![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।
আমরা বাংলাদেশীগণ কিভাবে শবে কদরের সন্ধান করবো? পাঠকগণের নিকট আমার প্রশ্ন কোন স্থানের রাত (জাপান, বাংলাদেশ, সৌদি আরব, আমেরিকা, অস্টোলিয়া, আফ্রিকা বা অন্য কোন দেশ বা অঞ্চলের রাত) অনুযায়ী শবে কদর নির্দিষ্ট হবে? আমি বিশ্বাস করি যেহেতু হেরা গুহায় সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট কুরআন নাযিল হয় সেহেতু ঐ স্থানের রাত অনুযায়ী শবে কদর নির্দিষ্ট হবে। বাংলাদেশের স্থানীয় সময়ের সাথে সৌদি আরবের সময়ের পার্থক্য ৩ ঘন্ট। অর্থাৎ আমরা যখন ইফতার করি তার ৩ ঘন্টা পর সৌদি আরবে ইফতার হয়। যে রাত শবে কদরের রাত হবে তা সৌদি আরবে সূর্যাস্তের পর হতে অর্তাৎ ইফতারের সময় হতে শুরু হয়ে ফজর পর্যন্ত স্থায়ী হবে। বোখারী শরীফ এর ৩য় খন্ড তারাবীহর সালাত অধ্যায়ে আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। উক্ত হাদীসের আলোকে শবে কদর উপলক্ষ্যে আমল করার জন্য রামজানের শেষ ১০ রাতে বেশকিছু সময় ধরে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা প্রয়োজন। উপরের তথ্য অনুযায়ী সৌদি আরবে সূর্যাস্তের পর হতে শবে কদর শুরু হলে তখন বাংলাদেশে স্থানীয় সময় হবে ইফতারের ৩ ঘন্টা পর। বর্তমানে বাংলাদেশে ইফতার হচ্ছে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার কাছাকাছি। সে অনুযায়ী আমাদের এখানে স্থানীয় সময় হবে রাত ১০টা। যদি আমরা শবে কদর উপলক্ষ্যে আমাদের ১৯তম রোজার পর হতে এশা এবং তারাবীহর নামাজ রাত ১০টার পর অর্থাৎ রাত ১০.১৫ বা ১০.৩০ ঘটিকা থেকে শুরু করি তাহলে অবশ্যই আমরা শবে কদরের ভাগিদার হতে পারবো। এবিষয়ে আমাদের মুসল্লিগণ, ইমাম, ময়াজ্জিন এবং মসজিদ কমিটিকে স্বচেতন করতে পারলে আমরা অনেক সৌভাগ্যবান হতে পারবো। শবে কদর উপলক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামজানের শেষ ১০রাত সারারাত জাগ্রত থেকে ইবাদত করতেন। বিধায় শবে কদর উদ্বযাপনের সুন্নত পদ্ধতি হলো রামজানের শেষ ১০ রাত সারারাত জাগ্রত থেকে ইবাদত করা।
যেসকল ব্যক্তি সারারাত জাগ্রত থেকে ইবাদত করতে পারবেন না তাদের জন্য আমার পরামর্শ হলোঃ
• ১৯তম রোজার পর হতে রাত ১০টার পর অর্থাৎ রাত ১০.১৫ বা ১০.৩০ ঘটিকার থেকে এশা এবং তারাবীহর নামাজ আদায় করা। মসজিদের জামাত রাত ১০টার পর সম্ভব না হলে এশা ও তারাবীহর নামাজ মসজিদে আদায় করে বাড়িতে বা মসজিদে একাকী নামাজ আদায় করা, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, তসবি-তাহলীল আদায় করে একটু ঘুমালেন। সেহরী খাওয়ার জন্য বেশকিছু সময় আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। অতপর উপরের ইবাদতগুলো পুনরায় করতে হবে।
• চলাফেরায় যেসক সুন্নতগুলো আদায়ে আমরা তেমন স্বচেতন হইনা যেমন- বাড়িতে প্রবেশেসর সময় সালাম প্রদান, টয়েলেটে প্রবেশের সময় এবং বাহির হয়ে দোয়া পড়া, খাবারের সময় বিসমিল্লাহ পড়া, ঘুমানোর সময় এবং ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দোয়া পড়া ইত্যাদি সচেতনতারসহিত আন্তরিকতাসহ আদায় করতে হবে।
• ফজরের নামাজের পর না ঘুমিয়ে অবশ্যই কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, তসবি-তাহলীল আদায় করতে হবে। কেননা সৌদি আরবে তখনও রাত অর্থাৎ শবে কদর স্থায়ী রয়েছে।
• সূর্য উঠার এক ঘন্টা বা দেড়ঘন্টার মধ্যে ইশরাক বা চাশাতের সালাত আদায় করা।
• আমাদের বাড়িতে গৃহপালিত পশু থাকলে তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া। কেননা পশুপাখির সেবাযত্ন বা খবার দেওয়া জীবের প্রতি দয়া করার অংশ। আর জীবের প্রতি দয়া করা নিঃসন্দেহে ভাল কাজ।
• রমজানের শেষ ১০ দিন সূর্য উদয়ের ৩ ঘন্টার মধ্যে বেশী বেশী দান-সদকা করা এবং বেশী বেশী সালাম প্রদান করার মাধ্যমে শবে কদরের ফজিলত অর্জন করা সম্ভব। কেননা আমাদের এখানে সূর্য উদিত হলেও সৌদি আরবে তখনও রাত অর্থাৎ শবে কদর স্থায়ী রয়েছে।
• আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি দোয়াটি বেশী বেশী পড়া। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবে কদর উপলক্ষে মা আয়েশা (রাঃ) কে এই দোয়াটি শিখিয়েছিলেন।
আল্লাহর নিকট দোয়া করছি, ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে আপনি শবে কদরের ফজিলত দান করুন এবং আমাদেরকে সেই পথে পরিচালিত করুন যে পথে চলা আপনি পছন্দ করেন। আমিন।
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর (ভাগ-১)
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর (ভাগ-২)
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪
ইসলামী চিন্তা বলেছেন: ধন্যবাদ।