নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমরা আমাদের কামরায় ব্যাগ ব্যাগেজ রেখে তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। যোহরের নামায পড়েই আধা ঘন্টার মধ্যেই আবার রওনা হ’লাম প্যাহেলগামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য। শাফি জানালো, সে আমাদেরকে প্যাহেলগামের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করতে থাকবে। সেখান থেকে আমাদেরকে স্থানীয় চালক দ্বারা চালিত ট্যাক্সি বা মিনিবাস ভাড়া করতে হবে। আমরা ফিরে আসার পর আবার আমাদেরকে নিয়ে হোটেলে যাবে। ঐ এলাকায় তার মত প্যাহেলগামের বাইরে থেকে ট্যুরিস্ট নিয়ে আসা চালকদের গাড়ী চালানোর অনুমতি নেই। পরে স্থানীয় চালকের সাথে আলাপ করে জানলাম, এর পেছনে দুটো কারণ রয়েছেঃ এক, স্থানীয় চালকেরা এবং পরিবহণ মালিকেরাও যেন ট্যুরিস্টদের থেকে দুটো পয়সা কামাই করতে পারে, সবই যেন রাজধানী শ্রীনগর থেকে আসা চালক ও মালিকদের পকেটে না যায়, সে জন্যেই এ ব্যবস্থা। এটা না করলে দোকানদারি করা ব্যতীত ওখানকার পাহাড়ী চালকদের রোজগারের আর কোন পথ থাকবে না। দুই, দুর্গম পাহাড়ী পথের প্রতিটি বাঁক স্থানীয়দের মুখস্থ। বাহির থেকে আসা চালকদের পক্ষে এসব পাহাড়ী সরু আঁকাবাঁকা পথে গাড়ী চালানো সম্ভব নয়। দ্বিতীয় কারণের সত্যতা আমরা গাড়ী ভাড়া করে চন্দনওয়ারীর পথে যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই টের পেলাম।
হোটেল থেকে বের হয়েই রাস্তার পাশে লাল রঙের, বন্ধ দুটো লাল গেইটে লাল পতাকা ওড়ানো দুটো মন্দির আকৃতির একতলা ঘর দেখতে পেলাম। শাফিকে জিজ্ঞেস করে জানলাম, ও দুটো এখানকার মন্দির। চন্দনওয়ারীতে প্রাচীন মঠ রয়েছে। সেখানে প্রতি বছর হিন্দু ভক্তেরা “পদযাত্রা” করে। কাশ্মীরে এসে এই প্রথম কোন মন্দির চোখে পড়লো। যাহোক, শাফি যখন আমাদেরকে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিয়ে একটি মিনিবাস ঠিক করে দিল, তখন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এমনিতেই প্যাহেলগামে উচ্চতার কারণে শ্রীনগরের চেয়ে ঠান্ডা বেশী। তার উপর হাল্কা বৃষ্টি শুরু হওয়াতে বেশ ঠান্ডা অনুভব করতে শুরু করলাম। আমার আবার গলায় ঠান্ডা লেগে যায় অতি দ্রুত, তাই গলায় একটা কমফোর্টার পেচিয়ে নিলাম। গাড়ী যতই এগোতে থাকলে, রাস্তা ততই সরু হতে থাকলো এবং উঁচুতে উঠতে থাকলো। রাস্তার দু’পাশে এত সুন্দর দৃশ্য, ইচ্ছে হচ্ছিল থেমে কিছু ছবি তুলে নেই। কিন্তু উপায় ছিল না, কারণ থামার মত কোন জায়গা সুবিধামত পাওয়া যাচ্ছিল না, আবার এত থামাথামি করলে এই দুর্গম পথে চালকের কনসেন্ট্রেশনে ব্যাঘাত ঘটবে, এই ভেবে থামতেও চাচ্ছিলাম না।
বেলা সাড়ে চারটার দিকে চন্দনওয়ারীতে পৌঁছলাম। আকাশে তখন মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি খেলা চলছে। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়েই হিম হয়ে যাচ্ছিল, মাঝে মাঝে ঠান্ডা বাতাসের হল্কা এসে গরম পোষাকের আবরণ ভেদ করে গায়ে কাঁপুনি তুলে যাচ্ছিল। আবার একটু পরেই মেঘ ফুঁড়ে সূর্যের হাসিমুখ উঁঁকি দিচ্ছিল। আবার দেখা শুরু হলো সেই শ্বেতশুভ্র তুষারের বিস্তীর্ণ ঢাল, যা আগে দেখেছিলাম সোনামার্গ এবং গুলমার্গে, তবে সেগুলো ছিল উপত্যকায়, আর এখানে পাহারের প্রায় শীর্ষে। তুষারাবৃত পথ পিচ্ছিল থাকে, তাই অনভ্যস্তদের লাঠি নিয়ে হাঁটতে হয়। আমরাও লাঠি ভাড়া করলাম। আমার ছেলে আফনান সে পথ বেয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেল, আমরা পেছনে পড়ে রয়েছি দেখে সে আর বেশী এগোয়নি, পাছে আমাদের যদি কিছু হয়! ফিরে এসে ফটো তোলায় অনিচ্ছুক সে এবারে আমাদের সাথে বেশ কয়েকটি ছবি তুলতে রাজী হলো। প্যাহেলগাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (পিডিএ) চন্দনওয়ারী এলাকা সফরের জন্য পর্যটকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটা সাইনবোর্ড সেখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, বুঝলাম সেটা না হয় আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু বোধহয় তাদেরই কোন কর্মচারী আরেকটু এগিয়ে বরফাচ্ছাদিত এলাকার পাশে একটা কালো পাথরে সাদা পেইন্ট দিয়ে লিখে রেখেছে “প্লীজ ভিজিট এগেইন” – বুঝলাম, এটা কোন আনুষ্ঠানিকতা নয়, হৃদয়ের আকুল আহবান!
চলবে....
ঢাকা
১২ জুন ২০১৯
ঝিলাম নদী
বহমান ঝিলাম নদী
“প্লীজ ভিজিট এগেইন” – বুঝলাম, এটা কোন আনুষ্ঠানিকতা নয়, হৃদয়ের আকুল আহবান!
উপগ্রহ চিত্রের লিঙ্কঃ https://goo.gl/maps/PcMHr6JesGfqQmKL7
এ চিত্রটি গুগল ম্যাপস থেকে নেয়া
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: চন্দনওয়ারী একটি পাহাড়ী উপত্যকা। এখান থেকেই "অমরনাথ যাত্রা" নামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য তীর্থযাত্রা শুরু হয়। হাইকিং এর জন্য এ উপত্যকাটি সুবিখ্যাত।
না, এখানে কোন কল কারখানা চোখে পড়েনি, সম্ভবতঃ নেইও। আমরা যে সময়ে কাশ্মীর সফর করেছি, সে সময়ে ওদের স্কুল কলেজে ছুটি ছিল। তাই স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের চলাফেরা চোখে পড়েনি।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঝিলাম নদী নামটা বেশ সুন্দর। আর কাশ্মীরতো ভূস্বর্গ। এমন পাহাড়ি নদী দেখলে আমার গোল্ড নাগেটের কথা মনে হয়। নদীর তীরে জমে থাকা পাথরের মধ্যে ছোট ছোট মহামূল্যবান স্বর্ণ খণ্ড । পোস্টে প্লাস ।+
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে প্রথম প্লাস দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৬
আনমোনা বলেছেন: "প্লীজ ভিজিট এগেইন" ছবি টা মন ছুয়ে যায়।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: সে জন্যেই তো ছবিটা এখানে দিয়েছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কাশ্মির কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার পর্বগুলো ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। প্রিয়তে রাখলাম।
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্লাস এবং "প্রিয়"তে রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কাশ্মীর ভ্রমন কাহিনীর এ পর্বটিও পাঠে ভাল লাগল ।
কাশ্মীর উপত্যকার দক্ষিণ-পূর্ব অংশের পীর পাঞ্জালের পাদদেশে অবস্থিত ভেরিনা ঝর্ণা থেকে উঠে আসা ঝীলাম নদীর মনোহর দৃশ্য ও বর্ননা দেখে চোখ জোড়িয়ে গেল । কাশ্মীর ও পাকিস্তানের অনেক জনপদ, শহড় ও স্থাপনা যথা মংলা বাঁধ এই ঝিলামকে ঘিরেই ।
ঝিলাম নদী তীরেই একসময় ঝংকার তুলত বিখ্যাত কাশ্মীরি বাদ্যযন্ত্র সন্তুর ।
