নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেলবোর্নের দিনলিপিঃ ঘরে ফেরা, অনিশ্চিত পথে...(৫ম পর্ব)

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

পূর্বের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপিঃ ঘরে ফেরা, অনিশ্চিত পথে...(৪)

ফেইসবুকে বিকল্প পন্থায় পারিবারিক চ্যাট যখন শেষ করে উঠলাম, তখন পড়ন্ত বেলা। আজ রাতেই দুটো ভিন্ন ফ্লাইটে আমাদের সাত জনের মধ্যে দু’জন দু’জন করে চারজন চলে যাবেন, যথাক্রমে রাত নয়টার ও সাড়ে নয়টার ফ্লাইটে। বাকী থাকবো আমরা স্বামী স্ত্রী দু’জন, আর কানাডার মেয়ে রোযালী। বিদেশ বিভূঁই এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অসম বয়সী এই সাতজনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বে যবনিকাপাত হতে চলেছে। দেখলাম, যারা চলে যাবেন, তারা আস্তে আস্তে এদিকে সেদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র গুটিয়ে নিচ্ছেন। কিয়াল তখনো তার ল্যাপটপ থেকে একে ওকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, যা সেলফোন থেকে করা সম্ভব নয়। ইমার মন বেশ ভারী। এ সামান্য পরিচয় এবং কথাবার্তায় যেটুকু বুঝেছি, উনি খুব আবেগতাড়িত একজন মানুষ। প্রায়ই কথা বলতে বলতে তার চোখ ছল ছল করে ওঠে, দুঃখের কথায় যেমন, আনন্দ ও সুখের কথায়ও তেমনি। তার পিতা মাতার মাঝে বিচ্ছেদের পর তিনি পিতার পক্ষই নিয়েছেন। আলাপে সালাপে তিনি বলেছেন, তিনি প্রায়ই হতাশায় ভোগেন এবং এজন্য তাকে ঔষধও সেবন করতে হয়। ইমা প্রস্তাব রাখলেন, আমাদের এ সাময়িক বন্ধুত্বকে স্মরণ রাখার জন্য আমরা সবাই মিলে একটা গ্রুপ ছবি তুলতে পারি কিনা। আমরা সবাই সানন্দে রাজী হ’লাম। কোন বাছ বিচার না করে একটা জায়গায় সবাই জড়ো হ’লাম। সর্বকনিষ্ঠ রোযালী বললো, সে একটা সেলফী তুলে সবাইকে পাঠাবে। বয়স হিসেবে স্বভাবসুলভ তার দ্বিতীয় প্রস্তাব, ছবি একটা হবে স্বাভাবিক পোজে, আরেকটা হবে “ক্রেজী পোজ” এ। তার দ্বিতীয় প্রস্তাবটার কথা শুনে আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। তাকে জিজ্ঞেস করেই বসলাম, “ক্রেজী পোজ” টা আবার কী? তিনি হেসে একটু অঙ্গভঙ্গী করে দেখালেন। বুঝলাম,“ক্রেজী পোজ” কথাটার অর্থ To make a face, অথবা ইংরেজরা যাকে বলে To pull a face। ও তিন সেকেন্ডের টাইমার সেট করে সবাইকে “ক্রেজী পোজ” দিতে বললো। ওর কান্ড দেখে আমার হাসি চাপতে চাপতেই ক্যামেরা ক্লিক হয়ে গেল।

ছবি তোলার পর রোযালী তার একটা বড় চকোলেট এর প্যাকেট খুলে সবার সামনে মেলে ধরে চকোলেট তুলে নিতে অনুরোধ করলেন। আমরা সবাই একটা একটা করে কিটক্যাট চকোলেট তুলে নিলাম। ইমার প্রস্তাব অনুযায়ী আমরা কার বয়স কত হবে, তা গেস করতে থাকলাম। শেষে দেখা গেল ২/১ বছরের ব্যবধানে আমি ও আমার স্ত্রী মোটামুটি ঠিকভাবেই ওদের বয়স আন্দাজ করতে পেরেছি। আর আমাদেরকে খুশী করতেই কিনা, ওদের আন্দাজটা ছিল আমাদের আসল বয়সের চেয়ে দশ বছর কম, উভয়ের ক্ষেত্রে। ইমা আমার পেশা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলো। আমি গেস করতে বললাম। ইমা বললো ডিপ্লোম্যাট। কিয়াল বললো সায়েন্টিস্ট (ফারদেস্ট ফ্রম ট্রুথ!) আর রোযালী বললো প্রফেসর!

