|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 খায়রুল আহসান
খায়রুল আহসান
	অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি-৩ঃ আজ বাইরে কোথাও যাচ্ছিনা, তাই ইতিহাস নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাটিঃ 
আমরা যখন অস্ট্রেলীয় ভিসার জন্য অপেক্ষমান ছিলাম, তখন হঠাৎ একদিন আমাদের বিয়াই সাহেব (মেজ বৌমার বাবা) আমাদেরকে টেলিফোন করে জানালেন যে ওনারাও নিতান্ত আকস্মিকভাবেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটা ভাল অফার পেয়ে মেলবোর্নে যাওয়া-আসার টিকেট করে ফেলেছেন। ওনাদের যাত্রার তারিখ ২৭ ডিসেম্বর রাতে, ফেরত আসার তারিখ ১৬ জানুয়ারী ২০২০ রাতে। যদিও আমরা তখনো ভিসা পাইনি, তাই আমাদের অস্ট্রেলিয়া সফর অনিশ্চিত ছিল, তথাপি আমি ওনাদের এ চকিত সিদ্ধান্তের কথা জেনে খুব খুশী হয়েছিলাম, আমরা দুটো পরিবার একত্রে প্রবাসে আমাদের বাচ্চাদের সংসার দেখে আসবো একথা ভেবে। যেদিন ভিসাটা হাতে পেলাম, সেদিন এ আনন্দটা আরেকটু বেড়ে গিয়েছিল।      
২৭ তারিখে আমার ছেলে ও বৌমা শহরের একটা শপিং মলে যাচ্ছিল ওনাদের জন্য বালিশ কেনার জন্য। ওদের ছোট সংসারে আলাদা বিছানা থাকলেও বালিশের কমতি ছিল। আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলো, আমরাও যেতে চাই কিনা। আমরা সানন্দে রাজী হয়ে গেলাম। Chadstone শপিং মলে কিছু কেনাকাটার পর আমরা De Elephant রেস্টুরেন্টে ডিনার সেরে বাসায় ফিরলাম। রেস্টুরেন্টটি রাত দশটায় বন্ধ হয়ে যায়, আমরা সাড়ে নয়টায় গিয়ে কোনমতে শেষ অর্ডারটি দিতে পেরেছিলাম। তবে ডিনার মেন্যুর আইটেমগুলো খুব সুস্বাদু ছিল এবং মূল্যও মোটামুটি সাশ্রয়ী ছিল। তাই লাস্ট কাস্টমার হয়েও ভাল খাবার খেয়েছিলাম।  
২৮ তারিখ এমনিতেও ছুটির দিন ছিল, তা না হলে সেদিন বিমানবন্দর থেকে বিয়াই বিয়াইনকে আনার জন্য ছেলেকে আলাদা করে ছুটি নিতে হতো। সকাল থেকেই লক্ষ্য করছিলাম, ছেলে এবং বৌমা মিলে নানারকমের কি যেন প্ল্যান প্রোগ্রাম করছিল। আমি ভেবেছিলাম, ওদের আলাপ আলোচনা চলছিল বিয়াই-বিয়াইনকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসার জন্য কিভাবে যাবে আসবে তা ঠিক করা নিয়ে। বৌমা রাতের খাবার তৈরী করা নিয়েও বিশেষ ব্যস্ত ছিল। পরে বুঝেছিলাম, এটা ছাড়াও ওদের আলোচনার অন্য এজেন্ডা ছিল। আমিও খানিক পরেই বুঝতে পেরে ওদের সেই এজেন্ডায় যোগ দিয়ে সবাই মিলে সাব্যস্ত করলাম, ওরা বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফিরে আসার পর বিয়াই বিয়াইনসহ গিন্নীর জন্মদিনের কেক কাটা হবে, কেননা ততক্ষণে রাত বারটা পার হয়ে যাবে, এবং তার পরের দিনই ছিল ওর জন্মদিন। কেকটা ওরা দিনের বেলাতেই এক ফাঁকে কিনে এনে লুকিয়ে রেখেছিল। সন্ধ্যা নামার একটু আগেই ছেলে ও বৌমা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল, আমরা ঘরেই থাকলাম। ওরা যাবার আগে আমাকে বলে গিয়েছিল, কেক কাটা সম্পর্কে মাকে আগে ভাগে কোন কিছু না জানাতে, ওরা ফিরে এসে বাকী সবকিছুর ব্যবস্থা করবে।          
বিমান সময়মতই এসেছিল। ওরাও অতিথিদের নিয়ে অনুমিত সময়েই বাসায় এসে পৌঁছালে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হলো। সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়ার পর নানারকমের গল্প-সল্প শুরু হলো। বিয়াই বিয়াইন দু’জনেই ডাক্তার মানুষ, তাই স্বাস্থ্য সচেতন। ওনারা সাধারণতঃ রাত দশটার আগেই ঘুমিয়ে পরেন বলে জানি। আমি ভাবছিলাম, কখন না ওনারা আবার শুভরাত্রি বলে শয্যা নিতে চাইবেন। কিন্তু দেখছিলাম, এ ব্যাপারে ওনাদের কোন তাড়া নেই। তাই বুঝেছিলাম, ওনাদেরকেও জন্মদিন সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ডিনার শেষ করতে করতে রাত বারটা আগেই বেজে গিয়েছিল। ডিনার শেষে পুনরায় টেবিল প্রস্তুত করে বার্থ ডে বেবীকে ডাকা হলো। তিনি এসব আয়োজন দেখে একাধারে চমকিত এবং অভিভূত হলেন। কেক কাটা, খাওয়া, খাওয়ানো এবং ফটো সেশন শেষ করতে করতে রাত দেড়টা বেজে গেল। সবাই আনন্দের রেশ নিয়ে ঘুমাতে গেলাম।  
পরেরদিন আমরা দেরী করে ঘুম থেকে উঠলাম। নাস্তা শেষে সাব্যস্ত হলো, সবাই মিলে বাজার করতে যাব। বিয়াই সাহেব ভ্রমণ ক্লান্তিজনিত কারণে একটু নিমরাজী ছিলেন। আমরাও তার ইচ্ছেটাকে মেনে নিলাম। আমাদের বিয়াই বিয়াইন এর আগেও কয়েকবার অস্ট্রেলিয়া এসেছিলেন, তাই দেখলাম এখানকার পথঘাট সবই ওনাদের চেনা। কোথায় কী ভাল পাওয়া যায় এবং কোথা থেকে কি কিভাবে সাশ্রয়ে কেনা যায়, এসব ওনাদের ভালই জানা। ঠিক হলো, আমরা ড্যান্ডিনং মার্কেটে যাব। ছেলে কাজে যাবার সময় তার গাড়ীতে করে আমাদের নামিয়ে দিয়ে যাবে, ফেরার সময় উবার ডেকে চলে আসবো।   
ড্যান্ডিনং মার্কেটে প্রবেশের আগে পার্কিংস্থলে নির্ভয়ে বিচণরত প্রথমে একটি এবং পরে কয়েক জোড়া সাদা কালো কাক দেখে কিছুটা বিস্মিত হ’লাম, কারণ এতদিন ধরে আমাদের দেশে শুধু ধূসর কালো পাতিকাক এবং ঘন কালো দাঁড়কাক দেখে এসেছি, সাদা কালো কাক কখনো চোখে দেখিনি। কাক ছাড়াও শালিক এবং অন্যান্য কিছু পাখি দেখলাম। এরা মানুষকে দেখে মোটেই ভয় পায় না, কারণ মানুষ কখনো এদেরকে ধরা তো দূরের কথা, এদের কোনপ্রকার ক্ষতি করে না। বরং ওদেরকে কাছে ডেকে খাবার দাবার দেয়। পরে গুগল ঘেটে দেখলাম, সাদা কালো কাকের প্রাপ্তিস্থান বা বলা যায় ওদের আড্ডাখানা এই অস্ট্রেলিয়াতেই এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের অন্যান্য দেশে।    
পরেরদিন সন্ধ্যায় (৩০ ডিসেম্বর) আমরা সবাই মিলে একটি জনপ্রিয় আফগান রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গেলাম। এক গাড়ীতে যেহেতু ছয়জন বসা যাবেনা, সেহেতু আমরা ‘উবার’ এ একটা বড় গাড়ী ডেকে রওনা হ’লাম। গাড়ীতে উঠে বুঝলাম, ওটাকে ৮ আসন বিশিষ্ট ‘বড় গাড়ী’ বলা হলেও পেছনে যারা বসে তারাই বুঝতে পারে সেটা কত বড়। যাবার সময় সবার উচ্চতা, পায়ের দৈর্ঘ্য, হেলথ কন্ডিশন ইত্যাদি বিবেচনা করে আমি আর বৌমা আগে আগে  পেছনের আসনে গিয়ে বসলাম। পরে অন্যান্যরাও সামনের আসনগুলোতে উঠে বসলেন। পেছনে আমরা ঠিকমত বসতে পেরেছি কিনা, বিয়াই বিয়াইন উভয়ে তা জিজ্ঞেস করলেন। আমরা বললাম, কোন অসুবিধে হচ্ছেনা। কিন্তু কিছুদূর যাবার পর আমাদের অস্বস্তিটুকু আমরা আর লুকোতে পারলাম না, কারণ আমাদের পা দুটোকে কোণাকুণি রেখে বসতে হয়েছিল, পায়ের সামনে জায়গার অভাবে। এ নিয়ে বাকীরা সবাই কিছুটা হাসাহাসি করলেও, খানিক পরে তারাও আমাদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করতে লাগলেন। ফেরার সময় বিয়াই সাহেবকে আর কিছুতেই আটকে রাখা গেল না। আমাদের অসুবিধের কথাটুকু মনে রেখে ফেরার সময় ‘উবার’ এর অন্য গাড়ীটিতে উনি সবার আগে গিয়ে পেছনের আসনে বসেছিলেন। তবে ভাগ্য ভাল, এবারের গাড়ীটা সত্যিই বড় ছিল, তাই আমার চেয়ে দীর্ঘ মানুষ হয়েও তিনি পা সোজা করে বসতে পেরেছিলেন।         
 
