নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

“যে সব ছেলেরা মেয়েদের অসতী, অসতী বলে বেড়াচ্ছে তারা কতটা সৎ”?

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫



কিছুদিন যাবত আমাদের পাশের বাড়ির এক প্রবাস ছেলের বিয়ে নিয়ে হড্ডোগোল চলছে। হড্ডোগোলটা ছিলো ঠিক এই রকম- ঐ মেয়ে বিয়ে করা যাবে না, মেয়ের দোষ আছে, মেয়ে ভালো না, তো মেয়ে কলেজে পড়ে ক’জনের সাথে লাইন আছে কে জানে, তো মেয়ে অসতী, সৎ নয়, এটা ওটা হাবি-জাবি এই আর কি।

এবার আসল কথা বুজাই বলি।
আমাদের পাশের বাড়ির একজন ভাইয়া বাহিরে থেকে এসেছেন বিয়ে করবেন। মেয়ে দেখেছেন গোটা কয়েক তা কাউকেই পছন্দ হয়না। তার কাছে সবই অপছন্দ। কি একজন রাজাবাবু ভাবেন একবার! বয়স তার চল্লিশ ছুঁই ছুঁই, তয় ভাবুন এবার মরনের বয়সে বিয়ে করতে গেছে। তার বয়সের মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে সেই এক-দেড় যুগ আগে, তাদের এখন নাত-নাতনীও হয়ে গেছে। যাগগে সে কথা, ছেলে বলে কথা, বয়সে কি আসে যায়, তাই না!!! মেয়ে হলে সমাজের মানুষ কত কথা বলতো তার কোন ইয়াত্তা নাই!!!

অনেক দিন পর আজ আবার ছেলে এবং তার আত্মীয়-স্বজন দশ/পনেরো জন মিলে গেছে মেয়ে দেখতে। আগে তো কত মেয়েই দেখেছে কারো সাথেই মনের মিল হয়নি, এবার যদি হয়। তাদের আবার কত রকমের চাহিদাও আছে। মেয়ের বেশি বয়স না 22/23 তো নাই, 18/20 হলেই চলবে। সুন্দরী হতে হবে, খাটো না লম্বা হতে হবে, চাল-চলন ভালো হতে হবে, কর্মঠো, অল্প শিক্ষিত হলে হবে এই তো মেট্রিক-ইন্টার হলেই ভালো ইত্যাদি ইত্যাদি........

মেয়ে দেখা-টেখা শেষ হলো, যাগগে গোটা কয়েক মেয়ের মধ্যে খুজে পেয়েছে একটি মেয়ে। মেয়েকে চেইন পরিয়ে আসছে বিয়ের কথা কিছুটা পাকাপাকি করেও আসছে। এখন দিনখন দেখে বিয়ের তারিখটা ঠিক করলেই হবে। মেয়ের বাড়ি থেকে দশ কদম পা না বাড়াতেই সামনে এসে হাজির হলেন হাজি সাহেব। আপনার আবার যে হাজি সাহেবের কথা ভাবছেন সেই হাজি সাহেব না কিন্তু আবার, এই হাজি হলো সেই হাজি যেসন- গ্রামের কিছু মানুষ থাকে দু’একজন, যেমন কার মাথায় একটি পিটান দেওয়া যায়, কারে ভাতের থালা একটু থাম্পা মারা যায়। আরো আছে কে কি করলো না করলো সব খবার আর কারো কাছে না পেলেও তাদের কাছে ঠিকই পেয়ে যাবেন। এরা সহজে কারো ভালো চায় না। অন্যের ভালো তো মোটেও সহ্য করতে পারে না। সেই রকমেরই একজন এসে দাড়ালো তাদের সামনে, মেয়ের নামে যত বদনাম আছে সব মুখ থেকে সত্য মিথ্যা বানিয়ে বডবড করে বেড় করে দিলো, সমাজে যাকে বলে বিয়ের ভাঙ্গানী।

মেয়ে এটা করেছে, ওটা করেছে, এর সাথে ইটিস করেছে, ওর সাথে পিটিস করেছে। এমন সোনা ছেলের সাথে ঐ মাইয়া বিয়া দিবেন আপনেরা কি পাগল হইয়া গেলেন নাকি বুজলাম না। আরে ভাই বাদ দেন বাদ দেন এইয়ার থাক্কাও ভালো মাইয়া পাইবেন সোনার পোলা বাইচা থাকলে। তাই তো বলি ছি. ছি ছি এমন সোনা পোলার সাথে কি ওমন বেজাত মায়ইয়ার বিয়া করায় কেউ। এমন খাটিসোনার ছেলের আমার, যেনো ধোয়া তুলতী পাতার পানি, তওবা তওবা!!!! হাজি সাহেবের নিকট এই সব কথা শুনে কি আর কারো মাথা ঠিক থাকে, সবার মাথা প্রায় নষ্ট এখন। এতা দামের স্বর্ণের চেইন একখানা দিয়া আসিলো। সবার মাথায় তো এখন বজ্রপাত পরেছে। হনহন করিয়া সবাই বাড়ি ফিরিয়া আসিলো।

এখন বলা যাক হড্ডোগোলের কথা। বাড়িতে এসে সবাই ঘরে খাটের উপর বসে মেয়ের নামে যা শুনেছে এখন তারা আরো কিছু জোড়া-তালি দিয়ে বলতে শুরু করলো। এই মাইয়া আনা যাবে না, এই মাইয়ার নিশ্চয় কোন না কোন দোষ আছে, না থাকলে কি আর কে্উ কারো নামে এমনি এমনি মিথ্যে বলে। দোষ আছে বলেই তো বলেছে, মেয়ে অসৎ, সৎ নয়। এই সব হড্ডোগোল শুনে পাশের আরো কিছু মানুষজন গেলো তাদের ঘরে, সাথে আমিও গেলাম, মনে মনে ভাবলাম দেখে আসি, এই গরমের মধ্যে আরো গরমের উত্তাপ হলো কেনো!!!

