নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালাম আজাদ

কালাম আজাদ কক্সবাজার

মানবধর্ম ও সাম্যবাদী রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী

কালাম আজাদ কক্সবাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র রমজান মাসেও উপেক্ষিত ভোক্তা অধিকার আইন

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২



প্রতিবছরের মতো এবারের মাহে রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েই চলছেই্। কোন মতেই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য পরিস্থিতি। এ নিয়ে সরকারের সাথে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্র“তি কোনটিতেই শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসছে না। যথারীতি নিত্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি। অন্যদিকে যে আইন ভোক্তা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণ করবে, সেই আইনও রয়েছে অনেকটা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। দেশে ভোক্তা অধিকার আইন পাস হয়েছে ২বছর হলো। এ পর্যন্ত মাত্র ৮টি অভিযোগ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার কমিশন। এতেই বোঝা যায় এ আইনের প্রয়োগ কতোটা সীমিত।

সংশ্লিস্টরা বলেছেন, ভোক্তা অধিকার আইনের কিছু দুর্বল দিকের কারণেই এর সুফল পাচ্ছেনা সাধারণ ভোক্তা সমাজ। তাই ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে আইনের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে আইনটি ভোক্তা বান্ধব করা, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলো ভাবতে হবে গুরুত্ব দিয়্।ে প্রতি রমজানেই দেখা যায়, কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি, পেয়াজ, ছোলা, কাঁচামরিচ, বেগুন ইত্যাদি পণ্যের দাম -দর নিযে চরম দুর্ভোগে পড়েন ভোক্তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় সবধরণের পণ্য বাজারেই অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেভাবে পারছেন নানা উছিলায় বাড়তি মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছেন ভোক্তা সাধারণের কাছ থেকে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তার খুব একটা প্রভাব নেই বাজারে। ভোক্তারা বাধ্য হচ্ছেন বেশি দামে মোকাবেলার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তার একটা প্রভাব নেই বাজারে। তারপরেও ভোক্তারা বাধ্য হচ্ছেন বেশি দামে জিনিসপত্র কিনতে। এ জিম্মিদশা থেকে ভোক্তাদের মুক্তি দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার। পাস হয়েছে ভোক্তা অধিকার আইন। কিন্তু বহু প্রতিক্ষিত আইনটি এখনো ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে কার্যক্রর কোন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। শুধু পণ্যমূল্য বাড়ানোই নয়, পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, সেবার তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, পণ্য মজুদ করা, ভেজাল পণ্য বিক্রি করা, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, পণ্য নকল করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা ইত্যাদিও ভোক্তা অধিকার পরিপন্থি। ভোক্তাদের এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার চাওয়ার আইনি অধিকার আছে। কিন্তু এ সম্পর্কে ভোক্তারা ওয়াকিবহাল নন বললেই চলে।

বাংলাদেশে ভোক্তা সাধারণের অধিকার নিশ্চিত না হওয়ার পেছনে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের দুর্বলতা, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের যথাযথভাবে কার্যক্রর না হওয়া এবঙ সর্বোপরি এ সচেতনতার অভাব। ২ বছরে মাত্র ৮টি অভিযোগই এর প্রমাণ। অনেকেই জানেনই না কোথায় গিয়ে কীভাবে অভিযোগ করতে হয়। এছাড়া রয়েছে অভিযোগের প্রমাণের আইনগত জটিলতা। অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে উল্টো অভিযোগকারীকেই দণ্ড ভোগের আতঙ্কও রয়েছে। এসব কারণে দেখা যায় ক্রেতা সাধারণ জেনেশুনে ঠকলেও অভিযোগ করতে যান না॥ এসব কারণেই অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে আর ভোক্তা সাধারণ প্রতিনিয়ত হচ্ছে নিগৃহীত্। এ অবস্থা চলতে পারে না। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। আইনের দুর্বল দিকগুলো বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো সংশোধনের কথা ভাবতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। নতুবা যে আইন এখন চালু হয়েছে তার বাস্তব রুপ দিতে হবে। শুধু আইন থাকলেই চলবে না, এর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে কার্যক্রর করতে হবে। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে, অধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহার করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.