৩১ তারিখে বিয়াই বিয়াইন ওনাদের ছেলের বাসায় চলে গেলেন। আমরা বিকেলে নতুন ইংরেজী বছর ২০২০ বরণ উপলক্ষে আয়োজিত নগর আলোকসজ্জা ও ফায়ার ওয়ার্কস দেখতে যাব বলে ঠিক করলাম। তখন সূর্যাস্ত হতো পৌণে নয়টায়, অন্ধকার নামতে নামতে সোয়া/সাড়ে নয়টা বেজে যেত। আমরা আটটার আগেই মুরাব্বিন স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে রওনা হ’লাম। কফিল্ড থেকে ট্রেন বদল করে ফুটস্ক্রে স্টেশনে নেমে পড়লাম। এখানে নিয়ম হলো, প্রথমে সন্ধ্যা নামার পরে পরেই ফুটস্ক্রে পার্কে বাচ্চাদের জন্য আতশবাজি করা হয়, পথে আলোকসজ্জা তো থাকেই। প্রায় আধঘন্টা ধরে এ ফায়ার ওয়ার্কস চলে। এ অনুষ্ঠানটি শেষ হবার পর বাবা মায়েরা ঘরে ফিরে তাদের বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে রেখে নিজেরা বের হয় মধ্যরাতের ফায়ার ওয়ার্কস দেখতে। আমরা বাচ্চাদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানটি দেখে ইয়ারা নদীর তীরে চলে এলাম মূল ‘বর্ষবরণ ফায়ার ওয়ার্কস’ দেখতে। ব্যক্তিগতভাবে, ফায়ার ওয়ার্কস দেখতে আমার তেমন আগ্রহ নেই, তবে এতদুপলক্ষে মানুষ জনের উচ্ছ্বাস এবং আনন্দানুভূতি দেখতে ভালই লাগে। ব্যস্ত জীবন ফেলে রেখে এরা প্রিয়জনদের নিয়ে ছুটে আসে ক্ষণিক আনন্দ লাভের জন্যে। মূল ফায়ার ওয়ার্কসও আগেরটার মতই আধ ঘন্টার মত স্থায়ী ছিল। রাত বারটা বাজার সাথে সাথে শুরু হলো নানা মাত্রার আতশবাজি। সবাই হৈহৈ করে একে অপরকে নতুন বছরের সম্ভাষণ জানাতে থাকলো। চালাক লোকজন (মূলতঃ দক্ষিণ এশীয়) অনুমান করে ফায়ার ওয়ার্কস শেষ হবার কয়েক মিনিট আগে থেকেই ট্রেন/বাস/ট্রাম ধরার জন্য পিছু ফিরতে শুরু করে। আমি চালাক না হলেও তেমনটিই চাচ্ছিলাম। কিন্তু বাকীরা অনুষ্ঠানের শেষ না দেখে ঊঠবে না বলে আমাকেও অগত্যা অপেক্ষা করতে হলো। অবশেষে ট্রেন স্টেশনে পৌঁছাতে পৌঁছাতে চোখের সামনে দিয়ে একটা ট্রেন চলে গেল। একটু তাড়াহুড়ো করলে ট্রেনটাকে ধরা যেত, কিন্তু আমরা তা করলাম না। পনের/বিশ মিনিট প্লাটফর্মে বসে থেকে পরের ট্রেনে চেপে বাসায় ফিরে এলাম।   
আমার কাছে এখানকার ফায়ার ওয়ার্কস তেমন আহামরি কিছু বলে মনে হয়নি। পরেরদিন অনেকের ফেইসবুক পোস্ট দেখে মনে হলো, ঢাকার ফায়ার ওয়ার্কস এর চেয়ে কোন অংশে কম ছিল না।  
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া     
১০ মার্চ ২০২০ 
শব্দ সংখ্যাঃ ১১২৫  
 
