নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেলবোর্নের দিনলিপি-৮ ... ‘চ্যাপমান’স পয়েন্ট’ এবং ‘আরথার্স সীট’ এ কিছুক্ষণ

১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩১

এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি-৭ঃ পথ চলার আনন্দ (ছবি ব্লগ)

১০ জানুয়ারী ২০২০, সকালে আমরা ছয়জন (বেয়াই দম্পতি, ছেলে-বৌমা এবং আমরা দু’জন) বেরিয়ে পড়েছিলাম ভিক্টোরিয়া প্রদেশের (মেলবোর্নের বাইরে, কিন্তু আশে পাশের) কিছু দৃশ্য দেখতে। চ্যাপমান’স পয়েন্ট নামে একটি উঁচু জায়গায় আমরা নামলাম। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের মর্নিংটন উপদ্বীপে অবস্থিত “মাউন্ট আরথার্স সীট রেঞ্জ” যাওয়ার পথে মেলবোর্ন থেকে ৬৬ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই চ্যাপমান’স পয়েন্ট একটি “কেয়ার্ন”। ইংরেজী Cairn কথাটার অর্থ হচ্ছে ‘সীমানা নির্দেশের জন্য কিংবা কোন স্মৃতিরক্ষার্থে উচ্চভূমিতে স্থাপিত শিলাস্তূপ’। এই পয়েন্টটি চ্যাপমান নামক একটি ‘পাইওনীয়ার ফ্যামিলী’র সম্মানার্থে ১৪ ডিসেম্বর ১৯২৯ তারিখে Mr & Mrs G R Dyson কর্তৃক স্থাপন করা হয়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে ‘পোর্ট ফিলিপ বে’ এর তটরেখার নৈসর্গিক শোভা দেখা যায়। কিন্তু সেদিন আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল বিধায় আমরা সে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারিনি। তাই ওখানে আর দেরী না করে আমরা চলে আসলাম “আরথার্স সীট রেঞ্জ” এ, যার নামকরণ করেছিলেন ১৮০২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে আসা Acting Lieutenant John Murray, কারণ এ স্থানটি দেখতে তার জন্মস্থান এডিনবার্গের “আরথার্স সীট” এর মত ছিল।

“আরথার্স সীট” সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩১৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এলাকাটির সৌন্দর্য সম্যক উপভোগ করতে হলে পায়ে হেঁটে পথ চলাই সর্বোত্তম, তবে আমাদের সে বয়স এখন আর নেই। তাই আমরা সে পথ মাড়ালাম না। আর তা ছাড়া এলাকাটি সর্পসংকুল বলে সাবধানবাণী লেখা থাকতে দেখেছি। সেজন্য ঐ এলাকায় ক্যাম্পিং নিষেধ, পোষা প্রাণী নিয়ে যাওয়াও নিষেধ। হাজার বছর ধরে এলাকাটি Boonwurrung আদিবাসীদের দ্বারা অধ্যুষিত ছিল। তাদের দেয়া এলাকাটির নাম ছিল ‘Wonga’, কারণ একসময় লক্ষ লক্ষ ‘ওঙ্গা’ অর্থাৎ কবুতর সেখানে আসতো বাসা বাঁধার জন্য। এলাকাটিতে ঘন মেঘের কারণে ১৯৩৮ এবং ১৯৪২ সালে অস্ট্রেলীয় বিমান বাহিনীর দুটো বিমান পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়, এতে প্রতিবারেই চারজন করে বিমান ক্রু নিহত হয়। এলাকাটিকে প্রায়ই ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘ ঢেকে ফেলে। ঐ দুটি দুর্ঘটনার পর থেকে এলাকায় ওরকম মেঘের আনাগোনা দেখলে মানুষ সেই মেঘকে ‘শোকবাহী মেঘপুঞ্জ’ বা ‘ক্লাউডস অভ ট্রাজেডী’ বলে সম্বোধন করে থাকে। ২০১৬ থেকে সেখানে পর্যটকদের জন্য গন্ডোলা সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছি যে সেখানে দূরত্বসহ একটি দিক নির্দেশনকারী ‘কেয়ার্ন’ রয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে লন্ডন, টোকিও, নিউ ইয়র্ক, ইত্যাদিসহ বিশ্বের নানা শহর থেকে আসা পর্যটকগণ তির চিহ্নের সাহায্যে তাদের নিজ নিজ শহরের দিকচিহ্ন এবং দূরত্ব দেখে নিতে পারেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে আমরা ফেরার পথে রাই ওশেন বীচে অল্প সময়ের জন্য থামি, কারণ এই বীচটি উত্তাল ঢেউ এর কারণে রোমান্চকর সার্ফারদের জন্য একটি প্রত্যাশিত স্থান। তবে এলাকাটিতে ঘন ঘন ওঠা ধুলোঝড় প্রায়ই তাদের এ কাজে বাধ সাধে। সেখান থেকে আমরা আরেকটি বীচে কিছুক্ষণ অবস্থান করে বাড়ী ফেরার পথ ধরি।


