নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
মধ্যরাতে স্বপ্নটি দেখে হক সাহেব গলদঘর্ম হতে থাকলেন। আগেও ঠিক একই ধরণের স্বপ্ন দেখার কয়েকদিন পর তিনি কয়েকটি দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন, নিকট কারো চিরবিদায়ের দুঃসংবাদ। ছোটবেলা থেকেই তিনি বড়দের মুখে এটা শুনে বিশ্বাস করে এসেছিলেন যে ভোর রাতের স্বপ্ন নাকি সত্য হয়। অন্ধকারেই তিনি মশারি ফাঁক করে বেড সাইড টেবল এর উপরে রাখা সেলফোনটা হাতড়ে বের করলেন। বাটন টিপে দেখলেন, রাত দুইটা চল্লিশ। মনে মনে ভাবলেন, এটাকে কি ‘ভোর রাত’ বলা যায়? নিজেই নিজেকে উত্তর দিলেন, নাহ! একটু স্বস্তি পেয়ে তিনি চোখ বুঁজে প্রার্থনা শুরু করলেন। বিভিন্ন বিষয়ে, বিভিন্ন সময়ে প্রার্থনার জন্য (যেমন ঘর থেকে বের হবার সময়, রাতে শোবার সময়, কারো মৃত্যু সংবাদ পেলে, মা বাবার জন্য দোয়া, সন্তানদের জন্য দোয়া করার সময়, ইত্যাদি) হক সাহেবের কিছু নিজস্ব ফরম্যাট আছে। স্বপ্ন দেখার উপর হক সাহেবের ফরম্যাটটি এরকমঃ “হে মা’বুদ, একটু আগে যে স্বপ্নটা তুমি দেখালে, সেটাতে যদি আমার কিংবা আমার পরিবারের কারো জন্য কোন শুভ বা কল্যাণের ইঙ্গিত থাকে, তবে মেহেরবাণী করে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য তা কবুল ও মন্জুর করে দাও। আর যদি এতে কোন অশুভ বা অকল্যাণের ইঙ্গিত থাকে, তবে মেহেরবাণী করে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে সেই অশুভ অকল্যাণ থেকে সুরক্ষা কর"। হক সাহেব অবচেতনে বুঝতে পারছিলেন, এই প্রার্থনাটুকু শেষ করার আগেই তিনি বারবার ঘুমিয়ে পড়ছিলেন, আবার ঘোর কেটে গেলে পুনরায় সেটা শুরু করছিলেন। কিন্তু কিছুতেই আর শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছিলেন না। এ কারণে আধো ঘুমের মধ্যেই তার ভয়টা আরো বেড়ে যাচ্ছিল। যেহেতু তিনি প্রার্থনাটা শেষ করতে পারছিলেন না, সুতরাং তার বুঝি আর সুরক্ষা হবে না, স্বপ্নটা বোধহয় সত্যে পরিণত হবে- এ কথা ভেবে তার ঘুমটা পুরোপুরি আসছিল না।
এই ভয়টা তার পরদিন পর্যন্ত থেকেই গেল। প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামায পড়ে তিনি হাঁটতে বের হন। কিন্তু সেদিন তিনি বের হলেন না। নামাযের পর মৃত্যুভাবনা নিয়ে কিছু একটা লিখতে বসে গেলেন। প্রথমে কবিতা, পরে গল্প, কথিকা ইত্যাদি। কিন্তু কোনটাতেই তিনি সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। লিখেন, আবার মুছে দেন, এভাবেই বেশ কয়েকটা ঘন্টা কেটে গেল, ক্ষণে ক্ষণে লেখার টেবিলে ফিরে এসে চেষ্টা করতে করতে এভাবেই কয়েকটা দিনও কেটে গেল। তারপর একদিন খুব ভোরে উঠে তিনি মাসজিদে যাবেন বলে মনস্থির করলেন, অযু করে এসে আযানের ডাক শুনলেন, ঘড়িতে দেখলেন, জামাত শুরু হতে তখনো চল্লিশ মিনিট বাকী। তাকে আলস্য ঘিরে ধরলো। তিনি ঘরে বসেই ফযরের নামায পড়ে পুনরায় শুয়ে পড়লেন। চোখটা কেবল লেগে এসেছিল, এমন সময় আবার একটা স্বপ্ন দেখে তিনি একটু ধরফর করেই উঠলেন, কারণ স্বপ্নটাকে তার কাছে নেতিবাচক, বিয়োগাত্মক মনে হলো। জানালার পর্দা সরিয়ে দেখলেন, আকাশটা কেবল ফর্সা হতে শুরু করেছে, কিছু কাক পাখিও ডাকাডাকি শুরু করেছে। তিনি অস্বস্তির সাথে অনুভব করলেন, এটাই তো প্রকৃত “ভোরের সময়”!
