নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
লোকটি তার ছেলেদেরকে হাঁটতে হাঁটতে গল্প শুনিয়ে যাচ্ছে। বড় ছেলেটি তাকে নানা রকমের প্রশ্ন করছে, আর ছোটটি মাথার চুল আঁকড়ে ধরে বাবার ঘাড়ে বসে আছে। লোকটা ঘাড়ের শিশুটির ব্যালেন্স সামলে রেখে এগিয়ে চলেছে।
অপত্য স্নেহঃ
প্রতিটি মানুষের জীবন যেন একেকটি উপন্যাস। এ উপন্যাস রচনা শুরু হয় তার মাতৃগর্ভে জীবনের স্পন্দন শুরু হওয়া থেকে, আর যবনিকা টানা হয় শেষ নিঃশ্বাসটি নির্গত হওয়ার মুহূর্তটিতে। এর মাঝে ঘটে যায় কত শত ঘটনা, যার সাথে জড়িত থাকে প্রেম প্রীতি ভালবাসা, সুখ দুঃখ হাসি কান্না, আনন্দ বেদনা, ক্রোধ হিংসা উষ্মা, আত্মীয় অনাত্মীয় বন্ধুদের নিবিড় আনন্দঘন সান্নিধ্য কিংবা দুঃসহ একাকীত্বের কষ্ট ও যাতনা। এসব নিয়েই আমাদের যাপিত জীবন। এর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট অনুভূতি হচ্ছে প্রেম ভালবাসা আদর স্নেহ ও মায়ার অনুভূতি। যখনই এসব অনুভূতির কোন অভিব্যক্তির প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়, আমি মনে মনে খুব খুশি হই। আমার ‘ক্ষণিকের দেখা’ সিরিজের লেখাগুলোতে মানুষের এসব সূক্ষ্ম অনুভূতি ও আবেগের কথা বারে বারে ঘুরে ফিরে আসে। গতকাল হাঁটার পথে দেখতে পেলাম দু’টি শিশুর প্রতি তাদের পিতার অপত্য স্নেহের এমনই একটি অপূর্ব দৃশ্য! আমার সামনে দিয়ে এক যুবক হেঁটে যাচ্ছিল। তার দু’কাঁধের দু’পাশে দু’পা ছড়িয়ে বসে ছিল এক শিশু, এবং তার বাঁ হাতের তর্জনী ধরে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছিল আরেকটি শিশু। অনুমান করলাম, শিশুদু’টি ঐ ব্যক্তির সন্তান হবে হয়তো। ছোটটির বয়স হবে আনুমানিক দু’বছর, বড়টির চার বছরের মতন। আমি যখন একটু দ্রুত হেঁটে তাদেরকে অতিক্রম করছিলাম, তখন আমার কানে এলো, লোকটি তার ছেলেদেরকে হাঁটতে হাঁটতে গল্প শুনিয়ে যাচ্ছে। বড় ছেলেটি তাকে নানা রকমের প্রশ্ন করছে, আর ছোটটি মাথার চুল আঁকড়ে ধরে বাবার ঘাড়ে বসে আছে। লোকটা ঘাড়ের শিশুটির ব্যালেন্স সামলে রেখে এগিয়ে চলেছে। আমার খুব ভালো লাগল এ দৃশ্যটি দেখে। লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম শিশু দুটোই ছেলে কিনা এবং ওরা তার সন্তান কিনা। লোকটি হেসে দুটোরই হ্যাঁসূচক উত্তর দিল। আমি তার অনুমতি নিয়ে দুটো ছবি তুলে রাখলাম, ক্ষণিকের দেখা অপূর্ব এ দৃশ্যটি আমার আর্কাইভে রাখার জন্য। ছবি তোলার তারিখ ও সময়ঃ পহেলা মাঘ ১৪২৮ মোতাবেক ১৫ জানুয়ারী ২০২২ সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট।
বয়স্ক বয়স্কাদের নিঃসঙ্গতাঃ
বয়স্ক বয়স্কারা তাদের ছেলেপুলেদের মানুষ করে কর্মক্ষেত্রে পাঠিয়ে নিজেরা অনেক সময় কর্মহীন, নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেন। এ সময়টা তাদের খুব কষ্টে কাটে, বয়স্কাদের বেশি। আমি আমার হাঁটার পথে প্রতিদিন এমন অনেক বয়স্ক বয়স্কাদের আনমনে হেঁটে যেতে দেখি। অনুমান করতে কষ্ট হয়না, এভাবে একাকী হাঁটতে তাদের খুব কষ্ট হয়। কেউ লাঠি হাতে পা টেনে টেনে হাঁটেন, কেউ ধীর পদক্ষেপে এদিকে ওদিকে তাকিয়ে এটা ওটার ছবি তুলতে তুলতে। কেউ তাদেরকে একটু হ্যালো হায় বললে তারা গল্প জুড়িয়ে দিতে চান। কেউ হাঁটতে হাঁটতে পথ পাশে রাখা বেঞ্চে বসে খানিক জিরিয়ে নেন, পুকুরের নিস্তরঙ্গ জলের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকেন। তারা জানেন, যতই অনিচ্ছা হোক, সুস্থ থাকতে হলে তাদের হাঁটতে হবেই! হাঁটার পথে তাদের না জানি কত কথাই মনে পড়ে যায়! জীবনোপন্যাসের নানা চরিত্র হয়তো তাদের মনে উঁকি দিয়ে যায়! এভাবে হাঁটতে হাঁটতেই একদিন তাদের হাঁটা থেমে যায়। কেউ শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন, কেউ চলে যান অগস্ত্য যাত্রায়!