প্রথমে ছেলের বড় ভাই- মেয়ে ভালো না, সুন্দরী হলে কি হবে বেজাল আছে। ছেলের ছোট বোন বলল-মেয়েটা নাকি অন্যান্য ছেলেদের সাথে আড্ডা দিতো, সেই মাইয়া কি ভালো হয়!! ছেলের ছোট ভাই বলল- মেয়ে অসৎ, সৎ না। ছেলে, মানি যে বিয়ে করবে সেই বলল হুম ঠিকই বলছিস মেয়ে অসৎ, কত জনের সাথে ফস্টি নস্টি করছে তা কেডায় জানে। ঐ ধরনের মেয়ে বিয়ে করা যাবে না।

এদিকে ঘটক সাহেবকে তো কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না। অনেক কষ্ট করে একটু কথা বলার সুযোগ খুজে পেয়েছে মনে হয়। সে বলল আপনেরা যা বলছেন আর যা ভাবছেন তা কিন্তু সত্যি না। এই সব কথা যে বা যারা আপনাদের বলছে সে তো মেয়ের শত্রুও হতে পারে। আরে ভাই কে শুনে কার কথা। এখন সবাই আছে চেইনের চিন্তায়, বিয়ের চিন্তায় না। ঘটক সাহেবকে বলে চেইন ফিরিয়ে আনতে। আমি তা শুনে একটু মুচকি হাসি হাসলাম।

কিন্তু যে কথাটি শুনে আমার অসস্তি লাগছে সেই একই কথা বারবার সবাই বলে যাচ্ছে। বুজলাম না তারা সবাই কথাটি কি বারবার রিপিড করছে, না মুখস্ত করছে। বারবার সেই একই কথা- মেয়েটি অসৎ, মেয়েটি অসৎ, মেয়েটি অসৎ!!!!

এবার আমার ধর্য্যের বাঁধ ভেঙে গলো, সবাইকে চুপ করালাম। এরপর ছেলের দিকে তাকিয়ে- ছেলেকে একটি প্রশ্ন ছুড়ে মারলাম। প্রশ্নটা ছিলো এই রকম “সবাই মিলেতো বলাবলি করছেন মেয়েটা অসৎ, মেয়েটা অসৎ, মেয়েটা অসৎ, আপনাদের ছেলেটা কতটা সতী-সাদ্ধ্য পবিত্র ছেলে”? কই তার দিকে তো একবারও এই একই প্রশ্ন তুলে ধরেননি। সব প্রশ্নর ভাগিদার তো মেয়েটাকেই বানালেন। আপনাদের ছেলেটা কতটা সৎ বলতে পারবেন। সে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে সে একজন সতী-সাদ্ধ্য ছেলে। সে জীবনে কোনদিন কখনো কোন মেয়ের দিকে কুনজরে তাকায়নি, সে কোন মেয়েকে ছুঁয়েও দেখেনি, পারবে বলতে। প্রবাস জীবনের এই 10 বছরে সে কোন মেয়ে স্বামী কিংবা প্রমিক হয়নি। তাহলে কেনো মেয়েটাকে একা বলছেন অসৎ, মেয়েটি যদি অসৎ হয় তাহলে আপনার ছেলেটাও তো অসৎ তাই কি নয়। এবার তো খেয়েছে চান্দু ধরা, বিড়ালের মতো ডেপডেপ করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ছেলেটি। তাকিয়ে আছে সবাই আমার দিকে, কারো মুখে কোন উত্তর নাই।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমার কথা-
হ্যা এবার আমার আসল কথা শুনেন- এই সমাজ, এই সমাজের মানুষেরা প্রতিটি দায়, প্রশ্ন শুধু মাত্র মেয়েদের দিকেই ছুঁড়ে মারে কিন্তু কেনো? একটি মেয়ে প্রেম করেছে একটি ছেলের সাথে, প্রেম ভেঙে গেছে, কিছু কিছু মেয়েদের প্রেমের কারণে অসতীও হতে হয়। যারা অসতী হয় আমি তাদের কথা বলছি। অসতী কি শুধু তারা একাই হলো সাথে কি ছেলেটি অসতী হয়নি? হয়েছে কিন্তু সমাজ, সমাজের মানুষ ছেলেটির দোষ দেখছে না, দেখছে শুধু মেয়েটার দোষ, তা কেনো? কেনো সেই একই রকমের দোষ ছেলেটাকে দেওয়া হচ্ছে না।

