদীর দেশের মানুষ । তবুও রেলগাড়ীর প্রতি দুর্বার একটা টান আছে এখনও । যদি বাইরে যেতেই হয় এবং গন্তব্যে যেতে রেলপথ থাকে তবে রেলগাড়ীই আমার প্রথম পছন্দের । কুউউউ --- ঝিক---ঝিক শব্দ আর দুলুনি মিলেমিশে এক অপার্থিব ভালোবাসা গেড়ে বসে মনে । জানালার পাশে বসা আমায়, উন্মনা করে দুলতে দুলতে পিছে সরে সরে যায় প্রকৃতি , মানুষের ভাঙাচোরা জীবনের ছবি ।
ভালো লাগে .... বড় ভালো লাগে !!!!!!!!!!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: রেলগাড়ী ঝমাঝম--পা পিছলে আলুর দম পোস্টটা লেখার সময় আপনার উল্লেখিত এ কথাগুলো আমার কানের মাঝে বেজে চলেছিল।
মানুষের ভাঙাচোরা জীবনের ছবি। ভালো লাগে .... বড় ভালো লাগে!!!!!!!!!! - অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল লাগার এ অনুভবটুকুর এমন কাব্যিক প্রকাশের জন্য।
মন্তব্যে যারপরনাই অনুপ্রাণিত!
২৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২১
আখেনাটেন বলেছেন: অভিজ্ঞতার চমৎকার বয়ান।
ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইয়ের মতো আমার একই অবস্থা। আশেপাশে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশে রেললাইন ছিল না। ফলে রেলের গল্প শুধু বইয়েই পড়া। তাই জীবনে রেলগাড়ী দেখার সৌভাগ্য হয়েছে অনেক পরে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিজ্ঞতার চমৎকার বয়ান - ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
এখন ট্রেনগুলো খুবই নোংরা থাকে। সুইপার আছে কাজীর খাতায়, কাজে নেই। তাই ট্রেনভ্রমণ এখন আর ততটা আনন্দদায়ক নেই।
২৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগা ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ছোট্ট একটি মন্তব্য, কিন্তু অনেক প্রেরণাদায়ক।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা! ভাল থাকুন, সব সময়!
২৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
কাতিআশা বলেছেন: স্মৃতিচারণা বেশ ভালো লাগলো!..খুব ছোটবেলায় রাজশাহী যাওয়ার ট্রেনের অতীতে ডুবে গেলাম!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার খুব ছোটবেলায় রাজশাহী যাওয়ার ট্রেনের অতীতে ডুবে যাওয়ার ঘটনাটাও এখানে তুলে ধরতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৩
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিমিশ্রিত পোস্ট। পড়ে বেশ লাগল। মনে হয়, ট্রেনে মাত্র ২/৩ ভ্রমণ করেছি !! ইচ্ছে আছে, আবার একদিন যাবো.......
ভালো লাগা রইলো।
** এখন মনে পড়েছে। উপরের মন্তব্যটি করার পর, যখনই মন্তব্য প্রকাশ করুনে ক্লিক করি, তখনই আমার নেট চলে যায়। আর মন্তব্যটি একটা ওর্য়াড ফাইলে সেভ করে রেখেছিলাম। তাই প্রকাশ হয়নি, কিন্তু লাইকটি হয়েছিল। আগের মন্তব্যের জন্য দুঃখিত।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও আপনার মন্তব্যের জন্য করছিলাম 'লাইক' পাওয়ার পর থেকে। এখন বুঝতে পারলাম, কী হয়েছিল!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আজ পহেলা ফাগুন
চীর নবীনের জয়গান গাওয়ার দিন
আজ বসন্তের প্রথম দিন
ফুল ফুটেছে ,পাখীও গাইছে
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে ।
- পল্লী কবি জসিম উদ্দিন
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর ছবি ও কথামালার জন্য।
২৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খায়রুল ভাই : হাই স্কুলের শেষ তিন বছর আমরা থাকতাম বাসাবো | বাসাবো রেলগেট পার হয়ে (তখন ওখানে একটা রেল গেট ছিল) আমরা দুভাই আর আমাদের বন্ধু ইমন আমরা এই তিন জন মাঝে মাঝে হেটে স্কুলে যেতাম কমলাপুর রেল স্টেশনের ভিতর দিয়ে|বাসাবো রেল গেট থেকে কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত রেল লাইনের ওপর দিয়ে (লোহার রেলের ওপর দিয়ে) একবার পা মাটিতে না রেখে পৌঁছুতে না পারাকে আমরা বলতাম এক সেঞ্চুরি করা | প্রথম প্রথম আমরা তিন চার বা পাঁচ দশ করতে পারতাম |মানে রেলের ওপর দিয়ে অল্প হেঁটেই পরে যেতাম (পা মাটিতে রাখতে হত) |ধীরে ধীরে এক সময় আমি প্রায় স্যার ডোনাল্ড ব্রাডম্যান হয়ে গেলাম|একবারও পা মাটিতে না ছুঁইয়ে রেলের ওপর দিয়ে অতটুকু পথ হেটে যাওয়া শিখে গেলাম !! আপনার লেখাটা পরে অনেক দিন আগের রোমাঞ্চকর সেঞ্চুরির ইনিংসগুলোর কথা মনে পড়লো | বাসাবো রেল গেটের কাছেই ওখানেই ডক্টর আলীর দেওয়া ফোটোটার মত লোকোমোটিভটা ঘোরাবার জায়গাটা ছিল | আমরা দাঁড়িয়ে দেখতাম কেমন করে দু' জন মিলে ইঞ্জিনটা ঘুরিয়ে দিচ্ছে ! প্রথম দিকে কয়েকটা স্টিম ইঞ্জিনে চালিত কালো কিছু লোকোমোটিভও ছিল কালো ধুয়ো উড়িয়ে যেত|ওগুলো আসার আগেই আমরা দূরে চলে চলে যেতে চাইতাম |দুই ভুবনের দুই বাসিন্দাদের (দুই রেল) সাথে কাটানো অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন রেল নিয়ে এই লেখায় | খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা |
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ঐ খেলাটার মত আমরাও খেলতাম। রেলইনের উপর দিয়ে ওভাবে হাঁটতে হাঁটতে বহুদূর চলে যেতাম, লাইনের ওপারে গাঁয়ের মাঠেও মাঝে মাঝে নেমে পড়তাম (এখন যেটা মগবাজার সংলগ্ন এলাকা)।
আপনি কোন স্কুলে শেষ তিন বছরে পড়েছেন?
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার নিজস্ব স্মৃতিচারণও খুব ভাল লাগলো।
২৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
হাসান রাজু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার প্রতিউত্তরে আপ্লুত হয়েছি । হ্যাঁ এমন একটা পোস্ট আমার আছে । কিছুটা এলোমেলো, আপনাকে শেয়ার করলাম । ছবি ব্লগ । আর স্মৃতির এক ফোল্ডারে প্রিয় মনু রেল স্টেশন । ধন্যবাদ ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লিঙ্কে এ উল্লেখিত আপনার পোস্টটি পড়ে এলাম। কিছু কথাও রেখে এলাম সেখানে। আরও কিছু কথা বলার আছে।
৩০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খায়রুল ভাই, আইডিয়াল হয় স্কুল, মতিঝিল। ধন্যবাদ ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি একসময় মতিঝিল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলের ছাত্র ছিলাম। তখন নাম ছিল মতিঝিল সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুল। পাশেই একই নামে একটা বালিকা বিদ্যালও ছিল।
আর আপনাদের আইডিয়াল হাই স্কুলটি তো আমার চোখের সামনেই গড়ে ওঠে।
৩১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: হ্যা, আমরা যখন পড়তাম তখন আর তার পরেও বেশ অনেকদিন ওই স্কুলকে মতিঝিল সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলইতো বলতো | এখন কি তবে নাম চেঞ্জ হয়েছে ? জ্বি, আইডিয়াল স্কুলে আমাদের সময় থেকেই বড় বিল্ডিংগুলো বানানো শুরু হয় | আইডিয়াল স্কুলটাতো সবসময় ভালোই ছিল কিন্তু আমাদের ব্যাচের এস এস সি-র রেজাল্ট দিয়ে দেশের সেরা স্কুলগুলোর একটা হয়ে যায় | আমাদের সময় আমরা সতেরোজন এক সাথে ঢাকা বোর্ডে স্ট্যান্ড করেছিলাম | সেই সময় থেকেই আইডিয়াল স্কুলের নাম সারা দেশেই ছড়িয়ে যায় |
