নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ৭; ক্ষণিকের দেখা, তবু মনে গাঁথা

২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯

সেদিন সোনামার্গে সারাটা দুপুর চমৎকার কাটলো। পুনরায় ঘোড়ায় চড়ে ফিরে আসার সময় সহিসদের সাথে গল্প করতে করতে ফিরেছি, তাই সময়টা দ্রুত ফুরিয়ে গেছে। ওদের কষ্টের কথা জেনে ব্যথিত হয়েছি। ঘোড়ার মালিককে আমরা যে মূল্য দিয়েছি, তা থেকে ওরা নাকি কিছুই পাবে না, কারণ ওরা মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারী। মাস শেষে ওরা পায় মাত্র চার হাজার রুপী। ঘোড়া থেকে নেমে ওদের যে বখশিস দিলাম, তা পেয়ে ওদের চোখেমুখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছিল। ক্লান্ত শরীরে ফিরে এসে দেখি, “হোটেল স্নো ল্যান্ড” এর সামনে একটা জায়গায় সবুজ ঘাসের উপর তিনটে চেয়ার আর একটি সেন্টার টেবল লাগানো রয়েছে। মনে হলো যেন, আমাদের তিনজনের জন্যই এ ব্যবস্থা। আমরা উপস্থিত একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, সেখানে আমরা কিছুক্ষণ বসতে পারি কিনা। সে বললো, হ্যাঁ হ্যাঁ, ট্যুরিস্টদের জন্যই এ ব্যবস্থা। আমরা কিছুক্ষণ চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিলাম, তার পরে ফেরত পথে রওনা হ’লাম। আরো কিছুক্ষণ থাকার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু আমাদেরকে আবার শ্রীনগরে ফিরে যেতে হবে। সন্ধ্যের আগেই ফিরতি পথের অধিকাংশটুকু অতিক্রম করা বাঞ্ছনীয়। ইচ্ছে ছিল ফেরার পথে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়টা একটু ঘুরে দেখার, কিন্তু সময়াভাবে তা আর সম্ভব হবেনা বলে মনে হচ্ছিল।

শ্রীনগরের ‘ডাল লেইক’ এর পশ্চিম তীরে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৬৩ একরের বিরাট একটি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। “আঁধার থেকে আলোয়” বিশ্ববিদ্যালয়টির মূলমন্ত্র। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট ১২টি ফ্যাকাল্টি, ৪৭টি এ্যাকাডেমিক বিভাগ এবং ২১টি সেন্টার রয়েছে। তন্মধ্যে ওদের আইন ফ্যাকাল্টি এবং বিজনেস ফ্যাকাল্টি’র অত্যন্ত সুখ্যাতি রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি বিরাট ও ঐশ্বর্যশালী পাঠাগার রয়েছে, যার নামকরণ করা হয়েছে মহাকবি ইকবাল এর নামানুসারে, “আল্লামা ইকবাল লাইব্রেরী”। সেখানে ছয় লক্ষাধিক বইপুস্তক রয়েছে এবং ৪১৫টি বিরল পান্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এর মধ্যে আছেন ভারত সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী গোলাম নবী আজাদ, ইরানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী দাউদ দানেশ জাফারি, হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন হাইকোর্ট চীফ জাস্টিস মানসুর আহমাদ মীর, মেঘালয় প্রদেশের প্রাক্তন হাইকোর্ট চীফ জাস্টিস মোহাম্মাদ ইয়াকুব মীর, কাশ্মীরি কবি আগা শাহিদ আলী প্রমুখ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। সময়াভাব এবং সেই সাথে বৃষ্টির কারণে এত বড় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখতে না পারার আফসোসটা রয়েই গেল।

কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখতে না পারলেও এরই কাছাকাছি হযরতবাল মাসজিদের (দরগাহ শরীফ) নিকটে আসার সময় বৃষ্টি অনেকটা কমে গেল। এই দরগাহ শরীফ ‘ডাল লেইক’ এর উত্তর তীরে অবস্থিত। কথিত আছে যে দরগাহ শরীফে খাতামুন নাবিয়্যিন হযরত মোহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর একগোছা পবিত্র চুল সংরক্ষিত আছে। আমরা সেখানে পৌঁছেছিলাম মাগরিব এর নামাযের প্রায় এক ঘন্টা আগে। এর আগে ঘোড়ার পিঠে চড়েছিলাম এবং ওয়াশরুম ব্যবহার করেছিলাম বলে নিজ পোশাকের পবিত্রতা সম্বন্ধে নিশ্চিত ছিলাম না। তাই আমি আর মাসজিদের ভেতরে প্রবেশ করি নাই। দেখলাম কপালে সিদুর আঁকা এক হিন্দু ভদ্রলোক সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছু প্রার্থনা করছেন এবং প্রার্থনা শেষে মাসজিদের মেঝে স্পর্শ করে হাতের তালু দুটো নিজ কপালে এবং বুকে বুলিয়ে চলে গেলেন। আমি খুঁজছিলাম এমন একজনকে যিনি আমাকে এই ঐতিহাসিক স্থানটি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পারবেন। পেয়েও গেলাম এমন একজনকে। বয়স ত্রিশের কাছাকাছি সেই নাম না জানা যুবকটি অতি চমৎকারভাবে ধর্ম ও ইতিহাস নিয়ে উর্দু, হিন্দী এবং ইংরেজী মিলিয়ে সুন্দর একটি বক্তব্য রাখছিলেন। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঐ সময়ে কে যেন একজন বারবার তার সাথে সেলফোনে কথা বলতে চাচ্ছিল বলে তার সেই বক্তব্য পুরোটা শোনা সম্ভব হয় নাই। মাগরিবের নামাযের সময় ঘনিয়ে আসাতে সে সময়ে এক কাশ্মীরি দম্পতি নামাযের উদ্দেশ্যে এসে আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। আলাপে জানলাম ভদ্রলোক একজন ব্যাংকার এবং তার স্ত্রী একজন কলেজ প্রভাষিকা। আমরা বাংলাদেশী জেনে তারা অনেক অনুরোধ করলেন, নামাযের পর তাদের নিকটবর্তী বাসায় কিছুক্ষণের জন্যে হলেও আতিথ্য গ্রহণ করতে। আমরা তাদের অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে কোনমতে তাদেরকে নিবৃত করলাম।

রাতে হোটেলে ফিরে একটু ফ্রেশ হয়ে ডিনার করে নিলাম। শোয়ার সময় সবাই টের পেলাম, গায়ে পায়ে বেশ ব্যথা করছে। বুঝতে পারলাম, ঘোড়ায় চড়াটাই এর জন্য দায়ী। শরীর ক্লান্ত থাকায় সবাই এক নিমেষে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সকাল দশটায় আমরা গুলমার্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। গুল অর্থ ফুল, মার্গ মানে ময়দান। আমরা যে সময়টাতে গুলমার্গে গিয়েছিলাম, সেখানে যাবার আসল সময় আসলে আরো অন্ততঃ কয়েক সপ্তাহ পরে শুরু হবার কথা। বরফ গলে যাবার পর বিধৌত ভূমি যেন স্নান সেরে ওঠে, তার উপরিভাগে কয়েকদিনের মধ্যে বিনা যত্নে খোদ-বা-খোদ নানা রঙের ফুল ফুটে পুরো এলাকাটাকে ফুলে ফুলে রাঙিয়ে দেয়। এজন্যেই এর নাম রাখা হয়েছে গুলমার্গ। আমরা যখন গিয়েছিলাম, তখন দুই একটি জায়গায় কেবল ছোট ছোট ফুল ফুটতে শুরু করেছে। মোহাম্মাদ শাফিকে জিজ্ঞেস করলাম, গুলমার্গে দেখার জিনিস কী কী? সে বললো, কেবল্ কার রাইড নিতে পারেন, অথবা ঘোড়ায় চড়ে উপত্যকায় ঘুরে ঘুরে যতক্ষণ খুশী সাইটি-সীয়িং-রাইড করতে পারেন।

