নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়স্কদের অসুস্থতা, একাকীত্ম, অসহায়তা এবং একটি ডিলেমার কথা

১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

প্রতিমাসে অন্ততঃপক্ষে দুই একটা দিন হাসপাতালে যেতে হয়, কখনো নিজের বা পরিবারের কারো প্রয়োজনে, আবার কখনো শুধুই অসুস্থ বন্ধু/সতীর্থ/আত্মীয়-স্বজন/অতীতের কোন জ্যেষ্ঠ/কনিষ্ঠ সহকর্মীদের অসুস্থতার খবর পেয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। আমার বাসার কাছাকাছি তিনটে হাসপাতাল আছে। প্রায়ই আত্মীয়, পরিচিত পরিজনদের অসুস্থতার খবর পেয়ে সেখানে যেতে হয়। যেহেতু হাসপাতালগুলোর অবস্থান আমার বাসার কাছেই, সেহেতু এতে আমার তেমন অসুবিধে হয় না।

আজ সারাদিনের জন্য হাতে অনেক কাজ জমা ছিল। তার মধ্যে হাসপাতাল যাওয়াও অন্যতম একটা কাজ ছিল। হাসপাতালে নিজের কাজটুকু সেরে একজন অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাবার জন্য সংশ্লিষ্ট লিফটের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছি, এমন সময় শুনতে পেলাম, কে যেন পেছন থেকে আমার নাম ধরে ডেকে বলছেন, ‘তোমাকে আমি এখনি লিফটে যেতে দেব না, আগে আমার সাথে কিছু কথা বলে যাও'। পিছে তাকিয়ে দেখি একজন জ্যেষ্ঠ প্রাক্তন সহকর্মী আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। তিনি সম্প্রতি ফেইসবুক একাউন্ট খুলেছেন, সেই সুবাদে তিনি মাঝে মাঝে আমার কিছু কিছু পোস্ট পড়ে থাকেন। অনেক আগে এক সময়ে তিনি আমার বস ছিলেন। একবার যিনি বস থাকেন, আর তিনি যদি আমার চোখে নেহায়েৎ খারাপ মানুষ না হয়ে থাকেন, তবে তিনি সারা জীবনের জন্য আমার শ্রদ্ধা ও সমীহের ন্যায্য পাওনাদার হয়ে থাকেন। তাই আমি লিফটের কিউ থেকে বের হয়ে এসে ওনার সাথে কুশলাদি বিনিময় করতে শুরু করলাম। উনি প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি এত সুন্দর কিভাবে লেখ? আমি যে তোমার লেখা পড়ে মাঝে মাঝে মন্তব্য করি, তা কি তুমি জান?’ প্রশ্নটা তিনি কথাচ্ছলেই করেছিলেন, কারণ তার মন্তব্যের উত্তর আমিও যথাসময়ে দিয়েছি (সবগুলোর না হলেও)। আমি সে কথাই তাকে বললাম, এবং তিনিও সাথে সাথেই স্বীকার করলেন, হ্যাঁ, তুমি তা দিয়েছো। কেমন আছেন, জিজ্ঞেস করতেই তিনি একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ভাইরে, বুড়া বয়সে যার বউ নাই, তার কেউ নাই। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন রোগ শোকে ভোগার পর ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর স্ত্রী একজন খুবই স্নেহময়ী জননীসুলভ মহিলা ছিলেন। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন!

আজ তিনি চোখের একটা অসুখের কারণে এসেছেন চোখে ইঞ্জেকশন নেয়ার জন্যে। বিদায় নেয়ার আগে আমার কাঁধে একটি হাত রেখে বললেন, ‘বুঝলা আহসান, একমাত্র মশামাছি ছাড়া বুড়াদের কাছে আর কেউ আসে না’! কথাটা শুনে খুবই ব্যথিত বোধ করলাম। কত মায়া নিয়ে আমরা সংসার গড়ি, একদিন সব মায়া শূন্য হয়ে যায়, মানুষ আপন বৃত্তে ঘুরপাক খায়।

