নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
শ্রীমতি গীতা দত্ত,
আপনার কালজয়ী গানে কত যে চিত্ত
হয় অহর্নিশি উদ্বেলিত,
জানিনা সে হিসেব আছে কিনা কারো করায়ত্ত!
তবে এটুকু জানি,
কিশোর বয়সে যখন প্রথম এ গান শুনি,
সেই থেকে ছোট এক আশা বেঁধেছিল বাসা
বিরাণ এ বুকে,
কেউ একজন বলুক ডেকে,
নাই বা থাকলো কন্ঠে তার সুর, এত সুমধুর,
তবু কাছে এসে একান্তে বলুক, এ গান তোমার
'তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার’!
শ্রীমতি গীতা দত্ত,
যদিও আজ আপনি পরলোকগত,
আপনার কিন্নরী কন্ঠে আজও শুনে যাই
হৃদয় বিদীর্ণ করা সেই বিষাদের সানাই।
আপনি শুনিয়েছেন প্রেমাষ্পদকে কাছে পাবার
এক আদুরে আবদার; নিটোল ভালোবাসার
এ যেন এক চিরন্তন অধিকার তাকে শোনাবার
'তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার'!
(২৩শে নভেম্বর শ্রীমতি গীতা দত্তের জন্ম তারিখ। প্রায় চার বছর আগে ওনার জন্মবার্ষিকীতে তাঁর গাওয়া বহুল শ্রুত, আমার অতি প্রিয় এই কালজয়ী গানটির কথা স্মরণ করে এ কবিতাটি লিখেছিলাম। গানটির একটা লিঙ্ক নীচে দেওয়া হলো।)
তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার
গীতা দত্ত সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
গীতা দত্ত (জন্ম নাম গীতা ঘোষ রায় চৌধুরী) আমাদের ফরিদপুরের ইদিলপুরে ১৯৩০ সালে জন্মেছিলেন, বর্তমানে তা শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায় অবস্থিত। চল্লিশ শতকের গোড়ার দিকে তার পরিবার এখানে সহায় সম্পত্তি ফেলে রেখে ভারতের বোম্বেতে চলে যান। ১৯৫৩ সালে তিনি ভালবেসে চিত্র পরিচালক গুরু দত্তকে বিয়ে করেন। তার বড় ছেলে তরুণ দত্ত মাত্র ৩১ বছর বয়সে মারা যান। মেজ ছেলে অরুণ দত্তও কম বয়সে (৫৫) দেহত্যাগ করেন। ছোট মেয়ে নীনা দত্ত এখনো জীবিত আছেন, তার বয়স এখন ৫৪ বছর। তার স্বামী গুরু দত্ত যখন চিত্রাভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমানের সাথে প্রেম প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন, তখন থেকে তার জীবনে নেমে আসে দুঃখ ও অশান্তির কালো ছায়া। অবশেষে তাদের বিয়েটা যখন ভেঙে গেল, সেই সাথে শেষ হয়ে গেল একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তার বিকাশমান ক্যারীয়ার। তিনি ক্রমে ক্রমে মাদকতায় আসক্ত হতে থাকেন। ১৯৬৪ সালে গুরু দত্ত অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ঘুমের বড়ি সেবন জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তিনি দুইবার আত্মহত্যার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন বলে তার এ মৃত্যুকেও আত্মহত্যা বলেই ব্যাপকভাবে মনে করা হয়। তার মৃত্যুতে গীতা দত্ত মুষড়ে পড়েন এবং ধীরে ধীরে তার নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়। তিনি কঠিন আর্থিক সমস্যায় নিপতিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি বধূ বরণ নামে একটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জীবকুমার-তনুজা অভিনীত হিন্দী ছবি অনুভব এর বেশ কিছু গানে তিনি শেষবারের মত কন্ঠদান করেন। ১৯৭২ সালে তিনি অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
(তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)
ঢাকা
২৩ নভেম্বর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কাছ থেকে প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটি পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
গানটি কালজয়ী। আরো বহু প্রজন্মের হৃদয়ে এ সুরেলা গানটি ঠাঁই করে নেবে বলে আমি মনে করি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো...