হক সাহেব অনেক আলেম উলামা, বুজর্গ ব্যক্তির কাছে এ কথাটা শুনে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে প্রত্যেক মানুষ তার মৃত্যুর আগে একটা আগাম বার্তা পেয়ে যায়। হয়তো এটাই হবে তার সেই বার্তা। তিনি খুব ধীর স্থিরভাবে লেখা শুরু করলেনঃ আমি অদ্য .... তারিখে ধীর স্থিরভাবে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমার ওয়ারিশগণের উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত ওসিয়তনামাটি লিখিয়া যাইতেছি.... কিন্তু এটুকু লেখার পর তিনি আর এগোতে পারছিলেন না। কি লিখবেন তিনি ওসিয়তনামায়? স্বপ্নদুটোর কথা ভাবতে ভাবতে, কোথা থেকে শুরু করবেন তা নিয়ে চিন্তা করতে করতে তার মাথায় একটা আজব কল্পনা এসে গেল-তার একটা হার্ট এ্যাটাক হতে যাচ্ছে। তিনি এর আগে বহুবার মুমূর্ষ আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে দেখতে হাসপাতালের আইসিইউ তে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোমায় ছিল, কেউ কেউ সজ্ঞান থাকলেও, নাকে মুখে, পেটে বুকে নানা রকম মেশিনের নল টল ইত্যাদি লাগানো অবস্থায় তারা কথা বলার মত সুস্থ ছিল না। এখন তেমনই একটা অবস্থায় হাসপাতাল শয্যায় তিনি নিজেকে দেখতে পাচ্ছিলেন। তিনি এই ভেবে কষ্ট পাচ্ছিলেন যে যারা তাকে দেখতে আসবে, তারা প্রথমে ব্যথিত হবে, দায়িত্ববোধের কারণে বারবার দেখতে এসে ক্লান্ত হয়ে যাবে, তারপর একদিন তিনি শেষ নিঃশ্বাসটুকু ছেড়ে দিলে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়বে।
এইতো কিছুদিন আগেই এক দোয়া মাহফিলে তিনি একজন মাওলানাকে বলতে শুনেছেন, কেউ মারা গেলে তার আখেরী গোসল ভাড়া করা লোক না ডেকে নিকটাত্মীয়দের দ্বারা সম্পন্ন করা উচিত, যেমন বাবা ছেলেদেরকে, ছেলেরা বাবাকে, মা মেয়েকে কিংবা মেয়েরা মাকে, ইত্যাদি। তিনি দেখেছেন যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের মুহূর্তে অনেকেই কষ্টে পায়খানা পেশাব করে দেয়। এটা ভেবে তিনি অস্থির হয়ে যাচ্ছিলেন যে ঐ অবস্থায় কে তাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে গোসল দেবে? ছেলেদের মুখ তার মনে ভেসে ওঠে, তিনি তাদের প্রতি ভীষণ মায়া অনুভব করেন, কারণ তারা এর আগে কখনো এ কাজ করেনি। তারপর তিনি ভাবতে লাগলেন, তার প্রস্থানে কে বেশী অসহায় বোধ করবে। প্রথমেই তিনি তার স্ত্রীর কথা স্মরণ করে এতই ব্যথিত বোধ করতে শুরু করলেন যে তিনি লেখা থামিয়ে বেডরুমে গিয়ে তার ঘুমন্ত স্ত্রীর মুখের দিকে নির্বিকার কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। আহা! হক সাহেবের তেমন কোন অসুখ বিসুখ ছিল না বলে তার মৃত্যুর কথাটা বেচারা কখনো চিন্তায়ই আনেনি! আচানক যখন খবর পাবে তিনি আর এ জগতে নেই, তখন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে! টেবিলে ফিরে এসে তিনি আবার লেখা শুরু করলেনঃ
১। আমার যদি শেষ সময়ে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর সৌভাগ্য হয়ে থাকে, তবে যারা আমাকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাবে, তাদের জন্য আমি আগাম দোয়া করে যাচ্ছি। তারা যেন দুনিয়াতে ও আখেরাতে ভাল থাকেন, ঐশ্বরিক কল্যাণে থাকেন। আমার সন্তানেরাও তাদের সাথে আজীবন সদ্ব্যবহার করবে, বিনয়ী থাকবে।
২। যেসব ডাক্তার, নার্স শেষ সময়ে আমার প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে যাবে, আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন তাদেরকে জাযা খায়ের দিন, হেফাজত করুন! দুনিয়া থেকে আখেরাতে তাদের যাত্রাটাও যেন নির্বিঘ্ন ও শান্তিময় হয়!
৩। যদি হাসপাতালে যাবার ভাগ্য আমার না হয়, তবে যেখানেই মৃত্যু হোক, শেষ সময়ে যারা আমার পরিচর্যা করবে, আল্লাহ পাক তাদেরকেও জাযা খায়ের দিন, হেফাজত করুন!
৪। যারা আমাকে শেষ গোসল দিয়ে পবিত্র করবে, আল্লাহ তাদেরকে সকল পাপ থেকে চিরপবিত্র রাখুন।
৫। যে ইমাম সাহেব আমার জানাযায় ইমামতি করবেন, আল্লাহতা’লা তাকে নির্ভুলভাবে ইমামতি করার তৌফিক দিন। যারা আমার নামাযে জানাযায় অংশ নিবে, আল্লাহ তাদের সকলের সহায় হউন, তাদেরকে জাযা খায়ের দান করুন!
৬। আমার যে ছেলে বা নিকটাত্মীয় জানাযা শুরুর আগে আমার হয়ে উপস্থিত মুসল্লীদের কাছে মা’ফ চাবে এবং আমার রেখে যাওয়া দায় দেনা পরিশোধের দায়িত্ব নেবে, আল্লাহতা’লা যেন তার কাঁধ থেকে সকল বোঝা অপসারণ করে দেন, তাকে দুনিয়াতে ও আখেরাতে অশেষ কল্যাণ দান করেন। এ কঠিন কাজটা করার সময় অনেকে বেদনায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায়, তাদের কন্ঠে দলা পাকিয়ে যায়। তারা অশ্রুসিক্ত, বাষ্পরুদ্ধ হয়ে কিছুই বলতে পারে না। আল্লাহ তার জন্য যেন এ কঠিন কাজটা সহজ করে দেন!
