নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেমন্তের এই প্রথম বিকেলে...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০২

আজ থেকে শুরু হয়েছে হেমন্তকাল। হেমন্ত, যে ঋতুর পুরোপুরি সঠিক কোন ইংরেজী প্রতিশব্দ নেই। এখন থেকে শুরু হবে এই হ্রস্ব বিকেলটাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি। ভাতঘুম হবে, না লেখালেখি, নাকি দুটোই? (প্রশ্নটা শুধুই আমার মত বিশ্রামে থাকা কর্মহীন অবসরপ্রাপ্তদের জন্য, কর্মরত কোন নিষ্ঠাবান কাজপাগল মানুষের জন্য নয়।) এ প্রশ্নের উত্তর- যেকোন একটি হতে পারে, দুটো কিছুতেই নয়। এখন থেকে লাঞ্চের পর আর বেশী কিছু করার সময় পাওয়া যাবে না। আগে লাঞ্চের আগে বা পরে একটা লম্বা ঘুম দেয়ার পরেও অনায়াসে ঘন্টা দুয়েক বা তারও বেশী কিছু নিটোল সময় লেখালেখির জন্য পাওয়া যেত। এখন যে কোন একটা বিসর্জন দিতে হয়- হয় ভাতঘুম, নয়তো লেখালেখি। লাঞ্চের পর কিছু লিখতে বসলে শেষ করার অনেক আগেই আসরের আযান দিয়ে দেয়। আসরের নামাযের পর না থাকে ঘুমোবার সময়, না থাকে লেখালেখির। এরই মধ্যে আসে মাগরিবের ডাক। লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সন্ধ্যার পরের সময়গুলোও দ্রুত পার হয়ে যায়। রাত জাগার অনুমতি নেই, তাই লেখালেখির জন্য অপেক্ষা করতে হয় পরের প্রত্যুষের জন্য। প্রত্যুষ পরবর্তী এবং মধ্যাহ্ন পরবর্তী সময়টুকুই আমার লেখালেখির জন্য বরাদ্দ।

এ সময়টাতে গ্রামীণ জীবনে নবান্নের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়, ক্ষেতে ক্ষেতে পাকা ধান দেখে কৃষকদের মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। হেমন্তে কাটা হয় বলে কোন এলাকায় এই ধানকে “হেমতি ধান”ও বলা হয়ে থাকে। গ্রামের গেরস্তদেরকে দেখেছি, হেমন্তের বিকেলগুলোতে চিরপরিশ্রমী এই মানুষগুলোও যেন কিছুটা আলস্যের প্রশ্রয় খোঁজে। তবুও তাদের বিশ্রাম ফেলে রেখে হাটে যেতে হয়, গবাদি পশুদের গোয়ালে ডেকে আনার আগেই ধূলি ধূসরিত কুয়াশা আর বিচালি পোড়ার ধোঁয়াশা মিলে আঁধারটাকে যেন একটু আগে ভাগেই ডেকে আনে। বধূবালারা দীঘির জলে ডুবসাঁতার দেয়ার বেশীক্ষণ সময় পায়না। স্নানশেষে ক্ষুন্নিবৃত্তির পর তারা উন্মুক্ত উঠোনটাতে চুল ছেড়ে দিয়ে গা এলিয়ে বসে ক্ষণিক সময় গল্পগুজবে মেতে ওঠে ঠিকই, কিন্তু চুল শুকোবার আগেই রবিমামার অন্তর্ধানের ফলে তাদের ভেজা চুলেই বেণী কিংবা খোপা বাঁধতে হয়। কেউ কেউ গোধূলি বেলায়ও স্নান সেরে কাঁখে জলভরা কলসি নিয়ে হয়তো ঘরে ফেরে। তাদের দেখে হয়তো বাংলা গানের চেয়ে হিন্দী গান শুনতে অভ্যস্ত আমাদের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মনে পড়ে যায় “কাঁহি দূর যব দিন ঢল্ যায়ে সাঁঝ কি দূলহন্ বদন চুরায়ে চুপকে সে আয়ে” গানটির কথা।

