নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
(পোস্টটা গতকালের লেখা)
গতকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর গত হয়ে গেল! মনের মাঝে আনন্দ বিষাদের বিচিত্র সব অনুভূতি খেলা করে চলছিল সেই সকাল থেকেই। এবারের রোযার মাসটা আল্লাহতা’লার অশেষ রহমতে খুব ভাল কেটেছে আমার। মনে শুধু একটাই আফসোস ছিল যে, মাসজিদে তারাবীহ’র নামায পড়তে পারিনি যা গত প্রায় তেত্রিশ বছর ধরে কখনো অকারণে বাদ পড়েনি (কোন কোন বছরে বড়জোর দু’তিন দিন হয়তো বাদ পড়েছে, তবে তা কোন বিশেষ কারণ ছাড়া নয়তো অবশ্যই)। এবারে বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রীয় নির্দেশের প্রতি অনুগত থেকে এবং ধর্মসম্মতভাবেও, তা বাদ দিয়েছি, স্বদেশে ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারীর কারণে। তা সত্ত্বেও এবারে প্রতিদিন নিয়ম মাফিক ঘরে বসেই ইবাদত বন্দেগী করেছি, রোযার অনুশাসনসমূহ যথাসম্ভব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চেষ্টা করেছি। বাহিরে যাবার কোন তাগিদ ছিল না, ঈদের কোন কেনাকাটা ছিল না, এবং এসব না থাকাতে সময়টা যে কত সুন্দর হতে পারে, তা বুঝেছি এবং প্রাণভরে এ সুযোগটার সদ্ব্যবহার করেছি। পুরো রোযার মাসে অতীব জরুরী কাজে শুধুমাত্র দু’দিন বাসা থেকে বের হয়েছি। কারো সাথে কোন ‘ফযুল বাৎ-চিত’ করিনি, ইবাদত বন্দেগী ছাড়া যেটুকু সময় পেয়েছি, পড়াশোনা এবং লেখালেখি করেছি, স্রষ্টার সৃষ্টি ও তার বিধি বিধান সম্পর্কে ‘তাফাক্কুর’ করেছি। রোযা শুরু হবার আগে মাত্র পনের দিনের ব্যবধানে আমার দু’জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একজন বন্ধুপত্নীকে চিরতরে হারিয়েছি, তার মধ্যে একজন করোনাক্রান্ত ছিল। গত একমাসে এই রোযার মধ্যেই বেশ কয়েকজন আত্মীয় স্বজন এবং প্রাক্তন সহকর্মীকে কয়েকদিন পর পর এক এক করে হারিয়েছি। এসব নিয়ে মনের ভেতরে একটা বেদনাবোধ পুরো মাস জুড়েই ছিল। এবাদতের সময় তাদের মুখগুলো মনের পর্দায় ভেসে ওঠাতে তাদের জন্য দোয়া খায়ের করতে পেরেছি। জাগতিক চাওয়া পাওয়ার অন্তঃসারশূন্যতা মনের মাঝে পরিষ্কারভাবে প্রতিনিয়ত প্রতিভাত হয়েছে এবং প্রকৃত শান্তির উৎস অনুসন্ধানে মনকে উৎসাহিত করেছে। এসব কারণে রোযার মাস জুড়ে আমার মনে আত্মতৃপ্তি এবং সেইসাথে সন্তুষ্টিবোধ ছিল।
কিন্তু গতকাল ঈদের দিনে সকাল থেকেই মনটাতে ঠিক আনন্দ বলতে যা বোঝায় তা ছিল না। আমাদের ধর্মীয় মতে ঈদের দিনে মনটাকে খুশী খুশী রাখতে হয়, সেটা জেনেও আমি ঠিক সেভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমাকে নিরানন্দ দেখলে বাসার বাদ বাকি সবাই নিরানন্দ বোধ করবে, এই ভেবে সকালে আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করলেও, সময়মত উঠে গোসল করে তৈরী হয়ে নিলাম। আমাকে দেখে বাকি অন্যরাও তৈরী