৭। যারা আমার মরদেহ নিজ কাঁধে বহন করে ক্ববরে নিয়ে যাবে, আল্লাহতা’লা তাদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক বোঝা লাঘব করে দিন! দুনিয়াতে তাদেরকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত রাখুন!
৮। যেসব গোরখোদক আমার শেষ আশ্রয়স্থল, আমার ক্ববর প্রস্তুত করবে, তারা যখন ক্ববরে যাবে, আল্লাহ তাদের ক্ববরকে শান্তিময় করে দিন।
৯। যারা আমার দাফন কার্যে এবং আখেরী দোয়ায় অংশ নেবে, আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন তাদের সকলের সহায় হউন এবং তাদেরকে হেফাযত করুন।
১০। দাফনের পর হতে ক্বেয়ামত পর্যন্ত যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি আমাকে স্মরণ করে আল্লাহ পাকের দরবারে আমার পারলৌকিক মুক্তির জন্য দোয়া খায়ের করেন, আল্লাহ পাক যেন তাকে সপরিবারে শান্তিতে রাখেন এবং তাকে ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক কল্যাণ দান করেন!
১১। দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় যারা আমার প্রতি সদয় ছিলেন, আমাকে স্নেহ ভালবাসা, মায়া মমতা, ক্ষমা করুণা, সহানুভূতি সমবেদনা দিয়ে সুরক্ষা করেছিলেন, শান্ত করেছিলেন, সমৃদ্ধ করেছিলেন, আল্লাহতা’লা যেন তাদেরকেও তাঁর রহমতের, বরকতের, হেফাযতের, হেদায়াতের, সালামতের, মাগফিরাতের, কুবলিয়াতের সুশীতল ছায়াতলে সুরক্ষা করে রাখেন, আজীবন আশ্রয় দিয়ে রাখেন!
এটুকু লিখতে লিখতেই হক সাহেবের চোখদুটো আর্দ্র হয়ে আসছিল, চোখের পাতা দুটো খুব ভারী হয়ে আসছিল। কবিতাপ্রেমী হক সাহেবের মননে অনুরণিত হচ্ছিল ওয়াল্ট হুইটম্যান এর একটা বিখ্যাত উক্তিঃ “....Nothing can happen more beautiful than death.''
কলমের খাপটাকে খোলা রেখেই তিনি আস্তে করে টেবিলের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন।
ঢাকা
৩০ মার্চ, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য, অনেক অনুপ্রাণিত, অনেক ধন্যবাদ!
যখন মানুস বুঝে হয়তো আমার শেষ সময় আগত, তখন সব চিন্তাগুলো এরকম হয় - তাই? আমার তো মনে হয়, অনেকেরই তা হয় না, শুধু হক সাহেবের মত ভাল লোকগুলোর তা হয়ে থাকে।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বাস্তব কথাগুলো তুলে ধরেছেন।
ভালো লাগলো।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ বছরের জানুয়ারীতে লেখা আপনার দুটো পুরনো পোস্ট আমাদের ইতিহাস, আমাদের গর্ব ১ এবং আমাদের ইতিহাস, আমাদের গর্ব ২ পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। একবার সময় করে দেখে নেবেন।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়া! চিন্তাগুলো পড়ে চিন্তিত হলাম।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: থ্যাঙ্কস!
খুব খুশী হ'লাম, গল্পটা পড়েছেন বলে। আর অনুপ্রাণিত হ'লাম প্লাসে।
শুভেচ্ছা---
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
হঠাৎ মৃত্যু ভাবনা পেয়ে বসে বয়স ভারী হতে থাকলে। অথচ সবচে বেশী ভাবার তাগিদ আছে যৌবনে!
আর মরার আগে মরার জ্ঞানতো আমাদের প্রচলিত কথিত আলেম সমাজ দিতেই ভূলে যান!
হে বিশ্বাসীরা মরার আগে মর এবং মুসলমান না হইয়া মরোনা! আয়াতটাকে নিয়ৈ আলোচনা খুব কমই শুনেছি।
অথচ জ্ঞান এবং বিশ্বাস যখন পূর্ণ হবে তখন কোন মৃত্যুভীতি কাজ করবেনা। বরং স্বাভাবিক প্রস্থানের মতোই সহজাত বেদনা, মায়া টুকু ছুঁয়ে থাকবে। উচু স্তরের মুমিনদের তাও কাজ করে না। বরং একটা পর্ব সমাপ্তির আর নতুন পর্বে প্রবেশের আনন্দ কাজ করে!
আপনার লেখাটাই মোহাচ্ছন করে ফেলেছ ! কত্ত কি বলে ফেললাম!
