নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নভোনীল এর চতুর্থ পর্ব ....

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৬

এর আগের পর্বগুলোঃ
সুচনা পর্বঃ নভোনীল (অসম্পূর্ণ লেখা) লিখেছেন রিম সাবরিনা জাহান সরকার
দ্বিতীয় পর্বঃ নভোনীল এর দ্বিতীয় পর্ব লিখেছেন পদ্ম পুকুর
তৃতীয় পর্বঃ নভোনীল (তৃতীয় পর্ব) - লিখেছেন মেঘশুভ্রনীল
পঞ্চম পর্বঃ নভোনীল-৫ লিখেছেনঃ আখেনাটেন
ষষ্ঠ পর্বঃ নভোনীল-৬ লিখেছেনঃ পুলক ঢালী


“হঠাৎ কোন কথা না বলেই নভো হাঁটতে শুরু করলো। তীব্র রোদ, পীচ ঢালা পথটা আজ বেশ তেঁতে উঠেছে”... (তৃতীয় পর্বের শেষ বাক্য)

নভোর সাথে রিক্সা শেয়ার করার ইচ্ছেটুকু পূরণ না হওয়াতে মৃন এমনিতেই একটু খারাপ বোধ করছিল। যার সাথে সে শেষ পর্যন্ত একই রিক্সায় উঠেছিল, সে তার একই বর্ষের সহপাঠী, তবে অন্য বিভাগের। আলাপ পরিচয় তেমন ছিল না আগে থেকে, নতুন করে করতেও তার ভাল লাগছিল না। তার মাথায় শুধু একটাই চিন্তা, এই তীব্র গরমে ফুটপাথ ধরে পায়ে হেঁটে নভো কতক্ষণে ক্যাম্পাসে পৌঁছাবে! প্রথম ক্লাসটা তার মিস হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই, দ্বিতীয়টাও সময়মত ধরতে পারবে কিনা সে চিন্তাটাই মনে উঁকি দিয়ে যাচ্ছিল।

রিক্সা শাহবাগ পর্যন্ত ঠিক করা ছিল, ওরা সেখানেই নেমে গেল। মৃন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একাই রিক্সাভাড়া পুরোটাই মিটিয়ে দিল। তার সহযাত্রী যথেষ্ট জোর করলো অর্ধেক ভাড়া শেয়ার করতে, কিন্তু মৃন সেকথা কানে তুললো না। সে সহযাত্রীকে বললো, পাবলিক লাইব্রেরীতে তার একটু কাজ আছে, তাকে সেখানে কিছুক্ষণ বসতে হবে। একথা শুনে সহযাত্রী হাসিমুখে বিদায় নিয়ে এবং তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একাই আরেকটা রিক্সা নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে যাত্রা শুরু করলো। মৃন পাবলিক লাইব্রেরীতে না গিয়ে চারুকলার সামনে তরুছায়ার নীচে দাঁড়িয়ে গরমে হাঁসফাস করতে করতে তার ব্যাগ থেকে ছোট্ট একটা হাতপাখা বের করে নিজেকে বাতাস করতে লাগলো। গাছের ছায়ায় ফুটপাথ দখল করে চাদর বিছিয়ে এক মামা নামী দামী গল্প উপন্যাসের পাইরেটেড কপি বিক্রী করছিল। মৃন কোন কিছু না ভেবেই বিভূতিভূষণের একটা ‘পথের পাঁচালী’ হাতে নিল।

বই হাতে থাকলেও তার চোখ ঘন ঘন যাচ্ছিল শাহবাগের মোড়ের দিকে। মামার এসিস্ট্যান্ট একটা ছোকরা তাকে বারে বারে জিজ্ঞেস করছিল সে বইটা নেবে নাকি। অর্থাৎ কিনলে কিনো, নইলে বই রেখে দাও। মৃন ভাবলো, এত মোটা একটা বই হাতে রাখতে বেশ ঝামেলা হচ্ছে। তাই সে ওটা রেখে হাল্কা পাতলা আরেকটি বই হাতে তুলে নিল- ‘শেষের কবিতা’। সাধারণতঃ এসব বই যে দাম প্রথমে চাওয়া হয়, তার অর্ধেক কিংবা কোন কোন সময় এক তৃতীয়াংশ দামেও বিক্রী হয়। এ কথাটা জানা থাকা সত্ত্বেও মৃন ছোকরাটিকে চাহিদাকৃত দামের চেয়েও আরো দশটাকা বেশী ধরিয়ে দিয়ে বললো, পাশের ভ্যানের ফেরীওয়ালা থেকে দুটো আমড়া কিনে খেতে। টাকা বেশী দেয়ার আরেকটা উদ্দেশ্য, আর যেন সে এসে জ্বালাতন না করে।

এবারে তার বারে বারে শাহবাগের দিকে তাকানো সার্থক হলো। সে দূর থেকে দেখতে পেলো, হাল্কা আকাশী রঙের জীন্স এর সাথে গাঢ় নীল রঙের পোলো শার্ট গায়ে চড়ানো লম্বা একহারা গড়নের কেউ একজন আনমনে হেঁটে শাহবাগের মোড় পার হয়ে এগিয়ে আসছে, যে কিনা একটু পরেই তাকে অতিক্রম করবে। তাকে দেখে তার বুকটা ভেতরে ভেতরে ঢিবঢিব করা শুরু করলো, ক্রমান্বয়ে সে আওয়াজ কোন স্টেথেস্কোপ ছাড়াই তার কানে বড্ড বেশী বাজা শুরু করলো। সে লক্ষ্য করে দেখলো, ছেলেটার কানে কোন হেডফোন লাগানো নেই। এটা দেখে সে স্বস্তি পেল, কারণ এতে একডাকে তার মনযোগ আকর্ষণ করাটা সহজ হবে। ‘ক্ষণিকা’য় বসে ছেলেটা তাকে ‘আপনি’ সম্বোধন করেছিল, সে নিজেই আগ বাড়িয়ে তাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করতে বলেছিল। কিন্তু কি আশ্চর্য, এখন আবার তাকেই ‘তুমি’ করে ডাকবে কিনা, এ নিয়ে তার কেন যেন নতুন করে সঙ্কোচ হচ্ছিল। ছেলেটি তাকে অতিক্রম করে যাবার ঠিক এক মুহূর্ত আগে সে যথাসাধ্য শক্তি সঞ্চয় করে ডাকলো, “নভো”!

এ ডাক শুনে নভোর চমকে ওঠার কথা। কিন্তু সে এমনভাবে ঘাড় ফিরিয়ে তার দিকে তাকালো, যেন ও জানতো এখান থেকে কেউ ওকে ডাকবে। ওর কপাল জুড়ে ঘামের বড় বড় ফোঁটা জমেছে, লম্বা নাকের ডগায়ও কয়েকটা ঝুলে আছে। ফর্সা মুখে লালচে আভা, চীপের কাছে ও কপালের নীলচে শিরাগুলো আরো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। ঘামে ভিজে গায়ের গেঞ্জীটা গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। ফলে গাঢ় নীল রঙটাকে কিছুটা কালচে মত দেখাচ্ছে। সে পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনি সেই তখন থেকে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন’? সাহস করে ‘আপনি-তুমি’র দোলাচল কাটিয়ে উঠে মৃন এক গাল হেসে জবাব দিল, ‘হ্যাঁ, তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম’। তার হাসিতে কাজ হলো। এই প্রথম যেন সে নীল আকাশ জুড়ে দেখতে পেল সেখানে শুধু সাদা সাদা হাসি আর হাসির ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে। ওর হাতে ধরা বইটি দেখে নভোও ওর মত করেই হেসে তাকে শুধালো, “আপনি এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ‘শেষের কবিতা’ পড়ছিলেন”?
'না, আমি পড়ার ছলে অমিত এর অপেক্ষায় ছিলাম' - এই বলে মৃন সেই 'নিকষ কালো মনি' দুটোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো, ‘চলো, এবারে একসাথে হেঁটে ক্লাসে যাই’।


চলবে....

(অনুরোধে একটা আস্ত ঢেঁকি গিলে ফেললাম! গত দু’সপ্তাহ ধরে নভোনীল-মৃন্ময়ী নামের এক যুগলের গল্প ‘পিলো পাসিং’ খেলার মত এ ব্লগে হাত বদল হয়ে ঘুরছে। শেষ পর্যন্ত যে এটা আমার হাতেই এসে চতুর্থ পর্বের জন্য হাঁটু গেড়ে বসে থাকবে তা কে জানতো! গল্পের মূল সূচনাকারীর অনুরোধে হাল ধরতে বাধ্য হ’লাম। বলা বাহুল্য, আমার কাছে প্রবন্ধ কবিতার চেয়ে গল্প লেখা বেশ কঠিন একটা বিষয়, তাও আবার যদি সেটা কাঙ্খিত হয় সীমিত শব্দের সীমারেখার মধ্যে! যাহোক, প্রচেষ্টা আমার, মূল্যায়ন আপনাদের। পাশ ফেলের তো কোন ব্যাপার নেই এখানে, এটাই যা ভরসা!)

