নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
সাগরের বুকে ভেসে চলেছিল একটি জাহাজ।
জাহাজের পিছে পিছে উড়ছিল কয়েকটি পাখি।
একটি হঠাৎ এসে বসে পড়লো মাস্তুলের উপর।
মনে হলো, আহার সন্ধানে তার কোন ইচ্ছে নেই।
জাহাজের মাস্তুলে বসা উড়ে আসা সেই পাখিটা
ওড়াউড়ির বদলে কি নিরুদ্বেগে ভেসে চলেছিল!
পাখিটা কি ক্লান্ত ছিল? নীড়হারা? ভাগ্যবিড়ম্বিত?
কোন দিকে কেন তার ভ্রূক্ষেপ নেই, আগ্রহ নেই?
ধ্যানমগ্ন সেই পাখির দৃষ্টি ছিল নির্লিপ্ত, নির্বিকার।
সুদূর প্রসারিত নয়, আবার সন্নিকটেও নিবদ্ধ নয়।
যার নিজ ডানায় ভর করে ওড়ার কথা, সে এমন
ঋষির মত কেন ধ্যানমগ্ন হলো, তা কেউ জানেনা।
দল ছেড়ে কত নটিকাল মাইল পথ সে পাড়ি দিল
পাখিটি তার হিসেব রাখেনি। ছোট্ট এই জীবনটার
কত হিসেব নিকেশ কালক্রমে অবান্তর হয়ে যায়!
তারপর আবার নতুন করে ওড়ার সময় হয়ে আসে।
ঢাকা
২৭ অক্টোবর ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ কবিতাটিতে প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কবিতার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ঠিক সেই মুহূর্তে মনে হয় পাখিটির কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল না, তবে যাপিত জীবন থেকে হয়তো ক্ষণিকের তরে নিবৃত্তি চেয়েছিল সে।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: কত হিসেব নিকেশ কালক্রমে অবান্তর হয়ে যায়!
তারপর আবার নতুন করে ওড়ার সময় হয়ে আসে। -- কি চমৎকার উক্তি!!
অাসলেই তো, জীবনের কত কিছুই একটা সময় পরে মনে হয় অবান্তর; মূল্যহীন। তবে নতুন করে শুরু করতে চাইলেও জীবনের যাঁতাকলে পড়ে সেটা মানবজীবনে কখনও কখনও সম্ভবপর হয়ে আর উঠে না। এখানেরই মনে হয় পাখির মুক্ত জীবনের সাথে মানুষের বদ্ধ জীবনের পার্থক্য।
অসাধারণ লাগল কবিতা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মূল্যবান পর্যবেক্ষণের সাথে আমি একমত। প্রথম প্লাসে এবং কবিতা থেকে ভাল লাগা দুটো চরণ উদ্ধৃত করায় অনুপ্রাণিত হয়েছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কত হিসেব নিকেশ কালক্রমে অবান্তর হয়ে যায়!
তারপর আবার নতুন করে ওড়ার সময় হয়ে আসে।
কবিতা ভালো লিখেছেন ++
আপনার কবিতা লেখার প্রতিভায় সন্মোহিত ও সন্মান করি । শুভ কামনা রইলো ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ। এমন উচ্চ প্রশংসা পেয়ে আমিও অভিভূত হয়ে গেলাম!
অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: চমৎকার
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের জীবনটাই যেখানে নিবৃত্তি । সুন্দর ভাবনা । ++
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও সুন্দর। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
নজসু বলেছেন: কবিতার এই পাখিটা ঠিক যেন আমি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেন, কেন? একটু খুলে বলুন!
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি নিজেই এই পাখিটি।
সহজ সরল ভাষা। সুন্দর কবিতা।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি? তা'হলে আর এখানে আপনাদের সাথে ব্লগিং করছে কে?
কবিতার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
এ.এস বাশার বলেছেন: অসাধারন ভাবের প্রকাশ।
প্রীশু নিয়েন কবি...
