নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
‘করোনা করোনা’ করে বন্ধ করে রেখেছো সব,
গৃহে বসে থেকে সবাই করছো ‘যুম’ উৎসব।
খাদ্য ফুরিয়ে গেলে থাকবে না কোন বন্ধু বান্ধব,
যতই তোমাদের কাছে থাক অথৈ বিত্ত বৈভব!
মধ্য দুপুরে গরু আর আমরা মিলে মাড়াই ধান,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তোমাদের বাঁচাই প্রাণ।
‘করোনা করোনা’ করে তোমরা গাইছো একই গান,
ধান চলে যায় তোমাদের ঘরে, আমাদের শূন্য উঠান।
ঢাকা
১২ জুলাই ২০২০
(ছবিসূত্রঃ ইকরাম কবির)
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশের খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষক শ্রেণীর অবদান কখনোই স্বীকৃত হয়নি এবং কৃষিবান্ধব অর্থনৈতিক পলিসি রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রণয়ন করা হয়নি। খাদ্যাভাব দেখা না দেওয়া পর্যন্ত হয়তো আমরা তাদের মূল্যায়ন করবো না।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কবিতার মাধ্যমে সুন্দর বহিঃপ্রকাশ।
এখন ফার্ম মেকানাইজেশন কিছুটা হলেও হয়েছে । তাই গ্রামেগঞ্জে আগের মত আর গরু দিয়ে ধান মাড়াইয়ের উৎসব দেখা যায় না বললেই চলে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন ফার্ম মেকানাইজেশন কিছুটা হলেও হয়েছে - হ্যাঁ, তা হয়েছে বটে, তবে এখনও অনেকের কাছেই যন্ত্রকৌশলের সে আশীর্বাদ পৌঁছেনি। ছবিটা অনেক আগের তোলা। আমাদের পেটে খাদ্য যোগাতে প্রাণী ও মানুষের যৌথ শ্রমের প্রতীক হিসেবে ওটাকে দিয়েছি।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৯
রাশিয়া বলেছেন: ধান মাড়াই করে লাভ নেই। টাকা দিয়ে ঐ ধান কেউ কিনবে না। সরকার ভারতীয় চালের উপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। এখন দেশী কৃষকের গুণগান করে আর লাভ হবেনা
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: গুণগান না করলেও, তাদেরকে বাঁচাতে হবে। তারা যেন শ্রমের ন্যায্য মূল্য পায়, সেটা দেখতে হবে। কৃষকের ক্ষেত থেকে নাগরিকদের পেট পর্যন্ত খাদ্য পৌঁছাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। খাদ্য পরিবহণকে বাধামুক্ত রাখতে হবে।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সোনার বাংলা, ঢাকা শহর সব গিলে ফেলছে
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সোনার বাংলা, ঢাকা শহর সব গিলে ফেলছে - নিদারুণ, নির্দয় সত্য পর্যবেক্ষণ!
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৮
আকিব ইজাজ বলেছেন: আসলে কেবল করেনা কাল নয়, বরং তার অনেক আগে থেকেই কৃষকদের অবদানকে আমরা সবসময়ই এড়িয়ে চলছি। অথচ তারা তাদের কাজ ছেড়ে দিলে পুরো সম্রাজ্য পকেটে পড়ে থাকলেও আমাদেরকেই ক্ষুধার পীড়ন সহ্য করতে হবে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠ্যিক বলেছেন।
ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দিন বদলাচ্ছে, আশা করছি কৃষকের সুদিন ফিরে আসবে।
আগামীতে যারা ফসল ফলাবে তারা খাবে।
অন্যদের টাকা থাকলেও বাজারে চাল ডাল পাবেনা।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: দিন বদলাচ্ছে, আশা করছি কৃষকের সুদিন ফিরে আসবে - তাই হোক, তাই হওয়া উচিত!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: গ্রামকে সঠিকভাবে উজ্জীবিত করার কোনো বিকল্প নেই। একদিন নিশ্চয় করোনাকাল শেষ হবে। কিন্তু তখনও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গ্রামকেই বৃত্ত ধরে এগুতে হবে। এই করোনাকালে যদি সে বিষয়টা কর্তাদের ঘটে ঢোকে তো প্রাপ্তি সেটাই।
সুন্দর। প্রকাশ এবং বক্তব্যে। ছবিটাও সুন্দর, কিন্তু ইকরাম কবির কে?