কালো-সাদা কাক দম্পতি/Black and white crow couple  
 
কালো-সাদা কাক দম্পতি/Black and white crow couple 
মুরাব্বিন স্টেশন প্ল্যাটফর্ম- বাঁয়ে বাঁক নেয়া লাইন জোড়া আমাদের সিটি সেন্টারে নিয়ে যায়......
Moorabbin Station Platfom. The lines that take us to the city....  ফুটস্ক্রে পার্কে ফায়ার ওয়ার্কস/Fireworks at Footscray Park
 ফুটস্ক্রে পার্কে ফায়ার ওয়ার্কস/Fireworks at Footscray Park  
 
ফুটস্ক্রে পার্কে ফায়ার ওয়ার্কস/Fireworks at Footscray Park  
 
আলোকসজ্জা ও আতশবাজি
Illumination and fireworks 
 
আলোকসজ্জা ও আতশবাজি
Illumination and fireworks 
 
আলোকসজ্জা/Illumination  
 
আলোকসজ্জা/Illumination এর চিত্রধারণের প্রচেষ্টা
 ৪৪ টি
    	৪৪ টি    	 +১১/-০
    	+১১/-০  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:০৬
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা যেখানে আছি, সেখানকার কাছাকাছি কোথাও জংগলে আগুন লাগেনি। তবে এ দেশটা যখন দাবানলে পুড়ছিল, তখন এখানকার আকাশটাও মাঝে মাঝে রক্তবর্ণ ধারণ করতো। বাতাসে পোড়া গন্ধ পাওয়া যেত। এখন কয়েকদিন পর পরেই এখানে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে। একদিন শুধু রাতে একটু ভারী বৃষ্টি পেয়েছি।
২|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৮:১৯
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৮:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপাটি লেখা । বেশ।
  ১১ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:০৩
১১ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম। 
শুভেচ্ছা...
৩|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৯:১৭
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: যাবো বেড়াতে একদিন। 
সব নিজের চোখে দেখে আসবো।
  ১১ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:২৮
১১ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্যই আসবেন। আপনার ইচ্ছেটা দ্রুত পূরণ হোক, এই কামনা করছি।
৪|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৯:৫২
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৯:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ায় চমৎকার সময় কাটাচ্ছেন দেখে ভালো লাগছে খায়রুল ভাই। মেলবোর্ণের হিস্টোরিক্যাল কোন ট্যুরিষ্ট এ্যাট্রাকশান নাই? থাকলে আর সেখানে বেড়াতে যদি যান, তাহলে প্রচুর ছবি তুলবেন। সাদা-কালো কাক একটা নতুন জিনিস। দেখে ভালো লাগলো।  
 