হক সাহেবের জন্য শুভ কামনা রইল।
++++
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কত্ত কি বলে ফেললাম -- যা কিছু বলেছেন, খুব ভাল বলেছেন! বিশেষ করে "অথচ সবচে বেশী ভাবার তাগিদ আছে যৌবনে" কথাটা।
জ্ঞান এবং বিশ্বাস যখন পূর্ণ হবে তখন কোন মৃত্যুভীতি কাজ করবেনা। বরং স্বাভাবিক প্রস্থানের মতোই সহজাত বেদনা, মায়া টুকু ছুঁয়ে থাকবে। উচু স্তরের মুমিনদের তাও কাজ করে না। বরং একটা পর্ব সমাপ্তির আর নতুন পর্বে প্রবেশের আনন্দ কাজ করে! - চমৎকার বলেছেন কথাগুলো! ভাবনার নতুন নতুন জানালা খুলে যায়!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
কালীদাস বলেছেন: স্বপ্নের ব্যাখ্যা সবসময় করতে পারিনা। একটা দুঃস্বপ্ন প্রায়ই দেখি ভিন্ন আঙ্গিকে; যেটার ব্যাখ্যা জানিনা। স্বপ্নটা দেখতে চাইনা, কিন্তু সেটা আমার কন্ট্রোলে নেই।
প্রত্যেক মুসলিমকে মৃত্যু চিন্তা করতে বলা হয়েছে। ইদানিং মাঝে মাঝে মনে হয়, লাইফের বড় একটা অংশ পার করে ফেলেছি। আর ঠিক কতদিন আছি?!
লেখাটা সরল কিন্তু বিষন্ন করে দিল
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: স্বপ্নের ব্যাখ্যা সবসময় করতে পারিনা - স্বপ্নের ব্যাখ্যা সবসময় আদৌ করা যায় কিনা, সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। তবে আমার মনে হয়, অনেক মানুষই মনে মনে কিছু সংস্কার মেনে চলেন, স্বপ্নের ব্যাপারে তাদের কিছু নিজস্ব বিচার বিশ্লেষণ আছে। তারা সেগুলোর উপর নিজস্ব বিশ্বাসেই নির্ভরশীল।
আর ঠিক কতদিন আছি?! - এটা জানতে পারলে তো আর কোন সমস্যাই ছিল না। তবে যতদিনই থাকেন, আপন মহিমায় থাকেন। আপনি একটা মহৎ পেশায় আছেন। অর্জিত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেন চারপাশে। ছোটবেলায় এত পোংটামি করেও লেখাপড়াটা ঠিকঠাক মত চালিয়ে গিয়েছিলেন বলেই আজ আপনি উচ্চশিক্ষিত। এজন্য অবশ্যই আমি আপনার মা জননীকে না জেনেও তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, নিশীথ রাতের বাতিঘর হয়ে আপনাকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য।
ছবিটা গতরাতে একজন নাবিকের ফেইসবুক পোস্ট থেকে ডাউনলোড করে নেয়া। দুঃখিত, যে তার নামটা আমি কিছুতেই স্মরণ করতে পারছিনা। এজন্য ছবির মালিকের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
লেখাটা সরল কিন্তু বিষন্ন করে দিল - কথাটা সরল, তাই আনন্দ দিয়ে গেল! প্লাসটাও!!
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের সবারই মৃত্যুর চিন্তা থাকা উচিত, তাহলে মানুষ কোনদিনই খারাপ কাজ করবে না।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্য বলেছেন, মৃত্যুভয় মাথায় থাকলে কুকর্ম সম্ভব নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
আপনার সবাইকে কি বিখ্যাত হতে হবে? পোস্টে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
কি দারুন মন উদাস করা অথচ কতটা শিক্ষনীয় একটি গল্প।
জীবনের অন্তিম স্মরণে আমরা শুধু সংসার, সন্তান, সম্পত্তি অথবা কেউ কেউ আমল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। কিন্তু এর বাইরেও যে কত কিছু ভাবার আছে তা নতুন করে শিখলাম আপনার কাছ থেকে।
ঠিকই তো! বিপদের সময়, অন্তিম সময়ে আশেপাশের যেসব মানুষেরা নিজেকে বিলিয়ে দেবার পরও অন্তরালে লুকিয়ে রয় তাদেরকে আমরা কতজন এমন বিনম্র শ্রদ্ধা আর সম্মান দিয়ে স্মরণ করি!
আজ থেকে আমিও উনাদের জন্য এভাবে অগ্রিম দোয়া করবো।
অন্যদের কথা জানিনা, তবে আমি আসলেই কখনো এমন করে ভাবিনি।
অনেক কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ আপনাকে আমার ভাবনা চিন্তার একটা দিক এমন করে নাড়া দেবার জন্য।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অথচ কতটা শিক্ষনীয় একটি গল্প - তাই? অনেক ধন্যবাদ, এমন একটা উদার মূল্যায়নের জন্য।
আজ থেকে আমিও উনাদের জন্য এভাবে অগ্রিম দোয়া করবো - বেশ তো! সেটা করে ভালই করবেন বলে মনে হয়।
অন্যদের কথা জানিনা, তবে আমি আসলেই কখনো এমন করে ভাবিনি - হক সাহেবও আগে কখনো এমন করে ভেবেছেন কিনা জানিনা, তবে এখন ভাবেন, গল্পে যেমনটি বলা হয়েছে।
গল্পটা আপনার মনযোগী পঠন অর্জন করেছে দেখে প্রীত বোধ করছি। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
ঋতো আহমেদ বলেছেন: জীবনে চলার পথে মৃত্যু বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবি না। বিষন্ন করে, মন খারাপ করে দেয়। কিন্তু মৃত্যু একটি অবশ্যম্ভাবী সত্যি। একে মেনে ও বুঝে জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণকর করে তোলাই কাম্য।
যদিও মোবাইল স্ক্রিনে পড়তে কষ্ট হয়েছে, আপনার এই গল্পটি ভালো লেগেছে। একটু অন্যভাবে, ভুলে থাকা একটি বিষয় নিয়ে ভাবিয়েছে।
ভালো থাকুন।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু মৃত্যু একটি অবশ্যম্ভাবী সত্যি। একে মেনে ও বুঝে জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণকর করে তোলাই কাম্য - অনেক ধন্যবাদ, গল্পটি পড়ে এমনটি ভেবেছেন বলে।
একটু অন্যভাবে, ভুলে থাকা একটি বিষয় নিয়ে ভাবিয়েছে - প্রীত হ'লাম, ধন্য হ'লাম তা জেনে।
শুভেচ্ছা রইলো... আপনিও ভাল থাকুন নিরন্তর।
৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
দিবা রুমি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখাটি। হ্যা সত্য কথা দিয়ে গল্প লেখছেন।
শুভকামনা জানবেন।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, সুস্বাগতম!
