নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
এর আগের পর্বটি দেখতে পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি-১০ ... কিছু বিক্ষিপ্ত স্মৃতি
১৬ জানুয়ারী ২০২০। আজ খুব সকালে বিয়াই সাহেব এবং বিয়াইন ওনাদের ছেলের বাসা থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে চলে গেলেন, ঢাকার উদ্দেশ্যে তাদের দীর্ঘ যাত্রা শুরু করার জন্য। আমাদের সাথে বিদায় পর্ব আগেই সেরে নেয়া হয়েছিল, তাই আমরা আর বিমান বন্দরে গেলাম না। ওনারা রওনা হবার কিছুক্ষণ পরে আরমান (ছেলে) আর সানজিদা (বৌমা) আমাদের বাসা থেকে রওনা হয়ে গেল ওনাদেরকে সী-অফ করতে। ওনাদেরকে বিদায় জানিয়ে ফেরার সময় বৌমা রাস্তা থেকেই ফোন করে জানালো যে ওরা কিছু সদাইপাতি করার জন্য হান্টিংডেল যাবে। আমরাও যদি ওদের সাথে যেতে চাই তবে যেন তৈরী হয়ে থাকি। আমাদের তেমন দরকার না থাকলেও ভাবলাম, বাবা মাকে বিদায় দিয়ে নিশ্চয়ই এখন ওর মনটা একটু ভারি থাকবে। তাই ওকে সঙ্গ দেয়ার কারণেই আমরা রাজী হ’লাম এবং তৈরী হয়ে নিলাম। ওরা বাসায় ফিরে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর আমরা সবাই মিলে একসাথে রওনা হ’লাম। ছেলে নিকটস্থ সেভেন-ইলেভেন থেকে এক মাগ কফি কিনে নিল। গাড়ী নিয়ে রাস্তায় বের হলে ও সব সময় এটা করে। অনেক সময় আমরাও ওর সাথে কফি পানে যোগ দেই, কিন্তু সেদিন ঐ সময়ে আমরা আর কেউ তাতে আগ্রহী হলাম না। পথে বৌমার কলেজ- ‘ম্যাকিনন সেকন্ডারী কলেজ’ অতিক্রম করার সময় সে আমাদেরকে কলেজ টা দেখালো, আমরা সামান্য একটু সময় গাড়ী থামিয়ে গাড়ী থেকেই কলেজটার বাহ্যিক কাঠামোটা দেখে নিলাম। পুলিশের টিকেটের ভয়ে রাস্তায় বেশীক্ষণ গাড়ী থামিয়ে না রেখে সেখান থেকে হান্টিংডেল এসে আমরা গাড়ী পার্ক করলাম।
হান্টিংডেল এ বেশ কয়েকটা বাংলাদেশী মালিকের দোকান আছে। এখানে প্রায়ই অনেক বাঙালি আসে দেশী শাক-সব্জী, মাছ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনতে। বৌমা সেসব দোকানের দিকে গেল, আমাদেরকে বললো আশেপাশের জায়গাগুলো একটু ঘুরে দেখতে। আমরা হান্টিংডেল রেল স্টেশন এবং বাস পার্কিং এলাকাটা একটু ভাল করে দেখে নিলাম, যেন এর পরে প্রয়োজন হলে আমরা একাই পাবলিক ট্রান্সপোর্টে এখানে চলে আসতে পারি। যোহরের নামাযের সময় আগেই হয়েছিল। দেখলাম, সেখানে একটা মাসজিদ আছে। কিছু মুসল্লীর সাথে আলাপে জানলাম, মাসজিদটি পরিচালনার সাথে অনেক বাংলাদেশী সম্পৃক্ত আছে। নামে ‘হান্টিংডেল মাসজিদ’ হলেও প্রচলিত অর্থে সেটাকে মাসজিদ না বলে ‘নামায-ঘর’ বলাই সঙ্গত। সেটার উপরে কোন মিনার নেই, কোন মাইক নেই। সেখান থেকে মাইকে কোন আযান দেয়া হয় না। শুধু প্রতি ওয়াক্তে খালি গলায় আযান দিয়ে একজন ইমামের নেতৃত্বে জামাতে নামায পড়ানো হয়। নারীদের জন্যেও সেখানে আলাদাভাবে জামাতে নামায পড়ার সুব্যবস্থা আছে। দেখলাম, সেখানে প্রচুর সংখ্যক বাঙালি নামায পড়তে আসে। সাথে অন্যান্য দক্ষিণ এশীয়, মিসরীয়, লেবানীজ, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের এবং আফ্রিকান মুসল্লীরাও আসে। শুক্রবারে স্থান স্বল্পতার কারণে এখানে দু’বার জুম্মার জামাত অনুষ্ঠিত হয়- প্রথমবার বেলা দেড়টায় এবং পরেরবার আড়াইটায়। আমরা দু’জন সেখানে যোহরের নামায পড়ে নিয়ে ছেলে ও বৌমার সাথে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশী দোকানগুলোর দিকে পা বাড়ালাম।