অভিযোগহীন মন, যাপিত জীবনঃ
‘সাতখামাইর’ রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনটির আগে পিছের স্টেশন দু’টির নাম বোধকরি যথাক্রমে কাওরাইদ এবং ধীরাশ্রম। বাল্যকাল থেকে এ স্টেশনের উপর দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি যাতায়াত করতাম। পাকিস্তান আমলে ছিল মাত্র দু’টি ট্রেন। ফুলবাড়িয়া/কমলাপুর স্টেশন থেকে সকালে ছাড়তো ১১ আপ দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাত এগারটায় ছাড়তো ৭ আপ নর্থ বেঙ্গল মেইল। ‘সাতখামাইর’ স্টেশনটি জাংশন স্টেশন নয় বিধায় ঐ দুটো ট্রেনের কোনটাই সাতখামাইর স্টেশনে সাধারণতঃ থামতো না। জয়দেবপুর থেকে থ্রু-পাস নিয়ে একেবারে ময়মনসিংহ স্টেশনে গিয়ে থামতো। মাঝে মাঝে গফরগাঁও স্টেশনেও থামতো। সাতখামাইর স্টেশনেও থামতো, যদি সম্মুখবর্তী কাওরাইদ স্টেশনে অপর দিক হতে সেই সময়ে কোন ট্রেন ‘ইন’ হতো। ১৯৭৯ সালের দিকে আরেকটি ট্রেন যোগ হয়, নাম ‘একতা এক্সপ্রেস’। এ ট্রেনটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন সিনিয়র মন্ত্রী, নীলফামারীর খগাখড়িবাড়ি নিবাসী মশিউর রহমান যাদু মিঞা। এখন একই রুটে আরও তিনটি ট্রেন চলে, রংপুর এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং লালমনি এক্সপ্রেস।
আজ সকালে সেই ‘সাতখামাইর’ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২/৩ কি.মি. পশ্চিমে ‘টেংরা’ নামক গ্রামে অবস্থিত আমার এক বন্ধুর ‘ফার্ম হাউস’ এ গিয়েছিলাম। ৫/৬ বছর আগেও একবার সস্ত্রীক গিয়েছিলাম, আজ শুধু দু’বন্ধু মিলেই গিয়েছিলাম। সেখানে একটি ‘গোলঘর’ আছে, যেটার ছাদে নতুন করে তাল পাতার ছাউনি দেয়া হচ্ছিল। আমি তাকিয়ে দেখলাম, এক বৃ্দ্ধ ব্যক্তি একাই আনমনে সে ছাউনি বুনছেন। আমি অনুমান করলাম, তিনি ষাটোর্দ্ধ্ব হবেন। এই বয়সেও তাকে জীবিকার তাগিদে ছাদে উঠে একা একা এ কাজটি করতে দেখে তার প্রতি আমি মায়া অনুভব করলাম। কৌতুহলী হয়ে আমি একটু আলাপের সূত্রপাত করলাম এবং এক পর্যায়ে আমি তাকে তার বয়স জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি এক গাল হেসে জানালেন, ‘নব্বই বছর’। আমি চমকে উঠলাম এবং বিস্ময় প্রকাশ করে তা অবিশ্বাস করলাম। তিনি আবারও হেসে বললেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের আগেই তিনি তিন সন্তানের পিতা হয়েছিলেন। আমি কিছুটা মানসাংক কষে সাব্যস্ত করলাম, তার বয়স নব্বই না হলেও আশির কাছাকাছি তো হবেই। সেটাও এক বিস্ময় বটে!