হয়ে নিলো এবং আমরা বাসার সবাই মিলে ঘরেই ঈদের নামায পড়লাম। যদিও এর আগে আমি পারিবারিক জামাতে ইমামতি করেছি, কিন্তু জীবনে এই প্রথম ইমাম হিসেবে ঈদের নামায পড়লাম ও পড়ালাম। নানান উৎস থেকে পাওয়া ভিডিও ক্লিপ দেখে এই নামায পড়ানোর নিয়মনীতিগুলো আগেই আত্মস্থ করেছিলাম, সকালে বেশ সাবলীলভাবেই তা কার্যতঃ প্রয়োগ করলাম। নামায পড়ে উঠে বাসার সবাই মিলে যথারীতি একসাথে বসে নাস্তা করলাম। নাস্তার আগে অবশ্য ঈদ-সালাম পর্ব পালিত হলো। আগে আমাকেও কেউ সালাম করতো, আমিও কাউকে করতাম। এখন দিনে দিনে আমার সালাম করার মানুষের সংখ্যাটা কমে যাচ্ছে, ঢাকায় তেমন নেই বললেই চলে।
নাস্তার পর স্বদেশে-বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু ফোনকল এ্যাটেন্ড করলাম, আবার কাউকে কাউকে নিজেই কল করলাম। এগুলো প্রতি ঈদেই রুটিন মাফিক করি। কিন্তু এবারে কেন যেন বেশীরভাগ কথাবার্তাই প্রাণহীন মনে হচ্ছিল। তবে আমার নিজের এবং আত্মীয়সূত্রে কয়েকজন নাতি-নাতনির ছবি দেখে মনটা ভাল হয়ে যায়। আরো ভাল লাগে যখন জানতে পারি, একসাথে বাবা মাকে ঘরে পেয়ে ওরা সবাই কতটা খুশী! ওদের জন্য আমরা কেমন বিশ্ব রেখে যাচ্ছি, তা ভেবে শঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। দু’বছর আগে আমাদের ভারত সফরের সময় দিল্লী থেকে নাতনি আনায়ার জন্য কিছু পোষাক কিনে এনেছিলাম, তার মধ্যে একটি ওর গায়ে বড় হবে জেনেও কিনেছিলাম ফ্রকটা পছন্দ হয়েছিল বলে। গতকাল ঈদের দিনে ওর মা ওকে সেটা পরিয়েছিল, এবং তা মানিয়েছিলও বেশ। দু’বছর পর এখন সেটা বেশ ভালভাবে ফিট হয়েছে। ওর পাঁচমাস বয়সী ছোটভাই আরহামকেও নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি পরিয়েছিল। পাজামা –পাঞ্জাবিতে পুচকোটাকেও বেশ মানিয়েছিল। ওদের ছবি দেখে মনটা ভাল হয়ে গেল।
গতকাল ফোনে সবার কথাতেই একটা শঙ্কা ব্যক্ত হচ্ছিল, এ পরিস্থিতি আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা কি আমরা গুরুত্বের সাথে ভাবছি? এই ঈদের দিনটাতেই গতকাল বাংলাদেশে করোনাজনিত মৃত্যুর সংখ্যাটা পাঁচশত অতিক্রম করে গেল! ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে যেভাবে গ্রামমুখী মানুষের গিজগিজ করে লঞ্চ/ফেরী বোঝাই করে দেশের বাড়ীতে ছোটার দৃশ্য দেখলাম, সে কথা ভেবে শঙ্কাটা আরও বেড়ে গেল। এরা হয়তো এ রোগটাকে শহর থেকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দিয়ে আসবে! ফোনে সবাই দোয়া চাচ্ছিল, আমিও চাচ্ছিলাম। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন কার দোয়া কখন কবুল করবেন, তা কেউ বলতে পারেনা। আবার কেউ যখন দোয়া চায়, তার জন্য দোয়া করাটা সাদাক্বাহ এর পর্যায়ে পড়ে। এজন্য সবসময় ময়-মুরুব্বীদের জন্য, স্নেহ-ভালবাসার মানুষদের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করা উচিত, তারা না চাইলেও। যারা আমাকে স্মরণ করে কল করেছেন, শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন, তাদের সবার জন্য রইলো আন্তরিক দোয়া এবং ধন্যবাদ, যদিও অকপটে স্বীকার করছি, আমি অনেকেরই শুভেচ্ছাবার্তার জবাব দেইনি।