এরই মধ্যে চায়না সাউদার্ন এর একজন স্টাফ এসে মীল বক্স দিয়ে গেল। কিয়াল ও ইমা খেতে বসে গেলেন, কারণ ওনারা সবার আগে চলে যাবেন। মাগরিব এর নামায পড়ে উঠে দেখি লস এঞ্জেলিসগামী দুই মহিলাও খেতে বসেছেন। আমরাও বসলাম। খাওয়া শেষে আবার টুকটাক গল্প। এর মধ্যে নতুন কিছু যাত্রী এলেন, তারা আমাদের থেকে দূরে দূরে থাকলেন। মনে হলো, চেয়ার ছেড়ে, মাস্ক, গ্লাভস খুলে আমাদের কারো কারো মেঝেতে বসে গল্প করা দেখে ওনারা অবাক হলেন। এর মধ্যে একজন মহিলা একত্রে দুটো চেয়ার মিলিয়ে সটান শুয়ে পড়লেন। রাত সোয়া আটটায় চায়না সাউদার্ন এর একজন স্টাফ এসে কিয়াল ও ইমাকে ডেকে নিয়ে গেলেন তাদের বোর্ডিং গেইটের দিকে। হাই, বাই, বলে ওরা চলে গেল, ওদের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে কিছুটা বিষণ্ণ বোধ করলাম।

রাত নয়টায় আবার চায়না সাউদার্ন এর একজন স্টাফ এলেন। একই ড্রিল। নাম ডেকে পাসপোর্ট চেক করে, সাথে করে বোর্ডিং গেইটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সেখানকার স্টাফের কাছে হস্তান্তর করা। লস এঞ্জেলিসগামী দুই মহিলাও আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে ওদের সাথে চলে গেলেন। ওরা চলে যাবার পর, ওরা যেখানে চাদর বিছিয়ে শুয়েছিলেন, রোযালী সেখানে তার ব্যাকপ্যাক খুলে তার শোয়ার আয়োজন করতে থাকলেন। আমরা থেকে গেলাম আমাদের জায়গায়, ওর কাছাকাছি। কিছুক্ষণ পর শুয়ে শুয়ে দেখলাম প্রথমে কিয়ালদের প্লেনটা উড়ে গেল, তার পরে ওদেরটা। উভয়কে মনে মনে বললাম, “বন ভয়াজ”!

পরেরদিন সকালে উঠে আমি লাউঞ্জেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করলাম। মাঝে মাঝে থেমে গরম পানি খেয়ে আসি, পিপাসার কারণে নয়, করোনা প্রতিরোধক সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে। তারপর আশে পাশের বিপণিগুলোতে একটু ঢুঁ মারতে গেলাম। উদ্দেশ্য কোন খাবারের দোকান পাওয়া যায় কিনা তার খোঁজ করা। হাঁটতে হাঁটতে একটা চীনা রেস্তোরাঁ পেয়ে গেলাম। সেখানে বীফ-নুডল এবং স্যুপ পাওয়া যাবে ৫৮ ইউয়ানে। তুলনামূলকভাবে দাম বেশী বলে মনে হলো না। আমি প্রওন স্যুপ কিংবা ভেজিটেবল স্যুপ পাওয়া যাবে কিনা জিজ্ঞেস করলাম। উত্তর পেলাম নেতিবাচক। আমার প্রশ্ন শুনে দোকানী বুঝে গিয়েছিল আমার সন্দেহটা কোথায়। সে নিজ থেকেই বললো এটা হালাল দোকান। আমার মুখে বিস্ময়ের ভাব দেখে সে তার দোকানে রাখা হালাল সার্টিফিকেট দেখালো। আমি অনেকটা আশ্বস্ত হলাম। বললাম, বিকেলে আমার স্ত্রীসহ এসে স্যুপ আর বিফ-নুডলস খেয়ে যাবো।

