|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 খায়রুল আহসান
খায়রুল আহসান
	অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
অবশেষে লোকটাকে দেখা গেল, কালো ব্যাগটা হাতে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতে। আমার কাছে এসে বললো ব্যাগের তালা খুলে দেখাতে। আমি এটা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পেরে চাবিটা হাতের তালুতে বন্দী করে তৈরী হয়ে ছিলাম। ঝটপট তালা খুলে তাকে দেখালাম। সে এটা সেটা ঘেটে ঘুটে ব্যাগটা আমার হাতে দিয়ে এক গাল হেসে বললো, ‘উইশ ইউ এ হ্যাপী জার্নী স্যার’! ব্যাগের সবকিছু ঠিকভাবে বুঝে পেলাম কিনা তা দেখে নিতে বললো, কিন্তু আমার হাতে সে সময়টা কোথায়? এবারে সে আমাকে “স্যার” সম্বোধন করাতে কিছুটা অবাক হ’লাম। তবে এতক্ষণ ধরে তার জেরায় ত্যাক্ত-বিরক্ত হলেও তার শেষের শুভেচ্ছাটুকু পেয়ে মনে মনে খুশীই হলাম এবং তাকে অন্তর থেকেই একটা ধন্যবাদ জানিয়ে হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলাম।    
প্রায় দৌড়ে এসে গাড়ীতে উঠলাম। মনে মনে ভাবলাম, ব্যাগ পেয়েছি, এখন ফ্লাইট না পেলেও তেমন বড় কোন ক্ষতি নেই। লক্ষ্য করলাম, আমি কিছু না বললেও ড্রাইভার এবারে আগের চেয়ে একটু বেশী গতিতে গাড়ী চালাচ্ছে। ২ নং টার্মিনাল থেকে ১ নং, ১ থেকে আবার ২, এবং সবশেষে ২ থেকে আবার ১ নং টার্মিনাল এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। প্রতি ধাপে সময় লাগে কমপক্ষে আধা ঘন্টা, অথচ হাতে কাট অফ টাইম আছে মাত্র দশ পনের মিনিটের মত। অল্পের জন্য ফ্লাইটটা শেষ পর্যন্ত মিস করবো, এটা ধরেই নিলাম। তবুও ভাবলাম, শেষটা না দেখে রণে ভঙ্গ দিব না। প্রায় মাঝপথে কাট অফ টাইম উত্তীর্ণ হয়ে গেল। আমি নির্লিপ্তভাবে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকলাম। 
অবশেষে গন্তব্য এলো। গাড়ী থেকে লাগেজ নামানোর আগেই আবার সেই হলুদ জার্সি পরা অন্য একটি ছেলে কাছে এসে অনুমতি চাইলো। আমি শুধু তাকে এক নিঃশ্বাসে জিজ্ঞেস করলাম, এসজি ১৩০ ফ্লাইট ধরতে পারবো কিনা। সে নিজের হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে ‘যরুর কোশিষ করেঙ্গে’ বলে লাগেজ ট্রলীতে ওঠাতে লাগলো। ওর বস জাতীয় আরেকজন লোক এসে আমাকে দেড়শ’ রুপীর একটি টিকেট ধরিয়ে দিয়ে পরিশোধ করতে বললো। আমি দ্রুত টাকা বের করে তার হাতে দিয়ে ছুটলাম। সেই ছেলেটিও খুব দ্রুত ট্রলী ঠেলে নিয়ে প্রথমে আমাকে লাইনে দাঁড়াতে বলে চেক-ইন কাউন্টারের ম্যানেজার জাতীয় একজন লোকের কাছে গিয়ে কি যেন বললো। আমার সামনে তখনো দুইজন মহিলা যাত্রী, ফ্লাইটের আর মাত্র বিশ মিনিটের মত বাকী। ছেলেটি ফিরে এসে বললো, ‘স্যার মাত ঘাবরাইয়ে। বসকো হাম নে বাতায়া, আপকো চেক-ইন হো জায়েগা’। চেক-ইন কাউন্টারের মেয়েটি আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি আপগ্রেডেশন চাই কিনা। আমি সরাসরি না বললাম, আমার ছেলে লাগেজগুলো ওয়েইং স্কেলে তুললো। ট্যাগ লাগানো হলো, আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ছেলেটির কর্মতৎপরতায় খুশী হয়ে তাকে পাওনার অতিরিক্ত কিছু টিপস দিয়ে ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানিয়ে বোর্ডিং ব্রীজের দিকে যাত্রা করলাম। বিদায় দিল্লী! তবে দুটো হলুদ জার্সী মনে গেঁথে র'লো।