আপনার ছবির ক্যাপশান বাংলা, তার সাথে ইংরেজিতে দেয়ার কি কোন বিশেষ কারন আছে? কৌতুহল থেকে জিজ্ঞেস করলাম, আবার মনে কিছু নিয়েন না।
  ১২ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৭:০৭
১২ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৭:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাদা-কালো কাক একটা নতুন জিনিস। দেখে ভালো লাগলো - মন্তব্যগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে, এটা অনেকের জন্যই 'নতুন জিনিস'। হিস্টোরিক্যাল কোন ট্যুরিষ্ট এ্যাট্রাকশান সেরকমভাবে খুঁজে দেখিনি, তবে আমাদের ঘুরে বেড়ানো অনেক জায়গাতেই ইতিহাসের ছোঁয়া পেয়েছি, সেসব আসবে পরে। এর আগের পর্বটিতে মেলবোর্ন আর মুরাব্বিনের ইতিহাস নিয়ে কিছু কথা বলেছি, লিঙ্ক সংযোজন করে দিলাম উপরে। 
ছবিগুলো সাধারণতঃ আমার ফেইসবুক পাতা থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে এখানে পোস্ট করে থাকি। ফেইসবুকে আমার বেশ কিছু ইংরেজী ভাষাভাষী এবং ইংরেজী ভাষা জানা অন্য ভাষাভাষী বন্ধু রয়েছে। মূলতঃ তাদের জন্যই ইংরেজী ভাষার সংযোজন, যা সবসময় বাংলাভাষার অনুবাদ নয়, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তা হলেও। আর আমি ছবির ক্যাপশন লিখতে ও পড়তে ভালবাসি। একটি ক্যাপশন অনেক সময় ছবিকে তার নিজ গুণের অতিরিক্ত অনন্য করে তুলতে পারে। ক্যাপশন লেখার সময় মাথায় যখন যে ভাষায় ভাবনারা খেলা করে, সেভাবেই লিখে থাকি। আশাকরি, এ ব্লগের পাঠকেরা ছবির ক্যাপশন হিসেবে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী কথাগুলোকে অপ্রয়োজনীয় বোধ করলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
৫|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১০:১৮
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১০:১৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: 
চমৎকার দিনগুলো খুব পরিপাটি ভাবে লেখায় তুলে আনছেন।  ভালো লাগলো।  দিনগুলো আরো ভালো কাটুক আপনার। জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।
  ১২ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৮:২৫
১২ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৮:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো, ভালো থাকবেন।
৬|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১০:২৩
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১০:২৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর লেখা।
  ১২ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:৪০
১২ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম। 
৭|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:১৫
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাদের ভ্রমণ কেক এর নিঃসন্দেহে আইসিং পার্ট !!! 
এ ধরনের সারপ্রাইজিং মোমেন্টের পরিকল্পনার সময়টুকু ই সব চাইতে দারুণ থাকে। আর পরের অংশটুকু একজনের সমস্ত জীবনের আনন্দ হয়ে রয়ে যায়। অনেক অনেক শুভ কামনা ভাবীর জন্য ; আপনাদের পরিবারের সবার জন্য। 
সাদাকালো কাক আমি আগে কখনো দেখি নি, আপনার ভ্রমণ আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ও নতুন কিছু যোগ করলো। চমৎকার ছবি এবং সাবলীল ভ্রমণ গল্পে আমাদের সাথে রাখার জন্য ধন্যবাদ।
  ১২ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৪:২৫
১২ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৪:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সবার জন্য যে শুভকামনা জানিয়েছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। বলাবাহুল্য, আপনার এ মন্তব্যটি প্রভূত আনন্দ দিয়ে গেল। 
মন্তব্যে অনেকেই বলেছেন,  সাদাকালো কাক সম্বন্ধে তারা আমার আপনার মত এই প্রথম জানতে পারলেন। ছবি দেওয়াতে ভালই হলো দেখছি। এখানে পথে ঘাটে এ রঙের কাক বিস্তর দেখা যায়। 
চমৎকার ছবি এবং সাবলীল ভ্রমণ গল্পে আমাদের সাথে রাখার জন্য ধন্যবাদ - আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য, পোস্টে প্লাস দেয়ার জন্য।
৮|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:৩০
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন: 
ওখানাকার সাদা ও চীনারা  মানুষ হিসেবে কেমন?
  ১২ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:৫৯
১২ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাদারা মানুষ হিসেবে খুবই ভাল। কারো ব্যাপারে কোন নাক গলায় না, সবাই আপন আপন কাজ ও শখ নিয়ে ব্যস্ত। তবে কেউ কোন ব্যাপারে সাহায্য চাইলে উঠে পড়ে লেগে যায় তাকে সাহায্য করতে। ওদের মধ্যে প্রবীণদের চেয়ে তরুণ ও যুবাদের আমার কাছে বেশী ভাল মনে হয়েছে। তাদের মনে কোন জটিলতা নেই। তবে, বয়স্ক প্রবীণদের মাঝে (পুরনো ব্রিটিশদের মত) একটু নাক উঁচু প্রবণতা মাঝে মাঝে (খুবই কম যদিও) লক্ষ্য করেছি, যেটা তরুণ-তরুণী ও যুবাদের মধ্যে মোটেই নেই।
চীনারাও ভাল, তবে এক্ষেত্রে আমার কাছে প্রবীণ ও বয়স্ক চীনা বুড়োবুড়িদেরকেই বেশী ভাল মনে হয়েছে। ওরা নিরহঙ্কার। একসময় ওরা কষ্টের জীবন পার করেছে, সেটা ওদের চেহারায় ফুটে উঠে। পক্ষান্তরে, তরুণ ও যুবক বয়সের চীনারা একটু উদ্ধত ও কেয়ার ফ্রী টাইপের। আমি ট্রেনে হাফ প্যান্ট পরা অনেক চীনা তরুণ তরুণীদেরকে দেখেছি, সামনের খালি আসনে ওরা ওদের জুতো পরা পা তুলে দিয়ে আপন মনে সেলফোন টিপে চলেছে। কে খালি আসনে বসার জন্য পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, সেদিকে তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।