দুপুরে মেলবোর্ন প্রবাসী ছেলে ও বৌমা ওদের ঈদের দিনের তৈরী বিভিন্ন ডিশের ছবি আমাদের ফ্যামিলী গ্রুপে পোস্ট করলো। এবারে ওদের এবং আমাদের ঈদ একই দিনে হয়েছে। আমরা মাত্র দু’মাস আগে ওদের বাসায় তিন মাস কাটিয়ে দেশে ফিরেছি। ওখানে থাকার সময়েই লক্ষ্য করেছি যে বৌমা রানা-বান্নার ব্যাপারে এখন বেশ আগ্রহী এবং সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছে। ওর রান্না আমার খুব ভাল লাগতো, তাই আমিও কম বেশী এ্যাপ্রিশিয়েট করতাম। এতে সে অনুপ্রাণিত হয়ে আরো নতুন নতুন আইটেম বানাতো। আজকের ডিশগুলো দেখতেও যেমন ‘দর্শনধারী’ হয়েছে, খেতেও নিশ্চয়ই তেমনি ‘গুণবিচারি’ (সুস্বাদু) হবে। এসব নানাকিছু দেখতে দেখতে এবং ভাবতে ভাবতে মোটের উপর কিছুটা আনন্দ, কিছুটা বেদনা ও কিছুটা দুশ্চিন্তা নিয়ে ঈদের দিনটা ভালই কাটালাম, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এর নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন সত্ত্বর আমাদের দেশকে ও বিশ্বকে মহামারীমুক্ত করে দেন। আমরা প্রকৃতির প্রতি অনেক অবিচার করেছি, আমাদেরকে তার মূল্য দিতে হচ্ছে। আশাকরি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাবধান হবেন এবং পরিস্থিতি সংশোধনে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
সবাই সুস্থ থাকুন, সুস্বাস্থ্যে থাকুন সপরিবারে! যতদূর সম্ভব, ঘরে থাকুন আরও কিছুটা দিন। নিজেরা ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন, অন্যদেরকেও নিরাপদে রাখুন। আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য আপনাদের সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি!
ঢাকা
২৬ মে ২০২০
শব্দসংখ্যাঃ ৯০৫
২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বোধকরি, আমার কোন পোস্টে এই প্রথম আপনার শুভাগমন! আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম! প্রায় পাঁচ বছরে মাত্র ৪৬টি মন্তব্য করেছেন, গড়ে মাসে একটিরও কম। তার মধ্যে একটি আমার পোস্টে এসেছে, এতে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু না - এ কথা ধ্রুব সত্য। এর সাথে যোগ করতে চাই, বয়স্ক হোক, তরুণ-যুবা হোক, প্রতিটি প্রাণ সমভাবে অমূল্য। আমাদেরকে প্রাণরক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। করোনায় কোন বয়স্ক লোকের প্রয়াণে অনেকের মন্তব্যে এমন ভাবটি প্রকাশ পায় বলে লক্ষ্য করেছি যে, বুড়োর তো এখন এমনিতেই মরার কথা ছিল। করোনা আসাতে সেটা একটু দ্রুত ও ত্বরান্বিত হলো, এই আর কি!