আমরা ইতোপূর্বে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সফরকালে কেবল্ কারে উঠেছিলাম। আমাদের ছেলেও আলাদাভাবে তার বন্ধুদের নিয়ে বেড়ানোর সময় উঠেছিল। তাই কেবল্ কারে ওঠার জন্য আমাদের কেউই ততটা আগ্রহী ছিলাম না। আবার পরের চয়েস- ঘোড়ায় চড়ে পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে “যতক্ষণ খুশী সাইটি-সীয়িং-রাইড”- সেটাতেও তেমন আগ্রহী ছিলাম না। নিজেদের মধ্যে আলাপ করে আমরা শেষ পর্যন্ত কেবল্ কারেই ওঠার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু তবুও, ঘোড়ায় চড়া থেকে মুক্তি মিললো না। কেবল্ কার স্টেশন পর্যন্ত যেতে হলেও, ঘোড়ায় চড়েই যেতে হবে। রাস্তা থাকলেও, আমাদের গাড়ী নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবেনা। ঐ এলাকার ঘোড়াওয়ালাদের বাঁচিয়ে রাখতে তাদের পর্যটন বিভাগ এমন ব্যবস্থা রেখেছে। অগত্যা, আবার সেই ঘোড়া ভাড়া করা, আবার সেই গামবুট, রেইনকোট ভাড়া করা!

এবারে ঘোড়ায় চড়ে পার হবার রাস্তাটা আগের দিনের মত এতটা উঁচু নীচু ছিলনা, তবে একটি বিশেষ জায়গা আগের দিনের চেয়ে বেশী বিপজ্জনক ছিল। আগের দিনের সহিসেরা বয়সে ছিল বিশোর্ধ্ব, সেদিনের দু’জন ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব। ওনারা দু’জন খুব সাবধানতার সাথে সেই বিশেষ জায়গাটি পার করে দিলেন। তারপর আমাদের ঘোড়াগুলো গুলমার্গ গলফ কোর্সের আশ পাশ দিয়ে হেঁটে কেবল কার স্টেশনে এসে পৌঁছলো। তুলনামূলকভাবে সোনামার্গের তুলনায় গুলমার্গের ঐ এলাকায় দালালদের দৌরাত্ম্য অনেক বেশী ছিল। মানুষগুলোকেও পর্যটকবান্ধব মনে হয়নি। ওরা অনেক দর কষাকষি করে। কেবল্ কারের টিকেট কাটতে গিয়েও দেখি দালালেরা নিরীহ পর্যটকদেরকে ফাঁকি দিয়ে লাইন ভেঙ্গে টিকেট কিনে তাদের কাস্টমারদেরকে খুশী করছে। অর্থাৎ যারা দালাল ধরবেনা, তাদেরকে পিছেই থাকতে হবে- এ অব্যবস্থাটুকু আমার মোটেই ভাল লাগেনি। এক দালাল আমার ছেলেকে এসে বললো, ‘আপনি নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট করলে সে টিকেট দিয়ে এক ঘন্টার বেশী ঘুরতে পারবেন না, আমাকে দিয়ে কাটলে যতক্ষণ খুশী, ঘুরতে পারবেন’। এ কথা শুনে আমি একজন কর্তব্যরত ব্যক্তির শরণাপন্ন হ’লাম। তিনি জানালেন, ‘এক ঘন্টার বেশী থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন। কেউ কিছু বললে বলবেন, আমরা বিদেশী ট্যুরিস্ট’। ভেতরে গিয়ে দেখি, ওসব মিথ্যে ভয় দেখানো ছিল, সময় চেকিং এর কোন বালাই ছিলনা। শুধু, ফিরে আসার শেষ সময়সীমাটুকু মানতে সবাইকে বারে বারে মেগাফোনে ঘোষণার মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হচ্ছিল। এক প্রৌঢ় মালয়েশীয় দম্পতির সাথে কথা হচ্ছিল। তারাও দেখলাম, দালালদের অত্যাচারে বীতশ্রদ্ধ। যাহোক, আমরা তিনজনে কেবল কার রাইডটা বেশ উপভোগ করলাম। অপর প্রান্তের স্টেশনে নেমে দেখলাম, চারিদিক বরফে ঢাকা। অনেকক্ষণ সে বরফের উপর দিয়ে আমরাও ঘোরাঘুরি করে দু’চোখ ভরে সে সৌন্দর্য উপভোগ করে বিকেল ৫টার কিছু আগে আবার কেবল্ কারে করে ফিরে এলাম।

ঢাকা
১৮ মে ২০১৯


কেবল্ কার/ cable car


কেবল্ কার হতে নেমে.... গুলমার্গ, ০৪ মে ২০১৯, ০৩ঃ০০ মধ্যাহ্ন।
After dismounting from the cable car, at Gulmarg, Kashmir.