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্লাস এবং প্রীশু'র জন্য ধন্যবাদ। কবিতার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত।
২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট “বাবা” (কবিতা) পড়ে সেখানে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। একবার সময় করে দেখে নেবেন বলে আশা করছি।
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৮
জাহিদ অনিক বলেছেন:
একটা পানকৌড়ি যেন উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে নির্ভার হয়ে বাঁচতে চায়-
নাবিকের চোখের নীড়ে দেখা নির্ভয় আশ্রয়ে সে কিছুটা কাটিয়ে নিল সময়
আবার তাকে যেতে হবে তীরে-
ভীড়ে হারিয়ে যেতে হবে বেলাভূমি আর অরণ্যের গহীনে-
যেখানে রয়েছে প্রাণের সঞ্চারণ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই চমৎকার একটি ছবি এঁকেছেন আমার কবিতার ফ্রেমে। অভিভূত হ'লাম।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভাল থাকুন, সবসময়।
১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলেগেছে দুলছুট পাখির নিজের সময়ের লেখা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা ছোট্ট মন্তব্যও কত সুন্দর হতে পারে!
কবিতা ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০০
সুমন কর বলেছেন: শেষটা সুন্দর।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
গতিই জীবন, পাখীর জন্য আকাশই পথ; মানুষের জন্য জন্মস্হান ও কর্মস্হানই পৃথিবী
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: গতিই জীবন - ঠিক।
পাখীর জন্য আকাশই পথ - এটাও ঠিক।
মানুষের জন্য জন্মস্হান ও কর্মস্হানই পৃথিবী - এটাও তো ঠিক কথাই মনে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে তাহলে সব ঠিক কথাই বলেছেন, ধন্যবাদ!
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৪৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
শেষের "চার চরণ" ই হল আমাদের বর্তমান অবস্থা।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি? হতে পারে!
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৫১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমেই দুঃখিত!
একজন মুসলিম পুঁতি লেখক ঠিক এইভাবে লেখেছিলেন, 'হুসাইনের হত্যাকারী তাকে হত্যা করে দামেস্ক অভিমুখে চলছিল, প্রতিমধ্যে মরুভূমিরর মাঝখানে এক ব্রাহ্মণের বাড়ি পেল, রাত্রি হয়ে যাওয়ায় সেখানে সে রাত্রিযাপন করে আরেক ঘটিনার জন্ম দিল!:'
সমুদ্রের মধ্যখানে পাখি দেখে আমার সেই কথা স্মরণ হয়ে গেলো।
পদ্যটি ভালই হয়েছে। শব্দের বিন্যাস অনের ভাল হয়েছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পদ্যটি ভালই হয়েছে। শব্দের বিন্যাস অনের ভাল হয়েছে - কথাগুলো ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৩
সোহানী বলেছেন: অনেক ভালোলাগা প্রিয় খায়রুল ভাই.............
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী, মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০১
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর লিখেছেন।
হাহাকারের বলয় আমাদের ঘিরে থাকে সবসময়, তাপরেও প্রতিনিয়ত আমরা তা ভেঙ্গে আবার নতুন করে পথ খুঁজি। নতুন আশায় পথ চলি।
মুগ্ধতা।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
চমৎকার এ মন্তব্যটিতে 'লাইক' +।
১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সুন্দর কবিতা
আমার স্যার বলেছিলেন কবিতা এমন বিষয়। এর এক এক পাঠক এর এক এক রকম অর্থ বের করতে পারে। কবিতা একটি পাঠক ভিন্ন হকে অর্থ ভিন্ন হয়।আমি এইখানে একটি স্বাধীন মানুষের চিত্র দেখছি । যে সব বাধা ফেলে উড়তে চায়। অনেক দূরে
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে আপনার নিজস্ব ভাবনাটা এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। পাঠকেরা তাদের নিজস্ব ভাবনা ও চেতনা দিয়ে একটি কবিতাকে বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে এবং উপলব্ধি করতে পারেন বৈকি।
১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
যাপিত জীবনের আটপৌড়ে একঘেয়েমিতে ক্লান্ত হয়ে গেলে মন
জীবন খোঁজে জীবনের অর্থ!