ঢাকা
১৮ জুন ২০২০
শব্দসংখ্যাঃ ৭৪৬

মন্তব্য ১১৫ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০০

শায়মা বলেছেন: এই নভোনীল মৃন্ময়ী কি এই যুগের? এ যুগের কেউ কি আর শেষের কবিতা পড়ে??? :(

যাইহোক তারা পড়ছে তাই আমার ভালো লাগছে.... :)

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মামা তো বিক্রী করতো শুধু পুরনো বিখ্যাত বই এর পাইরেটেড কপি, নীলক্ষেত এডিশন। তার কাছে সাধারণতঃ এসব বইই থাকতো। আর তা ছাড়া বইটি তো পড়ার জন্য কেনা হয় নি, হাতে ধরে রেখে এদিক ওদিক পৃষ্ঠা উল্টিয়ে টাইম পাস করার জন্য।
নভোনীল মৃন্ময়ী অবশ্যই এ যুগের। তবুও তারা ‘শেষের কবিতা’কে ভালবেসে পড়তেই পারেন। এ গল্পের যিনি রচয়িতা, তিনি তো সে যুগের মানুষ। তার সময়ে প্রায় সবাই ‘শেষের কবিতা’ পড়তেন। সেটারই প্রভাব হয়তো এসে পড়েছে এ ছোট্ট গল্পটিতে।
প্রথম মন্তব্য, প্রথম প্লাস- প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ, উভয়টির জন্য।

২| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক---- সাথে আছি।

১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।

৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঘুমানোর আগ মুহুর্তে মোবাইল ফোনে এই পোস্ট দেখে আবার উঠে এসে পিসি অন করলাম; আমি মোবাইলে বাংলা লিখতে পারি না। যেমনটা আপনি বলেছেন- পাশ ফেলের তো কোনো ব্যাপার নেই এখানে, তাই ঘুড়ির নাটাইটা অন্যের হাতে দেখার আনন্দটাই এখানে প্রবল। গল্প কেমন হলো সেটা বিষয় না।

আমরা যারা এখানে পর্বগুলো লিখেছি, তারা পেশাদার গল্পকার হওয়া তো দুরেই থাক, ব্লগের যারা গল্পকার হিসেবে পরিচিত, সে মানের গল্পকারও নই। গল্পকার না হওয়াটা দোষের কিছুও নয়। তবুও আন্তব্লগার সৌহার্দ্যকে অন্যমাত্রায় নিতে যে উদ্যোগ চলেছে, সেটার প্রশংসনীয়।

আমি যখন দ্বিতীয় পর্বটা লিখেছিলাম, তখন মনের মধ্যে একটা সংশয় কাজ করছিলো যে এটা নিতান্তই বালখিল্যতা হয়ে যাচ্ছে কি না, অন্য কেউ আদৌও এই ঘুড়ির সুতো ধরবে কি না ইত্যাদি, ইত্যাদি। কিন্তু নবীন ব্লগার মেঘশুভ্রনীল যখন তৃতীয় পর্বটা লিখলেন- সত্যি বলছি, ভীষণ আনন্দ হয়েছে। আমার পর্বটার নিচে প্রথম পর্বের লেখক রিম সাবরিনা একটা উচ্ছাসভরা মন্তব্য দিয়ে এসেছিলেন, আমার পিঠ চাপড়ানো মন্তব্য মনে করে আমি প্রতিমন্তব্যও সেভাবে দিয়েছিলাম। কিন্তু মেঘশুভ্রনীলের পর্বটা পাওয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম- রিম সাবরিনার মন্তব্যটা নিখাদ ছিলো। আমি নিশ্চিত, এই আনন্দটা আপনিও পাবেন যখন পঞ্চমপর্বটা আরেকজন লিখবে।

আজ আপনার পর্বটা পেয়ে সে আনন্দ আরও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে তৃতীয়পর্বটা দেয়ার পর বেশ কয়েকদিন পার হয়ে যাওয়াতে মনে হচ্ছিল এটার বোধহয় এখানেই সমাপ্তি! কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, না, ঘুড়িটা আরও কিছুদিন উড়বে। আপনাকে অতি অবশ্যই অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার এবং আমার আশা, ব্লগের সেরা গল্পকারদের কয়েকজন পরের পর্বগুলোতে অংশগ্রহণ করে আমাদের দুর্বলতাগুলোকে উৎরিয়ে দেবেন।

সবশেষে অন্য পর্বগুলোর লিংক আপনার লেখার আগে দিয়ে দিলে অন্যদের বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে হয়।

১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবুও আন্তব্লগার সৌহার্দ্যকে অন্যমাত্রায় নিতে যে উদ্যোগ চলেছে, সেটার প্রশংসনীয় - আপনার এ কথাটার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। সে কারণেই আমার নাটাই টি হাতে নেয়া, ঘুড়ি কেমন ওড়ালাম, সেটা বড় কথা নয়।
আমি নিশ্চিত, এই আনন্দটা আপনিও পাবেন যখন পঞ্চমপর্বটা আরেকজন লিখবে - জ্বী, আমিও সেই আনন্দটুকু উপভোগের অপেক্ষায় থাকলাম। ব্লগের সেরা গল্পকারদের পরের পর্বগুলোতে এগিয়ে আসার ক্ষণ গুনছি।
সবশেষে অন্য পর্বগুলোর লিংক আপনার লেখার আগে দিয়ে দিলে অন্যদের বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে হয় - পাঠকের সুবিধার্থে লিন্কগুলো সংযোজন করে দিয়েছি।

৪| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর । মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম, ভালো লাগলো।

১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মুগ্ধতা নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৫| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২২

পদ্মপুকুর বলেছেন: শেষের কবিতা পড়ার ডায়ালগে গল্পের মোড় মনে হয় নতুন দিকে টার্ন করলো। আমার একটু জানতে ইচ্ছে করছে- দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব পড়ার পর প্রথম পর্বের লেখক ব্লগার রিম সাবরিনা জাহানের মনোভাবটা কি? যদি প্রথম পর্বেই তিনি শেষ না করতেন তাহলে গল্প কোন দিকে নেয়ার ইচ্ছে তাঁর ছিলো আর এখন কোনদিকে আছে?

জার্মানির মিউনিখ থেকে রিম সাবরিনা: ........

১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মত আমারও সেটা জানতে ইচ্ছে করছে। আশাকরি, মিউনিখে নতুন প্রভাত আসার পর আমরা এ নিয়ে কিছু একটা শুনতে পাবো।
আমি লক্ষ্য করেছি যে আপনি আমার এ পোস্টটিকে আপনার "প্রিয়" তালিকায় তুলে রেখেছেন। এ নীরব বদান্যতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। প্লাসের জন্যেও ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর+

১৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এই সুন্দর+ এর জন্য। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২০

আনমোনা বলেছেন: সুন্দর চলছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব পড়েছি, তৃতীয় খুঁজে পাইনি। লিংক দেওয়া যাবে?

১৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পরের মন্তব্যটিতে পদ্ম পুকুর লিঙ্কটা দিয়েছেন। আশাকরি পড়ে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: তৃতীয় পর্ব @ আনমোনা

১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, তৃতীয় পর্ব এর লিঙ্কটি এখানে দিয়ে আনমোনা এর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। আশাকরি, তিনি ইতোমধ্যে তৃতীয় পর্বটি পড়ে ফেলেছেন।

৯| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ২:০৩

মা.হাসান বলেছেন: কি দারুণ! কি দারুণ!
যে ছেলে ঠোঙা কুড়িয়ে পরিবেশ পরিস্কার করে তার জন্য শেষের কবিতা না পড়াই আশ্চর্যের হবে, তবে ফুলহাতা জামা কেটে হাফ হাতা বানানো মৃন্ময়ী পড়ে কি? বলা মুশকিল, এ চরিত্রটা ঝাপসা রয়েই গেছে। বৃষ্টি দেখলে যার মুখ কালো হয় বা পথের পাঁচালী যার কাছে মোটা মনে হয় তার শেষের কবিতা পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করি।

প্রথম ও ২য় পর্বের নভোনীলের সাথে হেডফোনটা একটু কম মানাচ্ছিলো, ওটা থেকে মুক্ত হওয়ায় আমার কাছে ভালো লেগেছে।
আশা করবো ব্যেটন টা আরেক জন কেউ ধরে আগানো শুরু করবেন।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, কথায় কথায় 'শেষের কবিতা' গল্পে টেনে আনার প্রসঙ্গটি আপনার মত সূক্ষ্মদর্শী একজন পাঠকের কাছে উৎরে গেল বলে মনে হচ্ছে। এটা অনুমান করে আমি আনন্দিত।
আশা করবো ব্যেটন টা আরেক জন কেউ ধরে আগানো শুরু করবেন - এ মুহূর্তে আপাততঃ এ কাজটি করার জন্য আপনার নামটিই আমার মনে আসছে। তুলে নিন না নাটাই টা হাতে! আর মৃন্ময়ী এর ঝাপসা চরিত্রটিতে একটু আলো ছড়িয়ে দিন!
দারুণ উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত এবং অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

১০| ১৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৫৯

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: এই উপহার অমূল্য। মন্তব্য করতে আসছি আবার কালকে।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য করতে আসছি আবার কালকে - আচ্ছা, ঠিক আছে।
উদার মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১১| ১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: পুরোটা একসাথে পড়া লাগবে।আমার একটা বদ অভ্যাস হলো কোন বই পড়া শুরু করলে তা শেষ না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত দিই না।সময় মত পড়ে, আসব আবার ফিরে, যদি হারিয়ে না যায় করোনার চক্করে।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, সুন্দর ছন্দ মিলিয়েছেন তো! :)
"সময় মত পড়ে,
আসব আবার ফিরে,
যদি হারিয়ে না যায় করোনার চক্করে"

আচ্ছা, অপেক্ষায় থাকবো। আশাকরি, করোনা আপন করুণায় আপনার থেকে দূরে দূরে থাকবে।

১২| ১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আবার আসলাম পড়তে। ঘুরে ঘুরে এই পোস্টে আসছি আসলে এক ধরণের কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে। যতবার আসছি, ভালো লাগছে।

শেষে দুটো লাইন একটু বদলে দিয়েছেন। এখন শেষটা আরও সুন্দর হয়েছে তবে রিকশার সহযাত্রী'র একটা নাম থাকলে খারাপ হতো না। বার বার সহযাত্রী শব্দটা চোখে লাগছে।

চারুকলার সামনের পুরোনো বইয়ের দোকান!!! আহ! একসময় পকেটে খুচরা পয়সা জমলেই ওখান থেকে পুরোনো বই কিনতাম। একবার একটা বই কিনে দেখি তার প্রথম পৃষ্ঠাতেই একজন বিখ্যাত কবির নিজের হাতে লেখা শুভেচ্ছাবাণী। কারো একজনের জন্মদিনে তিনি দিয়েছেন। খুব খারাপ লেগেছিলো ওটা দেখে।

সুচনাপর্বের লেখকের নামটাও দিয়ে দিবেন কি?

৮ নম্বর মন্তব্যের ব্লগার ম. হাসানকে অশেষ কৃতজ্ঞতা। আগের পর্বগুলো তিনি পড়েছেন। সে তো অনেকেই পড়েন। কিন্তু যেভাবে তিনি চরিত্রের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন, সেটা শুধু পড়লেই হয় না বরং 'রিড বিটুইন দ্য লাইন' হওয়া লাগে। ম. হাসানের মন্তব্য পড়ে আমি নিজেই আবার আমার পর্বটা পড়তে গেছি যে বৃষ্টি দেখে মৃণের মন খারাপের ব্যাপারটা কখন হলো...

