নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা, জীবনে মরণে...

০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০২


To a special dad from his children: A soulful remembrance.
"We miss you in so many ways
We miss the things you used to say
And When old times
We do recall
it’s then we miss
You most of all".
031412 July 2022

ছোটবেলা থেকেই, কোন কবরের দিকে চোখ পড়লে আমি চট করে চোখ সরিয়ে নিতে পারতাম না। আমার মাথায় ভাবনার উদয় হতো, কবরের নীচের মানুষটি যেন এখন কী করছে! এমন একটা ঔৎসুক্য কারও কাছেই প্রকাশ করতে পারতাম না, এমন কি বন্ধু বা খেলার সাথীদের কাছেও না। আমাদের দাদাবাড়িতে প্রবেশমুখেই একটা পারিবারিক কবরস্থান ছিল। ছোটবেলা থেকেই শুনেছি সেখানে আমার দাদা শায়িত ছিলেন, পরে চাচা ও দাদীও যোগ হয়েছেন। একদম ছোটবেলায় দেখেছি, নানাবাড়ির পেছনেও কয়েকটা কবর ছিল। তবে সেগুলো বাড়ির পেছনে ছিল বলে সচরাচর চোখে পড়তো না। বিএমএ তে প্রশিক্ষণ চলাকালীন এক অনুশীলনে গভীর রাতে প্রতিরক্ষামূলক ট্রেঞ্চ খোঁড়ার সময় কিছু হাড়গোড় বেরিয়ে আসে। বুঝতে পেরেছিলাম, কারও কবরের উপর আমি ট্রেঞ্চ খুঁড়ছি। অনেকদূর খোঁড়া হয়েছিল, আঁধার থাকতে থাকতে বাকি রাতটুকুতে সেটা পরিত্যাগ করে নতুন একটা ট্রেঞ্চ খোঁড়ার মত সময় হাতে ছিল না, দেহে শক্তিও ছিল না। তাই ঐ একই জায়গার আশেপাশে আরও খোঁড়াখুড়ি করতে শরীর ও মন কোনটাই সায় দিচ্ছিল না। অগত্যা, সদ্য খোঁড়া স্তুপিকৃত মাটি ফেলে ট্রেঞ্চের পাড় উঁচু করে সে যাত্রা আম্পায়ারদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম।

দেশে থাকতে ট্রেনে-বাসে চলাচলের সময় জানালা দিয়ে কোন কবর দৃষ্টিগোচর হলে মৃতদের প্রতি সালাম জানাতাম। আমাদের দেশের পারিবারিক কবরগুলো সাধারণতঃ ইট-বাঁধানো কিংবা বেড়া দিয়ে ঘেরা থাকে, তাই দিনের বেলায় দূর থেকে দেখেও বোঝা যায় যে সেগুলো কবর। ঢাকায় থাকতে প্রায়শঃ বনানী কবরস্থানে যেতাম, বেশিরভাগ সময় কোন দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, তবে অনেক সময় কোন উপলক্ষ ছাড়াই। আমার মত নগণ্য একজন মানুষের দোয়া কারো উপকারে লাগবে, এমন কখনো ভাবিনি। তবে কবরস্থানে গেলে আমি সবসময় সেখানে শায়িত মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করে থাকি। ফেরার সময় থেমে থেমে কবরের গায়ে লেখা সমাধিলিপি (এপিটাফ) গুলো পড়ি। বেশিরভাগ এপিটাফের কথা গতানুগতিক; নাম-ধাম, জন্ম-মৃত্যু তারিখ উল্লেখপূর্বক মৃত ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ছাড়া সেখানে আর কিছু থাকে না। তবে কিছু কিছু এপিটাফে ভাস্বর হয়ে থাকে ভালবাসার অনুভূতি এবং ছোঁয়া। সে সব কবর দেখেই বোঝা যায়, কবরগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়। শুধু কবরস্থানের মালি বা কর্মচারীই শুধু নয়, মৃতের ভালোবাসার অন্য কোন মানুষও হয়তো মাঝে মাঝে সেখানে এসে ছোঁয়া দিয়ে যান।

আমেরিকা ভ্রমণের সময় আমি ‘টাম্পা বে’ এলাকায় একটা কবরস্থানে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধুর বন্ধু এক মিসরীয় ব্যক্তির দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। দাফন অনুষ্ঠানে তার অস্ট্রিয়ান খৃষ্টান স্ত্রী (প্রাক্তন) এবং দুটি কন্যাসন্তানও উপস্থিত ছিল। সেই ব্যক্তির কবরের নিকটেই জনৈকা ‘নাজমা বেগম’ এর কবর হঠাৎ করে আমার নজরে আসে। সে কবরটি দেখে আমি বেশ কিছুক্ষণ অভিভূত হয়ে ছিলাম। পরে এ নিয়ে একটা পোস্টও লিখেছিলাম। সেটা পাঠ করা যাবে এখানেঃ বিদেশের মাটিতে কোন একজন নাজমা বেগম এর সমাধিতে....