আমরা ছিলাম সেদিনের সেই প্লেনের শেষ যাত্রী। তাই আমাদের তিনজনের আসন তিন জায়গায় দিয়েছিল, যেখানে যেখানে খালি ছিল। এবং তিনটা সীটই মাঝখানের আসনে। আমি একজন তরুণকে অনুরোধ করে বললাম, সে এক সারি পেছনে বসতে রাজী কিনা, যেন আমরা স্বামী স্ত্রী একসাথে পাশাপাশি আসনে বসতে পারি। সে ভদ্র ছেলেটি নিঃসংকোচে রাজী হয়ে পেছনে চলে গেল। আমাদের সারিতে জানালার পাশের আসনে একজন তরুণী একটা এক/দেড় বছরের বাচ্চা কোলে নিয়ে একাই দিল্লী থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল। প্লেনে বসার সাথে সাথে একজন বিমানবালা পানি অফার করলো। স্পাইসজেটে বিনামূল্যে পানি ছাড়া ওরা আর কিছু দেয় না। আমি ছোট ছোট দুই গ্লাস পানি পান করে পকেট থেকে সেলফোন বের করে দেখি মানযুর ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা কল করেছিল। আমি তাকে কল করে জানালাম, আমি প্লেনে বসেছি। একথা শুনে সেও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে সে যে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো, তার শব্দটা যেন শ্রীনগর থেকে বাতাসে ভর করে দিল্লীর এ প্লেনের ভেতরে ঢুকে আমার কানে এসে ঠেকলো। আমি গাড়ীচালক শাফিকেও কল করে জানালাম যে আমরা ঠিকমত প্লেনে বসেছি। প্লেন ঠিক সময়েই ছাড়বে। সে যেন আমাকে শ্রীনগর বিমান বন্দর টার্মিনালের বাইরে খুঁজে নেয়। অবশেষে ১১টা ২০ এর ফ্লাইটের প্লেনটি ১১টা ১৬তেই নড়াচড়া শুরু করলো। ১২ মিনিট ট্যাক্সিইং করে ১১টা ২৮ মিনিটে রানওয়ে ত্যাগ করে আকাশে উড়াল দিল। অবসান হলো এক দুঃস্বপ্নের, শুরু হলো এক সুখস্বপ্নময় অধ্যায়ের। প্লেনটির সাথে সাথে আমারও ভাবনাগুলো রৌদ্র করোজ্জ্বল নীলাকাশে পাখা মেলে দিল।   
প্রায় চল্লিশ মিনিট ঊর্ধ্বাকাশে উড্ডয়নের পর অবতরণের প্রস্তুতি হিসেবে প্লেনটি যখন ধীরে ধীরে নীচে নামা শুরু করলো, তখন জানালার পাশে বসা সেই তরুণী মাতার পুত্রধন কান্না শুরু করে দিল। আস্তে আস্তে সে কান্না প্রকট হতে শুরু করলো। তরুণীটি কিছুতেই তার কান্না থামাতে পারছিল না। এক পর্যায়ে সে বিরক্তি প্রকাশ করতে লাগলো। পাশে বসা আমার স্ত্রীও এটা সেটা দেখিয়ে তাকে ভোলাতে চেষ্টা করলো, কিন্তু শিশুর কান্না কিছুতেই থামে না। আমিও বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিয়ে ভোলাতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হলো। প্লেন যতই নীচে নামছে, কান্না ততই বাড়ছে। একবার মনে হলো, প্লেনের উচ্চতা দ্রুত কমে আসার কারণে হয়তো তার কানে কোন অসুবিধা হতে পারে। ওর কান দুটোকে দু’হাত দিয়ে চেপে ধরলাম। তাও কান্না থামে না। এক সময় বুঝতে পারলাম, ওর কান্না কি কারণে থামছে না। কিন্তু অবতরণমুখী প্লেনে ঠিক ঐ মুহূর্তে সেই কারণটি দূর করার কোন উপায় ছিল না। ওকে ওর মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলাম, কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে এক সময় ছেলেটার কান্না থেমে এলো। ১২টা ৩৮ মিনিটে প্লেন ভূমি স্পর্শ করলো। তারপর ধীরে ধীরে ট্যাক্সিইং করে ১২টা ৪২ মিনিটে বোর্ডিং ব্রীজে এসে ঠেকলো। নির্ধারিত এ্যারাইভাল টাইম ছিল ১২টা ৪৫ এ।   
