নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন একজন “হৃদয়ের” কথা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

গত কয়েকদিন ধরে বাসায় রঙের কাজ চলছে। গিন্নীর সখ, কোথাও কোথাও একটি করে দেয়াল ভিন্ন রঙের হবে। বেশ কয়েকদিন ধরে বার্জার পেইন্টস এর দোকানে দৌড়াদৌড়ি, ফোন করাকরির পর তিনি সাব্যস্ত করলেন, কোথায় কোন দেয়ালে কোন রঙ লাগানো হবে। আমার এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই, তবে ওঁর উৎসাহের মাত্রা দেখে কোন কিছুতে বাধাও দেই না। আমাদের শয়নকক্ষের একটি দেয়ালে অফ হোয়াইটের বদলে অন্য রঙ লাগানো হলো। রঙ শুকানোর পর দেখলাম, বাহ, বেশ ভালই তো লাগছে!

যে রঙমিস্ত্রী রঙের কাজ করছে, তার নাম 'হৃদয়', বয়স হয়তো হবে ২৮-৩০ (ওর ভাষ্য মতে, তবে ওদের জন্মের দিন তারিখ কেউ লিখে রাখেনা)। উজ্জ্বল ফর্সা চেহারা, বড় বড় দুটো চোখ। বেশীরভাগ কথার উত্তর শব্দের চেয়ে মুখের হাসি আর চোখের ভাষা দিয়ে দেয়। বাড়ী তার কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায়। ছয় ভাইবোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। প্রথম দিন যখন ওকে একটা কাগজ কলম দিয়ে কি কি সামগ্রী কিনতে হবে তার একটি তালিকা লিখতে বললাম, সে একটু কাঁচুমাচু করে মুখে একটা লজ্জার হাসি দিয়ে কাগজটি আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বললো, “স্যার আপনে লেহেন, আমি কইতাছি”। আমি একটু অবাক হ’লাম। এরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আমার পরবর্তী প্রজন্মের নাগরিক। এখনো এই বয়সেও সম্পূর্ণ নিরক্ষর? কিন্তু ও লজ্জা পাবে বলে আর কথা বাড়ালাম না। ও ডিক্টেশন দিতে থাকলো, আমি লিখে চললাম।

এখন ঘরে সম্পূর্ণ বেসামাল অবস্থা। কোথাকার জিনিস কে কোথায় সরিয়ে রেখেছে, আমি কিছুই খুঁজে পাইনা। কোনমতে আমার ল্যাপটপটাকে সামলে রেখে এঘরে ওঘরে স্থানান্তরিত হই। কখনো বিছানায়, কখনো মেঝেতে বসে টুকটাক লেখালেখি করি। সেই সাথে মাঝে মাঝে হৃদয়ের সাথে রঙ বহির্ভূত বিষয়ে এটা সেটা নিয়ে কথাবার্তাও চালিয়ে যাই। আমার মনে সেই প্রথমদিন থেকে একটা প্রশ্ন গেঁথে আছে, যার বাবা মা এত সুন্দর একটা নাম রাখতে পারলেন, তারা কেন তাকে লেখাপড়া শেখালেন না? প্রথম দিনেই ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওর নামটা কে রেখেছিল। সে নীচুস্বরে বলেছিল, বাবা মা-ই রেখেছে। তারপরেই একটু হেসে আমাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কেন স্যার’? আমি বলেছিলাম, তোমার নামটা খুব সুন্দর তো, তাই জিজ্ঞেস করলাম। সে আবার লাজুক হাসি হেসে আমার কমপ্লিমেন্টটা একনলেজ করেছিল।

আজ সকালে আবার এক কাপ চা হাতে 'হৃদয়' এর সাথে টুকটাক আলাপচারিতা হচ্ছিল। গিন্নী আমাকে বারবার সাবধান করে দিচ্ছিলেন, তুমি ওর সাথে এত কথা বললে ওর কাজের গতি কমে যাবে, কাজে মনযোগও থাকবেনা। তাই আমি আমার জিজ্ঞাসাগুলোকে একটু কাটছাঁট করে নিলাম। আলাপচারিতায় সে জানালো, ওর যখন স্কুলে ভর্তির বয়স, তখন ওর বাবা মা পৃথক হয়ে যায়। এতগুলো সন্তান নিয়ে ওর মা সমস্যার অতলান্তে নিমজ্জিত হতে থাকে। তাই আর ওর স্কুলে যাবার সুযোগ হয় নাই। শিশুকাল থেকেই সে কর্মজীবি। প্রথমে এসেছিল পুরান ঢাকার একটি চামড়ার কারখানায়। সেখানে অহরাত্রি অমানুষিক পরিশ্রম করতে হতো। মাস শেষে হাতে পেত মাত্র দু’হাজার টাকা, ব্যস আর কিছুই না। সেটা দিয়েই নিজের অন্ন সংস্থান করতে হতো, কিছুটা বাঁচলে মায়ের কাছে পাঠাতে হতো। এ কাজটা তার মোটেই ভাল লাগতো না। সে তার এলাকার একজন লোকের মাধ্যমে একদিন সুযোগ পেয়ে যায় দেয়ালে রঙের কাজ করার। তখন যমুনা ফিউচার পার্কের নির্মাণ কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। সেখানে একটানা প্রায় দশ বছর কাজ করতে করতেই সে হাত পাকিয়েছে।