৯|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:৪৫
১১ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: সাদা কালো কাক নতুন দেখলাম খায়রুল ভাই। এবং আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখনি নিঃসন্দেহে চিত্তাকর্ষক। মজা লাগছে ওদের উবার বড় গাড়ী আর আমাদের দেশের উবার বড় গাড়ীর মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই বলে   । বিদেশে দুই একবার আমারো নিউ ইয়ার কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছে এই ফায়ার ওয়ার্ক্স নিয়ে ওদের মাতামাতি একটু বেশিই মনে হয়, আমার কাছে আহামরি তেমন কিছু লাগে নি কোন সময়।
 । বিদেশে দুই একবার আমারো নিউ ইয়ার কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছে এই ফায়ার ওয়ার্ক্স নিয়ে ওদের মাতামাতি একটু বেশিই মনে হয়, আমার কাছে আহামরি তেমন কিছু লাগে নি কোন সময়।
  ১২ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:৩৪
১২ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে, সাদা কালো কাক অনেকের জন্যই একটা নতুন বিষয়। 
এই ফায়ার ওয়ার্ক্স নিয়ে ওদের মাতামাতি একটু বেশিই মনে হয় - জ্বী, আমার কাছেও ব্যাপারটা তেমনই মনে হয়। তবে, এখন বোধকরি আমাদের দেশেও মাতামাতিটা অনেক বেশী হচ্ছে। এটা যেটুকু বিনোদন দেয়, সেটা বিবেচনা করে এটাকে অপব্যয় বলা চলে।
আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখনি নিঃসন্দেহে চিত্তাকর্ষক - ধন্যবাদ, প্রাণিত হ'লাম।
১০|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৯:১২
১১ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৯:১২
মুক্তা নীল বলেছেন: 
শ্রদ্ধেয় ভাই,
ঘরোয়া জন্মদিনের ব্যাপারটি অনেক
দেরিতে জানলাম তাই ভাবিকে দেরি করে হলেও আমার 
শুভেচ্ছা ও সালাম পৌঁছে দিবেন। জীবনে একেক অধ্যায়ের 
আনন্দ একেক রকম ভাবে উপভোগ করছেন জেনে ভালো লাগছে।
সাদা কালো কাক দম্পতি দেখতে ভীষণ সুন্দর।
বিশেষ করে সাদা কাক টি দেখতে অনেকটা পাখির মতোই 
লাগছে। আলোকসজ্জা ও আতশবাজি ছবিগুলো সুন্দর।
আরেকটি কথা আপনাদেরই পারিবারিকভাবে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দটুকু দেখে ভীষণ ভালো লাগছে । 
ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
  ১৩ ই মার্চ, ২০২০  ভোর ৬:০১
১৩ ই মার্চ, ২০২০  ভোর ৬:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনে একেক অধ্যায়ের আনন্দ একেক রকম ভাবে উপভোগ করছেন জেনে ভালো লাগছে - আসলেই জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়ের আনন্দ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সব অধ্যায় থেকে জীবনের নির্যাস সঞ্চয় করে তা উপভোগ করতে পারাটা মানুষের ইহজনমের সার্থকতা। 
সাদা কালো কাক দম্পতি দেখতে ভীষণ সুন্দর - আমারও তাই মনে হয়েছে। কালো দাড়কাঁকের মত ওদেরকে কর্কশ মনে হয় না মোটেও।  
শক্ত পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখা আমার জীবনের একটা ব্রত বলতে পারেন।
হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্লাসে অনুপাণিত।
১১|  ১১ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৯:৪৪
১১ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৯:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো মেলবোর্নের দিনলিপি। সাদা কালো কাকও প্রথমবারের মতো দেখলাম।
তবে নববর্ষের ফায়ার ওয়ার্কস সাদামাটাই মনে হলো। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের দেশের নববর্ষের ফায়ার ওয়ার্কস এর চাইতে আকর্ষণীয়। যাক, তাহলে আমরা এখন ফায়ার ওয়ার্কসের দিক দিয়ে মেলবোর্নকে ছাড়িয়ে গেছি। 
  ১৩ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৩:৫৬
১৩ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৩:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাদা কালো কাকও প্রথমবারের মতো দেখলাম - মন্তব্যে অনেকেই বলেছেন, সাদাকালো কাক সম্বন্ধে তারা আমার আপনার মত এই প্রথম জানতে পারলেন। ছবি দেওয়াতে ভালই হলো দেখছি। এখানে পথে ঘাটে এ রঙের কাক বিস্তর দেখা যায়। 
যাক, তাহলে আমরা এখন ফায়ার ওয়ার্কসের দিক দিয়ে মেলবোর্নকে ছাড়িয়ে গেছি - জ্বী, আমারও মনে হয়, এ ব্যাপারে আমরা অগ্রগামী রয়েছি, তবে নিঃসন্দেহে আমাদের মত দেশের জন্য এসব বর্জনীয় অপব্যয়। 
নিয়মিতভাবে আমার পোস্ট পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। 
ভাল থাকুন সপরিবারে, শুভকামনা---
১২|  ১২ ই মার্চ, ২০২০  রাত ২:২৫
১২ ই মার্চ, ২০২০  রাত ২:২৫
সোহানী বলেছেন: সারপ্রাইজ বার্থডে নিশ্চয় দারুন হয়েছে....। এমন সারপ্রাইজ পার্টি আমি খুব পছন্দ করি। এটা এখানকার কালচার বলা যায়। বার্থডে পার্টির ছবি চাই   ।
 ।
এ ধরনের কাক এর কথা এই প্রথম শুনলাম। 
নিউইয়ার বরণ সব দেশেই একই রকম কম বেশী। ফায়ার ওয়ার্ক আমি খুব পছন্দ করি। শুধুমাত্র এতো রাতে ট্রেনে আসতে হবে বলে এখন যেতে চাই না। 
অস্ট্রেলিয়া যাবো কোন এক সময়, দেবর ননদ থাকে সেখানে। তবে এখন নয়, আরেকটু বুড়ো হয়ে নেই   , মানে ছেলে যখন ইউনিভার্সিটিতে যাবে তখন যাবো।
 , মানে ছেলে যখন ইউনিভার্সিটিতে যাবে তখন যাবো।
ভালোলাগলো অস্ট্রেলিয়ার জীবন ও ছবি...........
  ১৩ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:০১
১৩ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বার্থডে পার্টির ছবি চাই - এটা তো ঠিক পার্টি ছিল না, নিতান্ত আটপৌরে ঘরোয়া একটি আয়োজন! পার্টি হলে না হয় একটা ছবি দিতাম!   
  