শ্রীনগর বিমান বন্দরের ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি আমাদের গুলোর মতই সেটার দুরবস্থা। কোন রকমে একটু ফ্রেশ হয়ে নিয়ে বের হয়ে দেখি আমার ছেলে এবং স্ত্রী ট্রলীতে লাগেজ সংগ্রহ করে প্রস্থানের জন্য প্রস্তুত। আমি ছেলেকে বললাম, ড্রাইভার শাফিকে একটা কল দাও। সে জানালো, কল দেয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু এখানে শুধু শ্রীনগরের সিম ছাড়া অন্য প্রিপেইড সিম অচল। পোস্ট পেইড হলে যে কোন সিম ব্যবহার করা যায়। আমাদের দু’জনার কাছে দুটো ভারতীয় প্রিপেইড সিম ছিল, সেগুলো কাশ্মীরে অচল হয়ে রইলো। যাহোক, টার্মিনাল থেকে বের হবার সময় অনেক ট্যাক্সিওয়ালা এগিয়ে আসছিল, ট্যাক্সি লাগবে কি না, তা জানতে। আমি তাদের একজনকে জানালাম যে আমার গাড়ীর ব্যবস্থা আগে থেকে করা আছে, কিন্তু আমি আমার ফোন থেকে চালককে কনট্যাক্ট করতে পারছি না। সে আমার কাছ থেকে ফোন নাম্বারটা নিয়ে নিজেই কল দিল। সেই ট্যাক্সিচালকের স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানালাম এবং তার জন্য মন থেকে দোয়া করলাম। অন্যের প্রতি এ ধরণের ছোট ছোট ইহসান আল্লাহ তা’লার কাছ থেকে অনেক বড় বিনিময় এনে দিতে পারে, এ আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বান্দা শাফি হাজির! দূর থেকেই একটা হাসিমুখ আর লম্বা সালাম উপহার দিয়ে আমাদের উৎকন্ঠা দূর করলো। তার সম্বন্ধে অনেক কিছুই বলার আছে। সেটা না হয় বলা যাবে অন্য কোন পর্বে।        
যেহেতু আমি এ কাহিনীর প্রথম পর্বের প্রথম অনুচ্ছেদেই বলেছিলাম যে আমরা কাশ্মীর সফর শেষে দেশে ফিরেছি, সেহেতু এ কাহিনীর এন্ড রেজাল্ট সব পাঠকেরই জানা ছিল, অর্থাৎ ব্যাগ হারাক আর যাই হোক, আমরা কাশ্মীর যেতে পেরেছিলাম। তারপরেও অনেক পাঠক মন্তব্যে জানিয়েছেন যে তারা সিরিজটি পড়তে পড়তে কাহিনীর উত্তেজনায় রোমাঞ্চিত ও উৎকন্ঠিত। তবে আমাদের কাছে সেদিন এন্ড রেজালট টা জানা ছিলনা, তাই আমাদের উত্তেজনা ও উৎকন্ঠার কোন মাত্রা ছিল না। তার পরেও আমরা সেদিন সকল উত্তেজনা অতিক্রম করে অবশেষে মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম, এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রেখেছিলাম, এজন্য সকল গতির নিয়ন্ত্রকের কাছে হৃদয় নিঙরানো কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এ কাহিনীর এখানেই ইতি টানছি। 
 
চরম উৎকন্ঠাময় এ কাহিনী আপাততঃ সমাপ্ত! তবে এ কাহিনী থেকে কিছু শিক্ষনীয় বিষয়ঃ 
*বোর্ডিং বা ডিপার্টিং ফ্লাইটের ডিপার্চার/এ্যারাইভাল টার্মিনালের নম্বরটা আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। 
*কোন বিপর্যয়ে আশাহত হলে চলবে না। শেষ চেষ্টা করে দেখতে হবে। 
*বিমান ভ্রমণের জন্য নির্দ্দিষ্ট সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশী সময় হাতে নিয়ে রওনা হতে হবে। 
ঢাকা 
১২ মে ২০১৯   এই সেই কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগ!
