নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেলবোর্নের দিনলিপি (১)... দিবাকরের আলোয় দেখা প্রথম দিন (২৪ ডিসেম্বর ২০১৯)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৮

এর আগের পোস্টঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে (৩) .... অবশেষে মেলবোর্নের মাটিতে!!!

দুয়ারে দুয়ারে (ঢাকার বাসা থেকে মেলবোর্নে ছেলের বাসার) প্রায় ২১ ঘন্টা জার্নীর পর গতরাতে শরীরটা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তার উপর রাতে শয্যা নিয়েছি অনেক দেরীতে। তাই সকালে ঘুম ভাংলো অনেক দেরীতে। আমার ছেলে ও বৌমা মেলবোর্নে সংসার শুরু করার পর ওদের এই বাসাটা দ্বিতীয় বাসা। আগের বাসাটা ছিল এখান থেকে অনতিদূরে, মাত্র আট-দশ মিনিটের ড্রাইভ। আমরা আসবো বলে ওরা আগের বাসাটা ছেড়ে দিয়ে একটু বড় পরিসরের এ বাসায় উঠেছে। বাসার চারিদিকে মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যে আছে মেট্রো রেলস্টেশন, হাইওয়ে, বাস স্টপেজ, Woolworths Departmental Store আর কিছু রেস্তোরাঁ, কাবাবের দোকান ইত্যাদি। কাজেই, ওদের জন্য বাসাটা খুবই সুবিধেজনক জায়গায় হয়েছে। তবে বাসার এত কাছে এত জনসমাগমকেন্দ্র থাকার পরেও এখানে সারাদিনব্যাপী থাকে রাতের শুনশান নীরবতা। নাশতার পর ওদের ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালাম। হাইওয়ে ধরে গাড়ী, বাস ও লরীর সারি দ্রুতবেগে ছুটছিল। মেট্রো রেলযোগে পাঁচ-দশ মিনিট পর পর দু’দিক থেকেই ট্রেন চলছিল। কিন্তু কোথাও কোন আওয়াজ নেই, মনে হচ্ছিল যেন ঘরে বসে মিউট করা টিভিতে কোন ফিল্ম দেখছি। গতি আছে, চলাচল আছে, কিন্তু শব্দ নেই। আশেপাশের সবকিছুই আপন লয়ে গতিষ্ণু, কিন্তু নিঃশব্দ! ট্রাফিক সিগন্যালের আদেশ অনুযায়ী মনে হচ্ছে কেউ রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে গাড়ীগুলোকে ক্ষণে ক্ষণে আটকে দিচ্ছে, আবার আদেশানুযায়ী চালিয়েও দিচ্ছে।

ব্যালকনিটা খুব সুন্দর। কোমর আর বুকের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরু কাঁচের দেয়াল, তার ওপরে খোলা। কাঁচের অংশে ভেতর থেকে বাইরে দেখা যায়, বাহির থেকে নয়। ওখানে দুটো চেয়ার পাশাপাশি রাখা আছে, আরও দুটো রাখার স্পেস আছে। কাঁচের দেয়াল থেকে এক ফুটের মত শক্ত কাঠের একটি হরাইযোন্টাল এক্সটেনশন আছে, যেখানে চায়ের কাপ, বিস্কুটের প্লেট ইত্যাদি বেশ সহজেই রাখা যায়। মোট কথা সকালে বিকেলে চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য এটা একটি আদর্শ জায়গা। ছেলে সকালে উঠে কাজে গেছে। বৌমা যে সেকেন্ডারী স্কুলে পড়ায়, সেটার এখন বার্ষিক ছুটি চলছে, কাজেই সে আমাদেরকে সঙ্গ দিতে পারছে। বৌমা তিন মগ চা নিয়ে ব্যালকনিতে আমাদের সাথে এসে বসলো। ধোঁয়া ওঠা কাপ হাতে নিয়ে আমরা এই শীতের সকালে আলাপচারিতায় মগ্ন হ’লাম (যদিও এদের এখানে এখন ‘সামার’ চলছে, কিন্তু গুগলে দেখলাম, তাপমাত্রা আমাদের দেশের এই পৌষের ভরা শীতের দিনের চেয়েও কম)।

