নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের শাস্তি মানুষ এবং ইসলাম কি বলে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৯



প্রথমতো পর্দা সম্পর্কে আমি কিছু কথা বলবো। যেহেতু পর্দাহীনতার কারণেই নাকি নারীরা ধর্ষণে শিকার। তাই পর্দার কথাটি আগে তুলে ধরি। মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। ’দু’ধরনের এক নারী অন্য পুরুষ। নারী এবং পুরুষ এরা উভয় মানুষ তবে এদের আলাদা আলাদ নাম হওয়ার কারণ হলো- তাদের দেখতে আলাদা, তাদের আছে শাররীক ভাবে পার্থক্য, মানসিক ভাবে পার্থক্য, প্রকৃতিক ভাবে পার্থক্য, এবং তাদের ভূমিকাও আলাদ। আর এই সব পার্থক্য কারণেই তারা মানুষ থেকে হয়েছে নারী পুরুষ, তাছাড়া তারা উভয় মানুষ।

এবার আসি পর্দার বিধান নিয়ে। মহান আল্লাহ তার পবিত্র কোরআনে কি বিধান দিয়েছেন পর্দা সম্পর্কে। সূরা নূর অধ্যয় ২৪, আয়াত ৩০- “বিশ্বাসী পুরুষদের বলো তারা যেনো তাদের দৃষ্টিকে শালীন রাখে, লজ্জাস্থান ঢেকে রাখে, এবং যৌনকাঙ্কাকে সংযত রাখে এতে তাদের শুদ্ধাচারী করে তুলবে। তারা যা করে আল্লাহ সে-সম্পর্কে সম্পুর্ণ ওয়াকিবহাল।” সূরা নূর অধ্যয় ২৪, আয়াত-৩১, “ বিশ্বাসী নারীদের বলো- তারা যেনো তাদের দৃষ্টিকে শালীন রাখে, লজ্জাস্থানসমূহ ঢেকে চলে, এবং যৌনাকাঙ্কাকে সংযত রাখে। সাধারণ ভাবে যা প্রকাশমান, তা ছাড়া যেনো তাদের সৌন্দর্য ও মাধুর্য যেন জনসমক্ষে প্রকাশ না করে। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার ওড়না দ্বারা ঢাকা থাকে।

মহান আল্লাহ পর্দার বিধান সকলকেই দিয়েছেন। এতে কেউ যদি নিজেদের গায়ের জোড়ে বলে পুরুষদের পর্দার বিধান নেই শুধু নারীদের আছে সেটা তারা ভুল বলল। নারীরা সমাজ, পরিবার, পরিবেশ বুঝে বেপর্দা হয়ে যায়, আমি বলবো এটা তাদের ঠিক হয় না। এটা তারা ভুল করে। ঠিক তেমনি আমি পুরুষদেরও বলবো- শুধু নারীর পর্দা না দেখে নিজেদেরও একটু পর্দার মধ্যে রাখুন বা রাখতে শিখুন। পাশ দিয়ে বা রাস্তা দিয়ে কোন মেয়ে হেটে গেলেই ডেব ডেব করে না তাকিয়ে, হাতের একটু স্পর্শ না দিয়ে, অশ্লীন কথাবার্তা না বলে নিজেদের আগে শুধরাতে হবে। এতে আমি সব পুরুষদের বলবো না, বলবো ১০০% এর মধ্যে ৯৫ % পুরুষদের আছে এরকম সভাব। নারীরাও আছে ১০০% মধ্যে ৯৫% বর্তমান নারীরা বিশৃঙ্খল। তাই পর্দার সাথে ধর্ষণের কোন সম্পর্ক নাই এবং থাকতে পারে না। এটা হলো কিছু নোংরা পুরুষদের আচারণ। আর এই ধরণের নোংরা মন-মাসনিকতার পুরুষগুলোকে বের করতে হলে সবার আগে মানতে হবে আইন আর কোরআনের বিধান অনুসারে শাস্তি।