শ্বশুরেরা সাধারণত পুত্রবধূর প্রশংসা করে না - আমি যার যেখানে প্রশংসা প্রাপ্য, সেটা দিতে কার্পণ্য করি না, আমার স্ত্রীও করেন না।
পুত্রবধূ কী চাকরি করেন - উনি মেলবোর্নে একটি সরকারী কলেজে শিক্ষকতা করেন।
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই ঈদ কারো ই ভালো কাটেনি।
আগামী ঈদে সব সুদে আসলে উঠিয়ে নিব।
২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আগামী ঈদে সব সুদে আসলে উঠিয়ে নিব - এভাবে বলতে নেই!
৩| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৫
রাকু হাসান বলেছেন:
একটা মেরমেরে ঈদ পালন করলাম । তবু আলহামদুলিল্লাহ্ । পোস্টে ছবি ভালো হত । আপনার রুটিন মাফিক কাজগুলো ভালো লাগছে। আসলে বাড়ির বড়রা চাইলেও পারে না মন খারাপ করে থাকতে । বিশেষ করে বাবা,মা,দাদা,দাদু,বড় ভাই বোন । ভালো থাকবেন এবং ভালো রাখবেন সেই কামনা করছি।
২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আসলে বাড়ির বড়রা চাইলেও পারে না মন খারাপ করে থাকতে - ঠিক বলেছেন!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৪| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৪
মিরোরডডল বলেছেন: সো গুড টু নো লাস্ট ওয়ান মান্থ আপনার খুব ভালো কেটেছে । মানসিক প্রশান্তি অবশ্যই ইম্পরট্যান্ট যেটা আপনি পেয়েছেন । ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে ঈদটাও তাহলে ভালোই গেছে ।
আসলে ওভারল পরিস্থিতি বিশেষ করে আমাদের দেশের অবস্থা এখন এতোটাই খারাপ যাচ্ছে যে ব্যাক ইন মাইন্ড একটা টেনশান থাকেই ।
হোপ ফর দা বেস্ট । আরও ৪/৬ সপ্তাহ হয়তোবা এরকম যাবে ।
২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাক ইন মাইন্ড একটা টেনশান থাকেই - হ্যাঁ, সেটাতো আছেই, এবং মনে হচ্ছে আরো বেশ কিছুদিন থাকবেই।
অস্ট্রেলিয়াতে তো মনে হয় "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" উঠে যাচ্ছে শীঘ্রই, আগামি ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে। আমার মতে, দাবানল দমনে ব্যর্থতার পর অস্ট্রেলিয়ার মরিসন সরকার এবারের করোনা সমস্যাটিকে বেশ সাফল্যের সাথেই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এজন্য তারা প্রশংসার দাবীদার। তবে নিউযীল্যান্ড এর সাফল্যের তুলনায় তারা বেশ পিছিয়ে ছিল এবং আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, শুভকামনা---
৫| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বন্দি ঘরে আতংক জীবনের ঈদ।
২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, অনেকটা তাই।
৬| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৯
ওমেরা বলেছেন: ঈদের দিনলিপি ভালো লাগলো। ঈদ মোবারক
২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঈদের দিনলিপি ভালো লাগলো - অনেক ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
ভাল থাকুন, ঈদ মুবারক!