নিরপত্তা নিশ্চয়তা বিলাসের মাস্তুলে যাপিত জীবনও সাদা-কালো হয়ে গেলে
আবার ওড়ার স্বপ্ন নতুন জীবনের ইশারায়
বর্ণিল বর্ণাঢ্য এক জীবনের -ভালবাসার।
প্রকৃতির নিত্যতায় - সন্ধানী মন উচাটন
ভাললাগা রইল প্রিয় সিনিয়র। নিজের মতো করে অনুভবটুকু প্রকাশ করলাম- আর কি?
+++
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার এই চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
চির হাসিখুশী থাকুন, যদিও সময়ে সময়ে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা দেশের নানাবিধ সমস্যার কারণে হাসিখুশী থাকার জো নেই।
শুভেচ্ছা নিরন্তর...
১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কবিতা ভাল লাগল ভাইয়া।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটাই জীবন এটাই বেচে থাকা.....উড়িতে কে না চায়!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার, মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
উড়িতে কে না চায়! - তাই তো!
২১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
দৃশ্যপট কল্পনায় বেশ ভাল লাগলো। সাগর, পাখি, জাহাজ...। মানুষ হঠাত থমকে যায়, জীবনের অর্থ খুঁজে সে পায় শূন্য জীবন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পাঠ শেষে একটি চমৎকার মন্তব্য এবং একটি প্লাস রেখে গেলেন, এতে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
মানুষ হঠাত থমকে যায়, জীবনের অর্থ খুঁজে সে পায় শূন্য জীবন। - খুব সুন্দর আপনার এ জীবন দর্শন, কথাকথিকেথিকথন। (কপি-পেস্ট ছাড়া আজও আমি আপনার নামটা ঠিকমত লিখতে পারিনা! )
২২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৯
করুণাধারা বলেছেন: জীবনের গতিময়তা ক্লান্তি নিয়ে আসে তাই হয়তো পাখি মাস্তুলে বসে ছিল, একটু স্থিতি চেয়েছিল!!!
সাগরে ভাসমান জাহাজ, আর তাতে বসে থাকা ক্লান্ত পাখি দারুন দৃশ্যকল্প তৈরি করেছে। খুব ভালো লাগলো।
ছোট্ট এই জীবনটার
কত হিসেব নিকেশ কালক্রমে অবান্তর হয়ে যায়!
তারপর আবার নতুন করে ওড়ার সময় হয়ে আসে।
খুবই ভালো। ++++++++++
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের গতিময়তা ক্লান্তি নিয়ে আসে তাই হয়তো পাখি মাস্তুলে বসে ছিল, একটু স্থিতি চেয়েছিল!!! - আমারও ধারণা তাই, আপনার ভাবনার সাথে মিলে গেছে।
সাগরে ভাসমান জাহাজ, আর তাতে বসে থাকা ক্লান্ত পাখি দারুন দৃশ্যকল্প তৈরি করেছে - আপনার এ কথাটাতে দারুণ অনুপ্রাণিত হ'লাম। এরকম একটা কাল্পনিক দৃশ্যকল্প থেকেই কবিতাটি তৈরি হয়েছে।
চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৫
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: তারপর আবার ওড়ার সময় হয় কি ? কবিতায় অনেক ভাল লাগা রইল ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওড়া নির্ভর করে ইচ্ছেশক্তির উপর। ইচ্ছেশক্তি ফিরে পেলে আবার উড়তে পারে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮
স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: আপনি তো খুব সুন্দর লিখেন। আর আমি লিখি পচা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু আপনি পচা লেখেন, এ কথাটি ঠিক নয়। আপনার "অভিঘাতের নুড়ি পাথর" কবিতাটা পড়ে এলাম, ভাল লেগেছে। আমার নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষণের কথা সেখানে বলে এসেছি।
আপনার লেখা বোধহয় এখনো প্রথম পাতায় প্রকাশিত হচ্ছেনা। বেশী বেশী করে লিখুন, বেশী বেশী করে অন্যের লেখা পড়ুন এবং পাঠশেষে মন্তব্য করুন, উভয় ক্ষেত্রে যা লিখছেন, সেটার মানের উপর লক্ষ্য রাখুন। কারো লেখা সম্পূর্ণ না পড়ে মন্তব্য করবেন না, কারণ তা করলে লেখক ঠিকই সেটা বুঝতে পারবেন।
১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট- "কবিতা- ধোঁয়া" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন।
২৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, দেশ পার্টিশান ১৯৪৭ আর মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ হিন্দু পরিবার যারা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয় তাদের অবস্থা কি এই পাখিটির মতো ছিলো না ? চোখ বন্ধ করে ভাবতে পারেন আপনি কাদের নিয়ে কবিতা লিখেছেন ? এই কবিতা তাদের পরিবারের কেউ যদি পড়তে পারতো কিছুটা হলেও হয়তো সান্তনা পেতো - হয়তো বা, হয়তো বা না - - - - - -
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আমার ভাবনার একটি নতুন দুয়ার খুলে দিলেন, ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ।
২৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: “ধ্যানমগ্ন সেই পাখির দৃষ্টি ছিল নির্লিপ্ত, নির্বিকার।
সুদূর প্রসারিত নয়, আবার সন্নিকটেও নিবদ্ধ নয়।
যার নিজ ডানায় ভর করে ওড়ার কথা, সে এমন
ঋষির মত কেন ধ্যানমগ্ন হলো, তা কেউ জানেনা।”
সময়কাল : - ১৯৪৭-১৯৭১
- আহারে, চোখে ভেসে উঠে কৌলিন ব্রাক্ষণ পরিবারের দৃশ্য, সব হারিয়ে যারা সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ। পাঠকের উপলব্ধি বহুমুখী হতে পারে। মন্তব্যে আপনার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টির সাথে পরিচিত হ'লাম।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪৮
আরোগ্য বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় গভীর প্রকাশ। খুবই ভাল লাগলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠ এবং প্রশংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন - সুস্বাগতম!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।
২৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২২
মুক্তা নীল বলেছেন: এই পাখির জীবন চিত্র যেনো একজন মানুষের জীবনেরই প্রতিফলন। আমাদের ছোট এ জীবনটায় কত কিছুই তো ঘটে কালক্রমে ও পালাক্রমে। তারপরও তো সুখ/ দঃখ কে পাশ কাটিয়ে নতুন করে বাচতে হয়। "রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে " আপনার এই কবিতা অনেক অনেক সুন্দর ও অর্থবহ। আমি আমার মতো করে মত প্রকাশ করলাম। শ্রদ্ধা ও সালাম জানবেন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কবিতা পড়ে নিজস্ব ভাবনাটা এখানে শেয়ার করে গেলেন, প্রীত হ'লাম।
কবিতার প্রশংশায় অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...
২৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনার প্রতিটি কবিতায় কি গভীর ভাব!!! মুগ্ধ হয়ে যাই।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...
৩০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সবাই পথ চলে। চলার পথে মাঝখানে থমকে দাঁড়ায়। নিজেকে হারায়। সাঁঝের বেলায় আবার নতুন উদ্যমে চলতে শুরু করে। ততক্ষণে বড্ডো দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও পথ শেষ করতে হবে।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কবিতা পড়ে নিজস্ব ভাবনাটা এখানে শেয়ার করে গেলেন, প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...
৩১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
১৮ তম লাইক।
কবিতাটা কয়েকবার পড়ে কি নিবৃত্তি করলাম ভুলে গেছি। জীবনতো এমনিই৷
০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ঠিকই, জীবনতো এমনিই!
১৮তম লাইক এর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৩২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
এখনো লিখতে পারেন না!!
ইদানিং কিন্তু আমি সহজ সরল লিখছি!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: হা হা হা, তাই নাকি? আমিও তো চেষ্টা করি সহজ করেই লিখতে!
