নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার শৈশব-কৈশোরের রমজানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রথম পর্বেই যে কথাটার উল্লেখ করা উচিত ছিল এবং যা আমি মিস করে গেছি, তা হচ্ছে মধ্যরাতের ক্বাসিদা। সে সময় পাড়ায় মহল্লায় তরুণ যুবারা রাত দু’টা আড়াইটার পর থেকে দলবেঁধে গান গেয়ে এলাকাবাসীদেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতো। কোন দুয়ারে করাঘাত না করেও শুধু গান গেয়ে এবং গানের ফাঁকে ফাঁকে সঠিক সময় জানান দিয়ে তারা এলাকাবাসীকে শয্যাত্যাগের অনুরোধ জানাতো। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তারা হামদ, না’ত, গযল ইত্যাদি গাইতো, কোথাও কোথাও এতদুপলক্ষে বিশেষভাবে রচিত গানও তারা গাইতো। তখন সেলফোন বিহীন আমাদের জীবন কেমন ছিল তা কল্পনা করতেও বর্তমান প্রজন্মের কষ্ট হবে। ঘুম থেকে ওঠার জন্য একমাত্র ভরসা ছিল টেবিল ঘড়ির এলার্ম। কোন কারণে কোনদিন সেটা মিস হয়ে গেলে সেদিনের রোযাটা সেহরী না খেয়েই রাখতে হতো। এই অবস্থায় মহল্লার যুবকদের এই ক্বাসিদার আয়োজন বেশ ভাল কাজ দিত এবং এলাকাবাসী তাদের উপর ভরসা করে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারতেন। এই স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে তারা ঈদের দিন নামায পড়ে ঘরে ঘরে গিয়ে মুরুব্বীদের কাছ থেকে “ঈদী” আদায় করতো। শীতের রাতে লেপের নীচে শুয়ে ওদের কন্ঠে সেই ঘুম ভাঙানিয়া গান শুনতাম আর আবেশে চোখ দুটো আবার বন্ধ হয়ে আসতো এই ভেবে ভেবে যে ইস, ওরা কী কষ্টটাই না করছে!
রোযার মাসে আরেক ধরণের গান বাজনার প্রচলন দেখেছি ওমানে থাকতে। তারাবীর নামাযের পর ওমানিরা অনেকে সপরিবারে বের হয়ে যেত কোন পার্কে অথবা সাগর সৈকতে। সাথে থাকতো তাদের এক ধরণের দেশী বাদ্যযন্ত্র। উপসাগরীয় অন্যান্য আরব দেশের তুলনায় ওমানিরা ছিল সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রের প্রতি অধিকতর সহনশীল। ওদের ট্রাডিশনাল মিউজিকেও ছিল অনবদ্য রিদম। সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, যেমন বিয়ে, খৎনা এমনকি শোকদিবস পালনেও ওরা ছেলে বুড়ো, নারী পুরুষ সবাই মিলে দিবস অনুযায়ী বিশেষ ধাঁচের নৃত্যগীতে অংশ নিয়ে থাকে। আমাদের একতারা দোতারার মত ওদের “ঊদ” নামের এক ধরণের বাদ্যযন্ত্র আছে। সালেম রাশেদ আল-সূরী নামে ওমানের একজন বিখ্যাত ঊদবাদক এবং গায়ক সমগ্র আরব বিশ্বে একজন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ছিলেন। তিনি একাধারে গীতিকার, ঊদবাদক এবং গায়ক ছিলেন, “সট” নামের এক ধরণের উপসাগরীয় গান রচনা ও নিজস্ব শৈলীতে গায়কির জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন। ওমানের “সূর” প্রদেশে তার জন্ম ও মৃত্যু হয় (১৯১০-১৯৭৯), এজন্য নামের শেষে তিনি নিজ বংশের উপাধির স্থলে “আল সূরী” উল্লেখ করে গর্ব বোধ করতেন। সূর বন্দর থেকে বিভিন্ন নৌযানে করে তিনি ভারতীয়, আরব উপসাগরীয় এবং আফ্রিকান বন্দরে বন্দরে যেতেন এবং গান করে বেড়াতেন, এজন্য তাকে “সালেম- দ্য সিঙ্গিং সেইলর” উপাধি দেয়া হয়েছিল। ওমানী জাতির সঙ্গীতের ‘আইকন’ হিসেবে তিনি স্বীকৃত হন। ওমানের বর্তমান সুলতান ক্বাবুস বিন সাঈদ ১৯৭০ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর ১৯৭১ সালে তিনি বাহরাইনের অস্থায়ী নিবাস ছেড়ে ওমানে চলে আসেন এবং সুলতানের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।
রোযার মাসে দেখেছি, সাগরের তীরে বসে ওমানি পুরুষ লোকটি হয়তো আনমনে ঊদ বাজিয়ে চলেছে, সাথে কন্ঠ মেলাচ্ছে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা, কিংবা সাথে আসা পারিবারিক বন্ধু বান্ধবেরা। বয়স্করা হয়তো কেউ কেউ সীসা খাচ্ছে, কম বয়েসীরা সিগারেট টানছে। সেহরীর আগে পর্যন্ত বীচে থাকা যায়, ভয়ের কোন কারণ নেই। ঘোড়ায় চড়ে মাউন্টেড পুলিশ সাগরের তীর ঘেঁষে টহল দিয়ে যায়, কাউকে কিছু বলে না, তবে তাদের উপস্থিতিই অপরাধ ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট। কেউ কেউ কিছুক্ষণ গান করে আর সাগর তীরের হাওয়া খেয়ে শপিং মলে চলে যায়, কিংবা কোন রেস্টুরেন্টে সেহরী খেতে অথবা কোন আত্মীয় স্বজনের বাসায় সামাজিক কল অন করতেও যায়। একসাথে সেহরী খেয়ে বাসায় ফিরে এসে তাহাজ্জুদ আর ফজর নামায পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আমরাও দুই একটা পরিবার মিলে বাচ্চাদের নিয়ে মাস্কাটের রিয়াম পার্কে কিংবা বাসার কাছের কুরম বীচ অথবা আল খুওয়াইর বীচে চলে যেতাম। বাচ্চারা ছুটোছটি করে ক্লান্ত হয়ে যেত, আমরাও গল্প গুজব করে একসাথে সেহরী খেয়ে ঘরে ফিরতাম। খুব ভাল কেটেছিল সেসব দিন। আর বিশ্বকাপের খেলা চলাকালীন সময়ে তো থাকতো কত না নানাবিধ আয়োজন! ওমানে থাকতে ফুটবল ও ক্রিকেটের একটি করে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা পেয়েছিলাম, যা সবান্ধবে, সপরিবারে উপভোগ করে প্রভূত আনন্দ লাভ করেছিলাম।