আজ আমি মেলবোর্নের একটি কবরস্থানে গিয়েছিলাম, শুধু দেখার জন্য, কোন উপলক্ষে নয়। আমি আমেরিকাতে দেখেছি, আজ এখানেও দেখলাম যে কবরস্থানগুলোতে সব ধর্মবিশ্বাসীদের, যারা মৃতদেরকে কবরস্থ করে, একই কবরস্থানে সমাহিত করে। শুনেছি আমেরিকার কোন কোন এলাকায় মুসলমানদের জন্য পৃথক কবরস্থানও রয়েছে, তবে সে সংখ্যাটা অনেক কম। একই কবরস্থানে সব ধর্মবিশ্বাসীদের সমাহিত করার ব্যাপারটি আমার কাছে ভালো লাগে। পৃথিবীতে জীবিত অবস্থায় আমরা শান্তির সাথে সহাবস্থান করতে না পারলেও, মৃত্যুর পরে আর কোন বিভেদ থাকে না। সত্যিই, “Death is the greatest leveler”!

আজ দুপুরে গিয়েছিলাম ‘Bunorong Memorial Park’ এ। আমাদের বাসা থেকে প্রথমে বাসে করে ‘লীনব্রুক’ স্টেশনে যাই। সেখান থেকে ট্রেনে করে ‘ড্যান্ডিনং’ স্টেশনে। তারপর আবার বাসে করে ১৯ টা স্টপেজের পর ‘বুনোরঙ’ মেমোরিয়াল পার্ক’ এ। নামটা কে রেখেছিল জানি না, তবে অনুমান করি নামটা এখানকার আদিবাসীদের ভাষা থেকে নেয়া। অস্ট্রেলীয়রা কালক্রমে ধীরে ধীরে অনেক আদিবাসী নামকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এমন কি এখানে আদিবাসীদের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রণালয়ও রয়েছে। ২০২০ সালে নিউযীল্যান্ড সফরের সময়েও আমি এরকমটি দেখেছি, তবে এদের তুলনায় সেখানে আদিবাসী নামকরণ অনেক বেশি সংখ্যায় স্বীকৃত হয়েছে। সরকারী চাকুরীতেও এখানকার তুলনায় অনেক বেশি আদিবাসীদের বংশধরগণ উচ্চ পদে সমাসীন রয়েছেন। যাহোক, ‘বুনোরঙ’ নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, হয়তো আমার মাতৃভাষার সাথে মিল রয়েছে বলেই।

‘Bunorong Memorial Park’ এ পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা প্রায় দু’টা বেজে যায়। আকাশটা রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল বলে মনটাও ভালো ছিল। প্রবেশ ফটক পেরিয়েই দেখি ছোট ছোট সমাধিলিপির সারি, তার উপর নানারকমের প্রাকৃতিক ও কৃ্ত্রিম ফুলের ছড়াছড়ি। একজন ভদ্রলোককে ফুলের তোড়া হাতে গাড়ি থেকে নামতে দেখলাম। কিছুটা দূর থেকে তাকে দেখে প্রথমে বাঙালি বলে মনে হলো, কিন্তু কাছে আসার পর মনে হলো তিনি ভারতীয় কিংবা শ্রীলঙ্কান হবেন। আরও কিছুটা কাছে আসার পর তার সাথে সৌজন্যমূলক আলাপ সালাপ হলো। তার নাম Lindsay, তিনি তার আদি নিবাস মৌরিশাস থেকে এদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এখানে তার মা এবং বোন সমাধিস্থ রয়েছেন। আজ রবিবার, গীর্জায় প্রার্থনা শেষে তিনি তাদের কবর পরিষ্কার করতে এবং ফুল দিতে এসেছেন। এর খানিক পর দেখা হলো ৮৭ বছর বয়স্কা ক্রোয়েশিয়ান মহিলা মারিয়ার সাথে। তাঁর এক হাতে একটি কাঁচি এবং প্লায়ার্স ধরা ছিল, অপর হাতে কিছু মরা ডাল ও পাতা। বুঝলাম, তিনি কারো কবর পরিষ্কার করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। হাসিখুশি এই মহিলার সাথেও কিছুটা আলাপ হলো। ৩৫ বছর ধরে তিনি এ দেশে বসবাস করছেন। ২৮ বছর আগে তার স্বামী হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। সেই থেকে তিনি নিয়মিত এখানে এসে স্বামীর কবর পরিষ্কার করে প্রার্থনা করে যান। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে মুসলিমদের কবরের জন্য কোন পৃথক এলাকা আছে কিনা। তিনি আঙুল তুলে একটা জায়গা দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘খুব সম্ভব ওদিকে আছে’। হাসিমুখে বিদায় সম্ভাষণ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি সাঁ করে গাড়ি চালিয়ে চোখের আড়ালে চলে গেলেন। আমি কিছুদূর এগিয়েই দেখতে পেলাম একটা বোর্ডে লেখা আছে ‘Islamic Graves’। এগিয়ে গিয়ে সেখানকার কিছু সমাধিলিপিও পড়লাম। নাম দেখে বুঝা যায়, সেখানে কিছু তুর্কী, আফগান, ইরানী, লেবানীজ এবং আমাদের উপমহাদেশীয় লোকজনেরও কবর রয়েছে।