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: একটি সুন্দর লিখা। ভালোভাবে উপলদ্ধি করলে ভালো হওয়ার চান্স আছে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি সুন্দর লিখা। ভালোভাপলদ্ধি বে উকরলে ভালো হওয়ার চান্স আছে - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা এভাবে এ্যাপ্রিশিয়েট করার জন্যে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কখন মৃত্যু হবে, মানুষ মোটামুটি জানেন না; মৃত্যুর সময়টা না জানলেই ভালো; এবং সেজন্য, কাউকে সহজে মৃতয়ুদন্ড দেয়া অন্যায়।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ে আপনার ভাবনাটা এখানে শেয়ার করে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
শামচুল হক বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, আপনার এই লেখা পড়ে মনে হলো মৃত্যুর আগে এরকম চিন্তা সব বয়ষ্ক মানুষের মনেই আসে। চিন্তার গভীরতা দিয়ে লেখাটি লেখার কারণে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও জানাচ্ছি অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ আলোচনা তুলে এনেছেন গল্পে গল্পে। হক সাহেবের লিখিত কথাগুলো সকলেরই হয়তো মরার পরে কাম্য হবে, অনেক চাওয়ার হবে বিষয়গুলো। একজন মৃতলোক মনে হয় এগুলোই কামনা করে থাকেন, এগুলোই চেয়ে থাকেন সবসময়।
অনেক ভালো লাগার গল্প উপহার দিয়েছেন শ্রদ্ধেয় কবিবর।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আল্লহ্ আমাদেরকে মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করবার বোঝ দিক।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক মন দিয়ে পড়েছেন গল্পটি, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলে এখানে হক সাহেব যা কিছু দোয়া করে গেছেন, তা তার নিজের জন্য কামনা থেকে নয়। তিনি একজন বিনয়ী মানুষ, দয়ালু মানুষ। তিনি যখন মৃত্যুর কথা ভাবতেন, তখন তার মনে উপরের ১১টি পয়েন্টে উল্লেখিত মানুষগুলোর কথা, তাদের অবদানের কথা উদয় হতো। অজানা অচেনা সে সব লোকগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তিনি এই দোয়াগুলো করে গেছেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার কাছ থেকে এমন লেখা আশা করাই যায়। ভাবনার খোরাক পাওয়া গেল। ভাল লাগল।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাবনার খোরাক পাওয়া গেল। ভাল লাগল - লেখাটা সার্থক হলো, ধন্যবাদ।
১৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
কেন যেন মনে হচ্ছে হক সাহেব আপনি নিজেই। সে যাইহোক, গল্পের হক সাহেব এর চিন্তা পড়ে কিছুটা খারাপ লাগা কাজ করছে।
ভোর রাতের স্বপ্ন নিয়ে অনেক কথাই শুনেছি।
ভোর রাতের স্বপ্ন মিলিয়ে যাক সন্ধ্যার শীতল পবিত্রতায়
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের হক সাহেব একজন বিনয়ী মানুষ, দয়ালু মানুষ। তিনি যখন মৃত্যুর কথা ভাবতেন, তখন তার মনে উপরের ১১টি পয়েন্টে উল্লেখিত মানুষগুলোর কথা, তাদের অবদানের কথা উদয় হতো। অজানা অচেনা সে সব লোকগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তিনি এই দোয়াগুলো করে গেছেন।
আমার মনে হয়, অনেক মানুষই মনে মনে কিছু সংস্কার মেনে চলেন, স্বপ্নের ব্যাপারে তাদের কিছু নিজস্ব বিচার বিশ্লেষণ আছে। তারা সেগুলোর উপর নিজস্ব বিশ্বাসেই নির্ভরশীল। হক সাহেবও তেমন ছিলেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আশা করি, আপনার রাইটার্স ব্লকও কেটে গেছে।
শুভ সন্ধ্যা
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপাততঃ তো তাই মনে হচ্ছে!
