|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 খায়রুল আহসান
খায়রুল আহসান
	অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
ছোটবেলা থেকে আমি ঢাকা শহরে মানুষ হয়েছি। একেবারে শৈশবের প্রথম সাতটি বছর অবশ্য চট্টগ্রামে কাটিয়েছিলাম। আমার শৈশব কৈশোরের রোযার স্মৃতিগুলোও শহরভিত্তিক অভিজ্ঞতার আলোকে মনে গেঁথে আছে। ছোটবেলায় কোন কোন দিন আম্মার ইফতার বানাতে ইচ্ছে না হলে কিংবা যথেষ্ট উপকরণ তৈরী করতে না পারলে আমাকে মাঝে মাঝে টাকা দিয়ে বলতেন, পাড়ার ইফতারীর দোকান থেকে কিছু কিছু সামগ্রী কিনে আনতে। রোযার মাসে এখনকার মত তখনও দুপুরের পর থেকেই দোকানীরা পাড়ায় পাড়ায় ইফতারীর পসরা নিয়ে বসতো। আমার এখনও তাদের সেই পেঁয়াজু আর বেগুনীর সুঘ্রাণ নাকে লেগে আছে। তখন আমাদের আশে পাশের বাসাগুলো থেকেও মাঝে মাঝে ইফতারীর আদান প্রদানের প্রচলন ছিল। মেন্যু প্রায় অভিন্ন হলেও মাঝে মাঝে কোন কোন বাসার ইফতারীগুলো বেশী মজা লাগতো। কিন্তু সেদিনের সেই পেঁয়াজুর স্বাদ আর কোথাও পাই না। এর অনেক যুগ পর গত কয়েক বছর আগে আমার এক ভাতিজা-বৌ মিতুর হাতে বানানো পেঁয়াজু খেয়ে সেদিন চমকে উঠেছিলাম, এ তো আমার  সেই ছোটবেলায় খাওয়া পেঁয়াজু’র স্বাদ!   
ছোটবেলায় ঈদ উপলক্ষে নানাবাড়ী-দাদাবাড়ী বেড়াতে যেতাম বলে রোযার শেষের কয়েকটা দিন গ্রামে কাটানোর অভিজ্ঞতাও আছে। তখন আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে বৈদ্যুতিক বাতি ছিলনা। সন্ধ্যার পরে পরেই সবকিছু নিঝুমপুরীর মত নীরব, নিস্পন্দ হয়ে যেত। বাড়ীর মানুষের কথাবার্তার চেয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর শেয়ালের হুক্কা হুয়াই বেশী শোনা যেত। মাঝে মাঝে দুই একটা দলছুট জোনাকি ঘরে প্রবেশ করে আমাদের প্রভূত আনন্দ দিতো। সেখানে দেখেছি ইফতারীর আলাদা আয়োজন বলতে তেমন কিছু থাকতোনা। দুই একটা খেজুর, ছোলা মুড়ি আর দুই একটা বেগুনী পেঁয়াজু খেয়ে সবাই নামাযে দাঁড়িয়ে যেত, মাগরিবের নামায পড়েই লন্ঠনের আলোয় সবাই বসে রাতের খাবার খেয়ে নিতো। আবার মধ্যরাতে উঠে সেহরী খাওয়া হতো। গ্রামে রোযার মাসে বিশেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে (জুম্মারাত) অবস্থাপন্নরা মাসজিদে শিরনী বিতরণ করতেন। ধোয়া কলাপাতায় করে এক ধরণের গরম খিচুরী দরিদ্র গ্রামবাসীকে এবং মাসজিদে আগত মুসাফিরগণকে খাওয়ানো হতো।  
কর্মজীবনে দেশের বিভিন্ন জেলায় রোযা পালনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী উজ্জ্বল হয়ে আছে চট্টগ্রাম আর সিলেটের স্মৃতি। এ দুই জেলার মানুষেরা পুরো রোযার মাস বেশ নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকে। তবে মাজার ভিত্তিক বিভিন্ন কুপ্রথার কারণে তাদের অনেকে জ্ঞাতসারে এবং অজ্ঞাতসারে নানারকমের ধর্মবিরোধী কাজও করে থাকে। ময়মনসিংহে থাকাকালীন আমাকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জায়গায় কর্মোপলক্ষে যেতে হতো। একবার রোযার মাসে গফরগাঁও এর এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেটা এতই অজ পাড়াগাঁ ছিল যে সন্ধ্যার সময় কোথাও আমি ইফতারী কেনার মত কোন দোকান খুঁজে পাইনি। শেষ পর্যন্ত এক মুদি দোকান থেকে আমরা কয়েকজন মুড়ি কিনে নিয়ে শুকনো মুড়ি আর পানি খেয়ে রোযা ভাঙি। ফেরার পথে গফরগাঁও উপজেলায় যখন পৌঁছি, তখন স্থানীয় একটি মাসজিদে এশার নামায শুরু হচ্ছিল। আমরা তাড়াতাড়ি গাড়ী থেকে নেমে জামাতে সামিল হ’লাম। ভাবছিলাম, আমরা যেহেতু মুসাফির, সেহেতু ঐ রাতে ২০ রাকাতের পরিবর্তে ৮ রাকাত তারাবীর নামায পড়ে ফিরে আসবো। এশার ফরয আর সুন্নাত নামায শেষে তারাবীর নামায শুরু হলো। জামাতের পেছনের দিকে ছিলাম, তাই ইমাম সাহেবকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু তার সুললিত কন্ঠে ক্বিরাত শুনে আপন মনে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। অত্যন্ত ধীর স্থিরভাবে সম্পূর্ণ সঠিক উচ্চারণে তিনি ক্বিরাত পাঠ করছিলেন। এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলাম যে ৮ রাকাতের পর জামাত ত্যাগ করতে পারিনি। পুরো বিশ রাকাত এবং পরে আরো তিন রাকাত বেতরের নামায পড়ে তবে মাসজিদ থেকে বের হয়েছিলাম। সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছিলাম এটা দেখে যে পুরো বিশ রাকাত তারাবীর নামাজ সেই ইমাম সাহেব একাই পড়িয়েছিলেন। অন্যান্য মাসজিদের মত দুইজন হাফেজ সাহেব মিলে পড়ান নাই, যদিও ক্বিরাতে ভুল ত্রুটি হলে তা ধরিয়ে দেয়ার জন্য অপর একজন হাফেজ সাহেব স্ট্যান্ডবাই ছিলেন। স্থানীয় লোকজন আমাকে আলাপচারিতায় জানিয়েছিল যে সত্তরোর্ধ এ হাফেজ সাহেব তার যৌবনকালে সে এলাকায় এসেছিলেন। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে একাদিক্রমে তিনি সেখানে ইমামতি করে আসছেন।   
