![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।
হজ্ব ও ওমরার ফরয সমূহ
হজ্ব ও ওমরার রুকন বলেত ঐসব আমল যেগুলি হজ্ব ও ওমরায় অবশ্যই সম্পাদন করতে হবে এবং অন্য কোন আমল যেগুলির স্থালাভিষিক্ত হতে পারবে না।
ওমরার রুকন ৩টি। যথা- ইহরাম বাধা, ত্বওয়াফ করা এবং সা’ঈ করা। আর এই রুকনগুলি হজ্বেরও রুকন; তবে হজ্বের ক্ষেত্রে ৪র্থ আরেকটি রুকন যুক্ত হবে, তা হচ্ছে, আরাফার ময়দানে অবস্থান করা।
ওমরার ক্ষেত্রেঃ
১। মিকাত হতে ইহরাম বাধা, ২। ত্বওয়াফ করা ও ৩। সা’ঈ করা।
হজ্বের ক্ষেত্রেঃ
১। ইহরাম বাধা ২। আরাফার ময়দানে অবস্থান করা, ৩। ত্বওয়াফ করা ও ৪। সা’ঈ করা।
হজ্ব ও ওমরার ওয়াজিব সমূহঃ
হজ্ব ও ওমরার ঐ আমলকে ওয়াজিব বলা হয় সেগুলি অবশ্যই পালনীয়; তবে সেগুলি পালন না করা হলে ‘দম’ দিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যার উপর দম ওয়াজিব হবে সে তা থেকে খেতে পারবে না বরং তা পুরোটাই হারামের দরিদ্রদেরকে খাওয়াতে হবে।
ওমরার ওয়াজিব ২টি হজ্বের ওয়াজিব ৮টি।
(১) মিকাত থেকেই ইহরাম বাঁধা। (ওমরা ও হজ্ব দুই ক্ষেত্রেই ওয়াজিব)
(২) হজ্ব ও ওমরা থেকে হালাল হওয়ার সময় মাথা মুন্ডন করা অথবা চুল ছোট করা।
(৩) যে ব্যক্তি দিনের বেলায় আরাফায় অবস্থান করবে, তার জন্য সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করা।
(৪) ৯ই জিলহজ্জ দিবাগত রাত্রে মিযদালিফায় অবস্থান করা।
(৫) কুরবানীর দিন সূর্য ঢলে যাওয়ার আগে বা পরে জামরাতুল আক্কাবায় এবং তাশরীক্কের দিনগুলিতে ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ্ব সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে তিন যামরায় কংকর নিক্ষেপ করা।
(৬) তাশরীক্কের রাতগুলিতে মিনায় অবস্থান করা। (তাড়াহুড়া করে প্রস্থানকারীদের জন্য প্রথম দুইরাত মিনায় যাপন করা)
(৭) মক্কার বাহিরের লোকদের জন্য বিদায়ী তওয়াফ করা।
(৮) হজ্জে কিরান ও হজ্জে তামাত্তু আদায়কারীর জন্য কোরবানী করা।
চলবে------------
হজ্বঃ (ভাগ-১)
হজ্বঃ (ভাগ-২) হজ্বের মাস সুনিদৃষ্ট এবং হজ্বের জন্য তোমরা পাথেয় সঙ্গে নাও
হজ্ব (ভাগ-৩): ইহরাম সংক্রান্ত
হজ্ব (ভাগ-৪) মিকাত সংক্রান্ত
©somewhere in net ltd.