'হৃদয়' মাত্র একজন সহকারী নিয়ে নীরবে কাজ করে যায়। দিনশেষে কাজ গুটিয়ে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে চলে যায়। তার চেহারায় কোন বেদনার ছাপ নেই, মুখে লেগে থাকা হাসিটুকু একজন সুখী, তৃপ্ত মানুষের পরিচয় ধারণ করে রাখে। তার সাথে আলাপচারিতায় বুঝেছি, সে একজন উদার হৃদয়ের মানুষ। তার জীবনে অপ্রাপ্তির কোন খেদ নেই। আমি একটু খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করাতে সে দার্শনিকের মত পাল্টা প্রশ্ন করে বলে, “স্যার, কারো ভাগ্যে কি দুনিয়ার সব সুখ লেহা তাহে? ভাগ্যের উপর কার আত আছে”? তার পিতাকে সে একজন ভাল মানুষ হিসেবেই জানে এবং মা থেকে পৃথক হওয়া সত্তেও তাকে শ্রদ্ধাও করে, কারণ তিনি আর অন্যত্র বিয়ে করেন নি।

যে দেয়ালে অন্য রঙ লাগানো হয়েছিল, তার পাশের দেয়ালটাতে আগের রঙ অফ হোয়াইট পুনঃলেপন করা হয়েছিল। সেটার প্রায় ৮০% পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে। উপরে ২০% এর মত খোলা থাকে। আমি আর গিন্নী বলাবলি করছিলাম, উপরের ওটুকু অংশেও পাশের দেয়ালের ভিন্ন রঙের প্রলেপ দিলে কেমন হবে। আমরা হৃদয়ের পরামর্শ চাইলাম। সে এক কথায় বলে দিল, “ইতায় সুন্দরতা দেহাইতো না”। আমরা অনেকটা জোর করেই তাকে দিয়ে নতুন রঙ করানো শুরু করলাম। কিছুটা করেই বুঝতে পারলাম, হৃদয়ের কথাই ঠিক, এতে “সুন্দরতা” দেখাচ্ছে না। পুনরায় আগের রঙে ফিরে যাবার প্রচেষ্টা শুরু হলো। আমরা হৃদয়ের “হৃদয়ের চোখ” টাকে এ্যাপ্রিশিয়েট করলাম।

ঢাকা
১৬ নভেম্বর ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

হৃদয় - কাজের ফাঁকে একটুখানি চোখ তুলে এদিকে চাওয়া (চিত্রগ্রাহকের অনুরোধে)।


কাজে মগ্ন হৃদয়।


কাজে মগ্ন হৃদয় এর সহকারী নজরুল।

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,



কেবল দেখার মতো চোখ থাকলেই, জীবনের পথে পথে হৃদয় টানে এমন কিছু ছোটখাটো বিষয় বড্ড বড় হয়ে ওঠে । যেভাবে আপনিও সামান্য এক রংমজুরের সাথে কাটানো কিছুটা সময় নিয়ে জীবনের কিছু দর্শন লিখে গেলেন, তাতে আপনার জীবনবোধের ছবিটিই ধরা পড়লো ।
আর এই জটিল এক পৃথিবীতে হৃদয়ের মতো অনেক নাম না জানা যুবকের কাহিনীই হয়তো এমন। তাকে তুলে এনে আপনি হৃদয়ে টান ধরিয়ে দিয়ে গেলেন ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটি আপনার কাছ থেকে পেয়ে প্রীত হ'লাম, আহমেদ জী এস। মন্তব্যে জীবন সম্পর্কে কিছু কথা বলে গেলেন, কথাগুলো খুব ভাল লাগলো।
প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। আপনার দেয়া প্লাসটি এ পোস্টের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা। ভাল থাকুন সপরিবারে...