এরপরে একটি স্টোরে ঢুকে খোঁজ করলাম অরেঞ্জ জুসের। সবাই বলছে ভিটামিন-সি খেতে হবে। অরেঞ্জ জুসে সেটা পাবো বলে ধারণা করলাম, জুস পেয়েও গেলাম। ফ্রীজ খুলে তিনটে অরেঞ্জ জুসের বোতল কিনে আবার ট্রানজিট এলাকায় ফিরে এলাম। এসে দেখি গিন্নী চেয়ারে বসে আছে, আর তার পায়ের কাছে মেঝেতে বসে রোযালী গল্প করছে। মনে হলো যেন মা ও মেয়ে গল্প করছে। আমি এসে সে গল্পে যোগ দিলাম। রোযালী বিভিন্ন দেশে তার ভ্রমণের গল্প করছে। ফাঁকে ফোঁকরে সে তার পরিবার সম্বন্ধেও কিছু ধারণা দিয়ে যাচ্ছে। ওরা এক ভাই এক বোন, ভাইটা ওর ছোট। মা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু এখন শিক্ষকতা করেন না। শিক্ষা সংক্রান্ত কিছু সামাজিক কাজের সাথে জড়িত আছেন। বাবার পেশার কথাও কি যেন একটা বলেছিলেন, কোন এক কোম্পানীতে, কি কাজ সেটা ভুলে গিয়েছি। ফরাসী বংশোদ্ভূত ওরা দুই জেনারেশন ধরে পুরোপুরি কানাডিয়ান।

ইত্যবসরে অসম বয়সী এবং ভিন্ন দৈহিক কাঠামোর এক দম্পতি এলেন নতুন ট্রাঞ্জিট যাত্রী হিসেবে। ওনারাও যাবেন লস এঞ্জেলিসে। পুরুষজন লম্বা, লালচে ফর্সা, সুঠামদেহী, বয়স সত্তরের উপর, কিন্তু ফিট লুকিং।। তার সাথের মহিলা দেখতে আমাদের যে কোন এক বাঙালি নারীর মত, মধ্যবয়সী। গড়-মাঝারি উচ্চতার, শ্যামবর্ণের। আসার পরেই সেই যে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন, ঘুমিয়েই থাকলেন। ভদ্রলোকের সাথে টুকটাক কথা হলো। তিনি জানালেন, তিনি থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। সাথের মহিলা একজন ক্যাম্বোডিয়ান, তার স্ত্রী। ক্যালিফোর্নিয়ায় চায়না সাউদার্ন এর সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় ওনারা লস এঞ্জেলিস হয়ে যাচ্ছেন। পেশায় তিনি একজন সাইকোলজিস্ট এবং তার স্ত্রী একজন সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার। ভদ্রলোক চমৎকার ইংরেজী বলেন, অনেকটা ‘ভয়েস অভ আমেরিকা’র ইংরেজী অনুষ্ঠানের বক্তাদের/সঞ্চালকদের মত- পরিস্কার এবং স্পষ্ট। মৌখিক কথাবার্তায় তিনি এমন চমৎকার শব্দ চয়ন করে কথা বলেন যে শুনে মনে হয় কোন সাহিত্যসভায় বসে আছি। আমি একজন ফ্রীল্যান্স রাইটার, এমন পরিচয় পেয়ে তিনি এপ্রিশিয়েট করলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন কী কী বিষয়ের উপরে লিখি। অন্যান্য বিষয়ের সাথে মাঝে মাঝে কবিতাও লিখি, এবং একটি ইংরেজী কবিতার ওয়েবসাইটে আমার দুই শতাধিক কবিতা প্রকাশিত আছে, একথা জেনে তিনি বললেন, “ও, ইউ রাইট পোয়েট্রী? ওহ দ্যাটস দ্য ডীপেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ অভ হিম্যান সৌলস”!

বেলা বারটায় লাঞ্চ এলো। লাঞ্চের পর রোযালী তার জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে, যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে বসে থাকলেন। মাঝে মাঝে একে ওকে ফোন করছেন। মাঝে মাঝে একটা বই পড়ছেন। এর আগে আলাপের এক ফাঁকে তিনি ঐ বইটার সম্বন্ধেও একটু আলোকপাত করেছিলেন। বই এর বিষয়বস্তু ছিল ফিলোসফি। অবশেষে বেলা দুইটায় ওনারও যাওয়ার পালা এলো। চায়না সাউদার্ন এর একজন স্টাফ এসে ওনাকে নিতে এলেন। উনি উঠে দাঁড়ালেন, আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আমাদেরকে মিস করবেন, এ সুন্দর সময়টাকে মিস করবেন। এ কথা বলে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। একটু পরে দেখলাম, আড়াইটার প্লেন ঠিক তিনটা দশে রোযালীকে নিয়ে উড়ে গেল আকাশপানে, ভ্যাঙ্ক্যুভারের পথে। আবারও মনে মনে বলে উঠলাম, বন ভয়াজ!!!!