ব্লগার ম. হাসান, আপনি স্যার আমার শ্রদ্ধা জানবেন।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঘুরে ঘুরে এই পোস্টে আসছি আসলে এক ধরণের কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে। যতবার আসছি, ভালো লাগছে - অনেক ধন্যবাদ, এতটা আন্তরিকতা নিয়ে পোস্ট ঘুরে যাবার জন্য এবং সদয় মন্তব্যের জন্য।
শেষে দুটো লাইন একটু বদলে দিয়েছেন -হ্যাঁ, একটু বদলে দিলাম। পরিবর্তনটা আপনার কাছে আরও সুন্দর হয়েছে বলে মনে হয়েছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
বার বার সহযাত্রী শব্দটা চোখে লাগছে - একটা নাম আমিও দিতে চেয়েছিলাম। পরে কি ভেবে যেন আর দেই নাই। দেখছি কী করা যায়!
সুচনাপর্বের লেখকের নামটাও দিয়ে দিবেন কি? - হ্যাঁ, দিয়ে দিয়েছি। কি করে যেন ওটা বাদ পড়ে গিয়েছিল। উত্তম সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ।
মা.হাসান একজন অত্যন্ত মনযোগী পাঠক এবং সূক্ষ্মদর্শী বিশ্লেষক। তার মন্তব্য প্রায় সময়েই পোস্টের আলোচনাকে সমৃদ্ধ করে।

১৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো।
প্রত্যেকটা পর্বের আলাদা আলাদা ফ্লেভার আছে।
খুব সুন্দর করে প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছেন। দেখা যাক আগামীতে মৃন ও নভোর কেমিস্ট্র কোন দিকে এগোয়।
একদম শুরুতে পেয়েছি ভূমিকা।
দ্বিতীয় পর্বে নবাগত শিক্ষার্থীদের কাছে ব্লগার রুপে অধ্যাপক খাইরুল স্যারের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ও পাঠদান। সিন্থিয়াকে কথার চাবুকে বিদ্ধ করা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বাসের প্রতীকি নামের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি।
তৃতীয় পর্বে- তেজগাঁও কলেজের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আচমকা সংঘর্ষের পরিবেশে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অসহায় অবস্থার পরিচয় পেয়েছি। অলিখিত ভাবে বাসের সামনের দিকে মেয়েরা ও পিছনের দিকের সিটে ছেলেদের বসার নিয়ম থাকলেও ঘটনার দিনে পারিবারিক গাড়িতে যাওয়া মৃণ ড্রাইভারের অনুপস্থিতিতে বাসে যেতে বাধ্য হয়। না জানার জন্য বাসের মাঝখানে মেল সিটে বসে পড়ে। যেখানে কিনা পরে নভো এসেও বসে।একটু পরে চলে আসে এক বড়ভাই। যেভাইয়ের হুমকিতে কোন তর্ক না করে নভো পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তার পরেই শুরু হয় আচমকা দুই গোষ্ঠীর ছাত্রদলের সংঘর্ষ। নতুন শিক্ষার্থীদের সকলকে রিক্সা করে ক্যাম্পাসে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করে নভো আলাদা করে মৃণের নজরে আসে। অবশেষে মৃণ ও নভো শেষ রিক্সা নিতে বাধ্য হয়।
আপনার পর্বে- আমরা এক অনন্য মৃণকে পেলাম। যে ফার্মগেট কিছুটা সময় কাটাতে তুলে নেয় বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী।সেলসবয়ের বিরক্তিতে বাধ্য হয়ে কিনে ফেলে শেষের কবিতা। এমন সময় স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে উল্টো দিক থেকে আসতে দেখা যায় নভোকে। মৃণের হৃদয়ে তোলপাড় হতে থাকে অজানা এক অনুভূতি।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়.....


১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছেন - অনেক ধন্যবাদ, এমন প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য। পাঠকের প্রশংসা লেখককে অসীম অনুপ্রেরণা যোগায়।
দ্বিতীয় পর্বে নবাগত শিক্ষার্থীদের কাছে ব্লগার রুপে অধ্যাপক খাইরুল স্যারের নামের সাথে নিজের নামের অনেকটা মিল থাকায় মনে বেশ কৌতুহল জেগেছিল, কিন্তু উনি যেভাবে ওনার ছাত্রী সিন্থিয়াকে কথার চাবুকে বিদ্ধ করেছিলেন, আমি হলে তা কখনও করতে পারতাম না। এ কারণে নামের বানানে ব্যবধানটুকু দেখে মনে মনে বলেছিলাম, ভালই হলো, উনি অন্য লোক।
সবগুলো পর্বের সারাংশ টেনেছেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়..... - সেটা আপনিও শুরু করতে পারেন। কোন প্রতিযোগীকে তো দেখা যাচ্ছে না।
যারা মরীচিকা সিরিজ পড়েছেন, তারা আপনার হাতে লেখা এ পর্বটিকে দেখতে পেলে দারুণ আগ্রহভরে পড়বেন, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

১৪| ১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ
দারুন জমেছেতো!

আমি আজই দেখলাম। বাকী পর্বগুলো পড়ে নিতে হবে শীঘ্রই!
তাতে পূরো মজাটা উপভোগ করা যাবে।

দারুন লিখেছেন প্রিয় সিনিয়র :)

+++

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাকী পর্বগুলো পড়ে নিতে হবে শীঘ্রই! তাতে পূরো মজাটা উপভোগ করা যাবে - জ্বী অবশ্যই। বাকী পর্বগুলো পড়ে আপনি নিজেও একটা নতুন পর্ব লিখে ফেলতে পারেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

১৫| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আগের জনদের পর্ব না পড়ে মন্তব্য করা ঠিক হচ্ছে কিনা বুঝতেছিনা।
এ পর্ব পড়ে মনে হচ্ছে ‘পিলো পাসিং’ খেলায় আপনি ভাল ভাবেই উৎরে গেছেন।

২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগের জনদের পর্ব না পড়ে মন্তব্য করা ঠিক হচ্ছে কিনা বুঝতেছিনা - আগের তিনটে পর্বও পড়ে ফেলুন। এগুলো ছোট ছোট পর্ব, বেশী সময় লাগবে না, লিঙ্কগুলো উপরে দিয়েছি। পড়ে আপনি নিজেও একটা পর্ব যোগ করুন।
এ পর্ব পড়ে মনে হচ্ছে ‘পিলো পাসিং’ খেলায় আপনি ভাল ভাবেই উৎরে গেছেন - বাহ, এমন কথাই তো শুনতে চাই! :)
নাথিং সাক্সীডস লাইক সাক্সেস!
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, আর আপনার কাছ থেকে (সচরাচর) দুর্লভ প্লাসটি পেয়ে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা....

১৬| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




অদ্ভুত বিদেশে থাকা কিম্ভুত এক স্বদেশীর জ্যান্ত একটা লেখার বাঁশীর ফুঁয়ে এই যে রীলে রেসে বা বালিশ দেয়ানেয়া খেলায় মাতলেন তা যে কতোখানি জমে উঠেছে তা কি জানেন ?

" না, আমি পড়ার ছলে অমিতের অপেক্ষায় ছিলাম.." লাইনটিতে দারুন মুন্সীয়ানায় কতো কিছুই যে বলে গেলেন! থমকে যেতে হলো। এর পরে আর কোনও কথার ভার সইবেনা মনে হয়। অতি শৌখিন জলচর মাছের মতো মৃন্ময়ীকে তো জালে ছেকে তুললেন! মৃন্ময়ী যেন অমন কথার আড়ালে শেষের কবিতার মতোই নিঃশব্দে বলে গেল- " এবার পুজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।"

আর যাপিত জীবন প্যারা নিয়ে এলে ফুড়ুৎ করে যে আলসে স্বদেশী নিজের জগৎখানায় ঢুকে যায়, সে যে আপনাদের দিয়ে কি কৌশলে শেষের কবিতাখানির এই লাইনগুলো সত্যি করে তুললো যাতে ভ্রষ্ট না হয় তার নভোনীল আকাশে মেঘেদের আনাগোনা, সেটুকু জানাতেও ভুলছিনে --
" যদি সৃষ্টি করে থাক, তাহারি আরতি
হোক তব সন্ধ্যাবেলা,
পুজার সে খেলা
ব্যাঘাত পাবেনা মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে;
তৃষ্ণার্ত আবেগ বেগে
ভ্রষ্ট নাহি হবে তার কোনও ফুল নৈবেদ্যের থালে।
"

লাইকড।

অঃট - আপনার কোনও এক পোস্টে এমনধারা মন্তব্য করেছিলুম মনে হয় -" গদ্যে আপনার হাত খোলে ভালো।"



২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই যে রীলে রেসে বা বালিশ দেয়ানেয়া খেলায় মাতলেন তা যে কতোখানি জমে উঠেছে তা কি জানেন? - যখন সূচনা পর্বটা পড়লাম, এমন কি যখন চতুর্থ পর্বটাও নিজেই লিখে ফেললাম, তখনো ভাবতে পারিনি যে খেলাটা এত দর্শক টানবে।

একদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজী বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় (তখন বিভাগীয় তত্ত্বাবধানেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো) ভাল ফল অর্জন করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম, ভর্তি হই নি। বুয়েটেও ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম, সেখানেও ভর্তি হইনি। জীবনের অন্য পথ বেছে নিয়েছিলাম। সে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কিংবা অলি-গলি আমার চেনা নয়। আর তাই নভো ও মৃনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে নিয়ে যাবার আগেই ক্ষান্ত দিয়েছি, নতুবা হয়তো আরো কিছু সরস উপাখ্যান যোগ করা যেতো। আশাকরি, ব্লগের খ্যাতনামা গল্পকারদের মধ্যে কেউ একজন এসে খেলাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বিশেষ করে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ বা সবাই এগিয়ে আসতে পারেন।

"না, আমি পড়ার ছলে অমিতের অপেক্ষায় ছিলাম.." লাইনটি প্রসঙ্গে যে অসাধারণ ব্যাখ্যাটি দিলেন তাতে অভিভূত! মন্তব্য যে কত কাব্যময় হতে পারে, তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ রেখে গেলেন এর পরের কথাগুলোতে! এক কথায় অসাধারণ!

