নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটবেলার স্মৃতিঃ কিছু স্বপ্ন আর সে সময়ের বাজারদর

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২২

আমার ছোটবেলায় দেখা স্বপ্নে প্রায়ই একটা কুকুর আমাকে তাড়া করতো। প্রায়ই হাঁপাতে হাঁপাতে আমার ঘুম ভেঙে যেত। চোখ খুলে যখন দেখতাম বিছানায় শুয়ে আছি, তখন স্বপ্ন সত্য না হওয়ায় স্বস্তি পেতাম। এ ছাড়া স্বপ্নে সাপ খোপও অনেক দেখতাম। স্বপ্নে খুব মজা পেতাম যখন আমি দেখতাম আমি খেলাচ্ছলে মাটি খুঁড়ছি আর অনেক মুদ্রা (কয়েন) পাচ্ছি। মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে প্রচুর মুদ্রা সংগ্রহ করছি। তখনকার দিনে ৬৪ পয়সায় এক টাকা হতো, ৪ পয়সায় এক আনা। কয়েনের মান ছিল আট আনা, চার আনা, দুই আনা, এক আনা, দুই পয়সা এবং এক পয়সার। আমি সাধারণতঃ স্বপ্নে বড় বড় মুদ্রাগুলোই পেতাম, অর্থাৎ ২, ৪ আর ৮ আনার। আইয়ুব খানের আমলে সম্ভবতঃ ১৯৬৪ সালের দিকে, বা তার কিছু আগে পরে কয়েনের মানে দশমিক ধারা চালু করা হয় এবং ৪ পয়সার স্থলে ৬ পয়সায় এক আনা, ১৬ পয়সার স্থলে ২৫ পয়সায় চার আনা এবং ৬৪ পয়সার স্থলে ১০০ পয়সায় এক টাকা সাব্যস্ত করা হয়। ঘুম ভেঙে যখন দেখতাম বিছানায় শুয়ে আছি, তখন স্বপ্নভঙ্গে নিরাশ হতাম, স্বপ্নে সঞ্চিত মুদ্রাগুলো না পাওয়ায় হর্ষোৎফুল্ল মনটা খারাপ হয়ে যেত। আমাদের সময় কাগজের নোট (এক, পাঁচ বা দশ টাকার) খুব ক্বচিৎ আমাদের বয়সের ছেলেমেয়েদের হাতে আসতো। আর এখনকার মত দুই টাকার কোন নোট তখন ছিল না। কয়েন দিয়েই স্কুলের টিফিন সারা যেত; দু'আনাই যথেষ্ট ছিল, এক আনাতেও কিছু না কিছু পাওয়া যেত। সে সময়ের কয়েনের মূল্য বুঝার জন্য তৎকালীন বাজারমূল্যের একটা ধারণা দিচ্ছিঃ

আমি যখন বাজার করতাম, তখন এই ঢাকার বাজারেই পাঁচ সিকে (এক টাকা পঁচিশ পয়সা) দিয়ে একটা বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যেত । ওজন এক সেরের (কেজি এর কাছাকাছি প্রায়) নীচে হলে এক টাকাতেই পাওয়া যেত। গরুর গোস্ত ছিল দুই টাকা সের, খাসীর তিন টাকা। চাল এর সের ছিল দশ আনা (বাষট্টি পয়সা), একটু নিম্ন মানের চাল হলে আট আনাতেও (পঞ্চাশ পয়সা) পাওয়া যেত। বাড়ী থেকে আমাদের বর্গাদাররা আব্বাকে চিঠি লিখে জানাতো, হাটে তারা আউশ ধান ১২/১৪ টাকা মণ দরে বিক্রী করেছে, আমন ধান ১৫/১৬ টাকা মণ দরে। ধানের এ দরটা ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল বলে মনে পড়ে।

ভাবতে পারেন, আজকে মাত্র একটি ইউএস ডলার ভাঙিয়ে আমরা যে পরিমাণ টাকা পাবো, তখন তা দিয়ে ৪৩ কেজি বীফ কিংবা ১৩৮ কেজি চাল কিনতে পারতাম?

এ লেখাটা পড়ে অনেকের ইতিহাসে পড়া সেই শেরশাহী আমলের কথাও মনে জাগতে পারে!

