নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আজ নিয়ে ক্রমাগত তিন দিন ধরে আকাশটা ঝরছে। ভালই লাগছে। বাংলার প্রতিটা ঋতুর আছে একেকটা আলাদা আলাদা সৌন্দর্য। কিন্তু অধুনা সেই ঋতু বৈচিত্রেও ঘটছে নানা পরিবর্তন। তবে আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত নই। প্রকৃতি তার পথ খুঁজে নেবে, সময় সমন্বয় করে নতুন নতুন সাজে সাজবে। এখন চলছে কার্ত্তিক মাস। আমাদের বাল্যকালে হেমন্ত ঋতুর প্রায় অর্ধেকটা, অর্থাৎ কার্ত্তিকের পুরোটা মাস জুড়েই কৃষকের কপালে দুঃখ লেগে থাকতো। এ সময় তাদের ঘরে খাবার থাকতো না, হাতে কাজ থাকতো না। কার্ত্তিক ছিল কৃষকের দুশ্চিন্তার মাস, আমাদের স্থানীয় ভাষায় বলা হতো ‘মঙ্গা’র মাস। এখন দিন অনেক বদলে গেছে, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা এবং গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ পৌঁছে যাওয়ায় কৃষি ছাড়াও দরিদ্র পরিবারগুলো ছোটখাট কাজ কারবার করে অন্ন সংস্থান করতে পারছে। এখন আর কার্ত্তিক নিয়ে কৃষকের দুর্ভাবনা তেমন নেই। কার্ত্তিকের পর থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যায় নবান্নের পালা, শীতের আগমন এবং সেই সাথে পিঠেপুলির উৎসব।
ছোটবেলায় বর্ষা ঋতুকে আমি ভাল পেতাম না, এখন ভাল লাগে। তখন শীতকাল খুব ভাল লাগতো। এখনো লাগে, তবে ততটা নয়। ঝরা পাতার কান্না তখন শুনতে পেতাম না, এখন পাই। ছোটবেলায় বিকেল খুব ভাল লাগতো, কারণ সেটা ছিল খেলাধুলো করার অনুমতিপ্রাপ্ত সময়। সন্ধ্যে মোটেই ভাল লাগতো না, কারণ তখন পড়তে বসতে হতো। এখন আর বিকেলের কোন আকর্ষণ নেই, তাই অপেক্ষায় থাকি না। বিকেল বেলাটা এখন নিতান্তই ঘটনাবিরল (আন-ইভেন্টফুল)। তবে এখন সন্ধ্যে ভাল লাগে, কারণ সন্ধ্যের সময় পাখিদের, বানরের ঘরে ফেরা দেখতে পাই। হেমন্তের আকাশটাও প্রায়ই নানা বর্ণিল সাজে সেজে আকর্ষণীয় রূপ ধারণ করে, মেঘে মেঘে মায়াবী আবির ছড়িয়ে যায়। দখিনের, পশ্চিমের জানালা দিয়ে আমি সেসব দৃশ্য দেখি। এই সান্ধ্য আবিরের মায়াবী ছটার মাঝেই ক্লান্ত দিবাকর এক সময় শেষ বিদায় জানিয়ে অস্তাচলে যায়। সেই সাথে আমার মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় পড়া বেগম সুফিয়া কামাল এর ‘সাঁঝের মায়া’ কবিতার কিছু কথাঃ
“ধীরে ধীরে ধীরে
প্রদীপ্ত ভাস্কর এসে বেলাশেষে দিবসের তীরে
ডুবিল যে শান্ত মহিমায়,
তাহারি সে অস্তরাগে বসন্তের সন্ধ্যাকাশ ছায়”।
এবং একই কবি’র “পল্লী স্মৃতি” কবিতার শেষে আঁকা কিছু স্বপ্নের কথা জীবন সায়াহ্নে এসে মিলিয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়ঃ
“আগামী দিনের আশা-ভরসার কত না মধুর ছবি
ফুঁটিয়া উঠেছে আঁখির পাতায় ডুবেছে যখন রবি”।
সায়াহ্নের আযান ধ্বনি প্রথমে কানে বাজে, পরে বাজে বুকে। আযানের পর মাগরিবের নামায পড়েই এক কাপ চা হাতে লেখার টেবিলে ফিরে আসি। সকাল সাঁঝে ডাইনিং টেবিলের একটা কোণাতেই আমি ল্যাপটপ খুলে বসি, এর কারণ ডাইনিং টেবিল থেকে দৃষ্টি মেলে ধরলে সেটা অলিন্দ পেরিয়ে আকাশ অবধি পৌঁছে যায়, বড় বড় গাছ গাছালিও দেখা যায়, সেই সাথে পাখিও। করোনাকালের আগে সন্ধ্যার পর পরই নানা সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে যেতে হতো। জন্মদিন, বিয়ে, কুটুম বাড়ী, ঘরোয়া আড্ডা, সঙ্গীত সন্ধ্যা, ইত্যাদি ইত্যাদিতে। এখন সেসব বন্ধ, তাই সন্ধ্যের পরেই আমার মূল লেখালেখির কাজ শুরু হয়, যেটা আমি সানন্দে উপভোগ করি।