পরে তার সাথে আরও আলাপ করেছি। তার নাম রহিমুদ্দিন। গ্রামঃ নামা ভিটিপাড়া, ডাকঘরঃ ভিটিপাড়া, ইউনিয়নঃ বরমী, উপজেলাঃ শ্রীপুর, জেলাঃ গাজীপুর। তিনি মাত্র তিন বছর বয়সে তার মাকে হারিয়েছেন। তার বাবা মোহাম্মদ আব্দুল গফুর মোট ৭টি বিয়ে করেন। কোন সৎ মা-ই তার প্রতি সদয় ছিলেন না বিধায় তার স্নেহময়ী নানী শিশু বয়সেই তাকে নিয়ে যান এবং নিজের কাছে রেখে মাতৃস্নেহে তাকে লালন করেন। এই নানীর প্রতি তিনি যারপরনাই কৃতজ্ঞ। তাকে এত উদারভাবে স্নেহ ভালবাসা দিয়ে লালন করতে নানীকে সুযোগ দেয়ার জন্য তিনি তার নানার প্রতিও সবিশেষ কৃতজ্ঞ। তার নানা একজন সম্পদশালী ব্যক্তি ছিলেন বলে তিনি জানান। নানী তাকে ৩০ বছরের মত লালন পালন করে ইন্তেকাল করেন।
তার বাবার মত তিনি ৭টি বিয়ে করেন নি। এই প্রায় ৮০ বছর বয়সেও তিনি একটি বউ নিয়েই সুখী জীবন যাপন করছেন। তিনি যখন ছাদ বুনার কাজ শেষ করে নীচে নেমে এসে আমার সাথে কথা বলছিলেন, আমি তখন লক্ষ্য করেছিলাম তিনি লাঠি নির্ভর, এবং তার ডান হাতটি নিরন্তর কাঁপছে। অর্থাৎ, তিনি পার্কিন্সন্স রোগে ভুগছেন। লাঠিটা তিনি ব্যবহার করেন হাঁটার সুবিধার্থে যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি ডান হাতের কাঁপুনি থামানোর জন্য। লক্ষ্য করলাম, লাঠির আগায় হাত রাখার সাথে সাথে তার হাতের কাঁপুনিটা অনেকটাই থেমে গেল। আমার বিস্ময়ের শেষ রইলো না যখন দেখি এর পরেও প্রতিটি কথার তিনি হেসে হেসে উত্তর দিচ্ছিলেন। অশীতিপর এই সদালাপী ব্যক্তি জীবনের প্রতি তার কোন অভিযোগ নেই বলে জানান। আগে কিছুটা ‘বয়স্ক ভাতা’ পেতেন, এখন অন্য কেউ একজন তার নামে টাকাগুলো উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি টাকা তুলতে গেলে তাকে জানানো হয়, ‘তোমার টাকা আগেই দেওয়া হয়ে গেছে’। এ নিয়ে তার কোনই অভিযোগ নেই। কাজ করেই এখনো তিনি তাদের দুটি মুখের অন্ন সংস্থান করতে পারেন। তার স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য কেমন আছে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি আবারও হেসে উত্তর দিলেন ‘অচল’। অচল মানে শয্যাশায়ী কিনা এটা জিজ্ঞাসা করাতে তিনি জানালেন, ‘না, এখনো কোনরকমে চলাফেরা করে, রান্দে বাড়ে, আমারে খাওয়ায়’।
আমার সাথে কথা শেষ করে তিনি মাটিতে বসে একটা পুটলি বের করে তা থেকে একটা পান বের করে মুখে পুরলেন। আঙুলে চুন মেখে তিনি দাঁতে লাগালেন। আবারও হাসতে হাসতে তিনি বললেন, তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তাদের ঘরে তার মোট ১৮টি নাতি নাতনি আছে। তিনি তাদের গর্বিত নানা/দাদা। তাদের সবাইকে নিয়ে তিনি সুখি জীবন যাপন করছেন। আমি বুঝলাম, এরই নাম মায়া! এমন একটি মায়াময়, অভিযোগবিহীন মন থাকলে যাপিত জীবন অবশ্যই সুখের হয়।
ঢাকা
০২ মাঘ ১৪২৮
১৬ জানুয়ারী ২০২২
শব্দ সংখ্যাঃ ১০৭৬
পা চলতে চায় না, তবুও লাঠি ভর করে পা টেনে টেনে হাঁটতে হয়!
"তাকিয়ে দেখলাম, এক বৃ্দ্ধ ব্যক্তি একাই আনমনে সে ছাউনি বুনছেন" - অশীতিপর, সদালাপী রহিমুদ্দিন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার পোস্টে পিতার ধর্ম নিয়ে অনেক অনেক পড়ার মতো বিষয়বস্তু পেয়েছি" - এতটা মনযোগসহ পোস্ট পাঠের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। পোস্টটিকে "প্রিয়"তে তুলে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
"আপনার পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। প্রিয়জনদের সাথে আপনার লেখা নিয়ে গল্প করতে পারবো" - এটা আমার জন্য এক বিরাট সন্তুষ্টির বিষয়। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৩
কুশন বলেছেন:
ঐ বয়স্ক মানুষটি নিজের ভাতা যাতে ফেরত পান, সেই ব্যবস্হা নিতে পারবেন?
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔয়ধ দেব কোথা??
