নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
ছোটবেলায় বাবা অফিস থেকে সন্ধ্যায় ফিরতেন।
হাতমুখ ধুয়ে উঠোনে রাখা একটা ইজী চেয়ারে
গা এলিয়ে তিনি আমায় ডেকে নিতেন।
আমি তার পেছনে দাঁড়াতাম,
তিনি মুখে মুখে ইংলিশ ট্রান্সলেশন ধরতেন,
পাটিগণিতের আর্যা ধরতেন,
মুখে মুখে অংক কষাতেন,
আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেন,
ওরিয়ন, গ্রেট বীয়ার, পোল স্টার, আরো কতো কি!
সেই থেকে আমার অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল,
শুক্লা পক্ষ হোক, কৃষ্ণ পক্ষ হোক,
নিশীথ রাতে আকাশের তারা দেখা।
জীবনে যখন প্রথম ভাবতে শুরু করলাম,
‘সখী ভালবাসা কারে কয়’,
তখন এসব তারার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে
এক সময় একটা পরিচিত মিষ্টি মুখ দেখতে পেতাম।
প্রথমে সামান্য উঁকি দিতো, পরে দেখা যেতো,
পুরোটা আকাশ জুড়েই সে মিষ্টি মুখটি ছড়িয়ে আছে!
আজ যখন আমি রাতের আকাশের দিকে তাকাই,
আমি শুধু একটি নয়, অনেকগুলো মুখ দেখতে পাই।
সেসব মুখ, যারা একদিন আমায় ভালবেসেছিল,
পরম মমতায় স্নেহ করেছিল, মাথায় হাত বুলিয়েছিল,
আমিও তাদের অন্তরে অন্তরে ভালবেসেছিলাম!
তারা একদিন হারিয়ে যাবে, একথা কখনো ভাবিনি।
তারা আজও দূর থেকে আমায় ভালবাসার দ্যূতি পাঠায়,
একেকটি তারা থেকে একেকজন মুখ বের করে শুধোয়,
বাবুসোনা, তুমি ভাল আছো তো?
ঢাকা
২৯ জুন ২০২০
ছবিঃ ব্লগার ঠাকুরমাহমুদ
৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
অংক, ইংরেজী এবং সাধারণ জ্ঞানে আশৈশব ভাল ছিলাম, বাবার নিবিড় পরিচর্যার কারণে।
২| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি যে কেন আপনার মতোণ করে কবিতা লিখতে পারি না!!!!
০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা আপনিও অনেক ভালই লেখেন। এটা আপনার বিনয় বলে মনে করি।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৭
জেন রসি বলেছেন: ফেরার সময় হলে
মানুষ হেঁটে হেঁটে
ফিরে ফিরে যায়!
কেউ কেউ থেকে যায়
নেমে আসা রাতের অতল
প্রহরে ভেসে ভেসে ভেসে
কেউ কেউ কোথাও ফিরে না!
কাকেরা মরে, কুকুরও
মানুষও মরে যায়!
পৃথিবী তার শূন্য গর্ভে
স্মৃতির প্রলেপ জমায়।
একদিন স্মৃতির অতলে
পৃথিবীর সলিল সমাধি হবে!
তারও কিছু পূর্বে নক্ষত্র মরে যাবে।
ব্লগেই লিখেছিলাম কোন এক সময়। আপনার কবিতাটি মনে করিয়ে দিল।
০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছিলেন! এখানে তা পুনরুল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ।
কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....
৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪২
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আমার গল্পটাও পুরোপুরি আপনার কবিতার মতো। সুন্দর কবিতা।
০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার গল্পটাও পুরোপুরি আপনার কবিতার মতো - জেনে প্রীত হ'লাম। সে জন্যেই বোধহয় আপনাকে আমার পোস্টে দেখতে পেলাম অনেকদিন পর!
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা...
