নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির জোয়ারে ভাসা (১)

২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৪২


বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী আমার ছোটভাই চপলের লাগানো গাছ গাছালি....

(করোনার কারণে এখন ঘরের বাইরে মোটেই বের হওয়া হয় না। আজ একদিনের সফরে রংপুর থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি বেরিয়ে এলাম। যাওয়া আসার পথে দেখা কিছু দৃশ্য, ঘটনা এবং কিছু পুরাতন স্মৃতি নিয়ে তিন চারটি পর্বে একটা স্মৃতিচারণমূলক লেখা প্রকাশের ইচ্ছে আছে। এটা একটা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জী, পারিবারিক বলয়ের বাইরে কারও এসব ঘটনা ও স্মৃতির প্রতি আগ্রহ থাকার কথা নয়। তবে এসব স্মৃতিচারণে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া অতীতের কিছু কথা থাকবে, যা আজকের প্রজন্মের কোন পাঠকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।)

আজ দশ দিন হয়ে গেল আমি রংপুরে। আম্মার অবস্থা মনে হয় কখনো একটু ভালো, কখনো অপরিবর্তিত। গত শুক্রবারে আমার ছোট ভাই উৎপলের (যার বাসায় আম্মা থাকেন এবং আমিও এখন অবস্থান করছি) আমাদের গ্রামের বাড়ী ‘বিন্যাগাড়ি’ যাবার কথা ছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে যেতে পারেনি। আজ শুক্রবারে যাবে বলে মনস্থির করেছে। এদিকে মেজ ভাই এর মেয়ে মনিজা যখন জানতে পারলো যে উৎপল বাড়ি যাবে, তখন সে আমাকেও ফোন করে যেতে বললো এবং দুপুরে ওদের তুষভান্ডারের বাসায় মধ্যাহ্নের দাওয়াৎ দিয়ে বসলো। কিছুটা উলটো পথ পাড়ি দিতে হবে, তা সত্ত্বেও দাওয়াৎ কবুল করলাম। উৎপল জিজ্ঞেস করলো, মটর সাইকেলে করে গেলে আমার কোন অসুবিধে হবে কি না। আমি নেই বললে মটর সাইকেলেই যাবার সিদ্ধান্ত হলো।

সোয়া দশটার দিকে আমরা দু’ভাই রওনা হ’লাম। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ পার হবার পর সামান্য কিছুটা পথ খোঁড়াখুড়ির কারণে খারাপ অবস্থায় ছিল, কিন্তু বাকিটা পথে আর কোন অসুবিধে হয়নি। দেড় বছর আগেও সপরিবারে একবার এ পথ মাইক্রোবাসে পাড়ি দিয়েছিলাম, তাই পথটা আমার মোটামুটি চেনাই ছিল। কাকিনা পৌঁছানোর একটু আগে বৃষ্টি পেলাম। অগত্যা পথপাশের একটি ছাউনিতে মটর সাইকেল থামাতে হলো। উল্টো পথগামী সেখানে অপেক্ষমান কিছু মটর সাইকেল যাত্রী ও আরোহী আমাদের পরিহিত বস্ত্র তখনও শুকনো দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন আমাদের ফেলে আসা পথে কোন বৃষ্টি পেয়েছি কিনা। আমরা না বলাতে ওনারা হাল্কা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শুকনো আকাশের প্রত্যাশায় আমাদের উল্টো পথে দিলেন ছুট! চটজলদি বৃষ্টি থেমে গেলে আমরাও আমাদের গন্তব্যের দিকে রওনা হ’লাম। পথে জমে থাকা পানি এবং ভিজে যাওয়া মানুষের পোশাক দেখে বুঝতে পারলাম, একটু আগে এ অঞ্চলে বেশ মুষলধারেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে।

আদিতমারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আদিতমারি সরকারি কলেজ, শাফিয়া খাতুন কলেজ, আদিতমারি পোস্ট অফিস ইত্যাদি অতিক্রম করে প্রাক্তন বিলের উপর গড়ে ওঠা বসতি এবং তখনকার বিলের বুকের উপর দিয়ে এখনকার আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাবার সময় আমার আরেক ছোট ভাই চপল ও তার স্ত্রী রুপালির কথা, উৎপল, তার স্ত্রী ও ছেলে, যথাক্রমে মাহমুদা ও সাদমানের কথা মনে হচ্ছিল। এক সময় এসব জায়গাগুলোতে ওদের প্রাত্যহিক পদস্পর্শ পড়তো, আজ কে কোথায় ছড়িয়ে আছে! আমার বাল্যকালে আমি দেখেছি এসব জায়গার উপর দিয়ে একটি বিশাল বিল প্রবহমান ছিল, যা ‘বিন্যাগাড়ি বিল’ নামে পরিচিত ছিল। এ বিলে দলে দলে পানকৌড়ি উড়তো, ডুবতো ও ভাসাভাসি করতো। বিলে ভাসা কচুরিপানার দলে ডাহুক দম্পতি লুকিয়ে থাকতো, বর্ষার সময় বিলটাকে একটা বিরাট নদীর মতই মনে হতো। এ বিলে নানা প্রকারের মাছ যেমন ছিল, মাছ খাবার জন্য পাখিও তেমনি আসতো প্রচুর। তাই এখানে সৌখিন পাখিশিকারিদের আনাগোনাও ছিল নিয়মিত। আমাদের প্রতিবেশী বছির চাচা তার দুই ছেলে রফিক, শফিক কে নিয়ে রাতের বেলা একটি হ্যাযাক বাতি এবং কোঁচ হাতে বেরিয়ে পড়তেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে। সারারাত জেগে প্রচুর মাছ মেরে ওনারা শেষ রাতে বাড়ী ফিরতেন। রোদের তাপে কিছু মাছকে শুঁটকি তে পরিণত করার জন্য টিনের চালে কিংবা উঠোনে চাটাই এর উপর বিছিয়ে রাখতেন। তাদের কোঁচে কখনো কখনো সাপও আটকে যেত। সাপগুলোকে মেরে রাস্তার উপর বিছিয়ে রাখা হতো। সেগুলোর উপর দিয়ে দুরন্ত ছেলের দল সাইকেল চালিয়ে উল্লাস করতো।

বেলা সাড়ে এগারটার দিকে বাড়ী পৌঁছালাম। আসার পথে দেখলাম, আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে রোপিত কাঁঠাল গাছ থেকে আশেপাশের লোকেরা কাঁঠাল পেড়ে খাচ্ছে। বাড়ীতে ঢুকতেই দেখি, প্রায় পরিত্যাক্ত বাড়ীর প্রবেশ প্রাঙ্গণে বড় বড় ঘাস জন্মেছে। আমার মায়ের এক সময়ের সাহায্যকারী ‘অমের মা’ আমাদের আসার খবর পেয়ে আগেই এসেছেন এবং প্রাঙ্গণ কিছুটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। বয়সের ভারে তিনিও আজ অনেকটা ভারাক্রান্ত। অস্থায়ী কেয়ার টেকার শামছুলও এসে উপস্থিত হলো। শামছুলকে নিয়ে উৎপল রংপুর থেকে আনা সর্প-প্রতিরোধক ‘কার্বোলিক এসিড’ এর কয়েকটা শিশি কয়েকটি জায়গায় ছড়িয়ে রাখলো, সাপের সম্ভাব্য আস্তানা হতে পারে, এমন অনুমান করে। বাড়ীর আনাচে কানাচে কত শত স্মৃতি ছড়িয়ে আছে! ‘অমের মা’ পাকা মেঝেটা ঝাড় দিতে শুরু করলো, উৎপল ঘরের জানালা কয়েকটা খুলে দিল বাতাস প্রবাহের জন্য, ফ্যানও ছেড়ে দিয়ে ফ্যানের নীচে একটা চেয়ার টেনে আমাকে বসে বিশ্রাম নিতে বললো। আমি বিহ্বল হয়ে শুধু এদিক সেদিক তাকাতে থাকলাম, আর প্রতিটি চেনা স্মৃতিচিহ্নের দিকে তাকিয়ে মনে মনে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করা শুরু করলাম। জগতটা একটা মায়ার সংসার, মায়ার ইন্দ্রজালে আমরা এ জগত সংসারে আবদ্ধ থাকি। একদিন সব বাঁধন ছিন্ন করে একেকজনকে ছিটকে পড়তে হয় জগতের একেক প্রান্তে! ডাইনিং টেবিলটার কাছে এসে বুক ভার হয়ে এলো। আমার জন্য অলিখিতভাবে একটা চেয়ার নির্দিষ্ট ছিল। আমি সেখানেই বসে খেতাম। তখন ছয়টা চেয়ার ছিল। এখনো শূন্য টেবিলের পাশে চারটা চেয়ার বেশ শৃঙ্খলার সাথে রাখা আছে। ডাইনিং টেবিলের পাশে এখনো শো-কেসটাতে কিছু ক্রোকারিজ শোভা পাচ্ছে। এগুলোর সাথে আম্মার, রুপালীর (ভ্রাতৃবধু, মরহুম) এবং মাহমুদার হাতের স্পর্শ জড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতে আবার হয়তো এগুলো কোনদিন শুধু মাহমুদারই স্পর্শ পেতে পারে, বাকি দু’জনের স্পর্শ পাবার আর কোন সম্ভাবনা নেই। রান্নাঘরে প্রবেশ করে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। সেই চুলো, সেই সিঙ্ক, সেই জানালা। ছাদের ট্যাঙ্কে পানি তোলার জন্য সেই মটর সুইচ! পাশের স্টোর রুমটাতে সেই ডালাসমূহ, সেই চৌকি-বেঞ্চি, সবই আছে, কিন্তু মনুষ্য স্পর্শহীন বলে ধুলোবালি জমে থাকা অবস্থায়! বেডরুমে ফিরে এলাম। খাটগুলোতে এখনো ম্যাটরেস বিছানো রয়েছে। ওয়ারড্রোব, স্টীল ক্যাবিনেট, সবই আছে, বন্ধ অবস্থায়। ড্রেসিং টেবিলের পাশের টেবিলটার উপর একটা ধূলিমাখা, অতি পুরাতন পবিত্র ক্বুর’আন শরীফ দেখতে পেলাম।