তবে তিনি যেন সেটা ফেরত পান, সে আশাতেই তার ও তার পিতার নামসহ পূর্ণ ঠিকানা পোস্টে উল্লেখ করেছি। ঐ এলাকার যদি কোন ব্লগার কিংবা কর্তৃপক্ষীয় কেউ এ পোস্টটি পড়ে থাকেন, তার কাছে আমারও আবেদন থাকবে, স্বীয় উদ্যোগে তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার জন্য।
'ঐ বয়স্ক মানুষটি'র জন্য আপনার উদ্বেগ হৃদয়গ্রাহী। আপনাকে ধন্যবাদ, এ উদ্বেগটুকু ব্যক্ত করার জন্য।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। লেখা ও ছবি সবই মায়াময়!
চমৎকার দর্শন, অভিযোগবিহীন মন থাকলে যাপিত জীবন অবশ্যই সুখের হয়।
শুভেচ্ছা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "লেখা ও ছবি সবই মায়াময়!" - অনেক ধন্যবাদ, এই মায়াভরা মন্তব্যটির জন্য। মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৯
সোবুজ বলেছেন: চলমান ঘটনার সুন্দর বর্ননা করেছেন।ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে দুই বার ট্রেনে বগুড়া গেছি।ট্রেনের নাম মনে নেই,তবে বাহাদুরাবাদ গিয়ে ইস্টিমারে চড়েছিলাম মনে আছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওহো, আপনিও তাহলে 'ফুলবাড়িয়া আমল' এর লোক? আপনার তো তাহলে জীবনের অভিজ্ঞতা অনেক!
"ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে দুই বার ট্রেনে বগুড়া গেছি।ট্রেনের নাম মনে নেই,তবে বাহাদুরাবাদ গিয়ে ইস্টিমারে চড়েছিলাম মনে আছে" - ট্রেনের নাম মনে থাকার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি সকালে ট্রেনে চড়ে থাকেন, তবে সেটা ছিল দ্রুতযান এক্সপ্রেস, আর যদি রাতে ট্রেনে উঠে থাকেন তবে সেটা ছিল নর্থ বেঙ্গল মেইল। সে আমলে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুরের যাত্রীগণ ঢাকা থেকে সবাই একই ট্রেনে যেতেন। বগুড়ার যাত্রীদের বগি বোনারপারা জাংশন এ কেটে অপেক্ষমান শান্তাহারগামী ট্রেনের সাথে লাগিয়ে দেয়া হতো। তারা শান্তাহার হয়ে বগুড়া যেতেন।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যস্ততার কারনে আপাতত পড়া হোলনা- সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করব ভাই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করব ভাই"
আচ্ছা, আচ্ছা! কোনই সমস্যা নাই!
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
জগতারন বলেছেন:
"ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে"
আজকের লিখা খুব ভাল লাগলো।
সুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানবেন শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, লেখাটা পড়ে এখানে একটা সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাস + রেখে যাবার জন্য।
প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পড়তে পড়তে ভাবছিলাম সেই বৃদ্ধের ছবিটা থাকলে ভাল হতো তাকে দেখতে মন চাচ্ছে পরে দেখি নীচে ছবিটা আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ক্ষনিকের দেখা এসব অতিথিকে আপনার কলমে ঠাই দেয়ায়।
জীবন আসলেই বিচিত্র।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ".... ভাবছিলাম সেই বৃদ্ধের ছবিটা থাকলে ভাল হতো তাকে দেখতে মন চাচ্ছে পরে দেখি নীচে ছবিটা আছে" - পোস্টে দেখেছেন ছাদে বসা রহিমুদ্দিনকে। এবারে তাকে দেখুন মাটিতে দাঁড়ানো অবস্থায়ঃ
"ধন্যবাদ আপনাকে ক্ষনিকের দেখা এসব অতিথিকে আপনার কলমে ঠাই দেয়ায়" - আপনাকেও ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
"জীবন আসলেই বিচিত্র" - কোন দ্বিমত নেই।
৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১০
কুশন বলেছেন:
৮০ বছর বয়সে, ঘরের ছাউনীতে কাজ করা, পান খাওয়া, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে থাকা সত্বেও এতকষ্টকর "অভিযোগহীন জীবন"কে আপনি সুখের জীবন হিসেবে ধরে নিয়েছেন? আপনার নিজের জীবনের সাথে তুলনা করে আবার ভাবেন, তখন হয়তো বুঝতে পারবেন, ইহা কি সুখ, নাকি কষ্ট! আপনার ভাবনায় অবশ্যই সমস্যা আছে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি?
