নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আজ বিকেল সোয়া পাঁচটা। মাসজিদে ‘আসর’ নামায পড়ে বাসায় ফিরে আসছি। হঠাৎ চোখে পড়লো, কিছু লোক একত্রিত হয়ে সামনে কী যেন দেখছে। দেখি, একজন লোক তার প্যান্ট উরু পর্যন্ত গুটিয়ে, পায়ে চলা পথটির কাঁটাওয়ালা রেলিঙ পার হয়ে পার্শ্ববর্তী খালের ড্রেনেজ পাইপ বেয়ে নীচে নামছে। একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘লোকটা ওভাবে নীচে নামছে কেন, তার কি মোবাইল ফোনটা খালে পড়ে গিয়েছে’? সে হেসে বললো, ‘না স্যার, একটা বাঁদর কামড় দিয়ে গাছ থেকে একটা পাকা কাঁঠাল খালে ফেলে দিয়েছে। তাই না দেখে কাঁঠালটি এলাকার নিরাপত্তা প্রহরী এখানে এসে হাজির হবার আগেই লোকটি সংগ্রহের চেষ্টা করছে’। আমার মনে হলো, লোকটির হয়তো কাঁঠাল খাবার ইচ্ছে হয়েছে, একটি পুরো কাঁঠাল কিনে খাবার সঙ্গতি হয়তো তার নেই, তাই সে এই ইনিশিয়েটিভটা নিয়েছে। আমি ভাবলাম, তা সে নিক। খালের মালিকানা তো সরকারের। খালের চুনোপুটি, ডানকানা মাছ যেমন এলাকার যে কেউ ধরতে পারে, এবং অনেকে ধরেও, তেমনি খালে পড়ে থাকা একটা কাঁঠালও তো যে কেউ নিয়ে যেতে পারে। আর তা’ছাড়া বাঁদরটাকেও তো মোটেই দোষ দেয়া যায় না। সে হয়তো তার পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি দেখতে এসেছিল, যে ভিটে থেকে আমরাই ওদেরকে উচ্ছেদ করে বহুতল কংক্রিটের বস্তি নির্মাণ করেছি। সে ভিটে দেখতে এসে যদি বানরটি তার বাপ-দাদার আবাস থেকে কিছু ফলমূল খেতেই চায়, তাতে তেমন দোষের তো কিছু নেই!
দেখতে দেখতে মুহূর্তের মধ্যে সেখানে অনেক লোক জড়ো হলো। খালে নামা সেই লোকটি এই এলাকারই এক বাসার কেয়ার টেকার। অর্ধহাঁটু পানি মাড়িয়ে যেই না আধডোবা কাঁঠালটাতে সে হাত স্পর্শ করলো, অমনি সমবেত বিনোদন প্রিয় বাঙালি দর্শককূল করতালি দিয়ে তাকে সোল্লাসে অভিনন্দন জানাতে থাকলো। লোকটিও আকর্ণবিস্তৃত হাসি দিয়ে তা একনলেজ করতে থাকলো। তারপর শুরু হলো উৎসুক জনতার ইন্টারভিউ এর পালাঃ ভাই কাঁঠালটার ওজন কত? হবে ৬/৭ কেজি। কাঁঠালটা কাঁচা, না পাকা? পাকা। আজকেই খাওয়া যাবে? খেতে চাইলে তো খাওয়াই যাবে। ইত্যাদি, ইত্যাদি। লোকটি যখন পতিত কাঁঠালটিকে উদ্ধার করে ফুটপাথে ফিরে এলো, তখন দুই একজন অতি উৎসাহী ব্যক্তি দৌড়ে গিয়ে নিজের নাক লাগিয়ে কাঁঠালটি শুঁকে এবং দুই হাতের দশ আঙুল দিয়ে টিপে টিপে বিজ্ঞের মত মাথা নাড়িয়ে বলতে থাকলো, ‘হুঁ, একদম পাকা। তা না হলে সামান্য এক বানরের কামড়ে গাছ থেকে পড়ে যায়’?