আমি তখন ঢাকায় থাকি। রোযা শুরু হবার ঠিক আগে আগে একদিন আব্বা আমার বাসায় এসে হাজির হলেন। তিনি জানালেন, এবারের রোযাটা তিনি সাংসারিক চাপমুক্ত হয়ে আমাদের সাথে করবেন বলে মনস্থ করেছেন। আমরা তাঁর এ ইচ্ছের কথা শুনে খুব খুশী হ’লাম। আব্বাকে ছোটবেলা থেকেই আমরা ভাই বোনেরা খুব ভয় পেতাম। আব্বা ঘরে থাকলে কেউ উচ্চকন্ঠে কথা বলতাম না। আমরা বড় হয়েও আব্বার সামনে খুব সাবধানে চলাফেরা করতাম। উনি কখনো তেমন বকা ঝকা করতেন না, তবুও কেন জানি খুব ভয়ে ভয়ে এবং সংকোচে থাকতাম। সেই রোযার মাসটাতে ওনার রুটিন ছিল এবাদত বন্দেগী আর শুধুই পড়াশোনা। আমার বাসায় আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী অনূদিত পবিত্র কোরানের ইংরেজী অনুবাদ ছিল। উনি সেটা পড়তেন, বিভিন্ন রেফারেন্স নোট করতেন এবং তেলাওয়াতের সময় আরবী কোরান থেকে তেলাওয়াত করতেন। এছাড়া তাঁকে ইমাম গাযযালীর কয়েকটা বই পড়তে দেখেছিলাম। শুধু বিকেল হলে উনি আমার চার ও দুই বছরের দুই ছেলেকে নিয়ে বাসার সামনে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসতেন। 
ওনার সাথে আমার কথাবার্তা হতো সাধারণতঃ রাতে খাবার টেবিলে। দিনের বেলায় আমার স্ত্রী মাঝে মাঝে রান্না বান্নার অবসরে এসে ওনার সাথে গল্প করতো। উনিও মাঝে মাঝে রান্নাঘরে গিয়ে ওর সাথে গল্প করতেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে উনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কোন অসুবিধায় আছি কিনা। আমি সত্য সত্যই সেদিন একটা বিষয় নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন এবং অস্বস্তিতে ছিলাম। বৈদেশিক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় অগ্রিম টিএ/ডিএ বিল দাবী করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার আদেশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট একাউন্টস অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছিল না, আজ এটা নেই কাল ওটা নেই, এসব অজুহাতে। যিনি এ ব্যাপারটা নিয়ে ডীল করছিলেন, তিনি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রমোটী অফিসার। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উনি ওনাকে ‘খুশী করানো’র ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। আমিও ওনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম, সেটা না করতে আমি বদ্ধপরিকর। কিন্তু মনে মনে ভেবে পাচ্ছিলাম না, উনি যদি সময়মত কাগজপত্রগুলো না পাঠান তাহলে আমি এর পরে কী পদক্ষেপ নিতে পারি। আব্বা জিজ্ঞেস করাতে ওনাকে ঘটনাটি সবিস্তারে খুলেই বললাম। পরেরদিন অফিসে যাবার সময় আব্বা আমাকে বিদেয় দিতে দরজা পর্যন্ত এলেন। বের হবার সময় তিনি বললেন, যাও, আশাকরি তোমার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে আমি অবাক হয়ে গেলাম। যে অফিসার পদবীতে আমার জুনিয়র হয়েও এতদিন আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে নিজে চেয়ারে বসে থেকে কথা বলতেন, তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে সম্ভাষণ জানালেন এবং বসতে অনুরোধ করলেন। আমাকে বসিয়ে রেখেই তিনি আমার কাগজপত্রগুলো স্বাক্ষর করে মন্ত্রণালয়ের ফরোয়ার্ডিং লেটারসহ আমাকে হাতে হাতে হস্তান্তর করে বললেন, ‘আপনি এগুলো তাড়াতাড়ি একাউন্টস অফিসে জমা দেন, নাহলে আপনি সময়মত ফ্লাইট ধরতে পারবেন না।'    
এর কিছুদিন পরে আমি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনে কর্তব্যে যোগদান করি। ঠিক এক বছর পর, অর্থাৎ এর পরের রোযার মাসেই আমি একটা আঞ্চলিক কনফারেন্সে যোগদান করতে সৌদি আরবের জেদ্দায় যাই। সেই সুবাদে পবিত্র রোযার মাসে ওমরাহ পালনেরও একটা অমূল্য সুযোগ পেয়ে যাই। মনে আছে, পবিত্র রোযার মাসে ক্বাবা শরীফের সামনে দাঁড়িয়ে আব্বার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেছিলাম। কনফারেন্স শেষে এক সপ্তাহ পর ডিউটি স্টেশনে ফিরে আসি এবং বাসায় এসে দেখি আব্বার একটি চিঠি এসেছে। চিঠিতে আব্বা আমার স্ত্রীকে লিখেছিলেন, ‘গত বছর তোমার বাসায় কাটানো