আচ্ছা, আমার সমস্যাটা আমার কাছেই থাকুক, আপনার ভাবনাটা আপনার কাছে।
৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪১
জুন বলেছেন: অনেক মনকাড়া একটি লেখা খায়রুল আহসান। আমাদেরও এই পরিনতি অপেক্ষা করছে। আর জানেনই তো সেই বিখ্যাত প্রবাদ ভালোবাসা নিম্নগামী। ছেলেপুলের জন্য আমাদের যতটা অন্তর পুরে তাদের কিন্ত বাবা মা এর জন্য নয়, প্রবাদটিকে সত্য করে তারাও তাদের সন্তানের জন্যই উতলা হয়। দিনশেষে সেই আমরাই বুড়ো-বুড়ি একটা কথা বলার লোকের খোজে নির্নিমেষ নয়নে এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকা।
+
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভালোবাসা নিম্নগামী" - তা তো অবশ্যই। কতটা নিম্নগামী, সেটা আগে না বুঝলেও, দাদা হবার পর এখন বেশ বুঝি।
"দিনশেষে সেই আমরাই বুড়ো-বুড়ি একটা কথা বলার লোকের খোজে নির্নিমেষ নয়নে এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকা" - বড় করুণ চিত্র, তবে বাস্তব।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯
সাজিদ! বলেছেন: কি সাবলীলভাবে অনুভূতির প্রকাশ!
পোস্ট ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "পোস্ট ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম" - শুধু তাই নয়। আপনি নীরবে আমার এ পোস্টকে আপনার "প্রিয়" তালিকায় তুলে নিয়েছেন, আমি সেটাও লক্ষ্য করেছি। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, আপনার এ উদার মূল্যায়নের জন্য।
১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫
শায়মা বলেছেন: মায়ায় ভরা এ ভূবনে ছেলেমেয়েরা হয়ত একদিন দূরে থাকে। নিজেদের যার যার জীবনে ব্যস্ত হয়ে যায় কিন্তু পড়ে থাকা বৃদ্ধ পিতা মাতার তাতেই শান্তি। হয়ত তারা কাছে নেই তবুও তাদের সাফল্য দেখে যাওয়াও আরেক প্রশান্তির ব্যপার। ছাউনীর উপর বসে থাকা বৃদ্ধ মানুষটি তো সদাই হরিষ টাইপ একজন হাসিখুশি মানুষ। তাকে দুঃখ দেয় কার সাধ্য আছে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "হয়ত তারা কাছে নেই তবুও তাদের সাফল্য দেখে যাওয়াও আরেক প্রশান্তির ব্যপার" - আপনি আপনার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ শক্তি দিয়ে সেই বয়সে না গিয়েও, সেই বয়সের অনুভূতিটাকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন মন্তব্যের এ অংশটুকুতে।
"ছাউনীর উপর বসে থাকা বৃদ্ধ মানুষটি তো সদাই হরিষ টাইপ একজন হাসিখুশি মানুষ। তাকে দুঃখ দেয় কার সাধ্য আছে?" - এ বিষয়টিও আপনি সেই সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ শক্তি বলেই দেখতে পেয়েছেন, অনুভব করতে পেরেছেন। সবই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপার!
অনেক ধন্যবাদ, পোস্টে সুন্দর মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য।
১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যেভাবে প্রচ্ছদে দেয়া পিতা ও তার দুই সন্তানকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এবং আগ্রহ করে ছবি তুলে রেখেছেন অনেকটা একইভাবে এখন থেকে প্রায় ৮ বছর আগে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক আমাকে, আমার স্ত্রীকে এবং আমাদের ৩ সন্তানকে থামিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন যেটা আমার এখনও মনে আছে এবং মাঝে মাঝে মনে পড়ে।
উনি ওনার বাড়ির দোতলার বারান্দাতে দাড়িয়ে ছিলেন আর আমরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার সাথে আমার স্ত্রী আর আমার তিন সন্তান। তখন আমার বড় ছেলের বয়স ১১ বছর, মেঝো ছেলের বয়স ৭ বছর আর ছোট মেয়ের বয়স ৬ বছর। বাচ্চারা আমাদের হাত ধরে হাঁটছে। হঠাৎ ঐ বয়স্ক ভদ্রলোক উপর থেকে আমাদের ডেকে বললেন 'বাহ! আপনাদের দেখতে বেশ ভালো লাগছে। এক সময় আমরাও আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এভাবে সময় কাটিয়েছি। এখন বাচ্চারা বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এই সৃতিগুলি আমাদের এখনও আনন্দ দেয়।'
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, আপনার স্মৃতিটাও তো বেশ চমৎকার! তখন যদি এখনকার মত যত্রতত্র ছবি তোলা জলবৎতরলং কাজ হতো, তবে সেই বয়স্ক ভদ্রলোকও হয়তো আপনাদেরকে দাঁড় করিয়ে একটা ছবি তুলে নিতেন!
স্মৃতিচারণমূলক মন্তব্য এবং পোস্টে প্লাস দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কুশন বলেছেন আপনার ভাবনায় সমস্যা আছে। আসলে কী তাই?