৭| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১:০৪
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: ঘর থেকে বের হয়ে মানুষেরা একদম ভালো কাজ করছেন না। আবার কিছু হর্তাকর্তারা ঘিঞ্জি বাড়িয়ে তুলছেন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঘর থেকে বের হয়ে মানুষেরা একদম ভালো কাজ করছেন না - এ কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে এর পরের কথাটা স্পষ্ট বুঝতে পারিনি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ২:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ ১ মাসের মাঝেই অর্থনৈতিক সমস্যার মাঝে পড়ে গিয়েছিলো; দেশের বেশীরভাগ মানুষ অশান্তিতে আছে।
২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশের বেশীরভাগ মানুষ অশান্তিতে আছে - অশান্তিতে আছে ঠিকই, কিন্তু দেশের বেশীরভাগ মানুষের চাল-চলন দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। অর্থনৈতিক মন্দাটাকে যদি দক্ষ হাতে সামলানো না যায়, তবে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দীর্ঘদিনের জন্য এদেশে রয়ে যাবে।
৯| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ২:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নীজের,পরিবারের,সমাজের ,দেশের সর্বোপরি বিশ্ববাসী সকলের জন্য উৎকন্ঠা ও অশংকার মাঝে এবারের ঈদ
কারো জন্যই আনন্দের হতে পারেনা । তবে জীবনতো আর থেমে নেই, গৃহবন্ধী থেকেও ঝুঁকি নিয়ে অনেককেই
জীবন জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে । ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য সহায়ক অত্যাবশ্যকিয়
উপদানের অনুপস্থিতে এবারের ঈদ কারো জন্য আনন্দদায়ক হতে পারেনা ।
তারপরেও ঘরে আমরা যে যেভাবে পারি ঈদ আনন্দ উপভোগের জন্য নীজেরাই কিছু কাজকর্ম যথা দেশবিদেশের
আত্বীয়স্বজন ও পরিচতজনের সাথে ফোনে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে আডিও/ভিডিও যোগাযোগ করেছি। আপনি্ও যে এর ব্যতিক্রম নন তা পোষ্টের লেখাতেও সুবিবৃত । বই পুস্তক পাঠসহ প্রাত্যহিক ধর্মীয় কাজের ফাকে টিভি বা অনলাইনে বিভিন্ন বিনোদনমুলক অনুষ্ঠাদি দেখাসহ ঘরে তৈরী বিবিধ ধরনর উপাদেয় তৈরী খাদ্য পরিবারের সকলে মিলে উপভোগ করেছেন ।
আমিউ করোনার হাত হতে নতুন জীবন পেয়ে ঘরে ফিরে তা বন্দি গৃহকোন হলেও যে আনন্দ অনুভব করছি তা ভাষায়
বোজানো বেশ কষ্টকর । সকলের দোয়ায় ঈদের দিনে শারিরিক দুর্বলতা অনেকটা কমে আসায় ঈদের দিনটি আমার কাছে
বেশ আনন্দদায়ক ও ফলপ্রসু হিসাবেই দেখা দিয়েছে।
লকডাওনের কারণে গৃহে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদেরকে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় দিতে পেরেছি।
টিভিতে ও অনলাইনে অনেক সুন্দর সুন্দর বিনোদন মুলক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পেরেছি। খানা দানার মেনুতেও ছিল
বেশ বৈচিত্র। দেশ বিদেশে ছড়ানো ছিটানু বন্ধু বান্ধব ,পরিচিতজন ও ছোট বড় সকল আত্মীয় সজনের সাথে ভিডিও কলে
ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেছি । করোনা আক্রান্তের কারণে বেশ কিছুদিন সামুতে বিচরণ করতে পারিনি বলে
অনেকের মুল্যবান লেখা দেখতে পরিনি । আজ মিস হওয়া অনেকের লেখা পাঠ করতে পেরেছি।অএকের পোষ্টে বেশ
বড় মাপের মন্ত্যব্যও করতে পেরেছি। আমার অনুপস্থিতির সময়ে আমার অনেক পোষ্টে করা পাঠকের বিশেষ করে
আপনার করা বেশ কিছু মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। সবমিলিয়ে এবারের ঈদটি বেশ আনন্দদায়ক ও ফলপ্রসুই হয়েছে
আমার কাছে ।
ভালথাকার শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার চমৎকার ভাবনা এবং অভিজ্ঞতার কথাগুলো এখানে শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকার শুভেচ্ছা পেয়ে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
আপনার করা বেশ কিছু মন্তব্যের জবাব দিয়েছি - আমি সময় করে খুঁজে খুঁজে পড়ে আসবো আপনার প্রতিমন্তব্যগুলো। আমাদের দুর্ভাগ্য যে নোটিফিকেশনের সমস্যাটা আর মিটলোই না।
১০| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ২:৩০
শায়মা বলেছেন: বৌমার ডিশগুলোর ছবি দিতে ভাইয়া!
আমরা দেখতাম কেমন রাঁধে সে.... খেতে কেমন!!!!!