অস্ট্রেলিয়া যাবো কোন এক সময় - আপনি এখন যে দেশে থাকেন, সেটাও নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কম সুন্দর নয়। তবে আল্লাহতা'লা তার সৃষ্টির সৌন্দর্য এবং রহস্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন। আমাদের দেশটাও কিন্তু কম সুন্দর নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামকে আমরা যদি পর্যটকদের জন্য আরেকটু নিরাপদ রাখতে পারতাম এবং এর ব্যাবস্থাপনাকে আরেকটু পর্যটকবান্ধব করতে পারতাম, তাহলে আমাদের দেশ দেখার জন্যেও দলে দলে লোক আসতো। 
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা----
১৩|  ১২ ই মার্চ, ২০২০  দুপুর ১২:০০
১২ ই মার্চ, ২০২০  দুপুর ১২:০০
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার ঝরঝরে বর্ণনা। জন্মদিনের উৎসবটা বেশ উপভোগ্য হয়েছে আপনার বর্ণনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। 
সাদা-কালো কাকগুলোকে দেখে দেশি কবুতরের মতো লাগছে।   
  
  ১৪ ই মার্চ, ২০২০  ভোর ৪:০৪
১৪ ই মার্চ, ২০২০  ভোর ৪:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঘরোয়া উৎসবের আনন্দই আলাদা। জন্মদিনের উৎসবটা সেভাবেই পালিত হয়েছিল এবং বেশ উপভোগ্যও হয়েছিল। 
সাদা-কালো কাকগুলোকে দেখে দেশি কবুতরের মতো লাগছে -   
   
 
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৪|  ১২ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:০৮
১২ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন বলেছেন: 
স্যার,  আপনার ভ্রমণ কাহিনী গুলো পড়ে  খুবই আনন্দ পাওয়া যায়।  মনে হয় যেন আমি নিজেই ভ্রমণ করছি।  আপনার এই জাতীয় ভ্রমণ কাহিনী গুলো পুস্তক আকারে প্রকাশিত হলে খারাপ হয় না।  
আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি । আপনার জীবন হোক আনন্দময়।
  ১৫ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:৪০
১৫ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পোস্টে প্রথম 'লাইক'টি (+) আপনি দিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আবার এসে মন্তব্য করলেন। উভয়টির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। 
আপনার এই জাতীয় ভ্রমণ কাহিনী গুলো পুস্তক আকারে প্রকাশিত হলে খারাপ হয় না - আপনার এ পরামর্শটি স্মরণে রাখবো। চেষ্টা থাকবে আগামীতে ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে একটি বই বের করার। 
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
১৫|  ১৩ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৩:৫০
১৩ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৩:৫০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেমন আছেন, ভাল তো।।
আমি মোটামুটি।। মিস করছি অনেক কিছুই।।
  ১৫ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৮:৩১
১৫ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৮:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
আমি ভাল আছি। আপনি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে অনুপস্থিত ছিলেন। আমি মাঝে মাঝে আপনার ব্লগ পাতায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে এসেছি। 
কেমন ছিলেন আপনি এতদিন? সম্প্রতি দেশে এসেছিলেন কি?
১৬|  ১৩ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৪:০৮
১৩ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৪:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম, তাই আবার এলাম.....জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!  
 
যে কোনও সারপ্রাইজ পেতে ও দিতে আমারও খুবই ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আমার আম্মাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য না জানিয়ে দেশে চলে আসি। হঠাৎ করে উনার সামনে যখন দাড়াই, তখন দেখার মতো অবস্থা হয়। উনি হাসবেন নাকি কাদবেন, তাই বুঝতে পারেন না। দু'টাই তখন একসাথে চলে।  
 
