নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
(সেদিনের আসন্ন সন্ধ্যায়, অস্তগামী সূর্যের ম্লান আলোতে আমাদের স্টীমারের সমান্তরালে সেই লোকগুলোর ক্লান্ত পায়ে হেঁটে চলার দৃশ্যটি আমার মনে আজও গেঁথে আছে)
("রেলসেতু বসলো যখন যমুনার 'পরে,
বোনারপাড়াও গেল হারিয়ে চিরতরে!")
‘পাগলা জগাই’ ওরফে ‘মরুভূমির জলদস্যু’ এ ব্লগের একজন জনপ্রিয় ব্লগার। উনি অধুনা ব্লগে বেশ ঘন ঘন খুব সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করছেন, মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যও করে যাছেন প্রায় নিয়মিতভাবে। গত পরশুদিন ওনার “নদী ও নৌকা-০৫” নামে একটা পোস্ট পড়ার সময় একটা ছবির দিকে আমার দুটো চোখ অনেকক্ষণ আটকে থাকে। এ রকম আমার অনেক সময়ই হয়। কোন ছবি দেখে, কোন কবিতা বা গল্প পড়ে নিজের দেখা অনেক ছবির কথা মনে ভেসে ওঠে। ওনার ছবিটা নিয়ে এবারে আমার মনে একের পর এক যে ছবি ও স্মৃতিগুলো ভেসে উঠেছিল, তা নিয়েই আমার আজকের এ পোস্ট।
১। দ্য ব্রীজ অন দ্য রিভার কাওরাইদঃ বুঝতেই পারছেন, এ লাইনটা বিখ্যাত মুভি “দ্য ব্রীজ অন দ্য রিভার কাওয়াই” এর অনুকরণে লিখলাম, যা নিয়ে ব্লগার জুন সেই ২০১০ সালে তার নিজ নামের নামে যে মাস, সে মাসে একটি সুন্দর পোস্ট লিখেছিলেন। কিন্তু আমার এ নাম দেয়াটা বোধহয় সঠিক হলোনা, কারণ আমার এ লেখায় বর্ণিত নদীটির নাম ‘কাওরাইদ’ নয়, সেটির নাম “সুতিয়া”, যদিও যে জায়গায় রেলসেতুটি অবস্থিত, সে জায়গাটির নাম ‘কাওরাইদ’। যাহোক, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে তোলা পাগলা জগাই এর উল্লেখিত পোস্টের প্রথম ছবি “সুতিয়া নদীতে জলবাস” ছবিটা দেখে আমার যেসব স্মৃতির কথা এক এক করে মনে পড়ে গেল, তা হচ্ছেঃ
মধ্য ষাট থেকে মধ্য সত্তরের দশকে ঢাকা থেকে রাতের “৭ আপ, নর্থ বেঙ্গল মেল” ট্রেন ধরে বছরে কয়েকবার বাড়ী যাওয়া আসা করতাম। সে ট্রেনটি "কাওরাইদ" ক্রস করতো মধ্যরাতে, বারটা একটার দিকে। কাওরাইদ স্টেশন এবং ব্রীজ পার না হওয়া পর্যন্ত ঘুমাতাম না, এর একটা কারণ ছিল। একবার কাওরাইদ ব্রীজ পার হবার সময় ট্রেনটা সেতুর উপর কিছুক্ষণ থেমে থেকে খুবই ধীর গতিতে চলা শুরু করেছিল, অনেকটা পায়ে হাঁটার গতিতে। আমি জানালা খুলে ট্রেন থেকে দেখছিলাম কৃষ্ণপক্ষের নিশুতি রাতের নদীর আবছা ছবি। নদীর পাড়ে বাঁধা ছিল কিছু নৌকো, ঘন অন্ধকারে কেউ একজন একটা কুপি জ্বালিয়ে কী যেন খুঁজছিল। সেখান থেকে মানুষের কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছিল, ট্রেনটি থেমে থাকা অবস্থায় রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে আরো শোনা যাচ্ছিল খুক খুক কাশির শব্দ। অনেকটা ‘স্মোকার্স কাফ’ এর মত। সম্ভবতঃ সেগুলো ছিল বেদে-বেদেনীর নৌকো, যা এখন প্রায় বিলুপ্ত হলেও, তখন প্রায়শঃ দেখা যেত। হয়তো বেদের নৌকোগুলোর পাশে আরও ছিল মধ্যরাতে মাছ ধরতে আসা কিছু জেলেদের নৌকোও। শুনেছি পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার রাতে কিছু জায়গায় মাছেরা ঝাঁক বেঁধে থাকে। যুত মত জাল ফেলতে পারলে সে সময়ে এক রাতের চেষ্টাতেই অনেক লাভ হয়ে থাকে। বেদে এবং জেলেদের সে ছবিটা এখনো মনে গেঁথে আছে। বেদে বেদেনীর যাপিত জীবন নিয়ে নানা রকমের কল্পনা তখন মাথায় চেপেছিল। যদি ওদের সাপগুলো কখনো কামড়ে দেয়? এই সাপের বাক্স নিয়ে ওরা কেমন করে সাড়াটা জীবন নৌকোয় কাটিয়ে দেয়? নৌকোয় জন্ম হওয়া, নৌকোয় বড় হওয়া, নৌকোয় করে সারাটা জীবন নদীর বুকে বুকে ভেসে বেড়িয়ে ঘর-সংসার করা, রান্না বান্না খাওয়া দাওয়াসহ জীবনের যাবতীয় চাহিদা মেটানো, ইত্যাদি ভাবনা আমাকে বেশ আলোড়িত করতো। এর পরে যখনই রাতের ট্রেন কাওরাইদ সেতু অতিক্রম করতো, আমি সেই সেতুর নীচে জীবন ধারণের সে দৃশ্যগুলো খুঁজতাম।
