![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়া'লার যিনি আমাদের নিয়ামত হিসাবে দিয়েছেন সৎকাজের বিভিন্ন মৌসুম। আমরা প্রশংসা করি তাঁর অফুরান নেয়ামতের জন্য। শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি তাঁর অঢেল করুণার জন্য। দরুদ ও সালাম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যিনি নামজ ও রোজা আদায়কারীদের মধ্যে ছিলেন সর্বোত্তম। যিনি তাহাজ্জুদ ও কিয়ামুল লাইল সম্পদনকারীদের মধ্যে ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি রহমত ও বরকত নাযিল করুন। তাঁর সাহাবাদের প্রতিও রহমত বর্ষণ করুন। তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এবং আগামীতে তথা যতদিন পৃথিবীতে আলো অন্ধকার থাকবে, ততদিন যারাই তাঁর অনুসরণ করবে তাদের সবার প্রতি বর্ষিত হোক মহান আল্লাহর অফুরান রহমত।
আজকের আলোচ্য বিষয় পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য মহান আল্লাহ প্রদত্ত ১০০ দিনের প্রশিক্ষণ ও অনুশিলন সংক্রান্ত প্যাকেজ কর্মশালা।
ইসলামে রমদান মাসকে বলা হয় প্রশিক্ষণের মাস। অতপর পরবর্তী দুই মাসকে আমি চিহ্নিত করছি প্রশিক্ষণ পরবর্তী অনুশিলনের সময়। অর্থাৎ রমদান মাস প্রায় ৩০ দিন প্রশিক্ষণ এবং পরবর্তী শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ্ব মাসের ১০ দিন এই প্রায় ৭০দিন সর্বমোট প্রায় ১০০ দিন পাপ থেকে বেঁচে থাকার একটি প্যাকেজ কর্মশালা।
আমরা যদি ১লা রমদান থেকে ১০ই জিলহজ্ব পর্যন্ত (প্রায়) ১০০ দিনের প্রতি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখতে পাই বছরের অধিক সংখ্যক নিয়মত এবং মাগফিরা ও নাজাতসহ মুমিনের মুক্তির অছিলা সংক্রান্ত আল্লাহ প্রদত্ত অফারগুলো এই সময়ই বেশী রয়েছে।
রমদানের প্রধান শিক্ষা হলো অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ না করা এবং নারী পুরুষের অবৈধ মেলামেশা অর্থাৎ জেনা থেকে বিরত থাকা। কারণ রোজার প্রধান হক হলো একজন মুমিন ব্যাক্তি রমদানের দিনগুলোতে আহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকবে। রমদানের রাত্রিতে রাত জেগে জেগে মুমিন ব্যাক্তি নামাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। যেমন- নামাজ দীর্ঘ কেরাতে পড়া, ধীরস্থিরভাবে আদায় করা, নামাজের মধ্যে একাগ্রতা আনা এবং সর্বপরি নামাজকে সুন্দর করে সাজানোর সার্বিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও আয়ত্ব করা। পাশাপাশি রমদান ব্যাতিত অন্য মাসের রাত্রিতে নামাজ আদায়ের অভ্যাস গড়ার প্রশক্ষণ করা। রমদানের রোজা থাকি, আমাদের কষ্ট হয় কিন্তু আমরা নামাজ আদায় করি। ইফতার করার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় তবু আমরা মাগরিবের নামাজ আদায় করি। অতপর আরাম করতে ভাল লাগে এই মূহর্ত শেষ হওয়ার পূর্বেই আবার ইশাসহ তারাবী নামাজ আদায় করতে হয়। এটি আমাদের যা শিক্ষা দেয় তা হলো কষ্ট ও বিপদের সময় নামাজ আদায় করতে হবে, শরীর ক্লান্ত থাকলেও নামাজ আদায় করতে হবে এবং সুখ বা আরামের সময়ও নামাজকে ভুলে থাকার সুযোগ নাই।