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলটি এবং তৎসংলগ্ন একই নামে পাশের সেন্ট্রাল গভঃ গার্লস হাই স্কুল দুটো তৎকালীন কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের বাজেটে পরিচালিত হতো, এজন্যই নামের সাথে সেন্ট্রাল গভঃ কথাটা ছিল। তখন তো প্রাদেশিক সরকারও ছিল এবং তাদের আলাদা বাজেট ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে যখন আর প্রাদেশিক সরকার ছিলনা, তখন সেন্ট্রাল গভঃ কথাটাও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। তাই হয়তো কালক্রমে স্কুলের নাম থেকে 'সেন্ট্রাল গভঃ' কথাটা বিলুপ্ত হয়ে এলাকার নাম, মতিঝিল যুক্ত হয়ে যায়।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সময় আমরা সতেরোজন এক সাথে ঢাকা বোর্ডে স্ট্যান্ড করেছিলাম - একজন মেধাবী ব্যক্তির সাথে আলোচনা করছি, আলোচনা থেকেই সেটা বেশ বুঝতে পারি। এখন সেটা আরও নিশ্চিত হলো। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও নিশ্চয়ই একই রকমের কিংবা আরও ভাল ফলাফল অর্জন করেছিলেন, সেটাও অনুমান করা কঠিন নয়।
আমি জীবনে কখনও কোন পাবলিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় আসিনি। আমার সর্বশ্রেষ্ঠ ফলাফল, মোমেনশাহী (বর্তমানে মির্জাপুর) ক্যাডেট কলেজে ৮ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে ওঠার সময়- প্রথম স্থান। এর পর থেকে সাফল্যের স্কেলটা নিম্নমূখী হতে শুরু করে।
তবে আমি যা পারিনি, আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর অপার করুণায় আমার বড় ছেলে তা করতে পেরেছে। সে এসএসসি পরীক্ষায় একই প্রতিষ্ঠান থেকে ঢাকা বোর্ডের মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল এবং তার প্রাপ্ত নম্বর সবগুলো বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। অবশ্য এর পেছনে আমার কোন কৃ্তিত্ব ছিল না, কৃ্তিত্ব যা কিছু ছিল, তার সবই ছিল ওর মায়ের এবং ওর শিক্ষকদের।
৩২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:২৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খায়রুল ভাই , খুব লজ্জা পেলাম আমার কথার সূত্র ধরে আপনার এনালাইসিসে | ওগুলো অনেক দিন আগের কথা | এইচএসসিতে আমি ঢাকা কলেজে পড়েছি | আমাদের ঢাকা কলেজের ব্যাচটাও ছিল খুব ভালো | মেধাতালিকায় আমার প্লেস ছিল ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি-তেও | তারপর ঢাকা ইউনিভার্সিটি | পড়া শেষ করে আমি রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছি চার বছর | তারপর আমেরিকায় এলাম পিএইচডি করতে | সেটাও হলো | এবার বই মেলায় একটা বই পাবলিশ হবার কথা ছিল কিন্তু শেষ হয়েও হইলোনা শেষের মতো সব কাজ শেষ হলো না | কিন্তু এই ফেব্রুয়ারিতে আমার পিএইচডি থিসিসটা পাবলিশ হলো বই হিসেবে আমেরিকায় | এইতো আমার জীবন |আপনার ছেলে এমসিসি-র কোন ব্যাচের ছাত্র ছিল এসএসসি-তে ? আপনার এই ছেলে মনে হয় এখন আমেরিকায় থাকেন তাই না ?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পিএইচডি'ড় বিষয় কী ছিল? পিএইচডি থিসিসটা আমেরিকায় বই হিসেবে পাবলিশ হওয়ায় অভিনন্দন!