সামান্য একটু বাঁদরামিকে উপলক্ষ করে সমবেত জনতার এ আগ্রহ, উৎসাহ এবং হাস্যরস দেখে আমারও খুব ভাল লাগলো। তবে তা বাঁদরের বাঁদরামি দেখে যতটা নয়, উপস্থিত জনতার হাস্যরস, কৌতুকপ্রিয়তা এবং বিনোদিত হওয়া দেখে তার চেয়ে বেশী। সত্যি, আমরা বাঙালিরা কত অল্পতেই খুশী হতে পারি!!!
গাছভর্তি কাঁঠাল!!!!
উৎসুক জনতার একাংশ
বাঁদরামির পর একহাতে বাচ্চা কোলে নিয়ে বাঁদর মাতা পগার (কাঁটাতারের দেয়াল) পার হচ্ছে।
আরেকটি রিয়ার গার্ড বাঁদর পিছে তাকিয়ে দেখছে।
গাছটির একেবারে গোড়া থেকে কাঁঠাল ধরেছে, গত বছরের মতই।
ঢাকা
২৬ মে ২০১৯
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কবি।
প্রথম প্লাসেও অনুপাণিত।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----
২| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: কাঠাল মাটির নিচেও ধরে।
একবার আমি গ্রামে গেছি। দেখি গাছের সব কাঠাল পারা হয়ে গেছে।
অথচ কাঠাল গাহচের সামনে গেলেই তীব্র কাঠালের গন্ধ আছে। শেষে মাটি কুপিয়ে দেখা গেল দুইটা কাঠাল। পেকে ফেটে গেছে।
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাঁঠাল মাটির নীচেও ধরে? আমি অবশ্য মাটির নীচে ধরা কাঁঠাল কখনও দেখি নাই। আপনার সেই অভিজ্ঞতাটা অবশ্যই ব্যতিক্রমী ছিল, এবং সেটা এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সকালবেলা বাঁদর দর্শন সঙ্গে দু-পেয়ে মানুষের যুদ্ধ জয়ের পর্বটি বেশ ভালো লাগলো। আপনার লেখনীর গুনে রীতিমত উপভোগ্য হয়ে উঠল।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।
২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাঁদর দর্শন এর ব্যাপারটা সকাল বেলাতে নয়, বিকেল বেলায় ঘটেছিল।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৪| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট , স্যার। তবে আপনার এই পোস্ট থেকে আরেকটি জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে আমাদের দেশের মানুষের আসলেই কোন কাজ নেই। তাদের হাতে প্রচুর অলস সময়। সামান্য একটু উপলক্ষ পেলেই তারা দলে দলে হাজির হয়।
সারা দুনিয়াতে এরকম দৃশ্য খুবই কম চোখে পড়ে।
২৮ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের আসলেই কোন কাজ নেই - আমাদের হাতে কাজ থাকলেও, একটু ফাঁক ফোকর খুঁজে নিয়ে আমরা তামাশা দেখতে ভালবাসি। আর দলে বলে মিলে দেখতে তা আরো মজা লাগে বোধ হয়! এ জন্যেই, আপনি ঠিকই বলেছেন, "সামান্য একটু উপলক্ষ পেলেই তারা দলে দলে হাজির হয়"।
আপনার পর্যবেক্ষণটুকু এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৫| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার একটা পোস্ট পেয়ে মনটা আলো হয়ে গেল
ব্লগার রাজীব নূরের মতো আমিও গাছের গোড়া থেকে কাঁঠাল হওয়া দেখেছি। একবার গ্রামে গেলে এ দৃশ্য দেখতে পাই।
বাঙালীর তামাসা করা এবং তা দেখা চলতেই থাকে।
একটি সকালের সুন্দর কথকতায় ভালো লাগা.....
