নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
‘লকডাউন’ এ আছি, বেশ ভালই আছি।
ডমেস্টিক রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
প্রতিদিন একই কাজ করে যাচ্ছি,
তবু ক্লান্তি নেই, কারণ-
কাজগুলো আমি খুবই ভালবাসি।
প্রতিদিন একই মুখগুলো দেখে যাচ্ছি,
তবু ভাল লাগে, বড় ভাল লাগে, কারণ-
মায়াবী এসব মুখগুলো আমি বড় ভালবাসি।
প্রতিদিন একই প্রার্থনা করে যাচ্ছি,
ক্লান্তি নেই, তবু কোন ক্লান্তি নেই, কারণ-
প্রার্থনার সময় আমি ‘আনলকড’ হয়ে যাই।
প্রভুর দয়ার শিশিরছটা নীরবে ঝরে ঝরে
আমায় সিক্ত করে যায়।
‘না চাহিতে নিরন্তর ঝরঝর বয়’,
অলখে খুলে দেয়
মনের কুঠুরির নিত্য নতুন জানালা।
দূর আকাশের অনেক নক্ষত্র উঁকি দিয়ে যায়,
সে জানালা দিয়ে মনের গহীনে প্রবেশ করে।
দোয়া চাই, দোয়া চাই, দোয়া চাই-
প্রাণহীনদের এসব প্রাণের আর্তি
সকাতরে আমার মুখে প্রার্থনার ভাষা দিয়ে যায়।
নিরন্তর সে ফল্গুধারা বয়ে যায় আমার জিহ্বায়!
ওদের কথা ভেবে মনে হয়, আমরাও যেন আছি
এক লকডাউন থেকে অন্য লকডাউনের প্রতীক্ষায়!
বাইরের জগত বলতে এখন আমার রয়েছে শুধু
অলিন্দে দাঁড়িয়ে দেখা এক টুকরো আকাশ,
আর কিছু সবুজ গাছ গাছালির মায়াবী ছায়া।
আকাশে এখন আর আগের মত ভাসমান
মেঘের মাঝে অপসৃয়মান, উড়ন্ত প্লেনের সবিরাম
আনাগোনা দেখা যায় না।
ডানাভাঙ্গা পাখির মত ওরা আজ
বডডো অনাদরে নিষ্ক্রিয়, ভূপাতিত।
ব্যালকনি’র দেয়ালে সাঁটা ফুলের টবে নীড় বাঁধা
সেই বুলবুলি দম্পতিও আজ নেই।
শাবকদের সযত্নে লালন করে ওরা উড়াল দিয়েছে
সেই সে কবে, সপরিবারে, অনন্ত আকাশে।
হয়তো নিকটের কোন নতুন তরুশাখা
আজ ওদের নতুন ঠিকানা!
‘লকডাউন’ এ সবকিছুই থিতু থাকে না,
ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে নিরন্তর, সহসাই!
ঢাকা
১৩ মে ২০২০
১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্লাস এবং প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা----
২| ১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আহ কি সুন্দর কবিতা।
সহজ সরল ভাষা। প্রানবন্ত।
১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কবিতার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৩| ১৩ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
নতুন এক ধরণের অনুভবতা।
১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৪| ১৩ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
রামিসা রোজা বলেছেন:
বন্দি জীবনের রুটিনমাফিক জীবনের কবিতা হলেও পড়ে শান্তি লাগছে । সাবলীল সুন্দর কবিতা।
১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
৫| ১৩ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি একটা তুলসি গাছ লাগিয়েছি লকডাউনে।
১৪ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: তুলসি পাতার রস সর্দি-কাশিতে উপকারী বলে জানি। এ ছাড়াও এ পাতার আরো অনেক ভেষজ উপকারিতা রয়েছে। তাই আপনি একটা ভাল কাজ করেছেন, এ কথা বলতে পারি।
৬| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রতিদিন একই প্রার্থনা করে যাচ্ছি,
ক্লান্তি নেই, তবু কোন ক্লান্তি নেই, কারণ-
প্রার্থনার সময় আমি ‘আনলকড’ হয়ে যাই।
প্রভুর দয়ার শিশিরছটা নীরবে ঝরে ঝরে
আমায় সিক্ত করে যায়।
‘না চাহিতে নিরন্তর ঝরঝর বয়’,
অলখে খুলে দেয়
মনের কুঠুরির নিত্য নতুন জানালা।
মুগ্ধতা . . .
