নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের বিবরে

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

এই হাতে কি নিপুনভাবে তিনি বাঁধতেন খোঁপা!
ঠোঁটে ক্লিপ আটকে রেখে একটা একটা করে
খোঁপায় গেঁথে দিতেন। তারপর অলিন্দ থেকে
দু’একটা সতেজ ফুল এনে খোঁপায় লাগাতেন।

এই হাত ছিল তার নৃত্যকলার ভাষার প্রতীক,
এই হাত ছিল রসুইঘরের যাদুর কুহক কাঠি,
যার পরশে তৈরী হতো ক্ষুন্নিবৃত্তির উপকরণ।
এই হাত দোলাতো তন্দ্রাচ্ছন্ন শিশুর দোলনা।

এই চোখ দিয়ে কবি দেখতেন প্রকৃতির শোভা,
এই চোখে তিনি মেখে রাখতেন মেঘের কাজল।
এই চোখেই তার ঝলসে উঠতো দ্রোহের আগুন,
এই চোখ থেকেই নীরবে ঝরতো জলের প্রপাত!

হায়, আজ সে হাত দুটো নেই, সে চোখও নেই!
ভূতলে চাপা পড়ে আছে সে দুটো হাত, সে চোখ।
দৃষ্টি বার্তা পাঠাতো মনের গভীরে, উতলা মনের
নির্বন্ধে কবি যা লিখতেন, তা আজ শুধুই স্মৃতি!



(ছবিসূত্রঃ গুগল)


ঢাকা
২৩ আগস্ট ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

(পাদটীকাঃ আসলে, কবি কর্তৃক তার নিজের কবিতার কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা সমীচীন নয়। তবুও, যেহেতু কয়েকজন পাঠক কবিতাটি কার উদ্দেশ্যে লেখা বা কাকে স্মরণ করে লেখা এ কথাটি জানতে চেয়েছেন, আরও জানতে চেয়েছেন ‘এখানে নারী ও কবি কি আলাদা ব্যক্তি, নাকি নারী ও কবি একজনই- অর্থাৎ ‘নারীকবি’ - সেহেতু কিছু কথা বলতেই হয়। আমার জবাব শুনে হয়তো কেউ কেউ নিরাশ হতে পারেন, তবুও বলছি, কবিতাটি আমি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে স্মরণ করে লিখিনি। একটা কঙ্কালের ছবি দেখে আমার কল্পনায় এসেছিল, বিশেষ করে কঙ্কালের হাতটা দেখে, যে এ কঙ্কালটি হয়তো কোন নারীর, এবং সে নারী তার জীবদ্দশায় কী কী করতেন, সেটা ভাবতে ভাবতেই এ কবিতাটা শুরু করেছিলাম। তৃতীয় স্তবকে এসে ভাবছিলাম একজন কবির কথা, যিনি দু’চোখ ভরে সৌন্দর্য অবলোকন করতে পছন্দ করেন এবং সে সৌন্দর্য তার মননে ধারণ করে কবিতা লিখেন। যার দুটো মায়াভরা চোখ আছে (কবি নজরুলের মত – এখানে কাজলমাখা বলতে আমি মায়ামাখা বুঝিয়েছি), যার চোখ যেমন অন্যায়ের প্রতিবাদে দ্রোহের আগুন ঝরায়, তেমনি আবার প্রেম বা মায়ার আতিশয্যে অশ্রু ঝরায় - তার সেই সুন্দর চোখ দুটোও মৃত্যুর পর মাটির সাথে মিশে যায়, থাকে শুধু চক্ষুকোটর, কঙ্কাল করোটিতে। কবি ও নারী, উভয়ের সৃষ্টি ও সৌন্দর্য পৃথিবীতে রয়ে যায় স্মৃতি হিসেবে, তাদের তিরোধানের বহু বছর পরেও। কঙ্কালটির ছবি অনেকের কাছে বীভৎস লাগতে পারে, এজন্য এখানে পোস্ট করিনি। তবে গুগল সন্ধান করে একটি সুন্দর হাতের ছবি পেলাম, আবার সেই হাতের মাঝখানটিতে বসানো রয়েছে একটি সুন্দর চোখ। এ ছবিটা আমি কবিতা লেখার পরে দেখেছি। দেখে মনে হলো, কে যেন আমার কবিতাটা লেখার আগেই সেটা পড়ে নিয়েছিল এবং তারপর এ ছবিটা এঁকেছিল। কবিতার সাথে মিলে যায় বলে এ ছবিটাকেই এখানে সংযোজন করেছি।)

