নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনাজাতে বৃন্দ-কান্নাঃ

০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

গতবারের মত এবারেও একুশ রোযা থেকে “কিয়ামুল লাইল” (তাহাজ্জুদ) জামাতে পড়েছি (কেবল একটি রাত বাদে, ঘুম থেকে উঠতে পারিনি বলে)। যদিও এ নামাজ নীরবে নিভৃতে মধ্যরাতে নিজ গৃহকোণে বসে পড়াই দুরস্ত বলে জানি, কিন্তু নিজে পড়লে ভুলভ্রান্তি বেশী হতে পারে, আর তা ছাড়া ইমাম সাহেবের সুললিত ও শুদ্ধ কন্ঠে ক্বিরাত শুনতে খুব ভাল লাগে বলে জামাতে পড়াই মনস্থ করি। মুনাজাতের সময় ইমাম সাহেবের অনেক কথা শুনে অভিভূত হয়ে যাই, ফলে প্রার্থনায় একাগ্রতা আসে। কিন্তু এবারে এক রাতে মুনাজাতের আগে ইমাম সাহেব বললেন, আপনারা মুনাজাতের সময় মনে মনে কান্নার ভাব আনবেন। লোক দেখানো নামায পড়া নিষেধ, কিন্তু কান্না না আসলেও কান্নার ভাব করার অনুমতি আছে এবং এতে আল্লাহতা’লা খুশী হন। লোক দেখানো নামায পড়ার ব্যাপারে সুরাহ আল মাউনে আল্লাহতা’লার স্পষ্ট হুঁশিয়ারী সম্পর্কে আমি অবগত আছি, কিন্তু মেকী কান্নাকে কোথাও উৎসাহিত করা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে আমি মোটেই অবগত নই। আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে তা হতে পারে।

যাই হোক, সে রাতে ইমাম সাহেব এই কথাটা বলে যেই না মুনাজাত শুরু করলেন, অমনি ধীরে ধীরে মুসল্লীদের কান্নার রোল ধ্বনিত হওয়া শুরু হলো। অন্য রাতেও কিছু কিছু শোনা যেত, কিন্তু সে রাতে তা অত্যধিক ছিল। এক পর্যায়ে দেখলাম, অধিকাংশ মুসল্লী ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কিন্তু আমার সে রাতে চোখ দিয়ে এক ফোঁটা অশ্রুও গড়ায় নি। অথচ অন্যান্য অনেক দিনে/রাতে নামাযের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে “ইন্নি ওয়াজ্জাহতু” পড়ার সময়েই যখন আল্লাহকে স্মরণ করে আমি অর্থ বুঝে “ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন” বলি, তখনই আমার চোখ থেকে অশ্রু বের হয়েছে। যাহোক, এ ধরণের আরোপিত (মেকী বলছি না) কোরাস কান্না মুনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম সাহেবদের মনে জোশ আনলেও, আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন বান্দাদের এ কান্না কতটা পছন্দ করেন সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে, কোন বান্দা যখন অনুশোচনাভরে নীরবে আল্লাহ’র কথা স্মরণ করে গোপনে অশ্রুপাত করেন, তখন আল্লাহতা’লা দয়া পরবশ হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন, এবং তাকে উপযুক্ত বিনিময় প্রদান করেন, এ বিশ্বাসে আমি ইন শা আল্লাহ, অটল আছি।

আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতর এর দিনে সকল ব্লগারকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভকামনা। সবাই সুখে থাকুন, শান্তিতে থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সময় করে ব্লগে কিছু লিখুন। ব্লগারদের মাঝে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং পরমতসহিষ্ণুতা আরো বৃদ্ধি পাক। ঈদ মুবারাক!!!