আরেকদিনের কথা। আমার এক জ্যেষ্ঠ্য, অসুস্থ প্রাক্তন সহকর্মীকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। উনিও একসময় আমার বস ছিলেন। অসুস্থ হবার মাস কয়েক আগেও ওনাকে একদিন ফার্মেসী থেকে ওষুধ সংগ্রহের সময় দেখা হওয়াতে কুশল জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি ছোট্ট করে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘ভাই এখন আর কেমন থাকা! ওপারের ডাকের প্রতীক্ষায় আছি।' তারপর টুকটাক কিছু কথাবার্তা এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বিদায় নিয়েছিলাম। এবার তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তিনি এবারে বেশ অসুস্থ। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল, তবুও তিনি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে কথা বলছিলেন এবং মনযোগ দিয়ে আমার কথাও শুনছিলেন। একটু পরে একজন সহকারী এসে ওনাকে দশ মিনিটের জন্য নেবুলাইজার দিয়ে গেল। জিজ্ঞেস করে জানলাম, আট ঘন্টা পর পর দিনে তিন বার করে তাকে দশ মিনিট নেবুলাইজার সাপোর্ট নিতে হয়। রক্তের হেমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে বলে কিছুদিন পর পর সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়। খাওয়ার কোন রুচি নেই, মুখে মাঝে মাঝে ঘা হয়। দাঁড়িয়ে থাকা তো দূরের কথা, চেয়ারে বসে থাকতেও তিনি দুর্বল বোধ করেন। আমি যখন তাকে দেখতে গিয়েছিলাম, তখন কক্ষে আর কোন দর্শনার্থী ছিল না। আমাকে একলা পেয়ে তিনি অতীতের অনেক স্মৃতিচারণ করলেন। ছাত্রজীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং এইচ এস সি’তে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। তার পরে কিভাবে দ্রুত জীবনটা পার করে এলেন, তার কিছু কিছু ছোট ছোট স্মৃ্তিকথা শোনালেন। আমি যখন ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন ওনার দিকে খেয়াল করে মনে হলো, উনি কিছু একটা বলতে চাচ্ছেন। বুঝতে পারছিলাম, উনি আমাকে কিছু একটা বলার জন্য ভেতরে ভেতরে স্ট্রাগল করছেন। চোখ দুটো কিছু একটা পাবার আশায় চক চক করছে। উনি বললেন, ‘আহসান, আমি আজ তোমার কাছে মাত্র একশ’টি টাকা ধার চাচ্ছি। আমি সুস্থ হবার পর ব্যক্তিগতভাবে তোমার সাথে দেখা করে এ টাকাটা ফেরত দিয়ে আসবো, দ্যটস মাই ওয়ার্ড অভ অনার’! আমি সাথে সাথে পেছন পকেটে হাত ঢুকালাম মানিব্যাগটা বের করার জন্য। তা দেখে ওনার চোখদুটো আবারো চক চক করে উঠলো। মানিব্যাগ বের করতে করতে মুহুর্তের মধ্যে আমার মনে একটা প্রশ্ন খেলে গেল, আচ্ছা, টাকাটা উনি কেন চাচ্ছেন? ওনার স্ত্রী তো প্রতিদিনই দুপুরে বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসে তাকে খাইয়ে দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে যান, এ কথাটা তিনি তো একটু আগেই আমাকে বললেন। আর হাসপাতাল থেকে দেয়া পথ্য/খাবার দাবার তো আছেই। তা'হলে???

আমার স্মরণ হলো, তিনি একসময় চেইন স্মোকার ছিলেন, হয়তো এখনো অতটা না হলেও কিছুটা আছেন। আমি কোন কিছু চিন্তা না করেই তাকে বললাম, স্যর, টাকাটা আমি আপনাকে দিতে পারি এক শর্তে, যে আপনি এ টাকা দিয়ে সিগারেট কিনে খাবেন না। এ কথা শুনে মুহুর্তেই যেন ওনার যে চোখ দুটো দিয়ে এতক্ষণ আশার আলো ঠিকরে বেরোচ্ছিল, তা দপ করে নিভে গেল। উনি জামার হাতা দিয়ে কপাল মুছতে লাগলেন। তারপর আস্তে করে বললেন, ‘মিথ্যে বলতে তো পারিনা, আমি ঠিক সেজন্যই টাকাটা চেয়েছি, আহসান!’ এবারে আমার কপাল ঘামতে শুরু করলো। আমি মহা ফাঁপড়ে পড়ে গেলাম। এক দিকে আমি তার অন্যায্য আস্থার প্রতীক, আশার দীপশিখা, অন্য দিকে আমার বিবেক বলছে, একজন অতি অসুস্থ ব্যক্তি যিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, নেবুলাইজার নিচ্ছেন, মুখে ক্ষত নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তাকে কী করে জেনে শুনে সিগারেট কেনার জন্য টাকা দেই? আমি তাকে বোঝাতে উদ্যত হতেই তিনি বললেন, এসব বলে লাভ নেই। আই ওয়ান্ট ইয়োর কো-অপারেশন। মনে ভাবনা শুরু হলো, কো অপারেশন ফর হোয়াট? ডেথ? কয়েক দশক আগে তার স্ত্রীকে দেখেছিলাম এক সামাজিক অনুষ্ঠানে। তার আবছা একটা চেহারা মনে ভেসে উঠলো। কল্পনা করলাম, উনি এখন এ রোগীকে নিয়ে কতই না হিমশিম খাচ্ছেন! আমি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, আমি এ কাজে তাকে সহযোগিতা করতে পারি না। এবারে পরিষ্কার করেই তাকে না বললাম। তিনি একেবারে চুপসে গেলেন। চেহারায় কথা বলার অনীহা ফুটে উঠলো। আমি নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। একটু পরে দরজায় করাঘাত, মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট এসে তার ব্লাড প্রেসার মাপা শুরু করলো। আমি নীরবেই প্রস্থান করলাম।

সেদিন বাকী সারাটা দিন আমি ন্যায্য-অন্যায্যতা নিয়ে ভেবেছিলাম, দোদুল্যমান ছিলাম। এ ঘটনা শুনে সবাই হয়তো একবাক্যে বলবেন, আমি যেটা করেছি, সেটাই ঠিক ছিল। আমার নিজের বিবেকও তাই বলে। কিন্তু মন ততটা শক্তভাবে সে সায় দেয় না, কারণ আমার মন সেদিন তার চোখের ভাষা পড়তে পেরেছিল। সেখানে তার একটি আকুল আবেদন ছিল, এবং পরবর্তীতে একজন তীক্ষ্ণ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির আবেদন প্রত্যাখাত হবার হতাশা ও বেদনা ছিল। তার শেষ অভিব্যক্তিটুকু কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারি না। হয়তো মনের এই দোদুল্যমানতা, এমন একটি ডিলেমা কে প্রশ্রয় দেয়াটাই অন্যায়, তবুও ঘুরে ফিরে একটা ভাবনা এসে যায়, সেই ‘কো-অপারেশন” টুকু করলে কি তার অবস্থার খুব বেশী ইতর বিশেষ হতো? জানিনা-----