মাস্কাটের বেশীরভাগ বড় মাসজিদগুলোতে সেখানকার গণ্যমান্যদের বদান্যতায় মুসল্লী ও মুসাফিরদের জন্য বিনামূল্যে ইফতারী সরবরাহ করা হতো। কোন কোন মাসজিদে ফ্রী সেহরীও দেওয়া হতো। আমি থাকতাম মেদিনাত ক্বাবুসে। আমাদের মহল্লার একটা মাসজিদে আমি তারাবীর নামায পড়তাম, যেখানে এক জামাতে বিভিন্ন মাযহাবের লোকের সাথে নামায পড়েছি। সেই মাসজিদের ইমাম সাহেব ছিলেন পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক, সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ইমামতি করতেন। তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ বলে যখন নামায শুরু করতেন, কখনো নিয়্যাৎ এর পর হাত বাঁধতেন না, তাঁর হাত সব সময় ছাড়া থাকতো। এটা দেখে প্রথমদিন আমি বেশ কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। অনেকেই তার অনুসারী ছিলেন। আবার কেউ কেউ নিয়্যাৎ এর পর বুকে হাত বাঁধতেন, কেউ কেউ আমারই মত নাভীর উপরে। তবে মূল বিষয়গুলোতে বিশেষ কোন পার্থক্য ছিল না, যেমন সুরা ক্বিরাত পাঠ, রুকু সিজদা, সালাম ফিরানো, ইত্যাদি। তারাবির পর সেই মাসজিদে প্রত্যেককে একটা করে ঠান্ডা জুসের বোতল কিংবা সফট ড্রিঙ্কস ধরিয়ে দেয়া হতো। নামাযের পর জুসপানের সময় মুসল্লীরা নিজেদের মধ্যে সংক্ষেপে ভালমন্দ আলাপচারিতা সেরে নিতেন। বেশ ভাল লাগতো এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনুষ্ঠানিকতা।
ওমান থেকে দেশে ফিরে এসে আমি প্রতিটি রোযার মাসে আমার তিন ছেলেকে নিয়ে যখন যেখানে থেকেছি, সেখানকার স্থানীয় মাসজিদে তারাবীহ এর নামায পড়েছি। আমার তিন ছেলেকে পবিত্র ক্বোরান পাঠ এর তালিম আমি নিজেই দিয়েছি, যেমন আমাদের সাত ভাইবোনকে আমার আব্বা দিয়েছিলেন। ক্বোরান পাঠের সময় যেখানে যেখানে প্রার্থনার আয়াত পেয়েছিলাম, সেগুলো নিজেও যেমন মুখস্থ করেছিলাম, ছেলেদেরকেও করিয়েছিলাম। ছেলেরা তারাবীর তেলাওয়াতের সময় মনযোগী থাকে কিনা, সেটা পরীক্ষার জন্য মাসজিদ থেকে হাঁটতে হাঁটতে ঘরে ফেরার সময় ওদেরকে জিজ্ঞেস করতাম, বলতো, আজকের তেলাওয়াতে তোমাদের মুখস্থ করা কোন আয়াত ছিল কিনা? দেখতাম, বেশীরভাগ সময়েই ওরা সে পরীক্ষায় পাশ করতো। আমার মন তা দেখে আনন্দে ভরে উঠতো।
আমি তখন ঢাকার অর্ডন্যান্স এস্টেট এ থাকি। সেবারের রোযায় আমরা সবাই মিলে নিকটস্থ আর্মী ইঞ্জিনীয়ার্স ব্রিগেড এর মাসজিদে মাগরিব, খতমে তারাবীসহ এশা আর ফজর এর নামায পড়তাম। যোহর আর আসর যে যার সুবিধেমত পড়তাম। আমার বড় ছেলে তখন ক্যাডেট কলেজে পড়তো, এসএসসি এর টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে ছুটিতে বাসায় এসেছে। ও এমনি ভীষণ বইপ্রেমী ছিল আশৈশব, শুধু স্কুলের পাঠ্যপুস্তক বাদে। ও ছুটিতে এসেই ঘোষণা দিয়েছিল যে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ওর প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়, কাজেই সেই রোযার মাস টার ও পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চায়। আমরা এর আগে পাঠ্যসূচীর পড়াশুনার ব্যাপারে ওকে এতটা আগ্রহী কখনো দেখিনি, যদিও পাঠ্যসূচী বহির্ভূত পড়াশুনায় ওর জুড়ি ছিলনা। তাই আমরাও মনে মনে খুশীই হ’লাম। একসাথে শীতের মধ্যে মাসজিদ থেকে ফজরের নামায পড়ে বাসায় এসে যখন আমরা একে একে যার যার রুমের বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়তাম, তখন শুধু ওই একা একা বাতি জ্বালিয়ে রেখে নীরবে পড়াশুনা করতো। এটা দেখে যতক্ষণ ঘুমে আমার নিজের চোখদুটো বুঁজে না আসতো, ততক্ষণ আমি যিনি আমাদের কৃতকর্মের পুরস্কার দেয়ার মালিক, তাঁর সমীপে আর্জি জানাতে থাকতাম, তিনি যেন ওর এই শ্রমের যোগ্য পুরস্কারটুকু ওকে আপন করুণায় দান করেন। ছাত্রজীবনে আমি নিজেও দেখেছি, ফজরের নামাযের পরের এই সময়টুকুতে পড়াশুনা খুব ভাল হয়, সহজে কনসেনট্রেট করা যায়, স্মরণশক্তিও তখন প্রখর থাকে। তাই ও একা জেগে জেগে পড়ছে, এ ভাবনাটাতে একটু কষ্ট পেলেও আমি ওকে উৎসাহিত করতাম, ঐ সময়টাতেই যেন ও বেশী করে পড়াশোনা করে। যিনি সর্বোত্তম প্রার্থনা শ্রবণকারী, তিনি একজন রোযাদার হিসেবে আমার প্রার্থনা শ্রবণ করেছিলেন এবং তা মঞ্জুরও করেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছেলে সে বছর ঢাকা বোর্ড থেকে সকল বোর্ড মিলিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। তার পরীক্ষার ফলাফল প্রথম শোনার স্মৃতি নিয়ে অবশ্য এর আগেও একটা পোস্ট লিখেছিলাম, যেটা একজন পাঠক মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন। তার মন্তব্য পড়ে সে পোস্টের লিঙ্কটাও এখানে উল্লেখ করা সমীচীন বলে মনে হলো। সেই পোস্টের লিঙ্কঃ