সমগ্র কবরস্থানের সমাধিলিপিতে উৎকীর্ণ আপনজনদের বিষাদমাখা ভালোবাসার বাণীগুলো পড়ে ভালোবাসার এমন নিবিড় অনুভূতি মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সবগুলো পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু তা করতে গেলে সারাটা দিন কেটে যেত। তবুও ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকটা বাণী পড়লাম, কিছু ছবিও তুললাম। ছবিগুলোর নীচে লেখা আমার মন্তব্যগুলোর মধ্যে আমার মনের তখনকার ভাবনাগুলোর কিছু প্রতিফলন রয়েছে। আরেকটা বিষয় এখানে লক্ষ্য করেছি যে অনেক মানুষ তার পোষা প্রাণীটিকে এতই ভালোবাসেন যে তারা চান, তাদের মৃত্যুর পর তাদের পোষা প্রাণীটিকেও (বিশেষ করে বিশ্বস্ত কুকুরকে) যেন তাদের পাশে সমাহিত করা হয়। এখানে আমি অনেক কুকুরের স্মৃতিফলক দেখেছি, যেখানে তাদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার কথা উৎকীর্ণ হয়ে আছে।

‘Bunorong Memorial Park’ কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ, এত সুন্দর করে সমাধিক্ষেত্রটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য। তাদের মূলমন্ত্রটি- “Honouring and Celebrating Life” যথার্থ। মৃতদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেই যেন তারা জীবনকে সম্মান জানাচ্ছেন এবং সেলিব্রেট করছেন। এখানে যারা প্রার্থনা করার জন্য কিংবা ভালোবাসার টানে আসেন, তারাও সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা করেন, এলাকাটিকে পরিষ্কার রাখতে।

মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
০৩ জুলাই ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ৯৭৭

ছবিসূত্রঃ ছবিগুলো আমার সেলফোন ক্যামেরায় তোলা, আই-৭ এ।


Lynbook Station, Melbourne এর Platform Number 1 থেকে তোলা ছবি।
031315 July 2022


গন্তব্যের শিরোনাম
031359 July 2022


শ্রদ্ধা, 'dad' এর প্রতি....
031441 July 2022


'To know her was to love her' - what a soulful recognition, by her loving husband and children!
Pamela Rose de Little ২০০৫ সালে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন।
031408 July 2022


A bond of love
June Davies lovingly remembered by her husband, children and grandchildren, missed by everyone and loved by all, who recognize her as a "Light in the darkness of our lives", died at the age of just 50 in 2001.
Her pet dog KARA died later and was buried beside her. Kara has been described as "Loving and faithful to the end, family pet and constant companion in life", who is "now resting at peace with June".
031420 July 2022


A fitting tribute to someone who was "Larger than life"....
Alexander Vainer died at the ripe age of 82 in 2018, leaving a legacy of love, generosity, kindness and strong-willed bond of unity and mutual protection among his children.
031422 July 2022


The statue of the faithful pet still stands guard to his master at rest, who described him as a ‘Companion for Eternity’!
031428 July 2022


