![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।
ভাগ-২ এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় ও তার পূর্বে আরবদের মধ্যে কোন নির্ধারিত বর্ষ গণনা পদ্ধতি ছিল না। বিধায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের তারিখের হিসাব রাখা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা বাস্তবতার নিরিখে প্রশ্নের অবতারনা করে। বিগত পনের বা বিশ বছর পূর্বে আমাদের পরিচিত কে কখন কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তা আমরা কতটুকু মনে রেখেছি। বিধায় ভাগ-২ এ উল্লেখিত হাদিস অনুযায়ী জানা যায় যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাতীর বছর জন্মগ্রহণ করেন। অর্থাৎ যে বৎসর আবরাহা হাতী নিয়ে কাবা ঘর ধ্বংসের জন্য মক্কা আক্রমণ করেছিল। ঐতিহাসিকদের মতে এ বছর ৫৭০ বা ৫৭১ খ্রীষ্টাব্দ ছিল। এছাড়া সহীহ মুসলিম শরীফ এর কিতাবুস সিয়াম অধ্যাইয়ে যে হাদীসটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সোমবার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন: ‘‘এই দিনে (সোমবারে) আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়ত পেয়েছি।”
সামগ্রীক পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাতীর বছর সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন।
উপরের হাদিস থেকে জন্মদিন পালনের একটি আমল আমরা দেখতে পেলাম, তা হলো জন্মবারে রোজা রাখা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মবারে রোজা রেখে নিজের জন্মদিন পালন করেছেন। আর আমরা অনেকে অনেকভাবে তাঁর জন্মদিন পালন করছি, যা সুন্নতের পরিপন্থি। আমরা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন পালন করতে চাই তাহলে অবশ্যই সোমবার দিন রোজা রাখার মাধ্যমে তা পালন করতে পারি। চলবে-
©somewhere in net ltd.