৫| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বীজগনিতের হাতেখড়ি আমার বাবার কাছে। অসাধারণ লিখেছেন যেন চোখে ভেসে উঠলো শৈশব
০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন যেন চোখে ভেসে উঠলো শৈশব - অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ছোটবেলায় বাবারা আমাদের যা যা শেখায়, তা চিরতরে মনে গেঁথে থাকে!
৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ২:২৩
রাকু হাসান বলেছেন:
একদিন আমরা তাঁদের দলে যোগ দিব। বাবারা এমনই হয়। Spiritual Poem about Life +++
০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: একদিন আমরা তাঁদের দলে যোগ দিব - কথাটা দুঃখের হলেও, ধ্রুব সত্য।
"Spiritual Poem about Life +++" - কবিতা তো বেশীরভাগ সময় জীবন থেকেই উঠে আসে!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পড়ে যেমন মুগ্ধ হলাম, তেমনি নস্টালজিকও হয়েছি স্যার। বাবার একটা অসাধারণ স্নেহপ্রবণ ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে কবিতায়।
'সখী ভালোবাসা কারে কয়' অংশটা খুবই রোমান্টিকতায় ভরপুর। একটা ক্লাসিক বাংলা মুভির কোনো হিরোর ক্যারেক্টার, যেন উত্তম-সুচিত্রার কোনো মুভির সিকোয়েল!
'বাবুসোনা, তুমি ভালো আছো তো?'
এক তারা থেকে বহুতারায় ভালোবাসা ছড়িয়ে যাওয়া, বহু তারার ভালোবাসা পাওয়া- এক জীবনে আপনার সাফল্য ও প্রাপ্তির সূচক।
অনেক সুন্দর একটা কবিতা পড়লাম স্যার। অভিনন্দন এ কবিতার জন্য।
আমার এই পোস্টে আপনার একটা কমেন্ট আছে। ওটার ঘোরে আছি স্যার। এই ঘোরে হয়ত আর উত্তরও দেয়া হবে না। এখানে ওটার ঋণ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই কামনা করে গেলাম।
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাবার একটা অসাধারণ স্নেহপ্রবণ ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে কবিতায় - ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
একটা ক্লাসিক বাংলা মুভির কোনো হিরোর ক্যারেক্টার, যেন উত্তম-সুচিত্রার কোনো মুভির সিকোয়েল! - এ কথাটায় দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
এক জীবনে আপনার সাফল্য ও প্রাপ্তির সূচক - এটাও আনন্দের উত্তুঙ্গ শিখরে পৌঁছে দিল!
আপনার পোস্টের ব্যাপারে এখানে যা বলে গেলেন, সেটাই যথেষ্ট, তাতেই সন্তুষ্ট হ'লাম। ওখানে আর কিছু না বললেও চলবে।
কবিতার প্রশংসায় উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা....
৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৬
রাফা বলেছেন: কিছু না কিছু মিল থাকেই জিবনের কথার কবিতায়। জিবনচক্রে আমি আর আপনিও হয়তো কারো কারো কাছে ঐ নক্ষত্রের মত চিহ্নিত হবো।একান্ত আপণজনেরা এমন করেই মনে হয় স্বরণে রাখে।
চমৎকার অনবদ্য কবিতার জন্য ধন্যবাদ,খা.আহসান ।
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: জিবনচক্রে আমি আর আপনিও হয়তো কারো কারো কাছে ঐ নক্ষত্রের মত চিহ্নিত হবো - সেটা হতে পারলে তো তা হবে জীবনের এক বড় সাফল্য।
কবিতা পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাফা। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১৬
সোহানাজোহা বলেছেন: সম্ভবত সব বাবারা এমনই হোন।
পৃথিবীর সকল বাবাদের জন্য দোয়া একালে এবং পরকালে যেনো শান্তিতে থাকেন। +++
০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীর সকল বাবাদের জন্য দোয়া একালে এবং পরকালে যেনো শান্তিতে থাকেন - তাই যেন হয়, আমীন!
