নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
বহু শতাব্দী ধরে গ্রাম বাঙলায় চৈত্র মাসের শেষ দিনটিতে "চৈত্র সংক্রান্তি মেলা" অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সাধারণতঃ কোন খোলা জায়গায়, বৃ্দ্ধ বিটপীর ছায়াতলে কিংবা খেলার মাঠে এসব মেলা বসে থাকে। এই মুরুব্বী গত ১৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে, চৈত্র সংক্রান্তির দিনে তার বানানো হাতপাখার সম্ভার নিয়ে এসেছিলেন ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত "চৈত্র সংক্রান্তি" মেলায়। অতি সামান্য পুঁজি-নির্ভর তার ব্যবসা। তালপাতা দিয়ে হাতপাখা বানান তিনি। কিছু রেখেছেন স্রেফ তালপাতা আর বাঁশের কঞ্চির বুনটে বাঁধানো হাতপাখা হিসেবেই, এর ক্রেতা নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা, যারা আসন্ন গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে বাঁচতে এ পাখাগুলোকেই হাতে তুলে নেবেন, রাতে বিছানায় শিওরের পাশে রাখবেন।
আর কিছু পাখা তিনি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে রঙিন ঝালর লাগিয়ে অনুপম সাজে সাজিয়েছেন, বোধকরি আরেকটু অবস্থাপন্ন গেরস্তদের জন্য, আর পাখার ঠিক মাঝখানে একটি অত্যন্ত সুন্দর কথা লিখে দিয়েছেন- "মনের মানুষ"। জানিনা, সৌন্দর্য বর্ধনের এ কাজটি তিনি নিজে করেছেন, নাকি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন। বোধকরি, এমন নান্দনিক কাজটি হয়তো কোন পুরুষের করা নয়, এ কাজে হয়তো তিনি তার স্ত্রী, কন্যা পুত্রবধু বা অন্য কোন মহিলার সাহায্য নিয়েছেন। তাপদগ্ধ দেহে এবং মনে যখন এ রঙিন ঝালর লাগানো পাখাটি শীতলতার পরশ বুলিয়ে যাবে, তখন হয়তো এর ব্যবহারকারী মনে মনে তার “মনের মানুষ” এর কথাই ভাববেন, তাকে নিয়ে পাখার রঙের মত অনেক রঙিন স্বপ্ন বুনে যাবেন!
ঝালর লাগানো তালপাখা, বালিশের কভার, রুমাল ইত্যাদিতে সূচকার্যে লিখা কিছু কথা, নক্সীকাঁথা, আগেকার দিনের মা/খালা/নানী/দাদীদের হাতে বোনা উলের সুয়্যেটার, মাফলার, হাতমোজা ইত্যাদিতে অনেক মায়া মমতা ও ভালবাসা জড়িয়ে থাকে।
ছবিটি ময়মনসিংহ নিবাসী মনোয়ার হোসেন এর সৌজন্যে পাওয়া। তার অনুমতিক্রমে ছবিটি আমি আমার এই পোস্টে একটু ক্রপ করে সংযোজন করলাম। ছবিটি শেয়ার করার অনুমতি দেয়ার জন্য তাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ঢাকা
০২ বৈশাখ ১৪২৬/১৫ এপ্রিল ২০১৯
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
ধীরে ধীরে এসব কুটির শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। যন্ত্র মানুষের সৃষ্টিশীল হাতকে অবশ করে দিচ্ছে। যন্ত্রের সূক্ষ্মতার কাছে মনুষ্য হাতের দক্ষতা হার মানছে।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দর একটি বিষয়কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আমাদের রোজকার যাতায়াতের পথে এমন অনেক মানুষ দেখতে পাই, অত্যন্ত মলিন পোশাক পরিহিত মানুষ গুলোর সৃষ্টিশীলতা আমাদের চোখকে জুড়িয়ে দেয়। পরম স্নেহে মায়া মমতায় সৃষ্টি তাদের কীর্তিতে থাকেনা কোন প্রাতিষ্ঠানিক কৌলিতত্ত্ব কিন্তু সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে গঠিত তাদের সৃষ্টিকে কখনো বা শ্রদ্ধাবনত অভিবাদন জ্ঞাপন করতে আমরা বাধ্য হই।
আহা! মানুষটি যদি জানতো যে তার সৃষ্টি সামুর মত একটা ডিজিটাল প্লাটফর্মে স্থান পেয়েছে, আমি নিশ্চিত আনন্দ্রাশ্র ওনার চোখের বাধ মানতো না।