মেঘ, বৃক্ষ ও তুষার/ The clouds, the trees and the snow; a delightful combination


গুলমার্গের একটি পর্যবেক্ষণ পোস্টে মোহাম্মদ শাফি শাহ এর সাথে
With Mohammad Shafi Shah at an observation post at Gulmarg


নীলাকাশ, শুভ্র মেঘ এবং সবুজ বৃক্ষের এক অপরূপ সমাহার!
Blue sky, white patches of clouds and the green trees- a delightful combination


গুলমার্গের একটি অনুপম উপত্যকা এবং আকাশরেখা/ Beauty of Gulmarg landscape and skyline


গুলমার্গের একটি অনুপম উপত্যকা এবং আকাশরেখা/ Beauty o f Gulmarg landscape and skyline


এক বিমুগ্ধ মোসাফির

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুনেছি কাশ্মীর নাকি খুবই সুন্দর জায়গা, মনোমুগ্ধকর সেখানকার প্রকৃতিরূপ।
আপনার ভ্রমণ গল্প ভালো লাগলো পড়ে।

শুভকামনা রইল

২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে প্রথম মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ভ্রমণ গল্পটা পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
আপনি ঠিকই শুনেছেন, কাশ্মীর খুবই সুন্দর জায়গা, মনোমুগ্ধকর সেখানকার প্রকৃতিরূপ
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: ছবি দেখে আর বর্ণনা পড়ে মুগ্ধ হলাম।

কেবল কার থেকে নেমে... যে ছবি দিয়েছেন দেখে অবাক হলাম। বরফে ঢাকা পর্বত শৃঙ্গ আর সবুজ পাহাড় একই ফ্রেমে!

মসজিদে কাশ্মীরি দম্পতির আমন্ত্রণ সম্ভবত সময়াভাবে রক্ষা করতে পারেননি... তাদের সাথে কিছুক্ষণ কাটালে হয়ত আপনার মাধ্যমে আমরাও কাশ্মীরিদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারতাম!
একটা প্রশ্ন ছিল, গুলমার্গে ক্যাবল কারের স্টেশনে আপনারা ঘোড়ায় চড়ে যেতে যেতে গলফ ক্লাব দেখলেন। এত উঁচুতে গল্ফ ক্লাব, যারা গলফ খেলতে যান, তাদের এভাবে ঘোড়ায় চড়েই যেতে হয়?

চমৎকার পোষ্টে ++++

২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্লাসটি পেয়ে অনুপাণিত, মন্তব্যে প্রীত। অসংখ্য ধন্যবাদ।
অবাক হলাম। বরফে ঢাকা পর্বত শৃঙ্গ আর সবুজ পাহাড় একই ফ্রেমে! - আমিও তাই হয়েছিলাম। এসব কনিফেরাস গাছপালা তুষারপাতের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে।
মসজিদে দেখা হওয়া সেই কাশ্মীরি দম্পতি সত্যিই সেদিন খুব জোর করেছিলেন। যেতে রাজী হইনি বলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই যতক্ষণ সম্ভব, আলাপচারিতা চালিয়ে গেলেন।
এত উঁচুতে গল্ফ ক্লাব, যারা গলফ খেলতে যান, তাদের এভাবে ঘোড়ায় চড়েই যেতে হয়? - না, সেখানে তারা গাড়ীতে করেই চলাচল করেন। স্থানীয় পর্যটন অফিসের অতিথিরাও গাড়ী নিয়ে চলাচল করতে পারেন। শুধুমাত্র রাজধানী শ্রীনগর বা বাইরের এলাকা থেকে আগত ট্যুরিস্টদের জন্য ঐ নিয়ম রাখা হয়েছে। একসময় পনি ঘোড়া ঐসব এলাকার একমাত্র বাহন ছিল। বাপ দাদার সেই পেশা যারা এখনো ধরে রেখেছেন, তাদেরকে সুরক্ষা করতেই এহেন প্রোটেকশনিস্ট ব্যবস্থা করে রেখেছে জম্মু ও শ্রীনগর সরকার। গ্রীষ্মের সময় বিশ্বের বহু দেশ থেকে গলফারগণ সেখানে গলফ খেলতে যান বলে সহিসদের কাছ থেকে জেনেছি, এবং পরে গুগলিং করে আরও কিছু বিশদ তথ্য পেয়েছিঃ
"Situated at an altitude of 2,650 m, it is the highest green golf course in the world. The historic Gulmarg Golf Club was started in 1911 by the British who used the place as a holiday resort. The origin of Gulmarg as the golfing centre of India goes back to the late 19th century when a 6-hole course was made in 1890-91 by Colonel Neville Chamberlain. The first golf championship was played at Gulmarg in 1922. The Nedou's Cup was introduced in 1929."