আমার ছেলে এখন সপরিবারে কানাডা প্রবাসী। ও ৩৩তম ব্যাচে ছিল।
৩৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১
হাসান রাজু বলেছেন: আমার পোস্টে আপনার অসাধারণ একটা মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানবেন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ তো জানলাম, কিন্তু আমার এ লেখাটা সম্পর্কে তো কিছু জানালেন না। যে পোস্টে আপনার এ মন্তব্যটা রেখে গেলেন, সে পোস্ট সম্পর্কিত দু'চারটে কথা বললে ভাল লাগতো।
৩৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
হাসান রাজু বলেছেন: কি বলব ? আপনি এতো সুন্দর করে লিখেন । সবাই আপনার লেখার প্রশংসা করছে । আসলে দোষ কিছুটা আপনার ও । এতো ভালো বর্ণনা সহ লিখেছেন যে এর সম্পর্কে লিখতে গেলেও একটা নুন্যতম মানদণ্ড থাকা উচিৎ (আমি মনে করি)। যেমন ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের মন্তব্য দেখুন কত গোছানো আর তথ্য সমৃদ্ধ । অবশ্য উনি বরাবরই এমন সুন্দর ও অসাধারণ মন্তব্য করেন।
তাই প্রথম যে অনুভূতিটা মাথায় কাজ করেছে সেটাই অল্প ভাষায় লিখে গিয়েছিলাম । তাই আবারো একই কথা আপনার স্মৃতিচারণ আমাকে কিছুক্ষণের জন্য ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ।
এই ব্লগে আমি আপনার লেখা অনেকগুলোই পড়েছি । কিন্তু মন্তব্য করিনি । এর কারন দুটা, আমার লেখার মান খুব ভালো না । আর আমি একটু আলসে ও অসামাজিক (হয়ত) । অনেক অনেক ভালো থাকবেন । আর জানবেন মন্তব্য করা হয়নি কিন্তু আমি আপনাদের অনন্য সব লেখা পড়ি ঠিকই।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যে যে বিনয় প্রকাশ পেয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য।
আলসে হয়তো হতে পারেন, কিন্তু আপনার লেখার মান ভাল নয়, এ কথাটা ঠিক নয়। উপরের মন্তব্যটাই তার প্রমাণ। এ ছাড়া আপনার পোস্টটাও সুলিখিত। সুতরাং, এখন থেকে বেশী বেশী করে পোস্ট পড়ুন, লিখুন এবং সেই সাথে মন্তব্যও করুন!
৩৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনার স্বপ্ন পূরণ হইতে পারে বোধহয় ! লোকোমোটিভ আর নাই , তবে লোকাল ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিনের ড্রাইভার আর হেলপারকে একটু মোটা ভাড়া দিলে উনারা আপনারে চেয়ার এ বসিয়েই লইয়া যাইবেক আশা করি। ঈদ-পার্বনে যখন ট্রেনে পা রাখার জায়গা থাকে না, তখন ইঞ্জিনে বহু মানুষ যায়। উনারা যাত্রীদের কাছে ভাড়া তোলেন। আপনারে একটু মোটা ভাড়া দিতে হইবে , এই যা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা পড়েছেন জেনে খুশী হ'লাম।
৩৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
রানা আমান বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই । আপনার লেখায় ট্রেন নিয়ে আমার একটি স্মৃতি শেয়ার করি । ছোট বেলায় আমার একটি প্রিয় বিনোদন ছিল ট্রেন আসার সামান্য আগে রেল লাইনের উপরে পাঁচ ,দশ, পঁচিশ পয়সা (সে সময় এসব মুদ্রা আমাদের দেশে প্রচলিত ছিল ) রেখে ট্রেন আসার জন্য অপেক্ষা করা । ট্রেন চলে গেলে পরে আকারে বড় ও পাতলা হয়ে যাওয়া কয়েনগুলো জমিয়ে রাখতুম আমার সংগ্রহে থাকা অনেকগুলো বিভিন্নদেশের কয়েনের সাথে ।
১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার ছেলেবেলার কথা স্মরণ করেছেন, নিজের অভিজ্ঞতার কথা এখানে শেয়ার করেছেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ। আমিও এ কাজটা করতাম। কেউ একজন বলেছিল, রেলের পাতে ফেলে রাখা পয়সার উপর দিয়ে ট্রেন চলে যাবার পর সেটা চুম্বকে পরিণত হয়। সরেজমিনে পরীক্ষা করে দেখেছি, কথাটা মিথ্যে ছিল।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুচেচ্ছা---
৩৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে রেলে কে ন লো ক সা ন হয়?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এত লম্বা একটা পোস্ট পড়ে আপনার মনে শুধুই এ ছোট্ট প্রশ্নটা জাগলো? এই 'কেন'র উত্তরটা অনুমান করা কঠিন কিছু নয়।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মূল পোস্ট সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন পেলে খুশী হ'তাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লোকোমোটিভ নিয়ে ইউটিউবে বেশ কিছু ডকুমেন্টারি দেখেছি। নিজে ইঞ্জিনিয়ার না হলেও বিমান, জাহাজ, মিলিটারি ইকুইপমেন্ট নিয়ে আমার আগ্রহ বেশ প্রবল। তাই আপনার লিখা পড়ে তাই আমিও কিছুটা স্মৃতিকাতর হলাম। নিউ ইয়র্কের সাবওয়ে ট্রেনগুলো মূলত ইলেকট্রিক, কোন ধোঁয়া বা শব্দদূষন নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে মাত্র একবার ট্রেনে চড়েছিলাম অনেক ছোট বেলায়, ঠিক মনেও নেই। লিখাটা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।