নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
তোমায় প্রথম আমি দেখেছিলাম
সেই সেদিনের গণভবনের
ঘনসবুজ ঘাসের চত্বরে। ঢোলা পা’জামা পাঞ্জাবী
আর ‘মুজিব কোট’ ব্র্যান্ড নামের কালো কটি পরিহিত,
তুমি সৌম্য অবয়বে নেমে এসেছিলে পায়ে হেঁটে,
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে, যেন শান্তির এক মূর্ত দেবদূত হয়ে!
দীর্ঘ দেহ আবৃত করা সাদা কালো পোষাকের মতই
মাথাভর্তি তোমার ছিল পরিপাটি আঁচড়ানো কাঁচাপাকা কেশ।
হাতে ধরা পাইপ, ‘এরিন মোর’ এর সুবাস ছড়িয়ে
তুমি কথা বলছিলে আমাদের সাথে, স্নেহের হাসি হেসে।
পৌরুষদীপ্ত কন্ঠে তুমি আমাদের শুনিয়েছিলে আশার বাণী,
তোমার কথাগুলো যেন কানে বেজেছিল শান্তির গান হয়ে।
সেদিন বিকেলে আমরা গিয়েছিলাম তোমায় সম্বর্ধনা জানাতে।
বিশ্ব শান্তি পরিষদ তোমায় দিয়েছিল এক অনন্য সম্মান,
‘জুলিও ক্যুরি’ পদকে তোমায় ভূষিত করে তারা ধন্য হয়েছিল।
তুমি এসেছিলে সেদিন আমাদের মাঝে,
আমাদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও অভিবাদন গ্রহণ করতে।
সে এক অনন্য স্মৃতি,
শান্তি ও সৌম্যের অনন্য প্রতীক হিসেবে তোমার সে স্মৃতি
আজও আমার মনে চিরভাস্বর, চিরঅম্লান, চির দীপ্যমান।
(১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও ক্যুরি’ পদকে ভূষিত হবার পর সমগ্র দেশবাসী তাঁর এই সম্মানলাভে গৌরব বোধ করেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন এজন্য দফায় দফায় দলভুক্ত হয়ে তাঁর সাথে দেখা করে তাঁকে সম্বর্ধনা জানান। আমি সে সময়ে ছাত্র ছিলাম। আমিও একটি ছাত্র প্রতিনিধিদলের সদস্য হয়ে সেরকম একটি সম্বর্ধনাদলের সাথে গণভবনে গিয়েছিলাম তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে। গণভবনের সবুজ লনে আয়োজিত সেই সম্বর্ধনার সময় হ্যান্ডশেকিং দূরত্ব থেকে তাঁকে দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেটাই ছিল তাঁর সাথে আমার প্রথম ও শেষ সাক্ষাৎ। আজ তাঁর শততম জন্মদিনে সেই উজ্জ্বল স্মৃতিকে স্মরণ করে লেখা এ কবিতাটি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে নিবেদিত হলো।)
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
১৭ মার্চ, ২০২০
১৭ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই প্রথম কোন কবিতায় আপনার মন্তব্য এসেছে দেখে একটু চমকে উঠেছিলাম, তবে মন্তব্য পড়ে অভিভূত হ'লাম।
হ্যাঁ, ওনাকে এত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য অবশ্যই একটি সৌভাগ্য ছিল। ওনাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি এবং ওনার জন্য দুঃখবোধ করি।
আপনি ঠিকই মনে রেখেছেন, সফর শুরুর সময় আমাকে বিলম্বে ভিসা পাবার কারণে একবার টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমিও তো আপনার মতই কিরপিন। বাজেট এয়ারলাইনগুলোর নানারকমের কড়া নির্দেশনা ও লাগেজ, আসন পছন্দ, ইত্যাদি বিষয়ে নানারকমের আর্থিক শর্তাবলী জুড়ে দেয়া, এসব সহ্য হয়না বলে রেগুলার এয়ারলাইনে টিকেট খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে 'কিরপিনের সহায়' চায়না সাউদার্ন থেকে বেশ সাশ্রয়ী মূল্যে টিকেট পেয়েছিলাম। কিন্তু চীন এখন সবার চক্ষুশূল। 'চায়না সাউদার্ন' নিজে থেকে আমার ফেরার টিকেট বিনা মাশুলে ৪ দিন পেছালে আমি তা নিতে রাজী আছি কিনা, তা ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করেছিল। আমি রাজী হয়েছি। গতকাল পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট মেলবোর্ন থেকে ছেড়ে গেছে, তবে আগামী এক সপ্তাহে কী হবে, কে জানে! পরিপূর্ণ 'লকডাউন' ঘোষিত হলে আবার শুরু হবে এক দুশ্চিন্তাময় অনিশ্চয়তা! আর তা ছাড়া যদিও বা যেতে পারি, যাওয়ার সাথে সাথে হজ্জ্বক্যাম্পে ১৪ দিনের কারাবাসের ঝক্কি ঝামেলা তো রয়েছেই!!!!