২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিগুলোর মালিক আমি হলে এক্ষণই দিয়ে দিতাম! তবে এসবের প্রস্তুতি এবং পরিবেশনায় আপনার কাছাকাছি যাওয়াটা সকলের জন্য সহজসাধ্য নহে!
পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
১১| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকাল নেট সমস্যার কারণে পড়লেও মন্তব্য করতে পারিনি। যদিও আমার কমেন্ট আপনাকে বিকল্প উপায়ে পৌঁছে দিয়েছি।
পোস্টে ভালোলাগা। আমি নিজে কয়েকন মিলে ছাঁদে নামাজ আদায় করেছি।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, বিকল্প উপায়ে প্রেরিত আপনার মন্তব্যটি আমি পড়েছি এবং প্রীত হয়েছি। প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ার জন্য, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
আমি নিজে কয়েকন মিলে ছাঁদে নামাজ আদায় করেছি - ভাল করেছেন। আপনার বাসা থেকে মাসজিদ কত দূরে?
১২| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খাইরুল আহসান ভাই,
আমার মনে হয় - এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না আমরা পৃথিবীর স্মরণকালের ভয়াবহ সময় পার করছি। সমস্যা এটুকু এখনকার মানুষ সম্ভবত করোনার ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন না অথবা lack of knowledge. দিন দিন জীবনে চলার পরিধি সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে বাসা আর ছাদে - এখন ছাদে যেতেও ভয় পাই। কর্মদিবস, ছুটি আর দিন রাতে এখন আর পার্থক্য নেই।
আমার ও আপনার সহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের পরিবারের জন্য দোয়া করছি পরম করুণাময় সকলের মঙ্গল করুন। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন।
২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন ছাদে যেতেও ভয় পাই - আমিও তাই। সকালে বা বিকেলে যে একটু ছাদে গিয়ে হাঁটাহাটি করবো, তারও উপায় নেই।
দোয়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---
১৩| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
পুলহ বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয় !
ফেসবুক হোক বা ব্লগ, নিট এন্ড ক্লিন লেখা পড়তে ভালো লাগে। গোছানো, নির্ভুল বানানের..। আপনার পোস্টগুলোতে সেরকম একটা ফ্লেভার পাই।
আমার এবং আমাদের জন্যও দোয়া রাখবেন। শুভকামনা !
২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা ও দোয়া।
নিট এন্ড ক্লিন লেখা পড়তে ভালো লাগে। গোছানো, নির্ভুল বানানের..। আপনার পোস্টগুলোতে সেরকম একটা ফ্লেভার পাই - অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর কমপ্লিমেন্টস এর জন্য। শুদ্ধ বানানের ব্যাপারে আমি সদা সতর্ক থাকি, তার পরেও যে দুই একটা ভুল হয়ে যায় না, তা নয়। আমিও অন্যের পোস্টে শুদ্ধ বানান চর্চা দেখতে চাই।
১৪| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আগামী ঈদে সব সুদে আসলে উঠিয়ে নিব - এভাবে বলতে নেই!
এটা আসলে মনের রাগ ক্ষোভ থেকে বলা। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন?
২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন? - জ্বী পেরেছি। তারপরেও বলতে হয়, ওভাবে বলতে নেই! আগামীর কথা একমাত্র অন্তর্যামীই নিশ্চিতভাবে জানেন।
১৫| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ব্লগার, আপনার লেখায় আরবি ফারসি শব্দের ব্যাবহার একটা বিশেষ দ্যোতনা তৈরি করে। কি কি পড়লেন, এই ছুটির মাঝে, জানালে হয়তো আমরাও ঋদ্ধ হতাম। সুস্বাস্থ্য , এবং আপনার সর্বাঙ্গীণ শুভকামনাসহ ....