২। বাবুরাম সাপুড়েঃ সময়টা ছিল ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বরে। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার পর আমরা সপরিবারে ট্রেনে করে দেশের বাড়ী যাচ্ছিলাম। ট্রেনের নাম “দ্রুতযান এক্সপ্রেস”, ঢাকা থেকে সকাল আটটায় ছাড়তো। আব্বা আম্মাসহ আমরা পাঁচ ভাইবোন যাচ্ছিলাম। ভাই বোনদের মধ্যে সবার বড় ছিল আমার বড় বোন, আমি ছিলাম দ্বিতীয়। আনুমানিক দুপুর দু’টার দিকে ট্রেনটা জামালপুরের ইসলামপুরে পৌঁছেছিল। আমরা জানালা দিয়ে দেখছিলাম, ট্রেন থেকে নেমে অনেক মানুষ বিস্তীর্ণ মেঠো পথ ধরে নিজ নিজ গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। সদ্য লাঙল-কর্ষিত জমিগুলোতে তখনও বড় বড় মাটির ঢেলা ছিল, কৃষকেরা একটি বিশেষ ছন্দে কাঠের দুরমুশ দিয়ে একবার ডান থেকে বামে, আরেকবার বাম থেকে ডানে হাত চালিয়ে ঢেলাগুলো ভাঙছিলো। একটা সরু আ’ল ধরে মাথায় গামছা পেঁচানো একজন কৃষক ঘাড়ে একটা বংশদন্ডের দু’প্রান্তে দুটো ডালাতে করে (সেই জিনিসটার নাম ভুলে গেছি, আমাদের এলাকার স্থানীয় ভাষায় ভার-বাঁকুয়া বলে) তার গৃহস্থালী সম্ভার (যেমন হাটে বিক্রয় করার সামগ্রী) বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। আমার ছোট বোনটা তখন কেবল ছড়ার বই পড়া শুরু করেছে। তার ছড়ার বই এ ঠিক ঐ ধরণের একটা মানুষের ছবি দিয়ে তার নীচে ‘বাবুরাম সাপুড়ে’ কবিতাটি লেখা ছিল। সে ঐ লোকটার দিকে তাকিয়ে আঙল তুলে বলে উঠলো, “ঐ যে, বাবুরাম সাপুড়ে যাচ্ছে”!
৩। গুণ টানা নৌকোঃ আমাদের ট্রেনের লাইনের শেষ প্রান্তে ছিল বাহাদুরাবাদ ঘাট। সেখানে নেমে স্টীমারে উঠতে হতো, ঘন্টা তিনেক স্টীমার জার্নি করে অপরপ্রান্তে তিস্তামুখ ঘাটে পুনরায় ট্রেনে উঠতে হতো। বেশীরভাগ সময়ে স্টীমারে থাকতে থাকতেই সূর্য অস্ত যেত। শীতকালে নদীতে অনেক চর ভেসে উঠতো। পানির গভীরতা বুঝে কখনো মাঝ নদী দিয়ে আবার কখনো নদীর একেবারে তীর ঘেঁষে চালক মাস্টার স্টীমারটিকে চালিয়ে নিয়ে যেত। সেদিন লেইট লাঞ্চ করে আমি আর আমার বড় বোন সামনের খোলা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমরা “আমি যা দেখি তুমি কি তা দেখো?” খেলছিলাম। স্টীমারটি তখন দ্বিতীয় পন্থায়, অর্থাৎ নদীর প্রায় তীর ঘেঁষে চলছিল। হঠাৎ দেখি, সেই তীরের উপর দিয়ে দু’জন লোক একটি মাল বোঝাই নৌকোকে গুণ টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের পেছনে পেছনে অন্য কয়েকজন লোক খালি হাতে হেঁটে যাচ্ছিল, সম্ভবতঃ একই গন্তব্যে। অনেকক্ষণ ধরে আমরা প্রায় একই লয়ে চলছিলাম, কালক্রমে যন্ত্রের কাছে পেশীর পরাজয় হয়, আমরা তাদের ছেড়ে অনেকদূর এগিয়ে যাই। সেদিনের আসন্ন সন্ধ্যায়, অস্তগামী সূর্যের ম্লান আলোতে আমাদের স্টীমারের সমান্তরালে সেই লোকগুলোর ক্লান্ত পায়ে হেঁটে চলার দৃশ্যটি আমার মনে আজও গেঁথে আছে।
৪। ইঞ্জিনের ধাক্কাঃ তিস্তামুখঘাট থেকে আবার ট্রেনে করে রওনা হয়েছিলাম। বোনারপাড়া জংশনে এসে ট্রেনটা দু’ভাগ হয়। একভাগ সোজা শান্তাহারের দিকে যায়, অন্য একটি ইঞ্জিন এসে অপর প্রান্তে লেগে অপরভাগকে টেনে গাইবান্ধা হয়ে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার যাত্রীদের নিয়ে অনেকটা উল্টো ডিরেকশনে চলে যায়। এই বোনারপাড়া জংশন নিয়ে আমি একটা কবিতাও লিখেছিলাম, যা লিঙ্কে দেখতে পাবেন। ইঞ্জিন ঘুরানোর কারণে ট্রেনটা বোনারপাড়া জংশনে অনেকক্ষণ থামে। ঐ বিরতিটুকুর সময় আব্বা ট্রেন থেকে নেমে একটি টী-স্টলে গিয়েছিলেন কিছু চা-নাস্তা নিয়ে আসার জন্য। আমাদের সবচেয়ে ছোট্ট ভাইটি তখন ছিল কোলের শিশু। আম্মা একটু হাত পা ঝাড়ার জন্য ওকে আমার বড় বোনের কোলে দিয়ে যেই না উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, অমনি ট্রেনটির ইঞ্জিন সজোরে ধাক্কা দিয়ে মেইন বডির সাথে সংযোজিত হয়েছিল। সেই ধাক্কার চোটে আপির কোল থেকে আমাদের ছোট্ট ভাইটি ট্রেনের ফ্লোরে পড়ে যায়। এটা দেখে সবাই ভয়ে আঁৎকে উঠেছিল, তবে সৌভাগ্য যে ভাইটি তেমন বড় আঘাত পায়নি, সামান্য একটু কান্নার পর সে থেমে গিয়েছিল। এর পরে যতবার আমি বোনারপাড়া জংশন ক্রস করেছি, ততবারই আমার সেদিনের সেই ঘটনাটির কথা মনে পড়েছে, এখনও মনে পড়ে।
ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
উৎসর্গঃ এ পোস্টের মূল অনুপ্রেরণা ‘পাগলা জগাই’ এর “সুতিয়া নদীতে জলবাস” শীর্ষক ছবিটি। এজন্য পোস্টটি সৌখিন চিত্রগ্রাহক, ব্লগার ‘পাগলা জগাই’ কে উৎসর্গ করা হলো। ছবিটি দেখার জন্য পাঠককে তার নদী ও নৌকা-০৫ পোস্টে যাবার জন্য অনুরোধ করছি।
ঢাকা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
শব্দ সংখ্যাঃ১০২৩