রোযার মাসটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল।' চিঠিটা পড়ে আমরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিলাম। আমার চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা। তাঁর জন্য দোয়া করতে বলেছিলেন এবং বাচ্চাদেরকে কড়া শাসন করতে নিষেধ করেছিলেন। আজ স্মরণ করতেও কষ্ট হচ্ছে যে এটাই ছিল আমাদেরকে লেখা তাঁর শেষ চিঠি। সেই রমজানেরই ১৮ তারিখে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। পরে মিলিয়ে দেখি, আমাকে যেদিন তিনি তাঁর জন্যে দোয়া করতে লিখেছিলেন, ঠিক সেদিনই আমি পবিত্র ক্বাবা শরীফের সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এর কাছে তাঁর জন্য অনেকক্ষণ প্রার্থনা করেছিলাম। তাঁর মৃত্যুর সময় আমি তাঁর শয্যাপাশে থাকতে পারিনি, পরে ভাইবোনদের কাছে জেনেছি, মৃত্যুর একটু আগে তিনি আমার খোঁজ করেছিলেন এবং আমাকে তাঁর অসুস্থতার খবর জানাতে নিষেধ করেছিলেন।  
হে আল্লাহ, এ জীবনে যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু হতে পেরেছি, তা সবই সম্ভব হয়েছে আমার মা বাবার আত্মত্যাগের জন্য। “হে আমার প্রতিপালক! আমার মা বাবার প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, স্নেহ-মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।"   
ঢাকা  
০৯ জুন ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। 
এর আগের দুটো পর্ব পাবেন এখানেঃ রমজানের স্মৃতি – ১ 
রমজানের স্মৃতি – ২  
 ৬১ টি
    	৬১ টি    	 +২১/-০
    	+২১/-০  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৫২
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাস রেখে গেলেন। অনেক প্রীত হ'লাম, অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। 
দোয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২|  ০৯ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:৫৯
০৯ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন: 
আপনার শৈশব স্মৃতিগুলো স্মরণযোগ্য
  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:৩৩
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার শৈশব স্মৃতিগুলো স্মরণযোগ্য - আপনার এ মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা! 
৩|  ১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ১২:০২
১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ১২:০২
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আপনার লেখা সবসময় সুখপাঠ্য।
  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:৪৭
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
  ১১ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:১১
১১ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট - "সত্যিকারের প্রেমের না বলা গল্প ( true love )" এবং এর আগেরটা পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে আসলাম।
৪|  ১০ ই জুন, ২০১৮  ভোর ৬:১৫
১০ ই জুন, ২০১৮  ভোর ৬:১৫
সোহানী বলেছেন: সাধারনত আমি যেকোন লিখা পড়ে তাৎক্ষনিক মনে আসে বলি কিন্তু আপনার এ লিখায় কোন কিছুই মাথায় আসছে না, এলোমেলো লাগছে। আমি আগেও বলেছি আমার পরিবারের সাথে বা বাবার সাথে অনেক কিছুরই মিল আছে আপনার সাথে এখন দেখছি আপনার বাবার সাথে ও অনেক মিল। আপনার লিখা আমাকে বার বার নিয়ে যায় সেই দিনগুলোর কাছে।
যেখানেই থাকেন অনেক ভালো থাকেন। আর হাঁ বাবা মায়েদের আত্মত্যাগের কারনেই আমরা প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের এ ত্যাগ না থাকলে আমরাও জলের স্রোতেই তলিয়ে যেতাম।
  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:২১
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পাঠকের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া লেখকের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। অনেক ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে আপনার ভাবনাগুলো এখানে শেয়ার করে যাবার জন্য। প্লাসেও অনুপ্রাণিত হ'লাম।  
শুভকামনা---
৫|  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৮:২৯
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৮:২৯
ঋতো আহমেদ বলেছেন: খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। পড়তে পড়তে কখন যে নিজের শৈশবে চলে গিয়েছিলাম !