একটি সুখের স্মৃতি—করুণাময়ের অপার দান কৃতজ্ঞতায় স্মরণ
বছর ঘুরে ঘুরে রমজান আসে। রমজান অত্যন্ত পবিত্র মাস। সৎকর্ম ও সদাচারণের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের মাস, করুণা ও ক্ষমা লাভের মাস। এ সুযোগটি আজ যারা পাচ্ছেন, তারা আগামী বছরে তা নাও পেতে পারেন। প্রতিদিন মাসজিদে তারাবীর নামাজ পড়ে যখন বাসায় ফিরি, তখন কয়েকটি পরিচিত মুখ মনে ভেসে ওঠে। যেমন কর্নেল নজরুল (অবঃ)এর কথা, যিনি আমার তিন শিক্ষাবর্ষের জ্যেষ্ঠ্য ছিলেন। গত কয়েক রমজান মাসে তাঁকে দেখতাম, তারাবীর শেষে তিনি দ্রুত মাসজিদ থেকে বের হয়ে এটিএম বুথের কোণায় কাঠবাদাম গাছটির নীচে দাঁড়িয়ে থাকতেন। মাসজিদের দোতলা থেকে ভাবী নেমে এলে ওনারা দু’জন একসাথে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ী ফিরতেন। একই পথে আমার বাসাও পড়ে বিধায় কখনো কখনো আমিও তাদের পাশাপাশি হেঁটে বাড়ী ফিরতাম। এমন কি কিয়ামুল্লাইল নামায পড়েও তাদেরকে এভাবে একসাথে হেঁটে বাড়ী ফিরতে দেখেছি। আজ তিনি শায়িত বনানী কবরস্থানে, তাঁর আমলনামা শেষ হয়ে গেছে। যেটুকু সাথে নিয়ে গেছেন, সেটুকুই সম্বল। ভাবীও এখন আর একা একা মাসজিদে আসেন না। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইবনে ফজলে সাইদুজ্জামান (অবঃ) কে সব সময় মাসজিদের প্রথম কাতারে দেখতাম। এমনকি এবারের তারাবীতেও দেখেছি। হঠাৎ করে তিনি কয়েকদিন আগে মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন, এমনকি জ্ঞানও হারান নি, শুধু হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। সেখানে রক্ত জমে যাওয়াতে সামান্য সার্জারীর প্রয়োজন ছিল। সে সার্জারীর জন্য তাঁকে প্রস্তুত করতে করতেই গত ২৩শে রমজান সকালে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। আমার জীবনে আমি তার মত এতটা অমায়িক, সদালাপী এবং নিরেট ভদ্রলোক আর দ্বিতীয়টি দেখিনি। বেশীরভাগ দেখা হতো মাসজিদেই, সব সময় হাসিমুখে। তার বিয়োগব্যথা ভুলতে না ভুলতেই আজ সকালে সেহরীর সময় মেসেজ পেলাম সাবেক ডিজিএমএস মেজর জেনারেল নূরুল হক (অবঃ) ইন্তেকাল করেছেন। তিনিও একজন অমায়িক, সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের নবগঠিত সেনা মেডিক্যাল কোর এর পুনর্গঠনে তার অসামান্য অবদান ছিল। তিনি প্রথম জীবনে একজন শল্য চিকিৎসক ছিলেন, পরে স্বেচ্ছায় প্রশাসনিক কর্তব্যে স্থানান্তরিত হন। তাঁর কথা যখন ভাবছিলাম, তখনই আরেকটা মেসেজ এলো যে কর্নেল মাহবুব এলাহী চৌধুরী (অবঃ) আজ সকালে ইন্তেকাল করেছেন। আজ ২৬শে রমজান একই দিনে দু’জন প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ্য সহকর্মী পরপারে চলে গেলেন। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁদের দাফন প্রক্রিয়া কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছিল, কারণ সদ্য খোঁড়া কবরে পানি উঠে গিয়েছিলো। নরম, সুশোভিত শয্যা আর কাদামাটির বিছানায় শায়িত হবার সময়ের ব্যবধানটুকু কত কম হতে পারে, ভেবে আকুল হতে হয়! শেষোক্ত যে দু’জনের দাফনের কথা বললাম, তা আজকের ঘটনা। আগামীকাল তা হয়ে যাবে স্মৃতি। ভবিষ্যতের কোন রমজানেও হয়তো কেউ তাদের নিয়ে বা আমাদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করবে!
পুনশ্চঃ এই লেখাটা পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের আরেক জ্যেষ্ঠ্য সহকর্মী লেঃ কর্নেল বশির উল্লাহ (অবঃ) কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল দুপুরে ইন্তেকাল করেছেন। তার পরেরদিন, অর্থাৎ আজ ২৮শে রমজান সকাল নয়টায় লেঃ কর্নেল আনিসুর রহমান (অবঃ) এর ৩৮ বছর বয়সী কন্যা লামিয়া রহমান পিঙ্কী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ গৃহে তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তিনি মাত্র ১২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। রমজান মাসে, আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে গত ২৩ থেকে আজ ২৮ রমজান পর্যন্ত গত এই পাঁচদিনে আমাদের সোসাইটির পাঁচজন ব্যক্তি মৃত্যুর কাফেলায় যোগ দিলেন। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা তাঁদের সকলকে ক্ষমা করে দিন, তাঁদেরকে শান্তিময় পরলোক দান করুন, শেষ বিচারের দিনে তাঁদের সকলকে জান্নাত নসীব করুন এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সহায় হউন এবং তাদেরকে সুরক্ষা করুন!
