নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাভাবিক সৌজন্যের বৈপরীত্য

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৯

অনুকূল ভাবনাঃ

আমাদের জীবনের কিছু অদৃশ্য ছাতার কথা ভেবে গত ০৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে একটা কবিতা লিখেছিলাম। সেটা একটি ইংরেজী কবিতার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল। গতকাল একজন আমেরিকান গল্পলেখক আমাকে জানালেন যে তিনি একটি গল্প লিখছেন, সে গল্পের জন্য তিনি একটি ‘ছাতা’ বিষয়ক কবিতা খুঁজছিলেন। সার্চে তিনি আমার ‘An Invisible Umbrella’ শীর্ষক কবিতাটির সন্ধান পেয়েছেন, যেটা তার গল্পের সাথে সম্পূর্ণ সাযুজ্যপূর্ণ (তার ভাষায়, ‘it fits perfectly into my story’)। তিনি তার গল্পে আমার এ কবিতাটি সংযোজন করার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। তার গল্পের কাঠামোটি অনুধাবন করার জন্য তিনি গল্পের ২৫ টি পৃষ্ঠাও কপি করে পাঠিয়েছেন। ভেবে অবাক হ’লাম, কিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষের ভাবনাগুলো একজনেরটার সাথে অপরজনেরটা বছর বছরান্তর পরে হলেও মিলে যেতে পারে! আর Internet Connectivity এ অনুসন্ধানের কাজটাকে কত সহজ করে দিয়েছে!

ডিজিটাল ব্যস্ততা সত্ত্বেও মানুষ এখনো বই পড়ে, কবিতা পড়ে- বই লেখে, গল্প লেখে, কবিতা প্রবন্ধ ছড়া কথিকা সবই লেখে, এবং পড়েও, কথাটা ভাবতেও কত ভাল লাগে!

আমার সে কবিতাটাঃ

An Invisible Umbrella

She put her small umbrella in the side of her bag,
Folded, flap wrapped and buttoned.
The umbrella's handle protruded out,
As its length was a bit bigger than the bag's.
She left a few inches gap at one side of the zip
To allow for this clearance.

There was no rain forecast, yet she carried the umbrella.
‘Twas, as if, an assurance of security,
Against rain, against sun. She kept the bag beside her seat.
As she gently held the protruding handle,
She gratefully remembered another umbrella of her life;
Her dad, her best friend, who still invisibly hovers overhead.


Dhaka
09 March 2019


সুচতুর ভাবনাঃ

বেশ কিছুদিন আগে আমি ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটা দিয়েছিলামঃ

The family is a source of strength, a treasure we inherit by birth. It’s a wheel that takes us forward; usually the mom being the kingpin of the wheel, dad the driving gear and ‘love’ the driving force.

স্ট্যাটাসটা দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই সেখানে একজন পাঠক তার একটি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গেলেন 'লাভ' চিহ্নের মাধ্যমে। স্ট্যাটাসটা যেহেতু ‘পাবলিক’ করা ছিল, সেহেতু তিনি আমার বন্ধু তালিকায় না থেকেও সেখানে তার ভাল লাগার প্রতিক্রিয়াটি জানাতে পেরেছিলেন। খানিক পরে তার ওয়ালে গিয়ে দেখি আমার পোস্টটাকে তিনি হুবহু কপি-পেস্ট করে সেখানে ঝুলিয়েছেন এবং নিমেষেই তার কিছু গুণমুগ্ধ পাঠকের কাছ থেকে লাইক, লাভ ইত্যাদি প্রতিক্রিয়া এবং ক'টি এ্যাপ্রিশিয়েটিভ মন্তব্যও পেয়েছেন। কারো মন্তব্যের উত্তরে তিনি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন কিন্তু ভুলেও উল্লেখ করেন নাই যে সে কথাগুলোর মূল রচয়িতা তিনি নন। যেহেতু কথাগুলো আমারই ছিল, সেহেতু আমিও সেখানে একটা লাইক দিয়ে মন্তব্য করলাম, ‘আমার পোস্টটাকে আপনি কপি-পেস্ট করে এখানে লিখেছেন, অথচ আমার নামোল্লেখ করেন নি। আমি আপনার প্রতিক্রিয়াসহ আমার পোস্টের স্ক্রীনশট রেখেছি। আপনি যদি অনতিবিলম্বে এখানে মূল রচয়িতার ক্রেডিট কার্টেসী উল্লেখ না করেন, তবে আমি সেটা এখানে পোস্ট করে দিব’। তিনি ঢাকার অনতিদূরে একটি জেলার অধীনস্থ উপজেলা শহরের কলেজে ইংরেজীর প্রভাষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এজন্য তার প্রতি কিছুটা সম্মান দেখিয়ে স্ক্রীনশটটা আমি সরাসরি না পোস্ট করে তাকে একটি সুযোগ দিয়েছিলাম। পরমুহূর্তেই দেখি তিনি আমার মন্তব্যটা মুছে দিয়েছেন এবং ছোট্ট করে এক কথায় আমার নামোল্লেখ করেছেন, কিন্তু নামটা তিনি ট্যাগ করেন নি। ওনার সদিচ্ছা থাকলে উনি আমার সৌজন্যের প্রত্যুত্তরে আমাকে ইনবক্সে ভুল স্বীকার করতে পারতেন। এখন একজন কলেজ প্রভাষকও যদি এমন একটা কাজ করে বসতে পারেন, তবে আমরা আর কার কাছে কী আশা করতে পারি?

