নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথ্যগত আলোচনায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (ভাগ-১)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২১

রবিউল আওয়াল মাস চলছে। ব্লগ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের জন্মের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাঁর জন্মের বিষয়ে মহাগ্রস্থ আল কোরআনের ২ নম্বর সূরা আল বাকারাহ্ এর ১২৭ নম্বর আয়াত থেকে ১২৯ নম্বর আয়ত পর্যন্ত লক্ষ্য করলে দেখা যায়, হযরত ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আ:) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের জন্য এভাবে দোয়া করেছেন- ওয়া ইয্ ইয়ারফাউ’ ইব্র-হী-মূল ক্বাওয়া-য়ি’দা মিনাল বাইতি ওয়া ইসমা-ই-লু, রব্‌বানা- তাক্বব্‌বাল মিন্না-ইন্নাকা আংতাস্ সামী-উ’ল আ’লী-ম। রব্‌বানা- ওয়াজআ’লনা মুসলিমাইনি লাকা ওয়া মিং-যুররিয়্যাতিনা- উম্মাতাম্ মুস্‌লিমাতাল্লাকা, ওয়া আরিনা- মানা-সিকানা- ওয়াতুব্ আ’লাইনা, ইন্নাকা আংতাত্ তাওয়্যাবুর রহী-ম। রব্‌বানা- ওয়াব্আ’ছ ফী-হিম রসূ-লাম মিনহুম ইয়াতলু- আ’লাইহিম আ-য়া-তিকা ওয়া ইউআ’ল্লিমুহুমুল কিতা-বা ওয়াল্ হিক্‌মাতা ওয়া ইউঝাক্কি-হিম, ইন্নাকা আংতাল আ’ঝী-ঝুল হাকী-ম। অর্থাৎ যখন ইব্রাহীম ও ইসমাইল কাবাগৃহের দেওয়াল উঠাচ্ছিল, তখন তারা বলেছিল, হে আমাদের রব (পালনকর্তা) আমাদের এ কাজ কবুল করুন, নিশ্চয় আপনি; আপনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাত। হে, আমাদের রব (পালনকর্তা) আমাদের উভয়কে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর থেকে আপনার অনুগত এক উম্মত তৈরী করুন, আমাদের ইবাদতের নিয়ম শিখিয়ে দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হউন, নিশ্চয় আপনি; আপনিই ক্ষমাশীল মেহেরবান। হে আমাদের রব (পালনকর্তা) তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রসূল প্রেরণ করুন, যে আপনার আয়াতসমূহ তাদের নিকট পাঠ করবে, তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয় আপনি; আপনিই পরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞ।

তাঁদের দোয়ার মোটকথা ছিল তাঁদের কাজ কবুল করা, নিজেদেরকে আল্লাহর অনুগত রাখা, তাঁদের বংশধরদের মধ্য থেকে আল্লাহর প্রতি অনুগত উম্মত চাওয়া। যে উম্মতের জন্য এক রসূলের প্রয়োজন, যিনি তাদের আল্লাহর আয়াত শোনাবে, কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবে, অতপর তাদের পবিত্র করবে।

হযরত ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আ:) এর দোয়া কবুল করে মহান আল্লাহ তা’য়ালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে দুনিয়ায় প্রেরণ করলেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মের শুভ সংবাদ শুনে তাঁর চাচা আবু লাহাব বড়ই আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তার আননন্দের প্রকাশ ছিল খুবই দর্শনিয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের সংবাদে অত্যন্ত খুশি হয়ে আবু লাহাব তার মহার্ঘ্য দাসীকে চিরদিনের জন্যে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। সেই আবু লাহাবের কাছে যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর আয়াত তেলাওয়াত করলেন তখন সে বেঁকে বসল এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন- তোমার প্রতি সারাদিন অভিশাপ বর্ষিত হউক (নাউজুবিল্লাহ)। আবু লাহাবের অভিশাপের প্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা সূরা লাহাব অবতির্ণ করেন। আপনারা সূরা লাহাব এর তরজমা ও তাফসির পড়ে দেখতে পারেন। আবু লাহাব নবীর জম্নের শুভ সংবাদ শুনে মহামূল্যবান দাসীকে চিরকালের জন্যে মুক্ত করে আনন্দের বহি:প্রকাশ করা সত্বেও আল্লাহ তায়ালা সূরা লাহাবে বলেছেন, সে লেলিহান আগুনে প্রবেশ করবে। নবীর জম্নে আনন্দ প্রকাশ করা সত্ত্বেও আবু লাহাব চিরস্থায়ী জাহান্নামী কেন? এর কারণ হলো, রাসূলের আগমনের উদ্দেশ্যই হলো মানুষের সামনে আল্লাহর আয়াত তেলাওয়াত বা প্রচার করা, কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিয়ে মানুষকে পরিশুদ্ধ করা। নবীর জন্মবার্ষিকী উৎযাপনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হওয়া যাবে না। আল্লাহর আয়াত শুনতে হবে, আল্লাহর কিতাব শিক্ষা করতে হবে এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিকমত (কৌশল) শিক্ষা করে প্রত্যেক অবস্থায় এর প্রয়োগের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হতে হবে, তবেই নাজাত। পরবর্তী লেখায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের জন্মের তারিখসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখার আকাংখা রেখে আজকের মত এখানেই সমাপ্তি টানছি এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি তিনি যেন আমাদেরকে রসূলের আদর্শের উপর চলার তৌফিক দেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.