২৮ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্টটা পড়ার জন্য।
আমিও গাছের গোড়া থেকে কাঁঠাল হওয়া দেখেছি, ছবিও দিয়েছি। কিন্তু মাটির নীচে হওয়াটা দেখিনি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপাণিত।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----
৬| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমিও মনে হয় পড়ার সময় সকালবেলা দেখেছিলাম। এখন কমেন্ট করতে গিয়ে বিকাল হয়ে গেল নাকি
২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন কমেন্ট করতে গিয়ে বিকাল হয়ে গেল নাকি - না, শুরু থেকেই সেটা বিকেল বেলার কথাই ছিল, 'আসর' এর নামাযের পরের কথা।
(পাঠকের সন্দেহ দূরীকরণার্থে মন্তব্যের 'ক্রম' খানিকটা অতিক্রম করা হইলো! )
৭| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: সত্যি বলতে ঢাকা শহরের মানুষের বিনোদোনের খুব অভাব। অল্প কিছু নিয়েই তারা অনেক কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারে। বাঙালী তাই তামাসাপ্রিয় ।
২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন।
আমিও মনে করি বাঙালি জাতি বিনোদনপ্রিয়, কিন্তু বিনোদন বুভুক্ষ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৮| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
ওমেরা বলেছেন: ইস্ !! কি মিসটাই না করলাম । বাদরের বাঁদরামি না, মানুষের তামাসাটা না দেখতে পারার জন্য আফসোস লাগছে ।
২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এর পরে যখন বাংলাদেশে বেড়াতে আসবেন, তখন পথে ঘাটে চোখ খুলে হাঁটবেন, এ রকমের মানুষের তামাসাটা হরহামেশা দেখতে পাবেন। এবং তখন তা দেখে এখনকার আফসোসটা দূর হয়ে যাবে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, শুভকামনা----
৯| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭
নীলপরি বলেছেন: নির্মল খুশির পোষ্ট । পড়ে ভালো লাগলো ।
শুভকামনা
২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: নির্মল খুশির পোষ্ট । পড়ে ভালো লাগলো - পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি ভেবেছিলাম, আপনার হয়তো ভাল লাগেনি।
ভাল লাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য আবারও ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----
১০| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শহুরে বাঁদরেরা অনেক প্রতিকুল অবস্হার মাঝে টিকে আছে। অনেকটা টাইল ধরণের ইটের রাস্তাটি কোথায়?
২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: শহুরে বাঁদরেরা অনেক প্রতিকুল অবস্হার মাঝে টিকে আছে - সত্যিই তাই। শুধু বাঁদরেরাই নয়, অন্যান্য পশু পাখিরাও হুমকির মুখে। আমার শৈশবে এই আমিই ঢাকার আকাশে প্রতিদিন চিল দেখতাম। মাঝে মাঝে শকুনও দেখতাম। কমলাপুরে আমাদের বাসার কাছে একটা বিরাট গাছ ছিল। সেখানে শকুন বসতো, বাসাও বাঁধতো। এখন শকুন তো গ্রামেও দেখা যায় না।
এখন আমি যেখানে থাকি, সেখানে আমার বাসার সামনেই একটা ছয়তলা বিল্ডিং দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন ছিল। কি একটা মামলার কারণে অনেকদিন নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। প্রায় প্রতি রাতে আমার বারান্দার ঠিক সামনেই সেই বাসাটার ছাদের কিনারে দুটো বিশেষ পাখি সারা রাত বসে বসে যেন ধ্যান করতো। এখন সে বিল্ডিং এ মানুষ উঠে যাওয়াতে ওদেরকে আর দেখা যায় না।
সেই বিশেষ পাখি দুটো ছিল আর কেউ নয়, আপনার অতি প্রিয় পাখি "পেঁচা"!
১১| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: খুব হাসলাম পুরোটা পড়ে।
২৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, আপনি হাসাতে তাও বুঝি আমার এ লেখাটা সার্থক হলো!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, শুভকামনা----
১২| ২৮ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
দ্যা প্রেসিডেন্ট বলেছেন:
ধন্যবাদ
এদের নিয়ে তো ভাবা হয়নি!
