নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতাঃ কখনো এভাবে ভাবিনি

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৩



এতদিন ধরে তোমার বসত আমার ঘরে,
সেই ছাত্রাবস্থায় প্রথম তোমার সাথে গাঁটছড়া বেঁধে
পটুয়াটুলি থেকে নিয়ে এসেছিলাম কত যতন করে,
সেই থেকে নিরন্তর এ জীবনটা বাঁধা তোমার সাথে!
প্রতিদিন বিলক্ষণ তোমার দিকে কতবার তাকিয়েছি।
সকালে নিদ্রাচোখে প্রথমেই,
স্বয়ংক্রিয়ভাবে তোমাকেই খুঁজেছি,
তোমার ইশারায় শয্যাত্যাগ করেছি, চকিতে!
তোমাকে ছাড়া কখনো গৃহত্যাগ করিনি,
তোমার আদেশ সর্বদা শিরোধার্য মেনেছি।

অথচ আজ কি ভেবে তোমাকে দেখে এত ভয় পাই?
তোমার দুটো হাতের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবি,
তুমি সন্তর্পণে এগিয়ে যাচ্ছো,
আর আমাকেও এগিয়ে নিচ্ছো এ কোন গন্তব্যপানে?
হায়, এতকাল ধরে তোমাকে কাছাকাছি রাখলাম,
অথচ আজ তুমি আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?
তোমার সদা সচল হাত দুটো আমায় ধরে নিয়ে যাচ্ছে
কোথায়? কোন সে অতল গহ্বরে?

কখনো কখনো তুমি একটি তৃতীয় হাত নিয়ে আসো।
তখন স্পষ্ট হয়ে যায়-
তুমি পিলপিল করে কত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারো!
তোমার সে বৃত্তাকার গতিপথের দিকে তাকিয়ে থেকে
আমি হয়রান হয়ে যাই!
তোমার সাথে আমার গাঁটছড়া বাঁধা,
তুমি এগোলে আমার ‘ফিরিবার পথ নাই’!
তাই অগত্যা প্রতিদিন তোমার সাথেই এগিয়ে যাই,
একটু একটু করে। কবে কোথায় এর শেষ, জানা নাই!


ঢাকা
২০ এপ্রিল ২০২১

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ চারটা লাইন ভাই মনের মধ্যে গেঁথে গেল!!
একজন মানুষের সাথে পুরো একটা জনম গাঁটছড়া বেধে নিয়ে এভাবে শেষ গন্তব্যের কথা চিন্তা করলে সবকিছু তুচ্ছ মনে হয়- হায় কি সব আবোলতাবোল ছাই পাশ করছি আমরা! সবকিছু মুল্যহীন মনে হয়।
আমার অন্তস্থল থেকে আপনাদের প্রতি ভালবাসা রইল। দীর্ঘজীবি হউন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

যার কথা বলেছি, সম্ভতঃ কবিতায় তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি কোন মানব মানবী নন, মানব মানবীর কর্ম ও গতি নিয়ন্ত্রণকারী একটি গৃহস্থলী সরঞ্জাম মাত্র। বিধায়, তার একটি ছবি সংযোজন করে দিলাম।

তবে আপনার মূল বক্তব্য একেবারে সঠিক- ""হায় কি সব আবোলতাবোল ছাই পাশ করছি আমরা! সবকিছু মুল্যহীন মনে হয়""!

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা। কেমন যেন একটা হাহাকার হৃদয়ে জাগিয়ে তুললো।

কবি শঙ্খ ঘোষ করোনায় মারা গেছেন। শুনেছেন?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কবি শঙ্খ ঘোষ করোনায় মারা গেছেন। শুনেছেন?" - জ্বী, একটু আগেই শুনেছি। তার প্রয়াণে ব্যথিত।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিজেকে দিয়েই বুঝি এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডায় বসলেও বুঝি, আমাদের মনের তেমন কোনো পরিবর্তন হয় নি, যতখানি জীবন ও সামাজিকতার জন্য প্রয়োজন, ততটুকু ছাড়া। কিন্তু, যখন আয়নায় নিজের মুখ দেখি, আর পুরোনো ছবিতে সেই উঠতি তারুণ্যকে দেখি, দেখি এ দুজনের অবয়বে কত তফাত! যখন স্বামীস্ত্রীর বর্তমান ছবির সাথে পুরোনো প্রথম যৌবনের ছবি পাশাপাশি তুলনা করি, তখন অজান্তেই মন কেঁদে ওঠে - হায়, যৌবন চিরস্থায়ী নয়। যখন রাস্তায় কোনো লোক আঙ্কেল বলে ডেকে ওঠে, তখন নতুন করে উপলব্ধি হয়। আমাদের মন জানে না যে আমাদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে, আমাদের মন কখনো মানবে না যে আমাদের সময় ফুরিয়ে আসছে।

বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীর সান্নিধ্য থাকা বেশিক্ষণ থাকা যায় না। কারণটা সহজেই অনুমেয়। সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত থাকে। ঘরে থাকেন শুধু বৃদ্ধ স্বামী ও স্ত্রী। তাদের মধ্যে একজন বাইরে বেরোলে আরেকজনের লাইফ হয়ে যায় খুব বোরিং। আমার বয়স আপনার তুলনায় বেশ কম, কিন্তু আমিও দেখেছি, যতক্ষণ বাসায় থাকি, মন শুধু চায়, স্ত্রী যেন আমার পাশে বসেই গল্প করে, টিভি দেখে, ইত্যাদি। আমার স্ত্রীর ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ার পর আমি খুব মুষড়ে পড়েছিলাম। আমার মনে হতো, স্ত্রী যদি এখন মারা যায়, তাহলে আমার পক্ষে বেঁচে থাকা খুব কষ্টকর হবে। এ বয়সে বেঁচে থাকার জন্য একজন কথা বলার সঙ্গী অত্যন্ত অপরিহার্য।

স্যার, অনেক সুন্দর এবং মানবীয় আবেদনের কবিতাটা পড়ে আমার মনে যে ভাব জন্মালো, তা লিখলাম। সঙ্গিনীর প্রতি ভালোবাসা, তাকে আজীবন হৃদয়ের সাথে গেঁথে রাখার আকুলতা, এবং তাকে হারাবার একটা ভয় কবিতায় ফুটে উঠেছে। অনেক ভালো লেগেছে।

ম্যাডাম এবং আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১ নং প্রতিমন্তব্যে কবিতাটির একটু ব্যাখ্যা দিয়েছি।

মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীর সান্নিধ্য থাকা বেশিক্ষণ থাকা যায় না < বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীর সান্নিধ্য ছাড়া বেশিক্ষণ থাকা যায় না

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, সেটা সহজেই বুঝতে পেরেছি।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১০

শেরজা তপন বলেছেন: এখন বুঝলাম দ্বীতিয়বার পড়ে- ছবিটা দেখে বোঝা উচিত ছিল আগেই!
লেখার স্টাইলে আসলেই অনেকে ভুল বুঝতে পারে-হচ্ছেও তাই

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ছবিটা দেখে বোঝা উচিত ছিল আগেই!" - না, আপনার ভুল নয়। আমারই ভুল হয়েছিল, ছবিটা প্রথমে দেই নি, আপনি যখন কবিতাটা পড়েছিলেন।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

ওমেরা বলেছেন: কিছু কিছু কবিতা এমন , এর ভাবার্থ সেই বুঝে যে নিজে লিখে সে কি মনে করে লিখেছে ।
আপনার এই কবিতাটা হয়েছে সেই রকম। যেমন উপরের দুইটা কমেন্ট দেখেই বুঝা যাচ্ছে ।
আমি কবিতাটা পড়ার সময় উনাদের মত মনে হয়নি তবে মনে করেছিলাম চশমা নিয়ে লিখেছেন।
পড়ে কমেন্টে পড়ে বুঝলাম আসলে এটা ঘড়ি নিয়ে লিখেছেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঘড়ি ও চশমা, দুটোই মানুষের জীবন পথের নিত্যসঙ্গী। দুটোই মানব জীবনের নীরব সাক্ষী; তবে একটা চলমান, অপরটা স্থবির। দুটোই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মানুষের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক সময়, যা একমাত্র স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণাধীন। ঘড়ি হচ্ছে সেই সময়ের বাহক। শেষ কথাটা দাঁড়ায়, ঘড়িই হচ্ছে মানুষের জীবনের গতি-নিয়ন্ত্রক। সেটি ক্রমশঃ এগিয়ে চলে অনন্তপানে, মানুষ তার গন্তব্যে পৌঁছে স্থির হয়ে যায়।

ঘড়ির গতি সচরাচর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়না। যখন এর দুটো হাতের সাথে তৃ্তীয় হাতটিও যোগ হয়, তখন আমরা বুঝতে পারি কত দ্রুত গতিতে পলে অনুপলে সময় বয়ে যায়, আর আমরা প্রতিনিয়ত ধাবিত হই আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যপানে। অতএব, যা কিছু করণীয়, তা এখনই করা প্রয়োজন!

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

শায়মা বলেছেন: এই ঘড়িটার মতই প্রায় একটা ঘড়ি আমার কাছেও ছিলো ভাইয়া। তোমার ঘড়িটা দেখে মনে পড়ে গেলো। আহারে আমাদের চারপাশ জুড়ে কতই না ভালোবাসা। ছোট ছোট জিনিসের মাঝে. ঘড়ি তো শুধু ঘড়িই না যেন এক জীবিত বন্ধু। দুঃসময় ও সুসময় দুটোরই সঙ্গী।

কিন্তু ভাইয়া কবিতা পড়ে যে কেউ ভাববে তুমি ভাবীজির কথাই লিখেছো। হা হা জীবনেও তুমি না বলে দিলে কেউ বুঝবেই না এটা ঘড়ি কাহিনী। হা হা

ভেবেছিলাম ভাবীর বাড়ি পটুয়াখলি। ছাত্রাবস্থাতেই বুঝি বিয়ে করেছিলে। তারপর রোজ সকালেই ভাবীর মুখেই তাকাও । একই সাথে চলেছো ...... পরে মন্তব্য পড়ে সব ভাবাভাবি বিফলে গেলো। :(

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ঘড়ি "দুঃসময় ও সুসময় দুটোরই সঙ্গী"!

আমি 'পটুয়াখলি' লিখি নাই, লিখার সময় যদিও ভেবেছিলাম, আপনি যেটা ভেবেছেন সবাই সেটাই ভাববে। আমি লিখেছি 'পটুয়াটুলি'। আমি যে আমলে প্রথম হাতঘড়িটি কিনেছিলাম, সে আমলে (ষাটের দশকের শেষদিকে) 'পটুয়াটুলি মার্কেট'ই ছিল ঢাকার সবচেয়ে বৃহৎ ঘড়ির ব্যবসা কেন্দ্র। এ ব্লগে যারা পুরাতন ঢাকার অধিবাসী আছেন, তারা নিশ্চয়ই এ কথাটা জানবেন।

"পরে মন্তব্য পড়ে সব ভাবাভাবি বিফলে গেলো" - মন দিয়ে না পড়লে বিফলে তো যাবেই! :)

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব ধনী মানুষের একটা ভয়ংকর শখ আছে, হাতে কিংবা পকেটে একটি সুন্দর ও পছন্দের সময় মাপার যন্ত্র রাখা; তারপর, উহাকে অনুসরণ করে জীবনে সামনে নেয়া; কিন্তু হয়তো কোনদিন ইহার শুরু থেকে শেস অবধি সবটুকুকে যোগ করে দেখার কথা ভাবে না।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের ছোটবেলায় আমরা দেখেছি, অনেকেই একটা গোল রূপালি চাকতির মত ঘড়ি বুক পকেটে রাখতেন, সেটা গলা থেকে একটা চেইন দিয়ে বাঁধা থাকতো। মাঝে মাঝে তারা বুক পকেট থেকে ঘড়িটা বের করে সময় দেখে নিতেন। বিশেষ করে মুরুব্বি স্থানীয়রা এরকম ঘড়ি রাখতেন।

ছাত্রাবস্থায়, খুব সম্ভব নবম কিংবা দশম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায়, আমি প্রথম ঘড়িটি কিনেছিলাম বাংলা বাজারের সন্নিকটস্থ পটুয়াটুলি মার্কেট থেকে, যেটা মূলতঃ ঘড়ির জন্যই তখন বিখ্যাত ছিল। আমার আব্বা আমাকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘড়িটি ছিল 'হেনরী স্যান্ডোজ' কোম্পানীর, মূল্য ছিল ১০২ টাকা মাত্র। এটা মোটেই কোন ধনী ব্যক্তির উপযুক্ত ছিল না, এটা ছিল মধ্যবিত্তের ঘড়ি, যে শ্রেণীকে আমি প্রতিনিধিত্ব করতাম। আমি আমার পকেট মানি থেকে কিছুটা করে টাকা বাঁচিয়ে এ ঘড়ির অর্ধেক মূল্য বহন করেছিলাম, বাকি অর্ধেক করেছিলেন আব্বা। তিনি পুরোটাই বহন করতে খুব উদগ্রীব ছিলেন, কিন্তু এর জন্য পরে তিনি মৃদু চাপ বোধ করতে পারেন ভেবে আমি রাজী হই নি। এমনকি টাকা দেয়ার সময় আমি ৫২+৫০ তেও রাজী হইনি, সমানে সমান ৫১+৫১ পরিশোধ করেছিলাম।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া তবে বুঝেছি সবাই আমার মতই অমনোযোগী পাঠক। দেখেো সবাই কি ভেবেছে। ঠিক আমারই মতন। আর পটুয়াটুলি নাম শুনেছি। এখনও কি সে মার্কেট আছে নাকি? যাইহোক বুঝা যাচ্ছে চোখের জ্যোতি আমারও কমেছে। কাজল পরা যাবেনা ভেবে চমশা পরি না। এখন দেখা যাচ্ছে চমশা পরে বাকী জীবন কাটাতে হবে এবং একসময় হয়ত সেই চমশাই আমার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যাবে শরীরের এবং আমাকেও এমন করেই লিখতে হবে।

যাইহোক সেই আমলে এমন সুন্দর একটা ঘড়ি!!!!!!! আমার অবশ্য পুরান ডিজাইনগুলোই বেশি পছন্দের। আর চিন্তা করে দেখো এত পুরানো ঘড়িটা এখনও কি রকম সচল আছে। এখনকার দিনের হলে দুদিন পরেই পরলোকে গমন করতো।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের ছোটবেলায় আব্বা যেমন আমাদেরকে বলতেন, "শুয়ে শুয়ে বই পড়ো না, কাছে থেকে টিভি দেখো না, চোখ নষ্ট হয়ে যাবে!" ---- আমিও তেমন করেই আমার ছেলেদেরকে এসব বলেছি। এখন নাতি নাতনিকেও বলি। ছেলেরা তাও ভয়ে ভয়ে কিছুকাল এ কথাগুলো মান্য করেছে, বিশেষ করে সামনা সামনি, কিন্তু নাতি নাতনি তো কথাগুলো কানেই তোলে না! আমি ছেলেদেরকে বলি, যেদিন থেকে তোমার চোখে চশমা উঠবে, সেদিন থেকে তোমার কাজের এফিশিয়েন্সী কিন্তু অর্ধেক কমে যাবে। এ কথাটা আপনার বেলাতেও প্রযোজ্য হতে পারে! আমার তো মনে হচ্ছে আপনার চশমা ব্যবহারটা এখনই শুরু করা উচিত, কেননা দেখলাম, আপনি মন্তব্যে দু'জায়গায় চশমা'র জায়গায় 'চমশা' লিখেছেন। :)

"এখনও কি সে মার্কেট আছে নাকি?" - গত চল্লিশ বছরে আর ওদিকে যাই নাই, তাই নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। তবে আমার ব্যক্তিগত ধারণাঃ আছে

"যাইহোক সেই আমলে এমন সুন্দর একটা ঘড়ি!" - না, এটা সেই আমলের ঘড়ি না, এটা অনেক পরের ঘড়ি। সেই আমলের ঘড়িটা ছিল একটা হাতঘড়ি, যেটার কথা আমি ৮ নং প্রতিমন্তব্যে কিছুটা বর্ণনা করেছি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় নানা ডামাডোলে ঘড়িটা আমি হারিয়ে ফেলি, তবে স্মৃতিটা আজও অক্ষয়!

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

শোভন শামস বলেছেন: সময়ের বেধে দেয়া ছকে আমরা নিরন্তন ছুটে চলেছি অজানা গন্তব্যের পথে।
অনেক দিন পেরিয়ে এসেছি এই পৃথিবীতে
ভাল থাকুন

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবন সম্পর্কে চমৎকার এ পর্যবেক্ষণটি এখানে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া চমশা তো আমি ইচ্ছা করে লিখেছি!!!


এতদিনেও আমাকে চিনলে না !!!!!!!!


যাইহোক একটা মজার ভিডিও দেখেছি-

দাঁড়াও দেখাই

আমি ইচ্ছা কইরাই


:P

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমশা আপনি ইচ্ছে করে লিখেছেন? বাব্বাহ, এত বুদ্ধি?

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া শুধু ফার্স্ট পার্ট টুকুই দেখবে যে ইচ্ছা কইরাই...... পরেরগুলা না হা হা হা

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

নজসু বলেছেন:



তুমি এগোলো, আমার ফিরিবার পথ নাই।

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, এই একটা লাইনের জন্যই কবিতার সব লাইন জমায়েত হয়েছে কবি হৃদয়ে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ধারণাটা মোটেই অমূলক নয়। ওটাই কবিতার পাঞ্চলাইন।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যদি কোনো যন্ত্র থাকতো ফিরে যাওয়ার সেই অতীতে আপনি কী যেতেন?

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্যই যেতাম!

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ নিত্য সহচর নিয়ে ব্যাকুল ভাবনা। ছাত্র অবস্থায় আনা আর পাটুয়াটুলি তে বুঝতে সাহায্য করেছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝতে পারছি, আপনি কবিতাটি অনেক মন দিয়ে পড়েছেন, তাই সহজে ধরতে পেরেছেন। এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা....

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫২

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ তুমি সন্তর্পণে এগিয়ে যাচ্ছো,
আর আমাকেও এগিয়ে নিচ্ছো এ কোন গন্তব্যপানে?”


খুবই চমৎকার ভাবনা।

সময় ঘুরে এসেই যৌবনপ্রাপ্ত হয় আর বয়স বাড়ে আমাদের।

ছাত্রাবস্থায় কেনা ঘড়ি এখনো নতুন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ।
"ছাত্রাবস্থায় কেনা ঘড়ি এখনো নতুন" - না, ছাত্রাবস্থায় কেনা ঘড়িটা এটা নয়; সেটা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেটা একটা হাতঘড়ি ছিল। সেটার কিছুটা ইতিহাস ৮ ও ৯ নং প্রতিমন্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। অনেক শুভকামনা....

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: প্রেম সয়েছে দীর্ঘ পথ.....

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, চমৎকার!
অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ওর শেষ আছে তবে আপনার শেষ নেই। ওর বেঁচে থাকা কোথায় জানা নেই আমার। তবে আপনার বেঁভে থাকা হাজারো মন-মননে।
আপনার সঙ্গ দেয়ায় তাকে ধন্যবাদ :)

কবিতায় প্লাস জানবেন।


আপনার এই সঙ্গি স্মরণ করিয়ে দেয় শঙ্খ ঘোষের সেই পঙক্তিগুলো,
মুখের কথা একলা হয়ে/রইলো পড়ে গলির কোণে/ক্লান্ত আমার মুখোশ শুধু/ঝুলতে থাকে বিজ্ঞাপনে।

আজ চাঁদপুরের সন্তান ভারতীয় কবি বলে পরিচিত শঙ্খ ঘোষের মৃত্যু ঘটলো। ইশ্বর তার স্বর্গের নিশ্চিত করুক।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে আপনার বেঁভে থাকা হাজারো মন-মননে" - এ অনেক আশার কথা শোনালেন, সৈয়দ তাজুল ইসলাম! পাঠকের কাছ থেকে এমন প্রেরণা লেখকের জন্য এক অমূল্য প্রাপ্তি।

কবিতায় প্লাস জানবেন - অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: কবিতার ভাবনা ভালো লেগেছে... সময় আমাদের বেঁধে রেখেছে, সময়ের সাথেই নিরন্তর চলা...

আপনার কবিতার পিঠে একটা কবিতা মনে পড়ল, (আমার জ্ঞান ভান্ডার স্কুল পাঠ্য কবিতাতেই সীমিত)

Time, you old gipsy man
Will you not stay,
Put up your caravan
Just for one day?

কেউ থামেনা কোনদিন, এখানে...

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে বলেছেন, "সময় আমাদের বেঁধে রেখেছে, সময়ের সাথেই নিরন্তর চলা..."

Ralph Hodgson এর এই কবিতাটি থেকে উদ্ধৃতি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

প্রতিবছর রমযান মাসে বোধগম্য কারণে আপনি ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। তার মাঝেও সময় করে এসে আমার এ কবিতাটি পড়ে গেলেন, সুন্দর মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনার সকল ইবাদাতসমূহ, নেক নিয়্যাৎ এবং নেক আমলসমূহ কবুল করে নিন, জাযা খায়ের দান করুন!

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন- সেটা জানতে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ ভাল কথা। আশাকরি মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো আপনার ভাল লেগেছে।

২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩১

সোহানী বলেছেন: একটি কবিতা পড়ে বুঝতে আমার যথেস্ট সময় নেয়। কারন জানা নেই। কবিতার মাঝ পথে হয়তো কোন লাইনের সাথে কিছুর মিল খুঁজে পেলে হারিয়ে যাই সে ভাবনায়। তারপর কি পড়েছি তা ভুলে যাই। আবার শুরু করি। তবে সব কবিতার ক্ষেত্রে এটি হয় না, কিছু কিছু কবিতায় হয়। যেমন এটি পড়ে হয়েছে। তাই মন্তব্যটা মাথায় ঘুরছে বলে আগেই লিখে রাখলাম। অনেকটা স্বগোক্তি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, স্বগতোক্তিমূলক মন্তব্যটি এখানে রেখে যাবার জন্য। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:১৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহ, জীবনোপলব্ধি। জীবনের চরম সত্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় আপনার কবিতা খায়রুল আহসান ভাই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অনেকদিন পরে আমার কোন পোস্টে এত সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....

২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৩৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: দুপুরে রুক্ষ গাছের পাতার
কোমলতাগুলি হারালে-
তোমাকে বকব, ভীষণ বকব
আড়ালে -

৩ বার পড়লাম আপনার কবিতা।
আরো ৫ বার পড়তে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "৩ বার পড়লাম আপনার কবিতা।
আরো ৫ বার পড়তে হবে" - আমি অবাক!

২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৪৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আসলেই তো ! কখনো এভাবে ভাবি নি।
আপনার গাঁটছড়া বাধা চরিত্রটি এগুলে আমাদের কারোই ফিরিবার পথ নাই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার গাঁটছড়া বাধা চরিত্রটি এগুলে আমাদের কারোই ফিরিবার পথ নাই" - জ্বী, আপনি ঠিক বুঝেছেন!
কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতায় বোধ হয় আমি ঠিকমত মনের অনুভূতিটাকে ফোটাতে পারি নি। আর যে কবিতায় কবির বক্তব্যকে ব্যাখ্যা করে পাঠক কে বোঝাতে হয়, সে কোন কবিতাই নয়, এ সত্য তো জানিই। তার পরেও মন্তব্য আকারে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। এখন আরেকটু দিতে হচ্ছে।

এখানে ‘তুমি’ হচ্ছে একটা ঘড়ি। শুরুটা হয়েছে একটি হাত ঘড়ির কথা স্মরণ করে, যা আমি সেই ছাত্রবেলায় কিনেছিলাম, পরে অবশ্য কবিতায় তা সকল ঘড়িকেই বোঝায়। সেদিন দেয়ালে টাংগানো একটি ঘড়ির ‘তৃতীয় হাত’ অর্থাৎ সেকেন্ডের কাঁটার দিকে চোখ পড়তেই এক অন্যরকম ভাবনা ও ভীতি মনকে গ্রাস করে ফেললো। ওটার দৌড়ানোর গতি দেখে মনে হচ্ছিল, ওর গতি যে এত দ্রুত, তা তো কখনো এর আগে খেয়াল করিনি! ও এত দ্রুত গতিতে কোথায় যাচ্ছে? ওর যাওয়া মানে তো আমারও যাওয়া, কারণ ওর সাথে আমার যে গাঁটছড়া বাঁধা! প্রতিটি মুহূর্তে এমনিভাবেই তো আমি একটা সুনির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে ধাবিত হচ্ছি, যেখানে পৌঁছে আমি চিরতরে স্থির হয়ে যাবো, আর ও হয়তো তখনও এগিয়ে যেতে থাকবে। ওর সাথে আমার গাঁটছড়া ছিঁড়ে যাবে!

২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




অন্যরকম অনুভূতির কবিতা ভালো লেগেছে ।
সময় আমাদের বন্ধু যার হাত ধরে পথ চলা,
একইসাথে শত্রু মানে না কোনও শাসন,
যাকে কোনভাবেই কন্ট্রোল করা যায়না ।
একমাত্র সঙ্গী যে জীবনের শুরু থেকে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পাশে থাকে ।

সময় নিয়ে একটি মিষ্টি প্রেমের গান শেয়ার করলাম ।








২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে আপনার ভাবনাগুলোকে এখানে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। গানটা খুব সুন্দর।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....

২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




পড়তে পড়তে কখনও এমন ভাবিনি যে ঘড়ি নিয়ে ঘুরঘুর করেছেন। বরং সবাই যা ভেবেছেন তেমন ভাবনাটাই এসেছিলো।

একসময় মানুষই ঘড়ি আবিস্কার করেছিলো আর আজ সেই ঘড়িই মানুষকে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে!

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ সেই ঘড়িই মানুষকে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে! - একদিন আমরা থেমে যাবো, কিন্তু সে হয়তো চলতেই থাকবে। তার সাথে চলতে চলতে আমরা খেয়ালই করছি না, যে আমরা প্রতি পলে পলে এগিয়ে যাচ্ছি সে থামার স্থানটির দিকে!

কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইউনিক ভাবনা।++ একদিন যে আদেশ করেছে পথ দেখিয়েছে আজ সেই তারি চালচলন হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করছে।তাই সেদিনের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি আজ অনেকাংশে বেদনা ভারাক্রান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। চমৎকার কাব্যে ভালো লাগা।++
পোস্টে লাইক। 25 নম্বরের আপনার নিজের মন্তব্যটি ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা নিয়েন স্যার।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে বস্তুটির উৎপত্তি।
এটি আজও টিকে আছে। এই মূল্যবান বস্তুটির আবিষ্কারক হিসেবে কোন নির্দিষ্ট
ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়না , তবে ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ার হাইজেন্স ১৬৫৭ সালে
সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে মিনিট, সেকেন্ড ও ঘণ্টা নির্দেশকারী উন্নতমানের এই যান্ত্রিক
বস্তুটির নকশা করেছেন বলে জানা যায়।পটুয়াখালীতে এই মহার্ঘটি পাওয়ার সাথে
কোন সুখ স্মৃতি আছে কবির তা কি আর বলতে? প্রাপ্তিটা যে বিশাল সেতো বুঝাই যায়।

সাথে জড়িয়ে থাকা কিংবা ঘরের কোনে থাকা বস্তুটি জানেনা সে অন্যকে কতটা ভাবায়
জানেনা তার দিক নির্দেশনা মেনে না চলা বিহিসেবি লোকজন কতটা ভোগান্তি পোহায় ।
বস্তুটি আবার বেশী দামী হলে অনেকের জন্য বেশ বিরম্বনার কারণো হয় ,সাম্প্রতিক ইতিহাস তা বলে।
তাই বস্তুটির প্রতি শুধু যত্নশীল নয়, হতে হবে শ্রদ্ধাশীল, তা না হলে জীবনের অন্তিম কালেও হবে ভুল।

সত্যিই বিষয়টিকে এমনভাবে ভেবে দেখা হয়নি আগে ।

কবিতায় অনেক অনেক ভাল লাগা+++++

শুভেচ্ছা রইল



২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পটুয়াখালীতে এই মহার্ঘটি পাওয়ার সাথে কোন সুখ স্মৃতি আছে কবির তা কি আর বলতে?" - আসলে নামটা ছিল 'পটুয়াটুলি', বা কেউ কেউ বলতো 'পাটুয়াটুলি' মার্কেট, পটুয়াখালী নয়। শায়মাও আপনার মত ভুল করেছিল! :)

"তাই বস্তুটির প্রতি শুধু যত্নশীল নয়, হতে হবে শ্রদ্ধাশীল, তা না হলে জীবনের অন্তিম কালেও হবে ভুল" - একদম ঠিক কথা!

মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৩০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পাঠে একটু বেখেয়াল হলে যা হয় তাই হয়েছে ।
তাইতো বলি কোথায় রংপুর আর কোথায় পটুয়াখালী ।
দেশের এ প্রান্ত আর সে প্রান্ত !

সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'পাটুয়াটুলি' মার্কেট টি পুরনো ঢাকার সদরঘাটের সন্নিকটে বাঙলাবাজারে অবস্থিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.