এখন থেকে দিন ছোট আর রাত বড় হতে থাকবে। নিস্তব্ধ প্রহরের পরিসর বাড়বে, হয়তো লেখার মানও সেই সাথে। আজ দুপুরে লাঞ্চের পর টেবিলে বসেই দেখি একটা বৃষ্টি ভেজা শালিক কাপড় শুকানোর র্যাকে বসে আছে তপস্যারত। বসে বসেই শুনতে পাচ্ছিলাম তার আরো কিছু সাথী বেশ হৈচৈ করছে, বুঝতে পারলাম ওরা পাশের পাত্রে রাখা আহার মনের সুখে খাচ্ছে। তখনো ঝির ঝির করে বৃষ্টি ঝরছিল। আমাকেও ভাতঘুমে পেয়ে বসেছিল। বিকেলে উঠে দেখি তখনো আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি ঝরছে। আকাশে ঘন মেঘের কারণে সন্ধ্যা নামার আগেই আঁধার নেমেছিল। সেই প্রায়ান্ধকার সন্ধ্যার কিছু ছবি এখানে শেয়ার করেই আজকের মত এই বেলা অবেলার কথকতা শেষ করছি।
ফটোক্রেডিটঃ আমার গিন্নী।
ঢাকা
২৪ অক্টোবর ২০২০
শব্দসংখ্যাঃ ৫৩৭
লাঞ্চের পর টেবিলে বসেই দেখি একটা বৃষ্টি ভেজা শালিক কাপড় শুকানোর র্যাকে বসে আছে তপস্যারত।
আঁধার ঘনিয়ে এলো....
২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: জী, ইতোমধ্যে তা শুরু হয়ে গেছে। গ্লেসিয়ার গলছে, অসময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতার তারতম্য হচ্ছে স্থানে স্থানে - এসব কিছুই হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতার তারতম্যের কারণে।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৩
জনৈক অপদার্থ বলেছেন: ছবিগুলো অনেক সুন্দর
২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনি বোধকরি এই প্রথম মন্তব্য করলেন; আমার পোস্টে আপনাকে স্বাগতম।
ছবিগুলোর প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, তবে এ কৃতিত্ব আমার নয়।
আপনার প্রথম পোস্টে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। নোটিফিকেশন পাবেন না, তাই এখানেই কথাটা বললাম। আশাকরি, একবার সময় করে মন্তব্যটা দেখে নেবেন।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: অল্প কথার মধ্যে খেটে খাওয়া মানুষের কথা, উৎসবের আনন্দ, ছোটবেলার ভালোলাগা আর বর্তমান জীবনযাত্রা নিয়ে লেখাটা পড়ে দারুণ লাগলো। বর্তমান দিয়ে স্মৃতির সাথে কাটাকুটি খেলা।
ছবিগুলো সত্যিই সুন্দর হয়েছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: বর্তমান দিয়ে স্মৃতির সাথে কাটাকুটি খেলা - চমৎকার বলেছেন কথাটা। ভাল লেগেছে। +
পোস্টের প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৮
ওমেরা বলেছেন: হায় হায় —- ভাইয়াও দেখি আমাদের মত ফটো ব্লগ দিয়েছে ।
অবশ্য ও ফটো দুটোই সুন্দর হয়েছে ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাইয়াও দেখি আমাদের মত ফটো ব্লগ দিয়েছে - ভাইয়ারা বুঝি ছবি ব্লগ দেয় না? এ ব্লগের শ্রেষ্ঠ অনেক ছবিব্লগ তো ভাইয়াদের থেকেই এসেছে, যদিও আমি নিজে খুব একটা দেইনি।
পোস্ট ও ফটোর প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, প্লাসে প্রাণিত।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পড়ে মুগ্ধ হলাম।এতো সুন্দর বর্ননা এক কথায় অসাধারন।
ঢাকায় সবুজের এতো সমারোহ বাসা আর প্রকৃতি মিলে একাকার।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এতো সুন্দর বর্ননা এক কথায় অসাধারন" - আপনার মন্তব্যটাও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর! অনেক ধন্যবাদ এ উদার প্রশংসার জন্য।
শুভকামনা....