বিয়ের সময় নাকি স্বামীরা স্ত্রীকে প্রশ্ন করে তুমি কি সতী নাকি অসতী, আচ্ছা বলুন তো- সে কি নিজেকে কখনো প্রশ্ন করেছে সে ছেলেটি সতী নাকি অসতী। এই প্রশ্ন অন্যের দিকে ছুঁড়ে দেওয়ার আগে কেনো নিজের দিকে ছুঁড়ে মারছে না। সমাজের মানুষ কেনো মেয়েটাকে একা বলে, ছেলেটাকে বলছে না?
তবে আমার প্রশ্ন- “যে সব ছেলেরা মেয়েদের অসতী, অসতী বলে বেড়াচ্ছে তারা কতটা সৎ”?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------




মন্তব্য ৭৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৭৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পরে এসে পড়ার ইচ্ছে থাকলো। শুভকামনা।

২| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অন্যকে অসতী বলার আগে নিজের চেহারটা একবার আয়নায় দেখুন।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আয়নায় তো না দেখে কেউ কোন অহেতুক প্রশ্ন করে না। আমি তো আপনাদের ছেলে জাতকেই প্রশ্ন করেছি, যে অন্যকে প্রশ্ন করার আগে নিজেদের চেহেরাটা আগে আয়নায় দেখুন। নাকি আপনি আমার প্রশ্নের বুজতে পারেননি? না পারলে ভালো করে পড়ুন এবং জানুন ।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: অসতী আবার কি?
না না এটা কোনো সুন্দর কথা না।
যারা এরকম চিন্তা করে আমি বলবো তারা মূর্খ।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম ভাইয়া অসতী কি? এটা তো আমার ও প্রশ্ন । আর এই শব্দটাই বা কারা বের করেছে।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

কাইকর বলেছেন: ভাল লিখেছেন

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সতী বা অসতী নিয়ে যে ধারণা, সেটার পেছেন কিছু লজিক আছে: যে মেয়ে বিয়ের আগে অন্য কারো সাথে ঘুমায়, সেই মেয়ে কাউকে ভালোবেসে ছিলো; সে নতুন স্বামীর প্রতি অনুরক্ত কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: লজিক তো আছে একটা তাইনা। সেটা যদি একটি মেয়ের বেলায় হয়ে থাকে তাহলে কেনো একটা ছেলের বেলায় হবে না। কি গ্যারান্টি আছে যে বিয়ের আগে ঐ ছেলেটা সৎ আছে।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

ছবিতে যে ছেলেকে দেখা যাচ্ছে, এরা ফালতু, এরা বিয়ে করে না।

৭| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক হাতে তো তালি বাজে না। তবে পুরুষ-শাসিত সমাজে এটা্ই স্বাভাবিক।
এর পরিবর্তন হওয়া উচিত।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: পরিবর্তনটা কবে হবে ভাইয়া?

৮| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপু।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপি

৯| ২১ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কিশোর মাইনু বলেছেন: অসতী :D
আরো অনেক নতুন নতুন শব্দ বের হবে।

একভিউ থেকে:পুরুষশাষিত সমাজে পুরুষেরা ফেরেশতা।তারা কেমনে অসতী(আসলে এইটার মিনিংটা কি?!?!?) হবে???
অন্যভিউ থেকে:শুধু আমরা ভাল,ফেরেশতা।চাদের কলংক থাকতে পারে,আমাদের না।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সেটা তো প্রমাণ্য দলিলেই আছে কারা ফেরেস্তা আর কারা কলংক। আর নতুন শব্দ এই রকম নতুন নতুন শব্দগুলো কারা বের করে বলুন তো? লজ্জা থাকা উচিত তাদের । যারা পুরুষশাষিত সমাজ নিয়ে ধোহাই দেয়া তারা কি হতে পারে ফেরেস্তানা না কলংক সেটাই আমার মাথায় আছে না। আর যারা পুরুষশাষিত পুরুষশাষিত করে তারা আসলে একটা মোটামাথার মানুষ। এর থেকে আর বেশি কি বলবো।

১০| ২১ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

শামচুল হক বলেছেন: ছেলের প্রতি প্রশ্ন ঠিক আছে, ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম ভাইয়া আপনাকেও ধন্যবাদ।

১১| ২১ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমাদের সমাজ ব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক। আর ধর্মগুলোও আইন করে পুরুষদের নারীদের চেয়ে অধিক মর্যাদা দিয়েছল, স্বাধীনতা দিয়েছে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষদের বড় বড় সমস্যাগুলো, আকামগুলো ছোট করে দেখা হয়; কিন্তু একটি মেয়ের অনেক ছোট কোন দোষকে ঢোল পিটিয়ে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

আর বিয়েসাদীর সময় পুরুষরা মেয়েদের অনেক খুত ধরলেও অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়েরাও ছেলে নির্বাচনে অনেক খুতখুতে হয়। বছরের পর বছর প্রেম করলেও বিয়ের সময় প্রেমিকের ব্যাংক ব্যালেন্স স্বাস্থ্যকর না হলে অনেক মেয়ে কৌশলে কেটে পড়ে।