ব্যালকনি থেকে দু’পাশে তাকালে অনেক গাছপালা দেখা যায়। সেখানে সারা দিনমান পাখিদের ওড়াউড়ি দেখি। প্রথম দিনেই নিস্তব্ধ দুপুরে ঘুঘুর ডাক শুনে মুগ্ধ হয়েছি। শালিখের ডাকও শুনেছি। বিকেলে আমরা তিনজনে মিলে একটু বাসার চারপাশে হাঁটতে বের হ’লাম। সব জায়গায় পরিচ্ছন্ন রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটিয়েদের জন্য পরিচ্ছন্ন ওয়াকওয়ে বা হাঁটাপথ আছে। এমন ছিমছাম, নিরিবিলি, সুন্দর পরিবেশে হাঁটাটাই যে কতটা আনন্দের ব্যাপার হতে পারে! তিনজনে মিলে ধীরে ধীরে হাঁটছি আর গল্প করছি। বাসার খুব কাছেই রয়েছে ST. DAVID’S ANGLICAN CHURCH. সুন্দর পরিবেশে ছোট্ট চার্চ, সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বাহিরে একটি বোর্ড টাঙানো রয়েছে। সেখানে কিছু ছবি তুলে আমরা গেলাম মুরাব্বিন মেট্রো স্টেশনের ভেতর দিয়ে বের হয়ে অপর পাশের রাস্তায়। একটু এগোতেই পেলাম Kingston City Hall, এ এলাকার নতুন নাগরিকত্বপ্রাপ্তদের এখানে সিটিজেনশিপ সেরিমনির মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। হলটির বাকী কাজ সম্ভবতঃ অনেকটা আমাদের জেলা শহরগুলোর ‘টাউন হল’ এর মত। হলের ওপরে একটি “ক্লক টাওয়ার” বসানো হয়েছে, অনেক দূর থেকেও সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখা যায়। এমনকি রাতেও লেসারের সাহায্যে ঘড়িটি নানা রঙে রঞ্জিত হয়ে জিজ্ঞাসুদেরকে সময় বলে দেয়। জানালার পর্দা সরানো থাকলে আমার শয্যা থেকেই আমি এ ঘড়িটি দেখতে পাই। হাঁটতে হাঁটতে এক সময় সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, মাগরিবের নামাজের সময় ( ঐ দিন ৮টা ৪৩ মিনিট) প্রায় সমাগত। আমরা তাই তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলাম।


মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
০৬ জানুয়ারী ২০২০


প্রিয় প্রাঙ্গণ ---- A favorite place

সেখানে "All are welcome"।

চা পানের সময় এখানে বসি

চা পানের সময় এখানে বসি

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ছেলের প্রতিবেশীরা কোন দেশী? বাংগালীরা ওখানে কি ধরণের কাজ করেন?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাশের বাসায় একটি শ্বেতাঙ্গ অস্ট্রেলীয় পরিবার থাকতে দেখেছি। অন্য একটি বাসায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা থাকেন। বাকীদের সাথে এখনো কোনদিন দেখা হয়নি।
এখানকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা বাঙালি ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে হোটেল রেস্তোঁঁরায়, সুপার মার্কেটে, শপিং মলে কাজ করতে দেখেছি। অনেক কোম্পানীতে এখানে বাঙালিরা একাউন্ট্যান্ট এর কাজ করে, কল সেন্টারেও কাজ করে।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মুগ্ধ হলাম আপনার দিনলিপি পড়ে, সাথে ছবিগুলোও সুন্দর। চলতে থাকুক এমন দিনলিপি। আহা! মনে পড়লো অনেক পাখির ডাক শুনিনা। অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
নিরিবিলি দুপুরে বা বিকেলে পাখির সুমধুর ডাকের মত আর কোন কিছু মনকে এতটা আনন্দ দেয় না।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের তিনজন ব্লগার আছেন অস্ট্রেলিয়াতে। দেখা হবে তাদের সাথে আপনার?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের কোন তিনজন ব্লগার আছেন অস্ট্রেলিয়াতে? আমার তো জানা নেই, নাম বলুন।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৪

