![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......
ছেলেটার বয়স কেবল দশ। পড়া নেই শুনা নেই। কারো কথা শুনা নেই। তবে দিলে ভয় আছে ব্ড্ড।বাবা বাজার থেকে আসবে। আগেই রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। যদি বাবা মিষ্টি বা খাবার কিছু আনে।কিন্তু মাতো তাকে একটি বা দুটোর বেশী মিষ্টি দেবে না।ওর দরকার এক প্যাকেট মিষ্টি । না হয় চুরি করে দুটো মিষ্টি খেয়েই নেবে। কিন্তু মা বুঝে নিবে। মিষ্টি বা খাবার চুরিতো শুধু ওর কাজ। ইতিমধ্যে ওর এই চুরি করা প্রসঙ্গে জেনে গেছে বাড়ীর পার হয়ে প্রতিবেশীরাও।ভাই বোনরা তাকে ছোট চুড়ুক চোর বলে ডাকে।তাতে ওর বিবেকে বাধে। এই নামটা কি অর্থ বহন করে তা সেও জানে। কিন্তু আজ টাকা চুরি করে বিস্কিট খাওয়া , কাল টাকা চুরি করে বিড়ি খাওয়া। বাবার পকেট থেকে বিড়ি চুরি করে খাওয়া। চুরি করে ভায়ের ঘুড়ি ওড়ানো। ভাই বাড়ী আসার আগেই ঘুড়িটা যথাস্থানে রেখে দেওয়া।
বাড়ীর সকলে ইঁদুর মারার কল পেতেছে। সেটা ওর এই চৌর্যবৃত্তি। আজ সকালে বাবার পকেট থেকে দশটাকা চুরি হয়ে গেছে। কে নিয়েছে? বেটা চুড়ুক চোর আরণ্যক। কিন্তু অস্বীকার। না আমি নিইনি।ডাকা হল হুজুর কাকাকে ।বাড়ীর ছোট খাটো সকলকে হুজুর কাকার পড়া পানি পড়া খাওয়ানো হবে। প্রকৃত চোর ধরার জন্যে।যে প্রকৃত চোর সে যদি পানি পড়া খায় তবে তার পেট ফুলে পেট ফেটে যাবে। চুড়ুক চোরের খুব ভয়। সে ভয়ে স্বীকার করে নিল যে মা আমিই চুরি করেছি। এতটুকু ছেলে। এত কথা শুনতে হল। বাবা বলল ওর আর লেখাপড়া হবে না।ওকে দুটো গরু কিনে দেব।এখন থেকে গরু চোরানো শিখুক।
ছবি- ইন্টারনেট থেকে নেওয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
চরিত্র হচ্ছে, তবে ক্রোনোলোজিক্যাী মিল থাকছে না, কোন সময় শিশু, কোন সময় ইউনিভার্সিটিতে, কখনো কিশার!