![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......
১
এক সময় এমন হল যে আরণ্যক নিজে নিজেই বুঝতে পারল যে সে একজন অটিস্টিক। তার মানসিক বিকাশজনিত সমস্যা ছিল সে নিজেই আসতে আসতে কাটাতে শুরু করল। আর্যণক শুধু জানত বেঁচে থাকলে খেতে হবে। আরণ্যক খাবারের সংগ্রহে গেলে তাকে পৃথিবীর সমজায়গায় ঘাই খেতে হত্। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মুহূর্তে যখন চরম বেদনার সম্মখিন হতে হয়েছিল তখন সে নিজের সমস্যাগুলো সম্পর্কে আরো সচেতন হয়ে উঠে।
আরণ্যক জানত ভালো খেতে ও পরতে হলে ঈশ্বরকে মানতে হবে। এভাবে সে ঈশ্বরকে মানতে শুরু করে । জীবনের পদে পদে ঈশ্বরকে পাবে বলে সে সাধনা করেছিল। আরণ্যক অরণ্য ভালোবাসত। জীবনের যেখানে সে কষ্ট পেত সেখানে সে
অরণ্যের কথা ভাবত , নিস্বঙ্গ অরণ্যের কথা।
এভাবে অরণ্য , আরণ্যক, ঈশ্বর, গভীর অনুভূতি ও আরণ্যকের প্রিয়সী নিয়ে লিখতে বসা। আমি ছোট ।কিন্তু আরণ্যক এতটাই বড়। তারপরেও তাকে নিয়ে লেখার অবিরত চেষ্টা করে যাচ্ছি।
২
আরণ্যক যে অটিস্টিক ছিল সেটা বুঝতে আমার বেশী দেরি হয়নি।একজন অটিস্টিক তার নিজেকে কিভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিল তা নিয়ে আমি ভাবতাম। মাঝে সাইক্লোজিও পড়তাম।আরণ্যক নিজেও এক সময় বুঝতে পেরেছিল যে সে একজন অটিস্টিক। কারণ সে নিজের সম্পর্কে প্রশ্ন করত ও নিজেই উত্তর দিত।এভাবেই সে বুঝতে পেরেছিল নিজের প্রতিবন্ধকতাগুলো। একজন অটিস্টিক কিভাবে তার জীবনের সফলতার শীর্ষে পৌছেছিল তা নিয়ে আমার নিত্য প্রচেষ্টা। তাকে কিভাবে সাহিত্যে ফুটিয়ে তুলব। সেটাই আমার ভাবনা।আরণ্যক অনেক বড়। কিন্তু আমিতো অনেক ছোট। আমি কোন লেখকও নয়। তাহলে কি আমার দ্বারা সম্ভব হবে আরণ্যককে নিয়ে লেখা।
©somewhere in net ltd.