এর তীরে, ডাল লেকের কিনারায় কাশ্মীরের সেই প্রিয় বাদ্যযন্ত্র সন্তুরের আওয়াজ থেমে গেছে অনেকদিন আগেই ।
একটি সন্তুরে থাকত শ-খানেক বাদ্য যন্ত্রের তার-
সন্তুরের এই ঝংকার তোলা তারগুলি ছিড়ে গিয়ে এখন মর্টার-গ্রেনেড বা পেলেট গানের আওয়াজটাই সেখানে দস্তুর।
একটি কার্টিজে থাকে পাঁচশোর মতো ছোট লেড পেলেট, ফায়ার করার পর যা মহুর্তেই চতুর্দিকে ছড়ায় ।
ঝিলাম নদী তীরের মনোহর যে দৃশ্য দেখে একদা চোখ জোড়াত এখনো যা পর্যটকদের কাছে নান্দনিকই বটে , সেই ঝিলাম তীরেই পেলেটের আঘাতে সেখানকার বাসিন্দারা আজ চোখ হারায় ।
প্রায় বছর খানেক আগের কথা, ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর। ১৮ মাস বয়সী হীবা মনের আনন্দে খেলা করছিল তার বড় ভাইয়ের সাথে। খেলতে খেলতে খিলখিলিয়ে হেসে উঠছিল সে। জগতের সকল সুখ যেন এসে ভর করেছিল তার চোখে-মুখে। ক্ষণিক বাদেই যে সেই চোখে অন্ধকার নেমে আসবে, সেই মুখের হাসি বিলীন হয়ে যাবে, তা কি কেউ ভাবতে পেরেছিল! কিন্তু বিধাতার কী নির্মম পরিহাস, বাস্তবে হলো ঠিক এমনটাই।
হীবাদের বাড়ির অদূরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে লড়াই করছিল তাদের গ্রামের মানুষজন। একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী হীবাদের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে ছোড়ে ভয়ংকর পেলেট গান, কার্টিজের একটি পেলেট আঘাত হানে হিবার চোখে । তার কান্নায় ভারী হয়ে উঠে ঝিলাম নদীর পাড়।
পেলেট গানে আক্রান্ত হীবা; Image Source: AP
ভারত বনাম পাকিস্তান, যুদ্ধ বনাম সংলাপ, কাশ্মীরিয়ত বনাম ইসলামিয়ত কিংবা ঝিলামের বুকে পাথরের গায়ে ঝর্ণাধারার মুর্ছনা বনাম পেলেট গানের সংঘাতে কাশ্মীর সঙ্কট যে প্রতিনিয়ত জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে তাতে কোনও সংশয় নেই ।
এই অবস্থার যে কবে অবসান হবে তা কেই বা জানে । তবে কামনা করি ভুস্বর্গ কাশ্মীরে যেন নেমে আসে স্বর্গের শান্তির সুবাতাস ।
ধন্যবাদ কাশ্মীর ভ্রমন নিয়ে পোষ্ট দিয়ে আমাদের নিকট প্রতিবেশি দেশে অবস্থিত কাশ্মীরের সমসাময়িক কালের একটি সংকটময় দিক নিয়ে কিছুটা সময় বিচরনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ, ডঃ এম এ আলী।
"ঝিলাম নদী তীরেই একসময় ঝংকার তুলত বিখ্যাত কাশ্মীরি বাদ্যযন্ত্র সন্তুর" - এ কথা বলে সন্তুর এর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, এ জন্যেও অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু এর পরে পরেই হীবা খান সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন, তা পড়ে মনটা ব্যথিত হয়ে উঠলো।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমনে গেলে আমার নামাজ, খাওয়া আর ঘুম কখনও সময় মতো হয় না।
চলার পথে সুন্দর কিছু দেখলেই আমার ছবি তুলতে ইচ্ছা করে। অটোমেটিক মাথার ভেরত কে যেন বলে উঠে- ছবি তুলে নাও।
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভ্রমনে গেলে আমার নামাজ, খাওয়া আর ঘুম কখনও সময় মতো হয় না - খাওয়া আর ঘুম না হোক, নামাজ সময়মত হতেই হবে। এজন্য আল্লাহতা'লা সফরের সময় নামাজকে খুবই সহজ করে দিয়েছেন (কসর এর নামাজ)।
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: কলকাতা আর কাশ্মীরের জনগনের মধ্যে পার্থক্য কেমন?