"গদ্যে আপনার হাত খোলে ভালো" - অনেক ধন্যবাদ, এ প্রশংসাটুকুর জন্য। বার বার পড়ার মত মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

অনেক শুভকামনা.... ভাল থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে।

১৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পিলো পাসিং গল্প কি আর কখনো হয়েছে ব্লগে? - আমার সঠিক জানা নেই। আমার পড়া হলে অবস্যই মনে পড়তো, আমার স্মরণশক্তি অত্যাধিক সার্প না হলেও যথেষ্ট সার্প। আপনি অসাধ্য সাধন করেছেন, - এই ধরনের কাজ আমাকে দিলে আমি কাজ সম্পন্ন করার আগেই দু হাত তুলে দিতাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভিন্ন বিষয়: কি শুক্রবার আর কি রবিবার এখন সব একাকার হয়ে গেছে, আমরা সম্ভবত অনুভূতিশূন্য জগতে প্রবেশ করতে যাজ্ছি।

২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি অসাধ্য সাধন করেছেন - অনেক ধন্যবাদ, এতটা উদারভাবে এ সামান্য প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করার জন্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে সবিশেষ অনুপ্রাণিত।
কি শুক্রবার আর কি রবিবার এখন সব একাকার হয়ে গেছে, আমরা সম্ভবত অনুভূতিশূন্য জগতে প্রবেশ করতে যাজ্ছি - এ কথাটা ঠিকমত বুঝতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

১৮| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



বিষয়টি আমি এবার বুঝতে পারলাম - গ্রুপ রাইটিং!
একটি অসাধারণ উদ্যোগ। সবগুলো পর্ব না পড়ে কিছু বলছি না।

শুভেচ্ছা সব লেখকের জন্য
এবং অভিনন্দন এই অভিনব উদ্যোগের জন্য!

২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবগুলো পর্ব না পড়ে কিছু বলছি না - আশাকরি, একটু সময় নিয়ে বাকি পর্বগুলো পড়ে আবার আসবেন। আপনার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন নিঃসন্দেহে সব লেখককেই অনুপ্রাণিত করবে।
গ্রুপ রাইটিং - জ্বী, বুঝতেই পারছেন, অনেকটা খেলাচ্ছলেই এটা চলছে। আপনিও চাইলে এ খেলায় অংশ নিতে পারেন। :)

১৯| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পড়লাশ । ভাল লাগলো । সবগুলো পর্ব না পড়লে পরিপূর্ণ পাঠানন্দ লাভ করা সম্ভব হবে না ।

২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবগুলো পর্ব না পড়লে পরিপূর্ণ পাঠানন্দ লাভ করা সম্ভব হবে না - জ্বী, এ জন্যে অবশ্যই সবগুলো পর্ব পড়ে এসে জানিয়ে যাবেন, কেমন হচ্ছে এ বৃন্দগল্পটা।
পুনঃমন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২০| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৬

মা.হাসান বলেছেন: তুলে নিন না নাটাই টা হাতে!

দ্বিতীয় পর্ব লেখার চেষ্টা করেছিলাম, ( প্রথমপর্বের মন্তব্য দেখুন B-)) ) জমেনি; তাছাড়া আমি কিছু বলতে গেলেই কেমন যেন ভেঙচি হয়ে যায় -- প্রেমের গল্প আমার হাত দিয়ে বের না হওয়াটাই সমীচীন হবে ।

ব্লগে আহমেদ জী এস ভাই, আনমোনা আপু, আহরিত, রবাহুত, নীল আকাশ ভাই, বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, ঠাকুর মাহমুদ ভাই সহ অসংখ্য অত্যন্ত শক্তিশালী লেখক আছেন; তারা এই গল্প এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা রাখি । এছাড়া আনুমানিক ২০ পর্বের কাছাকাছি হয়ে গেলে এটা থেকে বইও বের করা সম্ভব বলে মনে করি । এটি বই আকারে বের হলে তার তিনটি কপি আমি অগ্রিম কেনার নিশ্চয়তা দিলাম (শর্ত প্রযোজ্য-- বেঁচে থাকলে)।

তবে অন্য ভাবে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে আগ্রহী। মডারেটরের আপত্তি না থাকলে, আমি প্রস্তাব করছি পর্বগুলো চলতে থাকুক, প্রথম ১০ পর্ব শেষে যার লেখা সবচেয়ে ভালো হবে তাকে আমার তরফ থেকে ১০০০ টাকার রকমারির বইয়ের গিফট ভাউচার (বাংলাদেশের জন্য/১২ ডলারের (বা সমমূল্যের) অ্যামাজন বা অন্য জায়গার ইবুক/বইয়ের ভাউচার (দেশের বাইরের জন্য) দেয়া হবে।

কার লেখাটা সবচেয়ে ভালো? এটি বিবেচনার ভার মডারেটরের উপরে ছেড়ে দিলাম, উনি নিজে করতে পারেন বা ওনার মনোনীত প্যানেল দিয়ে করতে পারেন। (১০০০ টাকার অতিরিক্ত যা খরচ হবে সেটা বিজয়ি কে বহন করতে হবে)।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভেঙচি হবে কেন, মিষ্টি মিষ্টি ভাবুন, লেখাও মিষ্টি মিষ্টি হবে।
আপনি যাদের নামোল্লেখ করেছেন, তারা সবাই অত্যন্ত শক্তিশালী লেখক তাতে সন্দেহ নেই, তবে তাদের সাথে আপনার নামটাও সামিলযোগ্য।
পুরস্কারের পরিমাণটা বড় কথা নয়, নিজেদের মধ্যে কাউকে পুরস্কৃত করতে হলে মনটা বড় হওয়া চাই, যেটা আপনার আছে। অনেক ধন্যবাদ, এ প্রেরণাদায়ক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। তবে পর্বের সংখ্যাটা ৫টি পর্বে নামিয়ে আনতে পারেন, কারণ ১০ পর্ব পর্যন্ত এটা হয়তো যাবে না।

২১| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"নভোনীল" এর আগের তিনটি পর্ব মিস করেছি। সময়-সুযোগে পর্বগুলো পড়বো। "কে লিখেছেন?" এসব দেখে আমি লেখার মূল্যায়ন করি না; কি লিখেছেন সেটাই সব সময় বিবেচ্য। গল্প লিখলে তাতে গল্প খুঁজি। প্রবন্ধ লিখলে বিষয়ের গভীরতা খুঁজি। ফিচার লিখলে চলমান ভাবনার বাস্তবিক দিকগুলো খুঁজি। "নভোনীল" এর এই পর্ব পড়ে মনেই হয়নি নতুন কোন লেখকের গল্প বুনন। খুবই গোছানো এবং চরিত্রের চিত্রায়ণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। গল্প পড়ে গল্পের প্লটের পাশাপাশি লেখকের সমাজ/ব্যক্তি ভাবনার অন্তরদৃষ্টি পাওয়া যায়। গল্পের এই পর্বে তা পুরোপুরি উপস্থিত আছে। এভাবে লিখুন। নতুন পর্ব যিনি লিখবেন তার জন্য শুভ কামনা রইলো।

ভালো থাকুন।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময়-সুযোগে পর্বগুলো পড়বো - আচ্ছা, ঠিক আছে। কেমন লাগলো তা জানিয়ে যাবেন।
খুবই গোছানো এবং চরিত্রের চিত্রায়ণ আমাকে মুগ্ধ করেছে - আপনার এ প্রেরণাদায়ক মন্তব্যটাও আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্লাসেও অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আবার এসেছি। স্যারকে ধন্যবাদ দিলে কম হয়ে যাবে। পর্বটা যেন মমতার কলমে লেখা হয়েছে। আমাদের ব্লগারদের ভেতর এমন দুর্দান্ত একতা আছে, ব্লগের এই তামাটে যুগেও ব্যাপারটা জ্বলজ্বলে হয়ে ধরা দিল। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে।

২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ দিলে কম হয়ে যাবে - মূল কৃতিত্বটা তো আপনার, কারণ পর্বের সূচনাটা আপনিই করেছেন। আমরা বাকিরা শুধু চলন্ত গাড়ীতে একটু হাত লাগিয়ে উঠে পড়েছি।
পর্বটা যেন মমতার কলমে লেখা হয়েছে - অনেক ধন্যবাদ, এতটা আন্তরিকতার সাথে এ সামান্য প্রয়াসটুকুর স্বীকৃতি দেয়ার জন্য।
আমাদের ব্লগারদের ভেতর এমন দুর্দান্ত একতা আছে, ব্লগের এই তামাটে যুগেও ব্যাপারটা জ্বলজ্বলে হয়ে ধরা দিল - অনেকে বলে থাকেন যে ব্লগের সোনালী যুগ আজ অতীত, আমি বলি ভবিষ্যতেও আবার ফিরে আসতে পারে।

২৩| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ক্যাম্পাসে এই মৌসুমে জারুল সোনালু ফুল ঝরার মত কোমলতায়
ব্রিটিশ কাউন্সিলের রাস্তায় এই বর্ষায় সবুজ হয়ে উঠা শিরিষ পাতার পেলবতার মত করে এগুচ্ছে ......

বাসের সহযাত্রী রিকশায় সহযাত্রী হয়ে উঠার সময়টুকু'র মাধুর্য ই এক জীবনের সঞ্চয় হবার মত।
শেষের কবিতাই উঠে এলো হাতে !!!! অমিত কে তাহলে ঘড়ায় তোলা জলেই জীবন কাটাতে হচ্ছে !