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যার, আপনি দেশের হাজারো 'হৃদয়' থেকে একটা টগবগে সুখী হৃদয়কে আমাদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিলেন। যেমন নাম তেমন তার উদ্যম। এরাই চুপিচুপি দেশটাকে গড়ে তুলছে। তাদের কঠিন পরিশ্রম দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা হৃদয়দের ট্যাক্সের পয়সায় পড়াশুনা করে নিজেদের সুশিক্ষিত করে, পরে হৃদয়দের বেমালুম ভুলে যায়। ডাক্তাররা হৃদয়দের বেলায় কসাইয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ইঞ্জিনিয়ারা হৃদয়দের ব্রিজ, রাস্তা আর বিভিন্ন প্রকল্পে পুকুর চুরি করে। আমলা-কামলারা হৃদয়দের সাথে পকেটমারের আচরণ করে। রাজনীতিবিদরা সর্বময় ক্ষমতার অধিকার পায় হৃদয়দের ভোট চুরি করে।

এই হৃদয়রাই মূলত বাংলার মুখ। আর হৃদয়হীনরা হলো তথাকথিত শিক্ষিত কীট।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীর্ণ, পলেস্তারা ওঠা দেয়ালকে সে ঘসে মেজে ঠিক করে, মনের মাধুরী মিশিয়ে রঙ করে আবার জীবন্ত, মসৃণ ও প্রাণবন্ত করে তোলে। কাজটির প্রতি মহব্বত না থাকলে দেয়ালগুলো অচিরেই সে কথাটি জানান দিবে, এ কথা সে ভাল করেই জানে। এজন্য সে যতটুকু কাজ করে, খুব মন দিয়ে, ভালবেসেই করে। দিনশেষে শ্রমের যে মজুরীটুকু সে পায়, তা হাসিমুখে গ্রহণ করে বাড়ী ফিরে যায়। আবার পরদিন সকালে আসে। হালাল রুজীতে চলে, তাই চেহারাতেও তার একটি তৃপ্তির, শুদ্ধতার আভা ফুটে ওঠে।
প্রথম প্লাস এবং দ্বিতীয় মন্তব্যটি আপনার কাছ থেকে পেয়ে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা ঘর সংসার সাজাইয়া ছেলেখেলা খেলছি!
এক ফুয়ে সব উড়ে যাবে একদিন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অতীব সত্য কথা। ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

হাবিব বলেছেন: শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান ভাই, অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম, ভালো লাগছে খুব.... আশা করি ভালো আছেন

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, হাবিব স্যার
অনেকদিন কোথায়? মাত্র চারদিন আগেই তো একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
আমি ভাল আছি, ধন্যবাদ। আশাকরি, আপনিও ভালই আছেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

পল্লব কুমার বলেছেন: রাস্তার বের হলে অনেক সময় দেখা যায় ফুটপাতের দোকানে, লেগুনার পিছনে বা কখনো ছোট খাবার দোকানে ছোট ছোট বাচ্চাছেলে। জীবনের ক্ষুধা মেটানোই তাদের কাছে বড় দায়। সমাজের এই ধরনের জায়গা থেকেই তো হৃদয়রা উঠে আসে।


আশা করি আপনার নতুন রঙ করার পর আপনার ঘর আরও সুন্দর দেখাইতেছে। শুভকামনা জানবেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
শুভকামনা...

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় পোস্ট- "একটি কোলবালিশ" পড়ে একটি মন্তব্য করে এলাম। আশাকরি, সময় করে দেখে নেবেন।

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

ফোয়ারা বলেছেন:
দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে যেকোন মিস্ত্রী সে হোক রাজ কিংবা রং কাজের। একজন সাধারণ মানুষের চোখ থেকে তাদের চোখে ঘরের সৌন্দর্যতার অভিজ্ঞতা বেশি থাকে।



আমার আজকের পোস্ট, পড়ে আসার অনুরোধ পথপ্রান্তের খোশ গল্পঃ ছুটির দিন

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার লেখাটাও পড়বো ইন শা আল্লাহ!