(স্মৃতিচারণ সমাপ্ত)
এই সিরিজের পূর্বের লিঙ্কঃ
রমজানের স্মৃতি – ১
রমজানের স্মৃতি – ২
রমজানের স্মৃতি-৩
ঢাকা
১২ জুন ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রথম মন্তব্য পেয়ে খুশী হ'লাম।
নীচের মন্তব্যে (৩ নং) করুণাধারা বলেছেনঃ বাবার চেয়ে ভাল শিক্ষক আর কেউ হতে পারে না - আমিও তাই বিশ্বাস করি, সাথে মায়ের কথাটাও যোগ করে দিতে চাই। বাবা-মা সন্তানকে যা শিক্ষা দেন, সে শিক্ষা তাদের মানসপটে আজীবন অক্ষয় থাকে।
আপনার দোয়ায় অভিভূত হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
মিথী_মারজান বলেছেন: আমাদের এখানে এখনো মধ্যরাতে দলবেঁধে গান গেয়ে এলাকাবাসীদের রমজানের সময় ডেকে তোলে। কিন্তু এটাকে যে ক্বাসিদা বলে তা জানতাম না।
ওমানে আপনার রোজার স্মৃতি ভালো লাগলো।
তারচেয়েও ভালো লেগেছে আপনার সন্তানের রেজাল্টের সাফল্য। আপনি তো তাহলে সত্যিকারের একজন গর্বিত পিতা!
মাশাআল্লাহ্।
আপনার কলিগদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর প্রতিটা মুসলমানেরই একটা গোপন বাসনা থাকে সুন্দর ও ঈমানের সাথে মৃত্যুর। রোজার মাস সে হিসাবে অনেক ফজিলতপূর্ণ। একেবারে শেষের লাইনটি খুব করে আনমোনা করে দিলো। কথাটি আমাদের সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রমজানের স্মৃতির মত সুন্দর একটি সিরিজ আমাদের উপহার দেবার জন্য।
আর ইদানিং একটু বিজি থাকি তাই ব্লগে সময় দিতে পারছিনা। সেজন্য আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিতে দেরি করছি। আপনার আন্তরিক মন্তব্যতে ভাবে ফর্মালভাবে দায়সারা কমেন্ট করতে চাইনা জন্যই সেখানটায় রিপ্লাই দেয়া হয়নি এখনো। সেজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
অফলাইনে উঁকি দেয়ার ফাঁকে আপনার এই লেখাটা চোখে পড়ায় লগইন করলাম।
আপনার সুখী ও সুন্দর জীবন কামনা করছি।
ভালো থাকবেন এবং এমন আরো সুন্দর সুন্দর স্মৃতিচারণ বা অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আবার হাজির হবেন এমনটা আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের।
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু এটাকে যে ক্বাসিদা বলে তা জানতাম না - খুব সম্ভবতঃ গানগুলোকে ক্বাসিদা বলা হয়।
তারচেয়েও ভালো লেগেছে আপনার সন্তানের রেজাল্টের সাফল্য - এ সাফল্যের প্রথম সংবাদটা শোনার স্মৃতি নিয়ে এর আগেও একটা পোস্ট লিখেছিলাম। সেটার লিঙ্ক মূল পোস্টে সংযোজন করে দিলাম। আর এ ধরণের সাফল্যে গর্বের কিছু নেই, একজন ভাল মানুষ হিসেবে জীবনকে পরিচালনা করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন যেন সে সাফল্যটাই আমাকে এবং আমার সন্তানদেরকে দান করেন! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ'র!
প্রথম প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!!
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১০
করুণাধারা বলেছেন: এই পর্বের স্মৃতিচারণে আপনি নানা বিষয়ে লিখেছেন, কিন্তু সবগুলো একটার সাথে আরেকটা মিলেমিশে পোস্টটি এমন হয়েছে যে পড়ার পরে মনে একটা ভালো লাগার রেশ থেকে যায়। যেমন সেহরির সময় কাসিদা- এটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল সেই কাসিদার গায়কদের দেখতে পাচ্ছি। আসলে আমার ছেলেবেলাতেও আমি কাসিদা শুনতাম সেহরীর সময়, অবশ্য সেসময় সাইরেন বাজানো হতো সেহরি ও ইফতারের সময়।
খুবই ভালো লাগলো আপনি ছেলেদের নিজে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন জেনে। আশাকরি এই শিক্ষা তাদের মনে চিরকাল রয়ে যাবে, বাবার চেয়ে ভাল শিক্ষক আর কেউ হতে পারে না।
ওমানের রমজানের বর্ণনা শুনে খুব ভালো লাগলো। ভাবছি আমাদের দেশে আসা কোন বিদেশী কিভাবে এদেশের রমজানের স্মৃতিচারণ করবেন? শপিংমলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, রাস্তায় যানজট, সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি বর্ণনা দিয়ে হয়তবা!!
আমিও মনে করি ফজরের পরে পড়াশুনাটা সবচেয়ে কার্যকরী হয়। কিন্তু আজকালকার জেনারেশন দেখি সারা রাত জেগে পড়ে আর সারাদিন ঘুমায়। তাই ফজরের নামাজের পর আপনার ছেলের জেগে পড়াশোনা করাটা জেনে খুব ভালো লাগলো, আরো ভালো লাগলো এই পড়াশোনার ফলে সে শীর্ষস্থান অধিকার করতে পেরেছিল জেনে।
নরম সুশোভিত সজ্জা আর কাদা মাটির বিছানায় শায়িত হওয়ার সময়ের ব্যবধান টুকু কত কম হতে পারে, ভেবে আকুল হতে হয় সবশেষে এই কথাটি মনে করিয়ে দিলেন। সত্যিই এই রমজান হতে পারে জীবনের শেষ রমজান! তাই যেন আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির সুযোগ এই রমজানে হাতছাড়া না করি।
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্য সেসময় সাইরেন বাজানো হতো সেহরি ও ইফতারের সময় - হ্যাঁ, সাইরেন তখনো বাজানো হতো, এখনো কোথাও কোথাও হয়। সেই ঘুম ভাঙানিয়া গানগুলো বোধহয় ছিল সাইরেনের অতিরিক্ত!