ঢাকা
২৬ মে ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ৩৬৭


মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতি কথা। অনেক কিছু জানলাম। বিশেষ করে টাকা আর আনার হিসাব। এ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে হত কিন্তু কি করে জানা যায় অতটা ভাবিনি।

শুভকামনা রইল।
ভালো থাকুন সবসময়।

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: হিসেবটা ছিল এরকমঃ
১৯৬৪ বা ১৯৬২ সালের আগেঃ (সঠিক সালটা মনে নেই)
৪ পয়সায় ১ আনা
৮ পয়সায় ২ আনা
১২ পয়সায় ৩ আনা
১৬ পয়সায় ৪ আনা
এভাবেই,
৩২ পয়সায় ৮ আনা
৪৮ পয়সায় ১২ আনা
৬৪ পয়সায় ১৬ আনা = এক টাকা।

১৯৬৪ বা ১৯৬২ সালের পরেঃ (সঠিক সালটা মনে নেই)
৬ পয়সায় ১ আনা
১২ পয়সায় ২ আনা
১৮ পয়সায় ৩ আনা
২৫ পয়সায় ৪ আনা (এক পয়সা অতিরিক্ত যোগে)
৩১ পয়সায় ৫ আনা
৩৭ পয়সায় ৬ আনা
৪২ পয়সায় ৭ আনা
৫০ পয়সায় ৮ আনা (দুই পয়সা অতিরিক্ত যোগে)
এভাবেই,
৭৫ পয়সায় ১২ আনা
১০০ পয়সায় ১৬ আনা = এক টাকা।

২| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: এরকম স্মৃতি কথা,তৎকালীন জীবনযাপনের নানা দিক নিয়ে আরো কিছু পোস্ট আশা করছি প্রিয় ব্লগার।

অনেক অনেক শ্রদ্ধা সহ শুভেচ্ছা রইলো।

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি তো মাঝে মাঝেই টুকটাক স্মৃতি কথা, দিনলিপি ইত্যাদি লিখে থাকি। ব্লগ লেখা যখন শুরু করেছিলাম, তখন আমার কথা শিরোনামে ৩১ পর্বের একটা সিরিজ লিখেছিলাম।

এ পোস্টটিকে আপনি "প্রিয়" তে তুলে নিয়েছেন, সেজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৩| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এই ধরণের একটা পোস্ট অনেক আগে দিয়েছিলাম। কত কম পয়সায় আইসক্রিম খেয়েছেন - প্রাইমারি স্কুলের সৃতি । আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বাজারে ১ পয়সা ছিল কিন্তু কিছু কেনা যেত না। ১৯৭৭-৭৮ সালের দিকের কথা বলছি। চার আনা, আট আনা স্কুলের টিফিনের জন্য যথেষ্ট ছিল। ডিমের হালি ৩ টাকা দেখেছি। আইসক্রিম ছিল ৫ পয়সার, ১০ পয়সার, ২৫ পয়সার। এক টাকার আইসক্রিম অনেক ভালো মানের ছিল। আমার আব্বার সাথে মফস্বলের বাজারে গিয়ে ১০ টাকায় বাজার শেষ করতে দেখেছি। লাউয়ের দাম ছিল ১ টাকা। আপনি আমার অনেক সিনিয়ার তাই স্বাভাবিক ভাবেই আপনাদের সময় জিনিসের দাম আরও কম ছিল। ৬৪ পয়সায় এক টাকা সম্পর্কে আমার অস্পষ্ট ধারণা ছিল। আপনার লেখা পড়ার পর এখন বিষয়টা পরিষ্কার। আপনার স্বপ্নের বিষয়বস্তু বেশ মজার। নস্টালজিক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্টটা লিঙ্ক ধরে পড়ে এলাম, সেখানে দুটো মন্তব্যও রেখে এসেছি। লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমাদেরর সময় স্কুল টিফিনের জন্য দু'আনাই যথেষ্ট ছিল, এক আনাতেও চলতো। মফস্বলের বাজারে দশ টাকার বাজার অনেক বড় বাজার ছিল।

"আপনার লেখা পড়ার পর এখন বিষয়টা পরিষ্কার" - ১ নং প্রতিমন্তব্য পড়লে হয়তো বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ দৈনিক জমিতে কাজ করে কত পেতেন, কত মাস কাজ থাকতো?