  ১৬ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৩:১৬
১৬ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৩:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনরায় পোস্টে ফিরে এসে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে যাবার জন্য আপনাকেও জানাচ্ছি অনেক, অনেক ধন্যবাদ, ভুয়া মফিজ। 
যে কোনও সারপ্রাইজ পেতে ও দিতে আমারও খুবই ভালো লাগে - আপনার এ ভাল লাগার কথাটা মনে হয় আমরা, এ ব্লগের পাঠকেরা কিছুটা হলেও জানি। কোন একজন ব্লগার বোধকরি আপনার কাছ থেকে এমন কিছু সারপ্রাইজ পেয়ে তা নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলেন। 
দু'টাই তখন একসাথে চলে - মায়েদের প্রতিক্রিয়া এমনই হয়! 
দুটো মন্তব্যের জন্যই অশেষ ধন্যবাদ।
১৭|  ১৩ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৮:৪৬
১৩ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৮:৪৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: বরাবরের মতোই ভ্রমন কাহিনী ভাল লাগছে।
বিদেশের মাটিতে সবাইকে নিয়ে বার্থডে বেবিকে উইশ করা ভাগ্যের ব্যাপার।
আপনারা অনেকেই বাংলাদেশের ফায়ার ওয়ার্ককে বেশী ভাল বলার চেস্টা করছেন কেন বুঝিনা।
আমি ২০১৯ সালের ফায়ার ওয়ার্ক্ ঢাকায় দেখেছি।কোন ভাবেই বিদেশের তুল্য নয়।
আরো নুতন লেখার অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ।
  ১৬ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৩:৫৭
১৬ ই মার্চ, ২০২০  রাত ৩:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বরাবরের মতোই ভ্রমন কাহিনী ভাল লাগছে - অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে এ কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্যে। 
কোন ভাবেই বিদেশের তুল্য নয় - হতে পারে, তবে আমি কথাটা বলেছি ফেইসবুকে বিভিন্ন মানুষের পোস্টে প্রকাশিত  ২০২০ সালের নতুন বছরের আগমনের সন্ধিক্ষণে ঢাকায় যে ফায়ার ওয়ার্কস হয়েছিল, তার বর্ণাঢ্য ছবি দেখে।  
আরো নুতন লেখার অপেক্ষায় রইলাম - আরো একটি নতুন পোস্ট দিয়েছি। আশাকরি, পড়ে দেখবেন। 
১৮|  ১৪ ই মার্চ, ২০২০  দুপুর ২:৪১
১৪ ই মার্চ, ২০২০  দুপুর ২:৪১
অজ্ঞ বালক বলেছেন: দারুণ লাগলো পড়ে। তবে অনলাইনে দেখেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার একটা জমকালো ফায়ারওয়ার্ক। সেটা কি তবে সিডনির ছিলো?
  ১৬ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:০০
১৬ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ১১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটা কি তবে সিডনির ছিলো? - হতে পারে। সিডনী মেলবোর্নের চেয়ে এসব ব্যাপারে অগ্রগামী।
১৯|  ১৬ ই মার্চ, ২০২০  দুপুর ২:১৭
১৬ ই মার্চ, ২০২০  দুপুর ২:১৭
 ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সিডনির অপেরা হাউস থেকে একদিন নিউ ইয়ারের জমকালো আকাশ দেখার শখ ছোট বেলা থেকেই।
তবে মাঝখানে হাতিরঝিলের আতশবাজির অত্যাচারে খুবই বিরক্ত। বলা নেই কওয়া নেই, বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে আতশ বাজি পোড়ানো হয়। আমি নিজেই কয়েকবার ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
সুস্থ থাকুন, শুভকামনা।
  ১৬ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৪:৩৮
১৬ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৪:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিডনির অপেরা হাউস থেকে একদিন নিউ ইয়ারের জমকালো আকাশ দেখার শখ ছোট বেলা থেকেই - দোয়া করছি, আপনার এ শখ যেন একদিন আল্লাহতা'লা পূরণ করে দেন। সিডনী অপেরা হাউস সম্বন্ধে যেহেতু খোঁজ খবর রেখেছেন, সেহেতু আশাকরি, অন্যদের চেয়ে আপনি এ ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছেন। তাই আপনার শখ একদিন পূরণ হবে ইন শা আল্লাহ! 
পোস্টে মন্তব্য এবং প্লাস, দুটোর জন্যেই অশেষ ধন্যবাদ। 
পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে? পরীক্ষার আগের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগান।
২০|  ১৮ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:৪৯
১৮ ই মার্চ, ২০২০  বিকাল ৫:৪৯
 ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পরীক্ষার প্রস্তুতি আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কথা হচ্ছে, করোনার কারণে।
পরের রুটিনে, পরীক্ষার মাঝে খুব কম বন্ধ দেয়া হবে শুনলাম। আমার বাসা রামপুরায়, কেন্দ্র মিরপুরে। 
আমরা প্রচন্ড আজব সময় কাটাচ্ছি ঢাকায়। গত দুদিনে খুব কম পড়েছি, পড়ায় মন বসছে না। এর মধ্যে একজন মারা গেলো আজকে, অনেক গুজব না সত্যও কানে আসছে.. আমার জন্য দোয়া করবেন স্যার।
আপনার জন্য শুভকামনা। সুস্থ থাকুন।
  ১৮ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:২১
১৮ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার জন্য দোয়া করবেন স্যার - আমি আপনাকে একজন ভাল মানুষ হিসেবে চিনেছি। আপনার জন্য আমার দোয়া সবসময়ই থাকবে।
অন্য একটা পোস্টে আপনার মন্তব্য থেকে জেনেছি, আপনি পদার্থ বিজ্ঞানে উচ্চতর পড়াশুনা করতে চান। এটা জেনে আমি খুশী হয়েছি, কারণ আজকালকার ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়সমূহ নিয়ে পড়াশুনা করতে চায় না। তারা চায় ব্যবসায় প্রশাসন, হিসাব বিজ্ঞান, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পড়তে, যাতে চাকুরীর বাজারে ভালভাবে নামা যায় এবং বিস্তৃত বাজার সম্মুখে থাকে। আপনি দেখছি তার ব্যতিক্রম।
২১|  ১৮ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:১৯
১৮ ই মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:১৯
নীল বরফ বলেছেন: মেলবোর্নের ভ্রমণ কাহিনী বেশ চমৎকার লিখেছেন আপনি। পড়ে ভালো লাগে। বড় চেনা এ শহরের এরকম আদরমাখা গল্প নস্টালজিক করে তোলে। 
সাদা কালো এক জোড়া কাকের ছবি দিয়েছেন। এদের কমন নাম হল view this link। অস্ট্রেলিয়ার বলতে পারেন আইকণিক পাখি। অনেক বুদ্ধিমান আর সাহসী। দল বেধে বসবাস করে। এলাকা মেইনটেইন করে পর্যন্ত। শিকারি বাজ কিংবা ঈগলও এদের ঘাটায় না। নিজে চোখে দেখেছি যে goshawk(বাংলা নাম মনে নেই) কে দল বেধে কোণঠাসা করে আচ্ছা করে ধোলাই দিচ্ছে। পাখি এলাকাতে ঢুকলে এরা ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। বড় দাঁড়কাকও এড়িয়ে চলে। এরা মানুষের পোষ মানে। মানুষকে কমই ভয় পায়। 
মেলবোর্নের AFL (ফুটি লিগ বলে এখানে) ক্লাব কলিনউড ম্যাগপাইয়ের লোগো এই পাখি। ব্যাক্তিগতভাবে আমি এই ক্লাবকে খুব বেশী পছন্দ না করলেও ওদের খেলার ধরন প্রচন্ড গতিমান আর আক্রমণ দিয়ে ভরা।ওদের যেদিন খেলা থাকে,সেইদিন MCG পুরোই সাদা-কালো রঙের জার্সি পরা ফ্যান দিয়ে উপচে পরা ভীড় থাকে। নিচে এই ক্লাবের লোগো দেয়া হলো।
 