  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:৩৯
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ঋতো আহমেদ। শৈশবের স্মৃতিচারণ সব সময়ই মধুর মনে হয়। আমি তাই প্রায় প্রায়ই স্মৃতিচারণমূলক লেখা এখানে পোস্ট করে থাকি। 
প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভেচ্ছা জানবেন।
৬|  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৪৭
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৪৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারন অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।
দোয়া করি আপনার বাবাকে মহান আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:৪৩
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণটি পড়ে ভাল লাগার কথাটি এখানে জানিয়ে যাবার জন্য এবং আমার মরহুম বাবার উদ্দেশ্যে দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৭|  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:০৩
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম কথা হলো লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। 
আমারও ছোটবেলার রমজান নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করছে।
  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:২১
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার মুগ্ধ হবার কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ। আপনিও লিখে ফেলুন আপনার ছোটবেলার রমজান এর কথা।
কিছুদিন আগে আপনার পোস্ট করা "ইফতার নিয়ে আলোচনা" লেখাটি বেশ ভাল হয়েছিল।
৮|  ১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:০৩
১০ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:০৩
আল ইফরান বলেছেন: এর আগের পর্ব মিস করে ফেলেছি।
আমাদের বাসায় পিয়াজু এখনো একটা কমন আইটেম, যদিও ডাক্তারের বারন আছে বেশি না খাওয়ার বিষয়ে।
আপনাদের সময়ের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে অথরিটির একটা দেয়াল ছিল যা এখনকার সমাজে আর দেখা যায় না।
আমার কেন যেন মনে হয় এই দেয়ালটার একটা প্রয়োজনীয়তা আছে। 
খুব সুন্দর একটা সময়ে আপনার পিতা দুনিয়া ছেড়েছেন, তার বিদেহী আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি।
  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৪৫
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: এর আগের পর্ব মিস করে ফেলেছি - এ কথাটা জানার পর এর আগের দু'পর্বের লিঙ্ক এখানে দিয়ে দিলাম। সময় হলে পড়ে দেখতে পারেন।
আপনাদের সময়ের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে অথরিটির একটা দেয়াল ছিল যা এখনকার সমাজে আর দেখা যায় না। আমার কেন যেন মনে হয় এই দেয়ালটার একটা প্রয়োজনীয়তা আছে - হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন- অথরিটির একটা দেয়াল ছিল। এই অদৃশ্য দেয়ালটা কিন্তু নীরবে অনেক কাজ করে যেত, যেমন ঘরে বাবার উপস্থিতিটাই সবাইকে ডিসিপ্লিনড রাখতো। আজকাল এ অথরিটিটা অনেক সময় মা ও বাবার মাঝে ভাগাভাগি হয়ে যায়। তখন সন্তানেরা একের প্রশ্রয়ে অন্যকে এক্সপ্লয়েট করে, অথরিটিও ডাইলিউটেড হয়ে যায়।  
দোয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যটা খুব ভাল লেগেছে। +
৯|  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:২৫
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:২৫
জুন বলেছেন: কেন জানি আজকাল স্মৃতিময় দিনের কথাই পড়তে ভালোলাগে আমার খায়রুল আহসান। রোজার স্মৃতিকে ঘিরে কত কিছু মনে পরে যায়।  আপনি যেটা উল্লেখ করেছেন পড়শীদের মাঝে ইফতার আদান প্রদান এটা যেন এই সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই উঠে গেছে। বাসায় বানানো হতো সব কিছু।  যেমন পিয়াজু বেগুনী ছোলা, শসা কাটা থাকতো সাথে দু একটা মৌসুমি ফল। বেশ পরে জিলাপি এসেছিল। আজকাল এর মত এত আড়ম্বর ছিলনা তবে আনন্দ ছিল অনেক।   রোজার কথা রেখে একটু অন্য কথা বলি যেমন
আপনার বাবার কথায় আমার বাবার কথা মনে পরলো, ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের দক্ষ চৌকশ  একজন পুলিশ সুপারেন্টেন্ড আমার সৎ মানুষ বাবা এত দিলখোলা হাসিখুশি ছিলেন তা বলার নয়। তার কাছে ছিল আমাদের যত আবদার।  কবিতা পড়ে শোনানো গল্প বলা পুথি পড়া সব সব।  রবীন্দ্রনাথ নজরুলের বিশাল বিশাল কবিতা তার ঠোটস্থ।  আর ছিলেন দারুন গানের ভক্ত সেই সাথে অত্যন্ত ধার্মিক।  কি বৈপরীত্য তাই না?  ওনাকে এক রাকাত নামাজও কাজা করতে দেখিনি আমার জীবনে। একটা রোজাও ভাংতে দেখিনি। পাচ বছর আগে যখন মারা গেলেন কাউকে কষ্ট দেননি।  হাটা চলা অবস্থায় একদিন সকালে অসুস্থ হয়ে সন্ধ্যায় চলে গেলেন সেই মসজিদের দেয়াল লাগোয়া আমাদের নিজস্ব কবরে। যেই গানটি তার প্রিয় ছিল " মসিজিদেরই পাশে আমার ----"
সেদিক দিয়ে আমার স্কুল টিচার মাকে আমরা ভাই বোন যমের মত ভয় পেতাম। তবে মাও দারুন সাহিত্য অনুরাগী ছিলেন। সাথে ধার্মিকতো বটেই তবে ধর্মান্ধ নয়।  
অনেক কথা বলে ফেললাম। আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছিলাম সীতাকুন্ডের প্রেক্ষাপট এ।  দেখতে পারেন।  এরপরই আমার মায়ের ক্যান্সার ধরা পরে।
শীরোনামহীন গল্প
  ১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ৮:৩৩
১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ৮:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার শিরোনামহীন গল্পে ১০৫৬তম পাঠক হিসেবে ৪৩তম প্লাস + + রেখে এলাম। 
নিয়মিতভাবে জীবন থেকে নেয়া ঘটনাবলী নিয়ে ছোট গল্প লেখার ব্যাপারে আপনার আরো সিরিয়াস হওয়া উচিত। আপনার লেখনি থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প বের হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
আপনার স্মৃতিময় মন্তব্য এবং সেই সাথে স্মৃতিময় একটি গল্পের লিঙ্ক আমার এ পোস্টকে সমৃদ্ধ করে গেল। 