ঢাকা
২৫ এপ্রিল ২০২১

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১২

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন।

তারপর ক্যাচাল মন্তব্য!! আমাদের সেই সৈাজন্যবোধটুকু থাকলে আমরা আরো ভালো কোন অবস্থানে থাকতাম। আর শিক্ষক বলে আমাদের মনের মাঝে যে উচ্চাসন আছে তা কেন যেন একটু একটু করে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে চারপাশের নীতিহীন শিক্ষকদেরকে দেখে দেখে।

আর ফেসবুকে এরকম কবিতার কপি পেস্ট খুবই সাধারন কথা। আর আপনার মতো উচ্চ মার্গের কবিতা যে কপি হবে তা খুব স্বাভাবিক। আমার মতো হাবিজাবি লেখাই কপি দেখে দেখে টায়ার্ড। কত রিপোর্ট করেছি কিছুই হয়নি :P । পূর্ণ উদ্যোমে কপি করেই গেছে দিনের পর দিন............

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম পোস্ট, প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম অভিনন্দনের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। +

ব্লগে একসময় বিলিয়ার রহমান নামে একজন ব্লগার ছিলেন, তিনি কিছুকাল বেশ শক্ত কলমে এই কুম্ভীলকদের বিরুদ্ধে কলম চালিয়েছিলেন, ফলও হয়েছিল কিছু। তার পরে আবার পূর্বাবস্থা! দুঃখজনক হলেও সত্য, চৌর্যবৃত্তি আজ আমাদের জাতীয় পরিচয়ে নেমে এসেছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত "প্রাচ্যের অক্সফোর্ড" এর অধ্যাপকদের মধ্যেও কেউ কেউ পিএইচডি থিসিসে কপি পেস্ট করে অন্যের লেখা বা তার কিয়দংশ বিনা ক্রেডিটে জমা দিয়েছেন বলে অভিযুক্ত হয়েছেন, দন্ডিতও হয়েছেন।

বিলিয়ার রহমান মাঝে মাঝে আমার এবং অন্য ব্লগারদেরও কিছু চুরি হওয়া কবিতা অন্য ফেসবুক একাউন্টধারীদের দেয়াল থেকে স্ক্রীনশট নিয়ে ব্লগে প্রকাশ করে আমার মত অসন্দেহপ্রবণ অনেক ব্লগারকেই চমকে দিয়েছিলেন। অনেকে প্রতিবাদও করেছিলেন। সেই প্রতিবাদের জোরে ব্লগের মূল পোস্ট থেকে কপি-পেস্ট এর সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তাতে হয়তো চুরি কিছুটা কমেছে, কিন্তু দৃঢ় প্রতিজ্ঞ চোরদেরকে দমাবে কে?

সবশেষে এটা ভেবেই সান্ত্বনা খুঁজতাম, মূল্যবান জিনিসই চুরি হয়!