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১০

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
নিপুণ চিত্র এঁকেছেন কাব্যে কবির জীবন।

কবিতায় +++

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১০

ওমেরা বলেছেন: না বুঝলেও কবিতা ভালই লেগেছে ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: না বুঝলেও কবিতা পড়েছেন, ভাল বলেছেন, প্লাসও দিয়েছেন, সবকিছুই ভাল লাগলো। তবে বোঝার পর এসব দিলে আরো অনেক ভাল লাগতো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা---

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখানে কি একজন মহিলা কবি সম্পর্কে বলা হয়েছে নাকি একজন কবি ও তার প্রেমিকার কথা বলা হয়েছে?

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি, আজকে কবিতার সাথে জুড়ে দেয়া "পাদটীকা"টি পড়লে আপনার এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
শুভেচ্ছা রইলো...

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নৈব্যক্তিকভাবে পড়লে মনে হবে, কবির প্রেমিকার প্রাত্যহিক যাপনের খুব নিখুঁত ও নিপুণ একটা চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। শেষ স্তবকের আগ পর্যন্ত তাঁর বিভিন্ন কলা ও পারদর্শিতার কথা জানা যায়, তার ভালো লাগা অভ্যাসের কথাও জানা যায়। শেষ স্তবকে এসে বুকে একটা প্রচণ্ড ধাক্কা লাগে। সেই প্রেমিকা আর পৃথিবীর বাতাসে বেঁচে নেই, উতলা মনের নির্বন্ধে লেখা সবকিছুই আজ শুধু স্মৃতি।

এ থেকে চিরায়ত সত্যের মুখোমুখি আমরা দাঁড়িয়ে যাই। নশ্বর পৃথিবী থেকে একদিন সবকিছু ভস্মীভূত হবে, শুধু আমাদের স্মৃতি ও কীর্তিটুকুই রয়ে যাবে, যা আমাদের আপনজনকে খুব আন্দোলিত করবে ও কাঁদাবে।

অসাধারণ একটা কবিতা পড়লাম। আপনার যতগুলো কবিতা পড়েছি, এত সাবলীল কবিতা আগে কখনো পাই নি।

শুভেচ্ছা রইল স্যার।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: নশ্বর পৃথিবী থেকে একদিন সবকিছু ভস্মীভূত হবে, শুধু আমাদের স্মৃতি ও কীর্তিটুকুই রয়ে যাবে, যা আমাদের আপনজনকে খুব আন্দোলিত করবে ও কাঁদাবে - মন্তব্যে খুব সুন্দর কথা বলেছেন। খুব ভাল লাগলো।
কবিতার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২২

দীপ্ত একাত্তর বলেছেন: সময়ের বিবরে কবি আজ অতল গহ্বরে ।
কবিতা ভাল হয়েছে। মানুষের জীবনে চরম সত্য প্রস্থান । কিন্তু তার কর্ম সবসময় চলমান।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, সুস্বাগতম!
মানুষের জীবনে চরম সত্য প্রস্থান - ধ্রুব সত্য কথা, কিন্তু "তার কর্ম সবসময় চলমান" - এ কথাটা বোধহয় ঠিক নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৫

কাইকর বলেছেন: কবিতা ভাল লেগেছে

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২

শায়মা বলেছেন: আমার মতে স্মৃতিই কাব্য ও সাহিত্যের প্রধান উপকরণ!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মতে স্মৃতিই কাব্য ও সাহিত্যের প্রধান উপকরণ! - তাই?
আমার মতে, অন্যতম উপকরণ হতে পারে, তবে 'প্রধান উপকরণ' নয়।
ভাল থাকুন। ঈদের শুভেচ্ছা---