কাঁহি দূর যব দিন ঢল্ যায়ে

দ্রুত অপসৃয়মান হলেও, এই নাতিদীর্ঘ মধ্যাহ্ন পরবর্তী সময়টার প্রতি আমার ভীষণ মায়া। আমার খুব ভাল লাগা একটি সময়- কিছু লেখার, কিছু গান শোনার, নয়তো দৈবচয়নের ভিত্তিতে কোন বই কিংবা প্রিয় লেখকের কোন ইলেক্ট্রনিক লেখালেখি পড়া- এসব করেই কাটে এসব হ্রস্ব বিকেলগুলো। জানালাটার পর্দা সরানো থাকলে মেঘের আনাগোনা কিংবা পাখির ওড়াউড়ি দেখতেও ভাল লাগে। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই দেখি, এক চিলতে সোনালী রোদটুকু খুব দ্রুতই ম্লান হয়ে যাচ্ছে, কিসের যেন তার তাড়া! দেখতে দেখতে দীপ্যমান সূর্যটা কমলা রঙ ধারণ করে ঝুপ করে ওপারে ডুব দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। আমার ভাললাগা ভাবনাগুলোতেও অকস্মাৎ ঘটে যবনিকাপাত।

ঢাকা
০১ কার্ত্তিক, ১৪২৫
১৬ অক্টোবর ২০১৮
বিকেল চারটা পঁয়ত্রিশ।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! আপনার বর্তমানের রোজনামচার সঙ্গে সুন্দরি হেমন্তের মায়াবী রূপের যেন দারুণ অভিব্যক্তি ।

++

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৈমন্তিক এ পোস্টের আপনি প্রথম পাঠক, প্রথম মন্তব্যকারী এবং প্রথম প্লাস দাতা। সবকিছুর জন্যই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং নিরন্তর শুভেচ্ছা!
মন্তব্যটি ভাল লেগেছে, প্রীত হ'লাম।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

রাকু হাসান বলেছেন:


:) শেষের দিকে পদ্যটা দারুণ লেগেছে । একজন প্রকৃতির মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ মানুষ লাগছে ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন প্রকৃতির মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ মানুষ লাগছে - প্রকৃতি আমাদের এতই অপরূপা যে মায়া না করে উপায় নেই। আগে এ চোখদুটো শুধুই বসন্তবিমুগ্ধ ছিল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য ঋতুর সৌন্দর্যও চোখ জুড়িয়ে দিয়েছে। বাঙলা মায়ের ষড়ঋতুর প্রত্যেকটিই ইউনিক। প্রত্যেকটির পৃথক সৌন্দর্য আছে, যা যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের প্রেরণা যুগিয়ে গেছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!!

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে লেখা।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হেমন্তের এই সময়টা আমার কাছে খুবই ভাল লাগে।এখন আবহাওয়াটা না ঠান্ডা বেশি না গরম।
ছোট বেলায় বেলা ছোট হয়ে এলে খারাপ লাগত।কারন বড় বেলায় খেলাধুলা বেশি করতে পারতাম।আর ছোট বেলায় দ্রুত সন্ধ্যা নামে তাই বই নিয়ে পড়তে বসতে হয়।আগে মা বলতেন শীতকালের বেলার সাথে দৌড়ে পারা যায় না।যোহর-আসর-মাগরীব-এশার সালাতের সময় খুব দ্রুত চলে আসে।
আপনার লেখা পড়ে ছোট বেলার হেমন্তের দিন গুলির কথা মনে পড়ে গেল।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, নাতিশীতোষ্ণ এই সময়টা খুবই মনোরম। প্রকৃ্তি সর্বাঙ্গে মায়াবী রূপ ধারণ করে থাকে।
আপনার লেখা পড়ে ছোট বেলার হেমন্তের দিন গুলির কথা মনে পড়ে গেল - বড়বেলার হেমন্তের দিনগুলো কেমন কাটাচ্ছেন, সেটাও বলুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমিও ভাত ঘুমে অভ্যস্থ । আমাদের দেশে সব নামাজের সময় পরিবর্তন হয়, জোহরের নামাজের জামাতের সময় সব সময় দেড়টায়।
এই সিজনে জোহরের সময় শুরু হয় ১১টা ৪০ থেকে, তাই জামাত সাড়ে বারোটায় করা দরকার, তাহলে বিকেলে ঘণ্টা খানেক বেশি সময় পাওয়া যাবে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: জোহরের নামাজ যখনই হোক, দিনের আলো প্রাপ্যতার পরিমাণ তো একই থাকবে!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পুরনো পোস্ট- আমও গেলো ছালাও গেলো! (২৭ আগস্ট ২০১৭) পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রকৃতি প্রীতিতে রোজনামচার সাথে সুন্দর ঋতুটির একাল বর্ণনা ভাল লেগেছে। প্রবাসে থাকার বদলতে সব ঋতু থেকে দূরে থাকতে হয়। গরম আর শীত এই অনুভুতি নিয়ে বেশ কয়বছর যাচ্ছে জীবনবোধের গল্প বেড়ে। দেশের প্রতিটি মুহুর্ত মিস করি যখন বিদেশে থাকি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশের প্রতিটি মুহুর্ত মিস করি যখন বিদেশে থাকি - আপনার এ অনুভূতিটুকু আমি বেশ উপলব্ধি করি। কারণ আমিও ৫+ বছর একাদিক্রমে সপরিবারে প্রবাসে ছিলাম।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হেমন্তের দিনে পথিক হতেই সবচেয়ে ভালো লাগে......তাই গতকাল একটু টাঙ্গাইল থেকে ঘুরে এলাম।
আপনি ভালো আছেন?

