নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংবিধিবদ্ধ স্মরণ- গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে হোয়াইট ওয়াশ (৩-০) হয়েছে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়া
খ্রিস্টপূর্ব ৫৪৩ অব্দে বিজয় সিংহ বাংলাদেশ থেকে সাতশত সৈন্যদল নিয়ে শ্রীলঙ্কা জয় করে সিংহল (সিলোন) নামকরন করেন। নিজের মাতৃভূমি বাংলাদেশের মতো করে বিজয় সিংহ তাঁর বিজিত শ্রীলঙ্কাকে গড়ে তোলেন। সর্বপ্রথম বঙ্গবীর বিজয় সিংহের অমর জীবন কাহিনী নিয়ে নাট্ট সম্রাট দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘সিংহল অভিযান’ শীর্ষক নাটক রচনা করেছিলেন এবং তাঁর ভাষায়:
“একদা যাহার বিজয়ী সেনানী
হেলায় লঙ্কা করিল জয় ।
আজও অজন্তা গুহায় বিজয় সিংহের সিংহল (লঙ্কা) অভিযানের সচিত্র উপস্থিতি বিরাজমান। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায়:
“আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ লঙ্কা করিয়া জয়,
সিংহল তার নাম হল বাঙালি শৌর্য বীর্যের পরিচয়।”
১৯৮৪ সালে শ্রীলঙ্কার লেখক কলিন ডি সিলভা ৭০১ পৃষ্ঠা জুড়ে ইংরেজীতে ‘দি ফাউন্টস অব সিংহল’ শীর্ষক বঙ্গবীর বিজয় সিংহের জীবনী-নির্ভর উপন্যাস রচনা করেছেন। শ্রীলঙ্কার মূল ভাষা সিংহলিজ বিজয় সিংহের বিজয়চিহ্ণ বহন করছে।
আজ তারই উত্তরসূরিগণ শততম টেস্ট জয় করে নতুন বিজয়গাঁথা রচনা করেছে। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪। নিজেদের শততম ওয়ানডেটা জয় দিয়েই উদ্যাপন করেছিল বাংলাদেশ। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের কাছে ভারত হেরেছিল ১৫ রানে। সেই বাংলাদেশ নিজেদের শততম টেস্টটাকেও রাঙালো জয় দিয়ে। কলম্বো পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শততম টেস্টে জয় পেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আগে নিজেদের শততম ম্যাচে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। মজার ব্যাপার, বাংলাদেশের মতো এই তিনটি দলও নিজেদের শততম ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান আগে জিতেছিল শততম টেস্ট, পরে শততম ওয়ানডে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটা। কারণ সবচেয়ে কম সময়ে শততম টেস্ট খেললেও বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে কম। অন্যদের দেরি হয়েছে যাতায়াত সমস্যা আর কম টেস্ট ম্যাচের কারণে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়, যেটি এল ১৮শ বারের চেষ্টায়। টেস্টে বাংলাদেশ এর আগে রান তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুবার। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে গ্রেনাডায় ২১৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০১ রান তাড়া করে জিতেছিল ৩ উইকেটে। এ জয়ের মাহাত্ম্য নিঃসন্দেহে আগের দুটিকে ছাড়িয়ে গেছে। দু'শ রানের কম টার্গেট তাড়া করে বাংলাদেশ জিতেছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মাঠে দু'শর কম রান তাড়া করতে গিয়ে হেরেছে ভারত ও পাকিস্তান। দু শ রানের নিচে লক্ষ্য দিয়ে আগে শ্রীলঙ্কার জেতা দুটি টেস্টেই স্বাগতিকদের জয়ের অন্যতম কুশীলব ছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে গলে চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ২ উইকেটে ৭১ রান তুলেও পাকিস্তান ১১৭ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচটি ৫০ রানে হেরে গিয়েছিল। সফরকারীরা শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছিল ৪৬ রানে। যার চারটি উইকেটই নিয়ে ছিলেন হেরাথ।
এরপর ২০১৫ সালে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে ভারতের বিপক্ষেও জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। গল টেস্টে বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, লোকেশ রাহুল, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মাদের নিয়ে গড়া ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ হেরাথের ঘূর্ণি জাদুতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ৪৮ রানে হেরাথ ৭ উইকেট নিলে ভারত অলআউট ১১২ রানে। শ্রীলঙ্কার জয় ৬৩ রানে।
সেই হেরাথই আজ বাংলাদেশের চতুর্থ ইনিংসের শুরুতে ভীতি ছড়িয়ে ছিলেন। অষ্টম ওভারেই পর পর দুই বলে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত জিতেছে বাংলাদেশই।
প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই মুশফিক বাহিনীকে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Prince_Vijaya
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক জানলাম।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পাঠের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৬
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৬
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: উইকি থেকে বিজয় সিংহের কাহিণী https://en.wikipedia.org/wiki/Prince_Vijaya