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১০|  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১:৩৫
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 
হে আল্লাহ! তুমি আমার 
পিতা-মাতার প্রতি তেমনি করো দয়া 
শিশুকালে করেছিল যেমনি তারা; দিও 
তেমনি দয়া, না, না, তারচে বেশি মায়া। 
বিশ্বাসের মৌলিক বিষয়গুলোর সাথে চলমানতার, সামাজিকতার, সো কলড আধূনিকতার
সমন্বয় করতে গিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ভেঙ্গে পড়ছে দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি, শ্রদ্ধা, ভক্তি।
হয়তো সময়ের প্রয়োজন, হয়তো নয়। আবার শেকড়ে ফেরার আর্তনাদ হয়তো মনে করিয়ে দেবে
হারানো মুক্তো মানিকের কথা।
মৃত্যু এমন হলেই ভাল। কাউকে না ভুগিয়ে, কারো কষ্টের কারণ না হয়ে টুপ করে ঘুমিয়ে পড়া।
আপনার এবং পিতৃহারা সকল ব্লগারগণের পিতা-মাতার জন্য অন্তহীন শুভকামনা।
যারা বেঁচে আছেন দীর্ঘায়ু হোন। যারা চলে গেছেন- উনাদের আত্মা মুক্তি লাভ করুন।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:২১
১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে দোয়া করেছেন, অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
বাবারা কঠোর হলেও, বাবারাও সন্তানদের ভালবাসে। তাদের ভালবাসাটা সাধারণতঃ প্রচ্ছন্ন থাকে, মায়ের ভালবাসার মত অভিব্যক্ত, প্রদর্শিত হয় না। 
সন্তানদের জন্য বাবা মায়ের দোয়া মহৌষধ, এটা আজকালকার সন্তানেরা বুঝতেও চায় না, খেয়ালও করেনা। এই মহৌষধ কল্পনাতীতভাবে কাজ করে।
১১|  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১:৪৩
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১:৪৩
সিগন্যাস বলেছেন:  বাড়ীর মানুষের কথাবার্তার চেয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর শেয়ালের হুক্কা হুয়াই বেশী শোনা যেত।  
এটাই আপনার লেখার বিশেষত্ব।অতিক্ষুদ্র বিষয়ও দারুণভাবে তুলে ধরেন।এইজন্যে আপনার লেখা এতো পছন্দ করি।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৫৬
১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি একজন মনযোগী পাঠক, তাই হয়তো আপনার চোখে এসব অতিক্ষুদ্র বিষয়গুলোও ধরা পড়ে। এমন মনযোগী পাঠক যেকোন লেখকের নিকট পরম কাঙ্খিত। 
অশেষ ধন্যবাদ, খুব যত্ন করে লেখাগুলো পড়ার জন্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১২|  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:০০
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:০০
আরাফআহনাফ বলেছেন: রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।
দোয়া করি আপনার বাবাকে মহান আল্লাহ বেহেস্ত নসীব করুন। - আমীন।  
আমাদের ছোট্ট এ জীবনে কত বৈচিত্রময় ঘটনাই না ঘটে !!!!
ভালো থাকুন।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:০৫
১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের ছোট্ট এ জীবনে কত বৈচিত্রময় ঘটনাই না ঘটে - এসব ঘটনার কারণেই তো আমাদের এই ছোট্ট জীবনটা এতটা  বৈচিত্রময়! 
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
১৩|  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:৪৪
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:৪৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার বাবা পরকালে শান্তিতে থাকুক, এই প্রার্থনা করি ।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:১২
১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রার্থনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
১৪|  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:৪৬
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:৪৬
মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে কিন্তু লেখাটি পড়ে এতটা আবেশিত হয়ে আছি যে সেভাবে কিছু লিখতেই পারছিনা।
বাবা-মা সবসময়ই সবার জন্য খুব স্পর্শকাতর একটা শব্দ।
আপনার বাবার সাথে কাটানো শেষ দিনগুলো, উনার ভালোবাসার প্রকাশ, দোয়ার বরকত এবং ছোটবেলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদারূপে উনার অবস্হান সবকিছুই এতটা সুন্দর করে বলছিলেন পড়তে খুব এক্সাইটেড লাগছিলো। কিন্তু উনার চলে যাওয়া এবং সেসময়টাতেই আপনার প্রার্থনা, শেষমুহুর্তে বাবার শয্যাপাশে না থাকার হাহাকার এবং কষ্টের রেশ, তারচেয়েও আমার বুকে বেশি বাজলো আপনার বাবার অনুভূতির প্রকাশটা - আপনাকে যেন উনার অসুস্হতার খবর না দেয়া হয়।
আমার ব্লগে আপনার একটা খুব সুন্দর কমেন্ট আছে। আপনি বলেছিলেন -" আপনি ও আপনার বাবা উভয়েই ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী"।
বাবাকে নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণে এর চেয়ে উপযুক্ত কিছু বলার মতো আমি আজ খুঁজে পাচ্ছিনা।
মহান আল্লাহ্ আপনার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন, আমিন।
যতকাছে অথবা যতদূরে থাক, খুব ভালো থাকুক আমাদের সবার বাবা-মা।
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:১৯
১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেভাবে কিছু লিখতেই পারছিনা - কিন্তু আমি বলবো, খুব সুন্দর করেই লিখেছেন, যা কিছু লিখেছেন। 
১০ নং প্রতিমন্তব্যে আমার নিজেরই কথা এখানেও উদ্ধৃত করছিঃ সন্তানদের জন্য বাবা মায়ের দোয়া মহৌষধ, এটা আজকালকার সন্তানেরা বুঝতেও চায় না, খেয়ালও করেনা। এই মহৌষধ কল্পনাতীতভাবে কাজ করে। 
আপনার পোস্ট থেকে আমার করা মন্তব্য উদ্ধৃত করে আমাকে সম্মানিত করলেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। কিন্তু আপনার "সুপারহিরো বাবা"কে নিয়ে রচিত সেই পোস্টে কিন্তু আমার মন্তব্যটির জবাব এখনো দেন নি।   
 
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক, অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
১৫|  ১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:২১