৩৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আপনি তো শুরু থেকেই সহজ শব্দে দারুণ সব লেখা লিখছেন। এভাবে লেখা আপনার সহজাত ব্যাপার। কিন্তু আমার তো বদনাম আছে যে আমি কী সব লিখি তা কেউ বুঝে না! সেই বদনাম গোছাতে সহজ সরলভাবে লিখতে চেষ্টা করছি। সম্পূর্ণ বিপরীতে!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
তবে আপনি সবসময় সেরকম কঠিন কিছু লিখেছেন বলে আমি মনে করিনা। মাঝে মাঝে কিছু সহজবোধ্য লেখাও এসেছে।
৩৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
উম্মে সায়মা বলেছেন: সবার জীবনেই মনে হয় এমন কিছু ক্ষণ আসে যখন সবকিছু মূল্যহীন, উদ্দেশ্যহীন মনে হয়। তখন কিছু সময়ের জন্য জীবন থমকে যায় বৈকি! পাখিটির অবস্থা তেমন।
খুব সুন্দর করে পাখির উপমায় জীবনের এক বোধ তুলে ধরেছেন৷
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনিও খুব সুন্দর করে পাখিটির অবস্থা বিশ্লেষণ করেছেন। আপনার ব্যাখ্যা পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।
কবিতাটি পড়েছেন জেনে প্রীত বোধ করছি। প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা...
৩৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৫
ল বলেছেন: আপনার প্রতিটি কবিতায় কি গভীর ভাব!!! মুগ্ধ হয়ে যাই ---------
সৃষ্টিশালার দৃষ্টিববোধ র্কীতি নিয়ে দাঁড়াক আকাশচূড়া ক্যানভাসে
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই মুগ্ধতার কথা জেনে আমিও আপ্লুত হয়ে গেলাম।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য---
৩৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নিবৃত্তি নিয়ে সুন্দর কথামালার দারুন কবিতা, পাঠে ভাল লাগল ।
আমি কোনভাবেই একজন ভাল কবিতা বোদ্ধা নই । একটি কবিতাকে তার বাহ্যিক কথামালার আবহে বুজতে গিয়ে এর মধ্যে বহুমুখী ভাবধারার ফল্গুধারা বইতে দেখে নিজকে অনেক বিষয়ের মধ্যেই হারিয়ে ফেলি । কবির ভাবনা শক্তি ও তার প্রকাশের পান্ডিন্তের কাছে একেবারেই অসহায় মনে হয়, এই ভেবে যে কিভাবে এই ভাবগাম্ভির্যময় কবিতাটিকে মুল্যায়ন করব । অথচ দেখি কবিতাটি পাঠে অনেকেই কত সুন্দর ভাবে অতি অল্প কথায় সঠিকভাবে মুল্যায়ন করে তাঁদের মুল্যবান মতামত রেখে যাচ্ছেন । আমি দেখি আর অভিভুত হই , শ্রদ্ধাবনত হয়ে আসে মন তাঁদের প্রতি ।
যেভাবেই ভাবিনা কেন কবিতাটির শেষ দুটি চরণ যথা
কত হিসেব নিকেশ কালক্রমে অবান্তর হয়ে যায়!