  
 
 
  ২০ শে মার্চ, ২০২০  ভোর ৬:০৭
২০ শে মার্চ, ২০২০  ভোর ৬:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, আমার এ পোস্টটি পড়ার জন্য, মন্তব্য করার জন্য এবং মন্তব্যের ঘরে মেলবোর্নের AFL ক্লাব কলিনউড এর লোগো অস্ট্রেলিয়ান ম্যাগপাই পাখিটির ছবি দিয়ে আমার এ পোস্টকে সমৃদ্ধ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 
লক্ষ্য করেছি, আপনি অন্যদের পোস্টে মন্তব্য করেন খুবই কম। তা সত্ত্বেও আমার এ পোস্টে এসে মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য কৃতার্থ।
বরফকে তো সবাই শ্বেত, শুভ্র, সফেদ হিসেবেই চিনে। আপনার নীল হয়ে যাবার কারণ কী?  
আমার এবারের মেলবোর্ন সফর নিয়ে এর আগেও কয়েকটি পর্ব আছে এবং আগামীতেও থাকবে বলে আশা রাখি। সময় করে পড়ে নিলে এবং আগামীতেও সাথে থাকলে খুশী হবো। 
আপনি কি মেলবোর্নে থাকেন? আমি মেলবোর্নে তিন মাস বেড়িয়ে গেলাম। এখন ঘরে ফেরার দিন গুনছি।
২২|  ২০ শে মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:০৫
২০ শে মার্চ, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:০৫
নীল বরফ বলেছেন: আপনি ঠিক অনুমান করেছেন ভাই , আমি মেলবোর্নে থাকি। আমার ভীষন পছন্দের শহর। আপনি যেখানে থাকছেন ,সেখান থেকে ৩০-৩৫ মিনিটের ড্রাইভের দূরত্বে থাকি,অফিসারস এলাকাতে। আপনি মেলবোর্নের লোকজনকে পছন্দ করেছেন, ভালো বলেছেন এই জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। 
আগের মত ব্লগে আসতে পারিনা ইদানীং। খুব পছন্দ না হলে কমেন্টও করি না। আমি মূলত পাঠক। আমিও মাঝখান দিয়ে ঢাকা ঘুরে আসলাম অনুজের বিয়ের হল্লা-হাটি থেকে। নীল বরফ নামটাকে ভালো লাগা থেকেই নেয়া। 
এ বছরটা কঠিন যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। দোযখের ওম থেকে বের হয়েই চৈনিক করোনার ছোবলে এই মহাদেশের অবস্থা টালমাটাল। চায়নার উপরে অনেকটা নির্ভরশীল অস্ট্রেলিয়ার সামনে আরও কঠিন দিন তো আসা অপেক্ষামান। 
আপনি ঠিকঠাক ঢাকা যেন ফিরতে পারেন, সেই দোয়া করি।
  ২১ শে মার্চ, ২০২০  ভোর ৬:১৮
২১ শে মার্চ, ২০২০  ভোর ৬:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে পড়ছে, আপনার এলাকা, অর্থাৎ অফিসার্স এলাকার আশপাশ দিয়ে কয়েকবার যাওয়া আসা করেছি। ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এলাকার নামটা এরকম কেন, এখানে কি শুধুই 'অফিসার'রা থাকে? সে অবশ্য বলতে পারেনি। 
আপনি ঠিকঠাক ঢাকা যেন ফিরতে পারেন, সেই দোয়া করি - অনেক ধন্যবাদ, এ দোয়ার জন্য। তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছি কি না, সে কথাই ভাবছি!
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৭:৩৪
১১ ই মার্চ, ২০২০  সকাল ৭:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনারা যেখানে ছিলেন, সেখানকার কাছাকাছি কোথায়ও জংগলে আগুন ছিলো?