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক কথায় অসাধারণ।
ছবিগুলো আরো বেশী সুন্দর।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ। ছবিগুলো আরো বেশী সুন্দর। - অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট এবং ছবির প্রশংসার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: ছবি ও লেখায় দারুণ মুগ্ধতা।
শুভকামনা রইলো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সংক্ষেপে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং গ্রীন হাউস এফেক্ট এর মূল কথা হল- নানাবিধ কারণে সৃষ্ট পরিবেশ দূষন এবং গাছপালা কেটে সাবার করার ফলে পৃথিবীতে গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে, ফলে সূর্য থেকে তাপ বিকিরিত হয়ে পৃথিবীতে ঢোকার পর যতটা আবার পৃথিবীর বাইরে বিকিরিত হয়ে ফিরে যাওয়া উচিত তা যেতে পারছে না, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাবার কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে পৃথিবীর বহু জায়গা ডুবিয়ে দিচ্ছে।
এ অবস্থা রোধে বিশ্ববাসীর সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। ভবিষ্যত পৃথিবীকে নিরাপদ বাসযোগ্য হিসেবে টিকিয়ে রাখতে হলে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
ছবিগুলো মনোমুগ্ধকর। ভাবী সাহেবার প্রতি সালাম এবং কৃতজ্ঞতা।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে আপনার ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ছবিগুলোর প্রশংসায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি।
শুভকামনা....
৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার বর্ষাবসর কাটাতে যে কর্মতালিকা তৈরী করেছিলেন, তা দিয়ে লিখেছিলেন ‘বর্ষাযাপন’ কবিতা। সোনার তরী কাব্যের এ কবিতায় দেখা যায়, কবি বর্ষাবন্দী কলকাতা শহরে জানালা পথে পাশের দালানগুলোকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন, বিজলী চমক, বৃষ্টি-পতন দেখে আকাশ-পাতাল ভাবছেন, নিঃসঙ্গতা কাটাবার জন্য খুলে বসছেন কালিদাসের ‘মেঘদূত’, গোবিন্দদাসের পদাবলী খুলে পড়ছেন বর্ষা অভিষার- বিহব্বল হচ্ছেন একাকীনি রাধার বেদনায়, পড়ছেন গীতগোবিন্দ। তাই লেখার জন্য প্রচুর পড়ার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণও অতীব জরুরী।
আপনার এই পোস্টটি পড়তে পড়তে আমার উপরের কথাগুলোই খুব করে মনে পড়লো। আপনার অবশ্য কোনো সময়েই বর্ষা/বৃষ্টি/মেঘ ভালো লাগেনি। উজ্জ্বল ঝলমলে দিন আমার ভালো লাগে। বর্ষার মধ্যে কেমন একটা বিষন্নতা লেগে থাকে। ছবির ফটোগ্রাফারকেও অভিনন্দন। সুন্দর ছবি হয়েছে। মেঘমেদুর বেলায় ছবিগুলোসহ বেলা-অবেলার কথকতা ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন স্যার,
শুভ ব্লগিং।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই লেখার জন্য প্রচুর পড়ার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণও অতীব জরুরী। - এ কথার সাথে দ্বিমত পোষণের কোন অবকাশ নেই। লেখার জন্য প্রচুর পড়াশোনা এবং গভীর পর্যবেক্ষণ, দুটোই জরুরী।
বর্ষার মধ্যে কেমন একটা বিষন্নতা লেগে থাকে - এ কথাটাও সত্য। তবে এই মন কেমন করা বিষণ্ণতাও তো অনেক সময় কাম্য না হলেও উপভোগ্য হয়ে থাকে। বর্ষার মধ্যে শুধু বিষণ্ণতাই নয়, স্মৃতি কাতরতা (সুখ দুঃখ উভয়ের জন্যই), আত্ম অনুসন্ধানের প্রবণতা, প্রকৃতির মাঝে, মেঘ- বৃষ্টি- জলের মাঝে কোন প্রিয় মুখ, প্রিয় কথা, প্রিয় গান খুঁজে পাওয়া, কোন হেঁয়ালিপনার অর্থ খুঁজে পাওয়া ইত্যাদিও অনেক সময় পাওয়া সম্ভব।
ছবির ফটোগ্রাফারকেও অভিনন্দন - আচ্ছা, ফটোগ্রাফারকে অভিনন্দন পৌঁছে দেব।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৮
রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনার বাসার অন্দরমহল থেকে আকাশের বিভিন্ন রূপ
অবলোকন করে আমাদের সাথে শেয়ার এর জন্য আপনাকে
এবং ভাবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার লেখায় বৃষ্টিস্নাত
দিনের বর্ণনায় এবং একটা শালিক পাখির আগমন অদ্ভুত
ভালো লাগছে ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখায় বৃষ্টিস্নাত দিনের বর্ণনায় এবং একটা শালিক পাখির আগমন অদ্ভুত ভালো লাগছে - শালিক পাখিটাকে আপনি খেয়াল করেছেন বলে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই বৃষ্টিই মনে হচ্ছে এবার শীত নামিয়ে দিবে।
ছবি গুলো ভালো হয়েছে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই বৃষ্টিই মনে হচ্ছে এবার শীত নামিয়ে দিবে - আমিও তাই ভেবেছিলাম, কিন্তু আজ তো আবার বেশ গরম পড়েছে।
ছবি গুলো ভালো হয়েছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এমন বৃষ্টি মিষ্টিময় হোক সময়টা। চা নিয়ে জানালায় বসে বই পড়তে মন চাইবে সবার।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চা নিয়ে জানালায় বসে বই পড়তে মন চাইবে সবার - জ্বী, ঠিক বলেছেন। আমি তো প্রায়ই সেটাই করি। ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নদীমাতৃক বাংলার নদীর গলায় ফাঁস দিয়ে মৃতপ্রায় ৫৪টি অভিন্ন নদী!