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: একদিন নিশ্চয় করোনাকাল শেষ হবে। কিন্তু তখনও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গ্রামকেই বৃত্ত ধরে এগুতে হবে। এই করোনাকালে যদি সে বিষয়টা কর্তাদের ঘটে ঢোকে তো প্রাপ্তি সেটাই - চমৎকার বলেছেন, +।
কবিতা ও ছবির প্রশংসায় প্রাণিত হ'লাম, যদিও ছবিটা আমার নয়। ইকরাম কবির আমার বন্ধু, একজন সজ্জন ব্যক্তি।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২০
শায়মা বলেছেন: করোনা দূর হয়ে যাক। পৃথিবী আবার ভরে উঠুক হাসি আর আনন্দগানে....
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবী আবার ভরে উঠুক হাসি আর আনন্দগানে.... - খুবই সুন্দর বলেছেন কথাটা। + +
আপনিও এভাবে হাসি আর আনন্দগানে কাটিয়ে দিন সারাটা জীবন!
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: চরম সত্য কথা বলেছেন। এই দেশে এদের কেই শোষন করা হয় বেশি।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার শেষের কথাটাও সত্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫০
অর্ণব তনয় বলেছেন: রাষ্ট্রীয় পলিসি হয় রাষ্ট্রীয় ডাকাতদের জন্য । বর্তমানে অনেক তরুণ এগ্রো সেক্টরে প্রবেশ করায় আমার বিশ্বাস কৃষকদের সুদিন ফিরবেই । শায়খ সিরাজের ফিরে চল মাটির টানে স্লোগানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে তরুণদের কৃষিখাতে ক্যারিয়ার গড়ার । বাংলাদেশে খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হয় ।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশে খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হয় - সম্ভাবনাটা শুধু ক্ষীণ নয়, একেবারেই না থাক, সেটাই প্রার্থনা।
১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৪
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ যতদিন বাঁচি আর কি। ততদিন আনন্দ আর গানে কেটে যাক বেলা .....
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ যতদিন বাঁচি আর কি - আপনি দীর্ঘজীবি হউন, এ দোয়া করি! আপনার বাচ্চা বাচ্চা ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে আপনি গল্প-গানের ছলে মানবিক গুণাবলী বিকশিত করুন, একদিন তারা বড় হয়ে আপনাকে স্মরণ করবে। তাদের নির্মল আনন্দের কারণ হউন, তারা বিদ্যাপীঠে আনন্দের সাথে জ্ঞানার্জন করে একদিন সমাজে বড় অবদান রাখবে।
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কৃষক বড় অবহেলিত ছিল,এখনো আছে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন, তবে তাদের অবস্থার পরিবর্তন হওয়াটার আশু প্রয়োজন।
১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খায়রুল আহসান ভাই,
লকডাউনে গ্রামে চাষাবাদের কাজ করছি, সাথে আছে গ্রামের একদল দক্ষ কৃষক ও অফিসের কয়েকজন কর্মী যাদের নিরলস শ্রমে বাজারে এখন মিষ্টি কুমড়া, লাউ, লাউ পাতা, বেগুন, অন্যান্য সবজি ও লেবু যাচ্ছে।
অলসতা পেয়ে বসেছে তাই পোস্ট লিখা হচ্ছে না আশা করছি আগামী সপ্তাহে পোস্ট দিবো।
শুভেচ্ছা নিবেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, আপনি তো এই 'লকডাউনে' অত্যন্ত চমৎকার একটি কাজ করছেন, ঠাকুর মাহমুদ!