ঢাকা
১০/১১ মার্চ ২০১৯

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

আমি মুক্তা বলেছেন: কষ্ট কষ্ট আর কষ্ট! আহ্ এসব কষ্টের কি শেষ কোনদিন হবে? নাকি আরো বাড়বে? মানুষ শিশু অবস্থায় জন্ম নেয়, কৈশোর, যৌবন, পৌঢ়, এরপর বৃদ্ধাবস্থা মানে আবার শিশু! অথচ আমরা যুবকরা এই সব অসহায় শিশুদের ফেলে রাখি অনাদরে আর অবহেলায়! মনে রাখতে চাইনা যে একদিন আমাদেরও ঐ একই অবস্থা হতে পারে। তাদের জন্য দোয়া করা ছাড়া আপাতত আর কিছু করার নেই।

আর শেষের ঘটনায় আমার ব্যক্তিগত মতামত আপনি তাকে এ কো-অপারেশন করতে পারতেন, সারা জীবন যার কেটেছে ধূমপান করে সে এখন শেষ অবস্থায় যদি একটু হৃদয়তৃপ্ত হতে পারে ধূমপান করে তো করুক না! তবে আপনার কঠিন হওয়াটা প্রমাণ করে আপনি এখনও নীতিতে অটল আছেন যা আমাদের সবারই থাকা উচিত।

ধন্যবাদ সুন্দর এই মানবিক বাস্তবতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে এখন পাঠকের অভাবে হাহাকার চলছে। তার মধ্যে আমার পোস্টে এসে প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটি রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
বয়স্কদের সাথে একটু কথা বলা, একটু তাদের কথা শোনা, উন্নত মানের ইহসান। পরিচিত অপরিচিত সকল বয়স্ক ব্যক্তিদেরকে একটু সাহায্য সহযোগিতা করলে আমাদের বার্ধক্যেও কেউ না কেউ আমাদের সহায় হবে।
দ্বিতীয় ঘটনায় আপনি যেমনটি ভেবেছেন, আমার মনটাও একই ভাবনায় বিচরণ করাতেই তো মনে এই দোদুল্যমানতার সৃৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটা হেড ভার্সা্স হার্টের দ্বন্দ্ব- ডিলেমা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ভাল থাকুন, শুভকামনা---

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পরে মন্তব্য করবো।

১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: মনটা সত্যি খারাপ হয়ে গেল লেখাটা পড়ে। আপনার জায়গায় আমি হলে টাকা দেয়া ঠিক কি বেঠিক সেই হিসাবটা তুলে রেখে দিয়ে তাঁকে টাকা দিতাম। এটা করলেও খুব ক্ষতি হতো না। আমি আবেগ থেকে বলেছি। আর এই আবেগকে, এই দুর্বলতাকে আমি কখনোই না বলতে পারব না।

তবে আপনি যা করেছেন তা বেঠিক না। আমাদের সবারই উচিৎ এমন হওয়া।

১১ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে আপনি যা করেছেন তা বেঠিক না - ঠিক বেঠিক এর এই দোদুল্যমানতা থেকেই তো এ পোস্টের সৃৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম-নীতি, ঔচিত্যবোধ, সেন্স অভ প্রপ্রাঈটি এ ধরণের সব বিবেচনা থেকেই আমি যেটা করেছি, সেটাকেই সঠিক বলে মনে হবে। কিন্তু তার পরেও মন কেন অতৃপ্ত? এখানেই হৃদয়ের অনুভূতির কথা চলে আসে। আমি যেটা করেছি, অপরটাও যে করা যেত, এবং সেটা আপনিও করতেন, এটা জেনে গল্প (সত্য কাহিনী) বলাটা সার্থক হয়েছে বলে মনে হলো। হাসপাতালে রোগীর কাছে টাকা পয়সা রাখা নিষিদ্ধ। তাছাড়া হাসপাতালে কোথাও সিগারেট পাওয়া যায় না। সিগারেট আনাতে হলে তাকে অন্য কারো সাহায্য নিতে হতো। এছাড়া তিনি আমাকে গল্পচ্ছলে জানিয়েছিলেন যে সিগারেট খাওয়া নিয়ে প্রায়ই তার পরিবারের সদস্যদের সাথে তার বিবাদ/মান-অভিমান চলতো। তাকে সিগারেট পেতে সাহায্য করে তার স্বাস্থ্যের যেমন বিপজ্জনক ক্ষতি করা হতো, তার পরিবারের সদস্যদেরকেও অবজ্ঞা করা হতো। কিন্তু তার পরেও কথা থাকে, এসব বুঝে শুনেই তো তিনি তার চরম আকাঙ্খার কথাটা ব্যক্ত করেছিলেন আমার কাছে, অনেকটা অবুঝ শিশুর মত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: এত সুন্দর করে লিখেছেন যে, চোখে পানি এসে গেল।

১১ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ে আপনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
হেড ভার্সা্স হার্টের একটি ডিলেমাকে তুলে ধরতে চেয়েছি একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় স্যার,