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: হেমন্তের দিনে পথিক হতেই সবচেয়ে ভালো লাগে......তাই গতকাল একটু টাঙ্গাইল থেকে ঘুরে এলাম - আর পথে পথে কী কী দেখলেন? :)
জ্বী আমি ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ! ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।

২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট, "নিখোঁজ" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। আশাকরি, একবার সময় করে পড়ে দেখবেন।

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হেমন্তের শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয় খায়রুল হাসান ভাই । :) ভালো লিখেছেন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সেলিম আনোয়ার, মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: কেমন আছেন?
অনেক অনেকদিন- ব্লগ থেকে দূরে আমি।
আপনার মতো সত্যিকারের মনের মানুষের কাছে অনেক প্রত্যাশা।
ভালো থাকবেন আহসান ভাই। স্বাভাবিক ভালো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনেকদিন- ব্লগ থেকে দূরে আমি - প্রত্যাবর্তনে সুস্বাগতম! ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে কি?
আমি ভাল আছি, আশাকরি আপনিও কুশলেই আছেন।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

০২ রা জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় পোস্ট - অন্তঃ বহিঃ দ্বন্দ্ব পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন।

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

বিজন রয় বলেছেন: সহস্র হৈমন্তিক শুভেচ্ছা রইল।

বেঁচে থাকুন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রতিও রইলো হৈমন্তিক শুভেচ্ছা! মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪২

করুণাধারা বলেছেন: আমার প্রিয় ঋতু হেমন্ত, এই ঋতুতে বিরাজমান না শীত, না গরম আবহাওয়ার জন্য। হেমন্তের বিকেল গুলো সত্যিই অন্যরকম, মনে হয় ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে আসে! জানিনা কেন, হেমন্তের বিকেলে আকাশের দিকে চেয়ে মন বিষণ্ন হয়ে যায়.........

হেমন্ত শুরু হয়েছে তা লক্ষ্যই করিনি। আপনার পোস্টের মাধ্যমেই জানা হলো। হেমন্তের বিকেল নিয়ে আপনার ভাবনা ভালো লাগলো। চমৎকার গানটির জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হেমন্তের বিকেল গুলো সত্যিই অন্যরকম, মনে হয় ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে আসে - একদম ঠিক কথা বলেছেন। এভাবে এত দ্রুত সন্ধ্যা নেমে আসাটা ভাল লাগেনা, তবে তার পরেও হেমন্ত ভাল লাগে।
হেমন্ত শুরু হয়েছে তা লক্ষ্যই করিনি। আপনার পোস্টের মাধ্যমেই জানা হলো - আমিও চাচ্ছিলাম, আমার এ পোস্টটা পড়ে যেন কোন পাঠক তারিখটার দিকে তাকিয়ে ভাববে, হুম, হেমন্ত এসে গেল!
আপনার এ আন্তরিক মন্তব্যটাও খুব ভাল লাগলো। প্লাসে অনুপ্রাণিত। গানটি শোনার জন্যও ধন্যবাদ।

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: রোজনামচায় কতই না চমৎকার করে তুলে আনলেন ছুঁয়ে যাওয়া প্রকৃতি।
ভালোলাগা !