বাজারে এখন মিষ্টি কুমড়া, লাউ, লাউ পাতা, বেগুন, অন্যান্য সবজি ও লেবু যাচ্ছে - চোখের সামনে যেন দেখতে পাচ্ছি এসব তরতাজা শাকসব্জী, তরিতরকারি। তাজা শাকসব্জী রান্নার সময় একটা আলাদা রকমের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: আট লাইনে খুব সুন্দরভাবে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
সত্যিই কৃষকশ্রেণী আছে বলেই আমরা কিন্তু এসময় পর্যন্ত খেতে পারছি।
ধন্যবাদ।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
সত্যিই কৃষকশ্রেণী আছে বলেই আমরা কিন্তু এসময় পর্যন্ত খেতে পারছি - তাদের অবদানকে যথাযথ প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করা উচিত।
১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা। তবে যদি কিছু মনে না করেন গরু নিয়ে একটা গল্প বলি;
এক ছাত্র গরুর রচনা শিখেছে অনেক কষ্টে। আর কোনও রচনা সে পারে না। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেল রচনা কমন পরে নাই। রচনা এসেছে 'নদী'। তখন ছাত্র এভাবে লিখছে ' আমাদের গায়ের পাশ দিয়ে একটি নদী বয়ে গেছে। নদিতে অনেক নৌকা চলে। নদীর পাশে একটা মাঠ আছে। মাঠে গরু চড়ে। গরু একটি গৃহপালিত প্রানি। গরুর চারটা পা আছে। একটি লেজ আছে। লেজের শেষে এক গুচ্ছ চুল আছে। গরুর দুধ খুব উপকারী। গরুর মাংশ খেতে ........................।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। তবে, গরুর রচনা টা এখানে কিভাবে প্রাসঙ্গিক হলো, তা বুঝলাম না।
১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এক ছেলে ফেসবুকে লিখছে গরু হতে গোরু হওয়ায় গরু এখন বেহেস্তে যাবে
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেন লিখেছে এ কথাটা? কথাটার মানে কী?
১৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা নিয়ে যারা খুব চিন্তিত তাদের আমি মিথ্যা আশ্বাস দেই, অক্টোবরের মধ্যে করোনা বিদায় নেবে বিশ্ব থেকে।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়া ভাল নয়, সান্ত্বনার জন্যেও নয়। বরং সত্য কথাটা বলে সতর্ক করে দেয়াটাই ভাল।
১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১২
কাছের-মানুষ বলেছেন: করোনা পরবর্তি বিশ্ব অনেক কঠিন হবে! ফেইসবুকে জুম উৎসব শুরু হয়েছে, একের পর এক জুম মিটিং! কথায় আছে "কাজ নাইতো খই ভাজ!" সেই খই ভাজা চলছে! করোনা চলে যাক এই আশাবাদ ব্যাক্ত করছি।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ফেইসবুকে জুম উৎসব শুরু হয়েছে, একের পর এক জুম মিটিং! - জ্বী, আপনি ঠিকই বলেছেন। সেজন্যেই আমি কথাটা কবিতায় উল্লেখ করেছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, দূরে থাকা কাছের-মানুষ!
১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৮
নজসু বলেছেন:
করোনা আমাদের সোনার বাংলাকে ইমিটেশন বাংলা করার পাঁয়তারা করছে।
আপনার কবিতা পাঠ করে আমা্র মনে একটি প্রশ্নের উদয় হয়েছে।
কৃষক যদি অবহেলায় করোনায় মারা যায় কিংবা করোনা ভয়ে চাষাবাদ বন্ধ করে রাখে, তাহলে আমাদের পেটপূজা হবে কি করে?
রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী তার কবিতায় বলেছেন-
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা।
দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?
পুণ্য অত হবে নাক সব করিলে জড়।
সঠিক।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: যে কবিতার এ লাইন ক'টি আপনি উল্লেখ করেছেন, সে কবিতাটি লিখেছেন এমন একজন কবি, যিনি নিজ নামের আগে 'চাষী' কথাটি যোগ করতে গর্ব বোধ করতেন। তিনি চাষী রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী। পাঠকদের সুবিধার্থে আমি 'চাষী' কবিতাটি এখানে তুলে দিলামঃ
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা।
দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?