বাবাদের প্রতি আপনার এমন শ্রদ্ধা প্রকাশ খুব ভাল লাগলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১০| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: কবিতাটা আরেকবার পড়তে এলাম। কিছু কিছু কবিতা দুই তিনবার না পড়লে মন ভরে না।
০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এত এত পোস্ট লেখা ও পড়ার ব্যস্ততার মাঝেও আমার এ ক বিতাটা আরেকবার এসে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
১১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
ডি মুন বলেছেন:
বাহ, চমৎকার।
একটা বেদনার অনুভূতি আছে কবিতাটায়।
স্বজন-প্রিয়জন হারানোর বেদনা।
০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা বেদনার অনুভূতি আছে কবিতাটায় - কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, কবিতার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত।
১২| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
১৩| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: মানুষ মরলে কি সব তারা হয়ে যায়? বিদেহী আত্মাকে সকলে তারায় তারায় খুঁজে বেড়ায়!! ভালো লাগলো কবিতা। শুভ কামনা প্রিয়। সুস্থ থাকুন। ঘরে থাকুন সাবধানে।
০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিদেহী আত্মাকে সকলে তারায় তারায় খুঁজে বেড়ায়!! - জ্বী, সেই ছোটকাল থেকেই দেখে এসেছি এমনটা হতে।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
১৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: ছোটবেলা বাবা আমাকে হাতে নিয়ে কোরআন তেলোয়াত করতেন, মুখে মুখে আমায় পড়াতেন, ওই সব সুরাগুলোই নামাজে পড়তেন। তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তাম। বাবার মুখ মুখে পড়ে সুরা দোহা- ফাতিহা মুখস্থ করালাম। অনেকটাই মনে আছে আলহামদুলিল্লাহ। এছাড়া আমার মোক্তব বলতে আমার বাবা আর দাদাই ছিল।
০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার বাবাও ছোটবেলায় আমাকে এবং আমার অন্যান্য ভাইবোনদেরকে পবিত্র ক্বুর'আন মজিদ তিলাওয়াত শিখিয়েছিলেন।
কবিতা পাঠান্তে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
১৫| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাবা যেন মাথার উপর বট বৃক্ষের ছায়া..........।
+++
০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, যথার্থই বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
'বাবুসোনা, তুমি ভালো আছো তো?'
নক্ষত্ররাজ্য থেকে ভেসে আসা এক অলৌকিক শব্দরাজি!
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: নক্ষত্ররাজ্য থেকে ভেসে আসা এক অলৌকিক শব্দরাজি! - আপনি কবিতার একদম ভেতরে ঢুকে গেছেন, সেজন্যেই এই অলৌকিক ডাকটি আপনি এভাবে শহুনতে পেয়েছেন!
অনেক ধন্যবাদ, চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য।
১৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিবিজড়িত শৈশবের এক চিত্র তুলে ধরলেন স্যার। ও নক্ষত্র গুলোই যেন আমাদের কত চেনা বাবা-মায়ের সাক্ষ্য বহন করছে। উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক আমাদের মনকে ভরিয়ে তোলে আবেশে।কাব্যে ভালো লাগা।
সোনাবীজ ভাইয়ের কমেন্টটা বেশ ভাল লেগেছে।
পোস্টে দশম লাইক।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাদেরকে আমরা চিরতরে হারিয়ে ফেলি, তাদের অনেককে আমরা পুনরায় ফিরে পেতে চাই। কিন্তু তা তো কখনো সম্ভব নয়, তাই আমরা তাদেরকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোতে খুঁজি, তারায় তারায় খুঁজে বেড়াই। কবিতাও তিনটি স্তবকে তিন ধরণের খোঁজার কথা বলা হয়েছে, যা সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এবং শের শায়রী তাদের মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
১৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবাই বলে
মানুষ মরে গেলে তারা হয়ে যায়!