ধর্ষণের শাস্তি মানুষ এবং ইসলাম কি বলে।

মানুষ সে যে ধর্মেরই হোক, হতে পারে মুসলিম, হতে পারে হিন্দু, হতে পারে খ্রিস্টান। এদের মনে নতুন নতুন ভাবে অনেক কিছু জন্ম নেয়। হঠাৎ করেই শুনি অনেকেই বলে- যে ইসলাম নাকি ধর্ষেণের কোন শাস্তির বিধান দেয়নি। অনেকে বলে যে কোন নারী যদি ভিটকিম হয় তবে তার জন্য চারজন সাক্ষি দরকার। হাস্যকার,, আর এরকম হাস্যকর কথা ইসলাম তাও আবার আল্লাহ তার বান্ধাদের এরকম বিধান দিবেন। কোরআন কোন ভন্ডামি শিক্ষা গ্রন্থ নয়। আমি হাদিস বাদ দিলাম কারণ হাদিস আমাদের রাসূলের জীবন থেকে নেওয়া ও মানুষে হাতের লেখা, মানুষের বলা কথা। এমনকি হাদিস আমাদের রসূল (সাঃ) ও লেখে যাননি। হাদিস সহি হলেও কিছু হাদিস সেকালের একালের মানুষের হাত আছে, যে হাত ব্যবহার করেছেন ভুল লেখার জন্য। তাই আল্লাহ কোরআনে বলেছেন-

সূরা বাকারাহ অধ্যয় নং-২ আয়াত নং- ৭৮ অশিক্ষিতদের আরেকটি দল আছে, যারা কিতাবের কোন ইলম রাখে না। তারা শুধু ভিত্তিহীন আশা-ভরসা নিয়ে বসে আছে আর অমূলক ধারণা-বিশ্বাস নিয়ে চলে। আয়াত নং - ৭৯, তাদের জন্যই ধ্বংস, যারা নিজেদের হাতে শরীআতের বিধান রচনা করে। তারপর লোকদের বলে যে, এসব আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে, যাতে ওরা এর বদলে সমান্য কিছু মূল্য পেতে পারে। তাদের হাতের এ লেখাও তাদের ধ্বংসের কারণ এবং তাদের রোজগারও তাদের ধ্বংসের বাহন।

এবার আসি ইসলাম কি শাস্তির বিধান দিয়েছেন ধর্ষকদের।
সূরা নূর অধ্যায়-২৪ আয়াত-২-“প্রতেক ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিনীকে একশত বেত মারবে। আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী হয়ে থাকলে এ বিধান কার্যকর করতে গিয়ে আবেগ বা দয়া যেন তোমাদের প্রভাবিত না করে। আর ওদের শাস্তির দেওয়ার সময় যেনো বিশ্বাসীদের একটি দল উপস্থিত থাকে।”

সূরা নূর অধ্যায়-২৪ আয়াত-৪, “কোন পুতচরিত্রা নারীর বিরুদ্ধে কেউ অপবাদ দিয়ে যদি চার জন্য সাক্ষী উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে অপবাদ রটনাকারীকে শাস্তি হিসেবে ৮০ বেত মারবে। আর কোন দিন তার সাক্ষ গ্রহন করবে না। এরা সত্যত্যগী।”

সূরা নূর অধ্যায়-২৪ আয়াত-৬-৭“যদি কেউ নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দেয় এবং তার পক্ষে যদি কোন সাক্ষী না থাকে তাহলে সে আল্লাহর নামে চার বার শপথ করে বলবে যে, যে সত্য বলছে। আর পঞ্চম বার শপথ করে বলবে যে তার অভিযোগ মিথ্যা হলে তার উপর আল্লাহ গজব নেমে আসবে।”


সূরা নূর অধ্যায়-২৪ আয়াত-৮-৯, “ আর এর বিপক্ষে স্ত্রী যদি চার বার আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে,তার স্বামী মিথ্যা বলছে এবং পঞ্চম বার শপথ করে বলে যে, তার স্বামী সত্য বলে থাকলে তার নিজের ওপর আল্লাহর গজম নেমে আসবে, তখন কিন্তু স্ত্রীকে কোন প্রকারের শাস্তি দেওয়া যাবে না।