ভাবছি আমাদের দেশে আসা কোন বিদেশী কিভাবে এদেশের রমজানের স্মৃতিচারণ করবেন? - আপনার ভাবনাগুলো স্বাভাবিক। বাবার বড় পোলায় খায় - ইফতার আইটেমের এমন এক অদ্ভূত নাম শুনে কেউ কেউ হয়তো এক রসাত্মক পোস্টও লিখে ফেলতেন!!!
সত্যিই এই রমজান হতে পারে জীবনের শেষ রমজান! তাই যেন আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির সুযোগ এই রমজানে হাতছাড়া না করি - ঠিক বলেছেন, আমীন!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ করলেন স্যার। লেখনীর গুনে বাস্তব রুপে যেন চোখের সামনে ভেসে এল। মধ্যরাতে সেহেরী হাঁকার নাম যে ক্কাসিদা, প্রথম শুনলাম। রমজান মাসে ওমানের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম। মাস্কটের যে মসজিদে আপনি নামাজ পড়তেন, সেই ইমাম সাহেবের হাত খুলে নামাজ পড়ানো,তার সঙ্গে কেউ বুকে হাত বেঁধে বা নাভিতে হাত বেঁধে নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতার চিত্রটি বেশ উপভোগ্য বটে।
দেশে ফিরে অর্ডন্যান্স এস্টেটের মসজিদে মাগরিবের নামাজ, বড় ছেলের বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম হওয়া, সবমিলিয়ে রীতিমতো সুখপাঠ্যে পরিনত হয়েছে। মাঝে নিজ হাতে তিন পুত্রকে কোরান তালিম দেওয়াতে মুগ্ধা হলাম।
সর্বশেষে আপনার পরিচিত বা বন্ধু স্থানীয় কর্নেল নজরুল ( অবঃ), ব্রিগেডিয়ার ইবনে ফজলে ( অবঃ) , মেজর জেনারেল নূরুল হক ( অবঃ),এবং ২৬ রোজার সকালে কর্ণেল মাহবুব এলাহী চৌধুরী ( অবঃ) পরপারে চলে যাওয়ায়, তাদের মাগফিরাত কামনা করি। তারা যেন বেহেস্ত বাসী হয়।
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকারভাবে লেখাটার সার সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করলেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ। দোয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন, পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা---
১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখা গল্প "পরকীয়া (আজব মাস্টারের তৃতীয় পর্ব)" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম।
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, ঢাকার কাসিদাকে এক ধরনের চাঁদাবাজিও বলা যায়। কেন বলা যায় সেটা বোধ করি আপনিও জানেন। যে কোন মুমিন রোজ রাখেন নিজের তাগিদে। এটার জন্য কারো হই চই করার দরকার নেই। তারপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দাবি করা। যেট খুবই বেমানান।
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকার কাসিদাকে এক ধরনের চাঁদাবাজিও বলা যায় - এখন যেরকমটা শুনি, তাতে এটাকে নিঃসন্দেহে চাঁদাবাজি বলা যায়। তবে আমি যে সময়টার কথা বলেছি, তখন এরকম ছিল না। সে সময়ে টাকাটা ঠিক দাবী করা হতো না, যেটুকু ভদ্রভাবে চাওয়া হতো, তা সহনীয় পর্যায়েই ছিল। কেউ না দিলেও তাতে কোন জোরাজুরি ছিলনা।
৬| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
মাশ-নুর বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন স্যার। আপনার লেখায় ক্বাসিদার কথা পড়ে আমার ছোটবেলার দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছিলাম কিছু সময়ের জন্য। আর আপনার ওমানের গল্প শুনে মনে হচ্ছে, আমিও যদি কিছুদিন ঘুরে আসতে পারতাম ওখান থেকে! সুন্দর লেখা পড়তে সুযোগ করে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, স্যার।
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। লেখার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
ওমানের গল্প শুনে তোমার মনে যে ইচ্ছেটা জাগ্রত হয়েছে, দোয়া করি আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন যেন তোমার সে ইচ্ছেটা পূরণ করে দেন। তোমার ইচ্ছের কথা জেনে আমার আরও কিছু তথ্য জানানোর ইচ্ছে হলোঃ
সৌদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন এবং ইউএই- এই ছয়টি উপসাগরীয় দেশ নিয়ে গঠিত হয় গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসি। এদের মধ্যে ওমান সবার শেষে তেলের সন্ধান লাভ করে, তাই অর্থনৈ্তিক ভাবে অন্য দেশগুলোর তুলনায় এরা বেশ পিছিয়ে ছিল, আমি যখন ওখানে ছিলাম সে সময়ের কথা বলছি। কিন্তু ভাল একজন শাসকের হাতে দেশটি থাকায় যা কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়, তা অত্যন্ত সুচারুরূপে সম্পন্ন করা হয়। ওমানের বর্তমান শাসক সুলতান ক্বাবুস ১৯৭০ সাল থেকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। তিনি একজন জনদরদী (এবং সেজন্য জনপ্রিয়) শাসক। তিনি একজন স্যান্ডহার্স্ট গ্রাজুয়েট, দেশ শাসনে অত্যন্ত বিচক্ষণ। মোটামুটিভাবে আমি ওমানিদেরকে অন্যান্য আরবদের তুলনায় ভদ্র ও সজ্জন হিসেবে পেয়েছি।
৭| ১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭
সিগন্যাস বলেছেন: যখন যুবকরা গান গেয়ে সবাইকে জাগাত তখন কি মাইকের প্রচলন ছিল?
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাইকের প্রচলন ছিল, তবে অন্যত্র। যেমনঃ ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি। যুবকেরা খালি গলাতেই গান গেয়ে বেড়াতো এবং মহল্লাবাসীকে শয্যা ত্যাগ করে সেহরী আয়োজনের অনুরোধ জানাতো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৮| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণমূলক একটি সিরিজ শেষ করলেন। এ পর্বটিও বেশ হয়েছে। +।
অ.ট.: ফেবুতে আপনাকে অনুরোধ পাঠিয়েছিলাম।
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চার পর্বের এ স্মৃতিচারণমূলক সিরিজের প্রতিটা পর্ব আপনি পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন, সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---
৯| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।
* ওমানের ঐ ইমাম মনে হয় শিয়া সম্প্রদায় ভূক্ত। শিয়ারা হাত ছেড়ে দাঁড়ায় নামাজে। কিন্তু শিয়ারা আবার নন-শিয়াদের সাথে জামাত করে না। তাই আমিও কনফিউজড...