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
ঢাকার লোক বলেছেন: হারানো সুরের এ কালজয়ী গান গীতা দত্তকে করেছে অমর ! আপনার এ কবিতা শুধু আপনারই কথা নয় এ যেন তাঁর প্রতি সকল মুগ্ধ বাঙালীরই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ !!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ চিরমধুর গানটির এবং এর গায়িকার প্রতি আপনার এতটা মুগ্ধতার কথা জেনে আমিও মুগ্ধ হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
রাকু হাসান বলেছেন:
বাহ বাহ শ্রীমতি গীতা দত্তকে স্বরণ করে দারুণ কবিতা ।
আপনার কিন্নরী কণ্ঠে আজও শুনে যাই
হৃদয় বিদীর্ণ করা সেই বিষাদে সানাই -----চমৎকার
শ্রীমততি গীতা দত্ত লিজেন্ড--গানে বেঁচে থাকবে ।
আমার পছন্দের একটি গান
তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার
তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার
কানে কানে শুধু একবার বল, তুমি যে আমার
তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ।
মূল গানটির লিঙ্ক সংযোজন করে দিলাম। এ লিঙ্কটির গান শুনলেই বুঝতে পারবেন, মূল এবং অমূলের পার্থক্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
যুগে যুগে মানুষের হৃদয়ে অনুভবতার জোয়ার এনেছে এই গান; কবিতা সেই গান ও গায়িকাকে করেছে স্মরণীয়, বরণীয়
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা সেই গান ও গায়িকাকে করেছে স্মরণীয়, বরণীয় - ধন্যবাদ, এমন সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
আপনার শ্রদ্ধাঞ্জলীর প্রতি রইল আমার অন্তরের কুর্নিস । সঙ্গে কালজয়ী শিল্পীকে জানাই সম্মান ।
কবিতায় ++
শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার,. তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার,. কানে কানে শুধু একবার বল, তুমি যে আমার উত্তম সুচিত্রার সেই জুটি বদ্ধ গানের পেছনের গীতা দত্তকে আমরা অনেকেই তেমন মনে রাখি না। নায়ক নায়িকাই যেন গান গাইছেন এমনটাই ভাবি।
আপনার কবিতায় গীতা দত্তের স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে ভাসে উত্তম সুচিত্রা, কানে বাজে গীতা দত্ত!
গীতা দত্ত (জন্ম নাম গীতা ঘোষ রায় চৌধুরী) আমাদের ফরিদপুরের ইদিলপুরে ১৯৩০ সালে জন্মেছিলেন, বর্তমানে তা শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায় অবস্থিত। চল্লিশ শতকের গোড়ার দিকে তার পরিবার এখানে সহায় সম্পত্তি ফেলে রেখে ভারতের বোম্বেতে চলে যান। ১৯৫৩ সালে তিনি ভালবেসে চিত্র পরিচালক গুরু দত্তকে বিয়ে করেন। তার বড় ছেলে তরুণ দত্ত মাত্র ৩১ বছর বয়সে মারা যান। মেজ ছেলে অরুণ দত্তও কম বয়সে (৫৫) দেহত্যাগ করেন। ছোট মেয়ে নীনা দত্ত এখনো জীবিত আছেন, তার বয়স এখন ৫৪ বছর। তার স্বামী গুরু দত্ত যখন চিত্রাভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমানের সাথে প্রেম প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন, তখন থেকে তার জীবনে নেমে আসে দুঃখ ও অশান্তির কালো ছায়া। অবশেষে তাদের বিয়েটা যখন ভেঙে গেল, সেই সাথে শেষ হয়ে গেল একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তার বিকাশমান ক্যারীয়ার। তিনি ক্রমে ক্রমে মাদকতায় আসক্ত হতে থাকেন। ১৯৬৪ সালে গুরু দত্ত অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ঘুমের বড়ি সেবন জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তিনি দুইবার আত্মহত্যার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন বলে তার এ মৃত্যুকেও আত্মহত্যা বলেই ব্যাপকভাবে মনে করা হয়। তার মৃত্যুতে গীতা দত্ত মুষড়ে পড়েন এবং ধীরে ধীরে তার নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়। তিনি কঠিন আর্থিক সমস্যায় নিপতিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি বধূ বরণ নামে একটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জীবকুমার-তনুজা অভিনীত হিন্দী ছবি অনুভব এর বেশ কিছু গানে তিনি শেষবারের মত কন্ঠদান করেন। ১৯৭২ সালে তিনি অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে কেন যেন পর্দার অন্তরালে থাকা এ গুণী শিল্পীর জীবনের প্রতি একবার ফিরে তাকানোর ইচ্ছে হলো। উইকিপিডিয়া ছেঁকে উপরের তথ্যগুলো এখানে উল্লেখ করলাম। এগুলো মূল পোস্টের শেষেও সংযোজন করে দিব, তবে আপনার মন্তব্য পড়েই যেহেতু তার সম্বন্ধে জানতে ইচ্ছে হয়েছে, সেহেতু কথাগুলো নাহয় এখানেও থাক।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা---
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮
সুমন কর বলেছেন: কালজয়ী গান। আপনার কবিতাও অনেক সুন্দর হয়েছে।