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল লাগলো হেমন্তের বিকেলের মতই ছোট কিন্তু সুন্দর আপনার এ ছোট্ট মন্তব্যটাও।
প্লাসে প্রাণিত।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

বলেছেন: নিজেকে অনন্য সাধারণ করে তোলার চেষ্টা [/sb


ভালোলাগা !

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে, আপনার এ মন্তব্যটা আমি ঠিক পরিষ্কার করে বুঝতে পারিনি। নিজেকে অনন্য সাধারণ করে তোলার চেষ্টা কে করেছে, হেমন্ত না লেখক নিজেই?
যাহোক, তবুও লেখাটা পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ। আর লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে, এটা জেনেও প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...

১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান আমার প্রিয় ঋতু হেমন্ত নিয়ে আপনার লেখাটি পড়ে অনেকক্ষন নিজের মনের কোনটি হাতড়ে বেরালাম । মনে পরলো বিয়ের পর এক গহীন গ্রামে মাস তিনেকের বসবাসের কাহীনি । সেটি ছিল আপনার কথিত ঠিক সেরকম এক গ্রামীন চিত্র । ফসল কেটে নেয়া বিস্তীর্ন ধানক্ষেত । গুটি গুটি পায়ে আসা শীত শীত সন্ধ্য । বিকেল হতেই ঝুপ করে রাত্রি নেমে আসা অন্ধকার । কি যে ভালোলেগেছিল সেই দিনগুলো তা ভোলার নয়।
অনেক ভালোলাগলো আপনার লেখাটি ।
+

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হেমন্ত আপনারও প্রিয় ঋতু জেনে প্রীত হ'লাম। আর অল্প কয়টা লাইনে আপনার গহীন গ্রামে মাস তিনেকের বসবাসের বর্ণনাটাও খুব ভাল লেগেছে। গুটি গুটি পায়ে আসা শীত শীত সন্ধ্য । বিকেল হতেই ঝুপ করে রাত্রি নেমে আসা অন্ধকার - একদম পারফেক্ট বর্ণনা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"সবুজ পাতার খামের ভেতর
হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে
কোন্ পাথারের ওপার থেকে
আনল ডেকে হেমন্তকে?"

হেমন্তের ফসল কাটাকে কেন্দ্র করেই নবান্ন উৎসবের সূচনা হয়। নবান্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব। নবান্ন হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব, যা সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে ফসল তোলার পরদিনই নতুন ধানের নতুন চালে ফিরনি-পায়েশ অথবা ক্ষীর তৈরি করে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। নবান্নে জামাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়, মেয়েকেও বাপের বাড়িতে ‘নাইওর’ আনা হয়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এই লেখাটা পড়ে আপনি সুন্দর একটি কবিতার কিছু চরণসহ হেমন্তের নবান্ন নিয়ে আরো কিছু তথ্য প্রকাশ করে গেলেন, এজন্য জানাচ্ছি আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "শুভ জন্মদিন" পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এলাম।

১৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: নস্টালজিক লেখা। কিছু বাক্যে ফিরে গেলাম গ্রামের সেই হেমন্তের দিনগুলোতে। নগরের কংক্রিটের জঞ্জালে এখন যা প্রায়শই মিস করি।

আপনার লেখায় করুণরস ঝরে পড়ছে। মন কিছুটা হলেও ভারাক্রান্ত হয়ে গেল।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখায় করুণরস ঝরে পড়ছে। মন কিছুটা হলেও ভারাক্রান্ত হয়ে গেল - চমৎকার করে বলা এই এ্যাপ্রিসিয়েশনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা...

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখাগুলোতে প্রকৃতির বিরাট প্রভাব পড়ছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রকৃতির ছায়ায় ছায়ায় লতায় পাতায় নিজ জীবনের প্রতিবিম্ব দেখতে পাই, সেজন্যেই হয়তো বা।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: হ্রস্ব বিকেল.....

অত:পর বিসর্জন.....