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কলকাতা আর কাশ্মীরের জনগণ দুটো ভিন্ন রেসের অনুগামী। তাই তাদের মধ্যে পার্থক্য অনেক।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রমন পোস্ট
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভ্রমণ পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: ভ্রমন পোষ্ট, ভালো লাগছে।
ঝিলাম নদী নামটি আমরও পছন্দ হয়েছে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভ্রমন পোষ্ট, ভালো লাগছে - কথাটা জেনে প্রীত হ'লাম।
ঝিলাম নামটি আসলেই খুব সুন্দর। বাংলার কোন এক নদীর নামের মতই মনে হয়। নজরুলের গানে সিন্ধু ও ঝিলাম, উভয় নদীর নামই উজ্জ্বল স্থান পেয়েছে।
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
ফেসবুকের কল্যাণে এই পর্বটি আগেই পড়া। সম্ভবত ওখানে চন্দনওয়ারী থেকে অমরনাথ যাত্রার বিষয়টি কমেন্টের প্রসঙ্গে নিয়েছিলাম।
লেখার সঙ্গে সুন্দর ছবি গুলিতে মুগ্ধতা।++
পোস্টে সপ্তম লাইক।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সম্ভবত ওখানে চন্দনওয়ারী থেকে অমরনাথ যাত্রার বিষয়টি কমেন্টের প্রসঙ্গে নিয়েছিলাম - হ্যাঁ, আপনি সেটা উল্লেখ করেছিলেন বটে। ফেইসবুকে মন্তব্য করে এসেও ব্লগে পুনরায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এটাকেই আমার আসল কাব্যভূমি বলে মনে হয়, ওটা নয়। তাই এখানে মন্তব্য করার জন্য এবং প্লাস দিয়ে যাবার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এক সময়ের ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীর কতটা ভ্রমণ কতটা উপভোগ্য হলো।
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক সময়ের ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীর কতটা ভ্রমণ কতটা উপভোগ্য হলো - খুবই উপভোগ্য হয়েছে, নিঃসন্দেহে।
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সবগুলো পর্ব একে একে পড়ার ইচ্ছে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সবগুলো পর্ব একে একে পড়ার ইচ্ছে - অনেক ধন্যবাদ, এ ইচ্ছেটুকু প্রকাশ করার জন্য এবং লেখাটিতে প্লাস দিয়ে যাবার জন্য।
অনুপ্রাণিত হ'লাম, শুভকামনা....
১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার এই সুন্দর লেখা গুলি কোন পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় ছাপাতে পারেন । তাহলে সেটা সবার সংগ্রহে থাকবে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর সাজেশন দিয়েছেন এবং পোস্টে প্লাসও দিয়েছেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
কিন্তু কথা হলো, আমার এসব লেখা ছাপবে কোন পত্রিকা?