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: মানুষ কেন যে সোশাল মিডিয়ায় অন্যায়ভাবে/ অযৌক্তিকভাবে প্রশংসিত হতে চায়!
প্রভাষক ভদ্রলোক কাজটি মোটেও সঠিক করেন নি।

কবিতাটি চমৎকার।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মানুষ কেন যে সোশাল মিডিয়ায় অন্যায়ভাবে/ অযৌক্তিকভাবে প্রশংসিত হতে চায়!" - এ প্রবণতাটা শিক্ষিত মানুষদের মাঝেই বেশি দেখা যায়।

Undeserved credit নিতে সম্মত না হওয়ার মন মানসিকতা সেই ছোট্টবেলা থেকেই পরিবার থেকে গড়ে উঠে। আমার ছয় বছরের নাতনিটাকে যদি কখনো প্রশংসা করি (অনেক সময় স্নেহের আতিশয্যে একটু বেশিই করে ফেলি কিংবা হয়তো বিনা কারণেই করি), তখন সে একটু থেমে ভেবে নেয় প্রশংসাটুকু যথার্থ হয়েছে কিনা। তার কাছে সেটা যথার্থ বিবেচিত হলে জড়িয়ে ধরে ছোট্ট করে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলে। আর তা না হলে আমাকে সংশোধন করে দেয়, এমনকি মাঝে মাঝে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে নাস্তানাবুদ করে দেয়।

কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আমরা জাতিগতভাবেই অনুদার।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আমরা জাতিগতভাবেই অনুদার" - জ্বী, আপন হীনমন্যতা থেকে এ মনোভাবের উদ্ভব হয়ে থাকে।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: Her dad, her best friend, who still invisibly hovers overhead. -- রূপকার্থে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অভিনন্দন একজন বিদেশীকেও কবিতায় প্রভাবিত করার জন্য।

আর যে জাতির শীর্ষ ব্যক্তিরা বড় বড় চৌর্যবৃত্তিকে কোনো অপরাধই মনে করেন না, সেখানে ছোটে ছোটে বিষয়কে তো.....আমাদের এক ব্লগারকে কতদিন বলেছি, অন্যের লেখা কপি করলে তাঁকে ক্রেডিট দিতে হবে। এটি নীতি-নৈতিকতার বিষয়। ছোট অনৈতিক কর্মকান্ড বড়টাকে উৎসাহীত করে। কে শোনে কার কথা? আবার আইরনি হচ্ছে সেইজনই আবার অন্যকে নীতিবাক্য শোনায় প্রতিনিয়ত? এগুলো স্রেফ ভন্ডামী।

আসলে আমাদের নৈতিকতার বীজটাতে পচন ধরেছে এটি বললে মনে হয় ভুল বলা হবে না। রাজনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যপক সংস্কার ছাড়া এ থেকে আশু মুক্তিও নেই এটা নির্দিধায় বলা যায়।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবচেয়ে খারাপ লাগে যেটা, এসব কুম্ভীলকেরা লজ্জা পাওয়া তো দূরের কথা, কাউকে পরোয়াই করে না। আপনি ঠিকই বলেছেন, "আইরনি হচ্ছে সেইজনই আবার অন্যকে নীতিবাক্য শোনায় প্রতিনিয়ত"। দলবল বেঁধে এরা অনেক সময় এসে মূল রচয়িতাকেই মন্দ কথা শুনিয়ে যায়।

প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

মা.হাসান বলেছেন: চোরদের বিরুদ্ধে ব্লগে কিছু বলাটাও ঝুঁকির ব্যাপার। ব্লগে একজন বড় মাপের ব্লগার আছেন যিনি নিয়মিত বিভিন্ন জায়গা থেকে কাট কপি করে পোস্ট দিয়ে থাকেন, কখনোই তথ্যসূত্র উল্লেখ করেন না। ওনাকে একাধিকবার বলা হয়েছে , উনি হাসি দিয়ে এড়িয়ে যান । সম্প্রতি একজন ব্লগার তথ্যসূত্র উল্লেখ করে প্রমাণসহ ওনার চুরির বিষয়টি নিয়ে একটি পোষ্ট দিলে উল্টা অধিকাংশ ব্লগার চুরি কে সাপোর্ট করেন। অধিকাংশ ব্লগারের মন্তব্য এই যে উনিতো জীবনানন্দ দাশের কবিতা নিজের কবিতা বলে চালিয়ে দেন নি, আরেকজন সমালোচক জীবনানন্দ দাশের কাব্যের সমালোচনা করেছেন, সেই সমালোচকের লেখাটা উনি এখানে তুলে ধরেছেন। কাজেই এটা চুরি না।