সে্ই থেকে তারায় তারায় প্রেম
তুমি কোন তারাটা হবে -
কোলে মাথা নিয়ে প্রশ্ন করলে
চট করে বলে দিতাম- ধ্রুবতারা!
কিন্তু পরে নিজেই থমকে যেতাম।
এটাতো আছে। আমিতো নতুন তারা হবো
হয়তো কোন নাই নেই
হয়তো ভবিষ্যত দেবে নতুন কোন নাম!
শুধু তুমি হুম, জানি শুধু তুমি
এক পলকেই বুঝে নেবে- ঐ যে ঐটাই আমি!
আমার কোন দোষ নাই প্রিয় সিনিয়র
আপনার কবিতাই লিখিয়ে নিলো এলোমেলো ভাবনা কথন
আপনার কবিতায় ++++
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এলোমেলো নয়, ভাবনাগুলোকে তো বেশ গোছানোই মনে হলো। যাক, আমার কবিতা কাউকে নতুন একটা কবিতা লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে, এটাও কবিতার একটা বড় সাফল্য বলে মনে করি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
১৯| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৪
সোহানী বলেছেন: আপনার লিখা পড়লে আমার নিজের পরিবারের স্মৃতি উকিঁ দেয় কারন আগে ও বলেছি আপনার সাথে আমার পারিবারিক বন্ধন অনেক অনেক মিল। আমার বাবাও ঠিক একই কাজ করতো।
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার বাবাও ঠিক একই কাজ করতো - এবং তিনি ঠিক কাজটিই করতেন!
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
২০| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৬
শায়মা বলেছেন: আমিও ছোটবেলায় ভাবতাম মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়...... আসলেও হয়ত তাই হয়....
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ছোটবেলায় যা ভাবতেন, আমি তো বড় (বুড়ো) বেলায় এসেই তা লিখলাম!
মন্তব্যে খুশী হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: আপনি আকাশের তারাগুলো কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উপলদ্ধির মাধ্যমে আমাকেও আপনার উপলদ্ধির জগতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কবিতায় অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন।
০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার আপনার পর্যবেক্ষণ, আরও চমৎকার আপনারর ভাবনার প্রকাশ। মাত্র দুটো বাক্যে যেন অনেক কথা বলে গেলেন!
কবিতার পাঠক যখন কবিতার সাথে নিজেকে মেলাতে পারেন, কবি তখন নিজেকে সার্থক মনে করতে পারেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কবিতায় অনেক ভালো লাগা রইলো শ্রদ্ধেয়
০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সময় করে এসে কবিতাটি পড়ে গেলেন বলে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১১
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
গভীর অনুভূতি প্রকাশ পৃথিবীর নিঃস্বার্থ সম্পর্কে , সন্তান
আর বাবা-মার ক্ষেত্রেই হয়তো হয়ে থাকে ।
আপনার উপস্থাপনায় এই সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা ও
গভীর ভাললাগা । +++
০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কবিতা পাঠ করে আপনার সুচিন্তত ভাবনার কথাগুলো এখানে বলে যাবার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জীবন সংসারের ধর্মই হচ্ছে - নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, স্নেহ মায়া মমতা তৈরি করে একে একে সবাই চলে যান। চলে যেতে হয়। অনন্তকাল ধরে নক্ষত্র আমাদের প্রিয়জনদের তার কাছে ডেকে নিয়েছেন। একদিন আমরাও নক্ষত্রবাসী হবো, জানিনা আমরা কতোটুকু নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, স্নেহ মায়া মমতা রেখে যেতে পারবো।
সকল পূর্বজ ও নক্ষত্রবাসীদের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা।
০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা সুন্দর ছবি দিয়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনার ছবিটাকে আমি ক্যাপশন ছবি হিসেবে সংযোজন করেছি।
"একদিন আমরাও নক্ষত্রবাসী হবো, জানিনা আমরা কতোটুকু নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, স্নেহ মায়া মমতা রেখে যেতে পারবো" - জ্বী, এরকম আমিও মাঝে মাঝে ভেবে থাকি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
বিজন রয় বলেছেন: আপনার এখানে আমার অনেক দিন আসা হয়নি। আসলে অনেক দিন ব্লগে নিয়মিত আসতে পারিনি। গত ক'দিন কিছুটা সময় দিতে পারছি।
আশাকরি ভাল আছেন।
কবিতাটি পড়লাম। আমর খুব কষ্ট হলো।
হারিয়ে ফেলা প্রিয়জনদের মুখ কারো মাঝে খুঁজতে যাওয়া মানে আমার কাছে কষ্টটা আরো বেড়ে যাওয়া।
আপনার জন্য শুভকামনা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, তবু তো আজ সময় করে আসতে পারলেন! এতেই খুশী!
"আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার হতে ভাই রে" - সুনির্মল বসু এর এই কবিতাটা (সবার আমি ছাত্র) সেই ছোটবেলায় মুখস্থ করেছিলাম। বড় হয়ে বুঝেছি, আকাশ আমাদেরকে শুধু উদার হতেই শিক্ষা দেয় না, আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে, দৃষ্টি প্রসারিত করতেও শিক্ষা দেয়। মন খারাপের সময় আকাশ, চাঁদ-তারা ও মেঘ আমাদের শান্তির ভরসাস্থল হয়ে যায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খায়রুল আহসান ভাই, আমরা একটি কবিতা পড়েছি “বেলা গেলো হাঁস মুরগী ঘরে তোলো দাদীকে ঔষধ দাও” - অর্থাৎ বেলা গেলেও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি দায়িত্বের কথা ও গুরুত্ব বলা হয়েছে। বেলা যাচ্ছে আমরা হাঁস মুরগি ঘরে তুলছি এক সময় নিজেকে নিজে তুলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিচিত্র কারণে সমগ্র জীবনে আমরা আকাশের দিকে তাকাই সবচেয়ে বেশী - আকাশের সাথে কি আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে নাকি আমাদের সকল আত্মীয় আকাশে থাকেন তা আমার কাছে এক বিরাট প্রশ্ন! রাতের তারার মেলার ছবিটি আপনার পোস্টে সংযুক্ত করে আমাকে কৃতজ্ঞ করেছেন। - আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
*****
মনে রাখার মতো কবিতা লিখেছেন - আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
০৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: “বেলা গেলো হাঁস মুরগী ঘরে তোলো" - এ কথাটিতে দিনান্তের একটা প্রস্তুতির প্রতি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। কথাটা শুনলে কেমন যেন একটি সাঁঝের মায়া মনটাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে!
মনে রাখার মতো কবিতা লিখেছেন - আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আমার জন্য এত বড় একটা প্রেরণা এখানে রেখে যাবার জন্য।
২৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
নজসু বলেছেন:
আপনার কবিতায় হৃদয় কেন যেন উদ্বেলিত হয় আমার।
ভালোবাসার মানুষেরা হারিয়ে যায় সত্য; তাদের ভালোবাসা রয়ে যায়।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কবিতার প্রতি আপনার এই ভালবাসার কথা জেনে প্রাণিত হ'লাম, নজসু। মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভালোবাসার মানুষেরা হারিয়ে যায় সত্য; তাদের ভালোবাসা রয়ে যায় - খুব সুন্দর বলেছেন এ কথাটা। তাদের রয়ে যাওয়া ভালবাসার শক্তিতেই তো মানুষ সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা পায়, কবিতা লেখে, গান গায়, আরো কত কিছু করে!
২৮| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১১
অচেনা হৃদি বলেছেন: কবিতা আর ছবি, খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।
হয়ত মানুষ সৃষ্টির পর থেকে যারা মাটির পৃথিবী ছেড়ে গেছে, তাদেরকে স্রষ্টা নক্ষত্র বানিয়ে সত্যিই আকাশের বুকে সাজিয়ে রেখেছেন। নয়ত এতো তারা কেন আকাশে?