মা হাসান ভাই এই মন্তব্যের এই অংশটুকু আমি ও ভেবে রেখেছিলাম -
নিঃসন্দেহে এই ব্লগারদের ধারাবাহিক গল্প বলা, চমৎকার এই প্রকাশনা হয়ে হাতে আসতে পারে। অগ্রিম শুভ কামনা রাখলাম।

ব্লগের ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পুরানো পাপী রা সব কোথায় ? দলে দলে যোগদান করবেন আশা করছি।


লেখায় মুগ্ধতা :)

২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্রিটিশ কাউন্সিলের রাস্তায় - আহা! সেই রাস্তাটি, ফুলার রোডের কথা মনে করিয়ে দিলেন! ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলাম। আমাদের কলেজের লাইব্রেরীটি একে একে পরম্পরায় প্রথম তিনজন বিদ্যানুরাগী অধ্যক্ষদের আগ্রহ ও অবদানের কারণে সেই সময়েই অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। সেই ছোটবেলা থেকেই নোট করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের অভ্যেস গড়ে উঠেছিল লাইব্রেরীর ঐশ্বর্যের কারণে। সেই সুবাদে কলেজ ছুটির সময় নিয়মিতভাবে যেতাম ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরীতে। তাদের সুশৃঙ্খল সিস্টেমের কারণে সেটা আমার এক অন্যতম বিনোদনের আকর্ষণ ছিল। আর ভালো ভালো বই থেকে নোট করে নিয়ে আসার ফলটা হাতে নাতে পেতাম কলেজে গিয়ে, পাক্ষিক এবং টার্ম পরীক্ষাগুলোতে। এতে আরও বেশী করে উৎসাহিত হ'তাম।
শেষের কবিতাই উঠে এলো হাতে - লেখার সময় ওটার কথাই কেন জানি মনে এসেছিল!
ব্লগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো পাপী রা সব কোথায় ? দলে দলে যোগদান করবেন আশা করছি - আপাততঃ আপনাকে দিয়েই হোক না কেন শুরু পঞ্চম পর্বটা!
সুন্দর এ্যাপ্রিশিয়েটিভ মন্তব্য এবং ইন্সপায়ারিং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

২৪| ২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: খুবই ভালো লাগছে চতুর্থ পর্ব দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মুগ্ধ হয়ে আপনার লেখা আর মন্তব্যগুলো পড়লাম। এতো শক্তিমান লেখকদের ভিড়ে আমার মতো আনাড়িরও একটা লেখা আছে ভেবে যে অনুভূতি হচ্ছে সেটার প্রকাশ কিভাবে করব বুঝতে পারছি না। ভালো থাকবেন জনাব খায়রুল আহসান।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে আপনার লেখা আর মন্তব্যগুলো পড়লাম - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে এ প্রশংসাটুকু এখানে রেখে যাবার জন্য।
আপনার পর্বটার সূত্র ধরে আমি এগিয়েছি। আমার টা ভাল হলে তো আপনারটা তার চেয়ে কম কিছু হতে পারেনা!
আমি আশা করছি, সুপারিশ করছি, আপনার লেখা যেন দ্রুত প্রথম পাতায় স্থান পেতে শুরু করে!

২৫| ২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২২

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাকে এই রোমান্টিক উপাখ্যানে দেখে আপ্লুত হলুম। কথা সাহিত্যেও আপনি কম যান না তা লেখায় প্রমাণ করেছেন। :D

ওর কপাল জুড়ে ঘামের বড় বড় ফোঁটা জমেছে, লম্বা নাকের ডগায়ও কয়েকটা ঝুলে আছে। -- সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও তুলে এনেছেন লেখায়। মজা পেলুম। :)

বেশ জমে উঠেছে নভোনীল ও মৃন্ময়ী উপাখ্যান।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কথা সাহিত্যেও আপনি কম যান না তা লেখায় প্রমাণ করেছেন -
বাব্বাহ, এ যে দেখছি এক বিরাট সার্টিফিকেট পেলুম!
ইচ্ছে করছে খুশীতে নেচে গেয়ে করি এখন হালুম হুলুম!
বেশ জমে উঠেছে নভোনীল ও মৃন্ময়ী উপাখ্যান - আশাকরি, পরের পর্বগুলোতেও সাথে থাকবেন এবং তার আগে নিজেও একটা পর্ব দাঁড়া করাবেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

২৬| ২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: মা.হাসান বলেছেন:
তবে অন্য ভাবে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে আগ্রহী। মডারেটরের আপত্তি না থাকলে, আমি প্রস্তাব করছি পর্বগুলো চলতে থাকুক, প্রথম ১০ পর্ব শেষে যার লেখা সবচেয়ে ভালো হবে তাকে আমার তরফ থেকে ১০০০ টাকার রকমারির বইয়ের গিফট ভাউচার (বাংলাদেশের জন্য/১২ ডলারের (বা সমমূল্যের) অ্যামাজন বা অন্য জায়গার ইবুক/বইয়ের ভাউচার (দেশের বাইরের জন্য) দেয়া হবে।

এই ঘোষণাটাই আমার পুরস্কার। ১০০০ টাকার বই পাওয়া না পাওয়াটা এখন গৌণ হয়ে গেলো। সত্যি বলছি।


২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই ঘোষণাটাই আমার পুরস্কার - আমারও। আমাদের সবারই।

২৭| ২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খায়রুল আহসান ভাই,
ভিন্ন বিষয় প্রসঙ্গ: গতকাল শুক্রবার ছিলো, এখন শুক্রবার ছুটির দিন বলে আর কিছু নেই, রবি - বৃহস্পতি ব্যস্ততাও নেই আছে শুধু অপেক্ষা! - এক অনুভূতিশূন্য অপেক্ষা! এ কারণে বলেছি আমরা সম্ভবত অনুভূতিশূন্য জগতে প্রবেশ করতে যাজ্ছি।

২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক অনুভূতিশূন্য অপেক্ষা! - আপনি ঠিকই বলেছেন। আমারও মাঝে মাঝে মনে হয়, "আমরা সম্ভবত অনুভূতিশূন্য জগতে প্রবেশ করতে যাজ্ছি"।

২৮| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: নভোনীল এবং মৃন্ময়ী এর কেমিষ্টি জমে উঠেছে।

বিভিন্ন ব্লগাররা এক একটি পর্ব করে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে দেখে ভাল লাগল।

চলতে থাকুক এই মিথস্কিয়া, পাঠক হিসেবে সাথে আছি।

২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাঠক হিসেবে সাথে আছি - অনেক ধন্যবাদ, এই সাথে থাকার জন্য। চাইলে লেখক হিসেবেও যুক্ত হতে পারেন।

২৯| ২২ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপাততঃ আপনাকে দিয়েই হোক না কেন শুরু পঞ্চম পর্বটা!
শুরুতেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার এই সিরিজে আমাকে আমন্ত্রণের জন্য; আমার নিজের ও আগ্রহ আছে , যে কোন এক পর্ব আমার হাতেই আসুক। কিন্তু এই মুহূর্তে না সম্ভব হচ্ছে না । কোন এক পর্বে অবশ্যই।

শুভ কামনা ।

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন এক পর্বে অবশ্যই - আচ্ছা, ঠিক আছে। প্রীত হ'লাম আপনার এই স্বেচ্ছাগ্রহে, এবং অপেক্ষায় থাকলাম।

৩০| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২০

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর দারুন উপভোগ্য একটা রেস চলছে যেন। ভারতে জিটিভিতে অন্তাক্ষরী নামে একটা গানের প্রতিযোগিতা চলতো অর্থাৎ শেষ শব্দের সাথে মিল রেখে আরেকটি গান গাওয়া ওখানে গান রচনার কোন ব্যাপার নেই । এখানে গল্পের শেষাংশ দিয়ে আবার নুতন কোন গল্পের শুরুর মত মনে হচ্ছে। সবাই পিলো পাসিং বলছে আমার কিন্তু ছোটবেলার রীলে রেসের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে, কাঠি নিয়ে দৌড় দিয়ে আরেকজনকে তা হস্তান্তর করা তারপর সে আবার দৌড় শুরু করে। এখানে কাঠি হচ্ছে গল্পের নাম আর দৌড় হচ্ছে দৌড়বিদের তৈরী করা গল্প। বেশ মজাই লাগছে, এখনো ঠোঙ্গা কুড়ানোর ব্যাখ্যা চোখে পড়েনি বা আমার হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে। তবে রেসটা দারুন উপভোগ করছি দৌড়বিদ হিসেবে আপনি দারুন সফল। ভাল থাকুন।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন। 'পিলো পাসিং' এর চেয়ে 'রিলে রেস' এখানে অধিকতর প্রযোজ্য বলে মনে হচ্ছে।
এখনো ঠোঙ্গা কুড়ানোর ব্যাখ্যা চোখে পড়েনি বা আমার হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে - আশাকরি, গল্পের মূল সূচনাকারী পরে কোন নতুন পোস্টে এসে অথবা তার নিজের কিংবা এ পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আরো কিছুটা আলোকপাত করবেন। তবে আপনি প্রশ্নটা তার পোস্টে করলেও মন্দ হতো না।
তবে রেসটা দারুন উপভোগ করছি দৌড়বিদ হিসেবে আপনি দারুন সফল - খুশী হ'লাম, রেসটা আপনি উপভোগ করছেন জেনে এবং সেই সাথে আন্তরিক ধন্যবাদ, একজন 'দৌড়বিদ' হিসেবে সাফল্যের স্বীকৃ্তিটুকু দেয়ার জন্যে।

৩১| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

পুলক ঢালী বলেছেন: এখনো ঠোঙ্গা কুড়ানোর ব্যাখ্যা চোখে পড়েনি বা আমার হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে - আশাকরি, গল্পের মূল সূচনাকারী পরে কোন নতুন পোস্টে এসে অথবা তার নিজের কিংবা এ পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আরো কিছুটা আলোকপাত করবেন। তবে আপনি প্রশ্নটা তার পোস্টে করলেও মন্দ হতো না।
দুঃখীত খায়রুলভাই, আমি দ্বিমত পোষণ করছি। গল্পের শুরু যিনি করেছেন তিনি শুরু করে ছেড়ে দিয়েছেন। আপনার পর্বের শেষে আবার চরিত্রগুলি ভার্সিটি মুখো হয়েছে, প্রতিটা পর্বেই ঠোঙ্গা কুড়োনোর প্রসঙ্গ অবতারনা করে একটা ব্যাখ্যা দাড় করানো যায়, তবে সেটা শুরুকারীর সাথে মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম এবং রচনা করার স্বাধীনতা শুরুকারীর ভাবনার সাথে মিলে যাওয়ার বাধ্যবাধকতাকে অস্বীকার করে।
রিলে রেস শব্দদ্বয় আপনি পছন্দ করেছেন জেনে আপ্লুত হলাম। ভাল থাকুন।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের শুরু যিনি করেছেন তিনি শুরু করে ছেড়ে দিয়েছেন - আপনি নিঃসন্দেহে একজন অত্যন্ত মনযোগী পাঠক। সূচনাকারী লেখকের প্রথম পর্বটি ঘুরে এলাম দেখতে যে আপনি সেখানে কোন মন্তব্য করেছেন কিনা। দেখলাম, সেখানে আপনার মন্তব্য নেই। আমি অপেক্ষায় আছি, লেখিকা কোন এক সময় আবার যদি আমার এ পোস্টে আসেন, তবে তিনি এ নিয়ে হয়তো কিছু একটা বলে যাবেন। আমার হাল্কা মনে পড়ে, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেখা ওনার আরেকটি পোস্টেও এই ঠোঙ্গা বিষয়ক প্রসঙ্গটি আলোচিত হতে দেখেছিলাম।
প্রতিটা পর্বেই ঠোঙ্গা কুড়োনোর প্রসঙ্গ অবতারনা করে একটা ব্যাখ্যা দাড় করানো যায় - হ্যাঁ, তা যায় অবশ্যই। আশাকরি ভবিষ্যত পর্বগুলোর কোন একটিতে আপনার মত জিজ্ঞাসু পাঠকদের অনুসন্ধিৎসা মেটানোর লক্ষ্যে কেউ একজন এর উপর আলোকপাত করবেন।
পুনঃমন্তব্যের জন্য আরেক প্রস্থ ধন্যবাদ গ্রহণ করুন!