আসলেই এদের নিয়ে কিছু একটা করা উচিত। একটা প্রকল্প খুলে কিছু বৈদেশিক ঋণ তুলা দরকার। যে লেঙটা হালতে এরা দৌড়াদৌড়ি করে তাতে রাষ্ট্রেরই মানহানি হচ্ছে। কাঠাল আদায় তো পরের সাবজেক্ট। সেজেগুজে গেলে কে না জামাই আদর করবে।
প্রকল্পে আপনিও থাকতে পারেন! শর্ত প্রযোজ্য
২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, এমন কৌতুকপূর্ণ একটি মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য।
১৩| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কাঁঠাল মাটির নীচেও ধরে? আমি অবশ্য মাটির নীচে ধরা কাঁঠাল কখনও দেখি নাই। আপনার সেই অভিজ্ঞতাটা অবশ্যই ব্যতিক্রমী ছিল, এবং সেটা এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কাঠাল গাছেই হয় কিন্তু কিছু কাঠাল মাটির নিচে শিকড়ের কাছাকাছি হয়। কাঠাল বড় হতে থাকে তখন উপরের মাটি অনেক সময় ফেটে যায়। তারপর মাটি সরিয়ে দেখা যায় কাঠল হয়ে আছে।
২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:২৮
নাসির ইয়ামান বলেছেন: ব্যবস্যায় কারবারি,মন্ত্রণালয়,গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ঢাকা-কেন্দ্রিকতা মুক্ত করে শহরভিত্তিক বাণিজ্য-নগরী গড়ে তুলতে হবে,যাতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ রুটি-রুজি রোজগারের জন্যে ঢাকায় গিয়ে,দেশের ভিতরে থেকেও ভেজালমুক্ত মৌসুমি ফল ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হতে না হয়!
৩০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুদীর্ঘ এই বাক্যটিকে ভেঙে আরেকটু ছোট ছোট করে লিখলে বোধহয় পাঠকের বুঝতে সুবিধে হতো।
১৫| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বানর কাহিনী সুখপাঠ্য হয়েছে । নগড়ায়ন সে সাথে বনভুমি উজার হওয়ার কারনে দেশের কপিকুল সত্যিই এখন তীব্র খাদ্য সংকটের কবলে । মানুষে বাঁদরে খাবার ভাগাভাগি কিংবা কাড়াকাড়ি অবশ্য অনেক আগে হতেই শুরু হয়েছে । মনে পড়ে ছোট কালে আমাদের দেশের বাড়ীতে গাছে বসে বানরের সাথে টানাটানি করে পাকা কাঠাল খেতাম । কি মঝাই না হত , একদিকে কপিকুল আর দিকে নরকুল । সে দৃশ্য এখন কদাচিত দেখা যায় । দিন কয়েক আগে অসমিয়া খবরে পড়তেছিলাম একটি সচিত্র সংবাদ -
গোৱালপাৰাৰ ঐতিহাসিক টুক্ৰেশ্বৰী দেৱালয়ৰ কপিকুল বৰ্তমান তীব্ৰ খাদ্যৰ সংকটত ভূগিছে।
অসমিয়া ভাষায় রচিত সংবাদ বিবরনীটি তুলে দিলাম পাঠে ভাল লাগতে পারে । খাদ্য সংকটে নিপতিত কপিকুলের জন্য মানুষের সহানুভুতি দেখার মত , তারা বানরের বাদরামি দেখে শুধু বিনোদন ভোগই করেনা তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থাও করে ।
ঐতিহ্যমণ্ডিত দেৱালয়খনৰ বান্দৰসমূহে খাদ্যৰ সন্ধানত বজাৰে ঘাটে বিচৰণ কৰিব লগা হৈছে আৰু ইয়াৰ ফলত আন এক শংকাৰ সৃষ্টি হৈছে।এনেদৰে খাদ্য বিচাৰি ঘাইপথ পাৰ হওঁতে বহু সময়ত চলন্ত গাড়ীৰ খুন্দাত মৃত্যুক সাৱটি ল’বলগীয়া হৈছে আপুৰুগীয়া এই আছামিছ মেকোক প্ৰজাতিৰ বান্দৰে।