ঢাকা
০৮ এপ্রিল ২০২০
শব্দ সংখ্যা, ১১২৮

(আগামী পর্বে সমাপ্য)


গুয়াংঝু, চীনের বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘ যাত্রাবিরতিতে আটকে পড়া সাতজন ট্রানজিট যাত্রী... প্রতিকূল সময়ে অনুকূল ভাবনায় সহযাত্রী।


রোযালী প্রস্তাবিত "ক্রেজী পোজে" আমরা।


খুঁজে পেলাম ভিটামিন সি- এ সময়ে ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য যার বড় প্রয়োজন।


ভ্যাঙ্কুভারের পথে রোযালী

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪২

সোহানী বলেছেন: অস্থায়ী বসতের বর্ননায় ভালোলাগা।

ছবিতে সুপার লাইক।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য, প্রথম প্লাস, ভালোলাগা, সুপার লাইক - এ সব কিছু পেয়েই প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
কিন্তু তবুও মনে হলো, পোস্টটা বোধ হয় একটু ব্যস্ততার ভেতরেই পড়ে গেলেন!
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!!

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: “ও, ইউ রাইট পোয়েট্রী? ওহ দ্যাটস দ্য ডীপেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ অভ হিম্যান সৌলস”!

আমি কখনোই খুব আয়োজন করে বিদায় নিতে পারি না , ভীষণ কষ্ট হয়। যদিও আপনাদের এই বিদায় ছিল নিজে গৃহে, নিজের পরিজনের কাছে ফিরে যাওয়ার আনন্দের; তবুও এই স্বল্প সময়ের বন্ধুতা সমস্ত জীবনের সুখ স্মৃতি হয়ে রইলো নিঃসন্দেহে।

ছবিটা অনেক কিছু' ই বলে দেয় - বলে আপনাদের পারস্পারিক বন্ধুতা, মমত্ববোধ উচ্ছ্বাস হয়ে ফুটে উঠা !
আপনাদের বলে দেয় দীর্ঘ অনিশ্চয়তার পরে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারার আনন্দের গল্প !
ছবি 'টা বলে ধূসর, বিপদসংকুল পথের সহযাত্রীদের আত্মীয় হয়ে উঠের গল্প।

একটা কথা না বলে পারছি না, ছবিতে বোঝা যাচ্ছে ভাবি আপনার চাইতে অনেক বেশি স্মার্ট :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ।
তবুও এই স্বল্প সময়ের বন্ধুতা সমস্ত জীবনের সুখ স্মৃতি হয়ে রইলো নিঃসন্দেহে। - হ্যাঁ, নিঃসন্দেহেই।
ছবি 'টা বলে ধূসর, বিপদসংকুল পথের সহযাত্রীদের আত্মীয় হয়ে উঠের গল্প - খুব সুন্দর করে বলেছেন এ কথাটা। ধন্যবাদ।
আর শেষের সত্য কথাটা সাহস করে বলেই ফেলেছেন, এ জন্যেও ধন্যবাদ। :)
আমি যেটুকু স্মার্ট হতে পেরেছি, সে তো তার জন্যেই!!!

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লেখা এবং ছবি দুটোই সুন্দর হয়েছে। +++ আপনার লেখা ইংরেজি কবিতাগুলো পড়ে দেখতে মন চাইছে। আশা করি লিংক দিবেন। আমিও ভাইরাসের কারণে অনিশ্চয়তায় আছি পরীক্ষা নিয়ে। দোয়া রাখবেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা না পিছিয়ে কোন উপায় ছিল না। পরীক্ষা যখনই হোক, আপনার পরীক্ষাটা যেন ভাল হয়, সে দোয়া অইলো।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা---

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম এ পোষ্ট টা পড়েছি। পরে দেখলাম নতুন পোষ্ট।

প্লেনের ছবিটা এত ঘোলা আসার কারন কি?