পুণ্য অত হবে নাক সব করিলে জড়।
মুক্তিকামী মহাসাধক মুক্ত করে দেশ,
সবারই সে অন্ন জোগায় নাইক গর্ব লেশ।
ব্রত তাহার পরের হিত, সুখ নাহি চায় নিজে,
রৌদ্র দাহে শুকায় তনু, মেঘের জলে ভিজে।
আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার।
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।
আমার কবিতাটি পাঠ করে এমন একটি উপযুক্ত এবং প্রাসঙ্গিক কবিতার চারটে চরণ উদ্ধৃত করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
২০| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতাটা আপনি মূলত কৃষক আর গরুর কষ্টের কথা লিখেছেন তাই গরুর ব্যাপারে একটা গল্পও বলেছি মজা করার জন্য। এটাকে সিরিয়াসলি নেবেন না। মাঝে মাঝে মজা করা যায় মনে হয়।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটাকে সিরিয়াসলি নেবেন না। মাঝে মাঝে মজা করা যায় মনে হয় - আচ্ছা আচ্ছা। জ্বী, তা তো অবশ্যই যায়!
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কৃষি খাতকে প্রথম ক্যটাগরি হিসেবে ট্রিট করা উচিত।
পোষাক শিল্প যদি বৈদেশিক মুদ্রা আনে,তো কৃষি খাত খাদ্যের যোগান দেয়!
কৃষকদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক ঘোষনা করা হোক।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কৃষি খাতকে প্রথম ক্যটাগরি হিসেবে ট্রিট করা উচিত - জ্বী, অতি অবশ্যই তা করা উচিত। আপনার পরের কথাগুলোর সাথেও দ্বিমত করা যায় না।
২২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়া ভাল নয়, সান্ত্বনার জন্যেও নয়। বরং সত্য কথাটা বলে সতর্ক করে দেয়াটাই ভাল।
মিথ্যা আশ্বাসে কেউ যদি একটু শান্তি পায়, আনন্দ পায় তাতে ক্ষতি কি?
যখন দেখি তারা চিন্তায় চিন্তায় অস্থির, প্রেসার বেড়ে যাচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মিথ্যা আশ্বাসে কেউ যদি একটু শান্তি পায়, আনন্দ পায় তাতে ক্ষতি কি? - ক্ষতি এইটুকুই যে তারা যখন জানতে পারবে যে সেটা মিথ্যে আশ্বাস ছিল, তখন আর তাদের শান্তি আর আনন্দ থাকবে না, তাদের হতাশা এবং ক্ষোভ আরো অনেক বেড়ে যাবে।
২৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ে আমার একটা ছায়াছবির গানের কলি মনে পড়ল,
ও ভাই সোনার ফসল ফলায় যে তার
দুই বেলা জোটেনা আহার...
এটা একটা চিরন্তন অবস্থা, এর পরিবর্তন হোক। কবিতায় ++++
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ গানটা কোন ছায়াছবির?
"এর পরিবর্তন হোক" - এটা এখন সময়ের দাবী। যে সমাজ শ্রমের মর্যাদা দেয় এবং সম্পদের সুষম বন্টন করে, সে সমাজ শান্তিতে থাকে, উন্নত হয়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
২৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: কৃষকদের যথাযথ মুল্যায়ন করা উচিত।
কৃষকতো আমাদের পেট যোগান দেয়।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। আপনার কথাটা এখন সময়ের দাবী।
২৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাতুল_শাহ বলেছেন: করোনা এখন সাধারণ জ্বর সর্দির মত আমাদের কাছে ফিরে আসবে। মানসিক ভাবে শক্ত হতে হবে।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: করোনা এখন সাধারণ জ্বর সর্দির মত আমাদের কাছে ফিরে আসবে - কি ভয়ঙ্কর কথা! রোগীর ক্ষতিটা তো আর সাধারণ জ্বর সর্দির মত হবে না, প্রাণ সংহার করেই যাবে, নয়তো ভেতরের অর্গানগুলোর মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে যাবে স্থায়ীভাবে!