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠোঙ্গা বিষয়ক প্রসঙ্গটি ব্লগার আখেনাটেন গল্প-সিরিজের পঞ্চম পর্বে আবার নিয়ে এসেছেন, যেটার লিঙ্ক উপরে দিয়েছি। আশাকরি, আপনি সেটা একবার দেখে নেবেন এবং আপনি নিজেও গল্পের ৬, ৭ বা ৮, এ ধরনের একটা পর্ব লিখতে এগিয়ে আসবেন।

৩২| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: পুলক ঢালী বলেছেন: দুঃখীত খায়রুলভাই, আমি দ্বিমত পোষণ করছি। গল্পের শুরু যিনি করেছেন তিনি শুরু করে ছেড়ে দিয়েছেন। আপনার পর্বের শেষে আবার চরিত্রগুলি ভার্সিটি মুখো হয়েছে, প্রতিটা পর্বেই ঠোঙ্গা কুড়োনোর প্রসঙ্গ অবতারনা করে একটা ব্যাখ্যা দাড় করানো যায়, তবে সেটা শুরুকারীর সাথে মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম এবং রচনা করার স্বাধীনতা শুরুকারীর ভাবনার সাথে মিলে যাওয়ার বাধ্যবাধকতাকে অস্বীকার করে।

আমি যেহেুত দুর্বল লেখক, তাই ইচ্ছেকৃতভাবেই চরিত্রগুলোকে ভাসা ভাসাভাবে ছেড়ে দিয়েছি। তবে পরের পর্বগুলো পড়ে ওই যায়গাগুলোতে কিছু কাজ করার আইডিয়া আসছিলো। কিন্তু আমি আর বদলাতে চাই না। যেটা হয়েছে ওটাই সই।

তাছাড়া ব্যাটনটা হাতে নেওয়াটাই মূল কথা, কে কিভাবে দৌঁড়াবে, সম্পূর্ণ তার ব্যাপার।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাছাড়া ব্যাটনটা হাতে নেওয়াটাই মূল কথা, কে কিভাবে দৌঁড়াবে, সম্পূর্ণ তার ব্যাপার - একদম ঠিক! অংশগ্রহণই মূল কথা।
পুনঃমন্তব্যের জন্য আরেক প্রস্থ ধন্যবাদ।

৩৩| ২৫ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:০৫

সোহানী বলেছেন: আমরা যে তাদেরকে মামা বলি তা আপনি জানেন বলে অবাকই হচ্ছি। আহ্ শাহবাগ থেকে ফুলের গন্ধে হেটে হেটে চারুকলায় একটা চক্কর দিয়ে লাইব্রেরীর পিছন দিয়ে ঢুকে হেটে হলে ফেরা। সাথে বাদাম, ঝালমুড়ি, শীতের দিনে ভাপা, গরমের দিনে আইসক্রিম.... আহ্ সে জীবন যে অন্য এক ভুবনের। আমার কিন্তু খুব দু:খ নেই সে জীবন নিয়ে। একেক জীবনের একেক রুপ। তাই বর্তমান রুপটাকে এনজয় করার নামই জীবন।

মনটা খুব বিক্ষিপ্ত। কালই জানলাম ভার্সিটি জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু মানসিক ট্রমার মাঝে আছে। পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলে যা পেয়েছে তাও হারিয়েছে সে।

২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা যে তাদেরকে মামা বলি তা আপনি জানেন বলে অবাকই হচ্ছি - দেখুন, আমি বয়সে প্রবীণ হলেও নানা উপলক্ষে নবীনদের ভোকাবুলারীও কিছু শোনা হয়ে থাকে। বই মেলায়, ব্লগে ইত্যাদিতে নবীনদের সাথে তো হরহামেশাই মোলাকাত হয়ে থাকে। তারই একটি নমুনা রেখে গেলাম আর কি!
একেক জীবনের একেক রুপ - ঠিক তাই, এবং প্রতিটি রূপের পৃথক সৌন্দর্য রয়েছে।
ভার্সিটি জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু মানসিক ট্রমার মাঝে আছে - ব্যাপারটা বেশ দুঃখজনক। ওনার নামোল্লেখ না করে এ নিয়ে কিছু লেখা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন। জীবন থেকে ছেঁকে তোলা সাহিত্য অমূল্য হয়ে থাকে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার খুশির উপলক্ষ তৈরী হয়েছে। এই নেন ৫ম পর্ব আর মিলাদ দেন।৫ম পর্ব

২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, দেখে এসেছি সেটা। গল্পের ট্রেনে চড়ে বসেছি। চলতে থাকুক সেটা, চালক বদল হওয়াতে সময়ে সময়ে ট্রেনের গতি পরিবর্তন হোক! কোন পরোয়া নেই ট্রেন কোথায় যায়, গন্তব্য আমাদের সবারই অজানা। যেখানেই যাক, আছি তো সবাই!!!

৩৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই ট্রেন লোকাল থেকে এক্সেপ্রেসে পরিণত করার পেছনে সবচে বেশি কৃতিত্ব আপনার। আপনার লেখাটার পরই আসলে এটা পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। গতি বেড়েছে। আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই ট্রেন লোকাল থেকে এক্সেপ্রেসে পরিণত করার পেছনে সবচে বেশি কৃতিত্ব আপনার। আপনার লেখাটার পরই আসলে এটা পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। গতি বেড়েছে -- আপনার এ বিনয় ও সৌজন্যে মুগ্ধ হ'লাম। দেখুন, ব্লগে পোস্ট তো প্রায় সব ব্লগারই লিখেন। কিন্তু কোন একজন লেখকের "অসম্পূর্ণ" একটি গল্পকে 'পিক' করে সেটাকে একটা সিরিজ দেয়ার ইচ্ছেয় 'দ্বিতীয়' পর্ব লেখাটা নিঃসন্দেহে একটা দুঃসাহসিক কাজ। সেই কাজটি আপনি করেছেন এবং বেশ ভালভাবেই করেছেন। 'দ্বিতীয় পর্ব' আসলে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ইত্যাদি পর্ব স্বাভাবিকভাবে পালাক্রমে আসবে, এটাতো জানা কথাই।

ট্রেনের মূল চালক কিছুদূর ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে এসে এক জায়গায় নেমে গেছেন। আপনি হয়তো খেলাচ্ছলেই এসে চালকহীন সে ট্রেনটিকে চালিয়ে আরো কিছুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আপনাকে দেখে আরো কিছু ক্রীড়ামোদী চালক এগিয়ে এসেছেন। এখন তারা সবাই এক এক করে ট্রেনটিকে নিয়ে যাবেন তাদের ইচ্ছেমত গন্তব্যে। আর মূল চালকসহ বাকী চালকেরা এক এক করে চালকের আসন থেকে নেমে যাত্রীর আসনে বসবে। আমরা সবাই একসাথে বসে নানারকমের দৃশ্য দেখতে দেখতে এগিয়ে চলবো অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এই তো! এটাই তো হলো'পিলো পাসিং' তথা 'রীলে রেস' তথা 'একটি বিচিত্র ট্রেন জার্নী' এর ইতিকথা!!

৩৬| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন: হাল্কা জীন্সের সাথে গাঢ় নীল রঙের পোলো শার্ট

জীন্সের কালার কি ছিল ? :)

না, আমি পড়ার ছলে অমিতের অপেক্ষায় ছিলাম

ফানের টোনে অনেস্ট স্বীকারোক্তি !! চমৎকার ...

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীন্সের কালার কি ছিল? - ঠিক কী কিংবা কী কী রঙের হলে ভাল হয়, বা আপনার পছন্দমত হয়, বলুন তো! আপনার উত্তরটা পেলে, এ নিয়ে হয়তো আরো কিছু বলা যাবে।

৩৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার একটা পোস্টে আপনার মন্তব্যে ৪টা লাইক দেখে আমি প্রথম জেনেছিলাম যে মন্তব্যে একের অধিক লাইক দেয়া হয়; আমি আপনাকে জানিয়েছিলামও এ বিষয়টা। অন্য এক যায়গায় আমি বলেছিলাম যে মডেস্ট ব্লগারদের তালিকায় উপরদিকেই থাকবেন আপনি।

এই সিনোপসিস তো আর এমনি এমনি তৈরী হয়নি, আপনার মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য দেখেই হয়েছে। সে হিসেবে এ ধরনের প্রতিমন্তব্যই আসার কথা ছিলো। আমি আর কিছু বলবো না এ বিষয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।

আমার খুব ইচ্ছে, এই ট্রেনের ড্রাইভারদের নিয়ে একদিন কোথাও একটা ছোট্ট গেট টুগেদার করবো। মৃণভো (আখেনাটেন এর দেয়া কম্পোজিশন) যেখানেই যাক, গল্পের মান যাই দাঁড়াক, ব্লগারদের সুন্দর একটা সম্পর্ক যে হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

ভালো থাকবেন।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে, এই ট্রেনের ড্রাইভারদের নিয়ে একদিন কোথাও একটা ছোট্ট গেট টুগেদার করবো - বাহ, বেশ ভাল একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। আপাততঃ ট্রেনটা চলতে থাকুক, কোন একটা গন্তব্যে গিয়ে থামুক, ততদিনে করোনার প্রকোপ কমে আসুক, তখন নিশ্চয়ই এরকম একটা গেট টুগেদার করা যাবে। তবে প্রথম চালক কবে দেশে আসবেন বা আসতে পারবেন, সেটা জেনে নিয়ে পরিকল্পনাটা করলে ভাল হয়।

৩৮| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপাতত এক ঝলক চোখ বুলিয়ে বুকিং দিয়ে গেলাম।
আগের পর্বগুলো পড়ে অবশ্যই মন্তব্য সহকারে ফিরবো
লেখায়।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়ে অবশ্যই মন্তব্য সহকারে ফিরবো লেখায় - আচ্ছা আচ্ছা, ঠিক আছে।

৩৯| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৮

জেন রসি বলেছেন: না, আমি পড়ার ছলে অমিতের অপেক্ষায় ছিলাম.