এই সূরার ৪, ৬-৭নং এবং ৮-৯ নং আয়াত দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে- কোন নারীর নামে যদি কেউ মিথ্যে অপবাদ দেয় তাহলে যে অপবাদ দিয়েছে সে স্বামী হোক বা অন্য কেউ হোক তার পক্ষে চারজন সাক্ষীদাতা লাগবে। এটা যাচাই করতে যে সত্যিই সে ব্যভিচার করেছে কি না। অপবাদ রটনাকারী যে একজন নির্দোষ নারীর নামে মিথ্যে অপবাদ দিলো তার কি কোন প্রমান আছে। সেটা তাকে দেখাতে হবে। যদি না থাকে তবে তাকে আল্লাহর নামে শপথ করতে হবে চারবার, পঞ্চম বারে বলতে হবে তার উপর যেনে আল্লাহর গজব নেমে আসে। কোন প্রমান না দেখিয়ে যে একজন নারীর নামে মিথ্যে অপবাদ দিবে সেটা তো কেউ মেনে নিতে পারবে না। আর সেই জন্যই চারজন সাক্ষির কথা বলা হয়েছে। ঠিক সেই ভাবেই কোন নারীর যদি কোন সাক্ষি না পায় তাহলে তাকেও তার মিথ্যা অপবাদ থেকে বাচার জন্য তাকে শপথ করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী।

এখন মানুষ এই আয়াতের একটা ভুল ধারণা দেয় যে- তারা বলে কোন নারীকে কেউ যদি ধর্ষণ করে তাবে সেখানে চারজন সাক্ষীর দরকার। এটা একেবারেই ভুল কথা। এগুলো বলা হয়েছে অন্য ভাবে।

এছাড়াও আল্লাহ ধর্ষণকারীর শাস্তির বিধান দিয়েছেন- সূরা মায়েদা অধ্যায়-৫, আয়াত নং ৩৩, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথীবীতে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের প্রাপ্য শাস্তি হচ্ছে, হত্যা বা শূলে চড়ানো অথবা হাত পা কেটে ফেলা বা নির্বাসিত করা। পৃথিবীতে এ লঞ্ছনার পরও পরকালে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিনতম শাস্তি।”

আল্লাহ তায়লা পবিত্র কোরআনে শাস্তির বিধান আরো ভালো ভালো আয়াত নাজিল করেছেন। সেখানে এমন বলা হয়েছে যে- যে, তোমরা অন্যায়কারীদের শাস্তি দিবে সে যেভাবে তোমার সাথে অন্যয় করেছে ঠিক সেই ভাবে। রক্তের বদলে রক্ত, মাইরের বদলে মাইর, হত্যার বদলে হত্যা। বাংলাদেশে একটা মেয়েকে ধর্ষণ তো করেই সেই সাথে মেয়েটাকে হত্যাও করে তাহলে এদের বিচারও তো সেই রকম হওয়া কথা। কিন্তু হচ্ছে না!!! কেনো হচ্ছে না? দেশে আইন নেই?, নাকি মানুষ নেই? যারা আছে তারা কি পশু? নাকি অমানুষ?

বিদ্রপ- কমেন্টকারীরা বুঝে পড়ে তারপর কমেন্ট করবেন। যুক্তি দিয়ে কথা বলবেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রচলিত আইনে শুধু ধর্ষকের বিচার হয়। ধর্ষিতার বিচার হয় না।
বর্তমানে ফরেন্সিক টেষ্ট, ফিঙ্গারপ্রিন্ট কেন্দ্রিয় ডাটাবেসে মিনিটের ভেতর ভেরিফাই, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, খুবই নির্ভরযোগ্য ডিএনএ টেষ্ট। ইত্যাদিতে সহয়েই ধর্ষন প্রমান করা যায়। ধর্ষকে খুজে পাওয়া যায়। পলাতক থাকলেও চিহ্নিত করা যায়।
শাস্তি দির্ঘমেয়াদি কারাদন্ড বা জাবৎজীবন জেলদন্ড। রেপ উইত ইঞ্জুরি বা আক্রান্ত মহিলা ডেথ হলে মৃত্যুদন্ড।