সোহানী বলেছেন: ছবিগুলো মনকাড়া। দাবানলের কোন আচড় কি মেলবোর্নে পড়ছে?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি মেলবোর্নের যে এলাকায় থাকি, সেখানে দাবানলের কোন আঁচ পাইনি, তবে গত পরশু থেকে আকাশ ধোঁয়াচ্ছন্ন, বাতাসেও মাঝে মাঝে কেমন পোড়া পোড়া গন্ধ! সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ স্টেট হচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলস, আর সিটির মধ্যে সিডনী।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৯

ঢাকার লোক বলেছেন: মেলবোর্নের ছবি নিয়ে একটা ছবিব্লগ পোস্ট করার অনুরোধ রইলো । আমরাও মেলবোর্ন দেখে নিতাম আপনার সাথে !

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চেষ্টা করবো একটা ছবিব্লগ পোস্ট করতে। মুশকিল হলো, মানুষবিহীন ছবি তোলা হয় না, আর মানুষের ছবি অনুমতি ছাড়া ব্লগে দেয়া যায় না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে মেলবোর্নের দিনলিপি। আরও কিছু ছবি দিতে পারতেন। দাবানলের যে অবস্থা দেখেছি এবং এখনও দেখছি তা ভয়াবহ। শুভ কামনা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মনে হয়, দাবানল প্রতিহত করা এবং এর কারণে ক্ষয়ক্ষতি রোধ করার বিষয়ে অস্ট্রেলীয় সরকারের বেশ কিছুটা গাফিলতি ছিল/আছে। বেশ কয়েকমাস ধরে এ দাবানল বনজঙ্গল, মানুষের ঘরবাড়ী, পশুপাখিদের আশ্রয়, সবকিছু গ্রাস করে চলেছে, অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের টনক নড়েছে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবার পর। এ সর্বগ্রাসী দাবানল মোকাবিলায় ওরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সাহায্যের আবেদন জানাতে পারতো এবং উন্নত দেশগুলো সবাই এগিয়ে এলে পরিস্থিতি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যেত। দেশ যখন দাবানলে পুড়ছে, তখন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিউ ইয়ার সেলিব্রেট করার জন্য হাওয়াই এ ভ্যাকেশনিং করছিলেন। এ নিয়ে অস্ট্রেলীয়দের মনে যথেষ্ট ক্ষোভ আছে। ভ্যাকেশনিং শেষ করে যখন তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানানোর জন্য তাদের এলাকা সফর করছিলেন, তখন একজন মহিলা তার সাথে হ্যান্ডশেক করতে অস্বীকৃতি জানান।
ছবি দেয়ার ব্যাপারে আগের প্রতিমন্তব্যে কিছু কথা বলেছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা---

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমনের সাথেই আছি .....

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা রইলো---

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

নজসু বলেছেন:



মেলবোর্নের ঘুঘু শালিকেরা কি আমাদের দেশের ঘুঘু শালিকের মতো?
একইভাবে ডাকে?
লেখাটা পড়লাম আর হারিয়ে গেলাম আপনার সাথে।
ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে কতো ছিমছাম সুন্দর ছবির মতো একটি শহর।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মেলবোর্নের ঘুঘু শালিকেরাও দেখতে আমাদের দেশের ঘুঘু শালিকদের মতই। ঘুঘুদের কণ্ঠ আমাদের দেশেরগুলোর মতই সুমিষ্ট এবং প্রাণস্পর্শী, শালিকদেরটাও আমাদেরগুলোর মতই কর্কশ। এমনকি গত পরশুদিন বিকেলে হাঁটার সময় আমি কোকিলের কন্ঠও শুনেছি। আর এখানে আমি অনেক সাদা-কালো দাঁড়কাক ও পাতিকাকও দেখেছি, পরের কোন পর্বে ছবি দেখতে পাবেন। এদের কোনটার গায়ে সাদার চেয়ে কালো অংশ বেশী, আবার কোনটার গায়ে কালোর চেয়ে সাদা। গুগল ঘেঁটে জানতে পারলাম, অস্ট্রেলিয়া এবং তাসমানিয়ায় এদেরকে সচরাচর দেখা যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা----