এমন রোম্যান্টিক লাইন বহুদিন পড়িনি।

বেশ হয়েছে খায়রুল ভাই। :)

২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ, জেন রসি। পোস্ট পড়াতে এবং প্রশংসা করাতে অনেক খুশী হয়েছি। :)

৪০| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০২

পুলক ঢালী বলেছেন: আশাকরি, আপনি সেটা একবার দেখে নেবেন এবং আপনি নিজেও গল্পের ৬, ৭ বা ৮, এ ধরনের একটা পর্ব লিখতে এগিয়ে আসবেন।
এই রে সেড়েছে! এই ভয়টাই করছিলাম, তাই কোন পর্বে মন্তব্য না রেখে সড়ে পড়েছিলাম। আপনি একজন প্রিয় লেখক বিধায় মন্তব্য করে ধরা পড়ে গেলাম। :D
আমি কোন কালেই গল্প লিখিনি, কবিতা লিখিনি বুঝেছি গল্প কবিতায় মন্তব্য করা যাবেনা চুপিসারে উঁকি দিয়ে পালিয়ে আসতে হবে। হা হা হা ;) =p~

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি কোন কালেই গল্প লিখিনি, কবিতা লিখিনি বুঝেছি গল্প কবিতায় মন্তব্য করা যাবেনা চুপিসারে উঁকি দিয়ে পালিয়ে আসতে হবে - আচ্ছা আচ্ছা, ঠিক আছে। তবে আপনি অন্ততঃ একজন পাঠক হিসেবে সাথে থাকবেন, এটুকু আশা তো করতেই পারি! আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে কিন্তু মনে হয়না, আপনি এতটা অপারগ এ বিষয়ে। যাহোক, সিরিজটা পড়ে যাবেন এবং মন্তব্য করে যাবেন, এই আশা র'লো।
আর আপনি যেটা খুব ভাল পারেন, ভ্রমণ কাহিনী লিখুন, এ নিয়ে ছবি ব্লগ দিতে থাকুন। :)

৪১| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৭

করুণাধারা বলেছেন: আপনি গল্প লেখেন চমৎকার, এই পর্ব থেকে এটা প্রমাণিত হয়েছে। জানিনা কেন অনেক দিন ধরে লিখছিলেন না!! আশাকরি এখন থেকে মাঝে মাঝে গল্প লিখবেন।

পর্বে ++++

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সর্বপ্রথমে বলতে চাই, অনবধানতা বশতঃ ঘটে যাওয়া এই ভুলের জন্য আমি যারপরনাই দুঃখিত, লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। এটা ছিল নিতান্তই আমার চোখের ভুল। এমনকি আপনি উল্লেখ করার পরও আপনার লিঙ্ক ধরে এসে আমি নিজেই নিজের লেখায় ভুলটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পোস্টের নীচে "৫৫টি মন্তব্য, ৫৫টি উত্তর" দেখার পরে প্রায় নিশ্চিত হয়েই বলতে যাচ্ছিলাম, আপনি ভুল করেছেন। পরে অবশ্য স্ক্রল করে নিজের ভুলটি আবিষ্কার করে ভীষণ স্যরি বোধ করতে লাগলাম।
দ্বিতীয়তঃ, একটি ছোট্ট অনুযোগ রাখতে চাই। সেটা হচ্ছে, আপনি কি করে ভাবতে পারলেন যে আমি এটা জ্ঞাতসারে করেছি?
যাহোক, আপনি আমার পোস্ট পড়ে সুবিবেচিত মন্তব্য করে যান, পোস্টে 'লাইক' দিয়ে যান, এটা আমি জানি এবং সবসময় তা ধন্যবাদের সাথে স্বীকারও করেছি (কেবলমাত্র এই দৃষ্টান্তটি ব্যতীত)। আমিও আপনার এই ব্লগে পোস্টকৃত সবগুলো পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেছি (কোন কোনটিতে একাধিকবার) এবং সম্ভবতঃ সবগুলোতে (হতে পারে কয়েকটি বাদে) 'লাইক'ও দিয়েছি। লাইক দিয়েছি অন্ধভাবে নয়, আপনার প্রত্যেকটি সুলিখিত পোস্টের মেরিটের কারণেই। আপনি কেন, আমার ৫০১টি পোস্টে কারও মন্তব্যের জবাব দেই নি, এমন দৃষ্টান্ত বিরল। আমি এ পর্যন্ত যে ১৮৮৭৭টি মন্তব্য আমার পোস্টে পেয়েছি, এর মধ্যে ৮টি মন্তব্যও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার উত্তর আমি দেই নি। ৪/৫ টি মন্তব্যের কথা মনে পড়ে যার উত্তর আমি ইচ্ছে করে দেইনি, তবে তার পেছনে কারণ ছিল।
এবারে আপনার মন্তব্যের প্রসঙ্গে আসি। আমার লেখা গল্প আপনার ভাল লাগে জেনে খুবই অনুপ্রাণিত হ'লাম। তবে আমি আমার নিজের লেখা গল্পে কেন জানি সন্তুষ্ট হতে পারি না। নভোনীল এর এ পর্বটা সবগুলোর মধ্যে এ যাবত সর্বাধিক পঠিত হয়েছে এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক মন্তব্য অর্জন করেছে, কিন্তু আমি নিজে এটা লিখে সন্তুষ্ট বোধ করিনি। মনে হয়েছিল, একজন ভাল গল্প লেখকের হাতে পড়লে গল্পটি আরও অনেক বেশী রোমান্টিক হয়ে উঠতে পারতো।
পরিশেষে, আমার ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

৪২| ২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের ৬ নম্বর সাথী এসে গেছে....

২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেখেছি, ধন্যবাদ। যাচ্ছি সেখানে...

৪৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

মিরোরডডল বলেছেন: যেহেতু গাঢ় নীল রঙের শার্ট, তার সাথে স্কাই ব্লু জীন্স যায় । নভো হতে পারে এরকম :)



২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: তার সাথে স্কাই ব্লু জীন্স যায় - জ্বী অবশ্যই যায়। অবশ্য অবশ্যই কথাটা আপনার মন্তব্য পাওয়ার পরেই বলছি, তার আগে ততটা জোরের সাথে বলতে পারছিলাম না। আমার অরিজিনাল থটে এ কম্বিনেশনটাই ছিল, কিন্তু পরে একটু খটকা লাগলো, দেখতে কেমন ইউনিফর্ম ইউনিফর্ম লাগবে না তো? উপরের রঙটা বদলাতে চাচ্ছিলাম না কোনক্রমেই।
ধন্যবাদ, আমাকে আমার মূল ভাবনায় ফিরিয়ে আনার জন্য।

৪৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ভালগাগা জানিয়ে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । আপনার পোষ্ট পাঠে আমার অনেক সময় দিতে হয় ।
পোষ্টের অনেক কথামালার ব্যঞ্জনা এত বেশী যে তাদের কতক নিয়ে যায় স্মৃতির গভীরে কতক নিয়ে
যায় গুগল ডট কমে জানার ও জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে । আমার পোষ্টেবেশ কিছু মন্তব্য জমা পরে
আছে, সেগুলির বিহিত করে আপনার এই লেখাগুলিরপর্বে ফিরে আসব অতি শীঘ্র করে।

শুভেচ্ছা রইল

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালগাগা জানিয়ে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম - অনেক ধন্যবাদ, যারপরনাই অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আচ্ছা, আপনি ফিরে এসে আমারটা সহ সিরিজের বাকি গল্পগুলোও পড়ুন। তারপরে আলাপ হবে।

৪৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০২

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনার ব্লগে পড়তে এসে দেখি শিরোনাম একটা কিন্তু লেখক অনেক। তাই শুরু থেকে পড়ে এলাম। আপনার অংশটা ভাল লেগেছে। ৬ষ্ঠ পর্যন্ত পড়েছি দেখি শেষে কি হয়।
শুভেচ্ছা রইল।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ব্লগে পড়তে এসে দেখি শিরোনাম একটা কিন্তু লেখক অনেক - জ্বী, এটা একটা গল্প বলার (লেখার) খেলার মত। :)
আপনার আজকের পোস্ট "বৈশাখে রেশমী গল্প" পড়ে এলাম। ভাল লেগেছে। + +
আপনার লেখাটা পড়ে এসে আপনাকে অনুরোধ করতে ইচ্ছে হচ্ছে, আপনিও না হয় একটা পরব লিখে ফেলুন!