রমদানে সেহেরীতে জাগ্রত হওয়ার প্রশিক্ষণ হলো- একজন মুমিন ব্যাক্তি বিশেষ প্রয়োজনগুলো রাত্রির শেষ অংশে জাগ্রত হয়ে সাধ্যমত কিছু নামাজ আদায় করে দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে নিবেদন পেশ করবে। কারণ মহান আল্লাহ তা'য়ালা রাত্রির শেষ অংশে প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং বান্দার দোয়া পাওয়ার জন্য আহবান করতে থাকেন।
এছাড়াও একজন মুমিন রমদানে দৈনিক ভিত্তিতে আরও যেসকল প্রশিক্ষণ গ্রহণ তা হলো- মিথ্যা কথা না বলা, গিবত না করা, বিভিন্ন পাপ থেকে বিরত থাকা, অন্যায় আচরণ না করা, ঝগড়া-ফেসাদে না জড়ানো ইত্যাদি।
রমদান মাসের রোজা পালনের সাথে সাথে কুরআন তেলাওয়াত, কুরাআনের চর্চা, অর্থ জানা, কুরআনের প্রচার এবং কুরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কারণ রমদান মাসে আল কুরআন নাজিল হয়েছে বিধায় অন্যান্য মাসের তুলনায় রমদান মাসের মর্জাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এ মাসে হযরত জিবরাইল আঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামও হযরত জিবরাইল আঃ কে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। এভাবে একজন মুমিন ব্যাক্তি পূর্ণ রমদান (প্রায় ৩০দিন) উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো দৈনিক ভিত্তিতে প্রশক্ষণ গ্রহণ করবে।
অতপর রামদান পরবর্তী শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা আদায়ের জন্য বিশেষ অফার রয়েছে। তা হলো শাওয়াল মাসে ৬টি রোজার মাধ্যমে সারা বৎসর রোজা পালনের সওয়াব অর্জিত হয়। পাশাপাশি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ অর্থাৎ আরাফার দিবসের রোজার মাধ্যমে ২ বৎসর গুনাহের কাফ্ফারাহ ঘোষণা রয়েছে। ২ বৎসর গুনাহের কাফ্ফারাহ হলো চলতি বৎসর এবং আগামী বৎসরের গুনাহের কাফ্ফারাহ।
প্রিয় পাঠকগণ, আপনাদেরকে বিশেষভাবে অবগত করতে চাই যে, এই ১০০ দিনের কর্মসূচীর মধ্যেই রয়েছে লাইলাতুল কদর অর্থাৎ এক রাত্রির ইবাদত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আরও রয়েছে বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ১০ রাত্রি অর্থাৎ রমদানের শেষ ১০ রাত্রি এবং বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ দিন অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন।
এভাবে একজন মুমিন ব্যাক্তি পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য পূর্ণ রমদান প্রায় ৩০দিন প্রশিক্ষণ এবং শাওয়াল ও জিলকদ দুই মাস এবং জিলহজ্ব মাসের ১০ দিন প্রায় ৭০ দিন প্রশিক্ষণ পরবর্তী অনুশিলনের মাধ্যমে সর্বমোট প্রায় ১০০ দিনের বিশেষ কর্মশালা সম্পন্ন করবে।
(চলবে)
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
জীবনের খাতা বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি যে, ব্যাস্ততার কারণে ব্লগে আসা হয়নি।
ঠিকই বলেছেন অফারের লোভী সে বিকল্প বাহ্য লাভের অন্য অফার পেলেই বিশ্বাস বদলে ফেলে!