যার প্রভাবে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে, বৈশ্বিক পরোক্ষ প্রভাবতো রয়েছেই!
ঋতু গুলো যেন পথভোলা বৈরাগীর মতো এলোমেলো হাটছে
বর্ষা শীতগ্রীস্মের সময়ক্রম বদলে যাচ্ছে..
যেমন বদলে যায আমাদের অনুভব জীবন দর্শন বয়সের অনুপাতে!
শৈশবের ভাললাগা মন্দলাগাগুলো কেমন বদলে যায় পরিণত বয়সে- দারুন মুন্সিয়ানায় ফুটিয়েছেন প্রিয় সিনিয়র।
জীবনটা এমনি। তবে কিছু কিছু সর্বজনীন অনুভব থাকে, প্রথমানুভব থাকে যা কোনকালে বদলায় না।
সেই স্মৃতিচারণেই সূখ যে কোন সময়ে।
পোষ্টে ++++
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'ঋতু গুলো যেন পথভোলা বৈরাগীর মতো এলোমেলো হাটছে
বর্ষা শীতগ্রীস্মের সময়ক্রম বদলে যাচ্ছে..
যেমন বদলে যায আমাদের অনুভব জীবন দর্শন বয়সের অনুপাতে!' - খুব সুন্দর বলেছেন কথাগুলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো পোস্ট
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ। পোস্ট ভাল লেগেছে বলে প্লাস দিয়ে জানিয়েছেন, জানিয়েছেন, এতে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার অবশ্য কোনো সময়েই বর্ষা/বৃষ্টি/মেঘ ভালো লাগেনি। উজ্জ্বল ঝলমলে দিন আমার ভালো লাগে। বর্ষার মধ্যে কেমন একটা বিষন্নতা লেগে থাকে। ছবির ফটোগ্রাফারকেও অভিনন্দন। সুন্দর ছবি হয়েছে। মেঘমেদুর বেলায় ছবিগুলোসহ বেলা-অবেলার কথকতা ভালো লাগলো
***দুঃখিত, এখানে আমার অবশ্য হবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা অবশ্য বেশ সহজেই বুঝতে পেরেছিলাম। তবুও সেটা এখানে উল্লেখ করে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
জাফরুল মবীন বলেছেন: আযান ধ্বনি প্রথমে কানে বাজে,পরে বাজে বুকে- কী অসাধারণ অনুভব!
ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
শীতকালটা এবার নানা শংকা নিয়ে আসছে।এক ধরনের আতঙ্ক অনুভব করছি।
চমৎকার লেখাটির জন্য একটা লাইক, দু'টো ধন্যবাদ এবং অনেক অনেক শুভকামনা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লাইনটির আবেদন আপনি অনুভব করতে পেরেছেন দেখে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শীতকালটা এবার নানা শংকা নিয়ে আসছে।এক ধরনের আতঙ্ক অনুভব করছি - কভিড-১৯ এর কারণে এবারের শীতের শঙ্কা একটা অন্য মাত্রা পাবে।
একটা লাইক, দু'টো ধন্যবাদ এবং অনেক অনেক শুভকামনা'র জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও রইলো অনেক শুভকামনা!