 এই সেই কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগ!  এই সেই কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগ!
 এই সেই কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগ!
 ৪৫ টি
    	৪৫ টি    	 +১২/-০
    	+১২/-০  ১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:৫৯
১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:১১
১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:১১
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আপনার কাশ্মীর ভ্রমন ৪ পর্ব ব্লগের প্রথম পাতায় পেয়ে গল্প পাঠ করার পূর্বে নিচের চলবে............ লিখাটা আছে কিনা? দেখলাম আজ এখানে ইতি হতে চলেছে গল্পটির। তবে জানেন কি,এখন মনে হচ্ছে আরেকটু বড় হলে মনে হয় ভাল হতো। থাক,পুরো ভ্রমণে আল্লাহ আপনার সহায় ছিলো,ভ্রমণ শেষ করে দেশেও ফিরে এসেছেন সহিহ সালামতে। আপনার লিখা নতুন কোন গল্পের অপেক্ষায় রইলাম লেখক।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:৩০
১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ এখানে ইতি হতে চলেছে গল্পটির - গল্পটির নয়, শুধু উৎকন্ঠাময় প্রথম চারটি পর্বের ইতি হলো। এর পরে আর উৎকন্ঠা, উত্তেজনা থাকবে না। কেউ পড়ুক বা না পড়ূক, আমার গল্প আমি আরো কয়েকটি পর্ব ধরে বলে যাব এখানে। 
পুরো ভ্রমণে আল্লাহ আপনার সহায় ছিলো,ভ্রমণ শেষ করে দেশেও ফিরে এসেছেন সহিহ সালামতে - আল্লাহ মহান! বিপদে আপদে তাঁর বান্দারা তাঁকে ডেকে থাকলে উনি এভাবেই তাদের সহায় হন। 
আপনার লিখা নতুন কোন গল্পের অপেক্ষায় রইলাম লেখক - নতুন কোন গল্প নয়, এ গল্পটাই চলতে থাকবে আপাততঃ, শুধু শিরোনামে একটু করে পরিবর্তন আসবে, পর্ব ধরে।
৩|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:১৬
১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:১৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ২০০৭ সালে চিকিৎসার জন্য আমি যখন চেন্নাই গিয়েছিলাম, তখন সিম সংক্রান্ত এরকম ঝামেলায় পড়েছিলাম। কোলকাতায় আমার এক আত্মীয়ের নামে কেনা সিম চেন্নাইতে অচল হয়ে গেল। শুনলাম, ওখানে এক রাজ্যের সিম অন্য রাজ্যে চলে না। আলাদাভাবে নতুন রাজ্যের সিম কিনতে হয়। কিন্তু আমি ওদের কাছে বিদেশী হওয়ায় সিম কেনার সুযোগ ছিল না। ভারতে এখনো রাজ্য ভিত্তিক আলাদা সিমের ওই নিয়মটা চালু আছে বলে মনে হচ্ছে। যাই হোক, দেশে আর ফোন করতে পারি না। মহা বিড়ম্বনা। শেষে যে কয়েকদিন চেন্নাইতে ছিলাম, সেই ক'দিন হাসপাতালের কাছাকাছি এক কল সেন্টার থেকে অনেক খরচ করে দেশে ফোন করতে হয়েছে। 
আপনার ভ্রমণ কাহিনী ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:৪২
১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন যেমন আমরা ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেই বা মোবাইল ডাটা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেই হোয়াটস এ্যাপ কিংবা ভাইবারে জরুরী কথা সেরে নিতে পারি, ২০০৭ সালে তো সে সুযোগ ছিল না। কাজেই আপনার কতটা অসুবিধে হয়েছিল, তা বুঝতে পারছি। 
আমার এ সামান্য গল্পকথন ব্লগের একজন সেরা গল্পকারের ভাল লেগেছে জানতে পেরে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।
৪|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:২৫
১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি ভাগ্যবান। 
যাক শেষমেষ  ব্যাগ এবং ফ্লাটই দু'টাই পেয়েছেন।  
জীবনের সবচেয়ে বড় সঞ্চয় অভিজ্ঞতা।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:০৮
১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আসলে আপনি ভাগ্যবান।
যাক শেষমেষ ব্যাগ এবং ফ্লাটই দু'টাই পেয়েছেন।  - ঠিক, এবং ঠিক; দুটোই ঠিক।
আর তৃতীয় কথাটা তো অবশ্যই ঠিক। 
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:২৪
১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালোভাবেই জার্নি শুরু হলো মাশাআল্লাহ। 
অভিজ্ঞতার অনুভূতি স্মৃতি হয়ে থাকবে।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:৩৪
১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিজ্ঞতার অনুভূতি স্মৃতি হয়ে থাকবে - জ্বী, ঠিক বলেছেন। 
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা.....