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
সময়ের বিবরে কবিতার শিরোনামটি সহ পুরো কবিতাটিই বেশ সাবলীল।
সোনাবীজ অথবা ধুলাবালি ছাই যেমনটা বললেন, পড়তে পড়তে আমারও ঠিক সেরকমই মনে হয়েছিল। শুধু ভয় হচ্ছে সময়ের বিবরে হারিয়া যাওয়া পরিচিত মানুষের জন্য যে শোক নিঃসৃত কবিতাটি রচিল হলো সেই শোক নিজেও যেদিন হারিয়ে যাবে সময়ের বিবরে সেদিন এই কবিতার আবেদন কতটা অক্ষুণ্ণ থাকবে - অথবা কোন শোক কি চিরস্থায়ী হয় ?

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন শোক কি চিরস্থায়ী হয়? - না, কোন শোকই চিরস্থায়ী নয়। জীবনে কেউ কারো জন্য অপরিহার্য নয়।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮

সনেট কবি বলেছেন: কবিতায় +++

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রাণিত হ'লাম।

১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

ঋতো আহমেদ বলেছেন: একটু না-বুঝা আছে আমার। প্রথম দুই স্তবকে এক নারীর কথা বলা হয়েছে। তৃতীয় স্তবকে কবি। শেষ স্তবকে সময়ের বিবরে হারিয়ে গেছেন। নেই। এখানে নারী ও কবি কি আলাদা ব‍্যক্তি? নাকি নারী ও কবি একজন‌ই? নারীকবি।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটু না-বুঝা আছে আমার - আপনার এ কথাটা পড়ে আমি কবিতার শেষে একটা পাদটীকা জুড়ে দিয়েছি। আশাকরি, সেটা পড়ার পর আপনার না-বুঝা তিরোহিত হবে।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ কবিতার কথামালা, দারুণ একটা চিরসত্য বিষয়ে আলোকপাত করেছেন কবিবর, মুগ্ধতা জানবেন।

সময় বদলায়, বদলায় মানুষ, সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায় অনেককিছু জীবন থেকে, এটা চিরায়ত প্রকৃতির রূপ, বিধাতার নিয়মতান্ত্রিক খেলা। আমরা বুঝলেও মনে রাখি না, ভুলে থাকতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করি!

শুভকামনা জানবেন
ঈদ মোবারক

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় বদলায়, বদলায় মানুষ, সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায় অনেককিছু জীবন থেকে, এটা চিরায়ত প্রকৃতির রূপ, বিধাতার নিয়মতান্ত্রিক খেলা। আমরা বুঝলেও মনে রাখি না, ভুলে থাকতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করি! - খুব সুন্দর বলেছেন এ কথাগুলো।
কবিতাত প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি- ঈদ মোবারক!

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেই সুন্দর ক্ষনগুলো, প্রাণের সেই সমারোহ, কমপক্ষে ১ জনের কাছে জীবিত

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, কমপক্ষে ১ জনের কাছে জীবিত, তবে আরো বহুজনের কাছেও তা হতে পারে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৫

চাঙ্কু বলেছেন: স্মৃতিপা, তুমি বেদানা! :(

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক তাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল স্যার,

মানবতার প্রতীক সেই হাতদুটি সৃষ্টির প্রতীক সেই চোখটি আজ বড় যান্ত্রিকতার কবলে সভ্যতা থেকে অস্তমিত। আজ মানবতা বড় বিপন্ন, সৃজনশীলতা বড় অসহায়। কৃত্রিমতার অবসান হোক, মানবতার জয় হোক।

সুন্দর, সাবলীল কবিতা পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম । ++++

অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা আপনাকে।



২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানবতার জয় হোক - এ প্রার্থনা আমার সব সময়ের জন্য, সর্বস্থানের জন্য।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---