২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ব্লগে একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্লগার। আপনাকে অসম্মান করে আমি কখনও কিছু লিখব না। আমাকে ভুল বুঝবেন না।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝলাম। অনেক ধন্যবাদ।
২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
কবিতা চলনসই হলেও বক্তব্য চির পুরাতন। আবার তাকে চির নতুন বললেও অত্যুক্তি হবেনা মনে হয়।
জোতদারের গোলা ভরে দিয়ে আমাদের কৃষকেরা চিরকালই শূন্য উঠোনে দিন পার করে।
এখন দেশে কিন্তু ফসলের ঘাটতি নেই ( এই করোনাকালেও) বরং অনেক ক্ষেত্রেই বাম্পার ফলন হচ্ছে। কৃষকের সমস্যাটা ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া আর এই করোনাকালে আমাদের সমস্যা ফসল ফুরিয়ে যাওয়া নয়, কর্মসংস্থানের পথ রূদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে ক্রয় ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাওয়া।
আসলে কৃষকেরা এই মূহুর্তে মনে হয় একটা "ভিসাস সাইকল"য়ে পড়তে যাচ্ছে। ক্রয় ক্ষমতা ও ক্রেতা কমে যাওয়ায় কৃষক তার ফসল ও শ্রমের দাম পাবেনা। আর দাম না পেলে কৃষককে আবার সেই শূন্য উঠোনেই হাটু গেড়ে বসে পড়তে হবে।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু ফসলের ঘাটতি নেই - ঘাটতি নেই বটে, তবে কৃষক তো ন্যায্যমূল্য আগেও পায়নি, এখনো পাচ্ছেনা। ওরা যদি খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিবর্তে অন্য কিছু উৎপাদনে মনযোগী হয়, তবে খাদ্যাভাবের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
২৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:০৩
সোহানী বলেছেন: হবে নারে ভা্ই, কিছুই হবে না। কেউই তাকায় না এ অভাগা কৃষকের দিকে। আমরা কতটা বোকা কৃষকদের পায়ে কৃড়াল মারতে ব্যস্ত থাকি.........
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেউই তাকায় না এ অভাগা কৃষকের দিকে[/sb - অনেক দশক ধরে আমাদের পেটে কোন টান পড়েনি। বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বেশ কয়েক দশক ধরেই, তাই ক্ষুধা কি জিনিস তা আমরা ভুলতে বসেছি। ক্ষুধার কামড় খেলে তবেই বোধহয় আমাদের সময় হবে কৃষকের দিকে নজর দেবার।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
২৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
করুণাধারা বলেছেন: ছায়াছবির নাম হীরক রাজার দেশে। এই যে গানটা: https://www.youtube.com/watch?v=OvJXdkOZcmE
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ও আচ্ছা! অনেক দশক আগে দেখেছিলাম ছবিটা। তাই গানের এ চরণদুটোর কথা মনে ছিল না, কিন্তু গানের কথা মনে ছিল।
গানটির ইউটিউব লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জুন বলেছেন: চিরন্তন সত্য ফুটে উঠেছে কবিতায়। কৃষি জাতির মেরুদণ্ড এটা বুঝেই প্রয়াত থাই রাজা ভুমিবল দেশের কৃষির উপর এত জোর দিয়েছিলেন যে সেদেশের মানুষ সেই সুফল ভোগ করে চলেছে। উদাহরণ দিতে চাই না তারপর ও চলে আসে।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রাক্তন থাই রাজা একজন অত্যন্ত জনদরদী রাজা ছিলেন, তার স্ত্রীও তাকে সব ভাল কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতে করে গেছেন। উদাহরণটা আপনি ঠিকই দিয়েছেন। যে হাত ফসল ফলায়, সেই হাতকে স্বচ্ছল রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