বিয়ের আগে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা অনেক অনেক বেশী আকাম করে। তবে পাত্রী দেখার সময় টর্চ লাইট দিয়ে ভার্জিন খুজে।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভাইয়া আমার তো মনে হয় না যে ধর্মগুলোও আইন করে পুরুষদের নারীদের চেয়ে অধিক মর্যাদা দিয়েছিলো, স্বাধিনতা দিয়েছিলো। যদি কোন মানুষ দিয়ে থাকে তাহলে এটা হচ্ছে জোর জবদস্তি। কিন্তু যিনি সৃষ্টিকরেছে তিনি কিন্তু সমান মর্যাদা দিয়েছেন। সমান ভাবে আইন করে দিয়েছে কোরআনে। তিনি নারীদে বলেছেন পর্দায় থাকতে, বাট ঘরকুনো হতে বলেননি। কিন্তু আজকের নারীরা ঘর থেকে বের হয় বাট পর্দা করে না এটার জন্য আমিও নিজেকে এবং নারীদের কে ঘৃর্ণা করি।
তবে আমার প্রশ্ন ছিলো ছেলেরা মেয়েদের খারাপটা খোজার আগে কেনো তারা নিজেদের খারাপটা খোজে না।

১২| ২১ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সৎ অসৎ প্রশ্নটা আসলে বাহ্যিক!

মূলত তা ভার্জিনিটি নিয়েই ঘুরিয়ে বলা! এখন মেয়ের ভার্জিন না সহজেই বোঝা গেল!
ছেলে যে ভার্জিন তা প্রমাণের উপায় কি?

ছেলে দশটা প্রেম করলেও - আরেহ পোলাগো আবার কিয়ের কি! মাইয়া মানুষ

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই মাইয়া মানুষ শব্দটাই তো সমাজের একটা চরম অসহ্যকর শব্দ।

১৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ---
ছেলে দশটা প্রেম করলেও - আরেহ পোলাগো আবার কিয়ের কি! মাইয়া মানুষ হইল মা্য়া মানুষ! যার সব কিছুতে দোষ!
এই মানসিকতায় আর যাই হোক ভাল প্রজন্মের কোন সম্ভাবনা নেই।

১৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ১. ছেলেরা যাকে কাছে পায় তাকেই ভালোবাসে। বাপ ধরে বেধে বন্ধুর মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছে, বাসর রাতের আগ পর্যন্ত প্রেমিকার জন্য হাহুতাশ করবে। এরপরে বউ ছাড়া কিছু বুঝবে না। কিন্তু মেয়েরা যাকে একবার সত্যিই ভালোবাসবে সারা জীবন ঘুরে ফিরে বারবার তার কথাই ভাববে।

২. উপমহাদেশে মেয়ে একহাত হলে ছেলেকে দুইহাত হতে হবে। মেয়ে টেনেটুনে অনার্স পাস করে মোটা বেতনের চাকরি করা ছেলে খুঁজবে, বিশ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে খুঁজবে বিসিএস ক্যাডার জামাই (ক্যাডার জামাই পেলে সে চাকরিটাও ছেড়ে দিয়ে খাগড়াছড়ি গিয়ে থাকবে)। বিবাহযোগ্য মেয়ের তুলনায় প্রতিষ্ঠিত ছেলের সংখ্যা কম। এজন্য বিয়ের বাজারে ছেলে পক্ষের বারগেইন করার সুযোগ বেশি। তাই এসব আধিখ্যেতা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার কথা র সাতে আমার প্রশ্নের কোন মিল নাই ভাইয়া।

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সবাই যে বিদ্রোহ শুরু করে দিলো??:(


আচ্ছা?
সৎ মানুষ কাকে বলে???

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম ভাইয়া বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেছে। এটা তো ছেলে বলে কথা তাইনা ভাইয়া। মেয়েদের নামে কোন বদনাম হকালে তাহলে বিদ্রোহর জড়টা একটু কমই হতো।
হুম আপনার মতো সৎ আর অসৎ এই দুটো কি তা আমার জানার খুব ইচ্ছা। যেমন কোনো ছেলে যদি মেয়েদের বলে অসৎ তাহলে তাকে তো আমি বলবো ভাইয়া অসৎ টা কি?

১৬| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কেহ প্রেম ভাল বাসা করলেই অসৎ হয়ে যায় এই যুক্তিটা মনে হয় সঠিক না। তবে সীমা লঙ্গন কারীকে স্রষ্টা পছন্দ করেন না। তার জন্য রয়েছে কঠিন আযাব।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার মতো যদি এই কথাটি উভয় দলেই বলতো বা বুঝতো তাহলে তো এতো হিংসে বিদ্বেষ হয়না সমাজে তাই না ভাইয়া। কিন্তু দেখেন উভয় দলে একদল নিজেদের শক্তিশালী মনে করে তারপর অপরদলের দিকে ছুড়ে মারে প্রশ্ন।

১৭| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এগুলো সামাজিক একমুখো প্রচারণার ফল।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই প্রচারণাটা কেনো ভাইয়া?

১৮| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা এখন সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যেসব ছেলেরা প্রেমবিহীন ছিল তারা স্বাভাবিকভাবেই চাইবে যেন প্রেম ভালোবাসাবিহীন কোন মেয়েই তার জীবনে আসে। কিন্তু নিজে প্রেম করে বিয়ের সময় প্রেমবিহীন মেয়ে খোঁজা হিপোক্রেসি। যদিও এগুলোর সঠিক তথ্য বেশীর ভাগ সময়ই বিয়ের আগে জানা যায় না...

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্টস করার জন্য।

১৯| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৯

নতুন বলেছেন: এগুলি হইলো আমাদের সমাজের ভন্ডামী....