১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

সিগন্যাস বলেছেন: সেলিম আনোয়ারের মতো সুন্দর+ লিখতে পারিনা । তবে কবিতায় প্লাস রইলো । ওমেরা সাথে সহমত

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওমেরা কে যেকথা বলেছি, আপনার জন্যেও সে কথা প্রযোজ্য। :)
বুঝে দেয়া হোক অথবা না বুঝেই, প্লাসে প্রীত হয়েছি। :)
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি কবিতা বুঝতে পারি না।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে। তার পরেও এটা পড়ে কিছু একটা মন্তব্য করলেন, এতেই আমি ধন্য হ'লাম! :)

১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: বেদনায় ভরা একটা কবিতা লিখেছেন , আমার ভাল লাগল না ক্যামন যেন অন্য রকম কোন ছায়া দেকছি । ভাল থাকার চেষ্টা করুন প্লিজ ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমরা সকলেই নশ্বর। সকলের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী। অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট - আদি কালের কন্যা পড়ে একটা মন্তব্য করে পোস্ট করে দেখি লেখা আসছে, "এই পোস্টে লেখক কোন মন্তব্য গ্রহণ করবেন না", যদিও সেখানে ইতোপূর্বে ১৩টি মন্তব্য করা হয়েছে। যাহোক, কবিতাটি ভাল লেগেছে, তাই আমার মন্তব্যটা আমি এখানেই প্রকাশ করে আপনাকে জানালামঃ

""চোখের জলে ধুয়ে, আদরের চাদর মুড়ে
লুকিয়ে রাখতো মাটির গভীরে,
যেন তাকে কোন অপবাদের জ্বালা ,
অপমানের জ্বালা সইতে না হয়"
-- কবিতার এ চারটে চরণ কবিতার বক্তব্যকে অনেক উচ্চস্তরে নিয়ে গেল!

যে দেশে বা সমাজে নারী নিরাপদ নয়, সে দেশ বা সমাজ উন্নতি করতে পারেনা।

১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

নীলপরি বলেছেন: কবিতাটা খুব সুন্দর লাগলো সেই সাথে ব্যাখ্যাটাও খুব ভালো লাগলো । ++

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটা পড়েছেন বলে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ব্যাখ্যাটার ব্যাপারে দু'ধরণের মতামত পেয়েছি, তবে আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঢাকার নওয়াব পরিবারের এক রমণীর আাঁকা একটা নৌকার ছবি দেখে ক্যাপশন লিখতে বলা হয়েছিলো নজরুলকে। কিছুক্ষন সময় নিয়ে বিদ্রোহী কবি লিখলেন- 'খেয়াপাড়ের তরণী'।

আপনার পাদটিকা পড়তে গিয়ে আমার কেবলি ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়ছিলো।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার করে বুঝালেন ব্যাপারটা। ধন্যবাদ।

২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: কবিতার সাথে পাদটীকা পড়ে কবিতার মর্মকথা অবগত হলাম। খুব ভালো লাগল।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা---

২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কবিতার অনুভবে বলার মত যা কিছু থাকতে পারে সব মন্তব্যে চলে এসেছে। জীবিত একজন কবির মৃতদের নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভোগার অনুভব। একবার একটি কঙ্কালের খুলি দেখে আমারও এমন মনে হয়েছিলো, না জানি এই খুলিটি কার, তিনি কি জানতেন তার খুলি একসময় কোথায় পরে থাকবে বা কি করা হবে তা নিয়ে !