৩১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবিটা অনবদ্য। কবিতার শেষে এসে মন খারাপ করা বার্তা নির্মম সত্য । এদেশে কৃষক ন্যায্য মূল্য পায় না । সরাসরি বললে তারা বঞ্চিত হয়। এ বঞ্চনা যেন আবশ্যক নিয়তি। মধ্যস্বত্ত্বভূগি সব লাভ তুলে নেয় । দালালদের দৌরাত্ন্য সবখানে ।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠ, মন্তব্য, ছবির প্রশংসা (যদিও সেটা আমার প্রাপ্য নয়) এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
কৃষকদের ব্যাপারে যা কিছু বলেছেন, সবই সত্যি।
মন্তব্যে ভাল লাগা +।
৩২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গভির অন্ধকার কেটে ভোর আসবেই।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, কবিতা পড়ে এ আশাটুকু এখানে ব্যক্ত করে যাবার জন্য।
৩৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিতায় চিরন্তন সত্য কথা উঠেছে ফুটে।
কবিতায় কথা কম তবে ভাবার্থ অসীম ।
সনাতনি কৃষি ব্যবস্থায় আছে শুধু গরু ও মানুষের কায়িক পরিশ্রম ।
কৃষক গায়ে খেটে দিন শেষে থাকে অভুক্ত আর গরুগুলি হয় কংকালসার।
যুগের পর যুগ ধরে কৃষি কাজ করে কেওবা দেনার দায়ে মহাজনী
চক্রে পড়ে হয়ে যায় ভুমিহীন দিনমজুর । যারা কষ্টে শৃস্টে টিকে
থাকে তাঁরাও কাঁচা ধান ঘরে তুলে উৎপাদন খরচটাও পারেনা
মিটাতে উৎপন্ন ফসলের উপযুক্ত বাজার দামের অভাবে ।
তবে একটু সচেতন হয়ে কৃষি সংস্লিষ্ট কাজের প্রতি আরো একটু
নজর দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করা গেলে কৃষিকে অধিক মুনাফা
সম্ভাবনাময়ী শিল্পতে পরিনত করা যায় অতি সহজেই ।
গরুজোরে মলন দিয়ে ধান মারাই অবশ্য কমে গেছে অনেক
আগেই, তবু মানুষের কায়িক পরিশ্রম কমছেনা কোন মতেই
তবে আশার কথা দেশের বিভিন্ন স্থানে যন্ত্রের মাধ্যমে ধান মারাই বাড়ছে ক্রমেই
কালের প্রবাহে কৃষকের সুদিন ফিরে আসবেই,তবে তাদেরকে
শুনাতে হবে আশারবাণী, দিতে হবে উপকরণ আর সহজ লভ্য
করতে হবে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি তাদের তরে । কৃষি উৎপাদন ও
বিপনন সমন্বিত করে করতে হবে উপযুক্ত সমবায় প্রথার প্রবর্তন ।
গরু ও কৃষকের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে দেশের নীতি নির্ধারকদের
মর্মমুলে করুন গাথা ও চিত্র তুলে ধরার ক্ষমতাময়ী কবিতাটিকে
প্রিয়তে নিলাম তুলে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটিকে প্রিয়তে নিলাম তুলে - এর জন্যে জানাচ্ছি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
কবিতায় চিরন্তন সত্য কথা উঠেছে ফুটে। কবিতায় কথা কম তবে ভাবার্থ অসীম - অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম, আপনার এ উদার মূল্যায়নে।
শেষের কথাগুলোতে যে আশার বাণী শুনিয়েছেন, এবং যে পথ দেখিয়েছেন, তা সত্য হোক, বাস্তবায়ন হোক!
৩৪| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক নির্মল গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি।
কাব্যে ভালোলাগা।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি নির্মল মন্তব্যের জন্য আপনাকেও জানাচ্ছি অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
আশাকরি, ভাল আছেন? ব্লগে আপনার উপস্থিতি আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে, সেটা লক্ষ্য করে বললাম কথাটা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২০
অর্ণব তনয় বলেছেন: কৃষক শ্রেণী বরাবর উপেক্ষিত থেকেছে । তবে ভবিষ্যতে অবস্থার পরিবর্তন হবে।