সুন্দর একটা লেখা। গ্রাম অঞ্চলে যৌথ পরিবার নিয়ে এই অশীতিপর বৃদ্ধ মানুষগুলি নিজেকে ঊজাড় করে সুখীই হয়।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "সুন্দর একটা লেখা। গ্রাম অঞ্চলে যৌথ পরিবার নিয়ে এই অশীতিপর বৃদ্ধ মানুষগুলি নিজেকে ঊজাড় করে সুখীই হয়" - ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে আপনার ভাবনাটা এখানে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি তো এই ব্লগে এই 'নিক' এ গত দু'বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্লগিং করছেন। আমার অনেক পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়েছি, আমিও আপনার অনেক পোস্ট পড়েছি। সেই সূত্রে আমরা দু'জনেই একে অপরের ভাবনার সাথে মোটামুটি পরিচিত আছি। সুতরাং, আপনিই ভালো জানবেন, আমার ভাবনায় কোন সমস্যা আছে কিনা। অন্যের কাছ থেকে তা জানার প্রয়োজন নেই। তাই নয় কি?
১৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৫
গরল বলেছেন: একসময় বাবার কোলে চড়ে, তারপর হাত ধরে হেটে হেটে পার্কে যেতাম, এখন মেয়েকে নিয়ে পার্কে যাই। পুরাতন স্মৃতি মনে পড়ে গেল, বাবাকে ছেড়ে চলে এসেছি, কবে মেয়ে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে সেই ভয়ে আছি। কঠিন বাস্তবতা, এটা মেনে নিয়েই চলতে হবে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কবে মেয়ে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে সেই ভয়ে আছি" - ভয় পেয়ে লাভ নেই, ভয় পেলে চলবে না। এর কারণ এবং উপায়টাও আপনিই বলে দিয়েছেনঃ "কঠিন বাস্তবতা, এটা মেনে নিয়েই চলতে হবে"।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০০
কুশন বলেছেন:
@নেওয়াজ আলি,
৭ নং মন্তব্যের উত্তরে লেখক ৮০ বছরের লোকটির সাথে তোলা ছবি দিয়েছেন; আপনার মতে, সেই "সুখী ৮০ বছরের মানুষ" ও লেখকের ছবি দেখেন, ও আবার মন্তব্য করেন। নাকি আপনার বয়স ৮০ বছর হলে, উত্তর দিলে ভালো হবে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: নেওয়াজ আলি এর পর্যবেক্ষণ ঠিকই আছে। কুঁড়েঘরে বাস করেও একজন মানুষ আমার/আপনার কিংবা জো বাইডেন/রানী এলিযাবেথ এর চেয়ে বেশি সুখী হতে পারে।
১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
জীবনটাকে মায়াময় করতে আমরা সারাটা সময় মাথার উপরে ছাউনী বুনে যাই! বোনা শেষ হয়না! জীবনের আঙিনায় ফিরতে হয় পা টেনে টেনে- বিষাদময় সময়ের লাঠিতে ভর করে করে!!!!!!!
তবুও মায়ারা পিছু ছাড়েনা কিছুতেই............
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "জীবনটাকে মায়াময় করতে আমরা সারাটা সময় মাথার উপরে ছাউনী বুনে যাই! বোনা শেষ হয়না! জীবনের আঙিনায় ফিরতে হয় পা টেনে টেনে- বিষাদময় সময়ের লাঠিতে ভর করে করে!!!!!!!
তবুও মায়ারা পিছু ছাড়েনা কিছুতেই............" - কি চমৎকার করেই না বললেন কথাগুলো! অসাধারণ অভিব্যক্তি!!