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২১

নজসু বলেছেন:


পরবর্তী ছবিগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার লাগল স্যার আপনার মেলবোর্ন ডায়েরী। আশপাশে ঘটে যাওয়া ছোটখাটো বিষয়গুলিও অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। বর্ণনার গুণে শব্দ মুক্ত মেলবোর্ন শহরটি চোখের সামনে দৃশ্যপট হলো। আপনার ছেলের সুসজ্জিত ফ্ল্যাটটি যে রুচিশীল ও সুন্দর সে কথা বলা বাহুল্য।

পোস্টে লাইক।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মেলবোর্ন ডায়েরী পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশী হ'লাম।
উদার মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা নিরন্তর....

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩১

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: মেলবোর্নের দিনলিপি ভাল লাগল , পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পর্বটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: আপনার ছবির মাধ্যমে মেলবোর্নকে দেখার চেষ্টা করছি। চার্চের ছবি দেখে বেশ অবাক হলাম; আমার ধারণা ছিল চার্চ খুব জমকালো হয়; যেমন আমাদের দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মসজিদও টাইলস ইত্যাদি দিয়ে জমকালো করে নির্মাণ করা হয়।

সাথেই আছি...

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবির চার্চটি আকারে ছোট, তবে ধর্মপালনকারী এলাকাবাসীর সংখ্যার তুলনায় তেমন ছোট নয় হয়তো। আর এখানকার কোন বাড়ীঘর কিংবা উপাসনালয়েই বাহির থেকে কোন চাকচিক্য দৃশ্যমান নয়। এসব ঘরবাড়ী বেশীরভাগই নির্মিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ এর মধ্যে। আর লোক দেখানোর প্রবণতা তো আমাদের মজ্জাগত, তাই আমাদের চাকচিক্যের প্রয়োজন হয়, ওদের নয়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

জুন বলেছেন: এমন জায়গায় থাকলে বেড়িয়ে আরাম আছে। হাতের কাছে মেট্রোরেল, বাস স্টপেজ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। আর কি চাই! এবার গিন্নীকে নিয়ে নিজের ইচ্ছেমত ঘুরে ফিরে দেখুন। নাহলে তো ডিপেন্ড করতে হয় কখন বাড়ির কর্তা গিন্নীর সময় হবে অতিথিকে নিয়ে বের হবার। এত্ত সুন্দর ব্যালকনীতে বসে লিখে ফেলুন পাতার পর পাতা "মেলবোর্নের দিনগুলো"।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো।
+

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এবার গিন্নীকে নিয়ে নিজের ইচ্ছেমত ঘুরে ফিরে দেখুন - জ্বী, অনেকটা তাই করছি। বৌমার এখন স্কুল বন্ধ, তাই সে আমাদেরকে দিনরাত যখনই প্রয়োজন, চাহিবামাত্র সঙ্গ দিতে পারছে, বরং ও নিজেই আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে। ছুটির দিনে ছেলেও আমাদেরকে নিয়ে দূরে কোথাও যাচ্ছে। আর এক সপ্তাহ পর বৌমার কাজ শুরু হলে আমাদেরকে একা একাই ঘুরে বেড়াতে হবে।
এত্ত সুন্দর ব্যালকনীতে বসে লিখে ফেলুন পাতার পর পাতা "মেলবোর্নের দিনগুলো" - লিখছি, কিন্তু সময় বড় বালাই। ঘুরবো, না দেখবো আর ভাববো, না লিখবো? এত সময় কোথায়? তাওপরেও, যতটা পারি, টুকে রাখছি। যদি কখনো সময় হয়, এসব স্মৃতির ডালি নিয়ে আবার বসা যাবে।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.