ঢাকা
১৫ মে ২০২০
শব্দসংখ্যাঃ ৪০৫


At Chapman's Point, Victoria, Australia


At a cairn at Mt. Arthurs Seat, from where one can find the direction and distance of some renowned cities of the world.


আহামরি কিছুই নয়, তবুও ছবিটার দিকে তাকালে মায়া লাগে.... একদিন এই পথে হেঁটেছিলাম, এই কথা ভেবে!
At Mt. Arthurs Seat, Victoia, Australia.


Direction Pointer at a cairn at Mt. Arthurs Seat, Victoria, Australia.


এই পাখিটির ডান পায়ের পাতাটি নেই। জন্মগত ত্রুটি, নাকি কোন প্রাণী বা সরীসৃপের আক্রমণে সে পায়ের পাতাটি হারিয়েছে তা কে জানে! পাখিটিকে দেখে মনে খুব মায়া হয়েছিল...
This philosopher bird was without its right toe, standing on the post on one leg. May be a congenital defect or she might have lost it to a predator's attack. Felt so much pity on her.....


রৌদ্রস্নান এবং বই পড়া, দুটোই চলছে....


পদচিহ্ন ....
Some footprints....


হয়তো নীড় বাঁধার খোজে...
May be, looking for a nest....


A visitor at Mt. Arthurs Seat, Victoia, Australia.

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি ভালো একজন ভ্রমন কাহিনী লেখক ।

১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

২| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ২:১৩

সোহানী বলেছেন: সমুদ্র দেখলেই আমার একটানে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। যদিও পৃথিবীর সব সমুদ্রই বলতে গেলে একই, তেমন ভেরিয়েশান নেই। তারপরও আমার এ রাশি রাশি জল আছঁড়ে পড়া ভালোলাগে।

ছবিতে ভালোলাগা।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: সমুদ্র ও পাহাড়, দুটোই আমাকে টানে, একেক সময় একেকটা। দুটোরই নিজস্ব ভাষা আছে- একটার সবাক, অপরটার নির্বাক।
সাগর তটে জলের আছড়ে পড়া দেখে অনেক কিছুই ভাবার আছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

৪| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ২:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: বেশ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মাউণ্ট আর্থার, চ্যাপমেন পয়েন্ট আর সমুদ্র বালুকা বেলা হাঁটা হলো আপনার সাথে।
পায়ের পাতা ছাড়া পাখিটাকে দেখে মায়া লাগল।
শেষের ছবিটা কি আপনার নাকি।

আবারও বেরিয়ে পরুন ভ্রমণে, সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই। আমিও অপেক্ষায় আছি।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: তিন মাস অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ যীল্যান্ড সফর করে আমরা গত মার্চের শেষের দিকে দেশে ফিরে এসেছি। এখন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে আছি।
পাখিটাকে দেখে আসলেই খুব মায়া লাগে। প্রথমে ভেবেছিলাম, বকের মত হয়তো এক পা উঁচু করে রেখেছে। পরে যখন হাঁটতে দেখলাম, দেখি খুঁঁড়িয়ে হাঁটছে।
৬ নং মন্তব্যে ব্লগার জাফরুল মবীন শেষের ছবিটার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। :)