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কি কি পড়লেন, এই ছুটির মাঝে, জানালে হয়তো আমরাও ঋদ্ধ হতাম - না, তেমন সিরিয়াস কোন পড়াশোনা নয়। বইমেলা থেকে কেনা সমসাময়িক কবি-লেখকদের বইগুলো কিছু কিছু করে পড়ছি। এর অনেকগুলোই অনুরোধে কেনা। কিছুদিনের মধ্যে মনজুরে মওলা সম্পাদিত বাংলাদেশের কবিতা ১৯৪৭-২০১৭ বইটি পড়া শুরু করবো বলে আশা করছি।
১৬| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো পড়তে, যেন শব্দ দিয়ে আঁকা ছোট ছোট ছবি।
আমার মনে হয় এবারের রমজান মাস আমার জীবনের সবচাইতে ভালো ভাবে পার করা রমজান মাস। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের জন্য আল্লাহ আমাদের রমজান মাস উপহার দিয়েছেন, অথচ আমরা বেশিরভাগ সময়ই নিজের আর অন্যের জন্য কেনাকাটা, ইফতারির বিপুল আয়োজন ইত্যাদি করতে গিয়ে এমাসের মূল লক্ষ্য থেকে সরে যেতাম। এবার তা হয়নি, আল্লাহকে ধন্যবাদ।
তবে ঈদের দিনটা মনখারাপ ছিল, জীবনে এই প্রথম ঈদ যেদিন মায়ের সাথে কথা বলিনি। তাছাড়াও এই প্রথম ঈদ যেদিন আমার দুই সন্তান দূরে, তাদের জন্য গভীর উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো লাগলো পড়তে, যেন শব্দ দিয়ে আঁকা ছোট ছোট ছবি - অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে।
এবারের রমজান মাসটা আপনার জীবনের সবচাইতে ভালো ভাবে পার করা রমজান মাস, এ কথা জেনে খুশী হ'লাম। আসলেই তো সত্যি কথা, বিশেষ করে আমাদের মা বোনেরা এই পবিত্র মাসে ইফতারি আর কেনাকাটার পেছনে অযথা অনেক সময় ব্যয় করে ফেলে আসল কাজের আর সময় পান না, পেলেও ক্লান্ত শরীরে সেভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন না।
আল্লাহতা'লা আপনার ক্ববরবাসী মাকে বেহেস্ত নসীব করুন এবং প্রবাসে আপনার সন্তানদেরকে সুরক্ষা করুন!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....
১৭| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: প্রচুর অভিজ্ঞতা আপনার, একে একে লিখে ফেলুন, আমরা জানি।
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী লিখছি, যখন যা মনে আসে। আমার পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
এস সুলতানা বলেছেন: এবারের ঈদ একটু ব্যাতিক্রম তবু ভালো কেটেছে ।
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই? তা জেনে ভাল লাগলো। কিভাবে ভাল কাটলো, কী কী করলেন?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৯| ২৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন: ইউ আর রাইট । অস্ট্রেলিয়ান সরকার খুব ভালোভাবে করোনা হ্যান্ডেল করেছে । অনেক রেস্ট্রিকশন ফ্লেক্সিবল করেছে কিন্তু সব পুরোপুরি ওপেন হয়নি । জুলাইয়ের আগে মনে হয়না হবে । গভর্নমেন্ট থেকে বলেছে এমপ্লয়ারের ওপর ডিপেন্ড করবে । এখনও বাসা থেকে অফিস হচ্ছে কিন্তু মাঝে মাঝেই যাই ।
আপনার মেলবোর্ন সিরিজটা পড়েছিলাম কিন্তু রাশ থাকায় সব লেখায় মন্তব্য করা হয়নি ।
ভালো থাকবেন ।
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মেলবোর্ন সিরিজটা পড়েছিলাম কিন্তু রাশ থাকায় সব লেখায় মন্তব্য করা হয়নি - কোন ব্যাপার নয়। প্রতিদিন এত এত ভাল ভাল পোস্ট আসে, কতজনের পোস্টে আর মন্তব্য করা যায়! আর ক'টাই বা পড়াও যায়!