ঢাকা
০১ শাওয়াল ১৪৪০
০৫ জুন ২০১৯

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা । ঈদ আনন্দময় ও ঝলমলে হোক ।

০৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঈদ আনন্দময় ও ঝলমলে হোক - অনেক ধন্যবাদ। আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্যেও রইলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: কোন বান্দা যখন অনুশোচনাভরে নীরবে আল্লাহ’র কথা স্মরণ করে গোপনে অশ্রুপাত করেন, তখন আল্লাহতা’লা দয়া পরবশ হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন, এবং তাকে উপযুক্ত বিনিময় প্রদান করেন, এ বিশ্বাসে আমি ইন শা আল্লাহ, অটল আছি। আমিও এটাই বিশ্বাস করি। আমার অশ্রুসিক্ত প্রার্থনা হবে কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে, আমার আর আল্লাহর মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি কান গলাবে কেন? যখনি আমি শুনতে পাই, কেউ চিৎকার করে কেঁদে আকুল হয়ে দোয়া করছেন, তখনই আমার মনে হয়, পুরো জিনিসটাই আরোপিত; খুবই বিরক্ত বোধ করি আমি এমন প্রার্থনা শুনলে।

চমৎকার লিখেছেন। ভালো লাগলো।

০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার অশ্রুসিক্ত প্রার্থনা হবে কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে, আমার আর আল্লাহর মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি কান গলাবে কেন? যখনি আমি শুনতে পাই, কেউ চিৎকার করে কেঁদে আকুল হয়ে দোয়া করছেন, তখনই আমার মনে হয়, পুরো জিনিসটাই আরোপিত; খুবই বিরক্ত বোধ করি আমি এমন প্রার্থনা শুনলে। - আপনার এ কথাগুলোর মধ্য দিয়ে আমার অনুভূতিগুলোই যেন অভিব্যক্তি পেলো।
অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য। ঈদ মুবারাক!

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঈদের শুভেচ্ছা নেবেন।

মাদ্রাসা ইত্যাদি মানুষের সাধারণ জ্ঞান বাড়ানোর বদলে কমাচ্ছে বলে আমার ধারণা।

০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্ঞান অন্বেষণের কথা পবিত্র ক্বোরানে বার বার বলা হয়েছে। মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাসে এ গুরুত্বপূর্ণ তাগিদটির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন পরবাসে।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




অদ্ভুত!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ইসলাম কোনও দেখানোর জিনিস নয়, ধারন করার জিনিস!

ব্লগের সবাইকে আপনার মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সবাই সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক, থাকুক সত্য জ্ঞানের উপরে।

ঈদ শুভেচ্ছা আপনাকেও...............

০৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইসলাম কোনও দেখানোর জিনিস নয়, ধারন করার জিনিস - আপনি এক কথায় সার কথাটি বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
সবাই সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক, থাকুক সত্য জ্ঞানের উপরে - এ কথাটাও সুন্দর বলেছেন। ভাল লেগেছে।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
রেস্পেক্টেড স্যার,
সহমত আপনার সঙ্গে। আমার নিজেরই এবার এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। 27 রোজার দিন খতম তারাবিতে প্রায় 50 মিনিট ধরে অদ্ভুত মোনাজাতে ভেউ ভেউ করে কান্নার মধ্যে কতটা আন্তরিকতা আছে আমি নিজে তার বাস্তব সাক্ষী। আমার তো মনে হয় ইমাম সাহেবদের গিনিস বুকে নাম তোলার একটা প্রচেষ্টা থাকতে পারে এত দীর্ঘ মেয়াদী মোনাজাতের মধ্যে। যেখানে বেশিরভাগ কথা থাকে দুর্বোধ্য । ফলে এমন দীর্ঘমেয়াদি মোনাজাতে একটা সময় আর হাত উপরে তুলে রাখতে পারেনি প্রচন্ড বিরক্ত সহকারে বসে থেকেছি। শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য ধরে বসে থাকতে না পেরে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলাম ততক্ষণে ইমাম সাহেবের মোনাজাত সম্পন্ন হল। অথচ এভাবে মজলিস ছাড়তেও একেবারেই ইচ্ছে হচ্ছিল না। খুব অসহায় লাগে এই ধরনের মোনাজাত গুলির যৌক্তিকতা নিয়ে। কিন্তু মুখ বুজে মেনে নেওয়া ছাড়া কখনোই কোনো প্রশ্ন করার সাহস পাই না।

০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মত পরিস্থিতির সম্মুখীন আমিও বহুবার হয়েছি। তাই আপনাও অবস্থাটা বুঝতে পারলাম।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা....