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

নজসু বলেছেন:



অনিশ্চয়তার দোলাচলে যে যাত্রার শুরু- ২ পর্যন্ত ছিলাম আমি।
আজকে এসে দেখি চমৎকার ছবি সমৃদ্ধ ৭ পর্ব চলছে।
চলে যাওয়া পোষ্টগুলো অবশ্যই পাঠ করবো।

ঐ পোষ্টটাতে ব্যাগ সংক্রান্ত একটা কৌতূহল ছিলো আমার।

২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চলে যাওয়া পোষ্টগুলো অবশ্যই পাঠ করবো - অনেক ধন্যবাদ, পড়লে খুশী হবো।
ঐ পোষ্টটাতে ব্যাগ সংক্রান্ত একটা কৌতূহল ছিলো আমার - পর্ব নং ৩ ও ৪ পড়লে আপনার সব কৌতুহল মিটে যাবে বলে আশা করি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফেসবুকে আগে পড়েছিলাম আজও পড়লাম ভীষণ সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তে দারুন প্রাণবন্ত বর্ণনা।
পোস্টে লাইক।

পোস্টে লাইক।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগে পড়া সত্ত্বেও এ সিরিজের সবগুলো পর্ব পুনরায় পড়ে এখানে মন্তব্য করে যাচ্ছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

মা.হাসান বলেছেন: একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর ঘোড়ায় চড়লে শরীরে ব্যথা যেতে কয়েক দিন সময় লাগে। আপনার সৈনিক জীবনের অভ্যাস ছিল, কিন্তু ভাবির কতটা কষ্ট হয়েছে আন্দাজ করতে পারছি। আমরা পর্যটক হিসেবে যখন কোথাও যাই, তখন অল্প সময়ের জন্যই যাই। কাজেই ইচ্ছে থাকলেও সব গুলো জায়গা ঘুরে দেখা সম্ভব হয় না। আশা করি আল্লাহ পরের বার আপনার মনের বাসনা পূর্ণ করবেন। চমৎকার বর্ণনও ছবির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজটা পড়ে যাচ্ছেন, মন্তব্য করে প্লাস দিয়ে যাচ্ছেন, এতে ভীষণ অনুপ্রাণিত হচ্ছি প্রতিবারেই।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ, আপনার মনযোগী পাঠের জন্য।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: জামি কাশ্মীর গেলে ঘোড়ায় উঠবো না। আমি ঘোড়া ভয় পাই।
আচ্ছা, ভালো কথা ঘোড়া ছাড়া অন্য কোনো কিছু নেই?