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট- মনের দুঃখ মনে পুষি, যাতনা বিষে মরি পড়ে একটি মন্তব্য করে এলাম। আশাকরি, সময় করে দেখে নেবেন।

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

করুণাধারা বলেছেন: আজকাল অধিকাংশ মানুষই কপটচারী হয়ে উঠেছে। তাই হৃদয়ের মতো এমন একজন অকপট, দরিদ্র অথচ সৎ যুবকের সাথে পরিচিত হতে পেরে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই হৃদয়ের মতো এমন একজন অকপট, দরিদ্র অথচ সৎ যুবকের সাথে পরিচিত হতে পেরে ভালো লাগলো। - আপনি আমার এ লেখাটা পড়েছেন জেনে আমারও ভাল লাগলো। সুন্দর মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

ঢাকার লোক বলেছেন: আমাদের চার পাশের খেটে খাওয়া লোকগুলোর মাঝে অনেকেই আছে যারা হৃদয়ের মতো লেখাপড়ায় কম হলেও কর্মঠ, সৎ এবং ব্যাবহারে অমায়িক, এদেরকে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ সবার হয়না, তেমন হৃদয়ও লাগে ! আপনার আন্তরিক লেখনীতে এদের একজনকে আমাদের সাথে পরিচয় করে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ !

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে লেখাটির প্রশংসা করেছেন, যা পড়ে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। চমৎকার এ মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভাল থাকুন, সপরিবারে।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হৃদয়ের মতো কিছু মানুষের এ দুনিয়ায় খুব অল্পতেই খুশি থাকে। এমন মানুষেরা সারাটি জীবন সুখে শান্তিতে থাক, এই কামনায়। লেখাটি বরাবরের মতোই ভালো লাগলো, জনাব

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:



মানুষের গতিপথ যেন নিয়মের বাঁধনে বদ্ধ। কিন্তু সব মানুষ হয়ত এইভাবে আত্ননুসন্ধানী নয়!
আপনার গল্প ও কবিতাগুলো সবকিছুতে জীবনবোধের মেসেজ থাকে!
পড়ে ভালো লাগলো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, শাহরিয়ার কবীর। ব্লগে আজকাল আপনি বেশ অনিয়মিত। তবুও আমার ব্লগে এসে এ লেখাটা পড়ে মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য অনেক প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


হৃদয়ের বাবা চলে যাওয়ার পরদিন যদি হৃদয়ের মা গ্রামের মেম্বারকে বললে, উনার স্বামী চলে গেছে, পড়ালেখার ভার মেম্বারকে নিতে হবে; এবং মেম্বার নিলে আজকে এই সমস্যার সৃষ্টি হতো না; দেশের অজ্ঞ ও দুষ্ট লোকেরা সরকার চালাচ্ছে ১৯৭২ সাল থেকে

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: যে রাষ্ট্র নাগরিকের দায়িত্ব নেয়, সে রাষ্ট্রের নাগরিকেরাও রাষ্ট্রের জন্য অনেক কিছু দিতে উন্মুখ থাকে। এ ব্যাপারে আমাদের রাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে থাকলেও, শুধুমাত্র দেশপ্রেমের কারণে এ দেশের নাগরিকেরা রাষ্ট্রকে অনেক কিছু দিয়ে যায়।
আমরা যার যার অবস্থানে থেকে রাষ্ট্রকে অনেক কিছু দিতে পারি।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হৃদয় তার নামের প্রতি সুবিচার করেছে। আমাদের দেশে অনেকেই তার নামের প্রতি সুবিচার করে না...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভাল কথা বলেছেন। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

বলেছেন: শেষের কথাটা- আমাী হৃদয়ের চোখটাকে Appreciate করলাম।
সমৃদ্ধ করলো পুরো লেখাটাকে +++ আপনার লেখায় ভাবের গভীরতা আলো ছড়ায়, আপনাকে নিয়ে যায় সীমাহীন উচ্চতায় ।

শ্রদ্ধা হে অগ্রজ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন লেখকের এবং তার লেখার প্রতি আপনার এ আন্তরিক, সশ্রদ্ধ মন্তব্যে আমি সত্যি অভিভূত হ'লাম। লেখার গভীরে প্রবেশ করে আপনি যে পর্যবেক্ষণটুকু তুলে এনেছেন, তাকে মাথায় তুলে রাখলাম।
ভাল থাকুন সবসময়, সপরিবারে...