কিন্তু আরব, পাকিস্তান, সুদান সহ মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত ইসলামী আইনে ধর্ষনের কোন শাস্তি নেই।
কিতাবে ধর্ষন বলে কোন শব্দ নেই। জোড়পুর্বক জেনার ব্যাপারটিও নেই। শুধু জেনা বা ভ্যাবিচারের বিচার আছে। এতে আহত নিহত হলে সেটার বিচার আছে।

যাই হোক ধর্ষন বিচারে জেনার দায়ে ধর্ষক-ওধর্ষনের শিকার নারী উভয়ের কঠিন শাস্তি হয়। মৃত্যু নাহওয়া পর্যন্ত পাথর মারা দোররা মারা।
জোড়পুর্বক জেনার ব্যাপারটা কোরান হাদিসে না থাকায় প্রচলিত আইনের সাহায্যে আক্রান্ত নারীকেই কষ্ট করে প্রমান হাজির করতে হয়। দোররার পিটুনি আর সামাজিক লাঞ্ছনার হাত থেকে বাচতে।
বিচারে পুরুষের চেয়ে দ্বীগুন সাক্ষী হাজির করতে হয় লাঞ্ছিত ধর্ষিতা নারীকেই। এরপরও বিচার নিভৃতে কাঁদে।
১০. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫০

ধর্ষিতা সাক্ষী খুজে পায় না আরেকটি হাদিসের কারনে।

"১/২৪৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘দুনিয়াতে কোনো মমিন বান্দার দোষ যে গোপন রাখে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’’
(মুসলিম [1]

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আরব দেশে ধর্ষণকারীর বিচার হয় প্রকাশে গর্দান। কোরআনের ব্যাখ্যা অনেকেই বুঝতে পারে না।
আর নিচে যে হাদিসটি দিয়েছেন তা কিন্তু না বুঝেই দিয়েছেন। দোষ বলতে কি বুঝায়? দোষটা হলো সেটা যেটা মানুষ গিবত নামের আরেকটি কুটনামি করে সেটাই। আপনি বা আমি খারাপ হলে অন্য কেউ সেটা নিয়ে কানাগুষা হইচই করে বেড়ায় সেটাই কি নয়। কিন্তু ধর্ষণের মতো বিধান তো দিয়েই দিয়েছে কোরআনে।
এখন মানুষ বা কোন দেশ যদি সেটা না মানে তাহলে কি করার আছে। আগে তো মানুষ পশু না হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে তারপর না হয় কথা।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

মেটালক্সাইড বলেছেন: প্রবন্ধ সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না। কিছুদিন আগে একজন ইমাম,মুফতী ও দ্বায়ীকে তার একটি আস্তিক বিষয়ক প্রবন্ধে সামহোয়্যর ব্লগ সম্পর্কে অভিমত চেয়েছিলাম। এককথায় নাস্তিক ও মুনাফিকদের ব্লগ বলে মতামত দিলেন। তার কথার সত্যতা ৯৯% পরিলক্ষিত। এটা যদি স্বীকার করে নিই, তাহলে আপনি, আমি নাস্তিক না হলেও মুনাফিকের স্তরে আছি বিবেচ্য নয় কি?

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

এম ডি মুসা বলেছেন: আয়াত্ গুলি আমার পূর্ব জানা ছাল আমার একটি প্রিয় বন্ধু কে দিছিলাম
তার জন্য তার সাথে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। আজকাল বয়ফ্রেন্ড্ নামে একটি শব্দ আছে।
যা শুধু , ভিত্তি হীন সম্পর্ক, যতক্ষণ বুঝার জ্ঞান হয়েছে এসব কে আর লাইক করিনা।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

এম ডি মুসা বলেছেন: [link|https://bn.m.wikipedia.org/wiki/ইসলামে_নারী#নারীদের_ঘরের_বাইরে_যাওয়া|"হে নবী, বলুন আপনার স্ত্রী ও কন্যাদেরকে এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে যে, তাঁরা যেন তাঁদের বহিরাবরণ পরে থাকে (যখন বাইরে যাবে)। এটা তাঁদের পরিচিতির অত্যন্ত উপযোগী। (তাঁরা যেন পরিচিত হয় বিশ্বাসী নারী হিসেবে) তাহলে আর অহেতুক উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়াবান।"৩৩:৫৯[১]]