৬|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:৪৮
১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন বলেছেন: 
কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ কেমন আছে?  তারা কি এখনো স্বাধীনতা নিয়ে ভাবে?
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:১৯
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সব কিছুই বলবো। সাথে থাকুন।
৭|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:১৩
১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:১৩
করুণাধারা বলেছেন: অবশেষে উৎকণ্ঠার অবসান- যাত্রা হল শুরু  
 
আপনার লেখার মাধ্যমে এখন কাশ্মীর দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:২৭
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশেষে উৎকণ্ঠার অবসান- যাত্রা হল শুরু - জ্বী, উৎকণ্ঠার অবসানে সেদিন অনেক রিলিফ হয়েছিল। 
কাশ্মীর দেখার অপেক্ষায় থাকবেন জেনে প্রীত হ'লাম। আশাকরি, কিছু কিছু করে আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো পাঠকের সাথে শেয়ার করে যাব, যা পাঠ করে আপনাদের ভাল লাগবে। 
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!
৮|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:১৮
১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কেমন আছেন ? টেকনিক্যালী আটকে ছিলাম। দেশের বাইরে ব্লগ মুক্তি আছে জানা ছিলো না।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:৫০
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ভাল আছি। ব্লগে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা তো শুধু দেশের অভ্যন্তরেই বলবৎ বলে জানি। দেশের বাইরে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:২৬
১৬ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন: 
আরেক হলুদ জার্সি'র মানুষ আপনাকে  নিজের থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন, এটা সুন্দর বিষয়।
আমাকে কাজ উপলক্ষে বিবিধ যায়গায় যেতে হয়েছে, সব স্হানেই "হলুদ জার্সি" শ্রেণীর লোকদের সাহায্য পেয়েছি।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:০১
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওদের দু'জনকেই আমার ভাল লেগেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা একটা অন্যতম মানবিক গুণ। 
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৪৬
১৬ ই জুন, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন বলেছেন: 
পৃথিবীটা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর। এখানে দেখার আছে অনেক কিছু । জানার আছে অনেক কিছু।  শেখার আছে অনেক কিছু ।অথচ আমরা এর কোনটাই করতে পারছি না,  আফসোস!
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:২৪
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীটা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর। এখানে দেখার আছে অনেক কিছু । জানার আছে অনেক কিছু। শেখার আছে অনেক কিছু - কথা সত্য। এজন্য সময় সুযোগ পেলেই সফরে বের হওয়া উচিত। তবে সব সময় বিদেশ যেতেই হবে এমন কোন কথা নেই। "ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া" প্রথম সফরটা শুরু করা উচিত, এবং একে একে দেশের ভেতরের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখা উচিত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:৪৮
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
 আগে যেহেতু থেকে পড়া ছিল। কাজেই আজ শুধু চোখ বুলিয়ে নিলাম। পোষ্টে ষষ্ঠ লাইক।  
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ১০:৩২
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ১০:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পঠিত বিষয়ের উপরেও একবার চোখ বুলিয়ে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১২|  ১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ১০:৫৪
১৬ ই জুন, ২০১৯  রাত ১০:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
এক অনিশ্চয়তার যুদ্ধে সৈনিকের মতোই লড়ে যাচ্ছিলেন এতোক্ষন। সহযোদ্ধারাও কেমন করে যুদ্ধের দামামার মাঝে তাদের আর্টিলারী সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন তা না হয় না-ই বললেন  কিন্তু যুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার সাদা পতাকা ওড়ালেন কেন ? 