২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেই সময়ে গ্রামের দিনমজুরদেরকে কৃষিকাজ এবং গেরস্থালী কাজের জন্য দু'বেলা পেট পুড়ে খাইয়ে দিয়ে হাতে খুব যৎসামান্যই দেয়া হতো, তবে ঠিক কত দেয়া হতো, সে সম্পর্কে এখন কোন স্পষ্ট ধারণা মনে আসছে না। তবে অনুমান করি, যা দেয়া হতো তা দিয়ে বড় জোর কয়েক সের চাল কেনা যেত।

কার্তিক মাসের মঙ্গার সময় গেরস্থ এবং দিনমজুর, উভয়েই অর্থ ও খাদ্য সংকটে থাকতো। বাকিটা বছর মোটামুটি খেয়ে পরে থাকতো।

৫| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: শৈশবের খুব সুন্দর স্মৃতিচারণ করলেন। সেসময় টাকার বিচারে পণ্য অনেক সুলভ ছিল। আমাদের কাছে তো স্বপ্নই মনে হয়। কিন্তু এটাও সত্য যে সেসময় মানুষের অনেক অভাব অনটন ও ছিল। অবস্থাপন্ন মানুষের সংখ্যাও কম ছিল।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার তিনটে পর্যবেক্ষণই সঠিক।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৫

মৌরি হক দোলা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। বাবার কাছে থেকে এর কিছু কিছু গল্প শুনেছি।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সম্ভবতঃ আমার কোন পোস্টে এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত হ'লাম।

৭| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হিসেবটা ছিল এরকমঃ
৪ পয়সায় ১ আনা
৮ পয়সায় ২ আনা
১২ পয়সায় ৩ আনা
১৬ পয়সায় ৪ আনা
এভাবেই,
৩২ পয়সায় ৮ আনা
৪৮ পয়সায় ১২ আনা
৬৪ পয়সায় ১৬ আনা = এক টাকা।

১৯৬৪ বা ১৯৬২ সালের পরেঃ (সঠিক সালটা মনে নেই)
৬ পয়সায় ১ আনা
১২ পয়সায় ২ আনা
১৮ পয়সায় ৩ আনা
২৫ পয়সায় ৪ আনা (এক পয়সা অতিরিক্ত যোগে)
৩১ পয়সায় ৫ আনা
৩৭ পয়সায় ৬ আনা
৪২ পয়সায় ৭ আনা
৫০ পয়সায় ৮ আনা (দুই পয়সা অতিরিক্ত যোগে)
এভাবেই,
৭৫ পয়সায় ১২ আনা
১০০ পয়সায় ১৬ আনা = এক টাকা।


হিসাব সঠিক আছে।
৬৮-৬৯ এ কেরোসিন তৈলের দর ছিলো ৫ আনা ৬ আনা সের (প্রায় এক লিটার সম পরিমান) আর সরিষার তৈলের দর ছিলো ৭ আনা ৮ আনা সের।

চাঁদগাজী ভাই বলেছেন: মানুষ দৈনিক জমিতে কাজ করে কত পেতেন, কত মাস কাজ থাকতো? ৬৮-৬৯ এ মানুষ দৈনিক ক্ষেতে খামারে কাজ করে ৮-১০ টাকা পেতেন। মানবেতর জীবন যাপন করেছেন বাংলাদেশের মানুষ। বর্ষা সিজনে মানুষের কোনো কাজ থাকতো না। গ্রাম অঞ্চলে প্রায় প্রতিটি পরিবারে পুকুর ডোবা, খাল বিল নদী থেকে টুকটাক মাছ ধরতেন ঘরে রান্নার জন্য, তাই মাছ ধরে বিক্রি করে টাকা উপার্জন কঠিন কাজ ছিলো।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ব্লগে খায়রুল আহসান ভাই, আহমেদ জী এস ভাই, ড এম এ আলী ভাই, চাঁদগাজী ভাই সহ আমি ঠাকুরমাহমুদ (এছাড়া ব্লগে সমবয়সি ও কাছাকাছি বয়সের আর কোনো ব্লগার আছেন কিনা আমার সঠিক জানা নেই) আমার ধারণা আমরা চাইলে ৬০ এর দশক আর ৭০ এর দশকের বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল ও খাদ্যশষ্য ফলন, বাজার দর ও মানুষের জীবনযাপন জীবিকা নিয়ে লিখতে পারি। (অবশ্যই রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে আলোচনা বাদে যদি লেখাগুলো হয়)

খায়রুল আহসান ভাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছি এমন একটি সময়ের কথা তুলে ধরেছেন যখন বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট করেছেন, থাকার কষ্ট, খাওয়ার কষ্ট, কাপড়ের কষ্ট। বলে শেষ করা যাবে সে সব কষ্টের দিনের কথা।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "হিসাব সঠিক আছে" - ধন্যবাদ, এ সনদপত্রের জন্য।