তারপর আবার নতুন করে ওড়ার সময় হয়ে আসে।
পাঠে মনে পড়ে যায় কত না কথা । জীবনের কত কিছুই একটা সময় পরে আসলেই মনে হয় অবান্তর; মূল্যহীন। অন্যদিকে নতুন করে শুরু করতে চাইলেও জীবনের যাঁতাকলে পড়ে সেটা অনেকের কাছে আর হয়ে উঠেনা সম্ভবপর । আগেকার দিনের সাথে এখনকার মানুষের চাওয়া পাওয়ার তুলনামুলক দিকটার কথাও মানসপটে ভেসে উঠে । স্মৃতিতে ভেসে উঠে সেকালের কথা যেখানে হত বলা লেখা পড়া শিখে যে গাড়ি ঘোরা চড়ে সে , অর্থাৎ সে সবদিক দিয়েই বড় হয় । এ কবিতাটি প্রসঙ্গে মনে পরে যায় সেই অনেক কাল আগে পড়া পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের লেখা উপন্যাস বোবা কাহিনীর কথা সেখানে ফরিদপুর অঞ্চলের একটি বিশেষ এলাকার জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে । উপন্যাসের নায়ক ছিল এক ছিন্নমূল কৃষকসন্তান। বাল্যকাল থেকেইে লাঞ্ছনা আর বঞ্চনা ছিল যার নিত্যসঙ্গী । তবুও সে স্বপ্ন দেখতো সুখী জীবনের । তাই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ করে করে যায় বেশি ফসল ফলিয়ে সুখের নাগাল পেতে। বিভিন্ন প্রতিকূলতায় তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়না। নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে গিয়ে সে স্বপ্ন দেখে তার পুত্র বসিরকে উপযুক্ত শিক্ষা-দীক্ষায় মানুষ করার। নানা বিপত্তি সত্ত্বেও অনেক ত্যাগ ও স্বশ্রেণীর সাহায্য ও সহায়তায় তার স্বপ্নপূরণের পথ খুলে যায়। বছিরের স্বপ্ন ছিল তার নিজের পরিবারের এবং নিরক্ষর গ্রামের মানুষের দুর্গতি-মুক্তির। দরিদ্র গ্রাম্যচাষী আজাহের ও তার পুত্র বছির, এই দুই প্রজন্মের জীবন সংগ্রামের সফলতা ও বিফলতার কাহিনী নিয়ে ভরপুর ছিল সে উপন্যাসটি ।
অন্যদিকে একালে দেখি অনেকেই বলে থাকেন বড় হতে হলে শিক্ষার কোনো প্রয়োজন হয় না। এখন অনেক ক্ষেত্রেই ছেলেমেয়েদেরকে এও বলা হয়, বড় হতে হলে তোমাকে যেতে হবে বিদেশে । ডলার, পাউন্ড, ইউরো অথবা রিয়াল আয় করতে হবে, তবেই তুমি সকলের কাছে একজন সম্মানিত মানুষ হবে। বলা হয় জীবনে যদি বড় হতে চাও তবে বিদেশে গিয়ে বিদেশি টাকা কামাও । অনেকেই এখন পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়েই বাবা মায়ের জমি বিক্রি করে অজানার উদ্দেশে রওনা হয় কিংবা রওনা হতে বাধ্য হয় বিবিধ কারণে আর শুরু হয় প্রবাসী জীবন, না বলা কাহিনির সীমাহীন যন্ত্রণার জীবন।
মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য রঙিন নৌকায় পাল তুলে পারি দেয় বিদেশে। শুরু হয় জীবনের নতুন একটি স্বপ্ন বুননের খেলা। বিদেশে থেকে অর্থ উপার্জন করে ধনী হওয়া যায় বটে । কিন্তু কেউ কি জানে, কী একটা না বলা যন্ত্রণা নিয়ে দুর প্রবাসে জীবন কাটায় তারা । কেউ কি জানে তাদের বুকের মধ্যে কীসের বেদনা নিত্য আনাগোনা করে ? কেউ কি খবর রাখে তাদের জীবন যাপনের করুন গাথা । কেউ জানে না, তাদের বেদনা, তাদের কান্না, তাদের কষ্ট ও পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকাশ। অনেকেই অবিরাম বিশ্রামহীন অমানবিক পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠায় । কিন্তু তাদের কষ্ট তারা কাউকে বলতেও পারে না। নিদারুণ কষ্টের মধ্যেও দেশ থেকে প্রিয়জনদের ফোন এলে, সকল কষ্ট বুকের মধ্যে চাপা দিয়ে মেকি হাসির ভান করে মিষ্টি সুরে বলে থাকে খুব ভালো আছি। প্রিয়জনদের মুখে হাসি ধরে রাখার জন্য ভালো থাকার অভিনয় করে কত সুন্দরভাবে গোছানো মিথ্যা কথাই না তাদের বলতে হয় প্রতিনিয়ত।