১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
দিন যায় দিনের মতোই।
বছরের তিনশো পয়ষট্টি দিন জুড়েই চলে পালাবদলের মোড়কখুলে প্রকৃতির নিজেকে মেলে ধরার নৈঃস্বর্গিক খেলা ।
বলেছেন, দিন বদলের এই খেলার কোনটি ভালো লাগে , কোনটি নয়।
যৌবনে আমার ভালো লাগতো সবই । যৌবনে এই মাটিতে ঋতুগুলোকে কখনও কাঁদতে দেখেছি ঝরঝর, কখনও নীলাম্বরী শাড়ীতে নববধূর মতো ঢেকে রাখতে দেখেছি শরীর। কখনও বা সোনালী ধানের গন্ধ ভরা গায়ে মেখে নিয়েছি কুয়াশার পরশ । শিহরিত হয়েছি ক্ষনে ক্ষনে । তারা ফুলে ফুলে নিজেকে সাজিয়ে তুলতো কখনও বা । আর তার শরীরের পরতে পরতে লুকানো মোহময়ী লাস্যপঞ্চমী নৃত্যে যখন বছর পার হয়ে যেত তখন নতুন বছরের শুরুতেই ফুঁটে উঠতো তার আর এক রূপ, দেখেছি তাও । সে রূপ রুদ্র বৈশাখের মতো চন্ডালিনীর । ক্রোধের আগুনে ঝলসে দিত চারিধার ।
এখন পৃথিবী পাল্টেছে। শিল্পায়ন আর বন উজাড়ের দাপটে সেই সব ঋতুগুলো আজ রাগ করে পলাতকা। কখন যে কোথা দিয়ে আসে আর যায়, ধরতে পারিনে। পাল্টেছে তাদের ধরনও। যেমন এই কার্ত্তিকে মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি।
"এমন দিনে তারে বলা যায়" এর মতোন করেই বলে গেছেন গিন্নীর তোলা নির্মল ছবির ক্যানভাসে আপনার কথা সাজিয়ে সাজিয়ে।
আসলে এমন করেই তো দিনগুলো উপভোগ করতে জানতে হয়।
আপনার বারান্দায় যেমন শালিক আসে , তেমনি আমারও। সাথে থাকে চড়ুইয়ের দল। এরা ডাকে কিচির মিচির, ডানা ঝাঁপটায় তারপরে আমাকে দেখতে পেলেই ফুড়ুৎ ...............
আমি সরে যাই। ওদের খেলায় অযাচিত হয়ে ঢুকে পড়তে চাইনে। আমার যেমন স্বভাব!
আপনার এই লেখায় নষ্টালজিক হয়ে পড়াতে , এতো কথা বলতে ইচ্ছে হলো। মিসেস আহসানকে তার তোলা ছবির জন্যে ক্রেডিট দিতেই হয়। দিলুম। তবে একটু বাড়তি বলেই ফেলি - মেঘলা আকাশের ফ্রেমে আপনার ভাবুক মুখখানা ধরে রেখে মিসেস আহসান যদি একখানা ছবি তুলে দিতেন তবে আরও ভালো হতো।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: দিন যায় দিনের মতোই - চমৎকার বলেছেন। আগে ষড়ঋতুর পালাবদলের সাথে সাথে প্রকৃ্তির রূপেরও যে পালাবদল ঘটতো তার একটি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেই সে দুঃখজনক কথাটি এসে গেছেঃ "শিল্পায়ন আর বন উজাড়ের দাপটে সেই সব ঋতুগুলো আজ রাগ করে পলাতকা"।
শালিক, চড়ুইয়ের পাশাপাশি আমার এখানে বুলবুলিও আসে।
আমার এ পোস্ট পড়ে আপনার নিজের কিছু নষ্টালজিক স্মৃতিচারণের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর। বৃষ্টির দিনে এক কাপ চা হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করার চেয়ে আনন্দময় আর কি হতে পারে
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বৃষ্টির দিনে এক কাপ চা হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করার চেয়ে আনন্দময় আর কি হতে পারে - আপনি ঠিকই বলেছেন, না, এর চেয়ে আনন্দময় আর কিছু হতে পারেনা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: করোনার পরে সমস্ত লোকলৌকিকতার আর প্রয়োজন না হওয়াতে এখন বরং মনের শান্তিতে লেখালেখি করুন। সাম্প্রতিক কালে আপনার সায়াহ্নকে গুরুত্ব দেওয়া বা নৈশকালীন সময়কে বড় করে দেখিয়ে বডবড় সময়গুলোকে মনের অভিব্যক্তিতে ফুটিয়ে তুলুন।ম্যাডামে্র হাতের চমৎকার ছবির মতোই দুজনের যুগলবন্দিতে ব্লগকে সমৃদ্ধ করুন।
পোস্টে ষোড়শ লাইক।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: চেষ্টা করে যাব অনুভবের কথাগুলো বলে যেতে। কিন্তু ইদানিং নানাবিধ কারণে অস্থিরতা ঘিরে ধরে। চতুরপার্শ্বের পঙ্কের মাঝে নিজে কমল হয়ে ফুটে থেকে লাভ কী?
