নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

“যে অপরাধ করে আর যে অপরাধ করায় তারা দু’জনই সমান অপরাধে অপরাধী”।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

অনেকেই বলেন এদেশে দুর্নীতি হচ্ছে না, দেশ ঠিক এবং সুন্দর-সুষ্ঠ ভাবে চলছে। তবে আমি মনে করি, এই দেশ কখনোই, কোন সরকারের আমলে সুন্দর-সুষ্ঠ এবং দুর্নীতি ছাড়া চলেনি। কিন্তু যারা দুর্নীতি করে বেড়ায় তারাতো বলবেনই দুর্নীতি হয়না, সুষ্ঠ-সুন্দর ভাবে দেশ চলছে। কে বলেছে দেশে দূর্নীতি হয়না । যে দূর্নীতি করে আর যে দূর্নীতি করায় তারা দু’জনই সমান অপরাধে অপরাধি। একটি দেশের সরকার ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারে যেমনটা আমাদের দেশে হয়ে থাকে। যখনিই যে সরকার ক্ষমতার সুযোগ পায় তখনো সেই সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে।একটি দেশের সরকার ইচ্ছে করলেই একটি দেশ দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারে, আবর ইচ্ছে করলেই দুর্নীতি করে ধ্বংস করে দিতে পারে। আমি একজন সরকারের কথা বলছি না। আমি বলছি সব সরকার আমলের কথা।“আমি কোনো দলের কথা বলছিনা, আমি বলছি দেশ ও দশের কথা”। বইযে একটি কথা ছোটবেলা থেকেই পড়ে আসছি কিন্তু বড় হয়ে দেখি তার উল্টোটা। সেটি হলো- একটি দেশ চলে জনগণের কথা, জনগণ যাই বলবে সরকার তাই করতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ চলে সরকারের কথায়, সরকার যাই করবেন জনগণ তাই করতে বাধ্য। আমাদের জীবনটাও দিনে দিনে উল্টো হয়ে যাচ্ছে। বইয়ে আমরা যে শিক্ষায় শিক্ষিত হই কিন্তু বাস্তবে হয় তার বিপরিত। তবে জানিনা কেনো এমন হয়। আমরা কেনো আর্দশ শিক্ষিত হয়েও, কেনো আর্দশ কাজ করতে পারিনা? যখনই যে প্রধানমন্ত্রী এদে রাজত্ব করে তখনি সে এদেশে হরিলুট চালায়। সে হোক খালেদে জিয়া, সে হোক শেখ হাসিনা, সে হোক এরশাদ আর সে হোক জামায়ত-শিবির। এই দেশে কোনো সরকারের আমলে দুর্নীতি হয়নি একথা কোন দলই বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না। তবে একটা কথা আমি বলবো বিগত বছরগুলোতে কি হয়ে তা জানিনা তাবে ইতিহাসে শুনে আসছি সবাই সুযোগে সদ ব্যবহার করেছেন।সুযোগ বুজে কেউ হাত ছাড়া করেননি।
আমি যখন অনেক কিছু বুজতে শিখিছি, যখন নিজ চোখে অনেক কিছু দেখেছি।গরিবদের রাত-রাতি বড়লোক হতে দেখেছি ধনীদের রাতা-রাতি গরিব হতে দেখেছি। এই দেশে দুর্নীতি মিথ্যে, অনাচার -অত্যাচার খুন, ধ্বংর্ষণ হতে দেখেছি। কিন্তু সুন্দর এবং ন্যায় ভাবে বিচার হতে কখনোই দেখিনি। এই সবে বিচার এই বাংলার মাটিতে হতে দেখিনি কখনো। কোটি কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট হচ্ছে। দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতিদিন পাচার হচ্ছে বিদেশে। কিন্তু আমার প্রশ্ন এই টাকাগুলো কাদের? সরকারের নাকি জনগণের? কোনো সরকার এদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা না। “যে অপরাধ করে আর যে অপরাধ করায় তারা দু’জনই সমান অপরাধে অপরাধী”। আমি এই প্রজন্মের মেয়ে কিন্তু এই প্রজন্মে এসে যে অন্যায়গুলো হচ্ছে সেগুলোর জন্য দায়ী কে? আমার চোখে দেখা কিছু প্রমাণ দিবো এখানো সে গুলো দেখে হয়তো আমাকে প্রশ্ন করার মতো সাহস কারো থাকবে না। যদি কেউ বলেন, আমার এই সর্ম্পন্ন তথ্য কিংবা কথা ভুল তাহলে আমি বলবো আপনাদের চোখ অন্ধ চোখ থাকতে চোখে দেখেন না-