দূর আকাশের অনেক নক্ষত্র উঁকি দিয়ে যায়,
সে জানালা দিয়ে মনের গহীনে প্রবেশ করে।
দোয়া চাই, দোয়া চাই, দোয়া চাই-
প্রাণহীনদের এসব প্রাণের আর্তি
সকাতরে আমার মুখে প্রার্থনার ভাষা দিয়ে যায়।
দারুন। আত্মজাগৃত আত্মার সবিনয় নিবেদনের নিবিষ্টতায় বুদ করে দেয়া।
সামগ্রীকতাকে সামষ্টিকতাকে একত্বে ধারন করার কায়মনোবাক্য প্রার্থনার এক অনুপম রচনা।
অন্তহীণ ভাললাগা প্রিয় সিনিয়র
+++++
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৯:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার উচ্চ প্রশংসায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং মাহে রমজানের শুভেচ্ছা!
৭| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রভুর দয়ার শিশিরছটা নীরবে ঝরে ঝরে
আমায় সিক্ত করে যায়।
‘না চাহিতে নিরন্তর ঝরঝর বয়’,
অলখে খুলে দেয়
মনের কুঠুরির নিত্য নতুন জানালা।
ভালোলাগা ++
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার কিছু পংক্তির উদ্ধৃতি আনন্দ ও প্রেরণা দিয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
শুভকামনা---
৮| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩২
সোহানী বলেছেন: লকডাউনে ডমিস্টিক রুটিনে আমি অভ্যস্থ এখনো হইনি। সারাক্ষনই কোথাও যাওয়ার জন্য মনটা আকুপাকু করছে। তবে আমার জন্য এটা এ জীবনের প্রথম এতোটা দীর্ঘ সময় সারাক্ষন বাসায় থাকা। যদিও বাচ্চাদের সাথে দারুন সময় কাটাচ্ছি আর ওদেরকে মজার মজার রান্না করে খাওয়াচ্ছি, মুভি দেখছি, বোর্ড গেইম খেলছি, পড়াচ্ছি। ওরা খুব খুশি। আর আমার মেয়ে যে এতো দুস্টামি করতে জানে তা আগে বুঝিনি, সারাক্ষনই কিছু না কিছু করে আমাকে বিজি রাখছে। এটা সত্য এতো আরামের সময় এ জীবনে আর পাবো কিনা সন্দেহ।
কবিতা খুব কম পড়ি তাই মন্তব্যও কম করা হয়।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা অস্বাভাবিক শঙ্কার সাথে বসবাস করছি। নিজের জন্য চিন্তা হয়, প্রবাসে থাকা ছেলে-বউ, নাতি নাতনিদের জন্য চিন্তা হয়, কাছে-দূরের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু সুহৃদদের জন্য চিন্তা হয়। তবুও বলবো, আলহামদুলিল্লাহ, দৈনন্দিন রুটিনে যা কিছু করছি, সন্তুষ্টির সাথেই করছি। কোন অভিযোগ নেই, সরকারী এবং সামাজিক বিধিনিষেধ মেনেই জীবন যাপন করছি।
কবিতা খুব কম পড়ি তাই মন্তব্যও কম করা হয় - কোন ব্যাপার না। এত কিছু সামলেও ব্লগে সক্রিয় রয়েছেন, এটা কম কথা নয়।
৯| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
ডানাভাঙা পাখির মতো আমাদের দিনগুলোও আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, ওড়ার চেষ্টায় কেবল আহত ডানা ঝাঁপটানোই সার!
সুন্দর এবং সত্যটাই বলেছেন - প্রার্থনা করতে হয় মনপ্রান খুলে, সব কিছু "আনলকড" করেই। প্রার্থনায় এমন ভাবে নিমগ্ন হবার ছবিটি চোখে ভাসতেই গালিবের একটি শের/শায়র মনে পড়ে গেলো--
" আঁজা হো র্যহি হ্যাঁয়, জলদ্ পিলা দে সাকী
ইবাদৎ কঁরু ম্যায় আজ মখমুর হো কর্..."
০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ডানাভাঙা পাখির মতো আমাদের দিনগুলোও আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, ওড়ার চেষ্টায় কেবল আহত ডানা ঝাঁপটানোই সার - বিদ্যমান পরিস্থিতির সঠিক প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এ দুটো লাইনে।
গালিবের শায়রির চমৎকার দুটো লাইন এখানে উপস্থাপনের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর