নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে - ৩

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারী, আমরা দুই বন্ধু মিলে সস্ত্রীক ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার (সম্ভবতঃ) পদ্মা তীরবর্তী মৈনট ঘাটে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যদিও এটাকে অনেকে ঢাকার ‘মিনি কক্সবাজার’ বলে থাকেন, আমার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। তবে যাওয়ার পথে থেমে থেমে এটা ওটা করে বেশ আনন্দ করেছিলাম, যেমন সরিষা ক্ষেতে নেমে সোঁদা গন্ধের মাটিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, পথ পাশের চা-দোকানে নেমে চা-টা খাওয়া, আর উপস্থিত মানুষজনের সাথে আলাপচারিতা, ইত্যাদি। এসব করতে করতে প্রায় দুপুর বেলায় সেখানে পৌঁছেছিলাম। মটর বোটে সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে যখন ঘাটে ফিরে আসলাম, তখন বেশ ক্ষুধা পেয়েছে। ফেরার সময় এক আচমকা বাতাসে আমার মাথার হ্যাটটি উড়ে গিয়ে পদ্মার অতল বুকে সলিল সমাধি লাভ করেছিল। এ নিয়ে অবশ্য আমি একটি পোস্টও লিখেছিলামঃ একটি হ্যাটের আত্মকাহিনীঃ

যাহোক, ওখানকার কয়েকটি হোটেলের মধ্যে যেটিকে আমাদের কাছে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন মনে হয়েছিল, সেটাকে বাছাই করে আমরা ভর্তা-ভাজি-মাছ দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারলাম। সেদিন ওয়ার্কিং ডে ছিল বিধায় কাস্টমারের বেশি ভিড় ছিল না, তাই খাওয়া দাওয়া শেষে সীট ছেড়ে দেবার কোন তাড়াও ছিল না। তাই আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে সেখানে বসেই গাল গল্প চালিয়ে যেতে থাকলাম। সূর্য খানিকটা ঢলে পড়লে আমরা ওখানে বসেই ঘন দুধের চা খেয়ে ফেরত আসার জন্য উঠতে উদ্যত হ’লাম। হোটেলওয়ালা বললো, ‘মৈনট ঘাটে বেড়াতে এসেছেন, পদ্মার মাছ না নিয়েই ফিরে যাবেন’? আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ‘বাজার কখন বসবে’? সে বললো, ‘একটু পরে বাজার জমবে, তবে এখনই কিছু কিছু মাছ আসা শুরু হয়েছে’। আমরা সন্ধ্যা নামার আগেই ফিরতি পথের অচেনা অংশটুকু পাড়ি দিতে চাচ্ছিলাম, তাই আমাদের হাতে বেশি সময় ছিল না। যাহোক তবুও একটু এগিয়ে দেখি এক মাছওয়ালা ছোট/ মাঝারি সাইজের পাঁচটি (রুই, কাতল আর চিতল) মাছ নিয়ে বসে আছে। আমাদেরকে একটু নিমরাজি দেখে সে বেচারা অনেক সাধাসাধি করে, এবং মনে হয় একটু সাশ্রয়ী মূল্যেই আমাদেরকে মাছগুলো দিয়ে বললো, ‘স্যার মৈনট ঘাটের মাছ, একবার খেলে আবার আসবেন’। আমরা দু’জন ভাগাভাগি করে মাছগুলো কিনেছিলাম। মাছ খেয়ে লোকটাকে সত্যিই স্মরণ করেছিলাম, বিশেষ করে চিতলমাছ খাবার পর। চিতল মাছ দেখলেই ক্ষণিকের দেখা সেই সহজ সরল মাছওয়ালার কথা এখনো মনে পড়ে।

০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, বাংলা বাজার জুবিলী হাই স্কুলের বিপরীতে অবস্থিত ‘ঝিঙেফুল’ প্রকাশনীতে যেতে হবে। আমার চতুর্থ বই এর প্রকাশক জনাব গিয়াস উদ্দিন খসরু সাহেব টেলিফোনে ঠিকানা জানিয়েছেন এবং সেখানে যাবার পথ বাৎলে দিয়েছেন। আমি কাছাকাছি গিয়ে রাস্তার বাঁকের একটি চা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ‘ঝিঙেফুল প্রকাশনী’র কথা জিজ্ঞেস করলাম। ব্যস্ত চা ওয়ালা জবাব দেবার আগেই পাশে বসা এক চর্মকার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আয়া পড়ছেন তো, আবার জিগায়’! আমি বললাম, ‘কই আয়া পড়ছি’? তিনি আঙুল তুলে একটা বিল্ডিং এর দিকে দেখালেন, সেখানে বড় করে লেখা আছে ‘বাংলা বাজার জুবিলী হাই স্কুল’। ঐ স্কুলটার ঠিক অপর পার্শ্বেই ছিল 'ঝিঙেফুল প্রকাশনী’র অফিস-কাম-স্টোর। আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলে তিনি আমার পাদুকার দিকে ইশারা করে মৃদু হেসে বললেন, ‘কাম করাইবেন না’? আমি বললাম, ‘কামের তো দরকার নাই’। সে একজোড়া স্যান্ডেল আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো, ‘খাড়ায়া খাড়ায়া এক কাপ চা খান। জোতার মুখটা আন্ধার হইয়া রইছে। চা শেষ কইরা দেখবেন মুখ চমকাইতাছে’- বলে আবার সেই মৃদু হাসি। আমি অগত্যা আমার ফিতেহীন জুতো জোড়া খুলে দিয়ে এক কাপ চায়ের অর্ডার দিলাম। বলা বাহুল্য, তিনি ছিলেন পুরাতন ঢাকার কুট্টি সম্প্রদায়ের একজন লোক। কুট্টিরা স্বভাবগতভাবে দারুণ কৌতুকপ্রিয় হয়ে থাকে। সচরাচর তাদের মুখে হাসি লেগেই থাকে, কখনো তা প্রাণখোলা, কখনো ক্রুর।

১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, এলাকাবাসীদের সংগঠন কর্তৃক একটা আউটিং (পিকনিক) এর আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকার অদূরে বেরিবাঁধের পার্শ্বে অবস্থিত ‘তামান্না গার্ডেন’ এ। সবাই যখন খাওয়া দাওয়া, গান বাজনা, ফটো সেশন আর হৈচৈ এ ব্যস্ত, তখন আমার দৃষ্টি পড়েছিল তারকাঁটার ওপারে জীবন সংগ্রামের এই বয়স্কা যোদ্ধার প্রতি, যিনি চুপি চুপি তারকাঁটার নীচ দিয়ে প্রবেশ করে সংগ্রহ করছিলেন, না, কোন খাবার বা ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট নয়, কিছু খালি পানির এবং হাল্কা পানীয়ের প্লাস্টিক বোতল। দিনশেষে তার এ সংগৃহীত সম্ভার ভাঙারির দোকানে বিক্রয় করে হয়তো তার দু’মুঠো অন্নের সংস্থান হবে। তারকাঁটার এপারের ওপারের বৈপরীত্য সেদিন মনে রেখাপাত করেছিল।

০৮ এপ্রিল ২০১৯, এই ছোট্ট মেয়েটি কেমাল আতাতুর্ক এভিনিউ এর বিভিন্ন পয়েন্টে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বেলী ফুলের মালা বিক্রয় করে তার যৎসামান্য জীবিকা নির্বাহ করে। তার নিজের জীবনে কোন সুবাস না থাকলেও সে হাসিমুখে পথে থেমে থাকা গাড়ীর চালক/আরোহীদের কাছে সুগন্ধি বেলী ফুলের মালা প্রতি পিস মাত্র দশ টাকায় বিক্রয় করে। দিন খারাপ গেলে পাঁচ টাকায়ও করে। তার এ ছবিটি আমি তুলি কাকলি ক্রসিং পয়েন্টে, গত ০৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে রাত ১০-২৭ মিনিটে। আমি এবং আমার সহযাত্রী মিলে তার দিনের অবশিষ্ট এ চারটি মালাই সেদিন কিনে নেই। সে হাসিমুখে বাড়ী ফিরে যায়, সে হাসির কাছে ফুলের সৌরভ ও সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়।

১৩ এপ্রিল ২০১৯, বহু শতাব্দী ধরে গ্রাম বাঙলায় চৈত্র মাসের শেষ দিনটিতে "চৈত্র সংক্রান্তি মেলা" অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সাধারণতঃ কোন খোলা জায়গায়, বৃ্দ্ধ বিটপীর ছায়াতলে কিংবা খেলার মাঠে এসব মেলা বসে থাকে। এই মুরুব্বী গত ১৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে, চৈত্র সংক্রান্তির দিনে তার বানানো হাতপাখার সম্ভার নিয়ে এসেছিলেন ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত "চৈত্র সংক্রান্তি" মেলায়। অতি সামান্য পুঁজি-নির্ভর তার ব্যবসা। তালপাতা দিয়ে হাতপাখা বানান তিনি। কিছু রেখেছেন স্রেফ তালপাতা আর বাঁশের কঞ্চির বুনটে বাঁধানো হাতপাখা হিসেবেই, এগুলোর ক্রেতা নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা, যারা আসন্ন গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে বাঁচতে এ পাখাগুলোকেই হাতে তুলে নেবেন, রাতে বিছানায় শিওরের পাশে রাখবেন। আর কিছু পাখা তিনি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে রঙিন ঝালর লাগিয়ে অনুপম সাজে সাজিয়েছেন, বোধকরি আরেকটু অবস্থাপন্ন গেরস্তদের জন্য, আর পাখার ঠিক মাঝখানে একটি অত্যন্ত সুন্দর কথা লিখে দিয়েছেন- "মনের মানুষ"।

জানিনা, সৌন্দর্য বর্ধনের এ কাজটি তিনি নিজে করেছেন, নাকি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন। বোধকরি, এমন নান্দনিক কাজটি হয়তো কোন পুরুষের করা নয়, এ কাজে হয়তো তিনি তার স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধু বা অন্য কোন মহিলার সাহায্য নিয়েছেন। তাপদগ্ধ কারো দেহে এবং মনে যখন এ রঙিন ঝালর লাগানো পাখাটি শীতলতার পরশ বুলিয়ে যাবে, তখন হয়তো মনে মনে তিনি তার “মনের মানুষ” এর কথাই ভাববেন, তাকে নিয়ে পাখার রঙের মত অনেক রঙিন স্বপ্ন বুনে যাবেন! ঝালর লাগানো তালপাখা, বালিশের কভার, রুমাল এবং আগেকার দিনের মা/খালা/নানী/দাদীদের হাতে বোনা উলের সুয়্যেটার, মাফলার, হাতমোজা, নক্সীকাঁথা, ইত্যাদিতে সূচকার্যে লিখা কিছু কিছু কথা লিখা থাকতো। সেসব কথায় অনেক মায়া মমতা ও ভালবাসা জড়িয়ে থাকতো।

ছবিটি ময়মনসিংহ নিবাসী মনোয়ার হোসেন এর সৌজন্যে পাওয়া। তার অনুমতিক্রমে ছবিটি আমি আমার এই পোস্টে একটু ক্রপ করে সংযোজন করলাম। ছবিটি শেয়ার করার অনুমতি দেয়ার জন্য তাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৪ অগাস্ট ২০১৯, দুপুর দুই টা। এক বয়স্ক বাদাম বিক্রেতাকে দেখেছিলাম যমুনার উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে থেমে থাকা ট্রেনের কামরায় কামরায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রী করতে। ট্রেনে উঠতে নামতেও তার কষ্ট হচ্ছিল। অতি সামান্য পুঁজি, অতি সামান্য লাভ- তাই দিয়েই নিরানন্দ জীবন যাপন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও এদের অবস্থার ইতর বিশেষ হয়নি।

২৫ অগাস্ট ২০১৯, দুপুর ১২-১৭। প্রখর রৌদ্রতাপে পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের আইল্যান্ডে বসে এই মহিলা তার সংগৃহীত পরিত্যাক্ত পলিথিন ব্যাগ এবং প্লাস্টিক বোতল বিছিয়ে গোছাচ্ছিলেন। তার কপালে জমে ওঠা দু'ফোঁটা ঘাম বলে দিচ্ছে বাইরে তখন কতটা গরম! যানজটে আটকে থাকা আমার গাড়ীর দু'পাশে ভিখারি-ভিখারিণীর হাত পাতা ছিল, কিন্তু আমার দৃষ্টি ছিল একটু দূরের এই নারীর উপর, যিনি স্বাধীনভাবে জীবিকার্জনের জন্য এই কষ্টকেই গর্বের সাথে বেছে নিয়েছেন। শ্রমজীবি এ নারীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা!

১০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট। রাশ মেলা শুরু হবার আগের দিনে দিনাজপুরের কান্তজা মন্দির প্রাঙ্গণে বসা এক ঢোল বিক্রেতা অনেক উৎসাহ নিয়ে আমাকে কান্তজা মন্দির নিয়ে অনেক মজার গল্প শুনিয়েছিলেন। তার কাছ থেকে রাশ পূর্ণিমা নিয়েও অনেক তথ্য জানা হয়েছিল।

ঢাকা
১৪ জানুয়ারী ২০২১
শব্দসংখ্যাঃ ১১৩৩

ছবিসূত্রঃ পঞ্চম ছবিটি (হাতপাখার) ব্যতীত সবগুলো ছবি আমার আইফোন-৭ এ তোলা। পঞ্চমটির সূত্র পোস্টে উল্লেখ করেছি।


মৈনট ঘাটের সেই মাছ বিক্রেতা....
ছবি তোলার সময়ঃ ১১ জানুয়ারী ২০১৮, বিকেল ৪ঃ২০

বাংলাবাজারের জুবিলী রোডের সেই কুট্টি চর্মকার....
ছবি তোলার সময়ঃ ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, বিকেল ৩;৫২

ঢাকার বেড়ী বাঁধ সংলগ্ন "তামান্না গার্ডেন" এর পিকনিক স্পটের তারকাঁটার ওপাশের সেই বয়স্কা জীবন-সংগ্রামী যোদ্ধা নারী.....
ছবিটি তোলা হয়েছে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে।

কাকলী ক্রসিং পয়েন্টের সেই ছোট্ট মেয়েটি.....
ছবি তোলার সময়ঃ ০৮ এপ্রিল ২০১৯, রাত ১০ঃ২৭

গত ১৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে, ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত "চৈত্র সংক্রান্তি" মেলায় "মনের মানুষ" এর পসরা সাজিয়ে বসে থাকা সেই শীতল পরশ বিক্রেতা....
ছবিটি ময়মনসিংহ নিবাসী মনোয়ার হোসেন এর সৌজন্যে প্রাপ্ত।

যমুনার উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে থেমে থাকা ট্রেনের কামরায় কামরায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রী করা সেই বয়স্ক বিক্রেতা....
ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৪ অগাস্ট ২০১৯, দুপুর দুইটায়।

তার কপালে জমে ওঠা দু'ফোঁটা ঘাম বলে দিচ্ছে বাইরে তখন কতটা গরম!
ছবি তোলার সময়ঃ ২৫ অগাস্ট ২০১৯ দুপুর ১২ঃ১৭

২৫ অগাস্ট ২০১৯, দুপুর ১২ঃ১৭ এর সময় প্রখর রৌদ্রতাপে পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের আইল্যান্ডে বসে এই মহিলা তার সংগৃহীত পরিত্যাক্ত পলিথিন ব্যাগ এবং প্লাস্টিক বোতল বিছিয়ে গোছাচ্ছিলেন।

রাশ মেলা শুরু হবার আগের দিনে দিনাজপুরের কান্তজা মন্দির প্রাঙ্গণে বসা সেই ঢোল বিক্রেতা....
চিত্রগ্রহণঃ ১০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ক্ষনিকের দেখা কিন্তু স্মৃতিতে অম্লান. ‌‌চমৎকার কথায় পরিচয় পর্বে ভালোলাগা। মৈনট ঘাটের স্মৃতিটা ভালো লেগেছে। বাংলা বাজারের কুট্টির রসবোধ থেকে মনে হলো কর্মকে কত সহজেই এনারা নিজের কাছে উপভোগ্য করে তুলেছেন।
কাঠফাটা রোদে জীবন যুদ্ধে রত বয়ষ্কা মহিলার ছবিটি খুবই বেদনার।

ওড়িশার গোপালপুর সমুদ্র সৈকত থেকে দারিংবাড়ি যাওয়ার পথে পথে এক বয়স্কা নারকেল বিক্রেতাকে দেখেছিলাম। প্রচন্ড গরমে ঘেমে ভিজে খোলা আকাশের নিচে বসে নারকেল বিক্রি করছেন। আমাদের দেখে কলকাতার বাবু বলে খুব খাতির করে পাঁচটা নারকেল ছাড়িয়ে দেন।স্থানীয়রা ওনাকে আম্মা বলে ডাকতেই আমি জিজ্ঞেস করি আপনাকে সকলে আম্মা কেন বলছেন? উনি হাসতে হাসতে পরিষ্কার বাংলায় বললেন,
- তোমরা যে আমার বাপজান।
পাশের এক ক্রেতা বললেন,
-এখানে সবাই বয়স্কা মহিলাদের আম্মা বলে।
তখনই বুঝতে পারি,একই কারণে জয়ললিতা তামিলনাড়ুতে আম্মা নামে পরিচিত।
যাইহোক আমাদের দরকার ছিল দুটি বা তিনটি নারকেল। উনি জোর করে দুটি নারকেল বেশি দেন।পরে গাড়িতে বসে খেয়ে বুঝি কি দারুণ মিষ্টি নারকেলগুলো। দারিংবাড়ির ঐ আম্মার ব্যবহার আজও ভুলতে পারেনি।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: দারিংবাড়ির ঐ আম্মার ব্যবহার আজও ভুলতে পারেনি - আমিও গল্পটা পড়ে অভিভূত হ'লাম।
পোস্টে প্রথম প্লাস এবং প্রথম মন্তব্য, দুটোই আপনার কাছ থেকে পেলাম, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্যের প্রথম অনুচ্ছেদে যে মূল্যায়ন করেছেন, তাতে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা নিরন্তর!!!

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি এবং লেখা ভালো লেগেছে।
অতি তুচ্ছ মানুষদের মনে রেখেছেন। এটা আপনার মহানুভবতা। সবচেয়ে বড় কথা আপনার দেখার চোখ আছে, শোনার কান আছে।
চোখ কান সবারই আছে। কিন্তু তারা চোখ কান বন্ধ রাখেন। আপনি তাদের থেকে আলাদা।

পুরান ঢাকার মানুষের 'আয়া পড়ছেন' 'আয়া পড়ছি'। তাদের মুখের ভাষা শুনতে ভালোই লাগে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি তাদের থেকে আলাদা - অনেক ধন্যবাদ, আপনার এ পর্যবেক্ষণের জন্য। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি এবং লেখা ভালো লেগেছে, অনেক ধন্যবাদ, এমন প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য। পরের কথাগুলো আরো বেশি ভাল লেগেছে।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: মুগ্ধকর রোজনামচা, অসাধারন স্থিরচিত্র আর বৈচিত্র্যময় জীবন। লেখায় মুগ্ধতা, ভালবাসা রইল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার, প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রাণিত।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: @আমি সাজিদ,
হয়তো ব্যস্ততার কারণে পোস্টে দুটো কথা বলে যেতে পারেন নি, কিন্তু আমি ঠিকই লক্ষ্য করেছি যে আপনি পোস্টটি 'লাইক' করেছেন, পোস্টটিকে "প্রিয়"তেও তুলে নিয়েছেন। এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতেই মন্তব্যের ঘরে লেখককে আসতে হলো। আমার খুব বেশি পোস্ট কারো "প্রিয়"তে নেই, তাই আমার জন্য এ দুর্লভ সম্মানে আমি অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি দোহার উপজেলার মানুষ ।
আপনি দোহারে গিয়েছিলেন শুনে আমার খুবই ভালো লেগেছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকার লোক। আপনার এলাকা অনেক সমৃদ্ধ।
আপনি পোস্টটি 'লাইক' করেছেন, পোস্টটিকে "প্রিয়"তেও তুলে নিয়েছেন। এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রতিটি মানুষের মুখচ্ছবি যেন এক একটি জ্বলন্ত সংগ্রামের
কাহিনীর প্রতিচ্ছবি । আপনি আপনার গভীর অন্তর দিয়ে
অনুভব করে খুব সুন্দর করে লিখেছেন সবকিছুই ।
আপনার চিন্তাধারার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো , ধন্যবাদ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রতিটি মানুষের মুখচ্ছবি যেন এক একটি জ্বলন্ত সংগ্রামের কাহিনীর প্রতিচ্ছবি" - এদের জীবন সংগ্রামটা আহ্নিক গতির সাথে সাথে চলে, নিত্য চলমান। তাই এটা অনেকের চোখে পড়ে না, পড়লেও অনেকটা গা-সওয়া হয়ে যায়, এদেরও হয়ে যায়।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন, প্লাস দিয়ে উৎসাহিত করেছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই সব বয়স্ক জীবন যোদ্ধা মানুষ আমাদের দেশে হাজারো আছে । আচ্ছা এদের কি সন্তান নেই যে দুমোঠো অন্ন দিবে। আহ, লোকটা এত কষ্ট করে বাদাম বিক্রি করছে । আর কিছু লোক বলে দেশে গরিব নাই দেশ এখন কানাডা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওদের সন্তান থাকলেও, ওরাও দরিদ্রই হয়ে থাকে। আমি এ নিয়ে ওদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। আপন সন্তানদের টানাপোড়েনের সংসার, তাই ওনারা সন্তানদের উপর বোঝা না হয়ে নিজেরাই একটা পথ খুঁজে নেন।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভ্রমন-ছবির তারিখ আলাদাভাবে ডায়রীতে টুকে রাখেন?


বিগত দিনগুলো গত হয়ে স্মৃতির পাতা ভারী হয়, কয়জনইবা এতো পরিচ্ছন্নভাবে তা তুলে ধরতে পারে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: না, আমি ভ্রমন-ছবির তারিখ আলাদাভাবে ডায়রীতে টুকে রাখি না। তবে সেলফোনের গ্যালারিতে যতদিন ছবিগুলো জমা থাকে, ততদিন দিন,তারিখ ও সময় সহই থাকে।
পোস্টটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৭

করুণাধারা বলেছেন: সবগুলো ছবি চমৎকার, বিশেষ ভালো লাগলো আয়ল্যান্ডে পলিথিন গোছানো মহিলার ছবি... পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা মনোভাব তার ঘামে ভেজা মুখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সাধারণ এই মহিলার মতো যদি অসাধারণেরাও আত্মসম্মান নিয়ে থাকতেন, পরিশ্রমী হতেন...

ভালো লেগেছে প্রতিটি মানুষের কথা। আমাদের আশেপাশের এই সাধারণ মানুষেরা আমাদের নজরের বাইরে থেকে মান, আপনি ক্ষনিকের দেখা মানুষগুলোর সচিত্র বর্ণনা চমৎকার দিয়েছেন... আগের পর্বও পড়েছি কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও মন্তব্য করতে পারিনি। কিছুতেই লিখতে ইচ্ছে করে না, আজকে মন্তব্য করব বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি বলে এত রাতে মন্তব্য!! দেখা যাক ধীরে ধীরে এই জড়তখ কাটাতে পারি কিনা!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা মনোভাব তার ঘামে ভেজা মুখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে" - জ্বী, ঠিক সে কারণেই তিনি আমার 'সাবজেক্ট' হয়েছেন। সত্যি বলতে কি, যানজটে আটকে থাকার সময় কাঁচবদ্ধ গাড়ীর নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে বসে বাইরের দাবদাহে পোড়া এ নারীর ছবি তোলার সময় খুব গিল্টী ফীল করছিলাম।
"কিছুতেই লিখতে ইচ্ছে করে না, আজকে মন্তব্য করব বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি" - কেন এমনটা হচ্ছে? চীয়ারফুল থাকার চেষ্টা করতে থাকুন। খুব অসুবিধে না হলে ব্লগিং করুন। আর স্পিরিচুয়াল শান্তি অন্বেষণের পন্থা সম্বন্ধে তো আপনাকে আমার কিছু বলতে হবে না। এ ব্যাপারে আপনি আমার চেয়ে সুপঠিত ও প্রাজ্ঞ বলে মনে করি। আজ আমি সাজিদ "হ্যাপিনেস, অনুভব ও অনুশীলন শিরোনামে একটি পোস্ট লিখেছেন। পোস্টে স্পষ্টভাবে কোন দিক নির্দেশনা না থাকলেও আশাকরি, মন্তব্যের ঘরে পাঠকদের কাছ থেকে কিছু সুপরামর্শ উঠে আসতে পারে।
আন্তরিক মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও দ্বিতীয়বার আসার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের মানুষের জীবন দেখে, সেই অনুসারে ব্যবস্হা নেয়ার জন্য কিছু সংস্হা দরকার।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: রাজনৈতিক দল এবং প্রতিষ্ঠানগুলোই তো এজন্য আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ডানপন্থী, বামপন্থী, মধ্যপন্থী, কোন পন্থীরাই তো ক্ষমতায় গেলে কিংবা ক্ষমতার আশেপাশে গেলেও আর মানুষের কথা ভাবে না।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:০৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার এই মানবিক পোস্টটি পড়ে আমার শৈশবে পড়া রাশিয়ান গল্প 'কিজিল কাঠের ছড়ি'র জীবনযোদ্ধার কথা মনে পড়লো। এই ধরণের যোদ্ধারা এখনো আছে বলেই মনে হয় সমাজটা কোনো রকমে টিকে আছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই ধরণের যোদ্ধারা এখনো আছে বলেই মনে হয় সমাজটা কোনো রকমে টিকে আছে। - পোস্ট পড়ে এখানে মন্তব্যটি রেখে যাবার জন্য আন্তইক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঘটনাগুলো সাধারন কিন্তু সুন্দর করে লিখার জন্য অসাধারন হয়ে উঠেছে।পাঁচটা মাছ দুই ভাগ করা তার উপর আবার চোট বড় ভালই সমস্যা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, অতি সাধারণ কিছু মুখ, সাধারণ কিছু ঘটনা নিয়েই লেখা আমার এ 'ক্ষণিকের দেখা' স্মৃতিগুলো। আপনি পড়েছেন, প্রেরণাদায়ক, সুন্দর মন্তব্য করেছেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
"পাঁচটা মাছ দুই ভাগ করা তার উপর আবার ছোট বড় ভালই সমস্যা" - জ্বী, বন্ধু বলে কথা, ঊনিশ-বিশে কিছু আসে যায় না। তার চেয়ে বড় কথা, বন্ধুপত্নীরাও বান্ধবী!