অনেকেই বহু দিন ধরে বিদেশে থেকে থেকে অভ্যস্ত হয়ে গেছে বলে এখন তারা আর দেশেও ফিরে যেতে চান না বিবিধ কারণে । তারা বিদেশেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাই তারা বিদেশে অবস্থানের জন্য একটি বৈধ কাগজ পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন কবিতার পাখীটির মত বিদেশী জাহাজের পিছনে পিছনে অবিরাম ছুটে চলেন । বৈধতার কিংবা সিটিজেনশিপের কাগজটি পাওয়ার পর কবিতার পাখীটির মত বিদেশী জাহাজের মাস্তুলে বসে নিবৃত্তির প্রহর গুনেন আর ধ্যান মগ্ন হয়ে হয়ত ভাবেন তার জীবনের সব হাসিকান্না ওই একটি কাগজের মধ্যেই বুজিবা আছে লুকিয়ে। তারা মনে করেন, নিজের জীবনের সব আনন্দ-বেদনার বলিদানের ফল হিসেবে আগামী প্রজন্মের জন্য সিটিজেন নামক একটি কাগজ অর্জন করার মধ্যে তার জীবনের যে প্রাপ্তি তার সাথে যে অজস্র বেদনা, কষ্ট, না পাওয়ার যন্ত্রণা, অনেক প্রিয়জন ও কাছের মানুষ হারানোর অসহ্য কান্নার অশ্রু জল মিশে আছে তা হয়তো কোনো দিনই কেউ জানতে চাইবে না কিংবা বুজতে চাইবেনা কোনকালেই ।
রুপক অর্থে লেখা কবিতাটির হয়ত আরো অনেক অনেক গুঢ় দিক আছে , যা কবির নীজের মনের ভাবনা । বহুবিধ অর্থবোধক সুন্দর কবিতাখানি প্রিয়তে গেল ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ দীর্ঘ মন্তব্যটি পড়ে অভিভূত হ'লাম, ডঃ এম এ আলী। আপনি কত সুন্দর করে কবিতাটি বিশ্লেষণ করেছেন, কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে তার সাথে আপনার নিজস্ব ভাবনাগুলোর কথা শেয়ার করেছেন, সর্বোপরি কবিতাটিকে অনেক মমতাভরে "প্রিয়"তে তুলে নিয়েছেন, এসব কিছুই আমাকে প্রভূত আনন্দ দিয়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা!
৩৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শেষের প্যারা ভাললেগেছে। ধন্যবাদ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কবিতা পড়ে শেষের প্যারাটা ভাল লাগার কথা জানিয়ে গেলেন, প্রীত হ'লাম।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...
৩৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
লেখাটি আগেই পড়ছিলুম । মন্তব্য করা হয়নি ইতস্তততার কারনে । অনেকেই মনে হয় গতানুগতিক ভাবেই বলে গেছেন, খুব সুন্দর হয়েছে "কবিতা" । সেখানে আমি যদি বলি , এটি কবিতার মতো দেখতে হলেও মূলত কবিতা নয় ; তা হলে আপনি কি ভাববেন , ইতস্তততা সে কারনেই । সন্দেহ নেই , ভাবের দিক দিয়ে লেখাটি দার্শনিকতার দাবী রাখে কিন্তু কবিতা হিসেবে নয় । আপনার লেখাকে সঠিক মূল্যায়ন না করে শুধু ভদ্রতার খাতিরে যে যে ভাবেই বলুন না কেন , আমার মনে হলো তা আপনাকে একটা জায়গাতে থামিয়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট । কেন যে এ কথা বললুম তা বলার আগে শ্রীযুক্ত নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর " কবিতার ক্লাস" থেকে কিছু বলি । নীরেন্দ্রনাথ বলেছেন কবিতায় ছন্দ থাকতেই হবে । শব্দ হোক এলোমেলো কিম্বা থাকুক তাতে মিল কিন্তু তাতে থাকতে হবে কাব্যগুন-ও ।