হাত তো কিছু করা যায় না, তবে চোখ তো দান করা যায়।
'ক্ষুন্নিবৃত্তি' শব্দটা প্রথম পড়লাম। মনে হল, এটা দিয়ে খুন্তিবৃত্তি বোঝাতে চেয়েছেন। ভুল হলে জানাবেন প্লীজ। শুভেচ্ছা রইলো, খায়রুল আহসান ভাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবিত একজন কবির মৃতদের নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভোগার অনুভব - বাহ, বেশ চমৎকার করে বললেন তো কথাটা!
'ক্ষুন্নিবৃত্তি' শব্দটা প্রথম পড়লাম। মনে হল, এটা দিয়ে খুন্তিবৃত্তি বোঝাতে চেয়েছেন - না না, 'ক্ষুন্নিবৃত্তি' শব্দটা দিয়ে 'ক্ষুন্নিবৃত্তি'ই বোঝাতে চেয়েছি, খুন্তিবৃত্তি নয়। আপনার মন্তব্যটা পড়ে জানা শব্দটার মানে খুঁজতে আবার অভিধান দেখলাম।
সেখানে শব্দটার মানে দেয়া আছে এভাবেঃ
ক্ষুধার শান্তি, আহারের ফলে ক্ষুধার উপশম; ভোজন। [সং. ক্ষুত্ + নিবারণ, নিবৃত্তি]
appeasement or sat isfaction of hunger
'ক্ষুন্নিবৃত্তি' বলতে আমি জানতাম "ক্ষুধা নিবৃত্তি"। সে জানা থেকেই শব্দটা কবিতায় এসেছে।

২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

মনের রঙিন স্বপ্নগুলো বলেছেন: কবিতার অন্তমিলগুলো ভাল লাগলো

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, - সুস্বাগতম!
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট মরিয়ম এবং আমি পড়ে একটা মন্তব্য রেখে আসলাম। একবার সময় করে দেখে নেবেন।

২৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ।
কবিতায় কিছু রহস্য থাকা চাই৷ কবি কি বলতে চেয়েছেন, তা ঠায়ঠায় বুঝতে চাওয়া পাঠকের উচিৎ নয়। জীবনানন্দের কবিতা যেমন, বোঝা যায় না সবটা, কেন তিনি ব্যবহার করেছিলেন সাধু চলিতের মিশ্রণ, অনেক চেষ্টা করেও পারিনি বুঝতে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: আপনার ওভাবে পাদটীকা লেখার দরকার ছিল বলে আমি মনে করি না। ওই পাদটীকা পড়েই কবিতাটি আমার কাছে জটিল হয়ে উঠল। তার আগে কবিতাটি আমার কাছে সহজ ছিল, মানে আমি আমার মতো করে ভেবে নিতে পেরেছিলাম। পাঠক হিসেবে আমার স্বাধীনতা চাই।

এক কথায়, একজন নারী মৃত্যুর পর সে জীবিত অবস্থায় কি ছিল বা কি করতো তারই কিছু স্মৃতির প্রতিফলন। কবিতায় একজন নারীর কথা বলা হয়েছে, সেই নারী কবিও হতে পারে। এখানে কবিতা নারী না পুরুষ কবি লিখেছেন সেটা আমার কাছে বড় কথা নয়।

শ্রদ্ধাবনত নমস্কার।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ওভাবে পাদটীকা লেখার দরকার ছিল বলে আমি মনে করি না - হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমিও মনে করিনি, তাই প্রথমে দেই নি। তবে পরে অন্ততঃ দু'জন পাঠকের জিজ্ঞাসা (কৌ্তুহল) মেটাতে এটুকু লিখেছি। পাঠকের মন্তব্য আসা শেষ হয়ে গেলে হয়তো ওটা আর এখানে রাখবো না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা....

২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

২৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে। +।

পাদটীকা দেবার প্রয়োজন ছিল না। অনুবাদ হলে দিতে পারেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: প্রথম দিকে পড়তে আমার চোখে একজন বৃদ্ধার ছবি ভাসছিল যিনি যুবতী বয়সে এমন করতেন আর এখন বয়সের ভারে এসব অতীত। শেষদিকে এসে মন খারাপ হয়ে গেল যে আহা বেচারী বেঁচেই নেই!
সুন্দর লিখেছেন খায়রুল আহসান ভাই। +++

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের দৈনন্দিন নান্দনিক কাজগুলো হয়তো কারো মনে স্মৃতি হয়ে ভাসবে, যখন আমরা আর এ ইহজগতে থাকবো না। তেমন কাজ যেন আমরা সবাই বেশী বেশী করে করে যেতে পারি।
বাহিরের চোখ আর অন্তরের চোখ মিলে আমাদের কাব্যচর্চায়, শিল্পচর্চায় সহায়তা করে, আর আমাদের হাতদুটো আমাদেরকে যে কোন সৃষ্টিশীল কাজে সহায়তা করে। একদিন এসব কিছুই কঙ্কাল হয়ে গেলেও আমাদের সৃষ্টি বেঁচে থাকবে মানুষের মনে।
কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

সোহানী বলেছেন: হায়রে মানুষ রঙ্গিন ফানুষ দম ফুরাইলে ঠুস......

জীবনের দৈাড়ে একসময় সোনালী ঝলমলে দিনগুলো ধূসর হয়ে যাবে। তারপর..... তারপর তিনহাত মাটির নীচে।

আমার প্রিয় একটি গান...

খুব ভালো লাগলো প্রিয় লেখক। ও পরের ব্যাখ্যাটুকু সেটিকে আরো প্রিয় করে তুলেছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সামিনা চৌধুরীর গানটা আগে শোনা হয়নি। গানটা খুবই বিষাদময়। কবিতার সাথে গানটার একটা সম্পর্ক আছে বটে, তবে আমি এতটা বিষাদ ভারাক্রান্ত মনে কবিতাটি লিখিনি। আমি লিখেছি যেকোন সৃষ্টিশীল কাজের পেছনে মানুষের কর্ম ও মননের সৌন্দর্যের কথা ভেবে।
কবিতা পড়ার জন্য এবং গান দুটোর লিঙ্ক দেবার জন্য ধন্যবাদ। কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: কবিতাটি পড়ে যে ভাব মনে এসেছিল তা এই- আজ যে আনন্দ, গান উপভোগ করছি কাল উপভোগের সময় নাও থাকতে পারে।

পাদটীকা না থাকলে নিজের মতো করে অর্থ করে নেয়া যায়। অবশ্য আমি পাদটীকা যোগ করার আগেই কবিতাটি পড়েছিলাম আর নিজের মত করে বুঝেছিলাম।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে সঠিক ভাবটাই আপনার মনে এসেছিল। তার সাথে আরেকটু যোগ করতে পারেন, আজ কিছু সুন্দর সৃষ্টি রেখে যেতে পারলে কাল হয়তো কেউ সেটা দেখে আমাদের মনে করবে। এছাড়া পৃথিবীর সবকিছুই নশ্বর, একমাত্র স্রষ্টাই অবিনশ্বর।
অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর একটি মন্তব্য এখানে রেখে গিয়ে প্রেরণা দিয়ে যাবার জন্য।
ভাল থাকুন, অনেক, অনেক শুভেচ্ছা---