হতবাক হয়ে শুনি। সমাজে চুরিটাই চল হয়ে গেছে।

এক ব্লগার খোলাখুলি একটি পোস্ট দিয়েছিলেন- বিভিন্ন পাইরেটেড কপি বইয়ের লিংক সহ । আমি পোস্টটি রিপোর্ট করেছিলাম, কিন্তু মডারেটর কোন অ্যাকশন নেয় নি।

আর একজন ব্লগার আছেন অত্যন্ত ভদ্র মার্জিত মানুষ, কোন ক্যাচালে থাকেন না। পোস্টে বোঝা যায় মার্জিত রুচির লোক। কিন্তু উনি একটি ওয়েবসাইট চালান যেখানে বিভিন্ন লেখকের এর বই এর পিডিএফ কপি শেয়ার করে পাইরেসি এনকারেজ করেন। ওনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। এগুলোকে এখন আর ব্লগে কেউ চুরি বলে ভাবে বলে মনে হয় না। চুরির বিষয়ে বগের ব্লগের মডারেশন টিম নিরব। আমরা সাধারন মানুষ , ভুলত্রুটির উর্ধ্বে কেউ না, তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অন্যায় কে এভাবে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত না

কাজী ফাতেমা ছবি আপা একাধিকবার পোস্ট দিয়েছেন ওনার কবিতা চুরির ঘটনা নিয়ে। ফেসবুকে চোরকে নক করলে চোর কমেন্ট মুছে দেয়। ইউটিউবে কেউ চুরি করা ভিডিও আপলোড করলে যদি তা রিপোর্ট করা হয় তবে ইউটিউব একশন নেয় । ফেসবুকে কি এরকম কোনো নিয়ম নেই ?

যেখানে বিসিএস অফিসাররা একজন আরেকজনকে তুইতোকারি করে সেখানে একজন শিক্ষক চুরি করলে আমার এটাতে আশ্চর্য লাগে না । আচ্ছা কেমন হতো, যদি এই কবিতাটা কেউ চুরি করে তার নিজের বলে চালিয়ে দিতো এবং ঐ আমেরিকান লেখক চোরকেই মূল লেখক ভেবে কবিতাটি ব্যবহারের অনুরোধ পাঠাতেন?

ছোটবেলা থেকেই ন্যায় অন্যের বোধটা গড়ে তোলা উচিত। আপনার নাতনির কথা জেনে অত্যন্ত ভালো লাগলো ।

দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর বিলিয়ার রহমান ব্লগে গত ১৭ তারিখে এসেছিলেন , একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; কিন্তু ৫০ জনের কম ভিউ এবং দুটি কমেন্ট নিয়ে পোস্টটি ভিতরের পাতায় হারিয়ে গেছে।

আপনার ছাতা বিষয়ক কবিতাটি চমৎকার লেগেছে। ডঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ সাহেবের ছাতা নামের একটা ছোট গল্প আছে। আপনরা পড়া আছে কি? পড়লে ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।

লেখায় অনেক ভালো লাগা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্দরা সব সময় দলে ভারী হয়ে থাকে। সত্যের পাশেই মানুষ সচরাচর দাঁড়াতে চায় না। তবুও, দিন শেষে সত্যেরই জয় হয়।

"ছোটবেলা থেকেই ন্যায় অন্যের বোধটা গড়ে তোলা উচিত" - এটাই আসল কথা, এভাবেই সমাজটাকে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে, এগিয়ে নেয়া যাবে।

ডঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ সাহেবের ছাতা নামের ছোট গল্পটি বহু আগে পড়েছিলাম, এবং ভালও লেগেছিলো বলে মনে পড়ে, তবে গল্পটি এখন আর মনে করতে পারছি না।

কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ইংরেজীতে রচিত সুন্দর কবিতাটির জন্য রইল অভিনন্দন । আমিরিকান লেখক এই সুন্দর কবিতাটির বিষয়ে
কথা না বললে অনেকে জানতেই পারতনা যে আমাদেরই একজন গুণী কবির কবিতা ফাইভ স্টার রেটিং নিয়ে
রয়েছে বিশ্ব খ্যাত কবিতার প্লাট ফরম পয়েম হান্টারে। আমি অবশ্য এই সুন্দর কবিতাটি দেখেছি সেখানে।