এদেশে মেয়েরা ধ্বংর্ষণ শিকার হচ্ছে, ধ্বংর্ষণের পর তাকে খুন করা হচ্ছে। এই রকম প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে। এখানে ধ্বংর্ষণ হচ্ছে কলেজ ছাত্রী, ওখানে গণধ্বংর্ষণ হচ্ছে বাসে একটি মেয়ে, এখানে হচ্ছে গৃহবধু ধ্বংর্ষণ ওখানে হচ্ছে গৃহকর্মী ধ্বংর্ষণ, এখানে হচ্ছে উপজাতির মেয়ে, ওখানে হচ্ছে পাগল, প্রতিবন্ধ, অসহয় ফুটপাতের মেয়েরা। রাস্তায় নামলেই প্রতিদিন হাজার হাজার মেয়েরা যৌন নির্যাতনে শিকার হচ্ছে। কিন্তু কোথায় এর বিচার? ধ্বংর্ষণকারীদের জেলে নিয়ে জামাই আদর করছে, কাউকে ক্ষতমার জোড়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কেউ আবার নাগের ডগায় ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার মাঝে ক্ষমতার ধাপট দেখিয়ে।একজন ধ্বংর্ষণকারী সমাজে, কোরআনে বা ধর্মে যেভাবে শাস্তির কথা উল্লেখ আছে সেভাবে এই বাংলা শাস্তি দেওয়া হচ্ছেনা। এমন কি স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজো পর্যন্ত কঠিন ভাবে বিচার হয়নি। কিন্তু কেনো হয়নি? বলুন এটা কেমন দেশ? এদেশের একজন ডাক্তার হয়ে পারেনা ডিএন টেস্ট করে একজন ধ্বংর্ষণকারী ধরিয়ে দিতে। আইন পারে না প্রকৃতি খুনি বা ধ্বংর্ষণকারীকে ধরিয়ে দিতে। তাহলে কি এটা দুর্নীতি না? যারা টাকার লোভে ক্ষমতার লোভে সব কিছু করতে পারে তারা কি দুর্নীতি করেছেনা? তাদের দিয়ে কি দুর্নীতি করানো হচ্ছেনা? যদি তাই না হয় তাহলে, তনুর হত্যাকারীকে কেনো বের করতে পারছে না এদেশের আইন, যদি দুর্নীতি নাই হয় তাহলে, রুপা নামের মেয়েটার বিচার কেনো হলো না, বোনকে একটি চাকরি দিয়েই মিডিয়ার মুখ, পরিবারের মুখ আটকানো হলো, যদি দুর্নীতি নাই হয় তাহলে আয়েশার আর ওর বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী কে বা কারা, যদি দুর্নীতী নাই হয় হতলে কেনো প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই চোখে পরে ধ্বংর্ষণে শিকার হওয়ার মেয়েদের খবর।
এই দেশে প্রতিদিন খুন হচ্ছে খুনিদের হাতে কারা এই খুনি? কাদের আশ্রায় এইসব খুনিরা পার পেয়ে যাচ্ছে।এদের পুলিশবাহীনি সবথেকে বেশি অন্যায় করে চলছে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই তাদের একটি হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেয় দশ/বিশ হাজার টাকায় বিনিময় ছেড়ে দিবে তা না হলে ছাড়বেনা। অন্যভাবে অবৈধ গাড়ি চালাচ্ছে পুলিশ ধরছেনা, ঐসব লোকেরা হাতের মুঠে কিছু টাকা গুজিয়ে দিচ্চে পুলিশদের ব্যস হয়ে গেলে! এদেশের ভদ্র-নম্র মানুষের সাথে অন্যায় হচ্ছে কিন্তু পুলিশ শাস্তি দিলো কাদের যারা অন্যায় করলো না তাদের, আর অন্যকারীরা কি করলো নাকের ডগা দিয়ে বেড় হয়ে গেলো। এদেশে প্রতিদিন খাবার সাথে বিষ মিশিয়ে সাধারণ মানুষদের প্রতিদিন বিষ খাওয়াচ্ছে। বাংলাদেশে এমন কোন খাবার নাই যেই খাবারে বিষ নাই সব খাবারে বিষ মিশিয়ে, ভেজাল মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো খেয়ে ধিরে ধিরে মানুষ মৃত্যুর পথে আগাচ্ছে। তবে হ্যা, মরন যে দিন হবে সেই দিন মানুষকে মরতেই হবে, তাই বলে বিষ খাইয়ে মারা এটাকে কি রাতারাতি খুন বলেনা? এর বিরুদ্ধে কেউ কি কখনো জোড়ালো প্রতিবাদ করেছে করেনি। শুধু মুখে আর কাগজে থাকলেই হবে কাজে তো দেখাতে হবে এইসবের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে। এই সব অন্যায়ের আইন অনুযায়ী বিচার হচ্ছে না, ধ্বংষণকারী, খুনিদের জেলে নিয়ে জামাই আদর করছে আইন। কার আশকারায়? মেনে নিলাম প্রধানমন্ত্রীরা কোন দুর্নীতি করেন না, কিন্তু একজন সরকার বেচে থাকা অবস্থা দেশে এরকম বেআইনি কাজ হয় কি করে? তাহলে কি বলবো না, “যে অপরাধ করে আর যে অপরাধ করায় তারা দু’জনই সমান অপরাধে অপরাধী”।