১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৫
কুশন বলেছেন:
৭নং মন্তব্যের উত্তরে দেয়া ছবি থেকে বলুন, কোন মানুষটাকে সুস্হ, সুখী মনে হচ্ছে? অপ্রয়োজনীয় বিনয়ীভাব মানুষকে লেখকে পরিণত করে না।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুখ এর সংজ্ঞাটা আপনার কাছে একরকম, আমার কাছে অন্যরকম হতে পারে। আমি লোকটাকে চাক্ষুষ দেখেছি, তার কথা মন দিয়ে শুনেছি। একজন অশীতিপর বৃ্দ্ধকে আমি এতটা হাসিখুশি থাকতে খুব কমই দেখেছি। সে জন্যেই তাকে আমার কাছে একজন সুখী ব্যক্তি মনে হয়েছে।
আপনি পোস্টটা পুরোপুরি পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে না। যার ফলে আপনি সমগ্র লেখার tone টা ধরতে পারেন নি।
১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই পৃথিবী মায়ার ভুবন, চারপাশে মায়ার উপকরণ ছড়িয়ে আছে।
চমৎকার লেখা, ভালোলাগা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই পৃথিবী মায়ার ভুবন, চারপাশে মায়ার উপকরণ ছড়িয়ে আছে" - খুব সুন্দর বলেছেন। এসব 'মায়ার উপকরণ' থেকেই আমি মাঝে মাঝে কিছু তুলে আনি এবং এখানে উপস্থাপন করি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমাদের চলার পথেরো নাই কোন শেষ , দেখারো নাই কোন শেষ।
চলার পথে আমরা ক্লান্তও হয়ে পরি আবার প্রাণ শক্তিও ফিরে পাই।
এমনো সময় আসে মনে হয় যেন বাতাসের উপরে উড়ে যাই,
যদিউ অনেক সময় নড়তে চড়তে উঠতেও পারি না একটুও।
চলার পথে এমনো অনেককে দেখি যাদের কিছুই নেই,
তারপরেও মনে হয় সমস্ত বিশ্ব যেন তাদেরই
না পাওয়ার মাঝেও নীজ মনে থাকে প্রশান্তি
তারই কিছুটা প্রকাশ দেখা গেল পোষ্টে ।
চলার পথে অনেক বয়োবৃদ্ধ মানুষদেরকে দেখি
যাদের দেহযন্ত্র তাদেরকে ভালমতে বাঁচতে দেয়না
আবার মরতেও দেয় না , যদিও তাদের কাছে
মুত্যুর অনেক সুযোগ দেখা দেয় বিভিন্ন সময়ে ।
অনেকে চোখ ছাড়াও দেখে এবং জিহ্বা ছাড়াও কথা বলে
হাত ছাড়াও কাজ করে , পা ছাড়াও পথ চলে
জীবনের অনেক কষ্ট বয়েও নীজ স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকে।
তারা নীজকে যেমন ভালবাসে অন্যকেও তেমনি ভালবাসে
ঘৃনা যদি কিছু করে তবে নিজেকেই করে জগতকে নীজ
মনের সকল ইচ্ছে গুলি বিলিয়ে দিতে পারেনি বলে ,
দুঃখে থাকলেও এক টুকরো হাসি নিয়ে মুখে
অন্যের ব্যথায় কাঁদে ।
এইভাবেই জীবন যুদ্ধে সকল প্রতিকুলতাকে ঠেলে
এক সন্তুষ্টিময় জীবন যাপন করে, আর সদাই ভাবে
তাঁদের কষ্টের জীবনকে ঘিরে কারো যেন কোন
আনন্দে ব্যঘাত বা বিবাদের কারণ না ঘটে ।
একথা সত্য যে আগেকার দিনের বয়োবৃদ্ধগন
শেষ বয়সেও কর্মঠ ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর ছিলেন
যা আমরা এখনকার মানুষেরা ভাবতেও পারিনা ।
দোয়া করি জগতের সকল বয়োবৃদ্ধ লোকজন
যেন সুস্থ সাবলিল ও কর্মঠ থেকে তাদের
জীবনকে উপভোগ করতে পারেন ।
আপনার পোষ্টের কল্যানে বয়োবৃদ্ধ মানুষটি যেন
তাঁর প্রাপ্য বয়স্কভাতা পাওয়ার সুযোগ পান
সে কামনাই রইল ।
আপনার জন্য রইল শুভেচ্ছা ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, বেশ চমৎকার একটি কবিতা লিখে ফেলেছেন! আমার লেখাটি সার্থক হলো!
এমন একটি সহমর্মী মন্তব্য এবং পোস্টে প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
কুশন বলেছেন:
আপনার লেখায়, বিনয়ীভাব আছে, কিছু দয়ামায়া আছে; কিন্তু একজন লেখক হিসেবে, সাধারণ মানুষের জীবনকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে পারেননি আপনি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক আছে।
২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আজকের বিষয় প্রথমটি অপত্য স্নেহ। খুব সুন্দর করে একজন বাবাকে সন্তানদের জগৎকে চেনানোর বা জানানোর চমৎকার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন।
দ্বিতীয় বিষয়টি যে অশীতিপর সদালাপী ব্যক্তির তাল পাতার ছাউনির তলাতেও সুখ আছে বিষয়টি শিক্ষনীয়। 15 নম্বর কমেন্টের প্রতিমন্তব্যে আপনার ছোট্ট উত্তরটি যথার্থই হয়েছে।
"কুঁড়েঘরে বাস করেও একজন মানুষ আমার/আপনার কিংবা জো বাইডেন/রানী এলিযাবেথ এর চেয়ে বেশি সুখী হতে পারে।"
পোস্টে 13 তম লাইক।
আট নম্বর কমেন্টে@ কুশনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানাই,