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


@পদাতিক চৌধুরি,

মুনাজাতের দীর্ঘ বক্তব্য যদি আপনার ভালো না লাগে, আল্লাহের ভালো লাগার সম্ভাবনা কতটুকু?

০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো পদাতিক চৌধুরি দিবেন, তবে আমি নিঃসন্দেহে এ কথা বলতে পারি যে আল্লাহ সকলের অন্তরের ভেতর বাহির সম্পর্কে সদা সর্বদা সম্যক অবহিত থাকেন।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ঈদ হোক প্রফুল্যমনে সকল মানুষের তরে
আনন্দ আর সুবিমল শান্তি ঝড়ুক ঘরে ঘরে
তবে এযেন না হয় শুধু আনন্দ উৎসব খেলা
এ হোক জাতীয় পুণ্যমিলনের এক মহা মেলা।

০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাত্র চারটে লাইনে এক অসাধারণ শুভকামনা ব্যক্ত করে গেলেন, ডঃ এম এ আলী। ইতোমধ্যে তিনজন পাঠক আপনার এ চমৎকার মন্তব্যটি 'লাইক' করে গেছেন।
মন্তব্যে প্লাস +।

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মোনাাজাত প্রলম্বিত করার চেয়ে
মোনাজাত কবুলের শর্তসমুহ
প্রতিপালনের জন্য নির্ধারিত
সুকর্মসমুহ প্রলম্বিত হওয়া
মনে হয় বেশী জরুরী ।
এটা সঠিকভাবে পালিত
হলে মহুর্তেই মোনাজাত
কবুল হলেও হয়ে যেতে
পারে , তবে সকলই
মহান করুনাময়
আল্লার ইচ্ছাধীন ।

০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, একদম ঠিক কথা বলেছেন। পুনঃমন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৭

বলেছেন: পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ।

০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা! ঈদ মুবারাক!

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঈদমুবারক । :)

০৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা! ঈদ মুবারাক!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!!!!

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

নীলপরি বলেছেন: বিষয় সম্পর্কিত বিধি যেহেতু আমার তেমন জানা নেই তাই কিছু মন্তব্য করলাম না । তবে আপনার উপস্থাপণ ভালো লাগলো । আর ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা তো সব মনের গভীর থেকে আসে । আরোপিত ভাবে বোধহয় হয় না । এটুকু বলা যেতে পারে ।

আর সামু প্রসঙ্গে আপনার সাথে একমত ।

আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা

০৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা তো সব মনের গভীর থেকে আসে । আরোপিত ভাবে বোধহয় হয় না । এটুকু বলা যেতে পারে - এটুকু বলেই তো আপনি পোস্টের সারাংশটুকুই বলে দিলেন।
অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য। প্লাসেও অনুপ্রাণিত।

১২| ০৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২১

জাহিদ অনিক বলেছেন:
হ্যাঁ, এরকম একটা অবস্থা আমিও হতে দেখেছি অনেকবার মসজিদে জামাতের সহিত কান্নাকাটি করা, আপনার মত আমারও তখন কান্না পায়নি।