পোস্টটি থেকে পরিষ্কার হসপিটালের পাশে বাড়ি হওয়ার জন্য আপনার দৈনন্দিন কাজের মধ্যে হসপিটালে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করাটাও অন্যতম একটা কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে । দুটি ঘটনা দু দিক দিয়ে হৃদয়ে আঘাত করার মতোই ।
১- লিফটের সামনে একজন প্রবীণ মানুষ যখন বললেন বুড়ো বয়সে মশা আর মাছি ছাড়া কেউ পাশে আসেনা - অপ্রিয় হলেও ধ্রুব সত্য কথাটি যেনো অন্তরে কুঠারাঘাত করে গেল ।
২- অপর একটি রূঢ় বাস্তব অভিজ্ঞতার পরিচয় করালেন । তবে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার খারাপ লাগলেও আপনি যথার্থ কাজটি করেছেন বলে ব্যক্তিগতভাবে আমার অভিমত । এই প্রসঙ্গে বলি,
আমার এক কলিগ ছিল চেইনস্মোকার । চাকরি জীবনের শুরুতে স্টাফরুমে বসে একটার পর একটা সিগারেট ধরাতেন । বেশ কয়েকবার ভদ্র ভাবে অনুরোধ করেও কাজ হয়নি । একবার বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়েছিল । আমি রাগ করলেও উনি না রেগে সেদিন আমাকে উত্তর দিয়েছিলেন, তোর বৌদিও যখন একই প্রশ্ন করে তখন বলি প্রয়োজনে তোমাকে ত্যাগ করতে পারবো কিন্তু সিগারেটকে কখনই নয় । বছর দশেক পরে কোন এক বিকেলে হঠাৎ কাশতে কাশতে ওনার মুখ দিয়ে সেই যে রক্ত পড়া শুরু হলো যার ফলে 10-12 দিন নার্সিংহোমে কাটাতে হলো । এরপরে একদিনের 26 রকমের ওষুধ নিয়ে চিনি মিশ্রিত জোয়ান খেয়ে বাকি চার বছরের কর্মজীবন অতিবাহিত করলেন । আমি যদিও বহুবার বলেছি যে বৌদিকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন কি না। প্রতিউত্তরে অবশ্য উনি মাথা নিচু করে হেসে অন্য প্রসঙ্গে চলে যেতেন।


শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। অবশ্য আপনি সব সময়েই তাই করে থাকেন।
১। বিপত্নীক বৃদ্ধদের কষ্টটা মনে হয় একটু বেশী।
২। নীতিগতভাবে কাজটি সঠিক ছিল, কিন্তু ওনার আশাহত এবং মানসিকভাবে আহত হবার অভিব্যক্তি দেখে আমি ব্যথিত হয়েছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা---

৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

হাবিব বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই, আমরা উন্নত হচ্ছি। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমাদের সন্তানদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানাচ্ছি। তাদেরকে বড় হবার স্বপ্ন দেখিয়ে বাদর বানাচ্ছি। বড় কোন চেয়ারের মালিক তারা ঠিকই হচ্ছে কিন্তু আমাদের মা-বাবারা একা হয়ে পড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এমন অবস্থা। সন্তান বিসিএস ক্যাডার অথচ মা-বাবাকে দেখে না। সন্তানেরা বিদেশে থাকে, আর দেশে মা-বাবারা তাদের পথ চেয়ে বসে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। ক'দিন আগেই তো দেখলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক অধ্যাপকের করুন অবস্থা। এরকম ঘটনা দেখতে দেখতে আমাদের চোখগুলোও সয়ে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের কি কোন উপায় নেই? আমরা কি মূল ধারা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি? ছেলে-মেয়েদেরকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবার সাথে সাথে তাদেরকে নৈতিকতার পাঠ শিখিয়ে দিতে হবে। বৃদ্ধ হবার পর বাবা-মাদেরকে যেন বোঝা না মনে করে।

যে একাকীত্বের কথা তুলে ধরলেন তারা কেউই অশিক্ষিত না। তাদের সন্তানেরা হয়তো কেউই বেকার না। টাকা-পয়সার অভাব তাদের নেই। কিন্তু তাদের সন্তানদের মাঝে মা-বাবার জন্য ভালোবাসার বড় অভাব। তাইতো এই মা-বাবারা আজ একা।

আপনি টাকা না দিয়ে আসলেই ভালো কাজ করেছেন। আপনার মতো বিচক্ষণ না হলে যে কেউ দিয়ে দিত। আমিও হয়তো দিয়েই দিতাম। এ ঘটনা থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। সাহিত্যগুণে চমৎকার একটি লেখা।

যা শিখলাম তা হলো:

১) সন্তানদেরকে শুধু বড় হবার স্বপ্ন দেখালে তারা বড় হবে ঠিকই তবে নৈনিকতা, বাবা-মা দের জন্য ভালোবাসা জন্ম নিবে না তাদের অন্তরে।
২) ধূমপানের অপকারিতা হাতে নাতে পাওয়া গেল পোস্টটিতে। এ থেকে অনেকেই শিক্ষা নিতে পারবে।
৩) একদিন আমরাও বৃদ্ধ হবো, সুতরাং মা-বাবাদের জন্য আমাদের কিছু করা উচিত তাদের বিদায়ের আগেই।

চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় খায়রুল আহসান ভাই।

১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রে মা বাবারা নিজেরাই সন্তানদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তাদেরকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেরা স্বদেশে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবন যাপন করেন। যেসব পরিবারে বন্ধনটা একটু দৃৃঢ়, সেসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা প্রতিদিন না হলেও দুই একদিন পর পর সময় করে বাবা মায়ের সাথে কথা বলে, ভিডিও চ্যাট করে থাকে। অবশ্য ধীরে ধীরে তার ফ্রিকোয়েন্সি কমে যায়।
সুবিবেচিত মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা----

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ দাঁত ব্যাথা নিয়ে আছি।
কেন জানি আমার দাতের ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় লাগে।
ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছি। তাতে সাময়িক ব্যাথা কমে।

খুব সুন্দর লিখেছেন। আপনি সব সময়ই খুব সুন্দর লিখেন।

১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: দাঁতের ডাক্তারের ব্যাপারে আমিও ভীষণ ভীতু। ডেন্টিস্ট এর চ্যাম্বার থেকে অনেকবার ফিরে এসেছি। তবে সেটা ভাল নয়। অসুখ হলে তো চিকিৎসা করাতেই হবে।
লং (লবঙ্গ), বা টোটকা ফোটকা দিয়ে দুই একদিন চেষ্টা করে দেখতে পারেন, তবে তার বেশী নয়। আর ব্যথা কমানোর জন্য বেশি বেশী ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে, সুতরাং এ ব্যাপারে সচেতন হোন এখনই।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। লেখার প্রশংসা পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




হ্যাঁ, ডিলেমাই বটে! একদিকে একজন পুরোনো সহকর্মীর অবুঝ শিশুর মতো আকুল আবেদন অন্যদিকে ঔচিত্য , আপনাকে যে অসহায় করে দিয়েছে তার মানসিক টানাপোড়েন সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।

জীবন তো এমনি করেই বয়ে চলে, ঔচিত্য- অনৌচিত্যের দোলাচলে...................