১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:২১
পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রোপিকের ছবি যদি আপনার হয়, তাহলে আপনার সময়ের সাথে আমার সময়ের বিস্তর ফারাক। তবুও আপনার এই সিরিজের লেখাগুলো পড়তে গেলেই সময়ের ব্যবধান লীন হয়ে যায়। আর এমনিতে পুরোনো দিনের সব কিছুতেই একটু স্মৃতিকাতরতা জড়িয়ে থাকে, কিন্তু আপনার লেখাগুলোতে তার পরিমাণ এতটাই বেশি যে সবাইকেই আক্রান্ত করে দিচ্ছে। উপরের মন্তব্যগুলো তারই প্রমাণ।
লেখা ভালো হয়েছে। ভালো থাকবেন স্যার।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:৫১
১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১০:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষ স্বভাবগতভাবেই স্মৃতিকাতর। অন্যের স্মৃতিচারণ পড়ার সময় আমরা আমাদের নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি। শুরু হয়ে যায় মনের পর্দায় এক নতুন চলচ্চিত্রের প্রক্ষেপণ। তাই আমরা অন্যের স্মৃতিচারণে নিজেরাও এত সহজে আক্রান্ত হয়ে যাই! 
আপনার মন্তব্য খুব ভাল লেগেছে। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
১৬|  ১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:৫১
১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:৫১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার রমজানের স্মৃতিচারণ পড়ছি আর মুগ্ধ হচ্ছি যে কি বলবো তার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। 
এরকম পোষ্টে মন্তব্য রাখার মত জ্ঞান আমার হয়নি। 
আপনার বাবা এবং আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো সদা।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:০৫
১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার স্মৃতিচারণগুলো পড়ে যাবার জন্য এবং সেই সাথে মন্তব্য করে এবং প্লাস দিয়ে উৎসাহিত করে যাবার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার মুগ্ধতা আমাকে আরো লিখতে প্রেরণা যোগাবে। 
ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন। অনেক শুভকামনা...
১৭|  ১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৪:১৮
১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৪:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হে আল্লাহ, এ জীবনে যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু হতে পেরেছি, তা সবই সম্ভব হয়েছে আমার মা বাবার আত্মত্যাগের জন্য। “হে আমার প্রতিপালক! আমার মা বাবার প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, স্নেহ-মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।"  
একদম হৃদয়ের গভীরের কথা গুলো তুলে এনেছেন,এ ক'লাইনে!!! 
আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে'র হল লাইফ বলি আর বিয়ের পরের লাইফ বলি সব সময়েই আমার সামান্য মন খারাপ বা অসুবিধায় দেখেছি আমার আব্বা বাইড়ে দাঁড়ানো আমার অপেক্ষায়। 
সব বাবা মা ভালো থাকুক সব খানেই।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:৫৫
১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সব সময়েই আমার সামান্য মন খারাপ বা অসুবিধায় দেখেছি আমার আব্বা বাইড়ে দাঁড়ানো আমার অপেক্ষায় - এরই নাম বাবা। টেলিপ্যাথিক সংকেতে মা বাবারা সন্তানের ভাল মন্দের খবর পেয়ে যান। 
এবারে কি প্লাস দিতে ভুলে গেলেন???   
 
মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!
১৮|  ১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:২২
১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:২২
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার স্মৃতির পোস্ট। পড়ে ভালো লাগল। শেষে এসে আপনার বাবার জন্য মন খারাপ হয়ে গেল।
+।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:০৯
১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আমার প্রায় সব লেখা পড়েছেন, প্রায় সব লেখায় মন্তব্য করেছেন, এজন্য আমি আপনার কাছে অনেকটা ঋণী। আপনার মত নিষ্ঠাবান ব্লগারকে সব সময় পাঠক হিসেবে পেতে চাই, লেখক হিসেবে তো বটেই। 
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!!
১৯|  ১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:৪৪
১০ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: হে আল্লাহ, এ জীবনে যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু হতে পেরেছি, তা সবই সম্ভব হয়েছে আমার মা বাবার আত্মত্যাগের জন্য। “হে আমার প্রতিপালক! আমার মা বাবার প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, স্নেহ-মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।" -- আমিও একই দোয়া করছি। ভালো থাকুন তাঁরা যারা আমাকে এই পৃথিবীতে এনেছেন। 
আপনার লেখাগুলো বেশ আবেগঘন। পড়ে নিজেকেও ভাবনার বৃত্তে ফেলে দিতে হয়। 
ভালো থাকুন।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৩২
১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দোয়ার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটা পড়ে ভেবেছেন, মন্তব্য করেছেন- অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২০|  ১০ ই জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:১৯
১০ ই জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:১৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার লিখা আমাকে শৈশবে নিয়ে গেল। 
আপনার বাবার জান্নাত বাস কামনা করছি। রাব্বিরহাম হুমা কা'মা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৪১
১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখাটি পড়ে আপনি নিজের শৈশবে ঘুরে এসেছেন জেনে ভাল লাগলো। প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ।
পবিত্র ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা!!!