৪৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৪

মিরোরডডল বলেছেন: তাই ? শুনে খুশী হলাম :)
আপনি আরেকটি পর্ব লিখুন । ওখানে মৃন্ময়ীকে পোর্ট্রেট করুন ।
ওকে এখনও কল্পনায় আনতে পারছিনা ঠিক কেমন :|

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আরেকটি পর্ব লিখুন । ওখানে মৃন্ময়ীকে পোর্ট্রেট করুন - ওরে বাবা, আবার?!!!
তবে আমিও চাই, এর পরের পর্বটিতে লেখক যেন মৃন্ময়ীকে আরেকটু হাইলাইট করেন। আর ওদের রিলেশনশিপটাকে আরেকটু ডেফিনিটিভ শেইপ দেন।
পুনঃমন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪৭| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনার ফায়ার করা গল্প "বৈশাখে রেশমী গল্প" ভাল লেগেছে, তাতেই আমি খুশি।
আপনার ইচ্ছের কথা জানলাম এবং আমাকে নিয়ে এভাবে ভাবার জন্য নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। আমার নিকের বয়স বেশি হলেও আমি কিন্তু শিশু, মা-বাবা ডাকতে শিখেছি মাত্র।
ঢাকা শহর ভাল চিনি না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারণা নাই।
আপনারা যেভাবে লিখছেন আমি উপভোগ করছি।

ভাল থাকবেন।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে। সাথে থাকলেই চলবে।
তবে নিজের লেখালেখিটা সময় পেলেই চালিয়ে যাবেন, এটুকু আশা বোধহয় করতেই পারি।

৪৮| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খায়রুল আহসান ভাই,
ব্লগার জাদিদ ভাইয়ের গতকালের নতুন পোস্টে আপনাকে নিয়ে মন্তব্য করেছি মন্তব্য নং - ৬ জাদিদ ভাইয়ের পোস্ট ও আমার মন্তব্য পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।

ধন্যবাদ।



২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়লাম সে পোস্ট টা, এবং মন্তব্যও করে আসলাম।

৪৯| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
মৃন আর নভো'র চমৎকার মিথস্ক্রিয়া গুলো সুন্দর করে
লিখেছেন । নভোর জন্য ক্লাস মিস হওয়া এবং বিশেষ
এই বন্ধুটির জন্য একটু কেমন যেন অস্থির হওয়া এটাকেই
মনে হয় টার্নিং পয়েন্টে মোড় নিচ্ছে । আরেকটা বিষয় খুব
ভালো লাগলো সহপাঠীর সাথে রিকশা ভাড়া শেয়ার করার
প্রস্তাব। আপনি কবে সেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি
পেরিয়ে এসেছেন কিন্তু এ বিষয়গুলো সুন্দর করে ফুটিয়ে
তুলেছেন । শেষের কবিতা কে সামনে উপস্থাপন করায়
আরো মনের গভীরের অনুভূতি যেন প্রকাশ করা হলো।
সব মিলিয়ে আপনি অসাধারণ লিখেছেন ।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃমন্তব্যেরর জন্য ধন্যবাদ।
আপনি কবে সেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এসেছেন কিন্তু এ বিষয়গুলো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন । শেষের কবিতা কে সামনে উপস্থাপন করায় আরো মনের গভীরের অনুভূতি যেন প্রকাশ করা হলো। সব মিলিয়ে আপনি অসাধারণ লিখেছেন - পোস্টটা পড়ে এতটা উদারভাবে প্রশংসা করে যাবার জন্য ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হ'লাম। + +

৫০| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: পর্ব – ৭ নভোনীল

পড়ার আমন্ত্রন।
ধন্যবাদ নভোনীল পুর্বের সব লেখকদের যাদের অনুপ্রেরণায় আমার পদচারনা এই প্লটে ।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক নজর দেখে এলাম।আগামীকাল আবার ভাল করে পড়ে মন্তব্য করবো ইন শা আল্লাহ!
ধন্যবাদ নভোনীল পুর্বের সব লেখকদের যাদের অনুপ্রেরণায় আমার পদচারনা এই প্লটে - এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৫১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:



স্যার আপনি যেন গতকাল যেখানে রেখে গিয়েছিল ,সেখান থেকেই শুরু করলেন । মনে হয়েছে আপনি অনেক্ষণ ধরে উইকেটে তিতু হয়ে আছেন । গুগলি ,বাউন্সার সামলাতে তো বেগ পোহাতেই দেখলাম না । মানে যেখান থেকে গত পোস্টে হয়েছিল ,সেখান থেকেই শুরু করলেন । প্রথম থেকেই আমি যেন এক নভোর টানেই পড়া শুরু করলাম। পাশা মৃনকেও উপভোগ করছি। সেই কবে থেকে মৃন নভোর সঙ্গ পেতে অপেক্ষা করছে,কাছে আসার চেষ্টা করছে , কিন্তু নভোর এসবের প্রতি উদাসীনতায় লক্ষ্য করলাম । আপনি শেষটা দারুণ করেছেন । আমার ভালো লাগছে। জানি না কোন দিকে যাচ্ছে। তবে নভো-মৃনের হাসি ,এক সাথে ক্লাসে যাওয়ার কথা বলা আমাকে প্রশান্তি দিল। এই অংশে আমি হতাশ নিলাম ,মানে নিতে দেন নি । এটা চাইও না ব্যক্তিগতভাবে ।

অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য ।আমি চাই নভোনীল অনেক দূর যাক। এখন পর্যন্ত পর্বগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি চাই নভোনীল অনেক দূর যাক - আমিও তাই চাই, এবং ওরা একটা সফল পরিণতি পাক, এটাই আশা।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

৫২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাহ দারুন!

২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ঠিক কী 'দারুণ' মনে হয়েছে আপনার কাছে?
আপনিও কিন্তু পরের পর্বটা লিখে ফেলতে পারেন। সেখানে নভো-মৃ এর মাঝে একটা 'কবিতা পড়ার প্রহর'ও রাখতে পারেন। অনেকদিন ধরেই সিরিজটা থেমে আছে। আপনি লিখলে হয়তো সেটা আবার গতি পাবে।

৫৩| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সেটা ভাবছিলাম। সব কটি পর্ব পড়লাম আজ। সকল কাজ ফেলে রেখে। ওদের একটা গতী করা দরকার। তবে আমি তো এক্সেসলেস প্রথম পাতায়। তা না হয় রইলাম কিন্তু নভোনীল কি আটকে থাকতে পারে?

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ সিরিজটি নিয়ে আপনি লেখার আগ্রহ প্রকাশ করায় প্রীত হ'লাম। আন্তরিক শুভকামনা...

৫৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্প লেখা কঠিন হলেও কাজটা করতে পেরেছেন বলাই বাহুল্য।

গল্পটিও চলছে সুন্দরভাবে এগিয়ে।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প লেখা কঠিন হলেও কাজটা করতে পেরেছেন বলাই বাহুল্য - যাক, বেশ আশ্বস্ত বোধ করছি আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
আমার এ পোস্টটি এবং সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোও পড়ে চলেছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইলো....

৫৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: ২৮ জুলাই সকালে মডারেটরকে একটা ইমেইল করেছি এবং ওনার পোস্টে কমেন্ট করে এসেছি পুরস্কারের বিষয়ে। অনুমান করছি ঈদের ব্যস্ততার কারনে উনি নীরব। ৩ আগস্টের পর যদি ওনার কাছে কিছু না শুনি তবে ৪ তারিখ থেকে প্রতিদিন রিমাইন্ডার পাঠাবো :D

ঈদের শুভেচ্ছা।

০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মডারেটর কোন পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন বা না করুন, এমন একটা শুভ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নভোনীল এর 'ওরা এগারজন' মিলে আপনাকে একটা নৈশভোজ বা মধ্যাহ্নভোজে (সুবিধেমত) আপ্যায়ন করতেই পারেন বলে মনে করি! :)
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা!

৫৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত এবং লজ্জিত ভুল বুঝেছিলাম বলে, আবার আনন্দিতও হচ্ছি এটা জেনে যে আমার ধারণা ভুল ছিল!!

আমার সবসময় মনে থাকে যে আপনি একমাত্র ব্লগার যার মন্তব্য আমার প্রতি পোস্টে আছে, কখনো একাধিকবার; সেজন্য আপনার প্রতি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা সবসময়ই রয়েছে। কিন্তু তারপরও ভুল বুঝেছিলাম কারণ বর্তমানের পরিস্থিতি আমার মনোজগতকে ভীষণভাবে বদলে দিয়েছে; মনের বেশিরভাগেই এখন ভয়,  সন্দেহ আর অনিশ্চয়তায় ভরে থাকে। হয়ত সেজন্য মনে হয়েছিল আপনি ইচ্ছা করে আমার মন্তব্য স্কিপ করেছেন, যেমন আমার সাথে অনেকেই করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ের এমন দুটো পোস্ট দেখুন:
view this link

view this link
প্রথমটিতে আমার মন্তব্য অগ্রাহ্য করা হয়েছে, দ্বিতীয়টিতে আমি মন্তব্য করার পরে পোস্টদাতা সকলকে উত্তর করেছেন আমাকে বাদ রেখে! আমি কি খারাপ কিছু মন্তব্য করেছিলাম? এমন হলে আমি বিষন্নতায় আক্রান্ত হই এবং এই ব্লগারদের ব্লগে আর কখনো যাই না... আমার মন্তব্য অগ্রাহ্য করা ব্লগারদের তালিকা বেশ দীর্ঘ, সেই তালিকায় আপনার নাম যোগ করতে ইচ্ছা করছিল না। আপনার সাম্প্রতিক প্রতিটি কবিতা আমি পড়েছি, ভালো লেগেছে কিন্তু তা জানাতে গিয়ে হাত গুটিয়ে নিয়েছি। অবশেষে ভাবলাম, যাচাই করে দেখা যাক আমি ভুল করেছি কিনা। যাহোক আমি বুঝতে পেরেছি এবং আবার নির্ভয়ে সবার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করতে পারব ভেবে খুবই আনন্দিত!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন লেখকের ইচ্ছে করে পাঠকের মন্তব্যের উত্তর না দেয়াটা কিংবা ক্রমানুযায়ী উত্তর না দিয়ে পছন্দমত পাঠকের উত্তর দেয়াটা একটি নিন্দনীয় বদ অভ্যাস, এ কথা বলা যায় নিঃসন্দেহে। তবে এ নিয়ে এতটা মাথা ঘামাবেন না। যারা এ দোষে দুষ্ট, তারাই নিন্দনীয় হবেন, মন্তব্যকারীর কাছে তিনি এক প্রকার ঋণী থেকে যাবেন।
আমার ধারণা ছিল, আপনার এ মন্তব্যটির উত্তর যেদিন পড়েছিলাম, সেদিনই দিয়ে গিয়েছিলাম। আজ এ পোস্টে ঢুকে দেখি, তা দেইনি। বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

৫৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: view this link আগের লিন্ক কাজ করছে না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিঙ্কে গিয়ে আপনার আন্তরিক মন্তব্যটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। তবে মনে হলো, সেটি এবং 'লাইক'টি যথাযথ হলেও, 'অপাত্রে' ঢেলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.