চমৎকার চলছিলো যুদ্ধ। কাশ্মীর রণাঙ্গনে না হয় গোলাগুলি তেমন হয়নি কিন্তু ফুলের ছড়াছড়ি তো ছিলো! 
  ১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১২:৪২
১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১২:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: সহযোদ্ধারাও কেমন করে যুদ্ধের দামামার মাঝে তাদের আর্টিলারী সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন তা না হয় না-ই বললেন - ঐ সময়টাতে সহযোদ্ধারা যুদ্ধের দামামার মাঝে তাদের আর্টিলারী সাপোর্ট দিয়েছিলেন "আর্টিলারী ফায়ার পাওয়ার" দিয়ে নয়, বরং তাদের কামানগুলোর মুখে muzzle cover পড়িয়ে রেখে "ফায়ার সাইলেন্স" বজায় রেখে।   
 
কারণ ঐ সময়ে যদি ওরা "তুমি কেন কাঁধের ব্যাগটাকে ফ্লোরে রাখতে গেলা, কেন সাথে নিয়ে গেলা না বা আমাদের হাতে দিয়ে গেলা না" ইত্যাকার প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে মারতো, তাহলে আমি আমার "কুল" বজায় রাখতে পারতাম না। সেই পরিস্থিতিতে তাদের নীরবতাই ছিল সবচেয়ে বড় সাপোর্ট।   
   
সাদা পতাকা সাময়িক। আগামী পর্বে কিছু ফুলের ছবি দিতে পারবো, যদিও আমরা কাশ্মীর পৌঁছার তিনদিন আগেই ওদের টিউলিপ গার্ডেন থেকে সব টিউলিপ তুলে ফেলা হয়েছিল, আর গুলমার্গের বরফ তখন সবে গলতে শুরু করেছে, যেসব ফুল স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাটি ফুঁড়ে বের হয়ে আত্মপ্রকাশ করে, তাদের ফোটার সময় তখনো অন্ততঃ সপ্তাহ দুয়েক বাকী। 
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!
১৩|  ১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ১:০৫
১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ১:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাইরাল হওয়া সেই অপরাধী গান টা শেষ পর্যন্ত আর ভাইরাল হতে দিলো না; কালো ব্যাগ কে বাঁচিয়ে দিলো দুই হলুদ জার্সি। আর আপনাদের মনে গেঁথে রইলো জার্সির নীচের মহৎ হৃদয়। 
গুলমার্গের অপেক্ষায় রইলাম।
  ১৭ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:৪০
১৭ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৩:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কালো ব্যাগ কে বাঁচিয়ে দিলো দুই হলুদ জার্সি। আর আপনাদের মনে গেঁথে রইলো জার্সির নীচের মহৎ হৃদয় - খুব সুন্দর করে বলেছেন কথাটা, ধন্যবাদ। 
গুলমার্গের অপেক্ষায় রইলাম - আমরা যখন গুলমার্গে গিয়েছিলাম, তখনো গুলমার্গের অনেকাংশ বরফাচ্ছাদিত ছিল। আরো সপ্তাহ দুয়েক পরে গেলে আরো অনেক ফোটা ফুল দেখা যেত। 
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৪|  ১৭ ই জুন, ২০১৯  ভোর ৪:৪৮
১৭ ই জুন, ২০১৯  ভোর ৪:৪৮
ল বলেছেন: কোন বিপর্যয়ে আশাহত হলে চলবে না -- উপদেশটি মনে থাকবে।।।
  ১৭ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:০৮
১৭ ই জুন, ২০১৯  বিকাল ৪:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। 
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!