ওদের সাথে দেখা হওয়ার পর ওরা জানালো যে ওদের ওখানকার কাজ শেষ, ওখান থেকে ওরা ক্লেটন যাবে, সেখানকার ‘COLES’ স্টোর থেকে কিছু কেনা কাটার জন্য। এর মধ্যে বেশ খিদে পেয়েছিল। ঠিক এক সপ্তাহ আগের বৃহস্পতিবারে বিয়াই-বিয়াইনসহ আমরা ক্লেটন এর “মান-ও-সালওয়া’ রেস্টুরেন্টে লেইট লাঞ্চ করেছিলাম। সেদিনের ‘পাপড়ি-চাট’ আর চিকেন বিহারি পরাটা রোল এর স্বাদ মুখে লেগেছিল। খিদে পাওয়াতে আমি প্রস্তাব দিলাম আবার সেখানে খেতে যাবার জন্য। আগেরবারে খুব ভাল লাগাতে একই মেন্যু নিলাম, সাথে কুলফি আর ফালুদা। আগেরবার নিয়েছিলাম ম্যাঙ্গো লাচ্ছি। তবে, এবারে পাপড়ি চাটের স্বাদ আগের বারের মত মুখরোচক মনে না হলেও, পেস্তাশিও কুলফিটা চমৎকার ছিল, এবং ফালুদাও।
বিকেলের দিকে হাল্কা বৃষ্টি শুরু হলো। বৌমার এক বান্ধবীর বিবাহ-বার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় ওদের দাওয়াত ছিল। ওরা দু’জনে চলে যাবার পর আমরাও বের হ’লাম আমাদের প্রাত্যহিক বৈকালিক/সান্ধ্য হন্টনের উদ্দেশ্যে। আকাশের অবস্থা দেখে ভেবেছিলাম, বৃষ্টি আমাদের হাঁটায় বাধ সাধবে। কিন্তু আমরাও নামলাম, বৃষ্টিও থেমে গেল! আমরা আমাদের এলাকার ওয়াকওয়ে ধরে হাঁটা শুরু করলাম। ঢাকায় থাকতে যেমন আমাদের এলাকার পুকুর পাড়ের ওয়াকওয়ে ধরে ছয় চক্কর দিলে দুই মাইল (৩.২ কিমি) হাঁটা হতো, এখানেও তেমনি আমাদের বাসস্থানের চারিদিকে প্রায় বৃত্তাকার একটা ওয়াক রুট পেয়ে গেলাম, যেটা ছয় চক্কর দিলে দুই মাইল পথ হাঁটা হয়। আমরা গল্প করতে করতে ছয় চক্কর শেষ করে ঘরে ফিরে এসে ডিনার করে নিলাম। তারপর গিন্নী যতক্ষণ তার রুটিন মাফিক ঢাকায় এবং কানাডায় ফোন করে ছেলে ও বৌমাদের সাথে তার আলাপচারিতা সেরে নিচ্ছিলেন, আমি ততক্ষণ ল্যাপটপ খুলে কিছুটা লেখালেখির কাজ সেরে নিলাম।
১৭ জানুয়ারী ২০২০। আজ শুক্রবার, পবিত্র জুম্মার দিন। মেলবোর্নে এসে এক শুক্রবারে এখানকার ‘কীজবরো (KEYSBOROUGH)’ নামক স্থানে অবস্থিত তুর্কীদের দ্বারা পরিচালিত একটি সুন্দর মাসজিদে জুম্মার নামায পড়েছিলাম। গতকাল হান্টিংডেলে অবস্থিত দক্ষিণ এশীয়দের দ্বারা পরিচালিত মাসজিদে যোহরের নামায পড়ার সময়েই মনে মনে স্থির করেছিলাম যে আজ জুম্মার নামায সেখানে পড়বো। বাসা থেকে রওনা হয়ে কফিল্ড পর্যন্ত এসে প্ল্যাটফরম বদল করে অন্য ট্রেন ধরে কি করে হান্টিংডেল আসতে হবে, তা গতকালই আরমানের কাছ থেকে ভাল করে বুঝে নিয়েছিলাম। আমার এবং আমার স্ত্রীর জুম্মার নামাযে যাবার কথা শুনে সানজিদা বললো, সে আজ ফ্রী আছে, সুতরাং সেও আমাদের সাথে যাবে। আমরা বাসা থেকে আর্লী লাঞ্চ করে হান্টিংডেল এর