৫| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৩:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মাউণ্ট আর্থার, চ্যাপমেন পয়েন্ট আর সমুদ্র বালুকায় ঘোরাঘুরি হলো। কখনো অস্ট্রেলিয়া বেড়াতে গেলে এসব স্থানে অবশ্যই বেড়িয়ে আসবো। এভাবে চমৎকার সব দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ান এবং আমাদের জন্য লিখুন। ভালো থাকুন শ্রদ্ধেয়।

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রীত হ'লাম আপনার সুন্দর মন্তব্যে এবং অনুপ্রাণিত হ'লাম প্লাস টি পেয়েও।
ভাল থাকুন সপরিবারে, শুভকামনা---

৬| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমিও ঘুরে আসলাম আপনার সাথে।আর শেষের ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই... উনি আমাদের খায়রুল আহসান ভাই =p~

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এতে অন্ততঃ একজন তার জিজ্ঞাসার উত্তর পেয়ে যাবেন। :)
ছোট্ট এ ভ্রমণে সাথী হওয়াতে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা....

৭| ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সমুদ্র আমার ভীষণ প্রিয়

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ। সমুদ্র ভাল লাগে না, এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছে।

৮| ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০৬

করুণাধারা বলেছেন: সমুদ্র তীরের প্রতিটি ছবিই খুব ভালো হয়েছে। ভালো লাগলো দেখে।

আর্থারস সীটের স্থানটি হাজার বছর ধরে আদিবাসী অধ্যুষিত ছিল বলেছেন। এখন তারা কোথায়? হাজার বছরের পুরনো আদিবাসীদের কারো দেখা পেয়েছিলেন?

স্বল্পাকার ভ্রমণ কাহিনীতে ++++

২১ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সমুদ্র তীরের প্রতিটি ছবিই আপনার খুব ভালো লেগেছে জেনে প্রীত বোধ করছি। স্বল্পাকার ভ্রমণ কাহিনীতে ++++ - এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। পোস্টে একজন পুরনো এবং নিয়মিত পাঠক কে পেয়ে খুব ভাল লাগলো।

এখন তারা কোথায়? - এবারে মেলবোর্ন সফরকালে এ প্রশ্নটা আমার মনে বহুবার জেগেছিল, কিন্তু উত্তরটা আমার জানা নেই। ২০০১ সালেও একবার এক সংক্ষিপ্ত সফরে অস্ট্রেলিয়া এসেছিলাম এবং সেবারে দিন দশেকের মত সময়ে প্রাচীন শহর সিডনী, রাজধানী ক্যানবেরা এবং পশ্চিম প্রদেশের রাজধানী শহর পার্থ সফর করেছিলাম। সেবারে সিডনীর অনেক জায়গায় কয়েকজন মূল আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানের (এবোরিজিনাল) সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম। ওদের গায়ের রঙ মেটে, সন্ন্যাসীদের মত মুখে দাঁড়ি গোঁফ এবং মাথায় লম্বা চুল থাকে। আমার চোখে যতজন পড়েছে, তাদের বেশীরভাগই ছিল নেশাগ্রস্ত, ভিক্ষুক প্রকৃতির। অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের ইতিহাস এক করুণ ইতিহাস! ১৭৮৮ সালে যখন কিছু ব্রিটিশ সৈন্যদল এবং একজন গভর্নরের নেতৃত্বে ১১টি জাহাজ বোঝাই ৭৩৬ জন দাগী অপরাধীদের নিয়ে এক বিশাল রণতরীর বহর এসে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (যার রাজধানী সিডনী) এর বন্দরে নোঙর করেছিল, তখনই তারা মূল আদিবাসীদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটিশ সেনাদল সেদিন থেকেই তাদেরকে পাখির মত গুলি করে হত্যার নেশায় মেতে ওঠে। তাদের দুইশত বছরের কঠোর নিপীড়নমূলক শাসনে যখন আদিবাসীরা প্রায় নিশ্চিহ্ন, তখন ১৯৮৮ সালে দ্বিশত বার্ষিকী পালনের বছরে অস্ট্রেলিয় সরকার ঘটা করে "আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়" নামে নতুন একটি মন্ত্রণালয় খুলে বিশ্বকে দেখাতে চায় যে আদিবাসীদের কল্যাণে তারা কতটা আন্তরিক!