+।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কবিতাও অনেক সুন্দর হয়েছে - অনেক ধন্যবাদ, সুমন কর। কবিতার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২
বাকপ্রবাস বলেছেন: আজকেই শুনছিলাম তার গান
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, মন দিয়ে উপভোগ করেছিলেন সেসব গান।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট অন্ত্যমিল এইমাত্র পড়ে এলাম।
১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২
রাজীব নুর বলেছেন: তার গান কি ইউটিউব এ আছে? থাকলে লিংক দেন। শুনি।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, আছে। আপনার আগ্রহে অনুপ্রাণিত হয়ে গানের লিঙ্কটা সংযোজন করে দিলাম, গানটা শোনেন।
লিঙ্কটা দেয়ার পর মনে হলো, গীতা দত্তের একটা ছবিও দেই না কেন! সেটাও দিলাম। ছবিটা দেখুন।
১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই শ্রীমতি গীতা দত্তকে। কবিতা ভাল লিখেছেন। +++
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা---
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার "ছোট গল্প– জাদু কলম" পোস্টটা পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।
১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: শ্রীমতি গীতা দত্ত অমর থাকবে ভক্তের অর্ন্তকূলে । ভক্তের মন ভালোবাসা চিরায়িত হউক সব সময় । ভালো লাগলো সুন্দর গান কাব্য রচনা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: গীতা দত্তের গান আমি কখনো শুনিনি। তবে গীতা দত্তের জন্মস্থান ছিলো আমাদের এলাকায়। তার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা রইল।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে গীতা দত্তের জন্মস্থান ছিলো আমাদের এলাকায় - আপনার এ মন্তব্যটা আসার কিছু পরে গীতা দত্তের একটা সংক্ষিপ্ত জীবনী জুড়ে দিয়েছি। সেখানে ওনার জন্মস্থানের কথা উল্লেখিত হয়েছে।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
শিখা রহমান বলেছেন: তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার
কানে কানে শুধু একবার বলো তুমি যে আমার --- গানটা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। বাবার খুব প্রিয় গান ছিলো। গীতা দত্তের "এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু।। কোন রক্তিম পলাশের স্বপ্ন মোর অন্তরে ছড়ালে গো বন্ধু।" গানটাও প্রিয়।
আপনার সুন্দর কবিতায় গানের ভেলায় হঠাতই কিশোরী বেলা ফিরে এলো।
শুভকামনা প্রিয় কবি-লেখক। কবিতায় ভালোলাগা রইলো।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যে দুটো গানের কথা উল্লেখ করলেন, সে দুটোরই কথা ও সুরের আবেদন অসামান্য। খুশী হ'লাম, কবিতা পড়ে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করলেন বলে। মন্তব্যের আন্তরিকতায় প্রীত হ'লাম।
ভাল থাকুন, সপরিবারে---
১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয় গান ,পিরয় হয়ে উঠা শিল্পীর প্রতি চমৎকার নৈবদ্য!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায় আপনার মন্তব্যটাও বেশ চমৎকার হয়েছে, মনিরা সুলতানা। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, ভাল থাকুন সপরিবারে।
১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: কিছুদিন আগে আমির খান অভিনীত দঙ্গল মুভিটা দেখেছিলাম। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে কুস্তিতে ৫৫ কেজি ক্যাটেগরিতে স্বর্ণপদক পাওয়া গীতা ফোগাট এবং একই গেমসে ৫১ কেজি ক্যাটেগরিতে রৌপপদক ও ২০১৪ কমনওয়েল গেমসে ৫৫ কেজি ক্যাটেগরিতে স্বর্ণপদক পাওয়া ববিতা ফোগাট এই দুই বোনের কুস্তিগীর হয়ে ওঠা নিয়ে তৈরী হয়েছে মুভিটা।
আপনার কবিতার প্রথম লা্ইনে গীতা নামটা দেখেই চট করে ওই মুভিটার কথা মনে পড়ে গেল। এই শিল্পী গীতা দত্ত সম্পর্কে কিছুই জানতাম না, যদিও ওই গানটা শুনেছি।
ভালো থাকবেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই শিল্পী গীতা দত্ত সম্পর্কে কিছুই জানতাম না, যদিও ওই গানটা শুনেছি। - সে জন্যেই তো এই শিল্পী গীতা দত্ত সম্পর্কে কিছু তথ্য পোস্টে জুড়ে দিলাম। পড়ে দেখবেন আশা করি।
১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: গীতাদত্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, চমৎকার পোস্ট।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪
নেপচুন নেহাল বলেছেন: ওগো তুমি যে আমার.....এই গান একটি কালজয়ী গান। খুব কাছে টানে গানটি...,সকল বয়সের সাথে যায় গানটি,,,
শ্রীমতি গীতা দত্তকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি....