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্লেনের ছবিটা এত ঘোলা আসার কারণ ছবিটা চলন্ত অবস্থায় তাড়াহুড়া করে তুলেছিলাম।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি যেটুকু স্মার্ট হতে পেরেছি, সে তো তার জন্যেই!!!
ওরে এ !!! আপনি টু কিউট ভাইয়া :)

আমি মনে হয় সবাই কে চিনে নিয়েছি ছবিতে ; আপনার বর্ণনা অতটাই মিল ছিল যে খুঁজে নিতে কষ্ট হয়নি ।

সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবির সবাইকে চিনতে পেরেছেন জেনে খুশী হ'লাম। পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমন কাহিনি আমাকে বিপুল আনন্দ দেয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাহলে আরো বেশী বেশী করে ভ্রমণ কাহিনী পড়ুন, এবং নিজে যখন যেখানে ভ্রমণ করেন, তা নিয়ে লিখুন।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
আমার দৌড় কক্সবাজার, বান্দারবন পর্যন্ত।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার দৌড় কক্সবাজার, বান্দারবন পর্যন্ত - সেগুলো নিয়েই পোস্ট লিখুন। আমার কাছে সাজেক ভ্যালী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জমা হয়ে আছে। গুছিয়ে লেখার সময় পাচ্ছি না।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

করুণাধারা বলেছেন: ইদানিং আপনার চমৎকার রচনাগুলো পড়ছি, কিন্তু মন্তব্য করার জন্য আর লগ ইন করা হচ্ছে না। আজ ঠিক করেছি যাহোক কিছু লিখব।

ভালো লাগছে অচেনা মানুষের সাথে আপনার মাধ্যমে পরিচিত হতে। কেন জানিনা, স্থানের বৈচিত্র্যর থেকে মানুষের মাঝের বৈচিত্র্য আমাকে বেশি টানে...

এটা পড়তে পড়তে আপনার কাশ্মীর ভ্রমণ থেকে ফেরা মনে পড়ছিল। সেসময়ও খুব সহজে ফেরা হয়নি।

আপনাকে একটা জিনিস জিগ্যেস করবার আছে। আপনি একটা পোস্ট কবে লিখেছিলেন, এক বিয়ে বাড়িতে (সেনা মালন্চে) একজন অতিথি এস্কেলেটরের উপর হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তারিখটা কি ছিল ২৯ ডিসেম্বর? গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর আমি চিন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক বিয়েতে গিয়েছি, এস্কেলেটরে উঠতে উঠতে কেন জানি না আপনার কাহিনী মনে পড়ল আর মনে হলো আপনার কাহিনীর পুনরাবৃত্তি হবে!! পুরো সময়টা ভয়ে ভয়ে কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত কিছু হল না দেখে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।

এখন যে সময়টা পার করছি তা অনেকটা ঐ বিয়ে বাড়িতে পার করা সময়ের মতোই। দোয়া করছি এবারো যেন শেষ পর্যন্ত হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে পারি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু মন্তব্য করার জন্য আর লগ ইন করা হচ্ছে না - আপনার অনুপস্থিতিটা লক্ষ্য করেছি এবং সে নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তাও ছিল, বিশেষ করে যখন কারো একটা পোস্টে আপনার মন্তব্যে জানতে পারলাম যে আপনি একজন এ্যাজমা রোগী। যাহোক, আজ এখানে আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো।
এটা পড়তে পড়তে আপনার কাশ্মীর ভ্রমণ থেকে ফেরা মনে পড়ছিল। সেসময়ও খুব সহজে ফেরা হয়নি - তবুও ভাল যে আমরা কাশ্মীর সফরটা শেষ করতে পেরেছিলাম। আমরা আসার মাস তিনেকের মধ্যে কাশ্মীরকে অবরোধ করে রাখা হয় এবং কাশ্মীরী জনগণের উপর অত্যাচারের স্টীমরোলার নেমে আসে। অনেক পর্যটক আটকা পড়ে যায়, বাকীরা দলে দলে নিজ দেশে ফিরে যায়।
একজন অতিথি এস্কেলেটরের উপর হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গিয়েছিলেন - প্রকৃত ঘটনাটি ছিল, এস্কেলেটরের উপরে থাকতেই তার হার্ট অ্যাটাক শুরু হয় এবং তিনি মারা গিয়েছিলেন টেবিলে বসার পর। যিনি মারা গিয়েছিলেন, তিনি আমার বন্ধু ছিলেন।
আর হ্যাঁ, আপনি তারিখটাও ঠিকই মনে রেখেছেন। সেটা ছিল ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬। লেখাটি পাওয়া যাবে এখানেঃ হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: সাত জনের ছবিটা দেখে মনে হলো পারিবারিক ছবি। সময় প্রতিকূল হলেও ভাবনা অনুূকূল থাক।
সামরিক বাহিনীতে আপনার কমিশন গ্রহনের বছর জানা থাকায় আপনার বয়স অনুমান করতে পারি, নতুবা অধিকাংশ লোকের জন্যই ঠিক বয়স অনুমান করা শক্ত হবে। ভাবির বয়সও চল্লিশের কাছাকাছি মনে হয়।