২১|  ১০ ই জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:২৫
১০ ই জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:২৫
কবীর বলেছেন: 
রমজানের স্মৃতি আগের পর্ব পড়েছি..... ভালো লিখেছেন।
শৈশবের স্মৃতিগুলো কোনদিন ভুলে যাওয়ার নয়।
আপনার বাবাকে আল্লাহ তালা জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন! আমীন।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৫২
১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: রমজানের স্মৃতি নিয়ে লেখা আমার এ স্মৃতিচারণ সিরিজের আগের পর্বগুলোও পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম, প্রার্থনায় অভিভূত।
২২|  ১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ৮:০৯
১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ৮:০৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: * বরাবরের মতই সুখপাঠ্য...
* ছোটবেলায় আমারও নিজের বাসার ইফতারির চাইতে অন্য বাসা থেকে আসা ইফতারি বেশী স্বাদ লাগত। হয়ত হঠাৎ খাওয়ার কারণে। অবশ্য পেঁয়াজুতে আমার আম্মার সমপর্যায়ে আমার শাশুড়ি বা আমার বউ-ও আসতে পারবে না। আম্মার পেঁয়াজুর বৈশিষ্ট্য হল কড়াভাবে তিন আঙ্গুলের ছাপ থাকবে...
* তারাবীহ মুসাফির হোন বা না হোন ৮ রাকাত পড়লে কোন সমস্যা নেই...
* আপনার বাবা সৌভাগ্যবান যে রমজান মাসে মারা গিয়েছেন...
  ১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:১৫
১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বরাবরের মতই সুখপাঠ্য... - অনেক ধন্যবাদ। 
তারাবীহ ৮ রাকাতে কোন সমস্যা হয়তো নাই, তবুও কোন ওজর ছাড়া ২০ রাকাত পড়তেই মনটা টানে। ওজর থাকলে অবশ্য অনেকবার ৮/১২ রাকাতও পড়েছি। 
রমজান মাসে মৃত্যু সৌভাগ্যের, এ কথাটা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি। এ কথাটা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানমতে সত্য হবারই কথা। বাকীটা আল্লাহ গাফুরুর রাহীমের ফায়সালা! 
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। শুভকামনা---
২৩|  ১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ৯:২২
১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ৯:২২
জাহিদ অনিক বলেছেন: 
আপনার পোষ্টটা পড়ে মনটা খুবই নরম হয়ে গেল। কিছুটা কেমন যেন আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম, পিতার জন্য আমাদের অন্তরে একটা আবেগ কাজ করে। সেটা সব সময়ে প্রকাশ করা হয় না। প্রকাশ করার সুযোগ থাকে না হয়ত। তবু যদি দেখি কেউ তাঁর পিতা নিয়ে কিছুটা বলতে চাইছেন যেন গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনার বা পড়ার চেষ্টা করি, মন মনে মিলিয়ে দিতে চাই; এ আবেগ তো আমারই, এ আবেগ তো আমারও আছে পিতার জন্য ! 
  ১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:২১
১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কবি মানুষ, তাই মনটা নরম হবারই কথা। কোমল মনেই সহজে আঁচ পড়ে। যে কথাগুলো বললেন, সেগুলোও খুবই কোমল! পড়তেও খুব ভাল লাগলো। 
আবেগ কমবেশী সব মানুষেরই থাকে, কিন্তু আবেগের প্রকাশটা ভিন্ন জনের হয়ে থাকে ভিন্ন রকম। চারিদিকে একটু চোখ খুলে তাকালেই সেটা দেখা যায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!!
২৪|  ১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ১০:২৬
১০ ই জুন, ২০১৮  রাত ১০:২৬
পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার প্রাঞ্জল বর্ননায় টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ স্মৃতিকথা খুব ভাল লাগলো। আপনার আব্বার জন্য দোয়া রইল পরম করুনাময় যেন ওনাকে বেহেস্তে রাখেন। বর্তমানে বৈদেশিক কালচারের সাম্রাজ্য বিস্তারের ধারায় এবং পরিবার গুলি ভাগ হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়ে যাওয়ায় সংসারের টানাপোরনের যান্ত্রিকতায় অনেক পারিবারিক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। 
ভাল থাকুন খায়রুল ভাই।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:৪২
১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটা পড়েছেন, পড়ে এখানে মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। ছোট ছোট স্মৃতিকথাগুলো আলাপচারিতার মত করে বলতে ভাল লাগে, আর আপনাদের মত সমঝদার শ্রোতা তথা পাঠক পেলে তো আরো বেশি করে ভাল লাগে। 
মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। দোয়া এবং প্রার্থনায় অভিভূত। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৫|  ১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:০১
১১ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:০১
সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা আগেই পড়ে লাইক দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাতে সময় ছিল না বলে আর মন্তব্য করা হয়ে ওঠে নাই! আপনি খুব ভাল স্মতি রোমান্থন করতে পারেন। অনেকটা পাশে বসিয়ে গল্প করার মত...
আপনার বাবার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি! ভাল থাকবেন!