এবং ভালোলাগা ভাবনাগুলোর আকস্মাৎ যবনিকাপাত।

আপনার লেখার প্রেসি লিখে দিয়ে গেলাম! :)

++

( ১৭ নম্বর মন্তব্যটা মুছে দেন প্লিজ)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার প্রেসী লিখেছেন। মুগ্ধ হ'লাম। তবে তার আগে জানাতে চাই ব্লগে প্রত্যাবর্তনে সুস্বাগতম! :)
আশাকরি ভালই ছিলেন এতদিন, এবং এখন থেকে নিয়মিত আসবেন, যাবেন এবং থাকবেন।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...
চাহিদা অনুযায়ী মুছিয়া দিলাম! :)

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

এ.এস বাশার বলেছেন: শরৎ হেমন্ত খুব ভালো লাগার দুই ঋতু। ছোট বেলাই মনে পড়ে বেশ ধুম ধামে নবান্ন উৎসব পালন হত আমাদের বাড়িতে .. বাড়ির সব মেয়ে জামাইকে দাওয়াত করা হত। পিঠা পুলির ধুম লেগে যেত । দুই তিনটা ছাগল জবাই করা হত। আমরা ছেলে মেয়েরা কানা মাছি গোল্লাছুট খেলা নিয়ে খুব মেতে থাকতাম।স্মৃতি গুলো ভেবে খুব খুব সুখ অনুভব করি এখনো। সময়ের প্রয়োজনে সব যান্ত্রিকতায় পরিনত হয়েছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পড়ে আপনার কিছু স্মৃতি এখানে শেয়ার করায় প্রীত হ'লাম।

২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, ভালো রইলো, আশা করি আপনি ভালো আছেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক দিন পর আপনি আমার কোন পোস্টে এলেন, প্রীত হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
আমি ভাল আছি, ধন্যবাদ। আশাকরি, আপনিও কুশলেই আছেন।
শুভকামনা...

২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

আব্দুল্লহ আল মামুন বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগল। একটি অন্য রকম অনুভূতি যেন সারা হৃদয়ে ছড়িয়ে গেল। সুন্দর সাবলীল ও মায়াকাড়া শব্দের গাঁথুনির ফাঁদে পড়ে কিছু একটা মন্তব্য না লিখে থাকতে পারলাম না।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কথায় একটা সরলতা আছে, যা দেখে মুগ্ধ হ'লাম। এমন সহজ সরল ভাষায় নিজের লেখার প্রশংসা পেলে যেকোন লেখকই আপ্লুত হবেন, আমিও হয়েছি।
প্রশংসা ও প্লাসের জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...

২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ অনেকদিন পর এলাম, কিন্তু অনেক সময় শুধু প্লাস দিয়ে চলে যাই , মন্তব্য দেই না কারন পোস্ট না পড়ে মতামত কীভাবে জানাবো, পরে পুরোটা পড়ে মতামত জানাবো ভেবে মন্তব্য বাকী রাখি, তারপর বাসায় যেয়ে অফলাইনে বসে পড়ি ঠিকই কিন্তু ক্লান্তি জনিত কারনে লগইন করে আর মতামত জানানো হয়না। :(
সেই জন্য আমি দুঃখিত ভাইয়া।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, আমি সেটা লক্ষ্য করেছি যে আপনি আমার কয়েকটি লেখায় প্লাস দিয়ে নীরব থেকেছেন। কারণ যেটা বলেছেন, সেরকমই আমিও ধারণা করেছিলাম, কারণ ওরকম আমারও অনেক সময় হয়ে থাকে। কাজেই, বিষয়টা আমার জন্য সহজেই অনুধাবনযোগ্য।
সেই নীরব প্লাসগুলোর জন্যও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার লেখা সব সময়ই চমৎকার , ভাল থাকুন সব সময় ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইলো...

২৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

বে-খেয়াল বলেছেন: হেমন্তের শুভেচ্ছা, অসাধারন লেখনী।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, সুস্বাগতম!
লেখার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।
ভাল থাকুন, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট "ব্যাস্ততার ভীড়ে" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। একবার সময় করে দেখে নেবেন।

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০১

সুমন কর বলেছেন: হুম, এখনকার বিকেলগুলো খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়......লেখায় প্লাস।

* কিছু দিন ব্লগে ছিলাম না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখায় প্লাস দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার অনুপস্থিতি টের পেয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.