১৫|  ১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:১৩
১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:১৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মানবিকতাবোধ উঠে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে 'হলুদ জার্সি'দের সংখ্যা। 
সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী। আগের পর্ব গুলিও পড়ার চেষ্টা করবো।
  ১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:১৪
১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আগের পর্ব গুলিও পড়ার চেষ্টা করবো - খুশী হবো, যদি একটু সময় করে সেগুলো পড়ে যেতে পারেন। সিরিজটা আরো বেশ কয়েকটি পর্বে চলবে। ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে আশা করি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬|  ১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:১৫
১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:১৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শেষ অবধি হারানো ব্যাগটি পেয়েছেন জানতে পেরেছি আর তারি সাথে উৎকন্ঠিত গল্পটিও এখানে শেষ হয়ে যাবে দেখে আরো কিছুক্ষন ভ্রমনের সাথে থাকার ইচ্ছে জেগেছিল। কিন্তু কি আর করার লেখন আর সামনে যেতে চাচ্ছেন না। ভাল থাকুন সবসময় মহান যিনি তাঁরি দরবারে ফরিয়াদ। আমার জন্যও দোয়ার দরখাস্ত রইল।
  ১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:৪৮
১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ৮:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজটা আরো বেশ কয়েকটি পর্বে চলবে। ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে আশা করি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৭|  ১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:৫৬
১৭ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাশ্মীর ভ্রমণ সত্যি সাহসের ব্যাপার, আমার এতো সাহস কোনোদিন হয়নি তাই কাশ্মীর টেলিভিশনেই দেখেছি শুধু।
  ১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:০৫
১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ৯:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: তারপরেও প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক সেখানে যাচ্ছে। ওরাই ওদেরকে বাঁচিয়ে রাখছে।
১৮|  ১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ১১:২৮
১৭ ই জুন, ২০১৯  রাত ১১:২৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি বুঝেছিলাম সিরিজ শেষ করে দিচ্ছেন। ভ্রমনের স্বাধ মিটার আগেই শেষ তাই ইচ্ছের কথা জানাতে ভুল করিনি। সাথেই আছি। সামনে দেখবো কোথায় কোথায় ঘুরলেন নানান যায়গার ছবি ও বর্ণনা।
  ১৮ ই জুন, ২০১৯  সকাল ১০:২১
১৮ ই জুন, ২০১৯  সকাল ১০:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সামনে দেখবো কোথায় কোথায় ঘুরলেন নানান যায়গার ছবি ও বর্ণনা - ধন্যবাদ। ছবি হয়তো তেমন দিতে পারবো না, তবে আমার চোখে দেখা এবং মনে অনুভূত বর্ণনা থাকবে।
১৯|  ১৯ শে জুন, ২০১৯  ভোর ৬:৫৩
১৯ শে জুন, ২০১৯  ভোর ৬:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন: 
কাশ্মীরে আপনারা কতদিন ছিলেন, কোন শহরে ছিলেন, নাকি কোন রিসোর্ট ইত্যাদিতে ছিলেন?
  ১৯ শে জুন, ২০১৯  সকাল ১০:০৪
১৯ শে জুন, ২০১৯  সকাল ১০:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাশ্মীরে আমরা মোট চার রাত ছিলাম। প্রথম দু'রাত রাজধানী শ্রীনগরের একটি হোটেলে, পরের রাত "ডাল লেইক" এর উপর ভাসমান একটি "বোটহাউস" এ এবং শেষের রাত প্যাহেলগাম এর একটি হোটেলে। 
ধারাবাহিকভাবে দু'দিন পর পর লিখে যাচ্ছি। সাথে থাকলে সব কিছুই জানতে পারবেন।
২০|  ২০ শে জুন, ২০১৯  সকাল ১১:৪৮
২০ শে জুন, ২০১৯  সকাল ১১:৪৮
পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক দুর্ভোগ আর উৎকন্ঠার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে শেষ পর্যন্ত ভ্রমন সাফল্যের আনন্দ আর প্রশান্তি নিশ্চয়ই পর্বত শিখর স্পর্শ করেছিল। আপনার সাফল্যের প্রাঞ্জল বর্ননায় অনেক অনেক তৃপ্তী পেলাম । 
  ২১ শে জুন, ২০১৯  রাত ১১:০৯
২১ শে জুন, ২০১৯  রাত ১১:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আমার এ সিরিজটা পড়ে যাচ্ছেন দেখে আমিও আপনার মন্তব্যে তৃপ্তি পাচ্ছি।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!!