ছাতা এমন একটি বস্তু যাকে মানুষ সচরাচর সাধারণ নজরে অতি তুচ্ছ বলে মনে করে। আবার সেই অতি তুচ্ছ
বস্তুই কোন কোন সময় মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি দ্রব্য বলে পরিগণিত হয়। ছাতা অনেক মানুষের
কাছে অতি তুচ্ছ হলেও সময় বিশেষে অতি প্রয়োজনীয় একটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিগনিত হয় । মানুষের
জীবনে সব সময় ছাতার স্থান তাদের মাথার উপরে।
ছাতা জীবন দিয়ে সব সময় মানুষের সেবায় করে। ছাতা বিষয়ক কথকথা একটি ইউনিভার্সেল বিষয়। অদৃশ্য ছাতা
নিয়ে লেখা কবিতাটি বিশ্ব ভ্রমন করছে দেখে আমরা গর্ব বোধ করছি ।

ছাতার উদ্ভব নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন মত প্রচলিত রয়েছে। কেউ মনে করেন প্রায় ৪০০০ বছর আগে চীন
দেশে ছাতার উৎপত্তি; আবার কেউ মনে করেন প্রাচীন গ্রিক কিংবা মিশরীয় সভ্যতায় ছাতার প্রথম উদ্ভব।
বিশ্বে জায়গাভেদে ছাতার রয়েছে বিভিন্ন রূপ । দিন কয়েক আগে খবরে দেখেছিলাম চীনের একজন উদ্ভাবক
চুয়ান ওয়াং সম্প্রতি একটি কল্পনাপ্রসূত অদৃশ্য এয়ার ছাতা প্রকল্প শুরু করেছে,। পাইপের মতো দেখতে
এই ছাতার মাথায় কোনও ওয়াটারপ্রুফ প্লাস্টিক নেই। তবে হাতে এই পাইপ আকৃতির ছাতা থাকলে, বিন্দুমাত্র
জল পড়েনা গায়ে । এটাও মনে হয় স্বাভাবিক চিন্তাধারার একটি বৈপরীত্য ।

শুভ কামনা রইল

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিনন্দন এর জন্য ধন্যবাদ, কবিতাটি শীঘ্রই একটি গল্পের ফাঁকে একজন বিদেশী গল্পকারের বই এর পাতায় ঠাঁই করে নেবে, এটা ভেবে আমারও বেশ ভাল লাগছে।

চুয়ান ওয়াং নামের একজন চীনা উদ্ভাবকের কল্পনাপ্রসূত অদৃশ্য এয়ার ছাতা প্রকল্পটি নিঃসন্দেহে অভিনব এবং ঔৎসুক্য জাগানিয়া। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর এটা নিশ্চয়ই প্রভূত জনপ্রিয়তা পাবে।

কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: She gratefully remembered another umbrella of her life;
Her dad, her best friend, who still invisibly hovers overhead.
চমৎকার উপলব্ধি !!
অভিনন্দন নিন ভাইয়া, নিজের লেখার এমন দারুণ এক প্রাপ্তির জন্য। হুম নৈতিকতা ব্যাপার টুকু এখন আমাদের জন্য নিজের সুবিধা অনুযায়ী হয়ে গেছে। শৈশব কৈশোরের জ্ঞানের আপডেটেড ভার্সন চলে এসছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ।

নিজের লেখা কবিতাটা হঠাৎ করে কারো গল্প বলার (লেখার) জন্য প্রয়োজন হয়েছে, এটা ভেবে আমিও প্রীত বোধ করেছি নিঃসন্দেহে, এবং তাকে সন্তুষ্ট চিত্তেই সম্মতি জ্ঞাপন করেছি। আমার একটা ক্ষণিকের ভাবনা অন্য আরেকজনের বই এ স্থায়ীভাবে ঠাঁই পেতে যাচ্ছে, এটা ভেবে আমি প্রাণিত।

শৈশব কৈশোরের জ্ঞানের আপডেটেড ভার্সন চলে এসছে - তবে দুঃখজনক যে এ ভার্সনটি ভাইরাস আক্রান্ত।

৮| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের চেয়ে মন্তব্য গুলো বেশী ভালো লাগলো।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট ভাল হলে এমনিতেই অনেক ভাল ভাল মন্তব্য আসে, এবং অনেক সময় সেগুলো পোস্টকেও অতিক্রম করে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.