আমাদের বান্দারবানেও কেবল কার আছে। কেবল কারে আমার ভয় লাগে না।
সুন্দর ঝরঝরে লেখা।

২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এগুলো এক ধরণের পাহাড়ী ছোট ছোট ঘোড়া। এদেরকে পনি বলে। উচ্চতা এবং সাইজ বড় হলে পাহাড়ে ভার বহন করতে করতে এদের জীবন নাশ হয়ে যেত বলেই বোধহয় ভাগ্যবিধাতা এদেরকে এমন সাইজেই রাখেন, বেশী বড় সাইজের হতে দেন না। তবে এগুলো বেশ শক্তিশালী হয়ে থাকে। নিজ ওজনের চেয়ে বহুগুণ ওজন ওরা পাহাড়ী পথে বহন করে থাকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাশ্মীরের তুলনা কেবল কাশ্মীরের সাথেই চলে, বাদশাহ বাবরের ভূস্বর্গ কাশ্মীর। দেশের বাইরে বেড়ানোর জায়গাগুলো দেখলে মন খারাপ লাগে আমাদের দেশে বেড়ানোর মতো জায়গা আছে তা লবডন্কা করে রেখেছে সরকার তাদের সাঙ্গ পাঙ্গ আর দালাল। সিলেটের তামাবিল জাফলং অর্থ পাথর ব্যাবসা আর পাথর ভাঙ্গার কারখানা আর নোংরা ছেলেদের আড্ডাখানা যারা ভ্রমনকৃত অপরিচিত মেয়ে মহিলাদের ছবি তুলতে ব্যাস্ত থাকে। বাংলাদেশে যেকোনো বেড়ানোর জায়গা এখন নিরাপদ নয় সবচেয়ে বিপদজনক আশেপাশের ছেলেরা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যাস্ত ছবি তুলে নেটে ছড়িয়ে দেবে কমেন্টে লিখে দেবে তার “গার্লফ্রেন্ড”।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশে যেকোনো বেড়ানোর জায়গা এখন নিরাপদ নয় সবচেয়ে বিপদজনক আশেপাশের ছেলেরা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যাস্ত ছবি তুলে নেটে ছড়িয়ে দেবে কমেন্টে লিখে দেবে তার “গার্লফ্রেন্ড”। - সত্যি, কি ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি!
আমাদের দেশের নারীপুরুষগণ এখন স্বদেশে বিদেশে প্রচুর ভ্রমণ করেন। ঈদে পর্বে বা অন্যসময় যখন একসাথে ৩/৪ দিন ছুটি পাওয়া যায়, তার সাথে আরও ২/১ দিন যোগ করে অনেকেই বেড়িয়ে পরেন দেশের ভেতরেই- পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, টেকনাফ ইত্যাদি এলাকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াতে। পর্যটক বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে এসব এলাকাকে আরও অনেক সুন্দর করে গড়ে তোলা যাবে। এতে এলাকার স্থানীয় জনগণের প্রভূত অর্থনৈতিিক কল্যাণ হতে পারে। কিন্তু পরিবেশ অনেকখানেই অনুকূল থাকেনা। দালালদের, মাতালদের, বখাটেদের উপদ্রব অনেক সময় ভ্রমণের আনন্দ মাটি করে দেয়। আর তার উপর তো রয়েছেই পরিবেশ নোংরা করার মানসিকতা, যত্র তত্র পলিথিন ফেলে রাখা, যত্র তত্র খাওয়া দাওয়া করা, যত্র তত্র (পুরুষগণ কর্তৃক) মূত্র ত্যাগ করা, ইত্যাদি।

৮| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

নীলপরি বলেছেন: আমার কয়েকটা পর্ব মিস হয়ে গেছে । খুব সুন্দর লাগলো পোষ্ট ।
++
শুভকামনা

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব মিস হয়ে গেলেও, এতে তেমন কিছু হারাবার নেই। এ পর্বটা পড়ে গেলেন, এ জন্যেই অনেক ধন্যবাদ।
আর আপনার দেয়া প্লাসে অবশ্যই অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৯| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাহারের গা ঘেষে কাশ্মীরী গ্রাম চোখে পড়েছিলো?

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: দূর থেকে গ্রামগুলো তো চোখে পড়ছিলোই, তবে কোন গ্রামে যাবার সুযোগ হয় নি।

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: শেষ ছবিটা অসাধারন!

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি? অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। :)

১১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৪

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় না দেখার আফসোস টা থেকে গেলো! দেখলে হয়তো আমরা অারো কিছু তথ্য জানতে পারতাম। কাশ্মীরিদের ব্যবহার সম্পর্কেও জানলাম,বাঙালী নাম শুনতেই বাসায় দাওয়াত করেছে জেনে অনেক খুশী হলাম। বাঙালী জাতি হিসেবে অনেক proud ফিল করছি।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাঙালী জাতি হিসেবে অনেক proud ফিল করছি - কাশ্মীরিরা আমাদেরকে শ্রদ্ধা করে থাকে, আমরা মুসলমান, শুধু সেজন্য নয়, আমরা নয় মাস পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পেরেছি, সেজন্যেও।
এ ছাড়া আমাদের সামাজিক উন্নয়নের অনেক ইন্ডিকেটর (যেমন নারী শিক্ষা, শিশু মৃত্যুর হার কমানো, ইত্যাদি) ভারত পাকিস্তানের চেয়ে উপরে, সে কথাও তাদের অনেকে জানে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, সাথে থাকুন।