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং দ্বিতীয় প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্য পড়েই বুঝতে পারছি, আপনি আমার এ পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়েছেন, এতে প্রীত ও অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পাগলা জগাইকে ধন্যবাদ। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পেলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পেলাম - জ্বী, অনেকদিন পরেই কিছু লিখলাম। ভাগ্যিস, ছবিটা চোখে পড়েছিল, তাই আজ লিখতে পারলাম।
ব্লগে ব্লগারদের উপস্থিতির সংখ্যা এখন এক মাস আগের চেয়েও অনেক কম। কারণটা কী বলে মনে করেন?
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কেউ কেউ স্মৃতির চর্চা করে আর তাই স্মৃতিগুলো ধরা থাকে হৃদয়ের মনিকোঠায়। আপনিও এমনই একজন মানুষ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেউ কেউ স্মৃতির চর্চা করে আর তাই স্মৃতিগুলো ধরা থাকে হৃদয়ের মনিকোঠায় - স্মৃতির চর্চা করতে আমার ভাল লাগে। অনেক সময় পুরনো স্মৃতির রেশ ধরে নতুন কিছু ভাবা যায়, স্মৃতিতর্পণ করতে করতে গতায়ুদের জন্য দোয়া করা যায়।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০
মা.হাসান বলেছেন: জুন আপার পোস্টের কথা সাল মাস সহ উল্লেখ করলেন। আমি বিস্মিত!
৭ -আপ বা ৮-ডাউন ট্রেনের কথা মনে নেই, দ্রুতযান সম্ভবত চড়েছি। একতা চালু হয় মনে হয় এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় আসার পর। ৭৭ বা ৭৮এও রেলের স্টিমারের খাবার খুব ভালো ছিলো। পরে ৮৯ সালে আরেকবার খেয়েছি, স্বাদ মনে হয়েছিলো আগের মতো না। তবে আমার নিজের টেস্টবাডের পরিবর্তনের জন্যেও এটা হতে পারে।
বেদেরা অধিকাংশ আর মনে হয় যাযাবর নেই, অনেকেই স্থায়ী হয়েছে। সাভারে কিছু বেদে পরিবার থাকে শুনেছি। হাতিরঝিল-মেরুলের সংযোগ স্থানের বাঁশ বাজারের পূর্ব দিকে, আফতাব নগরের বস্তিতে কিছু বেদে পরিবার থাকে। তবে এদের পরিবারের পুরষ সদস্যদের দেখি নি, রাস্তায় মেয়ে সদস্যদেরই বরাবর দেখি, এক গ্রুপে কয়েকজন করে চলাফেরা করে। বয়স খুব কম, পনেরোর নীচেই বাচ্চাদের মা । সংসারের ধাক্কা এদের এই বয়সেই সামলাতে হয়। এই গোষ্ঠিটিকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য কোনো এনজিও বা সরকারি তৎপরতা কখনো চোখে পড়ে নি।
আমর ভুল হতে পারে, ট্রেন রুট মনে হয় ঢাকা থেকে সান্তাহার, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট , পার্বতীপুর হয়ে নীলফামারি ছিলো। দিনাজপুর ছিলো মিটার গেজের, পার্বতীপুরে ট্রেন বদল করতে হবার কথা। আরেকটা রুট ছিলো সান্তাহার -বগুড়া-গাইবান্ধা হয়ে রংপুর। কাউনিয়ার এখান থেকে লালমনিরহাটের আলাদা লাইন ছিলো। অবশ্য পার্বতীপুর থেকে বদরগঞ্জ হয়ে রংপুরের আলাদা লাইন ছিলো। আমি নিজে সৈয়দপুর-দিনাজপুর ছাড়া লালমনিরহাট বা রংপুর লাইনে ২০০০ সালের আগে ট্রেনে কখনো যাইনি, আমার পক্ষে ঐসময়ের রুটের কথা বলা অসম্ভব।
আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য অশেষ শুভকামনা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৭ -আপ বা ৮-ডাউন ট্রেনের কথা মনে নেই, দ্রুতযান সম্ভবত চড়েছি - দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখনো চালু আছে। রেলের টাইম টেবল অনুযায়ী ঢাকা থেকে রাত ৭-৪০ এ ছেড়ে দিনাজপুরে ভোর ৫-৩০ এ পৌঁছার কথা। মাঝখানে "তিস্তা এক্সপেস" নামে ঢাকা-রংপুরগামী একটা ট্রেন চালু হয়েছিল। সড়কপথে যমুনা সেতু চালু হবার পর রেলপথে যাত্রীসংখ্যা কমে যাবার পর সেটা এখন আর রংপুর পর্যন্ত যাওয়া আসা করে না, সেটা যায় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত এবং সেখান থেকে ঢাকা ফিরে আসে। আর ৭আপ/৮ডাউন "নর্থ বেঙ্গল মেইল" ট্রেনটির নাম এখন আর রেলের ওয়েবসাইটে দেখতে পাচ্ছি না, তাই অনুমান করছি, সেটা এখন আর চালু নেই। ঊল্লেখ্য যে বিশেষ করে দিনাজপুর থেকে আসা ৮ডাউন "নর্থ বেঙ্গল মেইল" ট্রেনটি কাগজে কলমে ঐ নামে পরিচিত হলেও, জনগণের মুখে মুখে সেটা "ঢাকা মেইল" নামে উচ্চারিত হতো।
একতা চালু হয় মনে হয় এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় আসার পর - না, তা ঠিক নয়। "একতা এক্সপ্রেস" ট্রেনটি চালু হয় প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে। তার মন্ত্রীসভার সিনিয়র মন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়া ট্রেনটি উদ্বোধন করে উদ্বোধনী যাত্রার যাত্রী হয়েছিলেন বলে আমার মনে আছে।