"Always in our thoughts, forever in our hearts"....
Keith Mervyn Henshall এবং Thelma Frances Henshall যথাক্রমে ২০২১ এবং ২০২০ সালে ৯১ এবং ৮৭ বছরের পরিণত বয়সে প্রয়াত হন। তাদের দু'জনার মৃত্যুর মাঝে মাত্র ৮ মাস ২০ দিনের ব্যবধান ছিল। সফল, পরিপূর্ণ জীবন বলা যায়!
031432 July 2022


একটি কঠিন শিলাখণ্ড কেইট প্যাট্রিসিয়া বয়েল এর ভালোবাসার কোমল স্মৃতি বুকে ধারণ করে আছে।
031435 July 2022


"His family and friends were his world"....
বহমান শীতল জলধারার মাঝখানে বসে শিলাখণ্ডটি ২০০৮ সালে ৫৪ বছর বয়সে প্রয়াত Will Sanfey এর উষ্ণ স্মৃতি বুকে ধারণ করে আছে।
Love this thoughtfulness of his family members.
031445 July 2022


"Precious memories held close to our hearts"....
This loving couple both had a long life by the Grace of God. The husband Alfred Leslie Ackerly lived for 89 years and his wife Aileen Joyce Ackerly for 102 years, leaving behind two children, three grandchildren and eight great grandchildren.
031446 July 2022


"Weep not she has gone,
But smile that
She has been.
Close to our hearts she
Will always stay,
Loved and remembered
Everyday."

An elderly couple who lived a long innings of life. He for 88 years and she for 90 years.
031446 July 2022


Heartfelt homage paid to 'Lou' by loving soul mate 'Lulu'....
Lou died at the age of 73 in 2009.
031456 July 2022


Salaam to you, Khatun Sattar! You were only three years younger than my mother, and died five years earlier. Your lonely grave brought tears to my eyes, as it reminded me of my mother, who passed away just thirty eight days ago and now rests in peace like you!
031510 July 2022


In peace and serenity....
The silence of graves whispers,
'Peace' to my ears!
031521 July 2022


Thank you too, @ Bunorong Memorial Park. You've maintained the graveyard remarkably well. Felt peace at heart while I was here. Going back home with satisfaction, seeing the love, kindness and care displayed not only by the family members of the dead, but also by the authority in charge.

Love your motto: 'Honouring and Celebrating Life'.
Truly so!
031510 July 2022

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কবর দেখলে আমিও সালাম দেই। আর মনে মনে বলি আমিও এই পথের যাত্রী আমি আসছি আপনারা অপেক্ষা করুন :(

০৫ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিক কাজটিই করেন বলে আমি মনে করি।
প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ বেলায় এমন একটা স্থানে শায়িত হতে মন চায় - যদিও ভাবতে চাই না :(

০৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রিয় ভাই আমার, আমাদের চাওয়া না চাওয়ার উপর কিছুই নির্ভর করে না। এটাই সত্য।
পোস্ট পড়েছেন, প্রীত হ'লাম। মনের একটা ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন, এটাতেও খুশি, কারণ পোস্টের সাথে আত্মস্থ হতে পেরেছেন বলেই মন এমন একটি কথা বলে উঠেছে।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা...

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কত কথা বলার থাকে এমন পোষ্টে, সব শেষে মনে হয় না থাক।
ভালোলাগা লেখায়।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কত কথা বলার থাকে এমন পোষ্টে" - এতটুকু পড়ার পর কথাগুলো জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু...
"সব শেষে মনে হয় না থাক" - এখানে এসে একটু আফসোসই হলো। মিস করলাম একজন মননশীল পাঠকের পাঠোত্তর প্রতিক্রিয়াটা।
তার পরেও, মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার আজকের পোষ্ট টি আমার ভালো লাগেনি।
আমি মৃত্যু কে ভয় পাই। কবর, কবরস্থান আমি ভয় পাই। আমি এখন মরতে চাই না। আমি মারা গেলে আমার মেয়ের ভীষণ কষ্ট হবে। সে আনন্দ নিয়ে বড় হতে পারবে না।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয় পেলেও রক্ষা নেই। এ অমোঘ পরিণতি অবশ্যম্ভাবী, একে একদিন মেনে নিতেই হবে। সেই 'একদিন' টি কার কখন এসে যাবে, তা কেউ জানে না!