আমার মন যখন ভারী হয়, তখন আমি কিছুটা লঘু অনুভব করি কয়েকটা কাজ করে। তার মধ্যে ক্বুর’আন পাঠ অন্যতম। টেবিলে রাখা পবিত্র ক্বুর’আন শরীফটা দেখতে পেয়ে তাই আমি মনে মনে খুশি হ’লাম, আমার ভারাক্রান্ত মন কিছুটা হাল্কা হবে, এই প্রত্যাশায়। বাসা থেকেই আমি গোসল এবং ওযু করে রওনা হয়েছিলাম। ওযু ছিল বিধায় আমি ক্বুর’আন শরীফটা মুছে কিছুটা পরিস্কার করে পড়া শুরু করলাম। কিন্তু দুই রুকু পড়ার পর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লক্ষ্য করলাম, আমার কপাল থেকে ঘামের ফোঁটা পড়ে মলিন পাতাগুলো আর্দ্র হয়ে ছিন্ন হবার উপক্রম। তিন রুকু পড়ে আমি আপাততঃ পড়া বন্ধ করে ক্বুর’আন শরীফটিকে আবার যথাস্থানে রেখে দিলাম। রাতে বাসায় ফিরে ডিনারের সময় মাহমুদাকে জিজ্ঞেস করলাম, সবকিছু তালাবদ্ধ রেখে এই পবিত্র পুস্তকটিকে কেন সে টেবিলের উপর অনাবৃত অবস্থায় রেখে এসেছে। সে উত্তর দিল, আল্লাহ তা’লার বাণী পবিত্র ক্বুর’আন শরীফকে নাকি কখনো তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখতে হয় না। সে তৃতীয় শ্রেণীতে পাঠ্যরত অবস্থায় এই ক্বুর’আন শরীফটি দিয়েই তার ক্বুর’আন পাঠ শুরু করেছিল। এ কথা শুনে আমি ভাবলাম, তাই তো! ও সেটা টেবিলের উপর রেখে এসেছিল বলেই না আমি আজ তা পাঠ করে কিছুটা শান্তি অনুভব করতে পারলাম!