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ষনের শাস্তি কি ধর্ম দিয়ে করতে হবে?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধর্মেতো কঠিন শাস্তির বিধান দেওয়াই আছি । ধর্ষণকারীতে হত্যা করা বা গর্দা দেওয়া। এটাই তো সর্বচ্চ শাস্তি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই শাস্তি কোনো আদালত, সমাজ করতে চায় না। এটা তো ধর্মের দোষ নয়। আজ যখন সমাজের ভালো কোন কিছু পাচ্ছে না তখন ধর্ম নিয়ে কেনো এতো টানা টানি। ধর্মে তো কঠিন ভাবে অন্যকারীকে শাস্তির বিধান দেওয়াই আছে। তবে সমাজ কেনো সেটা মানছে না। এতে কি সমাজের দোষ না?

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপা, ধর্ম এবং ধর্মবিধান তাদের জন্য যারা ধর্ম মানে।

আজকাল সম্পদ এবং শক্তির জন্য মানুষ মরিয়া।

সালাম জানবেন।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: তোমরা অন্যায়কারেকে শাস্তি দেবে যেভাবে তোমার সাথে অন্যায় করেছে সেভাবে।এত সুখ ধর্ষনকারির সইবে তো?পর্দার কথা বললেন কিন্তু নারী পুরুষের পর্দায় যে পার্থক্য আছে তা এড়িয়ে গেলেন।পুরুষের নাভী থেকে হাটু ঢাকা থাকলেই চলে;নারীর কি তা চলে?আর চোখের পর্দা নারী-পুরুষ সবার জন্যই প্রযোজ্য।ধর্মের নামে আর কত অধর্মের আশ্রয নিবেন?এখনকার নারীবাদিদের নিজের পর্দা তো দূরের কথা বাসার জানালায় পর্দা আছে কিনা সন্দেহ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: পুরুষ নাভী পর্যন্ত এসব ফালতু বিধান কোথায় পেলেন। পৃথীবির কোন পুরুষই এই রকমটা পারবে না। আর নারীদের কথাটা একটু বেশি লিখে দিয়েছে ভালো ভাবে পড়ে নেন। কি পড়লে পড়া লেখা ভালো ভাবে বুজতে পারেন না। তোমরা অন্যায়কারেকে শাস্তি দেবে যেভাবে তোমার সাথে অন্যায় করেছে সেভাবে। এই লাইনটা আপনি বুঝতে পারেননি। কি করবো বলেন কিভাবে মুর্খ্যদের আমি বুঝাই।

একজন মানুষকে যে মেরে ফেলবে, আর হত্যাকারীকেও হত্যা করা হবে শাস্তির বিধান।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: ইসলাম যাই বলুক ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি না দিলে ধর্ষণ থামবে না।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ইসলামও কঠিন শাস্তির কথা বলা আছে।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ষণের সঠিক সংজ্ঞা কি বলে আপনি মনে করেন? ধর্ষণের সংজ্ঞা আপনার পোস্টের শুরুতে দিয়ে দিন তাহলে বিচার কোন আইনে করা সম্ভব সেটা বের করা যাবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধর্ষণ তো বর্তমান সমাজের একটা বেধি। যা আগেরকার দিনে এরকম ব্যধি ছিলো না। আজ মানুষ পশুর থেকেও খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি বলবো ধর্ষকের শাস্তি হয়ে কঠিক ও সবোচ্ছ শাস্তি। ধর্ষকের এমন শাস্তি হবে যেনো কোন পশু মতো পুরুষ মেয়েদের দিকে তাকাতেও ভয়ে কাপে। ওদের শাস্তি হবে গর্দা, বা ফাসি। এটাই হলো ধর্ষকের প্রকৃতি শাস্তি।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন।
সত্যতো এমনই স্পষ্ট! কিন্তু যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কথা আলাদা!