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য। ঈদ মোবারাক প্রিয় কবি।

০৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরিবারসহ আমাকে ঈদ মুবারাক জানানোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আশাকরি, আপনারও ঈদের দিনটা আনন্দে কেটেছে।
আপনার মত আমারও তখন কান্না পায়নি - তবুও, মা.হাসান এর মত বিজ্ঞ জন যখন ভয়ের ভান এর স্বপক্ষে বলেছেন, আমার মনে হয় বিষয়টি নিয়ে আরও ভাববার অবকাশ আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনুভবের গভীরের অনুভব লোক দেখানো হতেই পারেনা। আর লোক দেখানো প্রকাশ আন্তরিক নয়।
আন্তরিকতার প্রকাশ যদি কেউ দেখে ফেলে তা ভিন্ন প্রসংগ।
২৭ রমজানে খতমে তারাবীহর শেষ রাকাতে যখন শেষ করে পুনরায় সূরা বাকারা থেকে তিলাওয়াত শুরু হলো, শেষের বেদনায় মনটা দুলে উঠলো! চোখ ভিজে উঠলো! শরীর কেঁপে উঠলো। এ অনুভবের স্বত:স্ফুর্ততা!
মোনাজাতে হৃদয়ের গহনে যখন ছুঁয়ে যাবে তখন আর কান্নার ভাব আনতে হয় না প্রকৃতই কান্নারা দু'গন্ড বেয়ে নেমে পড়ে আপনাতেই। নীরবে বা সশব্দে!!

পেশাদার ইমামদের মোনজাগতিক চর্চা, মা'রেফ চর্ছা খুবই কম প্রায় শুন্যে বলেই লোক দেখানো আয়োজনে নিজেদের ভাব বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তায় অনেক কিছূ করে। আর প্রকৃত ইমাম আলেমের বলা লাগেনা । প্রার্থনার গভীরতাই মুসল্লীদের অনুভবের সেই মাকামে পৌঁছে দেয়।

০৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন, বিশেষ করে শেষের কথাগুলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ঈদোত্তর শুভেচ্ছা....

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: ইমাম সাহেব কান্না সম্পর্কে যা বলেছেন তা সত্য আপনার অনুভূতি সত্য এবং অন্যান্য ব্লগাররা এ সম্পর্কে যা বলেছেন তাও সত্য।

নফল নামাজ একা পড়া উত্তম, ইমামের পিছনে পড়া অনুমোদিত তবে উত্তম না। নামাজে দাঁড়ানোর সময় মনে চিন্তা আসা উচিত আমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছি। যদি এমন কঠিন হয় তবে অন্তত এই রকম ভাবা উচিত আল্লাহ আমাকে দেখতে পাচ্ছেন। একই ভাবে আল্লাহর ভয়ে অশ্রু প্রবাহিত করা দরকার । অন্তত পক্ষে ভয় না থাকলে ভয়ের ভান থাকা উচিত

তবে

আমাদের নবীজি তার নবুয়তের দীর্ঘ ২২ বছর সময়ে কখনো কোন ফরজ নামাজের পর বা নফল নামাজের পর হাত তুলে সম্মিলিত ভাবে দোয়া করেছেন এমন কোন উদাহরন আমি কোথাও দেখিনি। কোন সহীহ হাদিস, কোন দুর্বল হাদিস এমনকি কোন বানোয়াট বা জাল হাদিসেও এরকম ঘটনা পাওয়া যায় না। যে কাজ নবী কখনো করেন নাই সেই কাজ ইমাম সাহেবরা কি কারনে করেন তা আমার বোধগম্য না।
যারা সুর করে বা ছন্দের তালে দোয়া করেন তাদের ব্যাপারে আমি কোনো ভক্তি রাখি না। তবে অন্তরের খবর আল্লাহ ভলো জানেন। । নিজের দোয়া নিজে করবেন, এটাই সর্বোত্তম ও হাদিস সমর্থিত ।

০৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই তিন সত্য বলার পরেও যে আরো কিছু ব্যাখ্যা আপনি দিয়ে গেলেন, এতে উপকৃত হ'লাম।
তবে অন্তরের খবর আল্লাহ ভলো জানেন - আল্লাহ ভরসা!
সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.