আমার পক্ষে ঐসময়ের রুটের কথা বলা অসম্ভব - হ্যাঁ, ঐ সময়ের রেলরুট সম্বন্ধে আপনার ধারণা ঠিক নেই। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে যাবার কোন ব্রডগেজ লাইন ছিলনা। রাজশাহী এলাকার যাত্রীগণ এবং উত্তরবঙ্গের অন্যান্য ব্রডগেজ এলাকার যাত্রীগণ (তখনকার সময়ের) হয় জগন্নাথগঞ্জঘাট- সিরাজগঞ্জঘাট হয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে ব্রডগেজ ট্রেনে চাপতেন, নইলে মিটার গেজেই বোনারপাড়া থেকে আমাদের মত উল্টো না ঘুরে সোজা শান্তাহার পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে লাইন (ট্রেন) বদল করে যার যার গন্তব্যে যেতেন। এখন বিষয়টিকে একটু ঝামেলার মত মনে হলেও, সে সময়ে রেলের অত্যন্ত দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে এবং অত্যন্ত কঠোরভাবে সময়সূচী নিয়ন্ত্রণ করার ফলে এসব বদলাবদলি ততটা ঝক্কিপূর্ণ ছিল না। আর সৈয়দপুর এবং নীলফামারী ব্রডগেজ স্টেশন হলেও, ঐ এলাকার লোকজনকে দেখতাম উপরে উল্লেখিত ট্রেনগুলো ধরেই দিনাজপুর এর যাত্রীদের মত পার্বতীপুর পর্যন্ত যেতেন এবং সেখান থেকে ব্রডগেজে চালিত পার্বতীপুর-চিলাহাটি ট্রেনে উঠতেন। উল্লেখ্য, তখন পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর আসার জন্য কোন পাকা সড়ক ছিলনা, তাই বাস সার্ভিসও ছিলনা। তবে সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী পর্যন্ত সে আমলেও ওয়ান ওয়ে লেইনে বাস চলাচল করতো।
পোস্টের বিষয়ে আপনার আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হয়েছি, তাই কিছুটা সময় নিয়ে হলেও চেষ্টা করলাম আপনার ঔৎসুক্যের কিছুটা নিরসন করতে। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত, এবং আমার ও আমার পরিবারের জন্য শুভকামনায় অভিভূত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার ও আপনার পরিবারের জন্যেও শুভকামনা জানাচ্ছি।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "রাজশাহী এলাকার যাত্রীগণ এবং উত্তরবঙ্গের অন্যান্য ব্রডগেজ এলাকার যাত্রীগণ (তখনকার সময়ের) হয় জগন্নাথগঞ্জঘাট- সিরাজগঞ্জঘাট হয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে ব্রডগেজ ট্রেনে চাপতেন, নইলে মিটার গেজেই বোনারপাড়া থেকে আমাদের মত উল্টো না ঘুরে সোজা শান্তাহার পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে লাইন (ট্রেন) বদল করে যার যার গন্তব্যে যেতেন।" - আমার উপরের প্রতিমন্তব্যের উদ্ধৃত অংশটুকুর সাথে নিম্নের এ কথাগুলোও যোগ করলে ভাল হতো, যা আমার মনে উদয় হলেও তা যোগ করতে ভুলে গেছিঃ
যমুনার অপর প্রান্তের মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ, উভয় গেজের যাত্রীদের নিয়ে একটি সুদীর্ঘ ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে যেত। গভীর রাতে ময়মনসিংহ জংশনে আবার সেটার সাথে যুক্ত হতো চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের নিয়ে আসা আরেকটি ট্রেন। জামালপুর জংশনে এসে আবার এ অতি সুদীর্ঘ ট্রেনটা দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতঃ একভাগ চলে যেত সরিষাবাড়ী হয়ে জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে, বৃহত্তর রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জের যাত্রীদের নিয়ে, অপরভাগটি চলে যেত দেওয়ানগঞ্জ বাজার হয়ে বাহাদুরাবাদঘাটে, বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ইত্যাদি জেলার যাত্রীদের নিয়ে।
রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নিয়ে আমার ভীষণ রকমের আগ্রহ ছিল বিধায় জার্নীর সময়ে এগুলো আমি খুব খেয়াল করতাম। সে কারণেই এ কথাগুলো এখন আমি গল্পের মত আপনাদেরকে শোনাতে পারছি।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছোট্ট একটা ছবির সূত্র ধরে কী চমৎকার করেই না নিজের মনের ক্যানভাসে থাকা ছবি গুলোর শাব্দিক রূপ দিলেন। কিছু স্মৃতি সত্যি ই চীর জাগরূক।