১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব গভীর অনুধাবনীয়।
১৫ নং মন্তব্যের মত আমারও একবার তাইই মনে হয়েছিলো। কিন্তু আমি চাই না এমন মনে হোক আমার।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব গভীর অনুধাবনীয় - অনেক ধন্যবাদ, এমন একটা ভাবগম্ভীর মন্তব্যের জন্য। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যর আপনি বরং কবিতা লিখুন। শেষদিনের ছবি! মায়ের শেষ চল্লিশ মিনিটকে মনে করিয়ে দিল।আর কিছু লিখতে পারলাম না।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষদিনের ছবি! মায়ের শেষ চল্লিশ মিনিটকে মনে করিয়ে দিল - আমি দুঃখিত, আমার এ গল্পটি বেদনা ভারাক্রান্ত আপনার মায়ের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছে বলে।
বেশী বেশী করে মায়ের জন্য দোয়া করতে থাকুন। নিশ্চয়ই ওনার শান্তি হবে! আমিও ওনার জন্য প্রার্থনা করছি।
১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "কানসাসে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অধ্যাপক,আশঙ্কায় পরিবার" পড়ে অনেক আগে একটা মন্তব্য করেছিলাম। এবং আজ "আজব মাস্টার" পড়েও একটা মন্তব্য রেখে আসলাম।
১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভোররাতের স্বপ্ন সত্যি হয়" কথাটা আমার কাছেও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইনটুইশন থেকেও কিছুটা বিশ্বাসের জন্ম হয়ে থাকে। মানুষ অনেক কিছুই বিশ্বাস করে থাকে, অনেক সময় কোন লজিক টজিক ছাড়াই।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
২০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: একটা বয়স আসলে মৃত্যু ভয় এমনিতেই চলে আসে, তখোন সব স্বপ্ন ই ভাবিয়ে তুলে ।
সেইটা নিজক্ষেত্রে না ঘটলে বুঝা মুশকিল ।
জন্মিলে মরিতে হবে এটাই তো সত্যি ।
তবুও ভাবনা আসে মরবোই যেহেতু তবে কেন এতো মায়া এতো ভালোবাসা আর প্রিয়জনের সৃষ্টি । ক্ষনিকের জীবনে সব তো ফেলেই যেতে হবে ।
স্বপ্ন সত্যি হয়না ভেবে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করাই মঙ্গলের ।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকেই বুঝতে পারছি, গল্পটি পড়ে অনেক কিছু নিয়েই ভেবেছেন। এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
গল্পটির মূল বক্তব্য মৃত্যুভয় নয়, একজন কৃতজ্ঞ ও দরদী মানুষের কিছু নিজস্ব ভাবনা চিন্তা।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসের অনেকগুলো লেখা পড়েছি এবং মন্তব্য করেছি।
২১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হক সাহেবের মত আমার নিজের ও মৃত্যু নিয়ে কিছু ভাবনা আছে;তবে কোণ মতেই এত গোছানো নয়।আমি প্রাণপণ সব কিছু থেকে মায়া কাটানোর চেষ্টা করি।কেবল দায়িত্ব গুলো ভাবায় আমাকে।
ভাবা এবং শেখার অনেক কিছুই আছে লেখায়।
ধন্যবাদ চমৎকার সহজ সুন্দর এক লেখার জন্য।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি প্রাণপণ সব কিছু থেকে মায়া কাটানোর চেষ্টা করি - সেটা কি আদৌ সম্ভব? গোটা জীবনটাই এতটা মায়াময়! মায়ার বাঁধনে এখানে ওখানে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা!
ভাবা এবং শেখার অনেক কিছুই আছে লেখায় - ধন্যবাদ, লেখাটাকে এভাবে এ্যাপ্রিশিয়েট করার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা---
২২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
আসলেই মৃত্যুর মতো প্রশান্তিময় সুন্দর কিছু নেই যদি হক সাহেবের মতো টেবিলে মাথা রেখে অতল ঘুমে ঘুমিয়ে পড়া যায় !
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ে চমৎকার একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট- অন্যরকম ট্যাক্স : অর্থমন্ত্রী ভেবে দেখতে পারেন, অজন্তা তাজরীন’কে এবং এ্যরন'কে ধন্যবাদ - পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছি।
২৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৪
আমি সাজিদ বলেছেন: কমেন্ট কপি করলাম -
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
আসলেই মৃত্যুর মতো প্রশান্তিময় সুন্দর কিছু নেই যদি হক সাহেবের মতো টেবিলে মাথা রেখে অতল ঘুমে ঘুমিয়ে পড়া যায় !
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কমেন্ট কপি করেছেন, ঠিক আছে; তবে আপনার নিজের থেকেও কিছু বলুন!
২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, - সুস্বাগতম! মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।
আপনার প্রথম পোস্ট - "মেডিটেশন বা ধ্যান-একটি ব্যবচ্ছেদমূলক পোস্ট" পড়ে সেখানে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।
২৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৮
নীলপরি বলেছেন: কী বলি ? আপনার লেখা পড়ে পুরো স্তব্ধ হয়ে গেছি ! এতো মায়াময় এই লেখা । অসাধারণ ++++++
শুভকামনা ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: এতো মায়াময় এই লেখা - ধন্যবাদ। মায়া থেকেই ভাবনা গুলোর উৎপত্তি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা...
২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৩
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: মৃত্যু এক বিষাদগ্রস্ত চিরঘুমের নাম।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিষাদগ্রস্ত নাও হতে পারে। তবে এক অনন্ত যাত্রার নাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:০৯
আমি মাধবীলতা বলেছেন: এভাবে ভাবিনি কখনো । তাই আপনার লেখার শব্দগুলো বেশ ভাবাচ্ছে ।
এটুকু বলতে পারি, সামান্য হলেও কিছু শিখতে পেরেছি পোস্টটি থেকে ।
লেখকের প্রতি শুভকামনা ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখার শব্দগুলো বেশ ভাবাচ্ছে । এটুকু বলতে পারি, সামান্য হলেও কিছু শিখতে পেরেছি পোস্টটি থেকে - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে কিছুটা সময় নিয়ে ভাবার জন্য।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট ভালোবাসতে ইচ্ছে করে - পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছি।
২৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
সোহানী বলেছেন: মৃত্যু অসম্ভাবী। এর থেকে পরিত্রাণের কোনই উপায় নেই, তাই খুব সহজভাবে একে মেনে নেয়া উচিত নয় কি? কি দরকার এতো চিন্তা করার। যখন আসবে তখনতো আসবেই তাই শুধু শুধু অাগেই এর চিন্তা করে বেচেঁ থাকার দিনগুলো কেন নস্ট করবো.....