* আপনি ভাগ্যবান যে, তিন সন্তানকে ইসলামী শিক্ষা দিতে পেরেছেন। বর্তমান প্রজন্ম যে পরিবেশে বড় হচ্ছে তাতে সামনে যে কী হবে তা ভেবেই শিহরীত...
* কিছু মনে না করলে আর্মিতে আপনার পদবী কি ছিল বলা যাবে?
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: উনি মনে হয় শিয়া ছিলেন না, অন্য কোন মাযহাবের হয়ে থাকবেন। মুসল্লীদের মাঝে কাউকেও শিয়া বলে মনে হয়নি।
আমার পুরনো লেখাগুলো পড়লে হয়তো পদবীর খোঁজ পাওয়া যাবে!!!!
১০| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন ক্বাসীদার নামে চলছে প্রফেশনাল চাঁদাবাজি!
এলাকা বাড়ী অনুপাতে ভাগ হয়ে যাচ্ছে কথিত বড় ভাইদের ইশারায়।
তারপর চলছে ফিক্সড ৩০০-৫০০ প্রতি ফ্লাটে চাঁদা!!!
আনন্দময় স্মৃতি একন বেদনার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে প্রিয় সিনিয়র!!!!!!!!!!
পোষ্টে +++++
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন ক্বাসীদার নামে চলছে প্রফেশনাল চাঁদাবাজি! - কথাটা এখনকার জন্যে ঠিকই বলেছেন বোধকরি।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা-- ঈদ মুবারক!
১১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পুরানো ঢাকায় আমি ও কাসিদা শুনেছি;
এ পর্ব বেশ আলাদা ভাবে আমাদের পরকাল নিয়ে ভাবতে শেখালো।
লেখায় ভালোলাগা!
১৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পর্ব বেশ আলাদা ভাবে আমাদের পরকাল নিয়ে ভাবতে শেখালো - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে এমন ভাবনার কথাটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
ঈদ মুবারক!
১২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রমাজানের স্মৃতির সাথে আনুষঙ্গিক অনেক ঘটনা প্রবাহ এসেছে, সব ভাল লাগলো । বিশেষ করে পুত্রের সাফল্য, কাসিদা, মৃত্যু চিন্তা। 'মৃত্যু চিন্তা' এ বিষয়টা আপনার অনেক লিখায় এসেছে। মৃত্যু চিন্তা ইমানদারির লক্ষণ । আল্লাহ আমাদের সকলকে ঈমানের সহিত মউত নসিব করুন।
১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: রমাজানের স্মৃতির সাথে আনুষঙ্গিক অনেক ঘটনা প্রবাহ এসেছে, সব ভাল লাগলো - অনেক ধন্যবাদ, ভাল লাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আল্লাহ আমাদের সকলকে ঈমানের সহিত মউত নসিব করুন - আমীন!
১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০০
জুন বলেছেন: পুরনো ঢাকার কাসিদা শোনার সৌভাগ্য হয়নি তবে পাড়ার ছেলেপুলেদের সেহেরী খাবার জন্য ডাকাডাকি শুনেছি । খুব ভালোলাগলো আপনার স্মৃতিচারন। আপনার ছেলের কৃতিত্বের কথা মনে হয় আপনার আগের কোন লেখায় পড়েছি। ছেলে মেয়েরা ভালো করলে বাবা মা এর যে কি গর্ব হয় তা আর কিছুতেই হয়না । ভালো থাকুন । ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ।
+
১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে পাড়ার ছেলেপুলেদের সেহেরী খাবার জন্য ডাকাডাকি শুনেছি - ঐ হলো! ওটার কথাই বলেছি। কিছু কিছু ছেলেপুলেদের আবার ডাকাডাকির সময় বিশেষ কোন কোন বাসার প্রতি আগ্রহটা একটু বেশী থাকতো!!
আপনার ছেলের কৃতিত্বের কথা মনে হয় আপনার আগের কোন লেখায় পড়েছি - জ্বী, আপনার এই মন্তব্যটা পড়ার পর সেই পোস্টের লিঙ্কটাও মূল পোস্টে দিয়ে দিয়েছি। ধন্যবাদ, মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত!
পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
১৪| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই,
আপনার এবারের স্মৃতিচারণ অন্য পর্বগুলোকে ছাড়িয়ে গেলো। আমরা আধুনিক হয়েছি ঠিকই, তবে ধর্মের বিষয়ে অজ্ঞতার দিকেও যাচ্ছি!