তবে প্রকৃত যারা আল্লাহ প্রেমিক তারা আল্লাহর বিশেষ অফারগুলো পেয়ে সঠিক ব্যবহার করে আল্লাহর দরবারে তার রাংকিং বৃদ্ধি করে নিবে।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: নিয়মিত নামাজ পড়লে মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকা যায়।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জীবনের খাতা বলেছেন: সঠিক বলেছেন। মহান আল্লাহ বলেন-
নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।'' (সূরা আনকাবুত, আয়াত নং-৪৫)
তবে ১লা রমজান থেকে ১০ই জিলহ্জ্ব পর্যন্ত প্রায় ১০০ দিন বিশেষভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিধায় আমি এই ১০০ দিনকে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী অনুশিলন হিসাবে চিহ্নিত করেছি।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩
ক্স বলেছেন: @রাজীব নূর, আপনি যা বললেন, তা কি পরীক্ষা করে দেখেছেন? আমি তো নিয়মিত নামাজ পড়ি, তারপরেও
- প্রয়োজনে মিথ্যা কথা বলি, না বলে উপায় নেই
- আমার ফিমেল সহকর্মীদের সাথে মেলামেশা করি, না করলে আল্লাহর দেয়া রিজিকের হক আদায় করতে পারব না।
- টিভিতে খেলে দেখি, সুন্দরী দর্শক দেখলে হাঁ করে তাকিয়ে থাকি। কেন করি আমি নিজেও জানিনা। বোধ হয় এটাকেই স্বাভাবিক করে নিয়েছি তাই।
- বেগানা নারীদের দিকে তাকাই (চেহারায় তাকাই, জুব্বা পড়া মোল্লাদের মত দেহের মেজারমেন্ট করিনা)
- অনর্থক কাজে সময় নষ্ট করি, যা আল্লাহ একেবারেই পছন্দ করেননা।
আমার নামাজ পড়া নিয়ে কোন সমস্যা নেই। প্রতি ওয়াক্ত জামাতে পড়ার টার্গেট করি। জামাত মিস হলেও মসজিদে গিয়ে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে পড়ি যাতে নামাজের হক্ক পরিপূর্ণ ভাবে আদায় হয়। তারপরেও পাপ থেকে বিরত থাকতে পারিনা।
এখন আপনি যদি বলেন আমার নামাজ হয়না। তাহলে আমি কি করব? নামাজ পড়া ছেড়ে দিব?
-
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০২
জীবনের খাতা বলেছেন: মহান আল্লাহ বলেন-
নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।'' (সূরা আনকাবুত, আয়াত নং-৪৫)
এই আয়াতের মাধ্যমে বুঝা যায় নামাজ খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার এন্টি ভাইরাস। যা প্রতি ওয়াক্ত নামাজে আমাদেরকে আপডেট করতে হয়। আমরা অনেকেই নামাজও পড়ি আবার পাপও করি। এটার উদাহরণ হলো নামাজের মাধ্যমে আমাদের অন্তরে এন্টি ভাইরাস আপডেট হতে ২/১টি ফাইল মিস হয়ে যায়। বিধায় এরুপ হয়। নিয়মিত নামাজ আদায় করেন দেখবেন অনেক পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইসলামতো ভায়া কর্পোরেট কোম্পানীর পণ্য নয়!
অফারের সমসমায়িক ভাবনা সাধারনে ভোগের অনুপাতে গ্রহণযোগ্য হলেও
আত্মায় সত্যের প্রকাশে বিকাশে তা কতটুকু কার্যকর ভাবনার অবকাশ রয়েছে।
আত্মা এবং সত্য সন্ধান আন্তরিক জ্ঞান নির্ভর একটি বিষয়।
চলতি অফার হলো ক্ষনিকের হাজারো চমকের ভীরে বাড়তি চমকের ব্যাপার!
যে সত্য সন্ধানী সে সাগর, মরু মন্থন করেই সত্যকে খূঁজে আনে।
আর যে অফারের লোভী সে বিকল্প বাহ্য লাভের অন্য অফার পেলেই বিশ্বাস বদলে ফেলে!
ইসলামের আচার সর্বস্বতাই ধর্মকে দুর্বল করে রেখেছে। চাই এর বিপুল প্রাণ শক্তির মহাউদ্বোধন।
আত্মায় স্বত্তায় যার প্রকাশ হবে স্বত:স্ফূর্ত। প্রাণবন্ত! স্থায়ী।অনন্তকালের। জ্ঞানে, সাধনায় আর
প্রায়োগিক উৎকর্ষতায় যা মুগ্ধ করবে সৃষ্টিকুলকে।
শুভেচ্ছা রইল।