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সুন্দর লেখা, আমরা সাধারণ মানুষের গভীরে প্রবেশের চেষ্টা এতোটা করিনা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, সাদা মনের মানুষ। অনেকদিন পরে আমার কোন পোস্টে এলেন এবং সেই সাথে পোস্টটা পড়ে একটা সুন্দর মন্তব্য রেখে গেলেন। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম এবং মন্তব্যের সাথে একমত।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: সমাজের এই সব deprived শিশুদের পূনরবাসনের কাজ টা সরকারেরই করা উচিত, কিন্তু হয় না। দু:খজনক হলেও সত্য এই কর্মক্ষম হাতগুলি কে ইচ্ছা করলেই আরো অনেক ভালো Skilled manpower এ পরিনত করা যেত।
চমৎকার একটা বিষয়ে লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সমাজের আরো এই রকম অসংগতি গুলি তুলে ধরুন যে সবার মাঝে সচেতনতা সৃস্টি হয়।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয়ে লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। - পোস্টটা পড়ে একটা চমৎকার মন্তব্য রেখে যাবার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল sir,

আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে এমন অনেক হৃদয়কে আমরা আমাদের চারপাশে দেখতে পাই, যারা হয়তো শিক্ষা-দীক্ষায় আমাদের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে, কিন্তু বিচার বুদ্ধিতে তারা আমাদের বহু ক্ষেত্রে অনুকরণীয়। হৃদয়রা কম উপার্জন করে ,সারাদিন অমানুষিক পরিশ্রম করে , হয়তো শেখেনি অন্যকে ঠকাতে , কিন্তু দিন শেষে তাদের নির্মল হাসি যেটা আমরা কিছুতেই যেন আনতে পারি না । এই জায়গাটায় আমরা ওদের থেকে বহু যোজন পিছিয়ে। হৃদয় রা হৃদয় হয়েই বেঁচে থাকুক সমাজে । আমাদের সুশীল সমাজ তাদের কাছ থেকে যদি একটু নির্মল হতে পারে তাহলে যেটা আমাদের পরম প্রাপ্তি।


শুভকামনা স্যার আপনাকে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ সামান্য লেখাটা পড়ে আপনি একটা অসামান্য মন্তব্য করেছেন, পদাতিক চৌধুরি। চমৎকার এ মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা...

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

সোহানী বলেছেন: প্রথম দুই মন্তব্যে জী ভাই আর কাউসার ভাই যা বলে গেলেন এর বাইরে কিছু বলার নেই।

ব্যাক্তি দৃষ্টিই অনেক কিছু........ বিমূর্ত ছবিতে অাপনি শিল্প খুজেঁ পেতে পারেন আবার দৃষ্টি বদলালে তাকে হিজিবিজিই মনে হতে পারে।

আর এ সমাজে হৃদয়রা সবসময়ই মূল্যহীন কারন আমরা কাদেরকে মর্যাদা দিতে হবে আর কাদেরকে দিতে হবে না তা এখনো জানি না। ১০ মিনিটের সার্জেনকে মাথায় তুলে রাখি কিন্তু যে নার্স রাতদিন সেবা করে আমাকে সুস্থ করেছে তার কথা মনেও রাখি না। বা যে ইঞ্জিনিয়ার ব্রিজ ডিজাইন করেছে তাকে সন্মান করি কিন্তু শ্রমিক দিনরাত খেটে ব্রিজ দাঁড় করিয়েছে তাকে মনেই করি না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: জী ভাই আর কাউসার ভাই উভয়েই খুব সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন, সেজন্যেই হয়তো তাদের উভয়ের মন্তব্যে ৩টি করে 'লাইক' পড়েছে। আপনিও এ কথাটা খুব সুন্দর বলেছেনঃ "বিমূর্ত ছবিতে অাপনি শিল্প খুজেঁ পেতে পারেন আবার দৃষ্টি বদলালে তাকে হিজিবিজিই মনে হতে পারে।"
পরের কথাগুলোও খুব ভাল বলেছেন। ব্যক্তিজীবনে আমি তাদেরকে খুবই শ্রদ্ধা করি, যারা হাতের কাজে পটু (কারণ আমি "হাতের কাজে" একেবারে অপটু), যেমন ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, পেইন্টার, কার্পেন্টার, গ্যারেজ মেকানিক, ছোটখাট রিপেয়ারার ইত্যাদি। তাদেরকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে আমি কখনোই কার্পণ্য করিনা।
পোস্টে প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করে গেলেন, ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!

১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

জুন বলেছেন: বরাবরের মতই আপনার বিশাল ও সুন্দর মনের পরিচয় ফুটে উঠেছে লেখার প্রতিটি ছত্রে খায়রুল আহসান। এমন কজনাই বা হতে পারে যে কিনা সাধারণ মানুষের দুখ কষ্টকে অনুধাবন করতে পারে। আপনি সবসময়েই এদের ব্যাপারে আন্তরিক তা আপনার বিভিন্ন লেখায় ফুটে উঠেছে।
সোহানীর মন্তব্যের সাথে একমত।
আমিও অবশ্য আমার গৃহকর্মীদের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলি যার জন্য ওরা আমাকে ছেড়ে যেতে চায়না। বহু বছর ধরে কাজ করছে একই রঙ মিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রি, স্যানিটারি মিস্ত্রি। যখনি ডাকি হাতের কাজ ফেলে হাজির হয়। জানে তাদের ভাই/ভাবী তাদের কতটা স্নেহ করে।
অনেক ভালোলাগার লেখায় ভালোলাগা রইলো
+