উদ্দেশ্যে ট্রেনযোগে রওনা হ’লাম। হাতে সময় একটু টাইট ছিল। কফিল্ড এর আগের স্টেশন Glenhuntly তে যখন ট্রেন থামলো, ড্রাইভার অভ্যন্তরীন পিএ সিস্টেমে ঘোষণা দিল যে সামনে কিছু বিপত্তির কারণে আমাদেরকে সে স্টেশনেই অনির্ধারিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটা শুনে মনে সন্দেহ দেখা দিল যে সময়মত জুম্মার নামাযে সামিল হতে পারবো কি না। ভাগ্য ভাল যে ৫/৭ মিনিট বিলম্বের পর ড্রাইভার বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আবার ট্রেন চালানো শুরু করলো, কিন্তু ধীর গতিতে। অবশেষে যখন ট্রেন কফিল্ডে থামলো, আমরা ঝটপট নেমে অপর প্ল্যাটফর্ম এর দিকে ধাবিত হ’লাম হান্টিংডেল এর ট্রেন ধরার জন্য। একটু পরে সে ট্রেনটা আসলো, আমরা সেটাতে উঠে হান্টিংডেল এলাম এবং ত্রস্তপায়ে মাসজিদের দিকে হাঁটা শুরু করলাম।
এই প্রথম এখানকার ট্রেনে একটা খারাপ জিনিস চোখে পড়লো। একটি আসনে কোন একজন যাত্রী সফট ড্রিঙ্কস পান করে খালি ক্যান টা আসনের উপরে রেখে নেমে গিয়েছিল, আরেকটি আসনে দেখলাম একটি প্লাস্টিকের খালি স্ন্যাকবক্স পড়ে আছে। সাথে সাথে সিঙ্গাপুরে দেখা মেট্রোরেলের কঠোর নিয়ম এবং আইন প্রয়োগের কথা মনে পড়ে গেল। সেখানে ট্রেনে বসে পানি খাওয়াও নিষেধ, ধরা পড়লেই জরিমানা। আবার এখানে কিছু চীনা মেয়েকে দেখেছি সম্মুখের সীটে জুতোসহ জোড়া পায়ের গোড়ালি দুটো রেখে পা নাচাতে নাচাতে নিবিষ্ট মনে স্মার্টফোনে টেক্সটিং করে যাচ্ছে। এটা সিঙ্গাপুরে করা অসম্ভব। যাহোক, আমরা মাসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকাত দাখলুল মাসজিদ পড়ার পরেই খুৎবা শুরু হয়েছিল। জুম্মার নামায শেষে আমরা বাসযোগে মেলবোর্নের বৃহত্তম শপিং মল চ্যাডস্টোন এ গেলাম। সেখানে কিছু কেনা কাটা করে এবং কফি পান করে আবার বাসযোগেই বাড়ী ফিরে এলাম।
(১৭ জানুয়ারী ২০২০ এর দিনলিপির কথাগুলো অদ্য ০৫ জুন ২০২০ তারিখে মূল পোস্টের সাথে ছবিসহ সংযোজন করলাম)
ঢাকা
০৪ জুন ২০২০
শব্দসংখ্যাঃ ৯৮৮
কফিল্ড রেলস্টেশনের ট্রেন নির্দেশিকা
গ্লেনহান্টলী স্টেশনে এসে ট্রেনের ড্রাইভার অভ্যন্তরীন পিএ সিস্টেমে ঘোষণা দিল যে সামনে কিছু বিপত্তির কারণে আমাদেরকে সে স্টেশনেই অনির্ধারিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
একটি জনপ্রিয় কফি শপ
সুস্বাদু গরম কফি
০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
সকাল থেকে রাত্রী পর্যন্ত সেদিনের দিনলিপির সাথে সাথে দিনটাকেও দেখে নিলাম। - দিনলিপিটা একটু পারিবারিক ভ্রমণ কাহিনীর মত হয়ে গেছে, তথাপি আশাকরি সেটাকে সহনীয় পর্যায়ে গণ্য করবেন। গতকাল একটু আলাদা করে পরের দিনের কিছু কথা পূর্ব দিনের সাথে প্রাসঙ্গিক বলে যোগ করলাম। কয়েকটা ছবিও সংযোজন করলাম। শুধুমাত্র পরের অংশটুকু আরেকবার পড়ে দেখলে খুশী হবো। অবশ্য এর জন্য নতুন কোন মন্তব্য না করলেও চলবে।
২| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: মসজিদে আছে অথচ আযান দেওয়া হয় না!!!! আযান দেওয়া কি নিষেধ?
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আযান দেওয়া নিষেধ নয়, তবে মাইকে আযান দেওয়া নিষেধ।
৩| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার বিদেশ ভ্রমণে পারিবারিক কথা এত বেশী থেকে যে, বিদেশ আর স্বদেশের মাঝে পার্থক্য তেমন নেই।
০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, বুঝতে পেরেছি।
৪| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খাইরুল আহসান ভাই, আপনারা কোন এয়ারলাইন্সে আসা যাওয়া করেছেন মালয়েশিয়া/ক্যাথে প্যাসিফিক/সিঙ্গাপুর? শুভ কামনা রইলো ভাই, নিরাপদ থাকুন।
০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি এ সিরিজের প্রথম পোস্টটাতে জানিয়েছিলাম যে আমার অস্ট্রেলিয়া যাবার প্রথম কারণটা ছিল সিডনীতে অনুষ্ঠিতব্য আমাদের কলেজের গ্লোবাল রিইউনিয়ন এ যোগদান করতে যাওয়া। সে উদ্দেশ্যে ড্রাগন এয়ারে ঢাকা-হংকং এবং ক্যাথে প্যাসিফিকে হংকং- সিডনী সেক্টরের (এবং একইভাবে ফেরত আসার) টিকেট ক্রয় করেছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলীয় ভিসা পেতে অনুমানের চেয়ে এক সপ্তাহ দেরী হওয়ায় আমি সে তারিখটা মিস করেছিলাম, ফলে শেষ মুহূর্তে টিকেটটা ক্যান্সেল করেছিলাম। এর জন্য অতিরিক্ত মাশুল গোণার কারণে ভিসা প্রাপ্তির পর খোঁজ করছিলাম, সাশ্রয়ী মূল্যে কোন এয়ারলাইনের টিকেট পাওয়া যায়। এভাবেই চায়না সাউদার্নে আমাদের আসা যাওয়ার টিকেট করে ফেলি।
আমার দু'বারের অভিজ্ঞতায় আমি চায়না সাউদার্ন এর সার্ভিস খুব ভাল পেয়েছি এবং সেকথা আমি আমার এই পোস্টে উল্লেখ করেছিঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে (৩) .... অবশেষে মেলবোর্নের মাটিতে!!!
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৫| ০৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
হান্টিংডেল ও ক্লেটন এ কাটানোর সুন্দর মুহূর্তগুলো
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । ওই জায়গাটা কি কিছুটা
বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ? আপনার লেখার মাধ্যমে
জানতে পারলাম অন্যান্য দেশের মুসলিমরা বসবাস করেন
এবং নামাজের জামাত দুইবার অনুষ্ঠিত হয় খুব ভালো
লাগলো এটা শুনে। আজকের দিনলিপিটা খুব ভালো
লেগেছে একদম সকাল থেকে রাত অবধি পর্যন্ত এক কথায়
চমৎকার সুন্দর একটি জীবনের দিনলিপি পড়ছি ।
আগামী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
একটা ভালো ও নিরাপদে থাকুন ।
০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওই জায়গাটা কি কিছুটা বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা? - ঠিক 'বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা' বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ খুব বেশী বাঙালি ঐ এলাকায় বসবাস করেন বলে আমার কাছে মনে হয়নি, তবে একটু দূরে অনেকেই থাকেন। ঐ এলাকায় কিছু দোকান পাট আছে যার মালিক বাংলাদেশি এবং সেখানে বাংলাদেশ থেকে আমদানীকৃত দেশি শাকসব্জী, মাছ এবং অন্যান্য রান্না সংক্রান্ত জিনসপত্র পাওয়া যায়। বাঙালিরা সেখানে এসব কিনতেই আসেন।
চমৎকার সুন্দর একটি জীবনের দিনলিপি পড়ছি - পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। গতকাল একটু আলাদা করে পরের দিনের কিছু কথা পূর্ব দিনের সাথে প্রাসঙ্গিক বলে যোগ করেছি। কয়েকটা ছবিও সংযোজন করেছি। শুধুমাত্র পরের অংশটুকু আরেকবার পড়ে দেখলে খুশী হবো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।
৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রথম মন্তব্য এখানে দিচ্ছি, কিন্তু পেছনে যেতে যেতে মেলবোর্ন ভ্রমণের বেশ কয়েকটি পোস্ট পড়া হলো। বিদেশের অভিজ্ঞতা সবসময়ই আকর্ষণ করে আমাকে।
হয়তো গ্রন্থকারে লেখলে হয়তো আবারও গোছাবেন। আপনার লেখনিতে স্বাভাবিক ধারার লেখাও ভালো লাগে।
২০০০ এর দশকে প্রশিক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুরে একমাস থাকা হয়েছে আমার। দেখেছি এতো মানুষের ভিড় নিয়েও শহরটি কত গোছানো। স্বাভাবিকভাবেই পরিচ্ছন্নতা এবং শৃঙ্খলার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে তারা এগিয়ে থাকবে।
ছয় চক্কর দিলে দু’মাইল হাঁটা হতো যে পার্কে সেখানে আমার অফিস ছিলো দশ বছরেরও বেশি। প্রায়ই বিকালে হাঁটতে যেতাম। এলাকাটিকে বড্ড মিস করি আমি। আপনি হয়তো রাজি হবে যে, বাংলাদেশের হলেও এলাকাটি সিঙ্গাপুরের চেয়ে কম সুশৃঙ্খল নয়।
০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মেলবোর্ন ভ্রমণের বেশ কয়েকটি পোস্ট পড়া হলো - অনেক ধন্যবাদ, পোস্টগুলো পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করে যাবার জন্য।
এলাকাটিকে বড্ড মিস করি আমি - আসলেই হাঁটার জন্য এলাকাটি সুন্দর এবং নিরাপদ। কিন্তু এখন করোনার ভয়ে হাঁটতে যেতে পারছি না।
সিঙ্গাপুর পরিচ্ছন্নতা এবং শৃঙ্খলার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে আছে বটে। গুড গভার্ন্যন্স থাকলে দেশের অনেক উন্নতি হয়, দেশের জন্য সরকার এবং নাগরিক, উভয়ে মিলে অনেক কিছুই করতে পারে।
৭| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৭
সোহানী বলেছেন: আপনার এবারের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ কাহিনী পড়ে একটা কথাই মনে হচ্ছে সব বিদেশের জীবন দেখি একই। আপনার সন্তানরা যে জীবন কাটায় ঠিক একই জীবন, বাজার, কফি, রেস্টুরেন্ট, পার্কিং এর টিকেট নিয়ে টেনশান, দাওয়াত............. সবই একই। শুধু স্থান ভিন্ন।
আরো ছবি যোগ হলে মনে হয় লিখাটা আরো পরিপূর্ণতা পেতো।
০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক একই জীবন, বাজার, কফি, রেস্টুরেন্ট, পার্কিং এর টিকেট নিয়ে টেনশান, দাওয়াত............. সবই একই। শুধু স্থান ভিন্ন - প্রবাসের জীবন বোধ হয় এরকমই হয়। আমেরিকাতেও অনেকটা এরকমই দেখেছি।
আরো ছবি যোগ হলে মনে হয় লিখাটা আরো পরিপূর্ণতা পেতো - আরো ছবি ছিল। কিন্তু সেগুলোতে মানুষের মুখ থাকায় বিনা অনুমতিতে দিতে পারলাম না।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে। শুভকামনা....
৮| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেকদিন পর আবার পড়লাম আপনার লেখা। আমার মনে হয়, এই সিরিজটা আরেকটু পরিমার্জনা করে বই করে ফেলাটা ভালো হবে।
০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আবার পড়লাম আপনার লেখা - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য। দেখি, ইচ্ছে আছে আমার কাশ্মীর ভ্রমণ আর অস্ট্রেলিয়া ভ্রমন মিলে একটা বই প্রকাশের। আল্লাহ ভরসা!
৯| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩১
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: ভবিষ্যতে আবার যখন অষ্ট্রেলিয়া যাবেন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে যাবার চেষ্টা করতে পারেন। সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করে যেতে পারবেন প্লাস আমরা যারা সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ সরকারের প্রফেশনাল ছাত্রছাত্রী আছি - সপরিবারে আমাদের ছোট একটি রিসিপশান নিয়ে গেলেন। আপনি ভ্রমণ উপন্যাস লিখলে খুব সুন্দর সাবলীল ভাষার উপন্যাস হবে। শুভেচ্ছা নিবেন।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, কি সুন্দর করে বললেন কথাগুলো! যুগপৎ চমৎকৃত এবং অভিভূত হ'লাম! অনেক ধন্যবাদ।
প্রথমবারে অস্ট্রেলিয়া যাবার সময় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সেই গিয়েছিলাম এবং সিঙ্গাপুরে বেড়িয়েও গিয়েছিলাম। এবারে সবকিছু একটু হযবরল হয়ে গিয়েছিল।
প্লাস আমরা যারা সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ সরকারের প্রফেশনাল ছাত্রছাত্রী আছি - সংখ্যায় আনুমানিক আপনারা কতজন হবেন? প্রত্যেকের জন্য রইলো শুভকামনা। ভালোয় ভালোয় পড়াশুনা সম্পূর্ণ করে দ্রুত প্রতিষ্ঠা লাভ করে যান!
সপরিবারে আমাদের ছোট একটি রিসিপশান নিয়ে গেলেন - এমন উষ্ণ আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ। যদি আবারো কখনো সে পথ মাড়া হয়, এবং তখনো যদি আপনি সিঙ্গাপুরে থাকেন, অবশ্যই তা ভেবে দেখবো।
আপনি ভ্রমণ উপন্যাস লিখলে খুব সুন্দর সাবলীল ভাষার উপন্যাস হবে - অনুপ্রাণিত হ'লাম আপনার এ প্রশংসা এবং সেই সাথে প্লাস পেয়ে। আবারো অনেক ধন্যবাদ!
১০| ০৯ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:২৯
তারেক সিফাত বলেছেন: 'অস্ট্রেলিয়ার পথে... অবশেষে মেলবোর্নের মাটিতে' থেকে 'মেলবোর্নের দিনলিপি' পর্যন্ত সিরিজের সবগুলো লিখা এবং প্রতিটি মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়লাম। মাঝে 'মেলবোর্নের দিনলিপিঃ ঘরে ফেরা, অনিশ্চিত পথে' সিরিজের লিখাগুলোও পড়েছি। ভালো লেগেছে। নতুন কিছু জানা হল। আশা করছি সামনে মেলবোর্নের দিনলিপির আরো পর্ব ব্লগে পাবো এবং নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ নিয়েও লিখবেন।
০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি এ সিরিজের পর্বগুলো লিখার সময় অনেকদিনই আপনার কথা ভেবেছি, কারণ আমি জানি যে আপনি যেখানেই ভ্রমণ সংক্রান্ত কোন লেখা পান, তা গোগ্রাসে গিলে ফেলেন, অর্থাৎপড়ে ফেলেন।
এ সিরিজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবগুলো লেখা পড়ে ফেলেছেন জেনে খুশী হ'লাম এবং আমার সে ভাবনাটা আরো জোরালো হলো। ইতোমধ্যে আমি আপনার মালয়েশিয়া ভ্রমণ নিয়ে লেখা তিনটে পোস্টেই মন্তব্য করে এসেছি, কিন্তু আপনি সেগুলোর কোন জবাব দেন নাই, হয়তো কোন ব্যস্ততার কারণে।
নিউযীল্যান্ড এর কথাটাও স্মরণে রেখেছেন জেনে প্রীত হ'লাম। আশাকরি অদূর ভবিষ্যতে নিউযীল্যান্ড নিয়ে লেখা পোস্টও এখানে দেখতে পাবেন।
এ পর্যন্ত পড়া ১০+৬ মোট ষোলটি পর্বের মধ্যে কোন পর্বটি আপনার সবচেয়ে বেশী ভাল (এবং খারাপ, সম্ভব হলে দুটোই) লেগেছে, তা জানাবেন।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১১| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫১
তারেক সিফাত বলেছেন: ' মেলবোর্নের দিনলিপিঃ ঘরে ফেরা, অনিশ্চিত পথে' এই সিরিজের সবগুলো লিখাই ভালো লেগেছে, এরপরে কি ঘটতে যাচ্ছে সেই ভাবনাটা ছিল সবসময়ই। ব্লগের নোটিফিকেশন ঠিক মত পাইনি, আবার নিজের লিখাগুলোও আর চেক করিনি। তাই মন্তব্যগুলো দেখিনি।
০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'মেলবোর্নের দিনলিপিঃ ঘরে ফেরা, অনিশ্চিত পথে' - ছয় পর্বের এই সিরিজটি মূল 'মেলবোর্নের দিনলিপি' সিরিজের সমাপ্তি পর্ব হবার কথা। এটি মেলবোর্ন থেকে ফেরত জার্নি শুরু করার দিন থেকে নিজ গৃহে ফেরত আসা পর্যন্ত নানান বিচিত্র অভিজ্ঞতার বর্ণনা সমৃদ্ধ একটি পোস্ট। আপনি যেহেতু সিরিজটি ইতোমধ্যে পড়ে ফেলেছেন, সেহেতু আপনি জেনে গেছেন কতটা ঘটনাবহুল ছিল আমাদের সে ফিরে আসার ভ্রমণ অভিজ্ঞতাটুকু। মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব যখন সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিশ্বের নানা দেশের বিমান বন্দরগুলোর উপর যখন একে একে প্লেন অবতরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হচ্ছিল, তখন নানারকমের শঙ্কা এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে আমরা রওনা হয়েছিলাম। আমরা যেদিন মেলবোর্ন ত্যাগ করি, ঠিক তার পরদিন থেকেই সেখানে পূর্ণ লকডাউন আরোপিত হয়। আবার গুয়াংঝু বিমান বন্দরে দুই দিন আটকা পড়ে থেকে যে রাতে দেশের মাটিতে অবতরণ করলাম, ঠিক তার পরের সকাল থেকে সারা দেশে পূর্ণ লকডাউন ঘোষিত হয়েছিল। এসব অভিজ্ঞতা জীবনে আর দ্বিতীয়বার অর্জিত হবে না। দেশে ফেরার এ বিচিত্র অভিজ্ঞতাসমূহ লেখার জন্য যদি সিরিয়াল ঠিক রেখে মূল সিরিজের শেষ লেখাটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতাম, তবে এ দীর্ঘ সময়ে স্বাভাবিকভাবেই মনের ও মগজের মেমোরী থেকে অনেক স্মৃতিই ডিলিট হয়ে যেত। তাই আর দেরি না করে ঝটপট তখন ছয় পর্বের ঐ সিরিজটি লিখে ফেলেছিলাম। যদি এ সিরিজটি বই আকা্রে কখনো বের করি, তখন ঐ ছয় পর্ব যথাস্থানে, অর্থাৎ একেবারে শেষে চলে আসবে।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ১০ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
একটি শব্দে এবং একটি চিহ্নে
প্রকাশিত ভাললাগাটুকু
রয়ে গেল মনের গহীনে।
১৩| ১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
যদি সময় পান আমার সব শেষ পোষ্টটায় একবার চোখ বুলাবেন।
এই মাত্রই লিখলাম।
১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আসসালাম!