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আহা! মানুষটি যদি জানতো যে তার সৃষ্টি সামুর মত একটা ডিজিটাল প্লাটফর্মে স্থান পেয়েছে, আমি নিশ্চিত আনন্দ্রাশ্র ওনার চোখের বাধ মানতো না -- যাক, মানুষটি না জানলেও, আপনি যে এটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, এতেই আমার মনে আনন্দের ধারা বয়ে যাচ্ছে। আমার এ ধরণের পোস্ট (আরো কয়েকটা আছে) দূর থেকে এমন নান্দনিক সৃষ্টিকর্মকে এবং তাদের স্রষ্টাকে অভিবাদন জানিয়ে যায়।
গ্রাম বাংলার নারীদের দ্বারা বুননকৃত নক্সীকাথা নিয়ে লেখা আমার একটা কবিতা আছে। সেটা এখানে পড়ে দেখতে পারেনঃ
স্বপ্নমাখা নকশীকাঁথা
আপনাকেও বৈশাখী শুভেচ্ছা এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
আধুনিকতার অদলে দেশীয় সংস্কৃতির নান্দনিক কুটিরশিল্প যেনো হারিয়ে যাচ্ছে। আপনার এতো সুন্দর করে এই শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে লিখার জন্যে ধন্যবাদ। তারপরও আমরা সূচের কারুকার্য পোশাক, শো-পিস, নকশীকাথা কিছুটা হলেও ধরে রাখতে পেরেছি। বাকি অনেক কিছুই প্রযুক্তির ব্যবহার বদলে দিয়েছে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশীয় সংস্কৃতির নান্দনিক কুটিরশিল্প যেনো হারিয়ে যাচ্ছে - এটা রোধ করতে হলে কুটির শিল্প সহায়ক কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। অর্থনৈতিকভাবে তাদের সহায়তা প্রদান জরুরী। তবেই তারা তাদের শিল্পের মানোন্নয়ন করতে পারবে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
হাবিব বলেছেন: এতেই যে কতজনের সংসার চলে........
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, সেটা ভেবে অবাক হতেই হয়! একেকটি সুন্দর পাখা তৈরীতে কতগুলো হাত শ্রম দিয়ে যায়!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এগুলার আধুনিকায়নটা জরুরি। যেমন এইবার পোলারে আগোরা থেইকা একটা ডুগডুগি কিন্যা দিলাম। নরমাল বাইরের পাতলা কাঠের, বা প্লাস্টিকের গুলার চাইতে হাজার গুন বেটার। জিনিসগুলা ভাল্লগসে। দাম বেশি হইলেও কিনাটা বিফলে যাইবো না। যারাই এই কাজটা করসে, স্যালুট পাওয়ার যোগ্য।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এগুলার আধুনিকায়নটা জরুরি - এ কথাটা অনস্বীকার্য। এটা করতে হলে কী করতে হবে, ৩ নং প্রতিমন্তব্যে সে সম্বন্ধে কিছুটা আভাস দিয়েছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং বৈশাখী শুভেচ্ছা!!!!
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেলামালাইকুম! অভিবাদনটা আমার হলেও, কথাটা আমার নয়, আপনার। আপনার লেখা প্রথম পোস্ট এটা, সেখানে গিয়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি, সময় করে দেখে নেবেন।
তারপর কৌতুহল বশতঃ আপনার আরও দুটো পোস্ট পড়লাম, এবং পড়ে অজ্ঞ বালক এর বিজ্ঞ কথাবার্তা শুনে চমৎকৃত হ'লাম। পোস্ট দুটো হচ্ছে ছবি ব্লগঃ ফ্ল্যাপ-পছন্দ বইয়ের তালিকা ০১ এবং ০২। খুবই আগ্রহোদ্দীপক এ পোস্ট দুটো।
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে হাতের কাজের দাম'ই আলাদা।
আমি অবাক হই, মুগ্ধ হই মানুষ কিভাবে হাত দিয়ে দারুন সব জিনিসপত্র বানায়।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্যিই এমন কিছু হাতের কাজ আছে যা অবাক হবার মতই কাজ, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, এবং বৈশাখী শুভেচ্ছা!!!!
