![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......
আরণ্যক খুব সুখী লোক বটে। মানুষের ছোট খাটো উপকার করতে তাকে খুব দেখা যায়। সবে মাত্র লেখাপড়া শেষ করে সে চাকরিতে লেগেছে। সিলেটে খাদিমনগরে। সবাই তাকে একজন বিশেষ , ভদ্র ,পরোপকারি ও মার্জিত মানুষ হিসেবে জানে।
আরণ্যক দীর্ঘ ছয় বছর হিমাকে ভালোবেসেছিল। তাকে পায়নি। তার কাছে হীনমন্যতার কারনে সে যেতে পারেনি। সে গরীবের ছেলে। তার উপর হিমার চাইতে সে উচ্চতায় দেড় ফুট ছোট। সে কারনে সে লজ্জায় হিমার কাছে যায়নি। তাকে প্রেম প্রস্তাব-ও দেয়া হয়নি।তবে মনে মনে সে হিমার সাথে কথা বলে।
হিমা তাকে বলেছে। আরণ্যক ভাগ্যে যা লেখা আছে তা মেনে নাও। জানি তুমি ভালো ছেলে। তুমি আমাকে পেলে না । তাই কি হয়েছে। আমার উপর দোষারোপ করোনা। নিজের উপরেও না । ভাগ্যের উপরও না। যা হচ্ছে তা স্বাভাবিক ভাবেই হচ্ছে। যা হবার তা হবে।
জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবেসেছিলে। ভার্সিটি লাইফের প্রতিটি মুহূর্তে তুমি আমাকে মিচ করেছ। আমাকে পাওনি।
একটি কাজ যদি করো-তুমি আমার চায়তে তুমি বেশী কিছু পাবে।
করবে সেই কাজটা?
আরণ্যক বলল-কি সে কাজ?
হিমা বলল- তুমি আমাকে যে পরিমাণ ভালোবাসতে, আমাকে যা দিতে ,সেই ভালোবাসাটুকু অন্য সকল মানুষকে বিলিয়ে দাও। যদি আমার প্রতি ভালোবাসার দশভাগের এক ভাগও , তুমি যদি গরীব দুখি অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দিতে পার। দেখবে তুমি সমাজে সব চায়তে উল্লেখযোগ্য মানুষ হিসেবে পাবে। খোদাও তোমাকে ভালোবাসবে।
আরণ্যক হিমার দেওয়া দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। তবে হিমার সাথে তার মনে মনে ,গোপনে কথা হয়।
সমাজের মানুষ এক অক্ষরে আরণ্যককে ভদ্র ও ভালো লোক জানে। আরণ্যক সকলের বিপদে এগিয়ে আসে। কারণ ঐ একটাই।হিমার প্রতি ভালোবাসা সে সমাজের প্রতি বিলিয়ে দিতে চায়।
শুধু তাই নয়। সমাজ ও মানুস নিয়ে কবিতা লিখে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আরণ্যক বিয়ের জন্যে মেয়ে খোঁজা শুরু করেছে। কারণ হিমা তাকে মনে মনে বলছে-দেরী করো না। তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে নাও। আর হে, বউকে একটু বেশী করে ভালোবেস ঠিক আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী ছেলেরা ভালোবাসে ১ জনকে, বিয়ে করে অন্যজনকে!