তাই আশচর্যান্বিত হই নাই, যখন এবারে মেলবোর্নে একজন আদিবাসীও চোখে পড়ে নাই। সেদিক থেকে বরং বলবো, নিউযীল্যান্ডের আদিবাসী মাউরি সম্প্রদায় অনেক বেশী সুসংগঠিত। তাদের কেউ কেউ সরকারের ব্যুরোক্রেসীতে এমন কি শিক্ষায়্তনেও উচ্চ পদে কর্মরত আছে।

দেখলেন তো, আমার স্বল্পাকার ভ্রমণ কাহিনীতে আপনার ছোট্ট একটু আগ্রহ আমার কাছ থেকে কত কথা বের করে আনলো (যা মূল পোস্টের প্রায় ৭০%)! প্রত্যেক লেখকই চায় মনযোগী পাঠক। তাই আপনার আগ্রহ প্রকাশে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

৯| ২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

শোভন শামস বলেছেন: চমৎকার সব দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ান এবং আমাদের জন্য লিখুন। ভালো থাকুন

২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আাপনার শুভেচ্ছামূলক মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। লেখার ইচ্ছে আছে, কিন্তু ছবি আপলোড করার কাজটাকে খুব ঝামেলার মনে হয়। আর তা ছাড়া কিছু ভিডিও ক্লিপ সংযোজন করতে পারলে পোস্টটা পড়তে আরো ভাল লাগতো বলে মনে করি, কিন্তু ব্লগে ভিডিও ক্লিপ কিভাবে সংযোজন করতে হয়, সে প্রক্রিয়াটি এখনো আয়ত্ত্বে আনতে পারিনি।
অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।

১০| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ৩ মাস বেড়িয়ে আসলে। ভাগ্যিস বেড়িয়ে এসেছিলে। নইলে লকডাউন শুরু হয়ে গেলে তো মহা ঝামেলায় পড়তে হত!
তবে ভ্রমন ব্লগে ছবি বা ভিডিও দিলে বেশি বেশি ভালো হয়। এই খানে ছবি দেওয়া যায় বটে তবে ভিডিও দেওয়া যায়না। ইউটিউব লিঙ্কই দেওয়া যায় শুধু। মানে আমি এমনটাই জানি।

২৩ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা যেদিন মেলবোর্ন ত্যাগ করেছিলাম, তার পরদিন থেকে মেলবোর্ন বিমানবন্দর কেবল দুই একটি দেশ ছাড়া বিশ্বের বাকি সব দেশ থেকে আগত বিমানের অবতরণের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। আবার ফেরার পথে চীনের গুয়াংঝু বিমান বন্দরে দু'দিন আটকে পড়ে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা সন্চয় করে যেদিন স্বদেশের ভূমিতে অবতরণ করলাম, ঠিক তার পরদিন থেকে বাংলাদেশে কঠোর 'লকডাউন' ঘোষিত হয়। আর বাইরে থেকে যেমনটা শুনে ভয় পাচ্ছিলাম, নিজ দেশের ইমিগ্রেশন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পেয়ে সে ভয় কেটে গিয়েছিল এবং মনে অনেকটা স্বস্তি এবং প্রশান্তি অনুভব করেছিলাম। সুতারং, দু'দিক থেকেই আল্লাহতা'লা আমাদের সুরক্ষা করেছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ!

মার্চ-এপ্রিল মাসে ধারাবাহিকভাবে আমাদের ঘরে ফেরার সেসব অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট লিখেছিলাম।

ব্লগে পুনঃ প্রত্যাবর্তন করেছেন, ভাল লাগলো তা দেখে। আশাকরি, এখন থেকে নিয়মিত থাকবেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা--- ঈদ মুবারক!