১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: একদিকে একজন পুরোনো সহকর্মীর অবুঝ শিশুর মতো আকুল আবেদন অন্যদিকে ঔচিত্য , আপনাকে যে অসহায় করে দিয়েছে - আপনি ঠিক ধরেছেন। সেই মানসিক টানাপোড়েন থেকেই এই পোস্ট বের হয়ে এসেছে।
জীবন তো এমনি করেই বয়ে চলে, ঔচিত্য- অনৌচিত্যের দোলাচলে........ - কি সুন্দর করে কথাটা বলে গেলেন, খুব ভাল লাগলো।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা.....

৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে মন্তব্য করার ভাষা নেই। এই লেখা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় শিক্ষনীয় ও পারিবারিক ঘটনা সমূহের সাথে যাপিত জীবনেরই অংশ।

আমাদের সমাজে একজন বয়স্কব্যক্তিদের স্ত্রী বিয়োগ ভয়াবহ। এর প্র‍্যাকটিক্যাল অবস্থা আপনি বললেন, যা শুনে আমারও খারাপ লাগছে।

আপনি ভালো থাকবেন, নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।

১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাট ঘটনা, যেগুলো কোন কারণে আমার মনে রেখাপাত করে, মাঝে মাঝে সেসব নিয়ে এই সামুতে আমার মনের কথা বলে যাই। আপনারা সেগুলো পড়েন, পড়ে নিজের ভাবনা বা অভিজ্ঞতার কথাও কখনো কখনো শেয়ার করেন, এটা বড় ভাল লাগে।
অনেক ধন্যবাদ, আপনার আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম।
শুভেচ্ছা----

১০| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন শ্রদ্ধেয় কবিবর,
বস শ্রদ্ধাশীল মানুষগুলো সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল থাকে যদিনা তার নৈতিকতার অবনতি না ঘটে।

সুন্দর পোস্ট, ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
প্লাস ও প্রশংসা পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম, লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত।
শুভকামনা----

১১| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পূঁজিবাদের থাবায় জীবন কাটিয়ে তার থাপ্পর শেষ জীবনে খাবেনা কি করে হয়!
জীবন বোধই যখন অর্থ আর কথিত সাফল্যের ভারে জর্জর, তখন মানবিকতা, ভালবাসা, অনুভব
শব্দগুলোই অপাংক্তেয় হয়ে ওঠে! বুঝি!

তাইতো সফল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পাচ্ছি- একজন মানুষ পাইনা।
আর যারা আছে নিভৃতে উচ্চাশা থেকে যোজন যোজন দূরে, আজো সেখানে ভালবাসার ফুল নিত্য ফোটে!
তাদের কথা বলার, জানার মানুষ নেই। তারাযে নিভৃতচারী!

আবার ব্যক্তিক ভাবনায় আমার খুব অবাক লাগে, তাদের জীবনের এই শুন্যাবস্থা দেখে! মনে হয় কেবলই ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুবাদী জীবন বোধই এর কারণ। বাড়ী, গাড়ী, সন্তান বড় করার মতো সীমাবদ্ধ গন্ডিতেই ভাবনার সীমা বেঁধে নিয়েছিল বলেই তা অতিক্রম করার পর জীবন এখন গন্তব্যহীন!
ব্যাপারটা তুমি তালগাছ দেখে জীবনের পথ চলা শুরু করলে একসময় সেকঅনে পৌছে গেলে- লক্ষ্য শেষ হয়ে যায়!
আর যদি তুমি শুকতারা দেখে পথ চল- কয়েক জনম শেষ হয়ে যাবে পথ চলা শেষ হবেনা। শুকতারার স্বপ্নে সাজুক জীবন।

১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হয় কেবলই ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুবাদী জীবন বোধই এর কারণ - হতে পারে। বস্তুবাদী জীবনবোধ মানুষকে আত্মিকেন্দ্রিক করে তোলে।
দেশের যে অবস্থা, তাতে বয়স্ক পিতামাতারা যদি কল্যাণের কথা ভেবেই তাদের সন্তানদেরকে স্বেচ্ছায় দূরে পাঠিয়ে দেন, তবে তাদেরকে বোধহয় দোষ দেয়া যায় না। সবাই চায়, "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"!
এখানে যে দু'জনের কথা আলাপে আলাপে উল্লেখ করলাম, তাঁরা উভয়েই সত্তরোর্ধ্ব, উভয়েরই অন্ততঃ একজন সন্তান তাদের কাছে থাকে। একজন বিপত্নীক, তার মনে অনেক কথা থাকে যা তিনি ইচ্ছে থাকলেও সন্তানের সাথে শেয়ার করতে পারেন না। অপরজন তার নিজ ফুসফুস ধ্বংস করেছেন একটি বদ অভ্যাসের কারণে, কিন্তু ধংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও তার আসক্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন সম্মানীয় ব্যক্তি, অতি সজ্জন। তার জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পেরেছেন, সিগারেট তাকে কোথায় নিয়ে গেছে। সেটা জেনেও তিনি অতৃপ্তির কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একজন অনুগত হিতার্থী হিসেবে আমার সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন; তার বৃহত্তর কল্যাণের কথা ভেবে যা থেকে আমি সরে এসেছিলাম। কিন্তু তার আবেদন, তার অভিব্যক্তি আমার মনে গভীর রেখাপাত করে গেছে। একটা ভাল কাজ করেও অনেক সময় মনে অতৃপ্তি ও বেদনা থেকে যায়, মনের এই খেয়ালী দ্বৈত আচরণের কথা তুলে ধরতেই আমার এ সামান্য প্রয়াস।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষ বৃদ্ধকালে অনেক কথা বলতে চায়, কিন্তু কেউ শুনতে চায় না। সেজন্যেই এখানে সবার বাসায় কুকুর-বিড়াল বা দু'টাই থাকে। সবসময় এগুলোর সাথেই কথা বলে। পোষা প্রানীর ভালো দিক হলো, এরা সবসময় কথা শোনে এবং কোন কথাতেই দ্বি-মত পোষণ করে না। :)