ভালোলাগা স্মৃতিকথায়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট একটা ছবির সূত্র ধরে কী চমৎকার করেই না নিজের মনের ক্যানভাসে থাকা ছবি গুলোর শাব্দিক রূপ দিলেন - অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর করে কথাটা বলার জন্য। ঐ একটি ছবিই অনেক কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সত্যিই, কিছু কিছু স্মৃতি চির- জাগরূক।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গুণ টানার দৃশ্য পদ্মা নদীতে এক সময় দেখেছি। অনেক রঙের পাল তোলা নৌকাও পদ্মাতে দেখা যেত। আমাদের কিশোর বয়সের কথা বলছি। তবে এই গুণটানা জিনিসটা মনে হয় এখন আর নাই শুধু আছে আমাদের স্মৃতিতে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে এই গুণটানা জিনিসটা মনে হয় এখন আর নাই শুধু আছে আমাদের স্মৃতিতে - এখন ইঞ্জিন চালিত নৌকার সংখ্যাই বেশি, তাই গুণ টানা নৌকা চোখে পড়ে না। তবে অতি দরিদ্র কিছু মাঝি হয়তো দূর দূরান্তে এখনও গুণ টেনে জীবিকা নির্বাহ করে।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্য পেয়ে প্রীত হ'লাম।
৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩৯
সোহানী বলেছেন: এখনো কি এরকম নৈাকা, বেদে, জংশন আছে দেশে? এরকম রেল ও নৈাকায় চড়ে ছোটবেলায় দাদার বাড়ি যেতাম। অনেক কিছু মনে পড়ে আপনার লিখা পড়লে। পাগলা জগাই এর লিখা মিস করেছি। অনেক লিখা পড়ার বাকি, সময় করতে পারছি না।
লিখা, ছবি ও স্মৃতিচারণে ভালোলাগা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখনো এ দেশে নৌকা আছে, বেদে নেই, রেল-জংশন আছে। তবে রেলের অবস্থা ভাল নয়, অপরিচ্ছন্ন।
এরকম রেল ও নৈাকায় চড়ে ছোটবেলায় দাদার বাড়ি যেতাম - কোথায় আপনার দাদাবাড়ী?
লিখা, ছবি ও স্মৃতিচারণে ভালোলাগা - সবকিছুর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে নস্টালজিক হয়ে যেতে হয়। খুব ভালো লাগলো পড়ে। আপনার মেমোরির প্রশংসা করতে হয়। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে নস্টালজিক হয়ে যেতে হয়। খুব ভালো লাগলো পড়ে। আপনার মেমোরির প্রশংসা করতে হয় - অনেক ধন্যবাদ আপনার এমন উদার প্রশংসার জন্য। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
বুঝতে পারছি আপনি আজ সকালে ফজরের নামায পড়ে উঠে আমার এ পোস্টে মন্তব্য করেছেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনার জন্যেও আমার দোয়া রইলো।
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়ে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। এক সময় এতো ফ্রিকোয়েন্ট ট্রেন সার্ভিস ছিল না। মনে পড়ে ভোরবেলা ট্রেন ধরার জন্য বের হওয়া | ভৈরববাজারে আধোঅন্ধকারে ট্রেন স্টেশনে কুলি ও ফেরিওয়ালাদের ছুটাছুটি। অথবা আখাউড়াতে ট্রেনের ইঞ্জিন বদলের পর উল্টো দিকে ট্রেনের যাত্রা (ঢাকা সিলেট লাইনে)।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অথবা আখাউড়াতে ট্রেনের ইঞ্জিন বদলের পর উল্টো দিকে ট্রেনের যাত্রা (ঢাকা সিলেট লাইনে) - ঠিক বলেছেন। বোনারপাড়া জংশনেও এমনটিই হতো। উল্টো পথে ট্রেনযাত্রা!
পোস্ট পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল স্যার,
ধন্যবাদ পাগলা জগাই ওরফে মরুভূমির জলদস্যুকে। উনার সৌজন্যে স্মৃতিতে খুঁজে পাওয়া আপনার আপনার চমৎকার পোস্টটি। আপাতত ৭ আপ নর্থ বেঙ্গল মেলে কাওরাইদ সেতু পার হওয়ার অবস্থানে আছি। মধ্যরাতে চমৎকারভাবে বেদে-বেদিনীদের সঙ্গে জেলে সম্প্রদায়ের মাছ ধরার এক নৈসর্গিক দৃশ্য তুলে ধরলেন তা এককথায় অনন্য। মধ্য রাতে বাড়ি ফেরার সেই তাগিদ, সেই ট্রেন,সেই বেদে-বেদিনী বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ আজ হয়তো নেই, কিন্তু মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা স্মৃতিকাতরতা এনে দেয় বর্ণিল সুখ।
সম্ভব হলে পরবর্তী অংশ নিয়ে আবার আসবো।
শ্রদ্ধাবনত শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "মধ্য রাতে বাড়ি ফেরার সেই তাগিদ, সেই ট্রেন,সেই বেদে-বেদিনী বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ আজ হয়তো নেই, কিন্তু মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা স্মৃতিকাতরতা এনে দেয় বর্ণিল সুখ" - অনেক ধন্যবাদ আপনার এ সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের জন্য। চোখ নয়, হৃদয় দিয়ে দেখা এ পর্যবেক্ষণ।
"সম্ভব হলে পরবর্তী অংশ নিয়ে আবার আসবো" - জ্বী, আসুন। পরবরতী অধ্যায়গুলো নিয়েও আপনার এমন সুন্দর পর্যবেক্ষণ পেলে ভাল লাগবে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। অনেক শুভকামনা....