চিনা এয়ারপোর্টে হালাল খাবার পাবার খবরটি বিস্মিত করলো। ইন্দিনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে , এমনকি ২৫% মুসলমান অধ্যুষিত ভারতেও, এই সুবিধা দেখি নি।
আপনার কাছে কি চিনা কারেন্সি ছিলো?

মৃত্যুর খবর ভালো লাগে না। তবে করুণাধারা আপার কথায় মনে পড়ে গেল, অনেক দিন ধরেই আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করবো ভেবেছি, জেনারেল গোলাম মওলা সাহেবের সাথে কি কর্ম সূত্রে আপনার পরিচয় ছিলো?
৯৯-২০০০ সালের লাগাতার হরতালের সময়ে আমার পোস্টিং ছিলো লালাসরাই। উনি সে সময় পোস্ট অফিস রোডে থাকতেন। ওনার মেয়ে আমাদের সহকর্মি হবার কারণে, হরতাল থাকলেই সেদিন ওনার বাসায় আমাদের (সেনানিবাস এলাকায় আমাদের সহকর্মিদের কধ্যে পাঁচ জনের পোস্টিঙ ছিলো) অলিখিত লাঞ্চের দাওয়াত থাকতো। আমাদের মধ্যে দুজন ছিলো একটু খাদক প্রকৃতির। মিসেস গোলাম মাওলা আমাদের খাইয়ে খুব তৃপ্তি পেতেন। আমার দেখা খুব ভালো মানুষ ছিলেন দুজনেই। দুজনেই একে একে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ওনাদের চলে যাবার খবরে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আল্লাহ ওনাদের উঁচু মর্যাদা দান করুন। আমিন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ওটা অনেকটা পারিবারিক ছবির মতই হয়ে গেছে, কারণ তখনকার বিদ্যমান পরিবেশটাই ছিল পারিবারিক।
চিনা এয়ারপোর্টে হালাল খাবার পাবার খবরটি বিস্মিত করলো - আমিও যারপরনাই বিস্মিত হয়েছিলাম। তবে ওদের ব্যাখ্যা ও বক্তব্য শোনার পর আমি তা বিশ্বাস করেছিলাম। বিনা কারণে মানুষকে (চীনা হলেও) অবিশ্বাস করা অনুচিত।
আপনার কাছে কি চিনা কারেন্সি ছিলো? - খুবই আশ্চর্য বোধ করছি আপনার কাছ থেকে এ প্রশ্নটা পেয়ে। প্রশ্ন করার জন্য নয়, প্রশ্নটা যে এর আগের ৮ জন মন্তব্যকারীর মধ্য থেকে কেউ করেনি, সেজন্য। কাহিনীতে এটা একটা বড় ফাঁক ছিল, একবার ভেবেছিলাম ফাঁকটা পূরণ করে দেই, কিন্তু পরিসরের কথা ভেবে তা করিনি।
আগেরদিন বিকেলে কিয়ালকে দেখলাম দুটো মাঝারি ধরনের গ্লাসে ইন্সট্যান্ট নুডলস কিনে এনেছে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কোথা থেকে সে ওগুলো এনেছে। সে আঙুল উঁচিয়ে একদিকে দেখিয়ে বললো, ওদিকে একটা স্টোর আছে যারা ১০ ইউএস ডলারের নোট গ্রহণ করে, এর বেশী মানের নয়। হয়তো বড় নোট হলে যদি নোটটি ভুয়া হয়, তবে ওদের বড় ক্ষতি হবে এই ভেবে, অথবা ওদের সরকারের কোন বিধি নিষেধও থাকতে পারে। কিয়াল জিজ্ঞেস করলো আমার কাছে ইউএস ১০ ডলারের নোট আছে কিনা। আমি বললাম, না, আমার কাছে বড় নোট আছে। সে জানতো যে আমি মেলবোর্ন থেকে ফিরছিলাম। তাই সে অনুমান করলো আমার কাছে কিছু অস্ট্রেলিয়ান ডলার থাকতে পারে। সে জানালো, সব খরচের পর তার কাছে একটি মাত্র দশ ডলারের নোট আছে। আমার কাছে অস্ট্রেলিয়ান ডলার থাকলে সে নোটটি আমার সাথে বিনিময় করতে আগ্রহী। আমি জিজ্ঞেস করলাম, দশ ডলারের জন্য তাকে কত দিতে হবে? সে গুগল ঘেঁটে বললো, পনের পয়েন্ট সামথিং। আমার পকেটে তখনো ১১৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ছিল। আমি তাকে বললাম, তুমি যদি পয়েন্ট সামথিংটা ফোরগো করতে পারো, তবে আমি নিতে পারি, কারণ আমার কাছে ১১৫ ডলার আছে। সে সহাস্যে রাজী হয়ে গেল। ঐ দশ ডলার দিয়েই পরেরদিন স্যুপ ও অরেঞ্জ জুস কিনেছিলাম। সব কিছুই যেন কেমন করে কাঁটায় কাঁটায় মিলে গিয়েছিল।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জেনারেল গোলাম মওলা সাহেবের সাথে দূর থেকে পরিচয় ছিল। ওনাদের যুগের তুলনায় ওনারা মেধা ও মননে অনেক এগিয়ে ছিলেন। মানুষ হিসেবে খুবই ভাল ছিলেন। অত্যন্ত সহযোগিতামূলক মনোভাব ছিল তার।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৮