ছেলের যদি বিয়ের আগে অন্য মেয়ের সাথে সম্পক` থাকে... তবে সে বিয়ের সময় কুমারী/প্রেমবিহীন মেয়ে খোজা ভন্ডামী...

আর দেশে আমরা একটা পরিবত`নের সময় পার হচ্ছি.... বত`মানের মুরুব্বিরা চলে গেলে আমাদের সময়ের মানুষেরা যখন বুড়ো হবে তখন এতো এরেন্জ ম্যারেজও থাকবে না আর তখন মেয়ের আগে প্রেম ছিলো কিনা সেটাও খোজ করবেনা।

তখন মেয়েকে জিঙ্গাস করবে মেয়ে বিয়েতে রাজি আছে কিনা। :)

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কিন্তু যুগে যুগে সমাজ সংসারটাকে কারা ধ্বংস করছে?

২০| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপু‌রে, এইটা আমা‌দের প্রিয় বাংলা‌দে‌শের মানুষ। আমরা তো বদলা‌তে পারলাম না। শি‌ক্ষিত হ‌তে পারলাম না। আফ‌সোস!

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কোন ভাইয়া আমরা বদলাতে পারিনা? কেনো আমরা শিক্ষিত হতে পারলাম না? কোনো আফসোস করবো? আমাদের প্রজন্মকে কেনো ধ্বংস করে দিচ্ছে যুগে যুগে?

২১| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ব্যাপারটা আসলে নষ্ট তালা আর মাস্টার কীর মত ! একটা তালা যদি অনেকগুলো চাবি দিয়ে খোলা যায়, তাহলে সেটা নষ্ট তালা। আর একটা চাবি দিয়ে যদি অনেকগুলো তালা খোলা যায়, তাহলে সেটা হইল মাস্টার কী ! :P :D

আপনার সাথে সহমত ! ইহা একটি কৌতুক মাত্র ! তবে জামাইয়ের উপর রাগ করিয়া ভাত না খাওয়া বোকামি ! ছেলেরা অধম, তাই বলিয়া মেয়েরা উত্তম হইবে না কেন? প্রতিযোগিতা ভালো হইতে হউক , খারাপ হইতে নহে ! :(

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: অধমরা যদি চিরদিনই অধম থেকে যায়, কালেরবিবর্তনের যদি বদলায় তাহলে উত্তমরা সেখানে কি ভাবে উত্তম থাকবে বলেন। স্বামী যদি ১০ দিন বৌকে মারে তাহলে তো বৌকে ২ দিনও মারতে হবে স্বামীকে তাই কি নয় ভাইয়া?

২২| ২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কলি আপু! বাহ অসাধারণ! পোষ্টে প্লাসসসসসসস! সব আমার মনের কথাগুলোই লিখেছেন।

সমাজে প্রচুর ভালো ছেলে আছে।
তবে এমন কিছু ছেলেও আছে যাদের নিজেদের ভালো হবার কোন ইচ্ছে নেই, এদের কাজ হচ্ছে বসে বসে মেয়েদের ভুল ধরা এবং মেয়েদের ভুল দেখিয়ে নিজেদের অপরাধগুলোকে জাস্টিফাই করা।

১) যেমন আমি ধর্ষন করেছি কেননা মেয়েটি অশালীন পোশাক পরেছে। কিন্তু ভাই মেয়েটি তো কালো বোরখা পরে ছিল, তাকে ধর্ষণ করলেন কেন?আরেহ ঐ যে বলিউড মুভির মেয়েটি অর্ধনগ্ন হয়ে নাচল না? তাকে দেখেই তো আমার মাথা ঘুরে গেল! বলেন দোষটা কি আমার?
একজন মেয়ে ধর্ষিত হলে হয় মেয়েটির দোষ, নয়ত অন্যকোন মেয়ের দোষ। একজন পুরুষ তো দোষী হতেই পারেনা!

২) পরকীয়া করেছি, বেশ করেছি। বউ আগের মতো সুন্দরী নেই, প্রেগন্যান্সির পরে মুটিয়ে গেছে। আপনিই বলেন, আমার কি আর ঘরে মন টেকে? যে নারী পুরুষের মন ঘরে টেকাতে পারেনা তার জীবন তো ব্যর্থ!
আচ্ছা, তাহলে মেয়েরাও পরকীয়া করলে চরিত্রহীনা কেন হবে? নারীর মন সংসারে টেকানো পুরুষের দায়িত্ব না?

৩) এসিড তো আমি মারতে চাইনি, ওর সুন্দর মুখেরই তো প্রেমে পড়েছিলাম। ও প্রেম প্রত্যাখান করল কেন? এত বড় সাহস, আমার ভালোবাসাকে ফিরিয়ে দেয়! মেজাজ ঠিক রাখতে পারিনি, তাই...
এসব জানোয়াদের আর কি বলব?

৪) বউকে একটু আকটু মারধোর না করলে বশে থাকে না। তবে শরীরে আগুনটা দেওয়া ঠিক হয়নি, দিতামও না যদি ও যৌতুক আনত। বাপের গাড়ি গাড়ি টাকা, কিন্তু আমাকে দেবে না! দিয়েছি শেষ করে!
এখানেই মেয়েকে এবং তার পরিবারকেও ব্লেম করা হচ্ছে।

যাই হোক আর তাই হোক, নারীটিই দোষী! আর আমরাই কোথাও একটা দায়ী আপু। সমাজের মা, খালারাও পরিবারের মেয়েটিকে বলে, যে তুই মেয়ে বেশি সামলে চলবি, আর ছেলের দিকে ভাবটা এমন থাকে যেন, ও তো ছেলেমানুষ, ওকে আর কে কি বলবে? একজন পুরুষ যে নিজেকে মহামানব মনে করে, তার পেছনে সমাজ এবং সেই সমাজে থাকা কিছু নারীও কিন্তু দায়ী!