আমার পরিচিত একজন স্কুল শিক্ষকের বাবা সপ্তাহে দুদিন গ্রাম্য হাঁটে খাসির দোকান দিতেন।ছেলে লেখাপড়া শিখে চাকরি পেলে বাবাকে মাংসের দোকান বন্ধ করতে বললে ভদ্রলোক রাজি হননি। ওনার যুক্তি ছিল, তোমাকে যতদিন লেখাপড়া শিখিয়েছি বা সংসার চালিয়েছি ততদিন আমার পেশা নিয়ে তোমার লজ্জা ছিল না। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর ছাগোল কাটা বাবার পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছো। ভদ্রলোক খাসির দোকান বন্ধ করেননি।উনি নিজের উপার্জনের পথ বন্ধ করে ছেলের কাছ থেকে মাসোহারা নিতে রাজি ছিলেন না। সমস্যা হলো শিক্ষক পুত্রের বিয়ের সময়। পাত্রীপক্ষ যখন শোনে পাত্র শিক্ষক হলেও বাবা ছাগোল কাটে তো সব সম্বন্ধ না করে দেয়। এমতাবস্থায় ওনাদের সংসারে অশান্তি চরমে পৌঁছায়। ছেলে বাবা মায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। পরে শিক্ষক পুত্র কলেজ সার্ভিস দিয়ে আবার একটা কলেজের প্রফেসর হন। আরো কয়েকবছর পর অন্য একটি কলেজের অধ্যক্ষ হন। কিন্তু গ্রামে বাবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। যদিও বাবার তাতে আক্ষেপ ছিল না। ওনার একটাই কথা, লেখাপড়া শেখার সময় বাবার পেশা যদি লজ্জার না হয় তাহলে চাকরি পাওয়ার পর সেই পেশা লজ্জার কেন হবে। উনিও নিজেকে খুব সুখি বাবা মনে করতেন। ছেলে খোঁজ খবর না নিলেও উনি বাহ্যিকভাবে কোনদিন কাউকে ছেলের নামে কোনো অভিযোগ করেননি।
যাইহোক এমনো মানুষ কখনো কখনো মেলে যারা হাজার দুঃখকে জয় করে নিজেদের হাসিকে অম্লান রাখতে পারেন।
শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার গল্পটি এখানে শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মনযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়েছেন জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে প্রাণিত।
২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
কুশন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সুখ এর সংজ্ঞাটা আপনার কাছে একরকম, আমার কাছে অন্যরকম হতে পারে। আমি লোকটাকে চাক্ষুষ দেখেছি, তার কথা মন দিয়ে শুনেছি। একজন অশীতিপর বৃ্দ্ধকে আমি এতটা হাসিখুশি থাকতে খুব কমই দেখেছি। সে জন্যেই তাকে আমার কাছে একজন সুখী ব্যক্তি মনে হয়েছে।
-আপনার মতে, সুখের সংজ্ঞা অনেক আছে হয়তো; তবে, অসুস্হতা, দারিদ্রতা, অক্ষরহীনতা, একাকীত্ব সুখের অনুপস্হিতির বড় ধরণের কারণ; এই বিষয়টা আপনি অনুধাবন করেননি।
২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮
কুশন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: নেওয়াজ আলি এর পর্যবেক্ষণ ঠিকই আছে। কুঁড়েঘরে বাস করেও একজন মানুষ আমার/আপনার কিংবা জো বাইডেন/রানী এলিযাবেথ এর চেয়ে বেশি সুখী হতে পারে।
-অবশ্যই আপনার মতে, ব্লগার নেওয়াজ আলি ও ৮০ বছরের আলসাইমারের রোগী (আপনার পোষ্টের বয়স্ক মানুষটি ) রাণী এলিজাবেথ ও আপনার থেকে সুখী; কিন্তু সুখী নেওয়াজ আলি'কে ২ বচ্চা ও বউ ফেলে প্রবাসে কামলা দিতে হয়েছিলো, আর ৮০ বয়স্ক আলসাইমারের রোগীকে ঘরের চালে উঠে উহা মেরামত করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য; আপনারা সমাজ থেকে এত বেশী সুবিধা আদায় কারেছেন যে, কষ্ট কাকে বলে, সেটা নিয়ে ভাবার মতো কোন মহুর্ত জীবনে আসেনি।
২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:২৮
সোহানী বলেছেন: আগেও বলেছিলাম, আপনার এ ধরনের লিখা দেখলে খুব লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কোনভাবেই লিখা হয়ে উঠছে না।
কুশনের মতই আমিও দু:খ পেয়েছি বয়স্ক ভাতা না পাবার জন্য। এভাবে অসহায় মানুষগুলো কেন প্রতারনা করে!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যদি প্রশ্ন করা হয় “পিতার ধর্ম কি? - আপনার পোস্টে পিতার ধর্ম নিয়ে অনেক অনেক পড়ার মতো বিষয়বস্তু পেয়েছি। আমি পিতার ধর্ম নিয়ে লিখতে ভালোবাসি, পড়তেও ভালোবাসি। আপনার পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। প্রিয়জনদের সাথে আপনার লেখা নিয়ে গল্প করতে পারবো।
সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।