১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
অস্তগামী সূর্যের মতো নিয়ত ডুবে যেতে থাকা স্মৃতিগুলো আবারও হৃদয়ের গুন টেনে টেনে নতুন করে ভাসিয়ে তুললেন।
সুন্দর লেখা ।
আমি রেলপথবিহীন এক নদীর দেশের লোক। রেলপথের রেলগাড়ীর গুন টানার সুযোগ হয়নি তবে আমি নিজেও অনেকবার নৌকার গুন টেনেছি ছোট বেলায় । সেটা বেশীর ভাগ মজা করেই এবং কিছুটা প্রয়োজনেও।
হায়রে ! এখন আর সে দিন নেই! সে সব নদীও নেই।
ব্লগার পাগলা জগাই আসলেই এক সৃষ্টিশীল মানুষ। তার ছবির পোস্টগুলো শুধু অনবদ্যই নয়, একেকটা শিহরণ জাগিয়ে যাওয়ার মতোই। উৎসর্গ তাই যোগ্য ব্যক্তিতেই সমর্পিত।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অস্তগামী সূর্যের মতো নিয়ত ডুবে যেতে থাকা স্মৃতিগুলো আবারও হৃদয়ের গুন টেনে টেনে নতুন করে ভাসিয়ে তুললেন" - কি চমৎকার কাব্য করে বললেন কথাটা! মন ভরে গেল!
তবে আমি নিজেও অনেকবার নৌকার গুন টেনেছি ছোট বেলায় । সেটা বেশীর ভাগ মজা করেই এবং কিছুটা প্রয়োজনেও - তাহলে তো এ নিয়ে আপনার একটি পৃথক পোস্ট আশা করাই যায় মনে হয়! লিখে ফেলুন ঝটপট।
উৎসর্গ তাই যোগ্য ব্যক্তিতেই সমর্পিত - এ কথাটা আর কেউ বলেনি। আপনিই প্রথম বললেন। খুশী হ'লাম, ধন্যবাদ জানাই এজন্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্লগে ব্লগারদের উপস্থিতির সংখ্যা এখন এক মাস আগের চেয়েও অনেক কম। কারণটা কী বলে মনে করেন
লকডাউন শেষ। অনেকে এখন অফিস করছেন। তাছাড়া সপ্তাহে এক দুই দিন ব্লগে পোস্ট কম আসে, মন্তব্য কম আসে। তাছাড়া অনেকে অসুস্থ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যে কারণগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলো তো আগেও ছিল। আমার মনে হয় গত ৩/৪ সপ্তাহ থেকে ব্লগে উপস্থিতির সংখ্যাটা বেশ কমে গেছে।
যাহোক, আশাকরি, শীঘ্রই ব্লগটা আবার আগের মত কলকাকলিতে ভরে উঠবে।
১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ৫ নং মন্তব্য যেন ঠিক আপনার মনের অবস্থার কথাই তুলে ধরলো। সহমত জানাই।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ঠিক বলেছেন। অনেকটা তাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
করুণাধারা বলেছেন: ভাল লাগলো স্মৃতিচারণ। আপনার বর্ণনা ভালো হয়েছে, অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন তা এত বছর পরেও আপনার মনে আছে দেখে অবাক লাগলো!
ট্রেনের শক্ত মেঝেতে পড়ে গিয়েও আপনার ছোট ভাইয়ের কোন ক্ষতি হয়নি, এটা আল্লাহর রহমত। যতবার এপথে যাবেন ততবার এই ঘটনা মনে না পড়ে উপায় আছে!!
আপনার ব্লগ আমার মন্তব্য করা পর্যন্ত ১৯৯৮৭০ বার দেখা হয়েছে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ট্রেনের শক্ত মেঝেতে পড়ে গিয়েও আপনার ছোট ভাইয়ের কোন ক্ষতি হয়নি, এটা আল্লাহর রহমত - অবশ্যই তাই। আপি বসা অবস্থায় তার পা গড়িয়ে পড়েছিল বিধায় আঘাতটা অল্পের উপর দিয়ে গিয়েছিল।
আপনার ব্লগ আমার মন্তব্য করা পর্যন্ত ১৯৯৮৭০ বার দেখা হয়েছে। - এখন সেটা ১৯৯৯২১!