"৬৮-৬৯ এ মানুষ দৈনিক ক্ষেতে খামারে কাজ করে ৮-১০ টাকা পেতেন" - আমার মনে হয়, ঐ সময়ে আমাদের এলাকায় ক্ষেতমজুরেরা এত টাকা পেত না। ওদেরকে দুই বেলা পেটচুক্তি খাবার দেওয়া হতো, দিনশেষে দু'চার টাকা কিংবা সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়া হতো। পাঁচ টাকা দিয়ে ঐ সময়ে আট সের চাল পাওয়া যেত।

আপনার প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

৮| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সেই যুগ আমি পাই নি। তখন জনসংখ্যা হয়তো ৬ কোটি ছিলো।

আমি পেয়েছি ১৫ টাকা কেজি পাইজাম চাল।
৬০ টাকা কেজি গরুর মাংস।
৮০/৯০ টাকা দিয়ে একটা দেশী মূরগী পেয়েছি।
একটা বাটারবন পেয়েছি দুই টাকা।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "৬০ টাকা কেজি গরুর মাংস"- সে তো অনেক পরের কথা! ২টাকা থেকে ৬০ টাকায় উঠতে তো নিশ্চয়ই অনেক সময় লেগেছিল!

৯| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ২:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমি ছোটবেলা থেকেই বাজার করতাম।আমাদের বাজারে গরু বা খাশির মাংস বিক্রি হতে দেখিনি।এসব কিনতে হলে দুরে গঞ্জের হাটে যেতে হতো।এটা সম্ভবত ৫৫/৫৬ সালের দিকের কথা।

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৫৫/৫৬ সালে আপনি বাজার করতেন? আমি তখন হয়তো হামাগুড়ি দিতাম।
আপনাদের বাড়ীও কাছের বাজারটি কোন এলাকায় ছিল, এবং দূরের গঞ্জের হাটগুলো?
লেখাটি পড়ে আপনি নিজের কিছু কথা শেয়ার করলেন বলে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১০| ২৭ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যে দিন গেছে সেইদিন কী আর ফিরিয়ে আনা যায়

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: না, যায় না। তবে সেসব দিনের কথা মনে করে স্মৃতি তর্পণ করা যায়।

১১| ২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতি কথন। পঁচিশ পয়সা দিয়ে আইসক্রিম খাওয়ার যোগ পেয়েছি আমি। পাঁচ দশ পয়সা ভিক্ষা দিতাম ফকিরদের।

মনে হয় অইতো সেদিন। দেখতে দেখতে যুগ পাল্টে গেলো। আমি জবে জয়েন করেছিলাম মাত্র ১৮৭৫/- স্কেলে অথচ আজ তা অনেক :) এই স্কেলও বিলুপ্ত

২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি জবে জয়েন করেছিলাম মাত্র ১৮৭৫/- স্কেলে অথচ আজ তা অনেক :) এই স্কেলও বিলুপ্ত" - একজন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার হিসেবে আমার প্রথম বেতন সর্বসাকুল্যে ছিল (বাড়ীভাড়া ব্যতীত) টাকা ৭৮৭.৫০ (টাকা সাতশত সাতাশি এবং পয়সা পঞ্চাশ মাত্র)। উল্লেখ্য, পঞ্চাশ পয়সার তখনো কিছুটা মূল্য ছিল।

১২| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: এরকম পোস্ট গতানুগতিক ধারার বাইরের ইতিহাসকে জানার সুযোগ করে দেয়। লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, পোস্টটা পড়ে এখানে একটি সুন্দর মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

১৩| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:

চমৎকার স্মৃতিকথা।

পুরনো দিনের অনেক কথা মনে পরে গেল।

শুভকামনা।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিকথা পড়ে আপনার পুরনো দিনের অনেক কথা মনে গেছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্য সেই সময়ের লোকেরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা টেলিফোন, মোবাইল, বিদ্যুৎ, কম্পিউটার, ইন্টারনেট পায়নি।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অবশ্য সেই সময়ের লোকেরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছে" - তা তো অবশ্যই হয়েছে। সময় সততঃ অগ্রসরমান। সময়ের গতির সাথে মানুষের জীবনের গতি ও প্রাপ্তি তাল মেলাতে পারে না। এক সময় মানুষ পেছনে পড়ে যায়।