১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা আর ছবি, খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে - ছবিটা ঠাকুর মাহমুদ এর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
নয়ত এতো তারা কেন আকাশে? - কে জানে! হয়তো তাই! তবে তা সত্য হোক আর না হোক, মানুষ চাঁদ, তারা ইত্যাদির দিকে তাকিয়ে প্রিয়জনের কথা মনে করে, এটা হয়তো বিশ্বজনীন একটা অনুভূতি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৯| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: নক্ষত্রবাসী আপনার বাবা পরম শান্তিতে থাকুন।
কবিতার প্রথম দিকে আপনি একটা ছবি এঁকেছেন, একজন বাবা কত সহজে সন্তানকে শেখাতেন... এই ছবি আর দেখা যায় না। এখন নক্ষত্র দেখার সময় কোথায়!! সময় যদিও থাকে, নক্ষত্রর দেখা মেলে না।
কবিতার সাথে ছবিটি চমৎকার মিলেছে, ++++
১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: নক্ষত্রবাসী আপনার বাবা পরম শান্তিতে থাকুন - অনেক ধন্যবাদ, দোয়া স্পর্শ করে গেল!
এই ছবি আর দেখা যায় না। এখন নক্ষত্র দেখার সময় কোথায়!! জ্বী, আপনি সঠিক কথাটিই বলেছেন। এখন ছেলেদেরও সময় নেই, বাবাদেরও নেই। তবে আমি আমার বাবার মতই কিন্তু আমার ছেলেদেরকে একই পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করেছি। ওরা সেটা তখন পছন্দ না করলেও, পরবর্তী শিক্ষা জীবন এবং কর্মজীবনে এর সুফল ভোগ করেছে।
কবিতার সাথে ছবিটি চমৎকার মিলেছে - আগের প্রতিমন্তব্যে যেমনটি বলেছি, এ চমৎকারিত্বের কৃতিত্ব ব্লগার ঠাকুর মাহমুদ এর।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৩০| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক সুন্দর কবিতা। তারার দিকে চেয়ে প্রিয়জনকে খোঁজা মনে হয় মানুষের একটা চিরন্তন প্রচেষ্টা। বিভিন্ন দেশ, সমাজ ও সাহিত্যে এরকম দেখা যায়।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তারার দিকে চেয়ে প্রিয়জনকে খোঁজা মনে হয় মানুষের একটা চিরন্তন প্রচেষ্টা" - আমারও তাই মনে হয়!
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৩১| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুন বলেছেন: তারা দেখা অল্প বয়স থেকেই আমার খুব শখ ছিল। কত তারার নাম জানা ছিল। সাথে গ্রীক মিথোলজির দেবতাদের যোগসূত্র খুজে বেড়ানো। তখন তো টিভি বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব কিছু হাতের মুঠোয় ছিল না। আব্বার পুরোনো লালচে হয়ে যাওয়া পাতার ইয়া মোটা এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা থেকে পড়তাম এই সব।
আপনার মত আমিও মাঝে মাঝে চিন্তা করি পুরোনো দিনের কথা নিয়ে আলাপ করার লোক আস্তে আস্তে কমে আসছে।
কবিতায় ভালো লাগা রইলো অনেক।
+
১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বা এ ধরণের বই অনেক উচ্চমূল্যের ছিল, কিন্তু আমাদের মা বাবারা অনেক কষ্ট করে হলেও সেগুলো আমাদের জন্য যোগাড় করে আনতেন। তারা চাইতেন, আমরা যেন যে কোন প্রকারে হোক, জ্ঞান আহরণ করি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার,
অসাধারণ আপনার শৈশব।
আমাদের অনেকের শৈশব অনেকটা এই রকমই।
কবিতায় ভালোলাগা।
শুভ কামনা । ভালো থাকবেন সব সময়।