আপনার পোস্টটা পড়ে এলাম। একটা মন্তব্যও করে এলাম। ইতোমধ্যে তো সমস্যাটির সমাধান হয়ে গেছে, তাই না? এবারে মন দিয়ে ব্লগিং করতে থাকুন নিশ্চিন্তে।
১৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার বেয়াই ও বেয়াইন সাহেবা ১৬ জানুতে চলে আসছেন মানে আপনারা কি প্লান করেই ওখানে গেছিলেন?
হান্টিংডেলে ভ্রমণ, সেভেন ইলেভেন থেকে ছেলের কফি কেনা যদিও না খাওয়া, এবং পুত্র বধুর কলেজ ম্যাকিনন সেকেন্ডারি কলেজ আট এ গ্লান্স ঘুরে দেখা নিঃসন্দেহে সুখকর।
মান-ও- সালওয়া রেস্টুরেন্টের নামটি বেশ ভালো লাগলো। নামের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবারের মান যথেষ্ট তৃপ্তিদায়ক। পানীয়ের তুলনায় পাপরি চাট আমার বেশ পছন্দের।
ভালো লাগলো ঘুরতে গিয়েও নিয়ম করে আপনাদের প্রতাহিক বৈকালিক / প্রাতঃভ্রমণটা অব্যাহত রেখেছেন দেখে। সেই সঙ্গে মুখোমুখি সময়ে বার হয়েও পরিবার নিয়ে জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়াটাও বেশ স্বস্তিকার লাগলো।
পোষ্টের এক্কেবারে শেষে ট্রেনে আসনে সফট ড্রিংকে খালি ক্যন পড়ে থাকা দেখে বুঝেছি এমন গ্রেট কর্ম একমাত্র ভারতীয়দের পক্ষেই করা সম্ভব।
নীচের ছবিগুলো ভালো লেগেছে।
পোস্টে দ্বাদশ লাইক।
@ মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইয়ের কমেন্ট ভালো লেগেছে।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনারা কি প্লান করেই ওখানে গেছিলেন? - না, তেমনটি নয়। ওনাদের এক ছেলে এক মেয়ে, উভয়েই মেলবোর্ন নিবাসী। ওনারা প্রতি বছর দুই একবার করে সেখানে ছেলেমেয়েদের কাছে বেড়াতে যান।
আমাদের এক ছেলে সেখানে থাকে। আমরা এবারেই প্রথম গেলাম। আমাদের তখনো ভিসা হয় নাই, যখন ওনারা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটা ভাল অফার পেয়ে হুট করে টিকেট করে ফেলেছিলেন। প্ল্যান করে গেলে হয়তো একই ফ্লাইটে যাত্রা শুরু করতাম, ফেরার তারিখ ভিন্ন হলেও।
ছবিগুলো ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
করুণাধারা বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আমি আগে মন্তব্য করেছি, এখন দেখছি করিনি অথচ লাইক দিয়েছি... তখনই কিন্তু পড়ে নিয়েছিলাম।
দিনলিপিতে বেশ সুন্দর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন, মেলবোর্নে না গিয়েও অনেক কিছু জানা হয়ে যাচ্ছে। সবশেষে বাসে চাইনিজ মেয়েদের যে আচরণের কথা লিখেছেন, পড়ে মনে পড়লো, শুনেছি অস্ট্রেলিয়ানরা চাইনিজ দের পছন্দ করে না, এই কোভিড কালে এটা আরো বেড়ে যাবার আশঙ্কায় সরকার এখন চাইনিজ ছাত্র-ছাত্রীদের অস্ট্রেলিয়া যেতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, আমার এ পোস্টটিতে আপনি যথাসময়ে 'লাইক' দিয়ে গিয়েছিলেন, সেটা আমি লক্ষ্য করেছিলাম। মন্তব্য করেন নি, অনেকদিন ধরে সেটাও খেয়াল করেছিলাম। কিন্তু আপনি আপনার বিভিন্ন লেখায় এবং অনেক পোস্টের মন্তব্যে বলেছিলেন, আপনার সন্তানদের নিয়ে আপনার উৎকন্ঠার কথা, করোনা ভাইরাস নিয়ে আপনার উদ্বেগ এবং মন খারাপের কথা। ধরে নিয়েছিলাম, সে কারণেই আপনি মন্তব্য করেন নাই, অথবা করতে ভুলে গিয়েছিলেন। সেজন্য আর স্মরণ করাই নি, তবে পদাতিক চৌধুরীকে আমি ঠিকই স্মরণ করিয়েছি, কারণ আপনাদের দু'জনের এবং আরও ক'জনের মন্তব্য আমি নিয়মিতভাবে আমার পোস্টগুলোতে পেয়ে থাকি।