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ জুন, আপনি আমার বিভিন্ন পোস্ট পড়ে সব সময়ই প্রশংসা করে প্রাণিত করে গেছেন। এখানেও তাই করলেন। আমার মনে হলো, পৃথিবীতে যখন সারল্যের দুর্ভিক্ষ চলছে, তখন এ রকম দুই একটা সরলতার ছোটগল্পকে হাইলাইট করলে মন্দ হয় না। সৌন্দর্যের (যাকে 'হৃদয়' তার ভাষায় "সুন্দরতা" বলেছে) আবাস মানুষের মনোভূমিতে। মানুষ ছোট বড় যাই হোক, মন ভাল হলে সেখানে সৌন্দর্য থাকবেই।
জানে তাদের ভাই/ভাবী তাদের কতটা স্নেহ করে - এটা শুধু ওরাই জানে তা নয়, সামু ব্লগের যেসব পাঠক পাঠিকারা জুন এর লেখার সাথে পরিচিত, তারাও বেশ ভাল ভাবেই বুঝতে পারে।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ওশেষ ধন্যবাদ।

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

হাবিব বলেছেন: আপনার লেখাগুলো আমাকে অনেক টানে. ...।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট একটা লাইনে আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে গেলেন, শ্রদ্ধেয় হাবিব স্যার! কাছে থাকলে আপনাকেও আমি এক্ষুনি বুকে টেনে নিতাম!
ভাল থাকুন সপরিবারে, সব সময়! শুভেচ্ছা নিরন্তর!

২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

মুক্তা নীল বলেছেন: সমাজে হাজারো হৃদয় আছে, আর হৃদয়বান লোকই হৃদয়কে খুজে বের করে। হৃদয়ের মায়ের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান রইলো।(ইচ্ছে করলে তিনিও ২য় বিয়ে করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি )তিনি হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে পারেননি তাতে কি, মনের দিক থেকে তো সশিক্ষিত ভাবেই গড়ে তুলেছেন। আর আপনার জন্য শুভ কামনা করছি এতো সুন্দর করে এই * হৃদয়* কে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয়বান লোকই হৃদয়কে খুঁজে বের করে - আপনার এ কথাটা লেখকের হৃদয় ছুঁয়ে গেল!
আর আপনার জন্য শুভ কামনা করছি এতো সুন্দর করে এই * হৃদয়* কে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য - অনেক ধন্যবাদ। এ ব্যাপারে ১৯ নং প্রতিমন্তব্যের কিয়দংশ দ্রষ্টব্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!!!

২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাহ! চমৎকার হয়েছে স্যার আপনার লেখার প্রতিটি লাইন.....

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, লেখাটা পড়ে এমন চমৎকার একটা মন্তব্য এখানে রেখে যাওয়ার জন্য।
প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: ইতায় সুন্দরতো দেহাইতো না, - হৃদয়ে কথা সঠিক হলো শেষে। হা হা
রঙ মিস্ত্রীদের আমার ভালো লাগে। রঙ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে আমার ভালো লাগে। যারা রঙের কাজ করেন তারা মানসিক দিক থেকেও বেশ রঙিন হয়ে থাকে মনে হয়।
পাঁচ ছয় বছর আগে আমিও আমাদের বাড়িতে রঙ করানোর সময়ে মিস্ত্রী'র সাথে কিছু আলাপ-সালাপ করেছিলাম, ওদের থেকে শিখে আমিও কিছু কিছু রঙ করেছিলাম। যাইহোক, সেটা আলোচ্য না।

আপনার বর্ণনা পড়তে ভালো লাগলো, গুছিয়ে লিখেছেন। রঙ করার যে একটা ছোটোখাট ঝক্কিঝামেলা আছে, জিনিসপত্র এলোমেলো হবার বিরক্তিকর অবস্থা আছে সেটা প্রকাশ পেয়েছে, যদিও প্রবলভাবে নয়। কিছুটা এলোমেলো হলেও আপনিও যে ব্যাপারটা উপভোগ করছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে।