এই যেমন ধরুন, আজ একজন ব্লগারকে দেখলাম ধর্মীয় একটা পোস্ট দিলেন কিন্তু পোস্টের মাধ্যমে উনার ধর্মীয় অজ্ঞতা প্রমাণিত হয়ে গেলো সেটা উনি বুঝতেই পারলেন না।
সবকিছুর পর মোট কথা হল্, আমাদের দ্বীনি ইলম অর্জিন করতে হবে। আপনার পরিবারের সকল সদস্যের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সৈয়দ ইসলাম। সেই সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট - মধুর সেই স্মৃতিগুলো পড়ে একটা পুনঃমন্তব্য করেছিলাম। তার পরে আমাদের ইতিহাস, আমাদের গর্ব - ১ এবং ২ পড়েও দুটো মন্তব্য করেছিলাম।
আজ আবার আরেকটা কবিতা - আদুরির আবদার, প্রাপ্তি নির্যাতন! পড়ে মন্তব্য রেখে আসলাম। একটু সময় করে দেখে নেবেন।
১৫| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
সোহানী বলেছেন: লিখার শেষে এসে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। বিদেশে বসে কারো মৃত্যুর কথা খুব কষ্ট দেয়, আপন কিংবা পর।
হাঁ আমার ও মনে পড়ে এ ধরনের গান বাজনা শুনতাম খুব ছোটবেলায়। বড় মামা যখন আমাদের বাসায় থাকতো তখন পাড়ার ছেলেদের সাথে এ কাজ করতো। আম্মু দেখতাম খুব রাগ করতো কারন উনি তখন অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠতো।
সেহেরী খাবার পর পড়াশুনা করার নিয়ম আমাদের ও ছিল। এটা আমার মায়ের নির্দেশিত রুটিন ছিল। এর ব্যাতিক্রম হইনি আমরা কেউই স্কুল বা কলেজ জীবনে। আর আপনার ছেলের রেজাল্ট শুনে সত্যিই ভালো লাগছে। তখন বুঝিনি কিন্তু এখন বুঝি সন্তানের সাফল্য কতটা ভালো লাগে মা-বাবার। মায়ের সে কথা প্রায় মনে পড়ে, যখন মা হবি তখন একমাত্র মায়ের অনুভূতি বুঝতে পারবি।
কোরান তেলওয়াতের নিয়ম আপনার পরিবারের মতই আমাদের ছিল এবং এখনো আছে। আমরা ভাই বোনরা রোজায় কোরআন খতমের কম্পিটিশান করতাম। কে আগে খতম দিতে পারবে ও কতবার দিতে পারবে। আমার সন্তানদেরকে ও চেস্টা করছি, জানি না এই বিদেশ বিভূঁয়ে কতটুকু পারবো।
সিরিজটা শেষ করে দিলেন কেন, ভালোইতো চলছিল। অনেক স্মৃতির সাথে নিজের স্মৃতি মিলিয়ে নিচ্ছিলাম।
১৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার পরিবার নিয়েও অনেক কথা শেয়ার করলেন, সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মৃত্যুর কথা কষ্ট দিলেও, মৃত্যুটাকে সহজভাবে নেয়াটাই সমীচীন, কারণ এটা আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এরই বিধান। সময়ের বিচারে দুনিয়ার বুকে আমাদের এ নিবাস নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। পরলোকের জীবন অনন্ত। রমজান যেহেতু মহিমান্বিত মাস, অনন্ত বরকতের মাস, সেহেতু এ মাসে অনন্তযাত্রা শুভ হবে, এটা ভাবতেই বরং ভালবাসি।
ভাল থাকুন সপরিবারে। আপনাদের ওখানে তো বোধহয় এখন ঈদের দিবাগত রাত। আমাদের ঈদের সকাল।
পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৯
প্রামানিক বলেছেন: আমি তন্ময় হয়ে স্মৃতিচারণ পড়তে ছিলাম, আপনি স্মৃতিচারণ সমাপ্ত করায় তৃপ্তি মিটল না। আপনার ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারণ আমি এখনও ভুলি নাই। সামনে আরো স্মৃতিচারণ চাই।
১৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক, আল্লাহ হায়াতে রাখলে আগামী রমজানে আবার স্মৃতিচারণ করবো ইন শা আল্লাহ।
আমার স্মৃতিচারণে আপনার এতটা আগ্রহ দেখে ভীষণ উৎসাহিত বোধ করছি।
পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
১৭| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালো লিখেছেন স্মৃতিচারণ। সবকিছু ছাপিয়ে স্মৃতির এলবামে মৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মরে গেলেই সব শেষ। চমৎকার সব স্মৃতি সাবলিল বর্ণনায় আরো ঋদ্ধ হলো। সুন্দর ।+
১৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কম কথা বলার মানুষ। সে তুলনায় অনেক কথা মূল্যবান বলে আমার এ পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করে গেলেন, সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাস দিয়েও অনুপ্রাণিত করে গেলেন-- কৃতজ্ঞতা!
ভাল থাকুন, সপরিবারে। বিশেষ করে আপনার নয়নের মনি, পুত্র সালমানকে নিয়ে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
১৮| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আজকের এই ক্ষনটিই একটু পরেই স্মৃতি হয়ে উঠবে ।
আগাম সতর্কতা জানিয়ে তেমন দিনগুলো নিয়ে কথা বলে গেছেন অকপটে । সে স্মৃতি-তর্পনে উঠে এসেছে অনেক গল্প, জীবনের- মানুষের । সব ছবি এঁকেছেন নিভাজ রুমালের মতো বিছিয়ে । সে ছবিতে ধরা পড়েছে ভুলে যাওয়া ক্বাসীদার ঘুম ভাঙানিয়া গান, ওমানের এক উদবাদকের কথা, আরব সংস্কৃতি , কৃতি সন্তানের পেছনের একাগ্রতার ছবি , এক গর্বিত পিতার দিনপঞ্জী, সৈনিক জীবনের সহকর্মীদের ধর্মীয় নিবেদনের আলেখ্য - তাঁদের দেহান্তরের করুনগাঁথা ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি আগাম আগাম । ভালো থাকুন আর সুস্থ্য থাকুন ।
১৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজকের এই ক্ষনটিই একটু পরেই স্মৃতি হয়ে উঠবে - একদম ঠিক কথা, চরম সত্য কথা।
অত্যন্ত চমৎকারভাবে আপন দক্ষতায় এবং শৈল্পিক তুলিতে যেন আমার এ পোস্টের একটা সারাংশ উপস্থাপন করে গেলেন, অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেজন্য।
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট - "কেউ কথা রাখেনা …." পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
আর আজ আপনার "একটি মজার কথোপকথন : সত্য ঘটনা" পোস্টটা পড়ে আরেকটা মন্তব্য রেখে এলাম।
অনেক ধন্যবাদ, আশাকরি ভাল আছেন।
ঈদ মুবারক!
১৯| ১৪ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
রমযানে গ্রামের লোকদের অনেক কষ্ট করতে দেখেছি
১৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: গ্রামের লোকদের জীবনটা সত্যিই অনেক কষ্টের। তার পরেও তারা হাসিমুখেই রোযা রাখে।
২০| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: এখনও অনেক এলাকায় ছেলেরা গান গেয়ে মানুষদের ঘুম থেকে মডেকে তুলে। তবে তারা হুট অরে বাড়ি বাড়ি এসে অনেক টাকা দাবী করে।
'উদ' যন্ত্রটা কি গিটারের মতোন? ওমানের ইফতারীতে কি কি থাকে?
আপনি পরিবারের সবাইকে নিয়েই ওমান থাকতেন?