'পোস্টে ষোড়শ লাইক' এর জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---
২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার পরিপাটি সাজানো পরিবেশ ! লেখা ও বেশ গোছানো।
ভালোলাগা।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পোস্টের প্রশংসা করা এবং প্লাস দেয়ার জন্য। মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
মা.হাসান বলেছেন: যিনি ছবি গুলো তুলেছেন ওনাকে অনেক ধন্যবাদ, না হলে হয়তো এই লেখাটা পেতাম না।
শীত আমার প্রিয় ঋতু কখনোই ছিলো না। বর্ষা ফুটবল মাঠে আছাড় খাবার আর ল্যাঙ মারার মজাই আলাদা ছিলো। রাস্তা ভেসে গেলে স্কুল ছুটি। হাটু পানিতে হাটার মজাও আলাদা (চা বিক্রেতা মেয়র সাহেবেরা অবশ্য ঢাকার রাস্তা বর্ষায় হাটার উপযোগি রাখেন নি, সকলেই যাতে নৌকায় আশ্রয় নেয় সেই ব্যবস্থা রেখেছেন।
পশ্চিমের জানালা সন্ধ্যার সময়ে যে রঙের খেলা দেখার সুযোগ করে দেয় পুবের জানালায় আমি তা কখনো পাই নি।
পাখি হয়তো আরো অনেক বছর দেখা যাবে, তবে বানর মনে হয় না আর বেশি দিন দেখার সুযোগ হবে।
আঁধার ঘনিয়ে এলো.... -- এ আঁধার সাময়ীক, আবার তো তেরো ঘন্টা পর আলো ফুটবে।
১৭ নম্বরে আহমেদ জী এস ভাইয়ের কাব্যিক মন্তব্যে লাইক।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পশ্চিমের জানালা সন্ধ্যার সময়ে যে রঙের খেলা দেখার সুযোগ করে দেয় পুবের জানালায় আমি তা কখনো পাই নি - উদয়ের চেয়ে অস্ত চিরকালই মায়াবী। দুটোই অজানা ভবিষ্যতের বার্তাবাহক, প্রথমটা আশার আলো ছড়ায়, পরেরটা বেদনার মায়া।
আঁধার ঘনিয়ে এলো.... -- এ আঁধার সাময়ীক, আবার তো তেরো ঘন্টা পর আলো ফুটবে। - ধন্যবাদ, এ ছোট্ট বাক্যটি ভরসায় ভরপুর।
চমৎকার একটি মন্তব্য এবং প্লাস দিয়ে উৎসাহিত করে গেলেন, এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভকামনা---
২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কার্তিক-কথন ভালো লাগলো! হেমন্ত আমার প্রিয় ঋতু, তার আগমনের ইশারা বাতাসে ভেসে বেড়ায়!
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'হেমন্ত আমার প্রিয় ঋতু, তার আগমনের ইশারা বাতাসে ভেসে বেড়ায়!' - আমারও, তবে কথাটা আমি হয়তো এত সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারতাম না।
আমার কার্তিক-কথন ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
রুদ্র নাহিদ বলেছেন: ছোটবেলায় আমার বর্ষাকাল নিয়ে আলাদা ফ্যাসিনেসন ছিলো। একদিকে বৃষ্টি ভালো লাগতো, অন্যদিকে কালো মেঘ দেখে ভয করতো। একদিকে বিকালের খেলায় ব্যাঘাত করতো, অন্যদিকে কাথা মুড়ো দিয়ে বিছানায় শুয়ে প্রিয় গল্পের বই পড়ে সময় পার করার আনন্দ। শীতকাল বরাবরই পছন্দের। স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবার সময়, অফুরন্ত অবসর, সারাবছর অপেক্ষায় থাকতাম শীতকাল কবে আসবে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সারা বছর অপেক্ষায় থাকতাম শীতকাল কবে আসবে। - আমিও তাই। বৎসরান্তে পরীক্ষার পর দাদাবাড়ী, নানাবাড়ী বেড়াতে যেতাম, মাস খানেকের জন্য। সেখানে কাজিনরা মিলে খুব মজা করতাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল। শহরেও বর্ষার আমেজ কিছুটা পাওয়া যায়। আর সবগুলি ঋতুকে উপভোগ করতে হলে শহরের বাইরে যেতে হবে। তবে প্রকৃতির রুপকে দেখার জন্য সেই রকম মনের দরকার আছে। আপনার দেয়া ছবিতে মনে হয় পাহাড় দেখা যাচ্ছে। ঠিক বুঝতে পারছি না।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার দেয়া ছবিতে মনে হয় পাহাড় দেখা যাচ্ছে। ঠিক বুঝতে পারছি না" - পাহাড় নয়। আমার ছয়তলা বাসার ডাইনিং স্পেস থেকে প্রায় আট তলা সমান উঁচু গাছের ছবি। ঐ গাছের চূড়ায় অনেক টিয়া পাখির বাস।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মন্তব্যে নিজস্ব ভাবনার কথা শেয়ার করায় প্রীত হ'লাম।
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৬
সোহানী বলেছেন: আপনি এতো সুন্দর চা সাজিয়ে গুছিয়ে বসেছেন মনে হচ্ছে এখনই বসে পড়ি আপনার সাথে চা খাবারের জন্য। এরকম সুন্দর বারান্দায় চা খেতে খেতে বৃষ্টি দেখা............. আহ দারুন।