২০| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া এই নিদানের কালে আমরা সবাই "নিরুপায়-বন্দী" এক কারাগারের পৃথিবীতে। এই বন্দীদশায় থেকেও যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন নি, লেখাটি তারই স্বাক্ষ্য হয়ে থাকলো।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন আপনি- সবাইকে নিয়ে।
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা সবাই "নিরুপায়-বন্দী" - ঠিক বলেছেন। আর তার পরের কথাটা আরো ভাল লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ, চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
২১| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা স্যার। আমার বাসা থেকে একদিকে পাঁচশ ও অপরদিকে ছশো মিটার দূরে দুটা মসজিদ আছে। তবে এখানে সব মসজিদে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। গোটা রমযান মাস থেকেই এই অবস্থা।আমি রেন্টে থাকি। আমার ঠিক দুটা বাড়ি পর একটা বাড়িতে স্থানীয় কয়েকজন মিলে তারাবী নামাজের ব্যবস্থা করেছিল। যদিও ভাড়াটিয়া হওয়াতে ওখানে জামাতে তারবী পড়ার ছাড়পত্র আমার মেলেনি। উল্লেখ্য দিল্লির নিজামউদ্দিনের ঘটনার পর আমার জানা শহরের মুসলিমরা মসজিদে নামাজ পড়া ছেড়ে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত আছে। তবে গ্রামের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমারই নিজের গ্রামে যথারীতি খতম তারবী নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওখানে ঈদের নামাজ হয়েছে সকাল ছয়টা ও সাতটায় দুটি বড়বড় জামাতের সাহায্যে। আল্লাহপাক সাথে থাকলে ওসব করোনা টরোনা কিচ্ছু হবেনা। এদের ব্যাখ্যার কাছে নিজেকে খুব অসহায় লেগেছিল সেদিন। এইমুহুর্তে রাজ্যে চল্লিশ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আসছে। জানিনা গ্রামের মানুষগুলো নিজেদের সরলতায় এবার না সুইসাইড স্কোয়াডে ঠেলে দেয়।
নিরন্তর শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে এখানে সব মসজিদে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে - আজ একটা খবরে দেখলাম, কোলকাতার মাসজিদ-মন্দিরগুলো উপাসনার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
পুনঃমন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২২| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: করোনার আগমন পূর্বেই গ্রামে আসছিলাম। ফিরতে না ফিরতে তা ভয়ংকর রূপ নেওয়ায় গ্রামেই থেকে যেতে হয়েছে। কর্মহীন না থাকার জন্য একটা প্রকল্পে হাত দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যা বেহাল দশা দেখছি তাতে পৃথিবীকে তার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে আরো কত সুদীর্ঘ সময় লাগে তা আল্লাহই ভালো জানেন।
আপনার শারীরিক অবস্থা ভালো যেন কৃতজ্ঞতা আদায় করছি সৃষ্টিকর্তার। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা তাঁর প্রিয় বান্দাকে মহব্বতের সাথেই হেফাজত করে থাকেন। এবারের ঈদ আমাদের জীবনে অনেক শিক্ষা রেখে গেলো। যদি আমরা একটু চিন্তাশীল হই তবে। মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসাই দিনশেষে বেঁচে থাকে পবিত্রতার শ্লোগান নিয়ে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সবসময়।
৩০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এবারের ঈদ আমাদের জীবনে অনেক শিক্ষা রেখে গেলো। যদি আমরা একটু চিন্তাশীল হই তবে। মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসাই দিনশেষে বেঁচে থাকে পবিত্রতার শ্লোগান নিয়ে। - চমৎকার বলেছেন আপনি এ কথাগুলো, এর সাথে আমি একমত।
সুন্দর মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২২
বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু না ।
শ্বশুরেরা সাধারণত পুত্রবধূর প্রশংসা করে না । আপনার পুত্রবধূ চেষ্টা করছে সেটাই অনেক । আপনার উৎসাহ তাকে অনেক বেশি সাংসারিক করবে । পুত্রবধূ কী চাকরি করেন