যখনই আমি বাড়ীতে যাই, যত অল্প সময়ের জন্যই হোক, ‘পাগলি’র মা’ এর সাথে আমার দেখা হবেই, অবধারিতভাবে। আজও তিনি এসেছিলেন তার একটা শিশু নাতনি কে নিয়ে। তিনি এখনো পুরোপুরি সচল, চেহারায় অশীতিপর বয়সের ছাপ থাকলেও বয়সের ভারে মোটেও ন্যুব্জ নন। আমাকে দেখতে এলে তার কাজ হয় শুধু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা, আর আমি কী করি, কী বলি, তা দেখা ও শোনা। ‘পাগলি’র মা’ নিজে পাগলি নয়। হয়তো তারও একটা সুন্দর নাম ছিল। কিন্তু একটি প্রতিবন্ধী শিশুকে জন্ম দেয়ার অপরাধে আমাদের বিচারিক সমাজ তার সেই নামটাকে চিরতরে মুছে দিয়েছিল। আজ ‘পাগলি’র মা’ এর প্রকৃত নাম কী, তা কেউ জানে না। প্রথম প্রথম কেউ তাকে এ নামে ডাকলে সে প্রতিবাদ করতো। ধীরে ধীরে মুখে মুখে প্রচলিত হওয়া এ নামটাকে সে নিজেও যেন নিজের অজান্তেই মেনে নিয়েছে। পরিচিত কেউ তাকে চিনতে না পারলে সে নিজেই এগিয়ে এসে নিজের পরিচয় দেয় এভাবেঃ ‘মোক চেনেন নাই, মুই ‘পাগলি’র মা’ও’!

উৎপল লোক ডেকে গাছ থেকে কয়েকটা ডাব পাড়ালো। একটা ডাবের মিষ্টি পানি পান করে পেট ভরে গেল। বেলা একটার দিকে আমরা ঘর দোরে তালা লাগিয়ে ফিরতি পথ ধরলাম। আমি উৎপলকে অনুরোধ করলাম, আমাদের এক সময়ের প্রতিবেশি এবং আত্মীয় মোস্তফা ভাই এর বাসায় দুই মিনিটের জন্য থামার জন্য। মোস্তফা ভাই আমার চেয়েও অন্ততঃ আট-দশ বছরের মত বয়োজ্যেষ্ঠ হবেন। আমরা এখন গাছের পাকাফল। কোন ঝড় বাতাস ছাড়াই কে কবে কোনদিন টুপ করে ঝরে যাবো তার ঠিক নেই। সেজন্যেই ইচ্ছে হলো, একবার অন্ততঃ শুধু দেখাটা করে যাই। দেখা হলো না, কারণ উনি নামাযের জন্য ততক্ষণে মাসজিদে প্রবেশ করেছেন। ভাবীর সাথে দেখা হলো, ওনার চেহারাতেও বয়সের ছাপ স্পষ্ট; এতটা স্পষ্ট এর আগে আর কখনো দেখিনি। পাশেই ওনার ছেলে জাহাঙ্গীর পাকা বাড়ী করেছে। জাহাঙ্গীরও নামাযে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ও দুয়ারে এসে শুধু একটু দেখা দিল, ওর সাথেও তেমন কথা হলো না। উৎপলকে বললাম, আদিতমারি’র মজিবর ফুফা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন শুনেছিলাম। চলো, ওনাকে আর টুনি ফুফুকে একটু দেখেই যাই। আবার কবে দেখা হবে, কিংবা আদৌ হবে কিনা, কে জানে!


রংপুর
২৫ জুন ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ১৩৩৮



মানুষ নেই, তবুও প্রাকৃতিক নিয়মে ফুলগুলো ফুটে স্মিত হাসি হাসে, মানুষের স্পর্শের প্রতীক্ষায় থাকে!


‘নিসর্গ’ – নামটাও চপলেরই দেয়া। এখন আছে একা পড়ে, মানুষবিহীন!