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবর মানুষের শেষ ঠিকানা।
আবার কবর প্রথম ঘাটি যা অবশ্যম্ভাবী।

দারুন কিছু কথা আর স্মৃতি চারণ ।

০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনিও দারুণ দুটো কথা বলেছেন! নিখুঁত পর্যবেক্ষণ!
ভালো থাকুন কবি, শুভেচ্ছা নিরন্তর!

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পড়ে মনটা কেমন যেন ভারহয়ে এলো; দিন শেষে আমাদের সবাইকে এখানেই যেতে হবে। :(

০৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটাই অমোঘ সত্য, চির শাশ্বত!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আমাদের অধিকাংশ মানুষকে সমাধি চিন্তিত করেনা। আপনার অনুভূতি পবিত্র।

০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষ বাক্যটি মনে গেঁথে র'লো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।
শুভকামনা....

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমাদের বাড়ির পাশেই দাদার কবর, বাবা বেঁচে থাকতে প্রতি ঈদের নামাজ শেষে জিয়ারত করা হতো। এখন বাবাও নেই, দাদার কবরও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বাবার কবরে চটির বেড়া দিয়ে ঘেরা, বেশ পুরোনো লাগে দেখতে, অথচ মাত্র তিন বছরের কিছু বেশী সময় হলো। বাবার নাম, দাদার নাম আর জন্ম-মৃত্যুর তারিখ ছাড়া আর কিছু লিখা নেই। আমি সবাইকে বলে রেখেছি আমাকে যেন ঐ কবরস্থানেই দাফন করা হয়। বাবাকে দেখা হয়না, কথা হয়না অনেক অনেক হয়ে গেল!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন কবরস্থানে গেলে আমার মনেও নানা রকমের ভাবনার উদয় হয়। আমি সমাধিলিপি পড়তে ভালবাসি। সমাধিলিপির প্রতিটি কথায় হৃদয় নিঃসৃত ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে। মৃত মানুষটিকে হয়তো তার রেখে যাওয়া পরিবারের সবাই সমানভাবে ভালবাসতো না। যিনি এই সমাধিলিপি লেখার এবং প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিলেন বা থাকেন, তিনি এ কাজে তার হৃদয় ঢেলে দেন।

আমার বাবা এবং মা ৩৪ বছরের ব্যবধানে প্রয়াত হয়েছেন। তারা উভয়ে আজ একই ক্ববরে শায়িত আছেন।

কার মাটি কোথায় হবে কেউ জানে না। এমনকি ভাগ্যে মাটি পাওয়া যাবে কিনা, সে ব্যাপারেও কেউ নিশ্চিত হতে পারে না। সুতরাং এ নিয়ে মাথা ঘামাই না।

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: কার মাটি কোথায় হবে কেউ জানে না। এমনকি ভাগ্যে মাটি পাওয়া যাবে কিনা, সে ব্যাপারেও কেউ নিশ্চিত হতে পারে না।
সত্য বলেছেন। কিন্তু স্বাভাবিক প্রত্যাশা তো করা-ই যায়, তাই বলার জন্য বলা। মৃত্যু চিন্তুা আমার তরুণ বয়স থেকেই। মৃত্যুকে আমি পজিটিভলি দেখি। যার কাছ থেকে আসা তার কাছেই ফেরত যাওয়ার চেয়ে সুখকর কিছু হতে পারে না। এ ব্যাপারে আমি ইসলামিক ধারনার সাথে পরিচিত। বারজাখ নিয়ে যে চিন্তা নেই তাও নয়, ভয় আছে, আছে অজানা শঙ্কা। তবুও অমেঘ পরিণতিকে কে-ই বা এড়িয়ে যেতে পেরেছে? ইদানীং রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলেও প্রায়ই মনে পড়ে, "যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাাঁকে।"

অনেক ধন্যবাদ স্যার।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কিন্তু স্বাভাবিক প্রত্যাশা তো করা-ই যায়, তাই বলার জন্য বলা" - জ্বী, সেটা বুঝতে পেরেছি এবং এ প্রত্যাশার সাথে একমত।
"বারজাখ নিয়ে যে চিন্তা নেই তাও নয়, ভয় আছে, আছে অজানা শঙ্কা" - এ ভাবনাটা এবং শঙ্কা, দুটোই থাকা ভালো। সীমা লঙ্ঘন থেকে মানুষকে বিরত রাখে।
"ইদানীং রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলেও প্রায়ই মনে পড়ে, "যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাাঁকে" - এমন ভাবনা প্রায়শঃ আমার মনেও উদয় হয়।
পুনঃমন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.