৩০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সময়ের বিবরে একটি অপরূপ কবিতা যা বর্তমান থেকে পাঠককে অতীত ও পিছনে নিয়ে যায়, কবির সাথে নারী সত্তার সম্পর্কের প্রতিফলন করে।এখন যে নেই তার স্মৃতিময় জীবনের কথামালা বুঝতে সহায়তা করে। কবিতার প্রধান থিমগুলির মধ্যে দুঃখ বেদনা আনন্দ সুখস্মৃতির অনুভুতির সাথে একজন কবির অতীত দিন সময়গুলি মোকাবিলা করার পর্যায় অতিক্রম করার বিষয়সমুহ তুলে ধরা হয়েছে বলেই দেখা যায় । কবিতাটির মধ্যে একটি অপুর্ব অনুভুতি বিদ্যমান । এটাও স্পষ্ট যে কবি ও নারীর মধ্যে নিবীর আবেগগত সম্পর্ক রয়েছে ।সময়ের বিবরে কবিতার কাঠামোটি নিখুতভাবে সাজানো হয়েছে , সময়ের আবহে মুরানো কনটেন্টগুলিকে দারুন ভাবে মুর্ত করে তুলা হয়েছে । অর্থবহ শিরোনাম থেকে শুরু করে কবিতার শেষ লাইন অবধি পরিশেষে কবিতার প্রেক্ষিত বর্ণনা টুকুও মনকে ছুয়ে যায় । মুল থিমের সাথে সঙ্গতি রেখে কবিতার কথামালাগুলি সত্যিই একটি কবি মন ও নারীর অসাধারণ সম্পর্কগুলি আস্টেপৃষ্টে বাধা রয়েছে বলেই প্রতিভাত হয় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময়ের বিবরে কবিতার কাঠামোটি নিখুতভাবে সাজানো হয়েছে , সময়ের আবহে মুরানো কনটেন্টগুলিকে দারুন ভাবে মুর্ত করে তুলা হয়েছে - অনেক ধন্যবাদ, ডঃ এম এ আলী, এমন চমৎকার একটি মূল্যায়নের জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৩১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ।
কবিতায় কিছু রহস্য থাকা চাই৷ কবি কি বলতে চেয়েছেন, তা ঠায়ঠায় বুঝতে চাওয়া পাঠকের উচিৎ নয়। জীবনানন্দের কবিতা যেমন, বোঝা যায় না সবটা, কেন তিনি ব্যবহার করেছিলেন সাধু চলিতের মিশ্রণ, অনেক চেষ্টা করেও পারিনি বুঝতে।
আমারও এমন মত। কবিতা ছড়া নয় যে পড়েই এর মর্মার্থ ধরে ফেলা যাবে। কবিতা পড়ে পাঠক একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাবে। ঠিক বেঠিক যাই হোক নিজেই নিজের মত ভেবে নিবে 'কবি কি বলেছেন'। এটাই কবিতার আবেদন। ৩০ বার পড়া কবিতাও যখন আবার পড়ি সেখানে দেখা যায়, এবারের পড়ায় নতুন কিছু উদ্ঘাটিত হয়েছে।
কবিতায় লাইক।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা সম্পর্কে বেশ কিছু মূল্যবান কথা বলেছেন, এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৩২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কবিতায় ভালো লাগা। কবিতাটা যে উদ্দেশ্যে লিখেছেন সেখানেও ভালো লাগা।
শুধু নির্দিষ্ট কারো জন্য কবিতা লিখতে হয় বা হবে এমন কোনো শর্ত নেই!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সময় করে এসে কবিতাটা পড়ার জন্য। বিচক্ষণ মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আশাকরি ভাল আছেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সাদা দৃষ্টিতে মরে গেলেই সব শেষ।

সেই কঙ্কালটি ভাগ্যবান যাকে নিয়ে কাব্য লিখা হলো।

আসলেই মরে গেলেতো আমাদের নাম পরিচয় একদিন মুছে যাবে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাদা দৃষ্টিতে মরে গেলেই সব শেষ - সাধারণতঃ তাই, আবার কারো কারো জন্যে তা নয়। যারা ভাল কাজ করেন, তাদের হাড় হাড্ডি মাটির সাথে মিশে যাবার পরেও মানুষ অনেকদিন পর্যন্ত তাদেরকে মনে রাখে।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা---

৩৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

রাকু হাসান বলেছেন:

মেঘের কাজল বেশ ভাল লাগছে । সুখপাঠ্য কবিতা । আমি তিনবার কবিতাটি পড়লাম ।প্রায় সব গুণি মানুষদের মন্তব্য ও পড়লাম । পাদটীকা দিয়ে আরও ভাল হয়েছে । প্লাসে কবিতার সঠিক মূল্যায়ন আমি কখনও করতে পারি না স্যার । আরও বেশি কিছু করার থাকতো যদি ! তবু চেষ্টা মাত্র +++
ভাল আছেন শ্রদ্ধেয় ?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায়, কবিতাটিকে সুখপাঠ্য মনে হওয়ায় অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। মেঘের কাজল কথাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনেও প্রীত হ'লাম।
আমি আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আশাকরি আপনিও সপরিবারে কুশলেই আছেন।
ভাল থাকুন, সব সময়। শুভেচ্ছা---

৩৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: অনন্য প্রকাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে এসে আমার এ কবিতায় মুগ্ধতা রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.