১৫| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

মোঃমোজাম হক বলেছেন: পাঁচ সিকে বা চার আনা,দশ আনার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
স্বাধীনতার পর ছয়য়ানা সের দরে দুধ কিনেছি হালকা মনে আছে।
আপনাকে ধন্যবাদ

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্বাধীনতার পর ছয়য়ানা সের দরে দুধ কিনেছি হালকা মনে আছে - এ কথাটা আমাকেও স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের গ্রাম এলাকার হাটগুলোতে দুধের সের ছিল চার আনা করে। স্বাধীনতার পর তা বেড়ে প্রথমে পাঁচ আনা হয়, দুয়েক বছর পর তা বেড়ে ছয় আনা সের হয়।

১৬| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২২

জুন বলেছেন: আমিও পড়তে পড়তে শায়েস্তা খাঁর কথা ভাবছিলাম। দেখি নীচে আপনি লিখেছেন।
আসলেই এখন ৫০০ টাকার নোটেরও কোন মূল্য নেই। সব কিছু এখন স্বপ্নের মত লাগে শুনতে।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখনকার ৫০০ টাকার নোটের মূল্য তখনকার তুলনায় দশ বিশ টাকার সমান হবে হয়তো বা।
সব কিছু এখন স্বপ্নের মত লাগে শুনতে - আমার নিজের কাছেই তো স্বপ্নের মত মনে হয়। ছেলে বৌদেরকে বললে তারা কতটা বিশ্বাস করে জানিনা। এমন কি ব্লগে লেখার সময়ও ভয় হচ্ছিল মানুষ এটাকে বিশ্বাস করবে কিনা। অবশ্য বিশ্বাস না করলেও করার কিছু নেই। সবই তো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি।

পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

১৭| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! আপনার লেখায় সময় কে বেঁধেছেন।

২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার লেখায় সময় কে বেঁধেছেন" - স্মৃতি থেকে কিছুটা তুলে ধরেছি মাত্র। এক সময় বুড়োদের কাছ থেকে তাদের সময়ের কথা শুনে আজগুবি মনে হতো। এখন মনে হচ্ছে, আমাদের নাতি নাতনিদের কাছেও এক সময় এসব কথা অবিশ্বাস্য মনে হবে।

১৮| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪১

মা.হাসান বলেছেন: আমার মায়ের কাছে শুনেছি- ২৫ পয়সায় চার আনা চালু হবার পর ২৫ পয়সাকে ভাঙিয়ে ৪ x ৬= ২৪ পয়সায় চার আনা করা যেত, আর এক পয়সা পাড়তি থাকতো। বাচ্চাদের জন্য এটা বিশাল ব্যাপার ছিলো।

সত্তরের দশকে আমি টাকায় দশটা পিয়াজু খেয়েছি। সত্তরের শেষে বা আশির শুরুতে পোস্ট কার্ডের দাম দশ পয়সা দেখেছি, খাম মনে হয় ২৫ পয়সা ছিলো। যে হজমি আপনি এক পয়সায় খেয়েছেন তার দাম বেড়ে হয়েছে পাঁচ পয়সা। ২৫ পয়সায় সিঙাড়া খেয়েছি, আশির দশকের শুরুতে। এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ও ৫০ পয়সা সের লবন ছিলো। দুধের দাম একটু বেশিই ছিলো। শহরে ৩ টাকা সের, গ্রামে দু টাকা সের। আমি নিজে পাঁচ টাকা -ছ টাকা সের গরুর মাংস কিনেছি। আশির দশকের শুরুর দিকে আমি বাসার বাজার করতাম। বেশিরভাগ দিন সকালে পাঁচ টাকা নিয়ে বের হতাম। মাছ কিনতে হলে হয়তো আরো দু টাকা বেশি লাগতো। এর মাঝে থেকেই কিছু পয়সা চুরি করা যেতো।