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: ****************** খুব ভাল লাগল********************

২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৭:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "খুব ভাল লাগল" - কথাটার আগে পিছে এতগুলো তারা! স্টাইলটা খুব ভালো লেগেছে।
প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

২| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২০

মিরোরডডল বলেছেন:




এখন বুঝতে পারছি কেনো কিছুদিন ব্লগে একটিভ না ।
সবার জীবনের স্মৃতিকথার মাঝেই কোথায় যেনো একটা মিল আছে ।
কিছু শূন্যতা, অবসাদ আর দীর্ঘশ্বাস !
মা ভালো হয়ে উঠুক এই প্রত্যাশা।




২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্লাসটি'র জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যের শেষের "প্রত্যাশা"টির জন্যেও।
যেহেতু পিছে ফিরে যাবার কোন উপায় নেই, পিছু ফিরে 'তাকানো'তেই তাই যত আনন্দ বেদনার অনুভব পাওয়া যায়।

৩| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৮

শায়মা বলেছেন: বাহ কি সুন্দর ভাইয়া।

লেখাটাও .....

ছবিগুলোও...

২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম, লেখা ও ছবির প্রশংসায় এবং প্লাসেও!
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

৪| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: বর্তমানের মাঝে অতীতের খোঁজ।
লেখাটা পড়ে খুবই ভাল লাগলো কারণ এই রংপুরে আমার কিছু শৈশব কেটেছে। বাংলাদেশের সব জেলার মাঝে রংপুর একটা প্রিয় শহর।
আগামী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাংলাদেশের সব জেলার মাঝে রংপুর একটা প্রিয় শহর" - রংপুর বাংলাদেশের একটি প্রাচীন শহর। রংপুর পৌরসভা দেশের অন্যতম প্রাচীন পৌরসভা। মাহীগঞ্জে অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে সুষ্ঠু পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ছিল। রংপুর পাবলিক লাইব্রেরীও দেশের অন্যতম প্রাচীন গণপাঠাগার।

রংপুরের কোন এলাকায় আপনার শৈশবকাল কেটেছে?

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর বর্ণনায় স্মৃতিচারণ খুবই ভালো লাগলো।কোরান পাঠের জন্য অজুকরা কি বাধ্যতামূলেক?

২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি যতদূর জানি, পবিত্র ক্বুর’আন শরীফ তিলাওয়াতের জন্য (মুখস্থ) ওযু আবশ্যকীয় না হলেও, পাঠের জন্য আবশ্যকীয়। অবশ্য এ নিয়ে নতুন মতবাদ এসেছে যে তা আবশ্যকীয় নয়। এ নিয়ে আমি কোন বিতর্কে যেতে চাই না, ব্যক্তিগতভাবে আমি যতদূর সম্ভব ওযু করার পক্ষপাতি, নিদেনপক্ষে তায়াম্মুমের।
স্মৃতিচারণটি আপনার খুবই ভালো লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৩:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার আম্মার অবস্থা এখন ভাল জেনে
খুবই খুশী হলাম । আল্লার কাছে দোয়া
করি তিনি যেন আপনার আম্মাকে সম্পুর্ন
সুস্থতা দান করেন । রংপুরে দেশের বাড়ীতে
আপনার দিন ভাল কাটুক। এখনতো মনে হয়
লক ডাউনের জন্য আরো কিছুদিন সেখানে
অবস্থান করতে হবে । লকডাউনে সরকারী
বেসরকারী অফিস আদালত বন্ধ থাকবে বলে
হাজারে হাজারে লোকজন রাজধানী ছেড়ে
যে যেভাবে পাড়ে গ্রামমুখী হচ্ছে । গ্রাগুগুলি
মনে হয় মুখরিত হয়ে উঠবে , গ্রাম পাবে
শহড়ের জৌলুস , হবে মিলনমেলা ,তবে
করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি থেকেই যাবে
ভাইস ভারসা আকারে প্রকারে ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি আছি এখন রংপুর জেলা শহরে, আমার ছোটভাই এর বাসায়, যেখানে আম্মা থাকেন। আমাদের দেশের বাড়ী আদিতমারি উপজেলায়। গত পরশুদিন সেখানে গিয়েছিলাম, খালি বাসাটি দেখতে। সেখান থেকে ফিরেই এ লেখাটি লিখেছি।

"এখনতো মনে হয় লক ডাউনের জন্য আরো কিছুদিন সেখানে অবস্থান করতে হবে" - জ্বী, আমারও তো তাই মনে হচ্ছে। দেখা যাক, কি হয়!