ধর্মকে যারা ছুড়ে ফেলে দিয়ে আধুনিক হতে চায় তাদের জন্যই সমাজের এই বিষক্রিয়া
ধর্মকে ধারন করতে না পেরে বা ধার্মিকের ভুলে ধর্মকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে তারা সমাজ থেকে ধর্মকে বাদ দিতে চায়!
কর্পোরেট ভোগবাদী দুনিয়া তাতে হাওয়া দিয়ে আজ জীবন সুরক্ষাকারী ধর্মকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিয়েছে।

দৃষ্টি নত থাকা, যৌনাকাংখা নিয়ন্ত্রনে রাখার মতো সুন্দর সদুপদেশের পর দেয়া হয়েছে ভয়ংকর শাস্তির বিধান।
অনেকেই দেখি ধর্মের এই শাস্তির অংশ নিয়ে ট্রল করে- ইসলামকে ক্রুঢ়তার ধর্ম ট্যাগ দিতে চায়!
তারাই আবার দেখবেন- ধর্ষনের ঘটনার পর শাস্তির অদ্ভুত সব উপায় নিয়ে হাজির পর সোশাল সাইটে!

দৃষ্টিভঙ্গির সহজতা আর সরলতা না থাকলে - যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকাই সত্য হয়।

একজন বিশ্বাসীর জন্য জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার সাথে তার ধর্ম পালন তাকে দুনিয়া এবং পরকালে মুক্তির পথ দেখায়।
অবিশ্বাসীর জন্য রয়েছে তাদের কৃতকর্মেরই ফল।

পোষ্টে ++++

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭

নতুন বলেছেন: কোরানে কি ধষ`নের শাস্তির কথা আছে?

ধষ`নের মতন একটা বিষয় তো মানব জাতীর ইতিহাসের পাতায় পাতায় আছে। সেখানে এই জিনিস সম্পকে কোরানে স্পষ্ট নেই?

আরব দেশে অনেক ধষি`তাকে সাজা দিয়েছে তাদের আদালত। তাই খুবই কম সংখক নারীই ধষ`নের পরে পুলিশে যাবে অভিযোগ করতে।

আরব সমাজে যদি নারী পদার খেলাপ করে কোন পুরুষের কাছে যায় এবং ধষনের স্বীকার হয় তবে তাকেও সাজা পেতে হয় কারন সেই নারী জেনা করেছে বলেই সমাজ মনে করে।

ইসলামে ধষ`নের বিষয়ে পরিস্কার কোন নিদেশ`না নাই, তাই সবাই পদার কথা বলে এবং নারীর উপরে দায় চাপাতে চায়।

এখন যদি বলেন আরবেরা ইসলাম বোঝে না, কোরান বা হাদিসের অথ` বোঝেনা তবে কিছুই বলার নাই।

Rape in Saudi Arabia is regulated by Sharia law, which is the basis for the legal system of Saudi Arabia. Under Sharia law,[1] the punishment which a court can impose on the rapist may range from flogging to execution. However, there is no penal code in Saudi Arabia and there is no written law which specifically criminalizes rape or prescribes its punishment. In addition, there is no prohibition of marital rape.[2]

If the rape victim first entered the rapist's company in violation of purdah, she also stands to be punished by the law's current holdings.[3] In 2002, there were 0.3 reported rapes per 100,000 population.[4][5]

https://en.wikipedia.org/wiki/Rape_in_Saudi_Arabia

https://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/dubai-alleged-gang-rape-victim-woman-arrested-united-arab-emirates-nightmare-ordeal-a7426421.html

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কোনো নারী ধর্ষিত হলে তা কিভাবে প্রমান করা হয় তা কিন্তু আপনি পোস্টে উল্লেখ বা ব্যাখ্যা করেন নি |

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ইসলাম প্রমান করতে বলেনি। প্রমান করতে বলা হয়েছে শুধু মাত্র কারো নামে কোন অপবাদ দিলে সত্যিটা জাযাই করতে হবে। ধর্ষকের শাস্তি হবে কঠিন শাস্তি। হয় তাকে গর্দা না হয় তাকে ফাসি।

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

হাসান রাজু বলেছেন: @স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, কিভাবে প্রমান করতে হয়, সেটা কেন বলে দিতে হবে? ডিএনএ টেস্ট করতে পারেন । উপস্থিত সাক্ষী থাকতে পারে। প্রমান করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের । তাই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.