জীবন কঠিন ছিলো। ঐ দরেই মাস চালাতে মায়ের বেশ কষ্ট হতো। মুরগি ঘরেই ছিলো। কখনো সখনো শুক্রবার গরুর মাংস আসতো। মাছ বলতে ছোটো মাছ। হঠাৎ কখনো বড় মাছ আসতো- ভাগ হিসেবে বিক্রি হতো। এক ভাগায় এক পোয়া থেকে আধা সের থাকতো। চাল আসতো রেশনের দোকান থেকে। চিনি আর তেলও সম্ভবত রেশন থেকেই নিতাম। নিজেদের গরুর গোবর দিয়ে ঘুটে বানিয়ে জ্বালানি করা হতো। তবে এটা পরিমানে যথেষ্ট ছিলো না। এর বাইরেও ঘুটে কেনা হতো। কাঠের চেয়ে কাঠের গুড়া শস্তা বলে সেটাও কেনা হতো। জ্বালানি কাঠও কেনা হতো, সের দরে। সম্ভবত দুটাকা মতো সের ছিলো। এটা বেশ দামি বলে যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করার চেষ্টা ছিলো।

ড্রব্য মূল্য কম হওয়া কতটুকু ভালো তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এই লেখায় শায়েস্তা খার আমল সম্পর্কে কিছু লিখেছিলাম- ইবনে বতুতার বাঙলা, শায়েস্তা খাঁ ও ঢাকা পশ্চিম গেট

আপনার লেখায় অনেক অতীত কথা মনে পড়ে গেলো।

২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট কার্ডের দাম দশ পয়সা দেখেছি, খাম মনে হয় ২৫ পয়সা ছিলো - যতদূর মনে পড়ে, ষাটের শুরুর দিকে আমি ফুটো পয়সার (এক পয়সার) পোস্ট কার্ড এবং দুই পয়সার খাম দেখেছি। স্মৃতি থেকে লিখছি, কিছুটা তারতম্য হতে পারে। তবে হলেও, সেটা দুই পয়সার পোস্ট কার্ড এবং এক আনার (চার পয়সার) খাম হবে, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।

জ্বালানি কাঠ আমরা দু'টাকায় পাঁচ সের দরে কিনতাম। বর্তমানের কমলাপুর স্টেশনটা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার একটু পূর্ব পার্শ্বেই সুন্দরী কাঠবাহী বড় বড় নৌকো এসে ভিড়তো। বেদে-বেদেনীদের ছোট নৌকোও ভিড়তো। ওড়া বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাঠের অর্ডার নিয়ে যেত, পরে ওদের পুরুষেরা মাথায় কাঠ এনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিত। বেদেনীরা বাতের ব্যথার জন্য শিঙ্গা লাগাতো, গান গেয়ে গেয়ে দাঁতের ও কানের পোকা বের করতো (মিথ্যামিথ্যি, প্রতারণামূলক ব্যবসা)।

তখনো ঢাকায় গ্যাস আসেনি। এক ধরনের "ভূষির চুলা" ব্যবহার করা হতো। স' মিল থেকে কাঠের ভুষি সস্তায় কিনে এনে তাতে ব্যবহার করা হতো।

১৯| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: গতকালকে জন্মদিনের দিন ভাবতেছিলাম আমি কত বুড়ো হয়ে গেছি কিন্তু আপনার পোস্ট মনে হচ্ছে, নাহ, আমি এখনও এতো বয়স্ক হয় নি ।

আমার মনে আছে, তখন এক পয়সা কাজে দিতো না । তবে ৫/১০ পয়সা পর্যন্ত ফকিরে নিতো । ৪০ টাকা কেজি গরুর মাংস কিনতে দেখেছি বাবাকে ।

২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "গতকালকে জন্মদিনের দিন ভাবতেছিলাম আমি কত বুড়ো হয়ে গেছি" - এখনই কেন বুড়ো হতে যাবেন? আপনার বাবাও তো এখনো বুড়ো হন নি।

জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম। এখনো ততটা বাসি হয়ে যায়নি বোধহয়। :)

২০| ২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




উও দিন গুজার গ্যায়ে...................