মন্তব্য, প্লাস, শুভকামনা এবং দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগল+++

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে আমার কোন লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে আমারও খুব ভালো লাগলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৮| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

হাবিব বলেছেন: আপনার গদ্যের মধ্যেও কবিতার ভাব-আবেগ খুঁজে পাই!! পড়তে আরাম লাগে।

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার জন্য অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক আপনার এ দুটো বাক্য, হাবিব স্যার! আমি স্নেহ, মায়া মমতা ও ভালবাসা ভালবাসি। আমার গদ্যে পদ্যে যদি আমার সে মানবিক অনুভূতিসমূহ প্রকাশ পায়, তবে তা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক একটি ব্যাপার এবং আমি এমনটি জানতে পারলে কৃতার্থ বোধ করি।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৯| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগলো ! আপনার লেখা পড়ে নিজেও কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়লাম !

২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার এ পোস্ট পড়ে আপনার মনেও স্মৃতি জাগরূক হয়েছে জেনে প্রীত হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন!

১০| ২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৭

সামিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতি কথা পড়তে

২৮ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতি কথাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---

১১| ২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতি কথা। জীবন এমনই । মানুষ চলে যায় রেখে যায় স্মৃতি শুধু

২৮ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতি কথাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
"জীবন এমনই । মানুষ চলে যায় রেখে যায় স্মৃতি শুধু " - ধ্রুব সত্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---

১২| ২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যদিও আমাদের পরিচিত নন একজন ও তবুও আপনার লেখার মায়া আমাদের ও স্পর্শ করেছে ভাইয়া।

২৮ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে বলেছেন, মন্তব্যে মুগ্ধ হ'লাম। এ স্মৃতিচারণে স্মৃতিপট টাই মুখ্য, চরিত্রগুলো নয়। লেখার প্রারম্ভে এ বিষয়ে কিছুটা আভাস (ব্রাকেটে) দেয়া আছে।

লেখার মায়া তবুও স্পর্শ করেছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম। মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

শুভকামনা---

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: “রংপুরের কোন এলাকায় আপনার শৈশবকাল কেটেছে?”

রংপুর স্টাফ কোয়ার্টারে ছিলাম। ২/১ দিনের স্মৃতি আছে প্রাইমারী স্কুলে ক্লাস করার তারপর আমরা চলে আসি।

২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। খুশি হ'লাম রংপুরে একসময় ছিলেন জেনে।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। স্মৃতি চারণ পোস্ট বরাবরই বেদনার। অতীত আর ফিরে আসে না। স্মৃতির এলবাম দিনে দিনে সমৃদ্ধ হতে থাকে। সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমাদের এই সব দিন রাত্রি।

২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অতীত আর ফিরে আসে না। স্মৃতির এলবাম দিনে দিনে সমৃদ্ধ হতে থাকে" - খুব সুন্দর বলেছেন এ কথাগুলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন!

১৫| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গ্রামের বাড়ি যাতে খালি না থাকে - নিঃসঙ্গ না থাকে তার ব্যবস্থা আমি দীর্ঘদিন সময় নিয়ে ব্যবস্থা করেছি। এখন আশা করছি সহজে আর বাড়ি খালি হবে না। আপনি গ্রামের বাড়িতে আছেন জেনে ভালো লাগছে। আত্মীয় পরিজন যারা গ্রামে আছেন তাদের সাথে গল্প করুন। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে গ্রামে ভালো লাগার কথা। আমাদের অনেক অনেক স্মৃতি গ্রামেই।

আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি আল্লাহপাক যেনো উনাকে শেফা দান করেন। আমীন।

২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি আল্লাহপাক যেনো উনাকে শেফা দান করেন" - অনেক ধন্যবাদ, আপনার এ দোয়ার জন্য। ভাল থাকুন, শুভকামনা---

১৬| ২৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:২৬

সোহানী বলেছেন: পোস্ট নিয়ে পরে কথা বলবো। আগে বলুন ছবি ব্লগ কোথায়????

২৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিযোগিতায় দেয়ার মত আমার সংগ্রহে তেমন ভাল ছবি নেই। চলার পথে হাতে সেলফোন থাকলে আমিও একজন 'পথিক ছবিয়াল' হয়ে উঠি, ছবি তোলার কোন ব্যাকরণপাঠ না জেনেই/না মেনেই! । আর তা ছাড়া আমি এখন আপন নিবাস থেকে দূরে অবস্থান করছি। যেখানে আছি, সেখানে একটু ঝড় বাদল হলেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই এটুকু লিখে পোস্ট করতেই তিনবার বিদ্যুৎ চলে গেল, আবার আসলো!

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

শুভকামনা---

১৭| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ব্লগার
লক্ষ করলাম আপনার ভাইদের সবার নামগুলোর শেষে" ল "। বেশ মিল করে রাখা খায়রুল, উৎপল,চপল। ভালো লাগলো।
ছবির মত সুন্দর আপনাদের বাড়ি। বর্ণনা চমৎকার।
এমনই তো হয়। যে গৃহ একসময় জনসমাগমে সদা চঞ্চল থাকে কালের নিয়মে সেই স্থান একদিন বিরাণ হয়ে নিঃসঙ্গতায় সময় অতিক্রম করে।কেউ থাকে না কেউ না শুধু রয়ে যায় কালের স্বাক্ষী স্মৃতি যত।

শুভ কামনা রইলো।

৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ চমৎকার একটি সাযুজ্য খেয়াল করেছেন তো আপনি! আসলে আমাদের তিন ভাইয়েরই প্রকৃত নাম (যেটাকে আমরা 'ভাল নাম' বলে জানি) শুরু হয়েছে 'খায়রুল' দিয়ে। আবার তিনজনেরই 'নিক নেইম' (যেটাকে আমরা 'ডাক নাম' বলে জানি) শেষ হয়েছে 'ল' অক্ষর দিয়ে।

যে গৃহ একসময় জনসমাগমে সদা চঞ্চল থাকে কালের নিয়মে সেই স্থান একদিন বিরাণ হয়ে নিঃসঙ্গতায় সময় অতিক্রম করে।কেউ থাকে না কেউ না শুধু রয়ে যায় কালের স্বাক্ষী স্মৃতি যত - খুবই ভাল লাগলো আপনার এ দার্শনিকসুলভ মন্তব্যটা। সত্যি সত্যি আমাদের এ বাড়ীটা দশ বছর আগেও জনসমাগমে গমগম করতো। চপল এবং ওর স্ত্রী রুপালী উভয়ে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ছিল। ওদের দু'জনেরই চিকিৎসার হাত খুব ভাল ছিল বিধায় সবসময় রোগীর আনাগোনা থাকতো, এমনকি রাত বিরাতেও। এ ছাড়া আত্মীয় স্বজনদের আনাগোনা তো থাকতোই। ওরা আমেরিকা চলে যাবার পর ধীরে ধীরে সব কলরব থেমে যায়।

এ পোস্টের দ্বিতীয় 'প্লাস'টি আপনি দিয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। এখন মন্তব্যটি পেয়ে প্রীত হ'লাম। উভয়টির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো।

আপনিও ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।

৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনার দোয়া কবুল করুন!
আমি অভিভূত হ'লাম, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ সহৃদয়তার জন্য।

১৯| ১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন:




জগতটা আসলেই একটা মায়ার সংসার!
সময় পাল্টায় , সেই পাল্টানোতে মায়ার সংসারের অনেক কিছুই পাল্টে গেলেও স্মৃতিকে পাল্টানোর সাধ্য কারো নেই। তাকে মুছে দেয়া যায়- পাল্টানো যায়না!

মিরোরডডল এর মন্তব্যটি ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন তিনি - কিছু শূন্যতা, অবসাদ আর দীর্ঘশ্বাস নিয়ে লেখা।
আপনার মা'য়ের মঙ্গল কামনায়।

১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সময় পাল্টায় , সেই পাল্টানোতে মায়ার সংসারের অনেক কিছুই পাল্টে গেলেও স্মৃতিকে পাল্টানোর সাধ্য কারো নেই। তাকে মুছে দেয়া যায়- পাল্টানো যায়না!" - খুব সুন্দর বলেছেন কথাটা। একদম ঠিক!