২১|  ২০ শে জুন, ২০১৯  সকাল ১১:৫৪
২০ শে জুন, ২০১৯  সকাল ১১:৫৪
পুলক ঢালী বলেছেন: ভ্রমন টিপসগুলিও চমৎকার। তবে এক স্টেটে বা সিটিতে একাধিক এয়ারপোর্ট থাকতে পারে কিন্তু টার্মিনাল যে ইন্টার কানেক্ট ছাড়া এত দুরে দুরে থাকতে পারে সে ধারনা ছিলনা এরকম মনে হয় দিল্লীতেই আছে। 
  ২২ শে জুন, ২০১৯  সকাল ৮:৫৭
২২ শে জুন, ২০১৯  সকাল ৮:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু টার্মিনাল যে ইন্টার কানেক্ট ছাড়া এত দুরে দুরে থাকতে পারে সে ধারনা ছিলনা এরকম মনে হয় দিল্লীতেই আছে - এটা আমারও ধারণার বাইরে ছিল। ফিরে আসার সময় আমার যেমন নতুন কোলকাতা বিমান বন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রবেশের পর একটা ঔষধ খোঁজার জন্য ডমেস্টিক টার্মিনাল যেতে হয়েছিল। হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল বলে কি সুন্দর ভেতর দিয়েই হেঁটে হেঁটে গিয়ে আমি কাজটা করেছিলাম। 
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। 
২২|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯  রাত ২:২১
১৭ ই আগস্ট, ২০১৯  রাত ২:২১
সোহানী বলেছেন: শেষে আপনার ঐতিহাসিক ব্যাগের চেহারা দেখা গেল।
সব দেশেরই বাথরুমের চেহারা ডিপেন্ড করে সে দেশের অর্থনীতির উপর.......হাহাহাহাহা
কাশ্মিরে যাবার যা পরিকল্পনা ছিল এবারের মোদির এ শয়তানীতে সাহস করে যাবো কিনা তা নিয়ে টেনশানে আছি।...................
  ২০ শে আগস্ট, ২০১৯  সকাল ১০:৩৪
২০ শে আগস্ট, ২০১৯  সকাল ১০:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষে আপনার ঐতিহাসিক ব্যাগের চেহারা দেখা গেল - হা হা হা, দ্যাট কালপ্রিট ব্যাগ! ওটার (নাকি আমার? কে জানে!) আরো কাহিনী আছে! 
কাশ্মিরে যাবার যা পরিকল্পনা ছিল এবারের মোদির এ শয়তানীতে সাহস করে যাবো কিনা তা নিয়ে টেনশানে আছি - এখন যাবার তো প্রশ্নই ওঠে না। তবে সবকিছু পুনরায় শান্ত হয়ে এলে একবার যাবেন অবশ্যই। ওদের আতিথেয়তা, ভদ্রতা ভাল লাগবে। 
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভকামনা...
২৩|  ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯  বিকাল ৫:১৮
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯  বিকাল ৫:১৮
মা.হাসান বলেছেন: বিভিন্ন ছোটখাট সমস্যা আর কিছুটা আলসেমির কারণে আগে আসা হয় নি, আন্তরিক দুঃখিত।
ছোট ছোট ভালপো কাজের বদলা আসেই, কখনো একটু দেরি হতে পারে, কিন্তু আসবেই।
প্লেনে সহযাত্রী সিট বদলে স হায়তা করা বা অন্য ড্রাইভারের ফোন এগিয়ে দেয়ার বিষয় গুলো হয়তো কারো কারো কাছে খুব তুচ্ছ, কিন্তু প্রয়োজনের সময়ে এগুলো অনেক বড় হয়ে দেখা দে.
**আগের পর্বের মন্তব্যে বলেছিলাম -- কোন সমস্যায় আমাকে বিচলিত হতে দেখলে আমার স্ত্রী আমাকে বলে- লেট ইট বি দা বিগেস্ট প্রবলেম অফ আওয়ার লাইফ।- এর মানে সে কামনা করছে যেন জীবনে এর চেয়ে বড় কোন সমস্যার সম্মুখিন আমাদের হতে না হয়।
  ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:২৬
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিভিন্ন ছোটখাট সমস্যা আর কিছুটা আলসেমি সত্ত্বেও আমার লেখা এ ভ্রমণ সিরিজটিতে ফিরে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 
লেট ইট বি দা বিগেস্ট প্রবলেম অফ আওয়ার লাইফ - আপনার স্ত্রীর এ মূল্যবান উপলব্ধিটার কথা জানা হলো, এটা এখন থেকে আমাদের জন্যেও প্রেরণা হয়ে থাকবে, বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে সাহায্য করবে। 
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:৩৪
১৬ ই জুন, ২০১৯  দুপুর ১:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
পড়ার ইচ্ছে থাকলো। শুভকামনা।