নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

“কেনো এমন হয়” ডাইরির পাতা থেকে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০২

কামরুননাহার কলি

“আমি কোনো দলের কথা বলছি না, আমি বলছি দেশ ও দশের কথা”
“সুক” আজ আমি একটি বিশেষ দিনের কথা বলবো তোমাকে। তুমি ছাড়া তো আমার বলার মতো আর কেউ নাই। দুনিয়াতে সবাই থাকে কিন্তু সুখ-দুঃখের ভাগিদার কতজন থাকে। যদিও তুমি কথা বলতে পারো না তুমি অচল তারপরও তোমার সাথে কথা বলে একটু সুখ পাওয়া যায়। একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।দিনটি ছিলো ২৮-১০-২০১৫ তারিখ সকাল ৯টা ৪৫ মি: ঠিক এই সময় আমার চোখের সামনে একটি করুন দৃর্শ্য পরলো। মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর এর ওভার ব্রিজ রয়েছে তার পাশেই রয়েছে একটি ময়লা আবর্জনা ফেলার একটি বড় ডাস্টবিন। এখানে প্রতিদিন ফেলে রাখা হয় স্তুবে স্তুবে বিভিন্ন হোটেলের পচা-বাসি খাবার আর বাসা-বাড়ির ময়লা আবর্জনা। ওটার পাশ দিয়ে মানুষ তো দূরের কথা একটি কুকুর পর্যন্ত বেশি সময় ধরে দাড়িয়ে থাকতে পারে না। কারণ ওখানে এতোই বির্ভস দূর্গন্ধ নাক চেপেও রাখা যায় না। সেখানেই একজন অনাহারি সর্বনি:স্বহারা আল্লাহর সৃষ্টি সর্বশেষ্ঠ প্রাণী মানব জাতি “মানুষ”। ঐ ডাস্টবিন থেকে পচা, এতো পচা হোটেলের ফেলে রাখা বাসি খাবার মনে হয় ৩ দিনের বেশি হয়ে গেছে। সেই খাবার বসে বসে ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটানোর জন্য খাচ্ছে। আর ঐ লোকটির পাশেই দাড়িয়ে আছে একটি জীবন্ত কুকুর। কুকুরটি তার দিকে তাকিয়ে দেখছে আর হয়তো ভাবছে, ‘যে খাবার কুকুর খায়না, মুখ ফিরে চলে যায় সেই খাবার নাকি আল্লাহর সৃষ্টি মানব জাতি খায়’। সুক যখন আমি আমার নিজের চোখে এই দৃর্শ্যটি দেখলাম তখন মনে মনে ভাবলা, এখনো এমন আছে। এখনো মানবকুল না খেয়ে থাকে এই স্বাধীন বাংলায়। এখনো এমন দৃর্শ্য আমাদের প্রজন্মরাও দেখে।এই পঁচা-বাসি খাবার খেয়ে মানব জাতি জীবন ধারণ করে। এটা কেমন দৃর্শ্য ‘সুক’ বলতে পারিস। তুই জানিস না ‘সুক’ লোকটি কি খাবার আর কি স্থান হতে খাচ্ছে, সেটা মানুষ নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করবে না। অবিশ্বাস্য হলোও এটাই সত্যি এটাই বাস্তব। এখনো মানুষ না খেয়ে থাকে, এখনো মানুষ পচা-বাসি খেয়ে জীবন বাচায়। এখনো মানুষের মাথায় ছাদ নাই খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়, এখনো মানুষ রাস্তায় ফুটপাতে ঘুমায়, এখনো মানুষ পরিধানের কাপুর পর্যন্ত পরতে পারে না। জানিস ‘সুক’ তখন নিজের মনে অনেক প্রশ্ন দানা বেধে থাকে। বার বার মনে হয় “কেনো এমন হয়”।আমাদের দেশে কেউ হোটের রেস্তরায় লক্ষ্য টাকার খাবার কিনে পর্টি দেয় আনন্দ করে তারপর খাবার থেকে এক চিমটি খেয়ে বাকিটা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।লক্ষ্য টাকাটা তারা ডাস্টবিনে ফেলে দিলো। আর কেউ দিনের পর দিন না খেয়ে জীবন ধারন করে। কেউ ঘুমায় টাকার উপর আর কেউ ঘুমায় ডাস্টবিনের ময়লার উপর। তখন মনে হয় ‘আমরা কেমন মানুষ তাই না, ‘সুক’। আর ভাবি “কেনো এমন হয়” ওদের সাথে। আপনারা ভাবছেন হয়তো আমি পাগলোর মতো কার সাথে এ সব কথা বলি তাই না, হাহাহা। আসলে আমি আমার প্রিয় ডাইরির পাতার সাথে কথাগুলো বলি। প্রতিদিন ওর সাথে আমি পাগলের মতো বিলাপ করি। আর মনের কোনে জমে থাকা হাজার প্রশ্ন হাজারও সুখ-দুঃখের কথা বলি ওর সাথে। নাম ওর “সুক”।
বায় ‘সুক’ আবার পরে কথা হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: দরদি লেখা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: তাই বুঝি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.