আপনার লেখা থেকে আমার পাওয়া দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো ধুম্রপান। এটা ছাড়া উচিত......কিন্তু কোনভাবেই ছাড়তে পারছি না। আমি সবসময় ভাবি, আমার মনের জোর এতো বেশী যে কোন সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি দিয়েই এটা ছাড়তে পারবো। কিন্তু পারি না। বড়ই পেরেশানীর মধ্যে আছি। :(

এই দেখেন, এই মন্তব্য লিখতে লিখতেই নেশা পেয়ে গেলো। এখন টান না দেয়া পর্যন্ত শান্তি নাই। যাই, কাজটা সেরেই আসি। :)

১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষ বৃদ্ধকালে অনেক কথা বলতে চায়, কিন্তু কেউ শুনতে চায় না - একদম ঠিক কথাটাই বলেছেন। মনে পড়ে গেল, আমার বালক বয়সে আমার দাদী, যিনি গ্রাম থেকে এসে আমাদের ঢাকার বাসায় তখন থাকতেন, আমাকে ডেকে ডেকে অনেক কথার ঝাঁঁপি খুলে বসতেন। আমি তখন খেলতে যাবার জন্য উসখুস করতাম, আবার দাদীর কিছু কথা না শুনেও যেতে ইচ্ছে হতো না। তাই ওনার কথায় হুঁ হুঁ করে যেতাম। দাদী সেটা বুঝতে পেরে আমায় মুক্তি দিয়ে দিতেন। :)
আপনার বয়স কত তা জানিনা। যে বয়সেরই হোন না কেন, সিগারেট ছাড়ার আজকেই প্রকৃষ্ট সময়, এখনই!! :)

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সিগারেটের টাকার ভাবনাটা আপনার মনের মাঝে স্হায়ী হয়ে গেলো, এটা একটি কষ্টকর পরিস্হিতি

১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, পরিস্থিতিটা বেশ অস্বস্তিকর বটে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪

রাফা বলেছেন: মানুষ অনেকের মাঝে থাকলেও ,প্রকৃতপক্ষে একাই।আসা যাওয়ার মাঝে যে সময়টুকু অতিবাহিত হয় সেই পুরো সময়টা অন্যের জন্যই চলে যায়।প্রকৃতপক্ষে মানুষ তার কৃত কর্মের ফলই ভোগ করে।সে ছুটে চলে সবাইকে তার সঠিক অবস্থানে পৌছে দেওয়ার রেসে।দিন শেষে সবাই তার কৃত কর্মের জন্য বাহবা দিলেও নিজের জন্য তার অর্জণ আসলে কিছুই থাকেনা।

কারন আমরা ইউরোপ আমেরিকার মত জিবন যাপনকে আদর্শ হিসেবে নিয়েছি।সেই পথেই ঠেলে দিচ্ছি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে।শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দিয়ে প্রকৃতপক্ষে মানুষ করে তোলা আর হোচ্ছেনা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে।বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে এখন এমন এমন ঘটনা শুনতে পাই যা বিশ্বের অন্য প্রান্তের বলেই এতদিন জানতাম।

আমি বিশ্বাস করি আমার কর্মের ফল আমি এই পৃথিবিতেই পেয়ে যাবো।আম গাছ লাগিয়ে জাম খাওয়ার প্রত্যাশা না থাকাই উচিত।আপনি যা করেছেন ভালো বা মন্দ যাই হোক আক্ষেপ থেকেই যাবে ।

দু'টো ঘটনার বর্ণনা ভালো লেগেছে ,ধন্যবাদ-খা.আহসান।

১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যে দু'টো ধ্রুব সত্য উঠে এসেছেঃ
*মানুষ অনেকের মাঝে থাকলেও, প্রকৃতপক্ষে একাই
*প্রকৃতপক্ষে মানুষ তার কৃত কর্মের ফলই ভোগ করে

পোস্টটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ গ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: আপনার ভাবনা এবং প্রকাশের ভাষা- দুইই ভালো লাগলো। বিদায় নেয়ার আগে আমার কাঁধে একটি হাত রেখে বললেন, ‘বুঝলা আহসান, একমাত্র মশামাছি ছাড়া বুড়াদের কাছে আর কেউ আসে না’! কাঁধে হাত রাখা, এই ছোট বর্ণনার মাধ্যমে একজন নিরালম্ব মানুষের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। কিছুটা বিষণ্ণ বোধ করলাম, আমরা কেউ জানিনা শেষের দিনগুলো কিভাবে কাটবে! শুধু একটা প্রার্থনা, যেন সম্মান ও শান্তি, সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি সাথে নিয়ে যেতে পারি.......

শুনেছি অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া সওয়াবের কাজ। আল্লাহ আপনাকে এ কাজ করার তৌফিক দিয়েছেন, সবাইকে দেন না।

যে ব্যাপারটা নিয়ে আপনার ডিলেমা, আমার মনে হয় আপনি ঠিক কাজই করেছেন। যে মানুষকে নিয়মিত নেবুলাইজার দেওয়া লাগে, একটা সিগারেটে তার সাথে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। সেই শ্বাসকষ্ট যে কোনো খারাপ দিকে মোড় নিত্ না, তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই। সে ক্ষেত্রে, আপনি নিজেকে দায়ী করতেন, আপনার কষ্টটা আরো বেশি হতো....... আসলে সব সময় মনোমত আচরণ করা যায় না, এটাই বাস্তব।

১২ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুধু একটা প্রার্থনা, যেন সম্মান ও শান্তি, সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি সাথে নিয়ে যেতে পারি....... - আপনার এ প্রার্থনায় আমিও সামিল হ'লাম -- আমীন!
আল্লাহ আপনাকে এ কাজ করার তৌফিক দিয়েছেন, সবাইকে দেন না - এজন্য মহান রাব্বুল 'আ-লামীন সর্বশক্তিমান আল্লাহতা'লার কাছে শোকর গুজার করছি, আল-হামদুলিল্লাহ!
আসলে সব সময় মনোমত আচরণ করা যায় না, এটাই বাস্তব - জ্বী, এটাই বাস্তব। আর কোনটা সঠিক আচরণ, সেটা নিয়েও অনেক সময় সন্দেহের দোলাচল থাকে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা----

১৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: মানুষ শিশু অবস্থায় জন্ম নেয়, কৈশোর, যৌবন, পৌঢ়, এরপর বৃদ্ধাবস্থা মানে আবার শিশু!
আমরা সহসাই এই চরম সত্যটা খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাই। ভুলে যাই যে আমাদেরও একদিন ঠিক ঠিক এই অবস্থায় চলে যেতে হবে। আজকে আমার যাদের অবহেলা করছি, খুব শিঘ্রই আমাদেরকেও হয়ত একই ভাবে...........

কর্মজীবন শেষে মানুষ বৃদ্ধ বয়সে অসহায় অবস্থায় থাকে, আর ঠিক সেই সময়ই সমাজ, পরিবার, ছেলে-মেয়ে কেউ কোন দায়িত্ব নিতে পারবে নজ সেটা কেমন কথা। এদের জীবনের শুরুতে বাবা-মা হিসাবে এই বৃদ্ধ মানুষরাই তো পেলেপুষে বড় করেছে!!

আজ ধর্মীয় অবক্ষয় থেকে নৈতিক অবক্ষয় সব কিছুই চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে।
প্রত্যককে তার কৃতকর্মের জবাব দিতেই হবে এই দুনিয়ায়, আজ কিংবা বা কাল..............

মর্মস্পর্শী একটা লেখা দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পিতা মাতার প্রতি আমাদের দায়িত্ব কর্তব্যগুলি আবারও স্মরণ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!!

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ ধর্মীয় অবক্ষয় থেকে নৈতিক অবক্ষয় সব কিছুই চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। প্রত্যককে তার কৃতকর্মের জবাব দিতেই হবে এই দুনিয়ায়, আজ কিংবা বা কাল - এ কথাগুলোর সাথে দ্বিমত হবার কোনই অবকাশ নেই।
মন দিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য এবং পাঠ শেষে নিজস্ব ভাবনাগুলো এখানে শাএয়ার করে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: সবাইকেই তো এক সময় চলে যাতেই হবে সেই না ফেরার দেশে!
তাই আসুন, না ফেরার দেশে চলে যাবার আগে এই হিসাবের গড়মিলটা ঠিক করে যাই।
মনুষ্যত্বের ভারসাম্য হারালেই মানবতার অবক্ষয় হয়।
নিজেকে মানুষ হিসাবে ভাবতে শুরু করি, জীবনের শেষদিনে নিজের সর্বনাশ না দেখার আগেই পিতামাতার প্রতি দায়িত্ব পালনে সচেস্ট হয়!!
ধন্যবাদ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনুষ্যত্বের ভারসাম্য হারালেই মানবতার অবক্ষয় হয় - চমৎকার একটা কথা বলেছেন।
আপনার উদাত্ত আহ্বানে অকুন্ঠ সমর্থন জানাচ্ছি।

১৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৪

সুমন কর বলেছেন: মনকে ভারী করে দেবার মতো লেখা এবং হলো। স্ত্রী না থাকলে বৃদ্ধ বয়সে পুরুষরা আসলেই অসহায় হয়ে যায়। হাসপাতালকে আমি ভয়ানকভাবে ভয় পাই। তবুও মুখোমুখি হতে হয় !!

ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে গেলে বাবা-মা'কে একা হতেই হয়। এটাই কঠিন বাস্তবতা। আসলে সব মানুষই খুব একা।
+।

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্ত্রী না থাকলে বৃদ্ধ বয়সে পুরুষরা আসলেই অসহায় হয়ে যায় - একদম ঠিক কথা। শেষের তিনটে ছোট ছোট বাক্যেও নিগুঢ় সত্য কথা বলেছেন।
চমৎকার, সুবিবেচিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

জুন বলেছেন: মেয়েরা বৃদ্ধ হলেও ঘর সংসার নিয়ে সময় পার করতে পারে একটি সময় পর্যন্ত, কিন্ত পুরুষরা বড় অসহায় হয়ে পরে।
আর বন্ধুকে ১০০ টাকা না দেয়াটা আপনার মতই আমার মনকেও আলোড়িত করলো খায়রুল আহসান ।
মনে দাগ কেটে যাওয়া দিনপঞ্জীকাটিতে ভালোলাগা রেখে গেলাম ।
+

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় করে এ লেখাটা পড়ে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জুন। বিধবা নারীর চেয়ে বিপত্নীক পুরুষের অসহায়ত্বটা বেশী করে চোখে ধরা পড়ে। নারী সর্বংসহা, ওরা মানিয়ে নেয়, সহ্য করে যায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা----

২০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৫

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক কথা মাথায় ঘুরছে এ নিয়ে কিন্তু সময় করে উঠতে পারছি না কিছুতেই। একটা লিংক দিলাম আমার আগের লিখার। আবার আসবো কিছু কথা বলার জন্য।

আমার নিকটতম প্রতিবেশীরা - পর্ব ৪

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিঙ্কে দেয়া আপনার পোস্টে দুটো মন্তব্য রেখে এলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, শুভকামনা---

২১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৩০

সোহানী বলেছেন: আমার এক আত্বীয়ের চার ছেলেমেয়ে। প্রতিটি ছেলেমেয়ে ডাক্তার পিএইডি হোল্ডার শুধুমাত্র দ্বিতীয় ছেলেটি ছাড়া। ছেলেটিকে কিছুতেই উনি বেশী দূর পড়ায়নি। আমরা খুব অবাক হতাম কেন তিনি এমন করছেন। অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে তার যাবতীয় সম্পদের ভার তিনি ছেলের কাধেঁ তুলে দিলেন। আজ বাকি সব ছেলেমেয়েরা দেশের বাইরে থাকে, দুই বছরেও আসতে পারে না দেশে। এখন বুঝি উনি আসলেই বুদ্ধিমান ছিলেন। উনি জানতেন ওরা এতো মেধাবী কেউই কাছে থাকবে না।

আপনার শেষ ঘটনার সাথে দ্বিমত পোষন করছি। কারন উনি যে অবস্থায় আছেন তার থেকে উত্তরন খুব কঠিন। তাই এ সময়ে যদি মানসিক প্রশান্তি মিলে এক প্যাকেট সিগারেটে সেটা অনেক বেশীই মূল্যবান আমার কাছে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষ ঘটনায় দ্বিমত পোষণ করাতে মোটেও অখুশী নই, কারণ আমিও তো আপনার মত ভেবেছি বলেই এ পোস্টটা লিখেছি, যদিও আমি শেষ পর্যন্ত তা করিনি।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা...

২২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

নীলপরি বলেছেন: খুবই মরমী পোষ্ট । আমার মনে হয় শেষ পর্যন্ত সিগারেট না দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন । কারণ , ওনার অবস্থা যদি নিরাশার কাছাকাছি চলে যেত তবে ডাক্তাররাই বলে দিতেন মনে হয় । নিশ্চয়ই আশার আলো আছে । তাই বাড়ির লোকেরাও কড়াকড়ি নিয়ম মেইনটেন করছেন ।সেজন্য তিনি আপনার কাছে চাইতে বাধ্য হয়েছেন । আর আপনি দেওয়ার পর অন্য কারণে ওনার অবনতি হলেও আপনি মনে কষ্ট পেতেন ।

পোষ্টে +++++

শুভকামনা

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওনার অবস্থা যদি নিরাশার কাছাকাছি চলে যেত তবে ডাক্তাররাই বলে দিতেন মনে হয়। নিশ্চয়ই আশার আলো আছে। তাই বাড়ির লোকেরাও কড়াকড়ি নিয়ম মেইনটেন করছেন - আপনি ঠিকই উপলব্ধি করেছেন, নীলপরি। সেরকমটি হলে তিনি হয়তো কেবিনে থাকতেন না, আইসিইউতে থাকতেন।
আর আপনি দেওয়ার পর অন্য কারণে ওনার অবনতি হলেও আপনি মনে কষ্ট পেতেন - এটাও একদম ঠিক কথা। আর তা ছাড়া আমি ওনার পরিবারের সদস্যদের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতাম।
পোস্টে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বয়ে চলা জীবনের চিত্র এঁকেছেন;
ভালোলাগা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বয়ে চলা জীবন নিয়েই ভাবতে আমার ভাল লাগে। আপনারও লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সত্যিই মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।

আসলেই, আপনজন হারা মানুষদের মনের কথা শোনার মত কেউ থাকে না।তাঁদের অব্যক্ত এই কথাগুলো মনের গভীরেই রয়ে যায় যা এক সময় পরিনত হয় একটি দীর্ঘশ্বাসে।আল্লাহ আপনার বসের স্ত্রীকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।

শুভ কামনা প্রিয় ব্লগার।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মন্তব্যে যে মমত্ববোধের পরিচয় পাওয়া গেল, তাতে প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বড়স হয়ে গেলে মানুষের দুগর্তির আর শেষ থাকেনা।
+++

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে এই পোস্টের দ্বিতীয় অংশে উল্লেখিত আমার প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ্য সহকর্মী, যার নাম লেঃ কর্নেল এম রফিকুল ইসলাম (অবঃ) আজ শুক্রবার, ০৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে দুপুর প্রায় ১২টার সময় ইন্তেকাল করেছেন। তার সাথে আমার শেষ দেখা ও কথা হয়েছিল গত ০৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে, বেলা প্রায় একটার সময়। তার মাত্র ২৭দিন পরে তিনি পরপারে চলে গেলেন! আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁকে ক্ষমা করে দিন, শান্তিময় ক্ববর দান করুন এবং রোজ হাশরের দিনে তাঁকে জান্নাত নসীব করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.