আমরাও এক আনা ( ৪ পয়সা ) দিয়ে বাদাম কিনে দুজনে খেতে পারতুম অনেকক্ষন। আর বরিশালের মানুষ বলে বর্ষাকালে কমপক্ষে দেড় কেজি সাইজের ১ হালি ইলিশ কিনতে পারতুম ২ টাকায়। সে সময়ে পাড়া মহল্লার ঘরবাড়ী রাস্তা ঘাট মৌ মৌ করতো ইলিশ ভাজা ও কাঠালের গন্ধে। বর্ষাকালে দিনের পর দিন এই গন্ধও এক সময় বিরক্তির কারন হয়ে উঠতো।
২ পয়সা দিয়ে একহাতের তালু বোঝাই বাঘার মা'য়ের চালতের আচার, ২ পয়সা বা ১ আনা দিয়ে ( ২ পয়সার বেশী ফুটানী করার সাহস বা সামর্থ্য অনেকেরই ছিলোনা। ) মুনসীর কুলফি মালাই খেলে পেট ভরে গেছে এমন মনে হতো।
গরুর মাংশ আমি কিনেছি দেড় টাকা (১টাকা পঞ্চাশ পয়সা) সের। চিংড়ি মাছের ভাগ ছিলো সব্বোর্চ্য ২ আনা । ২ ভাগ কিনলে ৩ আনায় পাওয়া যেত।
আমার মনে আছে, আমার স্কলারশীপের টাকা দিয়ে আমাদের দোতালা বাসার পুরোটাতেই (৮ টি কক্ষ) ৩১২ টাকায় ইলেকট্রিফিকেশান (বৈদ্যুতিক তার, হোল্ডার, সুইচ, বাল্ব, কাজের মজুরী ইত্যাদি সহ মিটার আনা বাবদ ) করিয়েছিলুম। টাকার অংকটা আজো মনে আছে, ভুলিনি। নিজের টাকা বলেই হয়তো।

এমন শায়েস্তা খা' আমলেও জীবন কিন্তু সহজ ছিলোনা, ছিলো দারিদ্রময়।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৮:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১। কমপক্ষে দেড় কেজি সাইজের ১ হালি ইলিশ কিনতে পারতুম ২ টাকায়।
২। গরুর মাংশ আমি কিনেছি দেড় টাকা (১টাকা পঞ্চাশ পয়সা) সের।
- এ দুটো পয়েন্ট দিয়েই বোঝা যাচ্ছে যে আপনি আমার চেয়েও সস্তায় বাজার হাট করেছেন। আর,
৩। আমাদের দোতালা বাসার পুরোটাতেই (৮ টি কক্ষ) ৩১২ টাকায় ইলেকট্রিফিকেশান (বৈদ্যুতিক তার, হোল্ডার, সুইচ, বাল্ব, কাজের মজুরী ইত্যাদি সহ মিটার আনা বাবদ ) করিয়েছিলুম। - এটা তো রীতিমত অবিশ্বাস্য! কক্ষ প্রতি খরচ পড়েছে ৪০ টাকারও কম!

"এমন শায়েস্তা খা' আমলেও জীবন কিন্তু সহজ ছিলোনা, ছিলো দারিদ্রময়" - তা বটে! মানুষের আয়ের অঙ্কটাও ছিল নিতান্তই কম। আর সে সময়টাতে তো ফটকাবাজি আয় এর তেমন কোন উৎসও ছিল না, প্রচলনও ছিল না।

২১| ৩০ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:৩১

সোহানী বলেছেন: আর বলেন না রে ভাই। দেশে টাকার মান যা দেখছি তাতেতো মনে হয় সেই গল্পের মতো এক গরু গাড়ি বোঝাই টাকা নিয়ে এক থলে বাজার নিয়ে আসার অবস্থা।

স্বপ্নে টাকা পয়সা দেখলে ধনী হওয়া যায়। এটা আমার মামার কথা। কিন্তু অনেক চেস্টা করেও এ পর্যন্ত স্বপ্নে টাকা পয়সা দেখলাম না তাই ধনীও হতে পালাম না :((

ভালো লাগলো টাকা পয়সা হিসাব আর বাজার দরের স্মৃতিকথা।

৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটায় মোটা দাগে দুটো প্রসঙ্গ আছেঃ শৈশবকালে দেখা আমার কিছু স্বপ্নের কথা, আর যে বয়সে আমি বাজার করা শুরু করেছিলাম, সে সময়ের কিছু বাজার মূল্যের কথা, যা এখন স্বপ্নের মত মনে হবে।

"স্বপ্নে টাকা পয়সা দেখলে ধনী হওয়া যায়"- আপনাকে একটা স্পেশাল থ্যাঙ্কস দিচ্ছি, শুধু আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকুর জন্য। কি বলেছেন এ কথাটিতে তার জন্য নয়, পোস্টে আমি যে শৈশবকালে দেখা আমার কিছু স্বপ্নের কথাও বলেছি, সে কথাগুলো যে আপনার মনযোগ এড়িয়ে যায় নি, তার জন্য। ২১ জন মন্তব্যকারীর মধ্যে আপনিই প্রথম (এবং সম্ভবতঃ শেষও), যিনি আমার বলা স্বপ্নগুলোর কথা খেয়াল করেছেন, এবং সে প্রসঙ্গে কিছু কথাও বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ, আপনার এ মনযোগটুকুর জন্য।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