আপনার ছেলে কোনো ক্যাডেট কলেজে পড়েছেন?
১৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, 'উদ' বাদ্যযন্ত্রটাকে দেখতে অনেকটা গীটারের মত লাগে।
ওমানের ইফতারী তৈরী হতো বাংলাদেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানী, সিরীয়, তুর্কী, প্যালেস্টাইনী ইত্যাদি বিভিন্ন দেশের শেফ দ্বারা। যে দেশের শেফ, সে দেশেরই ঐতিহ্য অনুযায়ী খাবার তৈরী হতো।
হ্যাঁ, আমি প্রথম দিন থেকেই সপরিবারে ওমানে ছিলাম।
হ্যাঁ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে।
২১| ১৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি ভালো আছি!
১৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে প্রত্যাবর্তনে সুস্বাগতম! অনেক ভাল লাগছে আপনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন দেখে। এবারে আপনার ট্রেডমার্ক ঈদের পোস্ট নিয়ে নেমে পড়ুন!
২২| ১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা নেবেন, ভালো থাকুন।
১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকেও জানাচ্ছি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা - ঈদ মুবারক!
সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন, সপরিবারে।
২৩| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৮
নীলপরি বলেছেন: মন ছোঁয়া লেখা ।আগেই পড়েছিলাম । মন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেলো ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো
১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেলো - কোন সমস্যা নেই। শুধু পাঠক হিসেবে আপনাকে পাওয়াটাও লেখকের জন্য প্রীতিকর।
আপনাকেও জানাচ্ছি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা - ঈদ মুবারক!
২৪| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ।
১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও জানাচ্ছি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা - ঈদ মুবারক!
২৫| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জুন বলেছেন:
দেখেন তো বাদ্য যন্ত্রটি এমন নাকি ? এটা বাজিয়ে মিশরের মরুভুমির নাইট সাফারীতে আমাদের গাইড কাম চালকরা আর তার তালে তালে পর্যটকদের নাচ।
১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, এটাই সে বাদ্যযন্ত্র। মোট ১১টা বা ১৩টা তার থাকে, উপর থেকে ছয়টা দেখা যায় কারণ তারগুলো উপর-নীচ করে থাকে। একটা বেজোড় থাকে।
ফিরে এসে পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ঈদ মুবারক!
২৬| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০২
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঈদে আসা হয়নি নানান ব্যস্ততার কারণে। ঈদ মোবারক।
২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। আপনাকেও জানাচ্ছি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা - ঈদ মুবারক!
২৭| ২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনার কলম ও কাগজের মহামিলনে স্মৃতিচারণ আর আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য নিয়ে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ পেল তা যে কোন মূল্যায়নে সেরা, সেরাদের সেরা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
জানেন, সুন্দর এই পৃথিবীর সকল সৈন্দর্য ছেড়ে চলে যেতে হবে ভাবতেই খুব কষ্ট লাগে।
আবার, আশায় বুক বাধি, মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে যাবো, সেতো এক বিশাল পাওয়া। তিনি আমার রব আমি তার গোলাম।
আমাকে অনেক যত্ন করে বানিয়েছেন , নিশ্চয়ই তার রহমতের দুয়ার হতে ফিরিয়ে দিবেন না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ২টি সন্তান (ছেলে ও মেয়ে) কে আমি আমি মাদরাসায় পড়াচ্ছি। দোয়া করবেন তাদের জন্য।
২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ সামান্য লেখাটার আপনি যে উচ্চ মূল্যায়ন করে গেলেন, এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। লেখাটা পড়ে আপনার নিজস্ব ভাবনার কথা এখানে শেয়ার করাতে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার "দাবী আদায় ও ভাষার কদর্য্ ব্যবহার প্রসঙ্গ : “নিরাপদ সড়ক চাই” এবং নিরাপদ সড়কের রুপরেখা" পোস্টটি পড়ে একটি মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আজ আবার "আমজনতা বরাবরই লাথির কাঁঠাল / প্রসঙ্গ : সাম্প্রতীক" পোস্টটা পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম।
আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন।
২৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: বাবার চেয়ে ভালো শিক্ষক আর কেউ হতে পারে না , কথাটা কেন বলেছিলাম তা মনে হয় ব্যাখ্যা করা দরকার। একটা আক্ষেপ থেকে কথাটা বলেছিলাম। আমার বাবা খুব সুন্দরভাবে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতেন। আমার বড় ভাই-বোনদের তিনি শিখিয়েছিলেন সে ভাবে তেলাওয়াত করতে। কিন্তু আমি ফাঁকি দিতাম, বাবা চলে গেলেন, তাই আর কখনোই আমি ভালোভাবে তেলাওয়াত করতে শিখিনি। তাই যখনই শুনি কোন বাবা তার সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দেন, তখনই আমার মনে আক্ষেপ জেগে ওঠে আর মনে হয়, "বাবার চেয়ে ভালো শিক্ষক আর কেউ হতে পারে না।"
তবে সাধারণ শিক্ষার কথা বললে বলতে হয়, "মায়ের পরে, বাবার চেয়ে ভাল শিক্ষক আর কেউ হতে পারে না।"
আপনার এই ধরনের লেখায় একটা প্রচ্ছন্ন বার্তা থাকে। এমন লেখা আরো লিখতে থাকুন।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "মায়ের পরে, বাবার চেয়ে ভাল শিক্ষক আর কেউ হতে পারে না।" - এটাই হয়তো সঠিক। মা জগতের আদি শিক্ষক। এর পরে আসে বাবা, বা অন্য কেউ।
পুনঃ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা---
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া,আপনার রমজানের স্মৃতিচারন পড়তে পড়তে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
আর আপনি আপনার সন্তানদের যে নিজে কোরান শিক্ষা দিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভাল লাগল।আজকাল তো বেশির ভাগ মা-বাবাই সন্তানের কোরান শিক্ষা নিয়ে উদাস।তারা শুধু স্কুলে কি করে সন্তান আরও ভাল করবে এটাই শুধু ভাবে।ইহকাল শেষে পরকালে সন্তান কি ভাবে ভাল করবে তার চিন্তা কেউ করে না।
আপনার জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আপনাকে সুস্থতার সহিত দীর্ঘায়ু দান করেন।