হয়তো আগামী কালের মধ্যেই সেটা দুই লক্ষ অতিক্রম করবে!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২
প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে চোখের সামনে ছোট বেলার অনেক চিত্র ভেসে উঠল। বাহাদুরাবাদ ঘাটের রেলওয়ে ফেরি পারাপার এবং বোনারপাড়ার অনেক স্মৃতি আমার জীবনে জড়িয়ে আছে। আপনার এই স্মৃতিগুলো যেন অনেকটা আমার জীবনের অংশ। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহাদুরাবাদ ঘাটের রেলওয়ে ফেরি পারাপার এবং বোনারপাড়ার অনেক স্মৃতি আমার জীবনে জড়িয়ে আছে। আপনার এই স্মৃতিগুলো যেন অনেকটা আমার জীবনের অংশ - জ্বী, আমার যতদূর মনে পড়ে, পোস্টের ৪ নং অনুচ্ছেদে দেয়া লিঙ্কে উল্লেখিত আমার "বোনারপাড়া জংশন" কবিতাটি পড়েও আপনি তখন এমন কথা বলেছিলেন। সেখানে আপনি সে স্টেশনের দুটো ছবিও দিয়েছিলেন।
পোস্ট পড়ে নিজের কিছু স্মৃতির কথা শেয়ার করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ, প্রামানিক।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
১৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
খায়রুল আহসান ভাই,
আমাদের কারো যদি ব্লগে আগমনের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সাহিত্য রস সাধন, তবে এমন রচনাই তাঁর জন্য যথেষ্ট। অকৃত্রিম ভাবে বলতে গেলে আপনার প্রতিটি লেখাই আমাদের জন্য উদ্দীপনা। আপনার বরকতময় সুদীর্ঘ জীবন কামনা করি।
খায়রুল ভাই, আমি আপনার এই লেখাটি দ্বিতীয়বার পড়েছি। লক্ষ্য করেছি আপনার প্রতিটি প্যারার শেষে পাঠককে পূর্ণতা দিতে চেষ্টা করেছেন, মনে হচ্ছে সফলও হয়েছেন।
ট্রেন ভ্রমণের সাথে অনেকেরই আছে কিছু স্মৃতি জড়িয়ে। ব্যতিক্রম নয় আমিও। আমার কিছু স্মৃতি গেঁথে রাখতে চেয়েছিলাম অপরিচিতা রূপসীর কেশে, দূর্ভাগ্যবশত উনার সাথে উনার লেফটেন্যান্ট পিতা থাকায় সে সুযোগ হয়ে উঠেনি।
(আমাকে ভীতু ভাববেন না, তবে আমি কোন বীর না বটে )
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের কারো যদি ব্লগে আগমনের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সাহিত্য রস সাধন, তবে এমন রচনাই তাঁর জন্য যথেষ্ট। অকৃত্রিম ভাবে বলতে গেলে আপনার প্রতিটি লেখাই আমাদের জন্য উদ্দীপনা - বাব্বাহ, আপনি আমাকে এত বড় একটা কমপ্লিমেন্ট দিয়ে গেলেন, কি বলে যে এর যথাযথ মূল্যায়ন করি! অনেক, অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে এতটা উদারভাবে প্রশংসা করার জন্য!
দূর্ভাগ্যবশত উনার সাথে উনার লেফটেন্যান্ট পিতা থাকায় সে সুযোগ হয়ে উঠেনি - হায় হায়, এ কী বলেন! তাহলে আগে পিতাকেই একটু ম্যানেজ করে নেয়ার চেষ্টা করে দেখতেন! যাক, এ পোস্ট পড়ে আপনার মনেও একটি স্মৃতি উদয় হলো তাহলে!
পোস্ট পড়ে চমৎকার মন্তব্য রেখে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!
১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এক নজর দেখে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
স্মৃতির মনি কোঠায় আমারো অনেক কথা মনে পড়ছে
সুতিয়া নদীকে ঘিরে । সে সব স্মৃতি কথা নিয়ে লিখছি
এখন , সেটাকে আমার ব্লগে ঢেলে দিয়ে
সময় করে পরে আসছি ফিরে ।
শুভেচ্ছা রইল
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ।
"পরে আসছি ফিরে" - অপেক্ষায় থাকলাম।
১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১২
জাহিদ হাসান বলেছেন:
কাওরাইদের ওই রেলসেতুর উপরে আমার আব্বু ও দুই ভাই।
আমি কোথায় তাহলে?
আমি কাওরাইদ বাজারে মামার দোকানে বসে মজাদার খাবার খাচ্ছি
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটি পড়ে আপনার নিজের স্মৃতি স্মরণ করে 'আব্বু ও দুই ভাই' এর ছবি শেয়ার করলেন, এজন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
স্মৃতিচারণ নিয়ে এরকম লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে । বর্ণনা পড়ে চোখের সামনে যেনো ভেসে উঠছে একটা মুভির মতো ।
গুন টানা নৌকার ছবিটা দেখতে সুন্দর কিন্তু অনেক কষ্টদায়ক ! কি ভীষণ কষ্টই না হয় তাদের এ কাজটা করতে ! এটা যদি বিলুপ্ত হয়ে থাকে, খুশী হবো যেনো আর কাউকে এমন কষ্ট করতে না হয় । অনেক মায়া লাগে ।
আমি যা দেখি তুমি কি তা দেখো, অনেকদিন পর এই খেলাটার কথা শুনলাম ।
ওহ নো, ভাইটা পড়ে গেলো ! এখন তো নিশ্চয়ই বড় হয়ে গেছে । খেপানো হয় সেই ছোটবেলায় পড়ে যাবার কথা মনে করিয়ে ?
আমার খুব প্রিয় একজন মানুষকে উৎসর্গ করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।
পগলাকে আমি খুবই পছন্দ করি । জগাইয়ের পোষ্টগুলো দেখলে মনে প্রশান্তি হয় ।
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্মৃতিচারণ নিয়ে এরকম লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে" - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়তে আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
এটা যদি বিলুপ্ত হয়ে থাকে, খুশী হবো যেনো আর কাউকে এমন কষ্ট করতে না হয় - আমিও আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।
আমার খুব প্রিয় একজন মানুষকে উৎসর্গ করেছেন দেখে ভালো লাগলো - এটা জেনেও খুশী হ'লাম। উনি বেশ প্রতিভাবান একজন মানুষ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা। আপনাদের ওখানে কভিড-১৯ সিচুয়েশন এখন কেমন?