আমি দেখেছি আপনি আমার এমন একটি পোস্টে মন্তব্য করেছেন যে পোস্টটি সহজে তাকাতে চাই না। কারন অনেক কস্ট লুকিয়ে আছে এখানে। তাই এখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। না আমরা মামলা করিনি, কারন মা ই মানা করেছিলেন। বাসার সবাই ডাক্তার হবার কারনে ডাক্তারী পেশার অপমান মা করতে চাচ্ছিলেন না। আমরা পরবর্তীতে দেশের সেরা সব চিকিৎসা শেষ করে সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলাম কিন্তু কোনই লাভ হয়নি। কত টাকা, কত পরিশ্রম, কত মায়ের কষ্ট হয়েছিল তার বর্ননা করতে চাই না। অামি আমার কষ্টের ভাগ কারো সাথে শেয়ার করতে চাই না। ক্ষমা করবেন খায়রুল ভাই।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ে আপনার ভাবনাটা এখানে শেয়ার করে যাবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সড়ক দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য আপনার রক্ষা পাওয়ার আরেকটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার পোস্ট পড়ে শিউরে উঠলাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট- লিখাটা খুব ভালো লেগেছে তাই শেয়ার করলাম ফেইসবুক থেকে..................রমনার রাতের স্টার বনাম লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার (লেখক: মিজানুর রহমান পলাশ, নজরুল ইসলাম হল, বুয়েট, ঢাকা) (১২ সেপ্টেম্বর ১২) এ আমার মন্তব্যের জবাব দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার মন্তব্যের পরেই ব্লগার খনাই আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটা ভাল মন্তব্য করেছেন। আশাকরি পড়ে দেখবেন সময় করে।
এ ছাড়া আপনার আরেকটা পোস্ট - দামিনী, সাজিয়া আর ধর্ষনতত্ব....কিন্তু সত্যিকারের বিচার হবে কি? (জানুয়ারী-২০১৩)- পড়েও আমি একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।
২৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০
কালীদাস বলেছেন:
....এজন্য অবশ্যই আমি আপনার মা জননীকে না জেনেও তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, নিশীথ রাতের বাতিঘর হয়ে আপনাকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য।
ব্লগাররা আমার কমেন্টের জন্যই আমাকে মনে রাখে এবং আমার কমেন্টের জন্যই আমাকে দুচোখে দেখতে পারেনা এবছর এই কমেন্টটাই প্রথমবারের মত আমাকে খুবই ছুঁয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা জানবেন
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অনেক মন্তব্যে আমি আপনার স্নেহময়ী মায়ের উক্তি কিংবা উল্লেখ পেয়েছি। সেই থেকে মনে মনে তাঁর সম্বন্ধে একটা ধারণাও করে রেখেছি। হয়তো সে ধারণা থেকেই আমার মন্তব্যের উদ্ধৃত অংশটুকু এসেছে।
যেকোন মানুষের সফলতা, সভ্যতা-ভব্যতা, সহৃদয়তা, চরিত্রের স্বচ্ছতা, সদাচরণ ইত্যাদি দেখলে আমি মনে মনে তার মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখি। কারো সুন্দর হাতের লেখা দেখলে, কন্ঠে সুন্দর সঙ্গীত, আবৃত্তি শুনলেও আমি মনে মনে তার মাকে শ্রদ্ধা জানাই। কারণ মানুষ এসব শিক্ষা সাধারণতঃ মায়ের কাছেই পেয়ে থাকে।
আপনার মন্তব্যে যে সৌহার্দ্য, উপলব্ধি এবং কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ পেয়েছে, সেজন্য আপনাকেও আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি।
২৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ কিছু ভাবনার সাথে যুক্ত করালেন। অনিবার্য এ নিয়তিকে খণ্ডানোর যে কোনো রাস্তা নেই। একে মেনে নিয়ে সঠিক পন্থায় জীবন অতিবাহিত করাই মানব জন্মের সার্থকতা।
চমৎকার পোস্টের জন্য অশেষ শুভকামনা রইল আপনাকে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: একে মেনে নিয়ে সঠিক পন্থায় জীবন অতিবাহিত করাই মানব জন্মের সার্থকতা - আপনার মন্তব্যের এ অংশটুকুও খুব চমৎকার হয়েছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৩০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
সুমন কর বলেছেন: মন খারাপ করে দেবার মতো লেখা এবং সেটাই হলো। পয়েন্টাকারে পুরো মৃত্যু যাত্রার বর্ণনা করে গেছেন।
+।
* আমার খুব ইচ্ছে করে ঘুমের মধ্যে মরে যেতে !! হাসপাতাল আর কাউকে বিরক্ত করার দরকার নেই !!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা মন দিয়ে পড়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
কেউ বলতে পারেনা কার কিভাবে মৃত্যু হবে, তবে বোধকরি সবাই আশা করে একটি নির্ঝঞ্ঝাট, শান্তির মৃত্যু। বিদায়ের সময় যেন কাউকে কষ্ট না দিয়ে যেতে হয়!