মেয়েদের যেকোন ভুল পাপ, এবং ছেলেদের পাপও যেন ছোটখাট ভুল!

আমি লম্বা একটি মন্তব্য করেছি, কেননা একজন নারী ব্লগার হিসেবে নারীদের পয়েন্ট অফ ভিউ এক্সপ্রেস করা আমার দায়িত্ব। ব্লগে পুরুষ ব্লগারের সংখ্যা বেশি, এবং এ পোষ্টেও সব পুরুষের কমেন্ট দেখলাম। কারো কমেন্ট সুন্দর, কারো কমেন্ট দেখে মাথা গরম হয়ে গেল। এসব পোস্টে নারী ব্লগারদের আরো বেশি কমেন্ট ও আলোচনা করা উচিৎ। তাহলে কিছু কিছু মানুষের চোখ খুলবে।

সকল শুভেচ্ছা!

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপি আপনি অনেক বড় এবং অনেক সুন্দর কমেন্ট করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপি ।
তবে হ্যা আপি এটাও ঠিক বলেছেন যে , এর জন্য আমারাও কোথাও দায়ী।

২৩| ২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: যা বলার সামু পাগলা বলে দিয়েছে।

হাঁ, ছেলেদেেকে এ সুযোগ আমাদের যুগ যুগ ধরেই দিয়ে আসছি। এ সমাজ, এ মা/খালা/বোন/ফুফু, বাবা/মামা/চাচা/ভাই, সংস্কৃতি, মিডিয়া.............. সব কিছুই এর জন্য দায়ী। একটি মেয়ের কুড়ি না পার হতেই শুরু হয়ে যায় গন্জনা আর ছেলেরা চল্লিশে কচি খুকি খুজেঁ বিয়ের জন্য। বিয়ে হয়েছে? ডিভোর্স হয়েছে? বউ মরে গেছে? লিভ টুগেদারের পার্টনার ভেগেছে? কয়েক ডজন প্রেম করেছে......... কোন সমস্যা নেই। আরে ছেলেদের চরিত্রতো ইস্পাত কঠিন....... কোন ভাবেই ভাঙ্গে না। আর মেয়েদের চরিত্রতো কাচেঁর পাত্র অনেকটা হোমিও প্যাথের শিশি...... একটুতেই ভেঙ্গে যায়। বুঝতে হবে তো..............

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম আপি কেনো এইরকম হয় তাহলে আমাদের সমাজে। আমি যখন বুজতে শিখিছি তখন থেকেই দেখি মেয়ে আর ছেলের মধ্যে কতটা তফাত। কিন্তু কেনো এতো তখান। তখন নিজেকেই প্রশ্ন করেছি এই তফাত কি সৃষ্টিকর্তা নিজেই করেছেন নাকি মানুষ করেছে। তারপর যখন আরো জানতে পারলাম তখন দেখি না এটা সৃষ্টিকর্তা নিজে করেননি করেছে মানুষ। আর তখন থেকে আমার মনে হিংস জন্মলো আপি।

২৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৯

নিশি মানব বলেছেন: একটা মেয়ের সবচেয়ে বড় শত্রু কিন্তু আরেকটা মেয়েই।
একটা ছেলেকে চিনার জন্য সকলে ছেলে-মেয়ের শরনাপন্ন হয়। কিন্তু একটা মেয়েকে শত ছেলের চেনা থাকা সত্বেও সকলেই আরেকটা মেয়ের শরনাপন্ন হয়। সেই মেয়ে যদি বলে ভাল, তো ভাল। আর যদি বলে খারাপ, তাহলে অপশ্যই খারাপ। সব পুরুষের দৌড় সেখানেই স্টপ।

বৌ-শ্বাশড়ী যুদ্ধ, ননদ-ভাবীর দ্বন্দ, বোনের সাথে বোনের লড়াই সব খানেই দেখবেন মেয়েদের টেনে নামিয়েছে মেয়েরাই।
নচেৎ প্রতিটি পুরুষেরা চায় সম্মান করতে। সকল নারীদের মা-বোন ভাবে সব পুরুষরাই। মশকরার সুযোগ পায় যখন নারীদের আশকারা পায়।