শুভ কামনা রইল, বাড়ির রঙ করার কাজ দ্রুত শেষ হোক। নতুন রঙ এর বাড়িতে মন হোক আরও রঙিন আরও নির্মল-প্রফুল্ল।
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম বাক্যটিতে উদ্ধৃত 'হৃদয়' এর কথাটাতে একটু ভুল হয়েছে। কথাটা "সুন্দরতো" নয়, সুন্দরতা। 'হৃদয়' এর অনভ্যস্ত জিহ্বায় সৌন্দর্য কথাটা আসেনি, এসেছে সুন্দরতা। তবে তার কথার সাথে এ কথাটাও সুন্দরভাবেই মানিয়ে গেছে বলে মনে করি।
ওদের থেকে শিখে আমিও কিছু কিছু রঙ করেছিলাম - এটা একটা ভাল কাজ করেছিলেন। জীবনে কোন এক সময় হয়তো এ অভিজ্ঞতাটুকু কাজে আসতেও পারে, বিশেষ করে যদি কখনো প্রবাসী হন।
কিছুটা এলোমেলো হলেও আপনিও যে ব্যাপারটা উপভোগ করছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে - কথাটা মন্দ বলেন নি, আংশিক সত্যও বটে!
নতুন রঙ এর বাড়িতে মন হোক আরও রঙিন আরও নির্মল-প্রফুল্ল - চমৎকার একটা শুভকামনা রেখে গেলেন, অশেষ ধন্যবাদ!
মন্তব্যে, প্লাসে, শুভকামনায় অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার জন্যেও রইলো শুভেচ্ছা নিরন্তর...

২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: "হৃদয়" - আমার হৃদয়টাকে জয় করে নিয়েছে।

তাঁর রঙে আমার হৃদয়ের দেওয়াল ও রঙিন হয়ে ওঠলো।

খুব ভালো লেগেছে আপনার পোস্টে হৃদয়ের "হৃদয়ের চোখ"- এর পরিচয় পেয়ে।

পোস্ট +++ ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে আপনার পোস্টে হৃদয়ের "হৃদয়ের চোখ"- এর পরিচয় পেয়ে - খুব সুন্দর করে বলেছেন এ কথাটা, এটা শুনে আমারও খুব ভাল লাগলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জাপিত জীবনে ছোট্ট একটা সময়কে কত সুন্দর ভাবে আপনার লেখায় তুলে ধরলেন!
হৃদয়ের জন্য হৃদয় থেকে ভালবাসা রইল।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয়ের জন্য হৃদয় থেকে ভালবাসা রইল - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য এবং পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা----

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

রানা আমান বলেছেন: হৃদয়ের জন্য শুভকামনা রইলো ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয়ের জন্য শুভকামনা রইলো - লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো....

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "আমাদের রায়বাবু" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম, আড়াই বছর আগে।

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

লেখাটা পড়তে গিয়েই একটা গানের লাইন মনে আসছিলো-

আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল শুধাইলো না কেহ ......

আর তুমি তো লিখেই ফেললে হৃদয়ের কথা!

বুঝা যাচ্ছে সে একজন গুড ইনটেরিয়র!!! :)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম সাক্ষাতে ওর নামটা শুনেই ভেবেছিলাম, নামটাতো সুন্দর, কাম কেমন করে সেটা দেখবো। কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় ওর কথাগুলো শুনতেও ভাল লাগছিল। কাজ শুরু করার পর, কাজের প্রতি তার মনযোগ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি, তাইতো আমিও হ'লাম 'হৃদয়ের কথা লিখিতে ব্যাকুল', এবং লিখেই ফেললাম এ পোস্ট! :)

লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো....

২৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





কে কোথায় কীভাবে বসবাস করছে তা মূখ্য বিষয় নয়, মূখ্য বিষয় হচ্ছে তার মনে কতটুকু সুখের বসবাস। কেউ কেউ দু'বেলা দু'মুঠো খেয়েও রাজ্যের সুখ ধারণ করে আছে আবার কেউ কেউ বাহ্যিক শান সওগাতের সকল আয়োজন করেও নীরবে দুঃখ বয়ে চলছে। তাই হৃদয়ের মত করেই বলা যায়, সুখ কার কপালে লেখা আছে কিংবা নাই তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চমৎকার মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো....

২৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

নজসু বলেছেন:




বনিবনা বা মতের মিল না হবার কারণে অনেক সময় একজন নারী-পুরুষের
একসঙ্গে থাকা না-ও হয়ে উঠতে পারে।
বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে দুঃখজনক হলেও সত্যি এই যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির
মাসুল দিতে হয় সন্তানকে।

হৃদয়ের যখন স্কুল যাবার বয়স তখন যদি ওর মা বাবার বিচ্ছেদ না ঘটতো
আজকে হয়তো হৃদয়কে এই রংয়ের কাজ করতে হতো না।

নামের সাথে ব্যক্তির মিল খুঁজে পেলাম আমিও।
বাস্তবতা মেনে নিতে পারে হৃদয়। সুখটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে সে।
আত্মতৃপ্তিতে সে সুখী।

মা বাবাকে আজও শ্রদ্ধা সন্মানের চোখে দেখছে।

অন্য কোন সন্তানেরা হয়তো লেখাপড়া শিখে, মা বাবার আদর পেয়ে, বড় হবার পর মা বাবাকে অবজ্ঞা করে। (সকলে না, কেউ কেউ)
সেখানে হৃদয় সালাম পাবার যোগ্য।

আপনার লেখনির মাধ্যমে আমি হৃদয়কে সন্মান জানাচ্ছি।



২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হৃদয় গতকাল বিদায় নিয়ে চলে গেল। গত সন্ধ্যায় ওকে যখন ওর পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিলাম, ও নত হয়ে আমার এবং আমার স্ত্রীর (ওকে সে আপন খেয়ালে খালা ডেকেছে) পা ছুঁয়ে সালাম করে দোয়া কামনা করে চলে গেল। আমি অভিভূত হয়েছিলাম, কারণ এরকম কেউ কখনো করেনা।
একটানা অনেকদিন ঘরের কাজ করার পর হৃদয় আজ সকালে আর আসেনি। আমি লিখছি, গান শুনছি আর এতদিন ধরে আশে পাশে নীরবে কাজ করে যাওয়া এক রঙশিল্পীর অনুপস্থিতি অনুভব করছি।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার "প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, আসুন না একটি নিষ্পাপ ফুল ঝরে যাওয়া থেকে রোধ করি"- পোস্টটা পড়ে একটা মন্তব্য করে এসেছিলাম। ছেলেটির ব্যাপারে কি আর কোন আপডেট জানাতে পারবেন?

৩০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বাহ।।। শিল্পি শিল্প বুঝে।।। চিরন্তন সে শিল্প। অভিজ্ঞতা আর হাতের কাজ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো....

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার "ছাত্র জনতার বিজয় নিশ্চিত" - পোস্টটা পড়ে একটি মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

৩১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: হৃদয়ের কতা হৃদয় ছুঁয়ে গেল!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয়ের কথাগুলো পড়ে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো....

৩২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

সাধারণ ঘটনার অসাধারণ বর্ণনা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাধারণ ঘটনার অসাধারণ বর্ণনা - ছোট্ট একটি বাক্যে অসামান্য প্রেরণা!
আপনার জন্য রইলো নিরন্তর শুভকামনা!!

৩৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো আগেই ফেবুতে দেখেছিলাম। হৃদয়কে নিয়ে আপনার অনুভূতি বা চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ভালো লেগেছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো....

৩৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

প্রামানিক বলেছেন: সাধারণ ঘটনার অসাধারণ বর্ননা। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক, মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

৩৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হৃদয় ঐ বিষয়ে পারদর্শী ছেলে। তাই তার পছন্দ আমাদের থেকে একটু ভাল হতেই পারে! তবে আপনার লেখা প্রকাশটা ওর রূপকে আলাদাভাবে প্রকাশ করেছে।

আপনার গিন্নিকে আমার সালাম দিয়েন "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ"

ভালো থাকুন সবসময়

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার উপরেও আল্লাহ'র শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক!

৩৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লাগলো হৃদয়ের গল্প!
সত্যি বলতে কি কেউ কেউ সৌন্দর্য্য বোধ নিয়েই জন্মায়। সে যে পরিবেশেই জন্মনিক অথবা যে পেশাতেই থাকুক।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয়ের গল্প আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

জাহিদ হাসান বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা---

৩৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

নজসু বলেছেন:



নতুন পোষ্টের পিপাসা নিয়ে এসেছিলাম।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। যতদিন সেটা আমার দ্বারা সম্ভব না হচ্ছে, ততদিনে দুই একটা পুরনো পোস্টে চোখ বুলিয়ে গেলেও সেটা আমার জন্য প্রেরণার কারণ হতো।
শুভকামনা নিরন্তর...

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "সুখের দিনে বন্ধু তুমি অন্ধ চোখে দেখেছিলে, দুঃখের দিনে বন্ধু তুমি চোখ মেলে অন্ধ ছিলে!" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। সুন্দর কবিতা লিখেছেন। +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.