  ১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:৫১
১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৩:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দেয়া 'লাইক'টা যথাসময়েই আমার চোখে পড়েছিল। অপেক্ষায় ছিলাম, আসবেন বলে। 
আমার ছোট ছোট স্মৃতিকথাগুলো আপনার ভাল লাগছে জেনে খুশী হ'লাম। আশাকরি, এর আগের পর্বদুটো এবং পরে আরেকটা আসছে, সেটাও পড়ে কেমন লাগলো জানাবেন। অবশ্য সময় যে বড় বালাই, সেকথাও জানি। 
মন্তব্যে এবং 'লাইক' এ অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। বাবার জন্য দোয়া এবং প্রার্থনায় অভিভূত। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৬|  ১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:২২
১১ ই জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:২২
শামচুল হক বলেছেন: আপনার সস্মৃতিচারণ পড়ে যেন শৈশবে ফিরে গেলাম। আগের দু'টির মত এটাও খুব ভালো লাগল।
  ১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:১০
১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আগের দুটির মত এটাও পড়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে এটার মত আগের দুটিতেও আপনার মন্তব্য পেলে আরো বেশী খুশী হ'তাম। বোধকরি, ও দুটোতে মন্তব্য করতে ভুলে গিয়েছিলেন।
২৭|  ১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ৯:১৪
১১ ই জুন, ২০১৮  রাত ৯:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান  , 
বেশ হৃদয়গ্রাহী লেখাটি । 
আপনার প্রিয় বাবার সাথে আপনার ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে টেলিপ্যাথি বলা যেতে পারে মনে হয় । আর বিদেশ সংক্রান্ত বিষয়টি সন্তানের মঙ্গল কামনায় একজন পিতার প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির অলৌকিক জোর ।  
এগুলো তখনই ঘটে যখন একজন, প্রিয় কাউকে তখন খুব একান্তভাবেই মনে করে  ,  কাছে পেতে চায়, মঙ্গল কামনা করে । বোঝা গেলো আপনার বাবা আপনার সারাটি হৃদয় জুড়েই ছিলেন আপনার অবচেতনে । তেমনি আপনিও ছিলেন হয়তো তাঁরও হৃদয়টি জুড়ে । 
আপনার ধর্মপ্রান বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি । আর পিতা-মাতার প্রতি  শ্রদ্ধা ও সম্মানে নিবেদিত এক কঠিন প্রান সৈনিকের কোমল মনটি যেন এমন কোমলই থাকে চিরকাল, প্রার্থনা রইলো তার জন্যেও ।
  ১২ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৪৪
১২ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১২:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রিয় বাবার সাথে আপনার ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে টেলিপ্যাথি বলা যেতে পারে মনে হয় - আমার কাছেও তাই মনে হয়েছে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের ব্যাপারটা মানুষ ভেদে ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে ব্যাপারটাকে টেলিপ্যাথী বলেই মনে হয়েছে। আমার বাবা যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন তার জানার কথা ছিল না যে আমি ঐ সময়ে পবিত্র ক্বাবা শরীফে অবস্থান করছিলাম। হয়তো টেলিপ্যাথীর মাধ্যমে তিনি কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছিলেন এবং সেজন্য তাঁর জন্য দোয়া করতে বলেছিলেন।।
আর বিদেশ সংক্রান্ত বিষয়টি সন্তানের মঙ্গল কামনায় একজন পিতার প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির অলৌকিক জোর - আমিও তাই মনে করি। পরবর্তী জীবনে আমাদের সন্তানের বেলায়ও আমার বা আমার স্ত্রীর দোয়ার এবং এরকম প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির অলৌকিক জোর এর পরিচয় পেয়েছি। 
আপনার মন্তব্য আমার কাছে অতিশয় কাইন্ড বলে অনুভূত হয়েছে। রেসিপ্রোকেট করার ভাষা জানা নেই, শুধুই উষ্ণ ধন্যবাদ আর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া। 
ভাল থাকুন, আহমেদ জী এস! পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
২৮|  ১৪ ই জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:৫০
১৪ ই জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:৫০
নীলপরি বলেছেন: এই পর্বটাও ভীষণ ভালো লাগলো । +++++++
  ১৪ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:২৭
১৪ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পর্বগুলো পড়ে যাচ্ছেন, মন্তব্য করে যাচ্ছেন, প্লাস দিয়ে যাচ্ছেন- অশেষ কৃতজ্ঞতা! 
ভাল থাকুন, পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক! 
২৯|  ২১ শে জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:৪৮
২১ শে জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:৪৮
শামচুল হক বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটাই পড়লাম, অতীতের স্মৃতিময় লেখা খুব ভালো লাগল।
  ২১ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:০২
২১ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৩০|  ২৮ শে জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:২৯
২৮ শে জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:২৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: মানুষের জীবনে সত্যিই কখনো কখনো টেলিপ্যাথি ঘটে যায়! আর তা হয় সবচেয়ে আপন মানুষগুলোর সাথে। আপনার অতীত স্মৃতি পড়ে ভালো লাগল। একটু মন খারাপও হয়েছে আল্লাহ আপনার বাবাকে পরকালে অনেক অনেক ভালো রাখুক। আপনিও ভালো থাকবেন।
  ২৮ শে জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:৪৮
২৮ শে জুন, ২০১৮  বিকাল ৫:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, উম্মে সায়মা, লেখাটা পড়ার জন্য। টেলিপ্যাথি আছে বলে আমিও বিশ্বাস করি। 
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। শুভকামনা---
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:৫৪
০৯ ই জুন, ২০১৮  রাত ১১:৫৪
ওমেরা বলেছেন: খুব ভাল লাগল । আল্লার আপনার আব্বাকে জান্নাত দান করুন ! আমীন।