২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের এখানে সিডনিতে এখন মাচ বেটার ।
অলমোস্ট নরমাল । বাসা থেকে অফিস করছি আর উইকলি একদিন অফিস যাচ্ছি ।
নো নিউ কেইস কিন্তু ভিক্টোরিয়ার অবস্থা ভালো না ।
ওয়েভ টু ওখানেই সবচেয়ে বেশী হয়েছে ।
টোটাল কেইস মোর দেন ২০,১০০ আর টোটাল ডেথ ৮০০ ।
আজও নিউ কেইস ১৫ ।
আশা করি মেলবোর্নে আপনার ছেলেরা সবাই ভালো আছে ।
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজও নিউ কেইস ১৫ - সে জন্যেই তো এত চিন্তায় থাকি! ওয়েভ ওয়ানের সময় ভিক্টরিয়ার অবস্থা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য প্রভিন্সের চেয়ে, বিশেষ করে নিউ সাউথ ওয়েলস এর চেয়ে বেশ ভাল ছিল।
আশা করি মেলবোর্নে আপনার ছেলেরা সবাই ভালো আছে - আলহামদুলিল্লাহ, ওরা ভাল আছে, কিন্তু ছয় মাসেরও বেশী সময় ধরে ঘরে আটকে থাকাতে এখন বেশ ক্লান্ত ও বিরক্ত।
২১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: আমার হিসেবে আপনার পোস্টে ২০০,০০০ ভিউ হয়ে গেছে, কিন্তু দেখতে পাচ্ছি না। যাইহোক, ২০০,০০০ তম পাঠক হওয়াতে আমি আনন্দিত। অভিনন্দন এই মাইলফলকের জন্য।
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগটি ২০০০০০ বার দেখা হয়েছে, এই মর্মে একটি স্ক্রীনশট দেন, তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখনও স্ক্রীনে ১৯৯৯৯৪ বার দেখাচ্ছে।
যাইহোক, ২০০,০০০ তম পাঠক হওয়াতে আমি আনন্দিত - এবং এই সংখ্যার পাঠকটি খুব সম্ভবতঃ আপনিই হওয়াতে আমিও আনন্দিত, এবং আপনাকেও অভিনন্দন এই মাইলফলকের সাথে সংশ্লিষ্ট হবার জন্য।
২২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৫৩
অধীতি বলেছেন: আমার বাসা নদীর পাশেই।নদীর মোহ আঁকড়ে ধরে সর্বদা।বেদেরা এদিকে এখনো আছে।কি অদ্ভুত ওদের জীবন।অবশ্য ওরাও এখন জায়গাজমি কিনে ভিটেমাটি করছে।আপনার লেখা সর্বদা প্রাণবন্ত।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার বাসা নদীর পাশেই - তাই নাকি, কোথায়? কোন নদীর পাশে?
বেদেরা এক জায়গায় থীতু হোক, তাদের ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়া শেখাক, এভাবেই তাদের জীবনে উন্নতি আসবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
অধীতি বলেছেন: ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীর তীরে।জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি নতুন করে খোরা হচ্ছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, সুগন্ধা নদীর নামটা তো বড় সুন্দর। আসলে বাংলাদেশের বেশীরভাগ নদীরই নাম খুব সুন্দর।
২৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খায়রুল আহসান স্যার আমার নগন্য একটি ছবি আপর এই চমৎকার স্মৃতিচারণমূলক লেখার উৎসাহ যুগিয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো।
অশেষ আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই লেখায় আমার নাম উল্লেখ করার জন্য।
লেখাটি আমারকে উৎসর্গ করায় অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
বি.দ. এই পোস্টি যখর প্রকাশ হয়েছে সেই সময় আমি কক্নবাজার ভ্রমণ করার কারণে লেখাটি আমার চোখ এরিয়ে যায়। মিরোরডডল মনে করে আজকে লেখাটির লিংক আমার একটি পোস্টে উল্লেখ করায় এটি দেখার সুযোগ হলো। মিরোরডডল এর জন্য রইলো অশেষ ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা আপনাকে উৎসর্গ করেছি, কারণ সেটা আপনার প্রাপ্য ছিল। আপনার পোস্ট পড়েই, একটা ছবি দেখে মনের কোণায় কিছু স্মৃতিকথা ভেসে উঠেছিল, সেগুলোকেই আমি একত্র করে একটা লিখিত রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছি।
যে ছবি দেখে আমার এ পোস্ট লেখা, তার চেয়ে হাজার গুণ বেশী সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন ছবি আপনি দিয়ে চলেছেন আপনার বিভিন্ন পোস্টে। সব ছবি দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়, কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু হাতে অনেক কিছু করণীয় এবং লিখনীয় জমে থাকায় সেগুলো নিয়ে এখন আপাততঃ ভাবছি না, কিন্তু ছবি দেখে যাচ্ছি আর মুগ্ধ হচ্ছি। অদূর ভবিষ্যতে আপনার ছবির উপর ভিত্তি করে আরো কিছু লেখার ইচ্ছে আছে।
আমার এ লেখাটা পোস্ট করার সময় আপনার পোস্টের মাধ্যমেই জেনেছিলাম আপনি কক্সবাজার সফরে আছেন। তাই আপনি এ পোস্ট দেখেন নি বলে আমি আমি বিব্রত বোধ করি নি। জানতাম, একদিন দেখবেন, কিন্তু না দেখলেও তেমন কোন ব্যাপার নয়, অন্যান্য পাঠকেরা তো জানলেন যে আমার এ পোস্টের পেছনে আপনার ছবির প্রেরণা কাজ করেছে। তবুও, আমার এ পোস্টের কথা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য মিরোরডডল কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এবং পোস্টে এসে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাবার জন্য আপনাকেও সাধুবাদ জানাচ্ছি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার নদী ও নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষের জীবন,কৃষকের জীবন,বেঁদে সম্পর্কে আপনার কৌতুহল ও ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত স্মৃতিকথা মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।