উল্লেখযোগ্য যে গোৱালপাৰাৰ কৃষ্ণাইৰ ঐতিহ্যমণ্ডিত এই টুক্ৰেশ্বৰী দেৱালয়খন ১৭০০ শতিকাত বিজনীৰ ৰজা কুমুদ নাৰায়ণৰ দিনত স্থাপিত হৈছিল। এই টুক্ৰেশ্বৰীৰ বিখ্যাত কপিকুলৰ বাবে এটা আচৰিত কথা হ’ল যে দেৱালয়খনৰ কপিকুল কপি ৰাজৰ দ্বাৰা পৰিচালিত হয়। এই দেৱালয়খন বান্দৰ ৰজাৰ ৰাজৰ বাবে বিখ্যাত হৈ পৰিছে।
ইপিনে, সম্প্ৰতি দেৱালয়ত থকা হাজাৰ হাজাৰ বান্দৰ গভীৰ খাদ্য সংকটত পৰিছে। এই টুক্ৰেশ্বৰীৰ বান্দৰৰ খাদ্যৰ অভাৱ কিছু লাঘব কৰিৰ বাবে বিভিন্ন জনৰ লগতে সোমবাৰে কৃষ্ণাই বন বিভাগৰ কৰ্মচাৰী দল এটাই দেৱালয়ত উপস্থিত হৈ বান্দৰৰ বাবে খাদ্য যোগান ধৰে।
আনহাতে, বৰ্তমান ফাগুন মাহ, চাৰিওফালে মাথোঁ শুকান, যাৰ ফলত পাহাৰত খাদ্যৰ নাটনিয়ে দেখা দিছে ৷ সেয়েহে, খাদ্যৰ সন্ধানত বান্দৰৰসমুহে জনাঞ্চলৈ ঢাপলি মেলিছে ৷ বহু সময়ত এনেদৰে ঘাইপথ পাৰ হৈ জনাঞ্চলৈ যোৱা বান্দৰৰ বাহনৰ খুন্দাত মৃত্যু হোৱাকলৈ বন বিভাগ চিন্তিত হৈ পৰিছে।
এনে পৰিস্থিতিত কপিকুলৰ খাদ্য নাটনি দূৰ কৰিবলৈ কৃষ্ণাই বন বিভাগে এতিয়া খাদ্যৰ যোগান ধৰিছে। এইদৰে সময়ে সময়ে খাদ্য দি দেৱালয়খনৰ ভিতৰতে যাতে বান্দৰ সমুহক ৰাখিব পাৰে তাৰ বাবেই তেওঁলোকে এই প্ৰশংসনীয় পদক্ষেপ গ্ৰহণ কৰিছে।
ধন্যবাদ কথা ও গল্পের ছলে খাদ্যসংকটে নিপতিত কপিকুলের বিষয়ে একটি সচেতনতা সৃজনকারী পোষ্ট উপস্থাপনের জন্য ।
কাঠাল গাছের ছবি দেখে ভাল লাগল
মাহে রমজানের শুভেচ্ছা রইল
৩০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বানর কাহিনী সুখপাঠ্য হয়েছে - অনেক ধন্যবাদ।
আপনার দেয়া ছবিটা দেখেও, এবং অসমীয়া সংবাদ ভাষ্যটা পড়েও খুব ভাল লাগলো।
মাহে রমজানের এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা...
১৬| ২৯ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বাঁদরের বাঁদরামি আর মানুষের তামাশা দেখার গল্পটি ভালো লাগল।
৩০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
১৭| ২৯ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমাদের বিনোদনের সুযোগ অতি অল্প | তাই আমরা অতি অল্পতেই খুশি হতে পারি | কপিকুলকে নিয়ে ভাবা দরকার | পোস্টে ++
৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার তিনটে কথার সাথেই একমত, স্বামী বিশুদ্ধানন্দ। আর পোস্টে ++ পেয়ে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম! (যদিও + দেয়ার তালিকাটিতে আপনার নাম দেখছি না! )
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, শুভকামনা----
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট- আল ইয়ামামা অস্ত্র চুক্তি - সৌদি রাজপরিবারের সীমাহীন দুর্নীতি, লাম্পট্য এবং ভোগবিলাসের এক নজিরবিহীন অধ্যায় পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। নোটিফিকেশনের অভাবে হয়তো তা আপনার নজরে আসেনি।
১৮| ২৯ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৪১
ল বলেছেন: হুজুগে বাঙালি!!!
৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: হুঁ, সে কথাটি আর বলতে!
১৯| ২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:৪২
জুন বলেছেন: আপনার অবজারভেশন পাওয়ারের প্রশংসা না করলেই নয়। সামান্য ছোটখাটো বিষয়গুলো নিয়ে আপনার লেখাগুলো শুধু লেখনীর গুনেই অসামান্য হয়ে উঠে খায়রুল আহসান।
আমার খুব কষ্ট হয় যখন দেখি মানুষ জাল দিয়ে গাছ ঘিরে রাখে যাতে একটি ফলও পাখিরা খেতে না পারে। ওদেরও তো অধিকার আছে আমাদের রোপিত গাছের ফলের উপর। আপনি হয়তো এটাও দেখতে পেতেন যে লোকজন হৈ হৈ করে বানরটার উপর ঢিল ছুরে মারছে অকারণ।
ভালোলাগা রইলো অনেক অনেক।
+
৩১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার প্রশংসা করে প্রেরণাদায়ক মন্তব্য রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জুন।
আমার খুব কষ্ট হয় যখন দেখি মানুষ জাল দিয়ে গাছ ঘিরে রাখে যাতে একটি ফলও পাখিরা খেতে না পারে। ওদেরও তো অধিকার আছে আমাদের রোপিত গাছের ফলের উপর - অবশ্যই আছে। এমনকি কাঁঠাল গাছের কাঁঠালগুলোকে শহুরে বাড়ীর মালিক চট দিয়ে ঢেকে রেখেছে, মাসজিদে যাবার পথে এমন দৃশ্য প্রতিদিনই কয়েকবার করে দেখতে হয়।
প্লাসটিও প্রেরণা দিয়ে গেল!
২০| ২৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
বর্ণনে আর তাৎক্ষনিক ছবিতে বাঙালী জীবনের চালচিত্র এঁকেছেন চৌকস শিল্পীর মতো।
এই নির্বান্ধব ইট-পাথরের শহরে মানুষ একাকী এক প্রানী । কর্মজীবি হোক বা কর্মহীন, এই লোকালয়ে সকল মানুষের ঘাম ঝড়ানোর পরে শুকানোর মতো কোনও সামাজিক তোয়ালে আমরা বুনতে পারিনি কখনও। ঘোলা চোখে এই মানুষগুলো যা-ই দেখে তা সুন্দর বলেই প্রতিভাত হয় তার কাছে। নিষ্ঠুর শহরে সে-ই তার সঙ্গী- মননে আর আবেগে। এদেরকে নিজ জগতে এভাবে বিভোর হতে দেখে আমরা অনেকেই অনেক কিছু ভেবে বসি। কিন্তু এসবই যে তার নিস্তেজ জীবনে চাঙ্গা হওয়ার মতো কিছু রসদ।
এটুকুও যে আপনার অনুভবের ছোঁয়ায় দুলে গেছে ,তা দেখলুম লেখার শেষ প্যারাটিতে।
আর আমাদের চারধারের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদকৃত এইসব ইতর প্রানীকুল যে দিনের পর দিন অভুক্ত থেকে আমাদের বিনোদন জুগিয়ে যাচ্ছে তার কাজকর্মে, সে মর্মান্তিক বাস্তবটাও লেখার গাঁথুনীতে অজান্তেই গাঁথা হয়ে গেছে। আমরা তাদের নির্বাসিতই করিনি শুধু, করেছি অন্নহীনও। তাদের দিনমান কাটছে মানুষের অনাদরে - অবহেলায়-নিষ্ঠুরতায় । যে মানুষ নিজেই পরবাসী এই শহরে....................
ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যটি নজর কেড়েছে।
ঈদের আগাম শুভেচ্ছা।
৩১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বরাবরের মতই, আপনার প্রাজ্ঞ মন্তব্য আমার এ মামুলি লেখাটাকে অনেক সমৃদ্ধ করলো। অনেক, অনেক ধন্যবাদ, এমন একটি চমৎকার মন্তব্য এবং সেই সাথে প্লাস + দিয়ে প্রেরণা যুগিয়ে যাবার জন্য।
"আমরা তাদের নির্বাসিতই করিনি শুধু, করেছি অন্নহীনও। তাদের দিনমান কাটছে মানুষের অনাদরে - অবহেলায়-নিষ্ঠুরতায়" - যথার্থই বলেছেন এ কথাগুলো। সেদিন রাস্তার উপর গাড়ী চাপা পড়া একটি রক্তাক্ত বানরের দেহ পড়ে থাকতে দেখে সারাটা দিন মনটা ভারাক্রান্ত ছিল। অথচ দেখি, বিদেশে রাস্তায় চালকেরা গাড়ী থামিয়ে বসে থাকেন যতক্ষণ না শেষ হাঁসের বাচ্চাটি রাস্তা পার হয়!
২১| ২৯ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: একারনেই বোধহয় আমরা সুখী জাতি। অল্পতেই কার্পন্য ছাড়াই হাসি। খুব ভাল লাগলো।
৩১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ছোট্ট হলেও মন্তব্যটা চমৎকার! +
২২| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
সুমন কর বলেছেন: বাঙালি সব কিছুতেই একটু বেশি লাফায়। যা হোক, লেখার উপস্থাপন সুন্দর হয়েছে। তবে সেই খালের ছবিটি মিস করলাম।
+।
৩১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, দেখুন, সেই খালটির ছবিঃ
-- এই সেই খাল!!!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৩| ৩১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৫:৫১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আসলেই। আমরা খুব অল্পতেই যেমন খুশি হতে পারি; তেমনি অল্পতে মেজাজও হারাতে জানি।
৩১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা খুব অল্পতেই যেমন খুশি হতে পারি; তেমনি অল্পতে মেজাজও হারাতে জানি - মাত্র একটি লাইনেই বাঙালি'র মেজাজ মর্জির ভাব সাব খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, জুনায়েদ বি রাহমান।
২৪| ০৩ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বান্দর কাহিনী মিস হয়ে গেছিল!!!!
আমাদের রসবোধ যেমন প্রবল, অল্পতে খুশি হবার কথাও তেমনি সত্যি!
কিন্তু এই সহজ সরল বাঙালীয়ানাকে তিলে তিলে টিপে হত্যা করছে পূজিবাদ!
ভোগ আর প্রতিযোগীতার ইদুর দৌড় মনে ঢুকিয়ে- জীবনের বড় লক্ষ্যকে ক্ষুদ্র স্বপ্নে বদলে দিয়ে
তারা নিত্য পূজির লুণ্ঠনে ব্যাস্ত। হারিয়ে যাচ্ছে সহজ সহরল বাঙালী বাউলীয়ানা!
আমাদার বিনোদনের অভাবের জন্য মিডিয়া শতভাগ দায়ী!
অল্প টাকা সময় পার করার টক শোর নামে তারা জাতিকে এক গহন শুন্যতায় নিপতিত করছে।
নতুন প্রজন্ম সংষ্কৃিতর ঐতিহ্যকে হারিয়ে যে যা পাচ্ছে তাতেই বিনোদিত হচ্ছে! খুঁজছে! বদলে যাচ্ছে!
বানর খাওয়া কাঠালতো তাও তুলতে পেরেছে -আগ্রহী কেয়ারটেকার, কিন্তু জাতিগত সাংস্কৃতিক শুন্যতার বুঝি সহজ উদ্ধারের বুঝি নেই কোন কেয়ারটেকার!!!
০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের বড় লক্ষ্যকে ক্ষুদ্র স্বপ্নে বদলে দিয়ে তারা নিত্য পূজির লুণ্ঠনে ব্যাস্ত। হারিয়ে যাচ্ছে সহজ সরল বাঙালী বাউলীয়ানা! - ধন্যবাদ, আপনার এ ভাবনাটা এখানে শেয়ার করার জন্য। চমৎকার মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। ভালো লাগলো ।