অর্থনৈতিক, মানসিক সব রকমেরই ধাক্কা। সহমর্মিতা থাকল - অনেক ধন্যবাদ, অভিভূত।
প্রথম মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২৮
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া...
১৭ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা---
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি মিলিটারীতে থাকার সময়, শেখ সাহবে সম্পর্কে, বেশীরভাগ মিলিটারীর অফিসাররা কি ধরণের ধারণা পোষণ করতেন?
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: উনি ছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। কারো নেতিবাচক ধারণার কোন কথা আমি শুনি নাই। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাচের সেনা অফিসারদের পাসিং আউট প্যারেডের সময় উনি আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি ও প্যারেড রিভিউয়িং অফিসার হিসেবে যে অমূল্য ভাষণটি দিয়েছিলেন, তা ওনার সাতই মার্চের ভাষণের পর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ভাষণ হিসেবে বিবেচিত।
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধাসহকারে ভালোবাসা নিবেদন ।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: দূর্দান্ত কবিতা।
কবিতার তেজ, ধার আমাকে মুগ্ধ করেছে।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার তেজ, ধার আমাকে মুগ্ধ করেছে - অনেক ধন্যবাদ, কবিতা পড়ে এমন উদারভাবে প্রেরণার কথা বলে যাবার জন্য।
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনন্য! অসাধারন!!
যেমন স্মৃতি টুকু তেমনি তার নান্দনিক প্রকাশ।
মুগ্ধ পাঠে শিহরিত অনুভব
++++
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: যেমন স্মৃতি টুকু তেমনি তার নান্দনিক প্রকাশ - স্মৃতিটুকু অবশ্যই অনন্য এবং অসাধারণ, তবে তার প্রকাশটুকুও আপনার কাছে নান্দনিক মনে হয়েছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
উদার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
অনন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি। পোস্টে লাইক।
বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো জাতির জনকের প্রতি।
এমন স্মৃতি ভাস্বর হয়ে থাকুক আজীবন।
আপনার বিদেশের দিনগুলো আনন্দময় হোক।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি। পোস্টে লাইক - অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এর পরের কথাগুলোতেও প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ।+
১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৫
সোহানী বলেছেন: আপনি অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী।
বিনম্র শ্রদ্ধা।
২১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন সপরিবারে, সকল প্রকার ভাইরাসমুক্ত থাকুন।
শুভকামনা---
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:১১
মা.হাসান বলেছেন: আপনি সৌভাগ্যবান, ওনাকে এত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি , আপনার প্রতি ঈর্ষা । অনেক শুভকামনা ।
আপনার যাবার টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছিল, আসার টিকেটের তারিখ ও মনে হয় পরিবর্তন করতে হচ্ছে । অর্থনৈতিক, মানসিক সব রকমেরই ধাক্কা। সহমর্মিতা থাকল।