কানাডায় চলছে ফল এখন। কি যে সুন্দর চারপাশ। লাল হলুদে মোড়া চারপাশ। বেকইয়ার্ডে ভরে গেছে হলুদ ম্যাপললিপে। আমার খব প্রিয় ফল সিজন। দেশে ছিল বর্ষাকাল। খুব খুব আনন্দ নিয়ে বৃষ্টি দেখতাম। কখনই বিরক্ত লাগতো না বা একঘেয়ে লাগতো না বৃষ্টিকে।
বাসার পাশের কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এরকম সুন্দর বারান্দায় চা খেতে খেতে বৃষ্টি দেখা............. আহ দারুন - সতিই সেদিন বৃষ্টি ঝরা দেখতে খুব ভাল লেগেছিল। তার পরের দিন থেকে আবার যথারীতি গরম শুরু হয়ে যায় এবং আজ অত্যধিক। আজ মনেই হচ্ছেনা যে মাত্র ৫ দিন আগেই দিনটি এত ঠান্ডা ও মনোরম ছিল।
'ফল' এ বিদেশে প্রকৃতি বোধকরি সবচেয়ে সুন্দরতম সাজে সেজে থাকে। আপনার বাড়ীর পাশের ছবিগুলো খুব সুন্দর। প্রথম দুটো দৃষ্টিনন্দন, পরেরটা দেয় ভাব-দর্শন।
মন্তব্যে, প্লাসে এবং ছবি দর্শনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
২৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
পুলহ বলেছেন: প্রচুর বানান ভুল , অগোছালো লেখালেখির ভীড়ে এমন দু' একটা পরিপাটি লেখা পেলে অসম্ভব ভালো লাগে। বরাবরই পাঠককে এ ধরণের লেখা উপহার দিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ !
বেলা অবেলার কথকতা পড়ে ভালো লাগার অনুভূতিটুকু জানিয়ে গেলাম, শ্রদ্ধেয় !
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে উপস্থিত দেখে খুশি হ'লাম, এবং আমার পোস্টে পেয়ে মহা খুশি!
বেলা অবেলার কথকতা পড়ে ভালো লাগার অনুভূতিটুকু জানিয়ে গেলাম, শ্রদ্ধেয় ! - আমিও আপ্লুত হ'লাম এমন অকৃত্রিম আন্তরিকতায়। অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
২৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৫
অধীতি বলেছেন: বৃষ্টি ভেজা শালিকটাকে বোধহয় দীর্ঘক্ষণ আনমনে দেখেছিলেন। আপনার বারান্দায় বসে প্রকৃতি ছুয়ে দেখা যায়। বৃষ্টি দিন শেষ হলে শীতে রাতের নিস্তব্ধতা বাড়বে। আপনি বারান্দায় জোৎস্নাও দেখতে পারবেন দীর্ঘসময়। অনেকদিন পর আপনার ব্লগে আসলাম। লাইক++ শুভকামনা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনি বারান্দায় জোৎস্নাও দেখতে পারবেন দীর্ঘসময়" - দেখি তো!
জ্বী, শীতকালে রাতের দৈর্ঘ্য বেশি, তাই জ্যোৎস্না দেখার সময়ও বেশি পাওয়া যায়। তবে মশার উপদ্রবের কারণে শীতকালে বারান্দায় বেশিক্ষণ থাকা যায় না, তাই আমার জ্যোৎস্না দেখা হয় বেশিরভাগ সময় বেডরুমের জানালা দিয়েই। শুক্লাপক্ষে ভোর রাতের জ্যোৎস্না সত্যিই খুব মনোরম। জ্যোৎস্নার পেলব আলো মেখে পাখিরা কিছুক্ষণ পর একে একে জাগতে শুরু করে, তারপর মুক্ত আকাশে বেরিয়ে পড়ে আহারের সন্ধানে।
অনেকদিন পর আপনার ব্লগে আসলাম - মনে করে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে, প্লাসে এবং ছবি দর্শনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
শুভেচ্ছা....
২৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এবার সম্ভবত দ্রুত শীত চলে আসবে। ভাবছি করোনার সাথে যদি ঠান্ডার সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে বাংলাদেশে কি হবে একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।
ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছ। পোস্টে+++
০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাবছি করোনার সাথে যদি ঠান্ডার সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে বাংলাদেশে কি হবে একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন। - আমিও সে ভয়টাই করছি। আমরা তো করোনাকে মোটেই পরোয়া করছি না, যেন এটা কোন সমস্যাই নয়। অথচ আমার ৪৬ বছর বয়স্ক আপন ভাগ্নে ও দুলাভাই মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে ওপারে চলে গেল। একই পরিবার থেকে এরকম হঠাৎ করে দু'জনের নাই হয়ে যাওয়া মেনে নিতে বড় কষ্ট হয়। নিকট দু'জন বাল্যবন্ধুও হঠাৎ করেই অল্পদিন ভুগে চলে গেল!