একজন প্রবাসীকে জানি, যিনি দুই-তিন বছরে এক বার দেশে আসেন। আর সুযোগ পেলেই মেয়ের নামে কথা উঠান, মেয়ে কিছু জানেনা। সংসার করতে পারেনা। আদব কায়দা শিখায় নাই। বাচ্চাদের কিভাবে মানুষ করবে। সেই প্রবাসীর সাথে তাল মিলায় তারই মা জননী। অথচ এই মা জননী সময়ের আগেই সব কিছু পেয়ে যান। কোন দিন তার বলতে হয়নি। তার নাতি-নাতিনদের ব্যাবহার, আাচার-আচরন, কথাবার্তা দেখলেই মুগ্ধ হয়ে যাই। ওনাকে একবার বলেছিলাম, আপনিতো থাকেন প্রবাসে। আপনার ভাইবোন নিজেদের নিয়ে ব্যাস্ত। কিছু না জানলে-পারলে একাকী একটা ঘরে একটা মেয়ে কিভাবে এতোগুলো বাচ্চাকে মানুষ করলো? প্রবাসী কিছু বলতে পারে নাই। সেই মা জননী শুধু বলেছিলেন, তাদের সংসারের কথা বাহিরের মানুষ কেন বলবে।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম আপি দায়ী তো বেশির ভাগ মেয়েরাই । সেখান থেকেই তো পুরূষরা বেশি সুযোগ পেয়েছে। তা না হলে আজকের পুরুষরা এতো মাথা উচু করে চলতে পারতো না।

২৫| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তারাও অসৎ হতে পারে। সেটিও বাছবিচার করা হয়।
শুধু মেয়েদের দোষারোপ যুক্তি যুক্ত নয়।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম হতে পারে কিন্তু কেনো করে না?

২৬| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

আনাতোলিয়া বলেছেন: একদম উচিত কিছু প্রশ্ন করেছেন আপু।

২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম আপনার ভালো লেগেছে সেই জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমাদের সমাজে এটা্ই স্বাভাবিক।
এর পরিবর্তন হওয়া উচিত।-...
....................................................

২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: পরিবর্তনটা করবে কারা?

২৮| ২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সৎ রাজনীতিক , সৎ গনতান্ত্রিক রাস্ট্র কাঠামো , এবং সুশিক্ষিত সচেতন জনগণ ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দোয়া করি যেনো অতি তারাতারি এগুলো জেগে উঠে।

২৯| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০২

কিশোর মাইনু বলেছেন: এখন কিন্তু আপনি ও অসৎ,কারণ চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
তবে কথা হচ্ছে,এই সমাজে এই ধরণের অসত ই হওয়া দরকার।

আর অন্যদের নামে পিন লাগানো মানুষগুলোর জন্য সমবেদনা।

২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তা আমি জানিনা। তবে আপনি ভালো করে চোখ ভুলিয়ে আমার লেখাটি আরো একবার না হয় তিন বা পড়ে দেখবেন । আমি আমার লেখায় কি বোজাতে চেয়েছি।

চোখে তো আমি আঙ্গুল দিবো তাদেরি যারা এই ধরনের কথা বলে। তাদের কাছেই তো আমার প্রশ্ন, যারা এই ধরনের কথা বলে। আপনি কি আমার প্রশ্নের মানিনা বোজেননি? নাকি হেরে যাবেন বলে পুরুষসমাজের দোহাই দিচ্ছেন? যদি তাই দিয়ে থাকনে তাহলে মনে করবো ওটা অযথা দোহাই দেওয়া এর বেশি কিছু না।

৩০| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল একটি বিষয়ে লিখেছেন।
আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন জরুরী।

২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩১| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: হেরে যাব বলতে?!?!?
কার কাছে কিসে হেরে যাব?!?!? :D
আর পুরুষশাষিত সমাজের দোহাই?!?!? :D

আপনি আসলে আমার বক্তব্য বুঝে উটতে পারেননি।একটা ঘটনার অনেকগুলো ভিঊ থাকে,আমি প্রথম কমেন্টেই বলেছি।
আপনি আপনার উল্লেখিত ঘটনা টি এক ভিঊতে দেখছেন।আমি হয়তো অন্য ভিউ থেকে দেখছি।

৩২| ২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

কিশোর মাইনু বলেছেন: আপনি দেখছেন ফিমেল ভিউ থেকে।
তাহলে অই ভিউ থেকে আমার না দেখলেও চলে।
তাই আমি দেখছি বাইরের মানুষের ভিউ থেকে।
যেই ভিউ তে এই ফ্যামিলি ২ রকম হতে পারে।তাদের ছেলের জন্য দেখা মেয়ের নামে ১৯/২০শুনেই যেভাবে মেয়েটাকে অসতী বানিয়ে দিয়েছে,তাদের মেয়ের জন্য ছেলের খোজখবর নিলেও এমন ই করবে।কিন্তু তাদের ছেলেমেয়ে কখনো 'অসতী' হতে পারেনা।
অথবা সামু আপু যেটা বললেন,ছেলে বলে সাত খুন মাফ,মেয়ে বলে টোকা মারলেও পাপ।