আমার মনে হয়না যে ১৯৭১ সাল নিয়ে এই দেশের কোন মানুষের মনে সন্দেহ আছে। যদিও কার সন্দেহ থেকে থাকে সে হলো এদেশের শত্রুপক্ষ। কিন্তু এই দেশের ত্রিশ লক্ষ্য শহিদ ভাই-মা-বোনেরা যুদ্ধ করেছে। তবুও আরো কথা আছে, এদেশ স্বাধীন একা কারো দ্বারা সম্ভব হয়নি তাই প্রতিদিন একজন দু’জন নিয়ে শ্লোগান দিলোই তো হয়না। এদেশের অবস্থা হলো যে দল আসে সে সেই দলেরই কথা বলে। ইতিহাসে তার দলের ব্যক্তিরা কি করেছেন না করেছেন সেই সব বিষয় নিয়ে সারাক্ষণ মাথা ঘামান। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোতে যে ব্যক্তি জাতির পিতা তাকেই পুরো জাতি মেনে নেয়, সবাই মেনে নেয়। জাতির পিতাকে বিরোধি দল আর সরকার দল সবাই সমানভাবে সমান চোখে দেখে। প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছু ভুল করে থাকেন তাই বলে তো তারা একেবারেই কিছু করেনকি দেশের জন্? যারা দেশের জন্য মানুষের জন্য কিছু কারেন তাদেরকে এভাবে অর্থের লোভে ক্ষমাতার লোভে অপমান অপদস্ত করা তো উচিত নয়! এদেশে জিয়াউর রহমান, শেখ মজিবুর রহমান তাদের আগেও অনেক নেতা ছিলেন, একে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তারা তো দেশের জন্য সমানা ভাবে উপকার করেছেন। তবে শেখ মজিবুর রহমান দেশের জাতির পিতা সেটা তো সবাইকে মানতে হবে। যখন এদের মজলুম জননেতারা পৃথীবী থেকে চলে গেছেন তখন শেখ মজিুবর রহমান তারও অনেক অবদান আছে। আর জিয়াউর রহমান দেশের হয়ে দেশের মানুষের জন্য জীবনের কথা চিন্তা না করে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, তারও অনেক অবদান রয়েছে। আগে হোক পরে হোক যুদ্ধে ঘোষনা তো তিনি দিয়েছেন। তাদের অবধানের কথা কেনো আমরা বারবার ভুলে যাই। হয়তো তাদের দু’জনকে মরতো হয়েছে তাদের ভুলের কারণে, জীবন দিয়ে হয়তো তাদের ভুলের মাসুল দিতে হয়েছে। তাই বলেকি তাদেরকে ইতিহাস ঘেটে এরকম অপমান-অপদস্ত করা হবে বারবার। কিন্তু বর্তমান দেশের কি অবস্থা হচ্ছে না হচ্ছে সেই দিকে কেউ খেয়াল না করে পিছনের ইতিহাস নিয়ে টানাহেচড়া করছে এদেশের প্রতিটি মানুষ, কিন্তু কেনো? এদেশের নেতা নেত্রীরা উঠে পরে লাগেছেন কে জিতে আর কে হাড়ে রাজনৈতিক খেলায়। কোটি কোটি টাকা দিয়ে ব্রিজ, কালভার্ট, সেতু, রাস্তা ঘাট নির্মান করছে, কোথায় পেলো এই গরিবের দেশে এতো টাকা। সেগুলো একবছরও টিকে থাকেনা দিতৃয় বছর আবরা ভেঙে চৌচির হয়ে যায় আবর কোটি কোটি টাকা দিয়ে বালু আর ক’টা ইটের খোয়া দিয়ে জোড়া-তালি দিয়ে ঠিক করা হয়।জনগণ তো এই সব চয়না জনগণ চায় খেতে সুন্দর ভাবে বেচে থাকতে চায়, জনগণ চায় শান্তি।কিন্তু সরকার গরিব অসহয় মানুষদের রক্তে টাকা এই ভাবে ক্ষতি করে। এদেশের মানুষ খেতে দু’মুঠো ভাত পায় না আর তারা কোটি কোটি টাকার বাজেট ধরে এই সব কাজ করে। কি ধরকার আছে এই সবের। ঐসব গরিব মানুষেরা কি এই সব প্রকল্পো দিয়ে ধুয়ে ধুয়ে পানি খাবে ভাত না খেয়ে। হাজার হাজার গরিব অসহয় মানুষ রাস্তা ঘাটে পড়ে আছে প্রকাশে অপ্রকাশে না খেয়ে থাকে দিনের পর দিন। এই দেশের মানুষের কারো আছে ভুড়ি ভুড়ি কারো নাই থাকার জায়গা। এদেশের মানুষ যে যেভাবে পরে সে সেই ভাবে লুটে-পুটে নেওয়া অভস্ত। কেউ কারো কথা চিন্তা করেনা। তাই “যে অপরাধ করে আর যে করা তারা দু’জনই সমান অপরাধে অপরাধী”।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫১

মাহমুদ ইউসুফী বলেছেন: দূর্নীতির কিছু ভয়াবহ চিত্র
http://chairmanbd.blogspot.com/2013/05/blog-post.html

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.