সোহানী বলেছেন: আসলে প্রায় প্রতিবারই আপনার লিখা যখন পড়ি তখন দেখি আমিই প্রথম। কিন্তু পড়া শেষ করে মন্তব্য লিখতে লিখতেই দেখি আমার আর প্রথম হওয়া হয় না। এবার ভাবলাম আমি প্রথম হবোই হবো B:-/ । তাই পড়ে শেষ করেই আগে মন্তব্য পোস্ট করলাম B-) । (না পড়ে কিন্তু মন্তব্য করিনি!!!!)

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এবার ভাবলাম আমি প্রথম হবোই হবো - হলেনও তাই, অভিনন্দন!
আমি জানি, আপনি কখনোই কারো পোস্ট না পড়ে সেখানে মন্তব্য করেন না। এর আগেও কোনখানে বলেছিলাম, আপনার মন্তব্য ছোট হলেও তাতে মৌলিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
কারা তেমনটি করেন, সেটা তাদের মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সেদিনেই পড়েছিলাম কিন্তু সময়াভাবে মন্তব্য করতে পারিনি। বিমান বন্দরের লাউঞ্জে হঠাৎ তৈরী হওয়া বিশ্ব পরিবারের সুখানুভূতি পড়ে বিষণ্ণ হলাম। পাঠক হিসেবে যদি আমাদের এমন অনুভূতি হয় তাহলে বাস্তবে আপনাদেরকে যে কতটা খারাপ লেগেছিল তা সহজেই অনুমেয়। টিমের প্রত্যেকেই আন্তরিক এবং প্রাণবন্ত। কিন্তু তার মধ্যেও রোজালির আচরণটি রীতিমতো মনে দাগ কাটার মতো। তাই দায়িত্বশীল বাবার ফ্রুট জুস কিনে ফিরে মায়ের পায়ের কাছে বসে মেয়ের যে কিনা এক্ষুনি বিদায় নেবে, গল্প করার ঘটনাটা পরিচয় করানো এক্কেবারে আপনজনকে ছাড়াছাড়ির মুহূর্তের মতোই বিষাদময় ঠেকেছে।
বিমানবন্দরেও হালাল খাবারের সুযোগ অভিনব লাগলো।
রোজালির কিটক্যাট পরিবেশন করার মুহূর্তটি এবং বিভিন্ন পোজের ছবিগুলিতে স্পষ্ট কতটা আনন্দদায়ক পরিবেশের মধ্যে আপনারা ঐ সময় কাটিয়েছেন।
বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে আপনার তিন ধরনের পেশা সম্পর্কে ওদের অনুমানের সঙ্গে আমিও এক মতের সঙ্গে সহমত। উল্লেখ্য ব্লগের প্রথম দিকে আপনার কমেন্টিং বা প্রতিমন্তব্য দেওয়ার কৌশল থেকে আমারও ধারণা হয়েছিল আপনি একজন ডিপ্লোম্যাট। যেকারণে প্রথম থেকে আপনার প্রতি আমি একটু আলাদা শ্রদ্ধা অনুভব করি।‌