সবশেষে বাসে চাইনিজ মেয়েদের যে আচরণের কথা লিখেছেন, পড়ে মনে পড়লো, শুনেছি অস্ট্রেলিয়ানরা চাইনিজ দের পছন্দ করে না, এই কোভিড কালে এটা আরো বেড়ে যাবার আশঙ্কায় সরকার এখন চাইনিজ ছাত্র-ছাত্রীদের অস্ট্রেলিয়া যেতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে - আহা! আপনার এই লাইনটা পড়ে আমি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে আবার স্মরণ করছি, সেই চাইনীজ মায়াবতী মেয়েটির কথা, যার কথা আমি মেলবোর্ন থেকে আমাদের বিচিত্র অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ঘরে ফেরার কাহিনীর ছয়টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে কিছুটা উল্লেখ করেছিলাম। আমার ধারণা ছিল আমার সে পোস্টটিতে আপনার মন্তব্য এবং 'লাইক' আছে, কিন্তু এখন খুলে দেখলাম, তা নেই, কারণ বোধকরি আপনি পোস্টটি পড়েন নি। আপনার সুবিধার্থে সেই পোস্টটির লিঙ্ক দিলাম এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপিঃ ঘরে ফেরা, অনিশ্চিত পথে.... (২)
মোনাশ ইউনিভার্সিটির সেই সাহায্যকারী মেয়েটির কথা আমি বাকি জীবনে কখনো ভুলতে পারবো না। তিনি তখন আমার কাছে স্রষ্টা প্রদত্ত সাহায্যকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এত বড় বিপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা ওনার নামটিও জানা হয়নি। শেষ বিদায়টুকুও ভাল করে নেয়া হয়নি। চোখের শেষ পলকে দেখার সময়ও মনে হয়েছিল, উনি আমাদের শেষ বৈতরণীটা সাফল্যের সাথে পাড় হওয়াটা দেখার আশায় দূরে বসে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। স্রষ্টা তাকে আজীবন সুরক্ষা করুন, সকল বিপদাপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখুন!
এখন চাইনীজদেরকে যে যাই বলুক, আমার চোখে এই এক নারীই চীনাদের প্রতীক। মহত্বের প্রতীক। একজন ব্যক্তি কি করে তার দেশকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করাতে পারে, তার প্রতীক! সেও 'লকডাউন এর কারণেই বাড়ী ফিরেছিল। জানিনা, এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সে মোনাশে ফিরে যেতে পেরেছে কি না!
পোস্ট বহির্ভূত একটি ভিন্ন প্রসঙ্গে মন্তব্যটি একটু দীর্ঘ হয়ে গেল! আশাকরি, সয়ে নেবেন।
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৫
জুন বলেছেন: জুমার নামাজ পড়ার জন্য যে কষ্ট করলেন তার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনার সকল সমস্যা যেন দুর করে দেন।
চাইনিজরা বিশেষ করে ট্যুরিস্টদের আচরণ আমার মতে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এবিষয়ে আমার যথেষ্ট খারাপ অভিজ্ঞতা আছে। আর কিছু ভারতীয় পর্যটকদেরও দেখি এত উচ্চ স্বরে কথা বলা, দোকানীদের ধমক, খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি। নিজেদের যে কি মনে করে আল্লাহ মালুম। হয়তো তাদের কাছে এটা স্মার্টনেসের লক্ষন।
আপনি সিংগাপুরের কথা বলেছেন আর আমি দেখেছি থাইল্যান্ডে। স্কাই ট্রেন, মেট্রোরেলে খাবার খাওয়া নিষেধ। ধরলে মোটা অংকের জরিমানা। আমাদের কন্ডোতে করোনা কালে এক ছেলে লিফটের বাটন চাপ দেয়ার জন্য রাখা টিসু লিফটের ভেতর ফেলেছিল। সিসি ক্যামেরায় দেখে চিনহিত করে তার পোস্টাল বক্সে ২ হাজার বাথ জরিমানার চিঠি দিয়ে আসলো কর্তপক্ষ। এবং এটা সে দিতে বাধ্য। ২ হাজার বাথ কিন্ত ওদের জন্য বেশ ভালো অংকের টাকাই। যাই হোক আপনার কফি ল্যাতের দিকে তাকিয়ে একটা দ্বীর্ঘশ্বাস ফেল্লাম। ল্যাতে আমারও প্রিয়।
+
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: বরাবরের মত আমার এ লেখাটা য়াপনি মনযোগ দিয়ে পড়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ।
চীনা আর ভারতীয় পর্যটকদের সম্বন্ধে যা বলেছেন তা সত্য, আমারও অভিজ্ঞতায় সেটাই দেখেছি।
ল্যাতে আমারও প্রিয় - জেনে ভাল লাগলো।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সকাল থেকে রাত্রী পর্যন্ত সেদিনের দিনলিপির সাথে সাথে দিনটাকেও দেখে নিলাম।