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখায় প্লাস না দিয়ে পারলাম না।
কারন আপনার লেখাগুলো যে মারাত্মক সুন্দর!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং লেখায় প্লাস দিয়ে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। লেখার উচ্চ প্রশংসায় উচ্চ মাত্রায় আনন্দিত হ'লাম।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৯
ল বলেছেন:
ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের মানুষগুলো এ পেশায় জীবন নির্বাহ করতে না পেরে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন ফলে দেশীয় সংস্কৃতির নান্দনিক কুটিরশিল্প অস্তিত্বের সংকটে। এই শিল্পটি আজ বিলুপ্তির পথে কারণ নতুন প্রজন্মের কেউ এ পেশায় আসছে না।
বাঙালির রোজকার জীবনে শীতল পরশ–বোলানো শীতল পাটি এখন মৃতপ্রায় শিল্প। হারিয়ে গেছে এই পাটি বানানোর প্রধান অনুষঙ্গ বেত, মুর্তা বা মোস্তাক গাছ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কুটির শিল্পের মানুষগুলো এ পেশায় জীবন নির্বাহ করতে না পেরে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন - এটা অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে এবং অনেকদিন ধরেই চলছে। কিন্তু নিজস্ব ঐতিহ্য ও কৃষ্টি রক্ষায় আমরা কেন যেন বড়ই উদাসীন। এসব দেখেও দেখছি না!
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এটাই তো আমাদের বাংলাদেশ। যুগ যুগ ধরে মানুষগুলো তো এমনই সহজসরল ছিল। কিন্তু হাল আমলে অনেক মানুূষই আর সহজ সরল নেই। সহজ সরল থাকাকে এখন চালাক লোকেরা দুর্বলতা ভাবে।
সুন্দর পোস্টে এ ++
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সহজ সরল থাকাকে এখন চালাক লোকেরা দুর্বলতা ভাবে - কথাটা একদম ঠিক। শিল্পায়ন আর নগরায়নের দ্রুত প্রসারে গ্রামীন জীবনেও ধূর্ততা আর শঠতা অবিরত প্রবেশ করছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল
গরমে মানুষকে একটু শান্তির পরশ দিতে দিনরাত পরিশ্রম করে নান্দনিক পাখা তৈরি করছেন পাখা কারিগররা। এটা এখন অনেকেরে কাছেই জীবন জীবিকার অবলম্বন।পোষ্টের প্রচ্ছদ ছবিটিতে এমন একটি দৃশ্যই সুন্দর করে উঠে এসেছে । বাহারী ও নক্সী পাখা তৈরীর উপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রশিক্ষন ।
এ হাত পাখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও নন্দন শিল্পপ্রেমী ক্রেতা সাধারনের সচেতনতাবোধ , দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারণ ও পৃষ্টপোষকতা একান্ত দরকার। সকলের সচেতনাতাবোধ সৃজনে আপনার পোষ্টটি একটি মুল্যবান সহায়কী ভুমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করি । আপনার পোষ্টের বিষয় বস্তু আজ আমাকে এ বিষয়ে একটি পোষ্ট দিতে আনুপ্রাণীত করেছে , সে জন্য কৃতজ্ঞতা রইল । আপনার মুল্যবান পোষ্টটির জন্য রইল অভিনন্দন । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
ভাল থাকার নিরন্তন শুভেচ্ছা রইল ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, আমার এ সামান্য লেখাটাকে প্লাস দিয়ে "প্রিয়" তালিকায় তুলে নেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর তার পরে জানাচ্ছি বিলম্বিত বৈশাখী শুভেচ্ছা-- শুভ নববর্ষ-১৪২৬!!!!
"এ হাত পাখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও নন্দন শিল্পপ্রেমী ক্রেতা সাধারনের সচেতনতাবোধ, দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারণ ও পৃষ্টপোষকতা একান্ত দরকার" - আপনার এ উপলব্ধির সাথে সম্পূর্ণভাবে একমত পোষণ করছি।
আপনার নতুন পোস্টটি কি দিয়েছেন? আপনার ব্লগবাড়ী ঘুরে এসে দেখলাম, সেখানে ২০ অক্টোবর '১৮ এর পর আর কোন নতুন পোস্ট নেই।
সুচিন্তিত মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা---
১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্যিই এমন কিছু হাতের কাজ আছে যা অবাক হবার মতই কাজ, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, এবং বৈশাখী শুভেচ্ছা!!!!
আমি জীবনে কোনো হাতের কাজ'ই শিখলাম না।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি তো ভাল ছবি তোলেন বলে জানি। ওটাও তো একটা হাতের কাজ।
আপনার জন্যেও রইলো অনেক বৈশাখী শুভেচ্ছা!!!!