মন্তব্য গুলির মধ্যে মনিরা সুলতানা আপু ও করুনাধারা আপু এবং মা.হাসান ভাইয়ের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।



১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিমান বন্দরের লাউঞ্জে হঠাৎ তৈরী হওয়া বিশ্ব পরিবারের সুখানুভূতি পড়ে বিষণ্ণ হলাম - আপনার এ চমৎকার মন্তব্যটি থেকে এ লাইনটিই প্রথমে উদ্ধৃত করলাম, কারণ এটি আমার খুবই ভাল লেগেছে, বিশেষ করে "বিশ্ব পরিবার" কথাটি। এ লাইনটি বলে দেয়, কতটা গভীর মনযোগের সাথে আপনি এ লেখাটি পড়েছেন।
পোস্টে গল্পচ্ছলে অনেক কথাই বলি, কিন্তু কখনো একটি কথাও মনগড়া বা বানানো নয়। এ ব্যাপারে আমি সদা সতর্ক থাকি। এই গল্পচ্ছলে বলা ছোট ছোট কথা ও বর্ণনার মধ্যেও অনেক গল্প লুকিয়ে থাকে। সজাগ পাঠকেরা সেগুলো দেখতে ও পড়তে পারেন, যেমন আপনি পেরেছেন, পারেন।
আমারও ধারণা হয়েছিল আপনি একজন ডিপ্লোম্যাট - আপনার এ ধারণাটা আংশিক সত্য।
আপনি যে তিন জনের নামোল্লেখ করেছেন, তারা সবসময় চমৎকার মন্তব্যই করে থাকেন, আপনার মতই।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: মানুষ বিপদের সময় এক হয়ে যায়।

থাকে না দেশ-জাতির বিভেদ।

আপনার সুখপাঠ্য মেলবোর্নের দিনলিপিতে তারই ছায়া।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাস রেখে যাবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম
অনেকদিন পরে আমার কোন লেখায় এলেন। আশাকরি, ভাল আছেন সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে।
শুভকামনা---

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




অনিশ্চিত বিপদ যে বয়স-রং-সংস্কৃতির সীমানা ভেঙে অচেনা মানুষগুলোকে কাছে টেনে আনে, চমৎকার উজ্জ্বল ছবি নিয়ে এ তারই গল্প।
আবার এই বিপদই যখোন অনেক চেনা মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয় তখন ছবিটা কালোমেঘে ঢাকা পড়ে থাকে!

হ্যা, ক্যালিফোর্নিয়ার সাইকোলোজিষ্ট ঠিকই বলেছেন, হৃদয়ের গভীর গোপন ভাষাই হোল- কবিতা।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনিশ্চিত বিপদ যে বয়স-রং-সংস্কৃতির সীমানা ভেঙে অচেনা মানুষগুলোকে কাছে টেনে আনে, চমৎকার উজ্জ্বল ছবি নিয়ে এ তারই গল্প - অশেষ ধন্যবাদ, গল্প পাঠ এবং তৎপরবর্তী এ মন্তব্যের জন্য। কথাটা আমাদের ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিক ছিল।
হৃদয়ের গভীর গোপন ভাষাই হোল- কবিতা - ক্যালিফোর্নিয়ার সাইকোলোজিষ্ট এর ইংরেজী কথাটার চমৎকার অনুবাদ করেছেন।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.