৩১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
রোদেলা বলেছেন: মৃত্যূ শ্বাস্বত ,মৃত্যূই সত্য ।লেখা পড়তে পড়তে সন্ধ্যাটা কেমন ঝিম ধরা হয়ে গেল।
হুট করে চলে যেতে চাই ,কাউকে দেখতে ইচ্ছে করে না আমার ।একদম না।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: শাশ্বত মৃত্যুর হাত থেকে কারো রেহাই নেই এ কথা চিরসত্য, তবে প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে একে ভয় পাওয়ার মত কিছু নেই বলে আমার বিশ্বাস।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
৩২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৮
করুণাধারা বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া ভাল লেখা। পড়ার পর দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। মৃত্যু নিয়ে মাঝে মাঝে ভাবি- পোস্ট পড়ে মনে হল যাদের ছেড়ে যাবো তাদের উদ্দেশ্যে কিছু লিখে রেখে গেলে ভাল হয়।
তবে আমার মনে হয় হক সাহেবের উপর আল্লাহর রহমত আছে। কেবলমাত্র মৃত্যুকে ভুলে দুনিয়া নিয়ে মগ্ন থাকে তারাই যাদের আল্লাহ কেবল দুনিয়ায় দিতে চান। আমার কিছু প্রিয় আয়াত উল্লেখ করলাম: (৪০:৭-৮), (৫২:২১), (১৩:২৩), (৮৪:৯)
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইল।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রিয় সুরা/আয়াতগুলোর উল্লেখ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আগেও আপনার কোন কোন লেখায় এবং মন্তব্যে এ সুরা/আয়াতগুলোর উল্লেখ পেয়েছিলাম বলে মনে পড়ে। এগুলো পড়ে মনে শক্তি অনুভব করি। সৎকর্মশীল পিতামাতার সৎকর্মশীল সন্তানেরাও জান্নাতে তাদের অনুগামী হবে, এটা জেনে এমনিতেই সৎকর্মশীল হবার প্রেরণাটা এসে যায়।
মন্তব্যের জন্য আবারো অনেক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা...
৩৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: পড়লাম। ভাল লাগল।
জীবন আহা জীবন।
শুভকামনা।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...
৩৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
নীল মনি বলেছেন: একজন ভালো মানুষের পক্ষে এমন করে ভাবা সম্ভব। লেখক দারুণ করে ব্যাখ্যা করেছেন দু:স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী
স্মরণ করে দিয়েছেন জীবনের শেষ সময়ের উপলব্ধি। শিক্ষামূলক লেখনী।লেখকের জন্য ও হক সাহেবের জন্য দোয়া রইল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন ভালো মানুষের পক্ষে এমন করে ভাবা সম্ভব - গল্পটা পড়ে আপনার এমনটা মনে হয়েছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
লেখকের জন্য ও হক সাহেবের জন্য দোয়া রইল - অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও শুভকামনা---
৩৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
নীহার দত্ত বলেছেন:
মৃত্যু চিন্তাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে--
আমরা বেঁচে আছি একদিন মরে যাব বলেই, ভোর রাতের স্বপ্ন যেন একটা বার্তা যে বার্তা বলে যায় বেঁচে আছি, বেঁচে আছি
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মৃত্যু চিন্তাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে-- - আবার এ কথাও ঠিক যে মৃত্যু চিন্তা আমাদেরকে মাঝে মাঝে মরার আগেই মেরে ফেলে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৩৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে ভাইয়া।
একটু ব্যস্ত তাই তেমন কোন কথা বলতে পারছি না।
ভাল থাকুন সব সময় সে কামনায় করি মহান আল্লাহর কাছে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল।
ব্যস্ত থাকাটাই তো ভাল। ব্যস্ততায় কাজের দক্ষতা বাড়ে। ব্যস্ততার মাঝেও ব্লগে অনেক সময় দিয়ে যান, সেটাও খুব ভাল।
শুভকামনা...
৩৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহারে জীবন একদিন শেষ হয়ে যাবে।
তবুও আমরা ডুবে থাকি মৃত্যুকে ভুলে প্রত্যাহিক জীবনের কাজে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, এটাই বোধ হয় স্বাভাবিক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩
নিলাদ্রী বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম পুরোটা,বাহ্
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম মন্তব্য করলেন, আমার ব্লগে সুস্বাগতম!
শুভেচ্ছা---
৩৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৬
ইসিয়াক বলেছেন: লেখাটা পড়ে কেমন যেন বিষন্নতায় ছেয়ে গেল মন। আহা জীবন!
সেই তো সব ছেড়ে চলে যেতে হবে তাহলে এত কেন বাড়াবাড়ি করি আমরা। মিথ্যে দম্ভ নিয়ে চলি কত আয়োজন করি শেষ পর্যন্ত যে সব আয়োজন বৃথা সেটা ভাবি না কখনও। মিথ্যে মরিচীকার পিছনে ছুটি আর ভুলের প্রসাদ গড়ে তুলি।
ভালো লিখেছেন প্রিয় ব্লগার। আপনার লেখা সবসময় আমাকে কেমন যেন মোহ আচ্ছন্ন করে তোলে। অনেক কিছু শিখি আপনার লেখা থেকে ।
ভালো থাকবেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ পুরনো একটি পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
আমরা "মিথ্যে মরিচীকার পিছনে ছুটি আর ভুলের প্রসাদ গড়ে তুলি" - যথার্থ বলেছেন, চমৎকার পর্যবেক্ষণ।
সমীহ ব্যক্ত করে গল্পটির উদার মূল্যায়ন করেছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন: প্রতিটি মানুষ এরকম। যখন মানুস বুঝে হয়তো আমার শেষ সময় আগত, তখন সব চিন্তাগুলো এরকম হয়। খুবই ভাল লাগল আপনার লেখাটি।