আপনাকে বেশ কিছুদিন অনুপস্থিতির পর ব্লগে ফিরে আসতে দেখে ভাল লাগছে।
মন্তব্যে, প্লাসে এবং ছবির প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা....
২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এত সুন্দর ছবিগুলি। সাথে আমারও মনে পড়ে যায় ছেলেবেলা। কান্না হাসির দোলদোলানো পৌষ ফাগুনের পালা ..
২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "নিত্য রবে প্রাণ পোড়ানো গানের আগুন জ্বালা!"
৩০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩১
রাকু হাসান বলেছেন:
কার্তিক মাস মানেই কপালে ভাঁজ।কৃষকরা বিশেষ করে দিন মজুর,দরিদ্র কৃষকরা এই মাসটি কষ্ট করত।
তবে এটার পরিবর্তন এসেছে, এখন এতটা হতাশ হতে দেখি না। ছবিগুলো মুগ্ধতা ছড়াল।ডিফেন্স নিয়ে লেখা মিস করি ব্লগে
।ভাল থাকবেন।আর হ্যাঁ সালাম রইল স্যার।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "দরিদ্র কৃষকরা এই মাসটি কষ্ট করত। তবে এটার পরিবর্তন এসেছে" - জ্বী, এখন আর উত্তরাঞ্চলে 'মঙ্গা' এর কথা শোনা যায় না।
ছবিগুলোর প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
৩১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কেমন আছেন ভাইয়া?
অনেক দিন আপনার লেখা পড়া হয়না।ব্যস্ততার কারনে ব্লগে কম আসা হয়।তবে আপনাদের কথা মনে পড়ে।
তাই মাঝে মাঝে ব্লগে এসে প্রিয় ব্লগারদের লেখা কম-বেশি পড়া হয়।
ছবি গুলো অনেক সুন্দর।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভাল আছি।
অনেকদিন পর আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে খুশি হ'লাম।
ছবির প্রশংসায় এবং মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৩২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
ছবিগুলো কি ভীষণ সুন্দর !!!
ঢাকাতে সবুজের খুব অভাব । এটা কি বনানি ডিওএইচএসের ওখানে কোথাও ?
কারন ওখানে এরকম ঘনসবুজ ভিউ দেখা যায় ।
ঢুকির কোনও এক পোষ্টে আপনার মন্তব্যে জেনেছিলাম বাড়ীর নাম আদর ?
১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিগুলোর প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, প্লাসে প্রাণিত।
বেশ কয়েকদিন পরে এলেন ব্লগে। আশাকরি ভালই ছিলেন। সিডনীতে তো আবার কভিড ছড়াচ্ছে বলে জেনেছি, যদিও আগের চেয়ে অনেক কম।
'এটা কি বনানি ডিওএইচএসের ওখানে কোথাও?' - না, তবে অনতিদূরে।
আপনি ঠিকই জেনেছেন, বাড়ীর নাম 'আদর'।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৩৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: দিনলীপির মতো এই লেখাগুলো বেশ চমৎকার লাগে। বহুবছর পরে আপনাকেও হয়ত এসব লেখা অনেক আনন্দ দিবে। স্মৃতিকে কেনা হাতড়াতে চায়? আর লিখিত রূপ থাকলে তো কথায় নেই।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: গতকাল পোস্ট করা আমার ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি'র পোস্টে আমি বলেছি যে আমার এ পোস্টটি ছিল গত এক বছরে দ্বিতীয় সর্বাধিক পঠিত (৭২২), দ্বিতীয় সর্বাধিক 'লাইক'প্রাপ্ত (২৩) এবং চতুর্থ সর্বাধিক মন্তব্যপ্রাপ্ত (৬৬) পোস্ট। বর্ষপূর্তির পোস্টে জুড়ে দেয়া লিঙ্ক ধরে একমাত্র আপনিই কোন পোস্টে এসে মন্তব্য করে গেলেন, এতে সত্যি আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। লিঙ্ক জুড়ে দেয়ার কষ্টটা এতে সার্থক হলো। অনেক, অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য।
"বহুবছর পরে আপনাকেও হয়ত এসব লেখা অনেক আনন্দ দিবে" - শুধু বহু বছর পরে নয়, এখনই যখন কোন কারণে নিজের লেখা পুরনো কোন পোস্টে ফিরে আসি, সেসব পোস্ট পড়ে আমি প্রভূত আনন্দ পাই। লেখার সময় মনের অবস্থাটা কেমন ছিল, তখন মাথার ভেতর কোন কোন চিন্তা কাজ করছিল, সেসব ভেবেও আনন্দ পাই।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
গ্লোবেল ওয়ার্মিং ঋতু ইত্যাদিকে ক্রমে বদলায়ে দিবে।