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এমন সুন্দর লেখা যে পত্রিকার সম্পাদক ছাপবেন না তিনি এক জন গাধা।
২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আমার লেখা সম্পর্কে এমন উচ্চ ধারণা পোষণ করার জন্য।
১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪
এমজেডএফ বলেছেন: আপনার কাশ্মীর ভ্রমণ দেরিতে হলেও পড়ার চেষ্টা করি। আপনার প্রত্যক্ষভাবে দেখা অভিজ্ঞতা থেকে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক অবস্থা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে একটি ধারণা পাচ্ছি। গুগল ম্যাপের লিঙ্কে দেখলাম আপনি মূল শহর থেকে অনেক দূরের এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য এখন পর্যটক সেখানে যেতে চায় না।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, আমার পোস্টে আসার জন্য।
আপনার কাশ্মীর ভ্রমণ দেরিতে হলেও পড়ার চেষ্টা করি - কথাটা জেনে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। মাত্র চার দিনের সফরে আমরা বেশী কোথাও যেতে পারিনি। শ্রীনগর, সোনামার্গ, গুলমার্গ আর প্যাহেলগামের চন্দনওয়ারী, বেতাব এবং আরু উপত্যকা- ব্যস এটুকুই এবারে দেখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আবারও একবার যাওয়ার আশা আছে।
১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জোবাইর বলেছেন: আচ্ছালামু আলাইকুম, ভাইজান আশা করি ভালো আছেন।
আপনি এখন গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন এবং ম্যাপের লিঙ্ক পোস্টে যুক্ত করতে পারেন। অভিনন্দন!
আজ আপনি শিখবেন গুগল ম্যাপের অংশবিশেষ কীভাবে ছবি হিসাবে আপনার কমপিউটার/ল্যাপটপে সেভ করবেন। এটি অনেকভাবে করা যায়। আমি এখানে একটা অপশন দিলাম।
(আমার ধারণা আপনি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিভ সিস্টেম ব্যবহার করেন। )
১। প্রথমে গুগল ম্যাপ ওপেন করে একটি স্থান নির্বাচন করে সার্চ করুন। সেই স্থানের পছন্দনীয় এলাকাটি যতটুকু সম্ভব মনিটরের মাঝখানে থাকবে এবং প্রয়োজনে প্লাস-মাইনাস জুম করে ম্যাপটিকে বড়/ছোট করুন।
২। আপনার কমপিউটারের বামপাশের নিচের কর্ণারে Start (উইন্ডোজ আইকন) ক্লিক করে মেনু থেকে Windows Accessories-এর অধীনে থাকা Snipping Tool পোগ্রামটি চালু করুন।
Start → Windows Accessories → Snipping Tool
নিচের ছবিতে দেখুন পোগ্রামটি ওপেন হয়েছে।
বি.দ্র: Snipping Tool প্রোগ্রামটি সরাসরি মনিটরের মাঝখানে দেখা না গেলে নিচের টাস্কবারে প্রোগ্রামটির আইকনে ক্লিক করুন।
৩। ম্যাপের যে অংশটুকু (a rectangle form) নেবেন তার চারটি কর্ণার-পয়েন্ট মনে মনে নির্বাচন করুন। এবার পোগ্রামটির New বাটনে ক্লিক করুন। পুরো ম্যাপের ছবিটি একটু ঝাপসা হয়ে যাবে। এখন ম্যাপে আপনার কল্পিত উপরের বাম পাশের পয়েন্টে মাউস ক্লিক করে চেপে ধরে রেখে টেনে কল্পিত ডান পাশের নিচের পয়েন্টে নিয়ে এসে মাউস ছেড়ে দিন। অর্থাৎ ম্যাপের যে অংশটুকু ছবি হিসাবে সেভ করবেন সেটি মাউস দিয়ে নির্দেশ করবেন।
৪। আপনার নির্বাচিত অংশটুকু ছবি আকারে Snipping Tool প্রোগ্রামের উইন্ডোতে চলে এসেছে। এখন প্রোগ্রামটির উপরের বাম কর্ণারে File মেনু থেকে Save As... ক্লিক করে ছবিটির একটি নাম দিয়ে Save বাটন ক্লিক করুন।