৩৩| ২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

আঁধার রাত বলেছেন: বিবাহপূর্ব যৌন সর্ম্পকের সাথে নারীর সতী অসতী হওয়ার কোন সর্ম্পক নাই।
পঞ্চ সতীর একটি তালিকার নাম গুলো হল অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা, মন্দোদরী
ঋষি গৌতমের বৌ অহল্যা লুকাইয়া পুরানো প্রেমিক ইন্দ্রের সাথে যৌনতা করার অপরাধে শাস্তি পেয়েছিল স্বামীর কাছে।
দ্রৌপদী একই সাথে পাঁচটা স্বামী মেন্টন করত ১. যুধিষ্ঠির, ২. ভীম, ৩. অর্জুন, ৪. নকুল, ৫. সহদেব
কুন্তীর বিবাহ পূর্ব সন্তান কর্ণ, বিবাহের পর সন্তান না হওয়ায় বন্ধ্যা অপবাদ মাথায় করে একদা স্বামীর সাথে বনবাস পরবর্তীতে জঙ্গলে যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন জন্মদিয়ে হস্তিনাপুর আগমন।
বৃহস্পতির বৌ তারা প্রেমিক সোমের সাথে নিরুদ্দেশ হয় পরে স্বামীর ঘরে ফিরে সন্তান জন্ম দেয়। বৃহস্পতি জিগায় ছেলে কার? তারা বলে সোমের।
মন্দোদরী রাবণের স্ত্রী। কোন কোন রামায়নে পাওয়া যায় সুগ্রীব তারে ধর্ষন করে।
এরা সবাই সতী নারী। সুতরাং পরপুরুষ এর সাথে যৌন সম্পর্ক বা বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক থাকলেই কেউ অসতী হয় না। স্বামীর প্রতি অনুগত না থাকলে অসতী হয়।
কি আপা খুশি তো?

২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভাইয়া এই কথা গুলো আমাকে না বুজিয়ে, বুজান কিছু অধম পুরুষ/মহিলাদের। কিছু মানুষ আছে নিজেদের ভালো বা দোষ/গুণ না খুজে, খুজে অন্য মানুষদের।

৩৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ আঁধার রাত !

সুতরাং পরপুরুষ এর সাথে যৌন সম্পর্ক বা বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক থাকলেই কেউ অসতী হয় না। স্বামীর প্রতি অনুগত না থাকলে অসতী হয়।

আপনার সংজ্ঞা পড়িয়া সংজ্ঞা হারাইয়া ফেলিয়াছিলাম ! পরে যাচাই করিয়া দেখিলাম ইউরোপের মধ্যে ফ্রাঞ্চের বিবাহিতারা সবচেয়ে সতী ! আমাদের দেশের মাইয়ারা এই ধরণের সতী হইতে এখনো পারিল না ! আফসুস ! :P

২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কথায় কথায় মাইয়াগোরে না টানিয়া পোলাগোরেও একটু টানেন। নিজেদের কে কেনো যে এতো পোলা পোলা কইরা বিকান এটাই আমার কাছে বড় আফসুস!!!!

৩৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

আঁধার রাত বলেছেন: টারজান০০০০৭ সংজ্ঞা তো আমার না ভাইজান। সংজ্ঞা মহাভারতের। আর পঞ্চ সতীর তালিকার নাম। আমি শুধু খিস্তিখেউড় যোগ করে উপস্থাপন করিয়াছি মাত্র। কিলের ওজন দেখে বোঝেন নাই কি বলতে চেয়েছি।

৩৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জী ম্যাডাম, মন্তব্যখানি মাইয়াগো লইয়া, তাই মাইয়া মাইয়া করিতে হইতেছে ! পোলাগো লইয়া হইলে পোলা পোলা করিতাম !

দিছেন তো নারী পুরুষের চিরকালীন ক্যাচাইলা পোস্ট ! এক আধটু চাপান উতোর তো হইবেই !!!

আমি কিন্তুক আপনার সাথে সহমত পোষণ করিয়াছি !!! এবার কিল খানা অন্যদের দিলে হয় না ? :(

২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আমি আপনার কিল খানা হয়তো বুজিতে পারি নাইকা হয়তো বা ।!!!!!!!!!

৩৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

ইনাম আহমদ বলেছেন: বাংলাদেশের মতো পশ্চাৎপদ সমাজগুলোতে মেয়েদের দোষটাকে বরাবরই বড় করে দেখা হয়, ছেলেরা সবাই ধোয়া তুলসীপাতাই থাকে।
প্রেম করলে মেয়ে খারাপ, ছেলের দশটা গার্লফ্রেন্ড থাকলে সে স্মার্ট। তবে সমস্যা হচ্ছে, মেয়েদের এসব নিয়ে যতটা না ছেলেদের কাছে হেয় হতে হয়, তারচেয়ে বেশী তারা অন্য মেয়েদের কাছেই বেশী হেয় হয়।
নতুন স্ত্রী সংসারে আসলে সবচেয়ে বেশী নির্যাতন করতে দেখা যায় তার শ্বাশুড়ীকে, কারণ মেয়ে বলে সংসারের পুরুষেরা খুব একটা কথা বলতে চান না। আশ্চর্য্য এক সংস্কৃতি আমাদের।

২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই মেয়েদের দোষ মেয়েদের দোষটা না ভাইয়া আসলেই আমার আর সহ্য হয় না। কবে যে এর থেকে বেরিয়ে আসবে মেয়েরা তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।

৩৮| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুননাহার কলি ,




আসলে আমরা কেউই সৎ নই , সবাই হিপোক্রেট ।

২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: জানিনা ভাইয়া কিন্তু আমি যেটা বলছি সেটা হয়তো বা কেউ বুজতে পারেনি।

৩৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

সিগন্যাস বলেছেন: আহা কলি আপু কেমন আছেন?

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

৪০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৩১

অনল চৌধুরী বলেছেন: বয়স তার চল্লিশ ছুঁই ছুঁই, তয় ভাবুন এবার মরনের বয়সে বিয়ে করতে গেছে।-৪০ এ কেউ মরে নাকি?
গড় অায়ু ৭২।
ট্রাম্প-মেলানিয়া,রেলমন্ত্রী!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.