২২| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা....... স্পেশাল থ্যাঙ্কস এর কিছু নেই। সবার ফোকাস কিন্তু সমান নয়। তবে বেশীর ভাগ রিডারই শেষ অংশে বেশী মনোযোগ দেয়। এটা আমার কথা নয়, রিসার্স। আমিও হয়তো এর বাইরে নই তবে যেকোন লিখাই আমি অনুধাবনের চেস্টা করি। আর নিজের অজান্তেই নিজের অভিজ্ঞতার সাথে মেলাতে চেস্টা করি। হয়তো সে কারনে প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যাই নি। ;)

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সবার ফোকাস কিন্তু সমান নয়" - তা ঠিক। সেজন্যেই তো স্পেশাল থ্যাঙ্কস! :)

২৩| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ নাকি স্মৃতিমেদুরতা বলবো বুঝতে পারছি না। অনেক পুরানো কথা তুলে ধরেছেন। আপনার স্বপ্নে মুদ্রা পাওয়ার বিষয়টি বেশ আকর্ষণীয় লাগলো। সেইসঙ্গে আমরা হারিয়ে যাওয়া একটা হিসেব পদ্ধতি সম্পর্কে পরিচিত হলাম। উল্লেখ্য আগে এসবের নাম শুনলেও কোন স্পষ্ট ধারনা অর্জনের সুযোগ হয়নি।সেদাক থেকে আজকের পোস্টটি ইউনিক লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।‌
প্রথম কমেন্টের প্রতিমন্তব্য ও সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের সঙ্গে ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়ের কমেন্টগুলো ভালো হয়েছে।

শুভেচ্ছা জানবেন স্যার।

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
এটাকে স্মৃতিমেদুরতাই বলতে পারেন।

২৪| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:১২

ঢুকিচেপা বলেছেন: ছোটবেলায় যখন এক পয়সা, কানা পয়সার গল্প শুনতাম তখন মনে হতো রূপকথার গল্প। এখন যখন আমাদের ছোটবেলার গল্প ছোটদের কাছে করি তখন ওরা ভাবে রূপকথার গল্প।
বগুড়ার করতোয়া নদীতে নাকি বড় বড় পাল তোলা নৌকা যেত যেটা এখনো বিশ্বাস করতে পারি না কিন্তু সত্যি ঘটনা।
আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ভাল লাগলো, এরকম আরো লেখা পড়তে চাই।

১৩ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব 'রূপকথার গল্প' চলে আসছে যুগ যুগ ধরে, বুড়োবুড়িদের মুখে মুখে।

"বগুড়ার করতোয়া নদীতে নাকি বড় বড় পাল তোলা নৌকা যেত যেটা এখনো বিশ্বাস করতে পারি না কিন্তু সত্যি ঘটনা"- অবশ্যই এটা সত্যি। করতোয়া এক সময় খুবই খরস্রোতা একটা নদী ছিল। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা হয়ে একটা অংশ প্রবাহিত হয়ে গেছে যমুনেশ্বরী নাম ধারণ করে, অপর অংশটি খানসামা হতে আত্রাই নাম ধারণ করে রাজশাহী বিভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

কেউ কি এখন ভাবতে পারবে যে এখন যেখানে ঢাকার 'হোটেল সোনারগাঁও' অবস্থিত, সেখানেও এক সময় বড় বড় নৌকো ভিড়তো?

২৫| ১৪ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: ছোটবেলায় ১টাকায় ৪টি নাবিস্কোর লজেন্স পাওয়া যেতো। তারপর আরেকটু বড় হলে বিকেলে আব্বা ২টাকা দিতেন, এক টাকার আমি বাদাম বুট খাবো আরেক টাকার ভাইয়া খাবে। এসব এখনকার বাচ্চারা শুনলেই হাসবে আর আপনার এই স্মৃতি শুনলে তারা ভাববে রূপকথার গল্প বলা হচ্ছে! ভালো লাগল আপনার ছোটবেলার স্মৃতিচারন পড়ে।

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমার এ পোস্টে আসার জন্য এবং সেই সাথে নিজের শৈশবকালের কিছু স্মৃতিকথা উল্লেখ করার জন্য।
এখন মাত্র ১০০ গ্রাম খোসাসহ বাদামের দাম ২৫ টাকা!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
ভাল থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে। শুভকামনা....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.