গুগল ম্যাপের আপনার নির্বাচিত অংশটুকু ছবি হয়ে সেভ হয়ে গেল, এখন যেখানে খুশি সেখানে ছবিটি ব্যবহার করুন।
(প্রয়োজন না হলে Snipping Tool প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দিন।)
আপনার সাফল্য কামনা করে আপাতত এখানেই শেষ। ভালো থাকুন - সুস্থ থাকুন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি শিক্ষনীয় বিষয়ের উপর আলোকপাত করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। নতুন একটি বিষয় জানা হলো।
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
"ভিজিট এগেইন" তাই আবার আপনার এই পোস্টটি ভিজিট করে গেলুম।
ঝিলম, চেনাব, শতদ্রু এই নামগুলো যে কতোবার কতোভাবে বিভিন্ন বইয়ে পড়েছি! আবার আপনার লেখাতে তার নাম তো বটেই তার ছলাৎ ছলাৎ শরীরেরও দেখা মিললো। সম্ভবত সমরেশ মজুমদারের অনেক লেখায় অনেকবার "অমরনাথ" মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের যাত্রা পথের গল্প পড়েছি।
ডঃ এম এ আলী র মন্তব্যে ঝিলমের উৎস "ভেরিনা ঝর্ণা"র কথা এই প্রথম জানলুম। "সন্তুর" এর কথা আগেও শুনেছি। ছোট্ট, মিষ্টি একটা শিশু "হীবা"র ছবিটা বেদনাদায়ক। প্রার্থনা - পেলেট গান থেকে পেলেট নয়, এবার সন্তুরের সুরেলা আওয়াজ বেরুক।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভিজিট এগেইন" তাই আবার আপনার এই পোস্টটি ভিজিট করে গেলুম - এর আগেও কি একবার ভিজিট করে গিয়েছিলেন? দুটো ভিজিটের জন্যই অশেষ ধন্যবাদ।
ঝিলমের উৎস যে "ভেরিনা ঝর্ণা", তা আমিও আগে জানতাম না। তথ্যটির জন্য ডঃ এম এ আলী কেও ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা---
১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
করুণাধারা বলেছেন: পোস্টে আসতে পারিনি সময়মতো, তবে দেরি করে আসায় লাভ হল ডঃ এম এ আলীর তথ্যপূর্ণ চমৎকার মন্তব্যখানি পাওয়া। অনেক কিছু জানা হলো। পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, এখন কি কোন পর্যটক সেই ভিজিট এগেইন সাইন দেখছেন?
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত যে আপনার এ মন্তব্যটি আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।
পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, এখন কি কোন পর্যটক সেই ভিজিট এগেইন সাইন দেখছেন? - আপনার এ লাইনটি পড়ে মনটা বেদনায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল, আমাদের কাশ্মীর সফরের সেই স্মৃতিগুলোর এবং সদালাপী, বিনয়ী মানুষগুলোর কথা ভেবে।
আমরা চলে আসার কয়েকমাস পরেই কাশ্মীরী জনগণের উপর নেমে এসেছিল ভারতীয় বিভিন্ন বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের স্টীমরোলার। জানিনা, তাদের কে কেমন আছে এখন এই দুঃসময়ে।
আপনি যখন মন্তব্যটি লিখেছিলেন, তখনই সেনা অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছিল। পর্যটকদেরকে ধরে ধরে কাশ্মীর থেকে বের করে দেয়া হচ্ছিল। সুতরাং, আপনার প্রশ্নটির পেছনে যথেষ্ট কারণ ছিল।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
চন্দনওয়ারী কি গ্রাম, নাকি উপ-শহর; ওখানে কোন কলকারখানা চোখে পড়লো? ছেলেমেয়েদের চলাফেরা চোখে পড়লো?