মায়ের মঙ্গল কামনায় অনেক খুশি হ'লাম। আল্লাহতা'লা আপনার দোয়া কবুল করুন!

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন!

২০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোহানী বলেছেন: আমি গতবার দেশে যেয়ে ঠিক এ কাজটাই করার চেস্টা করেছিলাম। চাচা মামা দাদা-দাদী শ্রেনীর মানুষদের সাথে যথাসম্ভব দেখা করার চেস্টা করেছিলাম। কারো সাথে পেরেছি কারো সাথে পারিনি। কারন খুব স্বল্প সময়ের জন্যই গিয়েছিলাম দেশে। আর দেশ থেকে আসার আগে বাবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম দেখতে। যদিও শুধু বেড়ানো ছাড়া আমরা সেখানে থাকিনি। কিন্তু বাবা মায়ের স্মৃতির জন্য গিয়েছিলাম।

আপনার স্মৃতিকথা অনেক ভালো লাগলো। নিজের কথা বারবার উকিঁ দিয়ে গেল পড়তে পড়তে।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চাচা মামা দাদা-দাদী শ্রেনীর মানুষদের সাথে যথাসম্ভব দেখা করার চেস্টা করেছিলাম - খুব ভালো করেছেন। হঠাৎ একদিন হয়তো অনুভব করবেন, এ শ্রেণীর মানুষ আর নেই, থাকলেও খুবই কম!

"দেশ থেকে আসার আগে বাবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম দেখতে। যদিও শুধু বেড়ানো ছাড়া আমরা সেখানে থাকিনি। কিন্তু বাবা মায়ের স্মৃতির জন্য গিয়েছিলাম" - এটাই নাড়ির টান। আমিও আমার বাড়িতে থাকিনি, শুধুমাত্র ঘন্টা দুয়েক অবস্থান করেছি মাত্র, আর মায়ের, ভাইবোনদের, তাদের ছেলেমেয়েদের স্পর্শ খুঁজে বেড়িয়েছি আর স্মৃতিকাতর হয়েছি।

"আপনার স্মৃতিকথা অনেক ভালো লাগলো। নিজের কথা বারবার উকিঁ দিয়ে গেল পড়তে পড়তে" - সেটা বুঝতে পেরেছি। সেজন্যেই তো দ্বিতীয়বার এসেছেন, পুনঃমন্তব্য করেছেন। অনেক ধন্যবাদ, আসার জন্য।

২১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্মৃতিকথা পড়তে ভালো লাগে কিন্তু বিষণ্ণ হয়ে পড়ি তার সঙ্গে নিজের ফেলে আসা অতীতকে মেলাতে গিয়ে। কিছু মিল পাই কিছু বা নতুন তবুও তার মধ্যে ফেলে আসার যাতনা অন্তরকে আদ্র করে তোলে। আপনার স্মৃতিকথায় আদিতমারি, বিন্যাগাড়ি তাই শুধু আপনার ফেলে আসা অতীত নয় আমাদের সবারই যারা কর্মসূত্রে বাইরে থাকতে বাধ্য তাদের অন্তরের হাহাকারের প্রতিধ্বনি।
অসম্ভব ভালো লাগা রইলো।

শুভেচ্ছা জানবেন স্যার।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তার মধ্যে ফেলে আসার যাতনা অন্তরকে আর্দ্র করে তোলে। আপনার স্মৃতিকথায় আদিতমারি, বিন্যাগাড়ি তাই শুধু আপনার ফেলে আসা অতীত নয় আমাদের সবারই যারা কর্মসূত্রে বাইরে থাকতে বাধ্য তাদের অন্তরের হাহাকারের প্রতিধ্বনি" - পোস্ট পাঠান্তে অত্যন্ত চমৎকার করে পাঠ প্রতিক্রিয়া জানালেন। এ জন্যেই তো এসব ব্যক্তিগত কথাও লিখি, এতে কোন পাঠকের মনে এ লেখার অনুরণন হলে সেটাই লেখকের প্রত্যাশা, বা বলা চলে সার্থকতাও।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.