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: আপনার এ ধরনের লিখার স্টাইলটা আমার খুব ভালো লাগে। চেস্টা করবো এভাবে কিছু লিখতে।

ভালোলাগলো এ ধরনের ছোট ছোট গল্প বা স্মৃতিকথা কিংবা ক্ষণিক দেখা। কিন্তু এটি দেখার জন্য দেখার মতো চোখ থাকতে হয়। আমাদের আটপৈাড়ে জীবনে ক'জনেরই বা এরকম চোখ আছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার এ ধরনের লিখার স্টাইলটা আমার খুব ভালো লাগে" - স্টাইলটা খুবই সাধারণ, জাস্ট গল্প বলে যাওয়া। কল্পনায় সামনে শ্রোতারা (পাঠকেরা) বসে থাকেন। এর চেয়ে ভালভাবে যে আর কিছু লিখতে পারি না। এসব লেখার কোন সাহিত্যমূল্য নেই, তবে মায়াময় স্মৃতি হিসেবে নিজের কাছে মূল্য অনেক।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: লেখাটা পড়ে একই সাথে ভালো লাগল এবং মন খারাপ হয়ে গেল।
আমাদের চারপাশেই কত শত মানূষ কত কষ্ট করে জীবন ধারণ করছে অথচ আমাদের ধর্মী এটা আমাদের শিক্ষা দ্যায় না।
আমরা ধর্মকে শুধুই দোষারোপ করতে পারি কিন্তু এর ভালো দিকগুলি পালন করি না।
আল্লাহর রহমতে নিশ্চয়ই আপনি আগের মতোই ভাল আছেন।
শুভ কামনা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের ধর্মের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো অন্য ধর্মালম্বীরা গ্রহণ করে তা আমল করছে এবং জাগতিক উৎকর্ষতা অর্জন করছে।
পোস্ট পাঠের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমরাও ঘুরি কিন্তু আপনার মতো এভাবে দিনক্ষণ মনে রাখি না বা রাখতে পারি না।
ভ্রমনের মাঝে ক্ষণিকের পরিচিত মানুষদের মনে রাখা আবার তাদের স্মরণ করে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা আপনার পক্ষেই সম্ভব।
আপনার এই গুনটির প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: দিনক্ষণ ছবিতে থাকে, সেখান থেকে বসিয়ে দিয়েছি। আজকাল তো টেকনোলজি অনেক জটিল বিষয়কে সহজসাধ্য করে দিয়েছে।
আপনার মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। আর প্লাসে তো বটেই।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....

১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১২

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব ভালো লাগল স্মৃতিগুলো। আমাদের চলতে ফিরতে পথে অনেক কিছুই দেখা যায়, মনযোগ দিয়ে দেখলে শেখা যায়, উপভোগ করা যায়। আমার খুব ভালো লাগে এমন পর্যবেক্ষণ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: শ্রোতা পেলে স্মৃতিচারণ করতে আমারও বেশ ভাল লাগে।
পোস্ট পাঠের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.