শব্দগুলো যেভাবেই সাজিয়ে বাক্য লিখুন না কেন তা পাঠককে দোলায়িত করে যেতে হবে । ধরা যাক , সারাটা দিন যা হোক কেটে গেছে যেন তেন , কিন্তু বিকেল বেলাটা আর যেন কাটতে চাইছেনা, এমন কথা তো আমরা হর হামেশাই বলি । বলার পরেই তার রেশ ফুরিয়েও যায় । কিন্তু এটাকেই যদি এভাবে বলি -
সকাল বেলা কাটিয়া গেল
বিকাল নাহি যায়
তবেই তা কবিতা হয়ে উঠবে । কথা শেষ হবার পরেও একটা আবেশ থেকে যাবে । শ্রোতার অন্তরে বারে-বারে তার রেশ গুঞ্জরিত হয়তে থাকবে । এ যেন কথার ভেতরে লুকিয়ে থাকা একটা বেদনা বোধের দীর্ঘশ্বাস-ও ।
আপনাকে এভাবে বলার কারন , একজন ভালোলাগার জনকে আরো ঋদ্ধ, আরো শক্তিমান হিসেবে দেখার তাগিদ থেকে । আকাঙ্খা বললুম না । ওতে জোরের দিকটা থাকেনা । আমি জোরের দিকটাতেই আঙুল তুলেছি । আপনার লেখা অনেকটা পুঁথি লেখার মতো হয়েছে "সৈয়দ তাজুল ইসলাম" যেমনটা বলেছেন । কবিতা আপনি ভালোবাসেন , তাই এতো কঠিন করে বলা । আশা করি , আমাকে যতোই গালাগাল দিন না কেন , নিন্দুককে আপনি ভালোবাসবেনই ।
এবারে কবিতার ভাবটাতে আসি - একটি দার্শনিক ভাব আছে লেখাটিতে যা জীবনের অমোঘ সত্যটাই । জীবন নামের জাহাজটি কোনও ঘাটেই নোঙর ফেলে বসে থাকেনা । (এলবাট্রোস পাখিটিও তাই ।) নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সে এক ঘাট থেকে পাল তুলে ছুটে যায় আর এক ঘাটের দিকে । সে জাহাজ আমারই সোনার ধানে ভরে গিয়েছে কিনা , যেতে যেতে সে হিসেবও উতলা করে তোলে নাবিককে , আনমনা হয়ে ওঠে মাস্তুলে বসে থাকা পাখিটার মতো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, ইতস্ততার বেড়া পেরিয়ে আমার ঘরে এসে মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।
কবিগুরু'র "নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল, যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আঁলো" পড়ে মানুষ নিন্দুককে হয়তো খুঁজে বেড়ায় আত্মোপলব্ধির জন্য, আত্মশুদ্ধির জন্য। কিন্তু এটাও ঠিক, নিজের ত্রুটি খুঁজে পাবার পর কিন্তু মানুষ অনেক সময় নিন্দুকের দিকে একটু ট্যারা চোখেই তাকায়। তবে আমার চোখে আপনি কোন নিন্দুক নন, একজন প্রাজ্ঞ পরামর্শক। তাই আমার এ কবিতাটির উপর আপনার বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যকে আমি একটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ হিসেবেই গ্রহণ করেছি।
শ্রীযুক্ত নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর " কবিতার ক্লাস" আমিও পড়েছি। কবিদের জন্য এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় হ্যান্ডবুক।
ব্যতিক্রমী মন্তব্যের জন্য আপনাকে এবং সৈয়দ তাজুল ইসলাম কে, উভয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
প্রামানিক বলেছেন: খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, প্রামানিক, কবিতাটি পড়ে ভাল লাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
হাবিব বলেছেন: অসাধারণ অভিব্যক্তি। কবিতার ভাষা প্রাঞ্জল। ভালো লাগলো। তবে পাখিটির উদ্যেশ্য কি?