১১| ২৬ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের 'আর্থারস সিট হিল, চ্যাপমেন পয়েন্ট আর সমুদ্র তটের বিবরণ ও দৃষ্টিনন্দন ছবি দেখে মুগ্ধ ।
কারো ভ্রমন বিবরনী আমাকে বরাবরই প্রলুব্ধ করে। ভ্রমন বিবরনে থাকা বিশেষ কিছু বিষয়ের প্রতি আমি খুবই আকৃষ্ট হয়ে যাই
অনেক সময় প্রবেশ করি এর আরো গভীরে । আপনার পোষ্টের কল্যানেই সেখানে থাকা বিষয়গুলি আমাকে টেনে
নিয়ে যায় প্রসঙ্গিক কিছু জানতে । এখানেও পেয়ে গেলাম এই আর্থাস সিট মত ছোট একটি পাহারী এলাকার আদিবাসী
জনগুষ্ঠি Boon Wurrung দের কথা। জানা যায় এরা নাকি প্রায় ১০ হাজার বছরের একটি আদিবাসী জনগুষ্ঠি। এই আদিবাসীদের ইতিহাস জানার জন্য পোষ্টটি পাঠের সময় অন্তরজাল হতে পাওয়া গেল এদের বিষয়ে অনেক কথা ।
পাওয়া গেল এদেরকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর আর্ট ওয়ার্ক ,যারএকটি এখানে যুক্ত করে দিলাম ।


অর্থারস সিট হিলের প্যনরমিক দৃশ্যগুলিও অপুর্ব ।এখানে অবলিলায় পার করে দেয়া যায় দিনমান ।


সর্বোপরী পোষ্টের সর্ব নীচে থাকা এই পোষ্ট লেখকের ছবিটি আরো মনোমুগ্ধকর ।

সব মিলিয়ে জ্ঞান দানকারী কথামালা ও সুন্দর ছবি সমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৮ নং মন্তব্যে করুণাধারা ঐ এলাকার পাহাড়ি আদিবাসীদের সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলেন। আপনার এ মন্তব্যটি তাও সে জিজ্ঞাসার উত্তর হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আশাকরি, করুণাধারা পুনরায় কোনদিন এ পোস্টে এলে আপনার এ মন্তব্যটি পড়ে সন্তুষ্ট হবেন।
পোস্টটিকে আপনি "প্রিয়"তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সুবিবেচিত মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
শুভকামনা---
উপরের প্রতিমন্তব্যের এটুকু অংশ লিখে পোস্ট করতে ভুলে গিয়েছিলাম। হঠাৎ নোটিফিকেশন পেয়ে দেখি, করুণাধারা স্বয়ং পোস্টে উপস্থিত। ভালই হলো, আপনার এ মন্তব্যটার প্রতি আলাদা করে আর তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হলো না।

১২| ২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: ব্যস্ততার কারণে আগে আসতে পারিনি, এখন ধন্যবাদ জানাতে এলাম। আমার ছোট কৌতুহল মেটাতে গিয়ে আপনি আদিবাসীদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানিয়েছেন, আমার জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করে। তবে দেরি করে আসায় লাভ হলো, ডঃ এম এ আলীর চমৎকার মন্তব্যটি পড়তে পেলাম!

ধন্যবাদ বিস্তারিত ভাবে জানানোর জন্য।

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ডঃ এম এ আলীর চমৎকার মন্তব্যটি পড়ে আমি আদিবাসীদের নিয়ে আপনার সে প্রশ্নটার কথাই ভাবছিলাম। হঠাৎ নোটিফিকেশন পেয়ে দেখি, আপনি স্বয়ং পোস্টে উপস্থিত। ভালই হলো, মন্তব্যটার প্রতি আলাদা করে আর আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হলো না। আমি জানতাম, আলী ভাই এর এ মন্তব্যটি পড়ে আপনি আপনার জিজ্ঞাসার কিছুটা হলেও উত্তর পাবেন এবং সন্তুষ্ট হবেন।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.