১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ছোটবেলায় মাকে দেখিয়াছি হস্তশিল্পের কাজ করিতে, পাখা, রুমাল , আমাদের জামা ! অদ্ভুত ব্যাপার, পরবর্তী প্রজন্মে এই কুশলতা চর্চা হইলো না। এখনকার মায়েরা শেখায়ও না , মেয়েরাও শিখে না ! শেখায় বিদ্যালয়ে , টাকার বিনিময়ে ! আমরা ছেলেরাও হস্তশিল্প শিখি নাই। সবই এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চলিয়া গিয়াছে। ঘরে ঘরের কর্মকুশলতা কুটির শিল্প হইয়া গিয়াছে , শুধু বাম হস্তকর্মই প্রতিটি ঘরে টিকিয়া আছে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মাকেও আমি ছোটবেলায় দেখেছি সেলাই এর কাজ করতে। আমার শাশুড়ীও একজন ভাল সূচশিল্পী ছিলেন। আমার স্ত্রীরও এ ব্যাপারে একসময় সুখ্যাতি ছিল। কিন্তু এর পরের প্রজন্মে আর দেখিনা কাউকে হাতের কাজে তেমন কোন ভাল কিছু করতে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বৈশাখী শুভেচ্ছা!!!!
১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রাণ আর এফ এল বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে, এদের কারণে বহু মানুষ এখন পথে বসার যোগাড়। সুন্দর উপস্থাপ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রাণ আর এফ এল বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে - কিভাবে? কয়েকটা উদাহরণসহ আরেকটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হতো।
প্রাণ আর এফ এল হয়তো কিছু কুটির শিল্পের ক্ষতি করেছে, কিন্তু ওরা তো বেশ কিছু ক্ষুদ্র শিল্পও প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে বলেই আমি জানি।
১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার হাতপাখা।
ছোটকালে আমাদের গ্রামের বাড়িতে এরকম নানা রং বেরং-এর পাখার সমাহার ছিল। এবং প্রত্যেকের আলাদা আলাদা।
এখন গ্রিডের বিদ্যুৎ, সোলার সিস্টেমের বিদ্যুৎ হওয়াতে ২৪/৭ কৃত্রিম হাওয়ায় ভাসছে গ্রাম।
সুন্দর একটি জিনিস তুলে ধরেছেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: গ্রীষ্মকালে প্রতিটি বিছানায় রাতে অন্ততঃ একটি করে হাতপাখা রাখা থাকতো যেন গরমের কারণে রাতে নিদ্রার ব্যাঘাত না ঘটে।
লেখাটা পড়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা...
১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০২
আরোগ্য বলেছেন: স্কুল সময়ের কথা মনে পড়ে গেল। তখন স্কুলের সামনে একটা লোক তিনটি ছোট গোল পাখার সমন্বয়েে একটা খেলনা বিক্রি করতো যা হালকা বাতাসেই ঘুরতো। দেখতে মনোমুগ্ধকর কিন্তু এখন চোখে পড়ে না। আর এ যুগের ছেলেমেয়েরা মোবাইলে সব আনন্দ খুঁজে পায়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করাতে অনেক পাঠকের মনেও নিশ্চয়ই তাদের নিজ নিজ শৈশব জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়বে। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
জুন বলেছেন: আপনার লেখাটির সাথে আমার শৈশবের এক করুন স্মৃতি জড়িয়ে আছে । আম্মাকে বারবার বিরক্ত করার জন্য হাতে থাকা তালপাখার ডাটি দিয়ে
তবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাতাস করা পাখা ছিল আমাদের খেলার এক উপকরণ। কোথায় হারিয়ে গেছে সে সব দিনগুলো ।
জামা কাপড় সেলাই, এমব্রয়ডারি করা, উলের সেলাই, কুরুশ কাটা দিয়ে লেস বানানো আমাদের ছিল শখ সাথে প্রয়োজনও। এখন হাত বাড়ালেই সব তাই ঘরের মেয়েরা এসব এখন জানে না।
সুন্দর লেখায় + খায়রুল আহসান।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের বয়সীদের মাঝে ছোটবেলায় মা বাবার হাতে তালপাখার ডাঁটির বাড়ী খায় নাই, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে বলেই মনে হয়!
কুরুশ কাঁটা দিয়ে লেস বানানোর কাজটা আমার মা এক সময় খুব ভাল পারতেন।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে এবং প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা----
১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার রঙের সমাহার !
দেশীয় মেলায় ঘুরেঘুরে এমন সব হস্তশিল্প সংগ্রহ আমার অনেক প্রিয়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: রঙিন হাতপাখার রঙগুলো সহজেই দৃষ্টি কাড়ে। পাখার মাঝখানের কথাটাও।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা----
১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
সুমন কর বলেছেন: বাঙালীর হস্তশিল্পের সুন্দর ভাবনা এবং লেখা।
+।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাও মন্তব্যটাও সুন্দর। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
করুণাধারা বলেছেন: ঝালর লাগানো তালপাখা, বালিশের কভার, রুমাল ইত্যাদিতে সূচকার্যে লিখা কিছু কথা, নক্সীকাঁথা, আগেকার দিনের মা/খালা/নানী/দাদীদের হাতে বোনা উলের সুয়্যেটার, মাফলার, হাতমোজা ইত্যাদিতে অনেক মায়া মমতা ও ভালবাসা জড়িয়ে থাকে।
কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম, আগে আমরা কখনোই বাজার থেকে কিনে সোয়েটার, মাফলার এসব পড়িনি। সব বাসায় প্রতিটি মেয়েকেই এই সব বোনা জানতে হত; ছোটরা পুরনো সোয়েটার এর খুলে সেই উল দিয়ে বোনা শিখত........ সেই দিন হারিয়ে গেছে। এখন আর কেউ মনের মমতা মিশিয়ে হাতে সেলাই করতে চায় না......
এই পোস্ট পড়ে হঠাৎ সেই হারিয়ে যাওয়া দিনের কথা মনে পড়লো! ছবিটি চমৎকার! একজন খেটে খাওয়া মানুষের মনের বর্ণিলতা পাখার মাঝে ফুটে উঠেছে!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোটরা পুরনো সোয়েটার এর খুলে সেই উল দিয়ে বোনা শিখত - শীত আসার বেশ আগে থেকেই এসব অনুশীলন শুরু হতো। খোলা উল একটি বলের আকারে পেচিয়ে রাখা হতো। সদ্য বুননকৃত একটি উলের সোয়েটার আপন সন্তান/ভাই/বোন/নাতি/নাতনি'র গায়ে পরিয়ে তাকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে সেদিনের মা/বোন/দাদী/নানীরা কতই না আনন্দ পেতেন!
একজন খেটে খাওয়া মানুষের মনের বর্ণিলতা পাখার মাঝে ফুটে উঠেছে! - এবং সেটা অতি সহজেই মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নিতে সক্ষম, সেটা এ ব্লগ পাঠকদের মন্তব্য থেকেও সহজে বোঝা যায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: মন মাতানো পোস্ট ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যটাও মনোমুগ্ধকর। ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: আগেরবার প্লাস দিতে ভুলে গিয়েছিলাম । এই স্নিগ্ধ পোস্টখানিকে প্লাস না দিলে অন্যায় হবে ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত ও অভিভূত হ'লাম।
২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটি পড়ে মনে পড়লো- আগের দিনে মা চাচিরা হাত পাখা ,রুমালে সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকতেন। সাথে থাকত কিছু শ্লোক, ছন্দ।
সুন্দর পোস্টে প্লাস----
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। ওসবই ছিল আমাদের ঐতিহ্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও বৈশাখী শুভেচ্ছা!!!!
২৩| ০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যার কেমন আছেন? 26 এপ্রিল রাত সাড়ে আটটাতে আপনার শেষ কমেন্ট। তারপর এতদিন হয়ে গেল না দিলেন নতুন পোস্ট কিংবা অন্যের পোস্টে কমেন্টও। আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে উদ্বেগে আছি।
সশ্রদ্ধ সালাম সহকারে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে উদ্বেগে আছি - অনেক ধন্যবাদ, আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে স্মরণ করার জন্য। মন্তব্যে মুগ্ধ ও অভিভূত হ'লাম।
আপনিও ভাল থাকুন, শুভকামনা....
২৪| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
নীলপরি বলেছেন: চিরায়ত শিল্প ।খুব ভালো লাগলো ।
শুভকামনা
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল আছেন আশাকরি। শুভকামনা...
২৫| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১:২৪
রাকু হাসান বলেছেন:
দীর্ঘ দিন আপনি ব্লগে নেই । ফিরে আসুন সেই প্রত্যাশায় ।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আজই আবার ব্লগে ফিরে আসতে পারলাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার চাচীও বেত দিয়ে পাটি(আঞ্চলিক ভাষায় বটনী), হাত পাখা বানাতে পারতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অবস্থার উন্নতি হওয়াতে এখন আর ওসব বানান না...