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সকল বয়সের সাথে যায় গানটি - ঠিক তাই, অবশ্যই। তাঁর কন্ঠ শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়ে যায় অনায়াসে, যে কোন বয়সের।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: গানটি খুব পছন্দের । কবিতাও ভালো লেগেছে খুব। সাথে শ্রদ্ধেয় গায়িকা সম্পর্কেও জানা হল।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই তিনটে কথার জন্য আপনাকে তিনবার ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হলাম। শুভকামনা...
২০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
অন্তরন্তর বলেছেন: খুব প্রিয় একটি গান। আপনার লিখায় শ্রদ্ধেয় গীতা দত্ত ও তাঁর অমর সৃষ্টি এই গানটি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক ধন্যবাদ মনের গভীরে থাকা এই গান ও গায়িকাকে মনে করিয়ে দেবার জন্য।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ, আমার এ সামান্য প্রয়াসকে চমৎকার একটি মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করে যাবার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
হৃদয় আকাশে ভালোলাগার মধুর আবেশের রঙ ছড়িয়ে দেয়া একটি গান । যার জীবনে ভালোবাসা কখনও ধরা দেয়নি, সেও মনে মনে নিভৃতে একবার না একবার এই গানটি গুনগুন করে গেয়েছেন । এ গানটি জন্মই হয়েছিলো কেবলমাত্র গীতা দত্তের হাল্কা-নরম- আবেগী-মিষ্টি-সুরেলা-হৃদয়হরণকারী কন্ঠের জন্যেই । যে আবেগে গীতা এই গানটি গেয়েছেন তা আজও ভালোলাগার শিহরণ তুলে এই বুড়ো হাড়ের মজ্জা পর্যন্ত কাঁপিয়ে দেয় । গানের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য কি করে যে গীতার গলায় স্বর্গীয় সুষমায় উঠে এসে একটা ঘোরের মধ্যে শ্রোতাকে বেঁধে ফেলেছিলো, ভেবে পাইনে । আজও পাইনে ।
এ যেন একাধারে সুখময় এক বিষাদের করুন সুর এবং বিষাদময় সুখের ঝংকার ।
দুঃখিত , প্রয়াত গীতা দত্তের এই অবিস্মরণীয় গানটি এবং তাকেও আমি যথাযথ ভাবে তুলে ধরতে পারিনি এখানে । ভাষা ফুরিয়ে গেছে । কানে শুধুই যেন বেজে চলেছে সেই আকুতি --- শুধু একবার বলো , তুমি যে আমার ............।
নস্টালজিক এমন একটি গান ও তার অমর শিল্পীকে নিয়ে আপনার এই পোস্টটির কথা মনে থাকবে বহুদিন । যখন এই গানটি আবার শুনবো তখন মনে পড়বে, এক কঠিন সৈনিকের হৃদয়েও ঝড় উঠছে আমারই মতো ................
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: গানটি যে আপনারও এতটা প্রিয়, তা এই মন্তব্য থেকেই বুঝতে পেরে প্রীত বোধ করছি। আমি যেটা কবিতায় বলার প্রয়াস পেয়েছি, আপনি তার চেয়ে অনেক সুন্দর করে আপনার এ মন্তব্যে বলে গিয়ে গান ও গায়িকার প্রতি আপনার ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানালেন অনেক কাব্যিক ভাষায়। যেমনঃ
এ যেন একাধারে সুখময় এক বিষাদের করুন সুর এবং বিষাদময় সুখের ঝংকার
গানের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য কি করে যে গীতার গলায় স্বর্গীয় সুষমায় উঠে এসে একটা ঘোরের মধ্যে শ্রোতাকে বেঁধে ফেলেছিলো, ভেবে পাইনে
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এমন চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
আপনার চমৎকার কবিতা তুই ফেলে এসেছিস কারে ...... পড়ে গতকাল দুট মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার
কানে কানে শুধু একবার বলো তুমি যে আমার
কালজয়ী গান নিয়ে দারুন মুগ্ধতার, ভালবাসার, ভাললাগার কাব্য ।
কতবার শুনেছি এ গান, অনুভব করেছি আকুলতা
অমন ব্যাকুল করে প্রকাশের ভাবনাতো একবারো খেলেনি!
ব্রাভো প্রিয় সিনিয়র
দারুন এক কাব্য উপহারে মুগ্ধ
++++++++