১২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক বিমুগ্ধ মুসাফিরের ভু-স্বর্গ ভ্রমনের সাতকাহনে
আমরাও যে বিমুগ্ধ সব পাঠককুল :)
হা হা হা

দারুন সব ছবি। আর ভম্রনের ইতোবৃত্ত। আহা অমন উপত্যকা আর আকাশ রেখার কাছে গেলে বুঝি আর আসতেই মন চাইবেনা!
আর হৃদয় খুলে কলম চলবে হৃদয়ের যত অবারিত আবেগ লয়ে :)

বরাবরের মতোই ভাললাগা অনেক অনেক।
++++++++++

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্লাসে এবং মন্তব্যে এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৯

বলেছেন: কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় ,the world famous Dal Lake, পর্বত শৃঙ্গ , সবুজ পাহাড়, beauty of Gulmarg, Skyline, landscape, সবমিলিয়ে বিমুগ্ধ হলাম-------

২৮ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ পোস্টটিও ধন্য হলো, আপনার মুগ্ধ হওয়াতে, এবং মুগ্ধ হবার কথাটা এখানে জানিয়ে যাওয়াতে আমিও প্রীত হ'লাম।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এগুলো এক ধরণের পাহাড়ী ছোট ছোট ঘোড়া। এদেরকে পনি বলে। উচ্চতা এবং সাইজ বড় হলে পাহাড়ে ভার বহন করতে করতে এদের জীবন নাশ হয়ে যেত বলেই বোধহয় ভাগ্যবিধাতা এদেরকে এমন সাইজেই রাখেন, বেশী বড় সাইজের হতে দেন না। তবে এগুলো বেশ শক্তিশালী হয়ে থাকে। নিজ ওজনের চেয়ে বহুগুণ ওজন ওরা পাহাড়ী পথে বহন করে থাকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

এই পোষ্টের আগের পর্ব আপনি একটা ছবি দিয়েছেন। আপনি ঘোড়ার উপর বসে আছেন।
আমি একবার সিলেট গিয়েছিলাম। সেখানে হাতীর পিঠে চড়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আমি চড়িনি। যদি হাতীর পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে হাত পা ভাঙ্গে। আমি কাশ্মীর গেলে ঘোড়ার পিঠে চড়বো না। বরং হাটবো।

২৮ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক আছে। হাঁটলেও অনেক কিছু দেখা যায়।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আমারও বিস্তারিত জানার ইচ্ছা ছিল। আপনাদের সীমাবদ্ধতার কারণে সেটা সম্ভব না হওয়ায় আফসোস থেকে গেল। যাই হোক, বেঁচে থাকলে পরে নিশ্চয় জানা হবে। নেটে সার্চ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকতর তথ্য পাওয়া যেতে পারে, কী বলেন?
কাশ্মীরিদের আতিথেয়তার প্রশংসা শুনেছি। আপনার পোস্টেও এ ব্যাপারে কিছুটা জানলাম। আপনাদের কাশ্মীর ভ্রমণের ওপর এই এপিসোডগুলো সমন্বিত আকারে রি-রাইট করে প্রিন্ট মিডিয়ায় দিতে পারেন। সেখানে পাঠক সংখ্যা বেশি। আপনার লেখা অধিকতর পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে।

ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: নেটে সার্চ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকতর তথ্য পাওয়া যেতে পারে, কী বলেন? - জ্বী, অবশ্যই তা জানা যাবে।
আপনাদের কাশ্মীর ভ্রমণের ওপর এই এপিসোডগুলো সমন্বিত আকারে রি-রাইট করে প্রিন্ট মিডিয়ায় দিতে পারেন। সেখানে পাঠক সংখ্যা বেশি। আপনার লেখা অধিকতর পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে
- কোন প্রিন্ট মিডিয়াতে? আমার অবশ্য এমন কারো সাথে পরিচয় নেই। সাজেশনটির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.